- সিলেক্ট -
❶ কুরআনের শব্দ/বাক্য দিয়ে খুঁজতে (বাংলা, ইংরেজি ও আরবী)
❷ যে কোন সূরার একাধিক আয়াত খুঁজতে
❸ একাধিক সূরার একাধিক আয়াত খুঁজতে
❹ শব্দে শব্দে কুরআন থেকে খুঁজতে
❺ হাদিসের শব্দ/বাক্য দিয়ে খুঁজতে (বাংলা, ইংরেজি ও আরবী)
❻ গ্রন্থ অনুসারে হাদিসের শব্দ/বাক্য দিয়ে খুঁজতে
❼ হাদিসের নম্বর দিয়ে খুঁজতে
❽ গ্রন্থসমূহ/মাস'আলা মাসায়েল (শব্দ/বাক্য দিয়ে খুঁজতে)
❾ গুগলের মাধ্যমে খুঁজতে
≡
কুরআন ও তাফসীর
হাদিসসমূহ
ইসলামী গ্রন্থাবলী
ভিডিও
নাম অভিধান ও বিবিধ
ডাউনলোড
ডোনেশন
My Account
আল-কুরআন অনুবাদ, তাফসীর ও তিলাওয়াত
আরবী কুরআন তিলাওয়াত
শব্দে শব্দে আল-কুরআন
তিলাওয়াত (সমস্ত সূরার) - কারী অনুসারে
তিলাওয়াত (সমস্ত কারীর) - সূরা অনুসারে
আয়াত নম্বর দিয়ে খুঁজুন [2:10,5:2]
যে কোন একটি সূরার একাধিক আয়াত খুঁজুন
শব্দে শব্দে আল-কুরআন খুঁজুন
বিষয়ভিত্তিক আয়াত (কার্যক্রম চলমান)
হাদিস পড়ুন (সমস্ত গ্রন্থ)
হাদিস শাস্ত্রের পরিভাষা
গ্রন্থ অনুসারে হাদিসের ধরণ ফিল্টার
হাদিসের ধরন অনুসারে পড়ুন
হাদিসের বর্ণনাকারী অনুসারে পড়ুন
গ্রন্থ অনুসারে হাদিসের বর্ণনাকারী
হাদিস নম্বর দিয়ে খুঁজুন
হাদিসের শব্দ দিয়ে খুঁজুন (গ্রন্থ অনুসারে)
তুলনামূলক হাদিস খুঁজুন
বিষয়ভিত্তিক হাদিস (কার্যক্রম চলমান)
বিষয়ভিত্তিক ইসলামী গ্রন্থাবলী
লেখকভিত্তিক ইসলামী গ্রন্থাবলী
বিষয়ভিত্তিক ইসলামিক ভিডিও
ভিডিও সার্চ
আল্লাহর ৯৯ নাম ও অর্থ
শিশুদের নামের তালিকা (চলমান)
শিশুদের নাম খুঁজুন
মাহরাম ও গায়রে মাহরাম তালিকা
Signup
Login
Change Password
শারহুল আক্বীদা আত্-ত্বহাবীয়া
ইমাম ইবনে আবীল ইয আল-হানাফী (রহিমাহুল্লাহ)
৫৮ টি অধ্যায়
১১০ টি অনুচ্ছেদ
সম্পূর্ণ বইটি একসাথে পড়ুন
অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ তালিকা
1. আল ইরশাদ-সহীহ আকীদার দিশারী
2. আল-ফিকহুল আকবর
3. ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ
4. ঈমান বিধ্বংসী দশটি কারণ
5. কিতাবুত তাওহীদ
6. কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা
7. চার ইমামের আকীদাহ (আবূ হানীফা, মালেক, শাফে‘ঈ ও আহমাদ ইবন হাম্বল)
8. তাওহীদ ও তার প্রমাণাদি
9. তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি
10. তাওহীদের কালেমা: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ [এর ফযীলত, অর্থ, শর্ত ও পরিপন্থী বিষয়]
11. নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ
12. প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা
13. ফির্কাহ নাজিয়া
14. মানহাজ (আল-আজবিবাতুল মুফীদাহ)
15. শরহুল আকীদাহ আল-ওয়াসেতীয়া
16. শারহুল আক্বীদা আত্-ত্বহাবীয়া
17. শু'আবুল ঈমান (ঈমানের শাখাসমূহ)
18. কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান
19. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জামা‘আতে সালাত আদায় [বিধান, ফযীলত, ফায়েদা ও নিয়ম-কানূন]
20. চেয়ারে বসে সালাত আদায় বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল
21. ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)
22. জানাযা দর্পণ
23. জানাযার নামাযের নিয়ম
24. জানাযার বিধিবিধান
25. জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত
26. নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি
27. প্রশ্নোত্তরে সালাতুদ-দুহার সংক্ষিপ্ত বিধান
28. সালাতুল আউওয়াবীন
29. সালাতের গুরুত্ব ও ফযীলত
30. স্বালাতে মুবাশ্শির
31. দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম [যাকাত অধ্যায়]
32. যাকাত ও সাওম বিষয়ক দু’টি পুস্তিকা
33. যাকাত বিধানের সারসংক্ষেপ
34. প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ
35. রমযান মাসের ৩০ আসর
36. রমযানের দায়িত্ব-কর্তব্য (ইবন রজব আল-হাম্বলী রহ. এর ‘লাতায়িফুল মা‘আরিফ’ অবলম্বনে)
37. রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
38. সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ
39. সাওম বিষয়ক আধুনিক কিছু মাসআলা
40. সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া
41. কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উমরা করার নিয়ম
42. কুরআন ও হাদীছের আলোকে হজ্জ, উমরাহ ও মদীনা যিয়ারত
43. কুরবানীর বিধান
44. প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা
45. যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন, ঈদ, কুরবানি ও আইয়ামে তাশরীকের দিনসমূহ
46. হজ উমরা ও যিয়ারত
47. হজ সফরে সহজ গাইড
48. হজে প্রদত্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফাতাওয়া
49. হজের সাথে সংশ্লিষ্ট আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ
50. হজ্জ, উমরা ও যিয়ারত গাইড
51. দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে
52. নামাযের দো‘আ ও যিক্র
53. মুমিনের দু‘আ
54. রাহে বেলায়াত
55. সহীহ দুআ ও যিক্র
56. হিসনুল মুসলিম
57. অতি গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় প্রশ্নোত্তর
58. ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কোন ছেলেকে কুরবানী দিয়েছিলেন?
59. ইসলাম কিউ এ ফতোয়া সমগ্র
60. কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ
61. জানাযার কিছু বিধান
62. দীনের ফিক্হ তথা জ্ঞানই ফিতনা থেকে বাঁচার সঠিক উপায়
63. দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
64. প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত
65. ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম
66. ফাতাওয়া ও প্রশ্নোত্তর
67. মুখতাসার যাদুল মা‘আদ
68. রূহ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত মাসআলাসমূহ
69. সহজ ফিকহ শিক্ষা
70. সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ
71. স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর
72. উসীলা গ্রহণ: বৈধ ও অবৈধ পন্থা
73. কুরআন ও হাদীছের মানদন্ডে সুফীবাদ
74. প্রচলিত বিভিন্ন খতম তাৎপর্য ও পর্যালোচনা
75. বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা
76. বিদআত দর্পণ
77. বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব
78. বিদ‘আত পরিচিতির মূলনীতি
79. বৈধ ও অবৈধ অসীলা
80. বড় শির্ক ও ছোট শির্ক
81. যে কেউ কোনো জাতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে চলবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে
82. শরী‘আতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও বিদ‘আতের ভয়াবহতা
83. শির্ক কী ও কেন?
84. সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার
85. যুব সমাজের অবক্ষয়, কারণ ও প্রতিকার
86. আকীকা এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধান
87. আদর্শ বিবাহ ও দাম্পত্য
88. আদর্শ মুসলিম পরিবার
89. আমি তাওবা করতে চাই . . কিন্তু !
90. ইসলামী জীবন-ধারা
91. ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এম এল এম) এর বিধান
92. ইসলামের কিছু আলোচিত বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য বিভ্রান্তি
93. উপদেশ
94. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার ভয়াবহ পরিণতি
95. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে নিষিদ্ধ কর্মকান্ড
96. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে ব্যভিচার ও সমকামিতার ভয়াবহ পরিণতি
97. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে মদপান ও ধূমপানের অপকারিতা
98. কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা
99. কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিকোণে স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা
100. কুরআনে কারীম ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে গুনাহ্ মাফের আমল
101. গুনাহ মাফের উপায়
102. জালেম শাসকের সামনে সত্য তুলে ধরা
103. তাক্বদীরঃ আল্লাহ্র এক গোপন রহস্য
104. দাড়ি রাখা ওয়াজিব
105. ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ অত্যাবশ্যক
106. ব্যবসা-বাণিজ্য: করনীয় ও বর্জনীয়
107. মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন
108. মুসলিম শাসকের প্রতি জনগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য
109. মেহমানের মেহমানদারি
110. যুব-সমস্যা ও তার শরয়ী সমাধান
111. লা-তাহযান [হতাশ হবেন না]
112. শারহু মাসাইলিল জাহিলিয়্যাহ
113. শিশুর নাম নির্বাচন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ
114. সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের ক্ষেত্রে করণীয়
115. হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামী
116. আর-রাহীকুল মাখতূম
117. নবী-রাসূলগণের ঘটনায় রয়েছে শিক্ষা
118. নবীদের কাহিনী
119. রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের] গৃহে একদিন
120. ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ
121. ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতী শিয়াদের আসল চেহারা
122. দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের বক্তব্য
123. সালাফী ও সালাফিয়াত পরিচিতি
124. কুরআনের অর্থ বুঝার সহজ অভিধান
125. মুখতাসারুল ফাওয়ায়েদ (ইবনুল কাইয়্যেম রহ.-এর আল-ফাওয়ায়েদ অবলম্বনে)
126. হাদীসের নামে জালিয়াতি
127. উসূলে ফিক্বহ (ফিক্বহের মূলনীতি)
128. হাদিস শাস্ত্রের পরিভাষা পরিচিতি
129. জাদুকর্ম, জ্যোতিষ ও দৈবকর্ম এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ইসলামের বিধান
130. যাদুকর ও জ্যোতিষীর গলায় ধারালো তরবারি
131. আলেমগণের মধ্যে মতভেদ কারণ এবং আমাদের অবস্থান
132. আল্লাহর দিকে দাওয়াতের সম্বল
133. নবী-রাসূলগণের দা‘ওয়াতী মূলনীতি
134. কবর যিয়ারত ও কবরবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন
135. কবরের শাস্তি ও শান্তি সম্পর্কে কতিপয় মাসআলা বারযাখী জীবন
136. কিয়ামতের আলামত
137. কিয়ামতের ভয়াবহতা ও তারপর
138. জান্নাত-জাহান্নাম
139. ইয়াহূদী-খৃস্টানরা কি কাফির?
140. কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম
141. খ্রিস্টান বানানোর অপকৌশল থেকে সাবধান
142. ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কি কোনো ইসলামী দলে যোগ দেওয়া যাবে?
143. ধর্মনিরপেক্ষতা ও তার কুফল
144. নাস্তিক্যবাদ উৎস ও সমাধান
145. পবিত্র বাইবেল পরিচিতি ও পর্যালোচনা
146. বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদী অপতৎপরতা : প্রতিরোধের উপায়
147. বারো ইমামের অনুসারী শিয়াদের দৃষ্টিতে চার ইমাম (আবু হানিফা, মালেক, শাফে‘ঈ ও আহমাদ)
148. শিয়া আকিদার অসারতা
149. শিয়া আকীদা সম্পর্কে ইবন তাইমিয়্যার মিনহাজুস সুন্নাহ থেকে নির্বাচিত কিছু কথা
150. নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি
151. পর্দা একটি ইবাদত
152. পর্দাহীনতার পরিণতি
153. পোশাক যখন বিপদের কারণ
154. বেলা ফুরাবার আগে
155. মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান
156. সৌন্দর্য প্রদর্শন ও বেপর্দা প্রসঙ্গে মুমিন নারীদের জন্য কতিপয় নির্দেশনা
157. সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব
158. আবু বকর ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার জীবনের কিছু ঘটনা
159. উম্মতের ওপর সাহাবীগণের অধিকারসমূহ
160. আল্লাহ তা‘আলার নান্দনিক নাম ও গুণসমগ্র: কিছু আদর্শিক নীতিমালা
161. ইসলামে হালাল উপার্জন : গুরুত্ব ও তাৎপর্য
162. ব্যাংকের সুদ কি হালাল
163. যে সকল হারামকে মানুষ তুচ্ছ মনে করে থাকে
164. সুদের ক্ষতি-অপকার-কুপ্রভাব
165. হারাম ও কবিরা গুনাহ
ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
অনুচ্ছেদ ১ টি
ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহর সংক্ষিপ্ত জীবনী
আল্লামা ইমাম ইবনে আবীল ইয্ আল-হানাফী রহিমাহুল্লাহ এর ভূমিকা (مقدمة)
অনুচ্ছেদ ৩ টি
আল্লামা ইমাম ইবনে আবীল ইয্ আল-হানাফী রহিমাহুল্লাহ এর ভূমিকা (مقدمة)
নাবী-রসূলগণের আনুগত্য করা ওয়াজীব এবং তাদের উপর আল্লাহ তা‘আলা যা নাযিল করেছেন তার আনুগত্য করাও ওয়াজীব
রসূল (ﷺ) যা নিয়ে এসেছেন, আমাদের জন্য তা যথেষ্ট
১. তাওহীদের সংজ্ঞা ও তার প্রকারভেদ
অনুচ্ছেদ ৬ টি
তাওহীদের সংজ্ঞা ও তার প্রকারভেদ
তাওহীদুল উলুহীয়া এবং তাওহীদুর রুবুবীয়াহ
তাওহীদুল উলুহীয়া ছিল নাবী-রসূলদের দাওয়াতের মূলভিত্তি
রসূলগণ যে তাওহীদের প্রতি আহবান করেছেন, তার প্রকারভেদ -১
রসূলগণ যে তাওহীদের প্রতি আহবান করেছেন, তার প্রকারভেদ - ২
রসূলগণ যে তাওহীদের প্রতি আহবান করেছেন, তার প্রকারভেদ - ৩
২. তার সদৃশ কোনো কিছুই নেই (وَلَا شَيْءَ مِثْلُهُ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
তার সদৃশ কোনো কিছুই নেই - ১
তার সদৃশ কোনো কিছুই নেই - ২
৩. কোনো কিছুই তাকে অক্ষম করতে পারে না (وَلَا شَيْءَ يُعْجِزُهُ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
কোনো কিছুই তাকে অক্ষম করতে পারে না।
৪. তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই (وَلَا إِلَهَ غَيْرُهُ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
তিনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (لا إله إلا الله) এর ব্যাখ্যা
৫. তিনি কাদীম (অনাদি, অবিনশ্বর, প্রাক্তন), তার কোনো শুরু নেই। তিনি অনন্ত-চিরন্তন, তার কোনো অন্ত নেই (قَدِيمٌ بِلَا ابْتِدَاءٍ دَائِمٌ بِلَا انْتِهَاءٍ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তিনি কাদীম (অনাদি, অবিনশ্বর, প্রাক্তন), তার কোনো শুরু নেই। তিনি অনন্ত-চিরন্তন, তার কোনো অন্ত নেই।
৬. তার ধ্বংস নেই, তিনি ক্ষয়প্রাপ্তও হবেন না (لا يَفْنَى وَلا يَبِيدُ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তার ধ্বংস নেই, তিনি ক্ষয়প্রাপ্তও হবেন না।
৭. আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা করেন, তা ছাড়া অন্য কিছু হয় না (وَلَا يَكُونُ إِلَّا مَا يُرِيدُ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা করেন, তা ছাড়া অন্য কিছু হয় না।
আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছার প্রকারভেদ এবং সৃষ্টিগত ইচ্ছা ও শরীয়াতগত ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য
৮. মানুষের কল্পনা ও ধারণাসমূহ তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারে না এবং জ্ঞান-বোধশক্তি তাকে উপলব্ধি ও আয়ত্ত করতে পারে না (لَا تَبْلُغُهُ الْأَوْهَامُ وَلَا تُدْرِكُهُ الْأَفْهَامُ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
মানুষের কল্পনা ও ধারণাসমূহ তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারে না এবং জ্ঞান-বোধশক্তি তাকে উপলব্ধি ও আয়ত্ত করতে পারে না।
৯. সৃষ্টির কোনো কিছুই তার সদৃশ নয় (وَلَا يُشْبِهُهُ الْأَنَامَ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
সৃষ্টির কোনো কিছুই তার সদৃশ নয়।
১০. তিনি চিরঞ্জীব, কখনো মারা যাবেন না, চির জাগ্রত, কখনো নিদ্রা যান না (حَيٌّ لَا يَمُوتُ قَيُّومٌ لَا يَنَامُ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তিনি চিরঞ্জীব, কখনো মারা যাবেন না, চির জাগ্রত, কখনো নিদ্রা যান না।
১১. তিনি সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টির প্রতি তার কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তিনি সৃষ্টি করেছেন। কোনো প্রকার ক্লান্তি ছাড়াই তিনি রিযিকদাতা (خَالِقٌ بِلَا حَاجَةٍ رَازِقٌ بِلَا مؤنَةٍ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তিনি সৃষ্টিকর্তা। সৃষ্টির প্রতি তার কোনো প্রয়োজন ছাড়াই তিনি সৃষ্টি করেছেন। কোনো প্রকার ক্লান্তি ছাড়াই তিনি রিযিকদাতা।
১২. তিনি নির্ভয়ে প্রাণ হরণকারী এবং বিনা ক্লেশে পুনরুত্থানকারী (مُمِيتٌ بِلَا مَخَافَةٍ بَاعِثٌ بِلَا مَشَقَّةٍ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তিনি নির্ভয়ে প্রাণ হরণকারী এবং বিনা ক্লেশে পুনরুত্থানকারী।
১৩. সৃষ্টি করার বহু পূর্ব থেকেই তিনি তার অনাদি গুণাবলীসহ চিরন্তন-অবিনশ্বর সত্তা হিসাবে বিদ্যমান রয়েছেন, আর সৃষ্টিজগৎ সৃষ্টি করার কারণে তার এমন কোনো নতুন গুণের সংযোজন ঘটেনি, যা সৃষ্টি করার পূর্বে ছিল না। তিনি তার গুণাবলীসহ যেমন অনাদি ছিলেন, তেমনি তিনি স্বীয় গুণাবলীসহ অনন্ত, চিরন্তন ও চিরঞ্জীব থাকবেন (مَا زَالَ بِصِفَاتِهِ قَدِيمًا قَبْلَ خَلِقِهِ لَمْ يَزْدَدْ بِكَوْنِهِمْ شَيْئًا لَمْ يَكُنْ قَبْلَهُمْ مِنْ صِفَتِهِ كَمَا كَانَ بِصِفَاتِهِ أَزَلِيًّا، كَذَلِكَ لَا يَزَالُ عَلَيْهَا أَبَدِيًّا)
অনুচ্ছেদ ২ টি
সৃষ্টি করার বহু পূর্ব থেকেই তিনি তার অনাদি গুণাবলীসহ চিরন্তন-অবিনশ্বর সত্তা হিসাবে বিদ্যমান রয়েছেন, আর সৃষ্টিজগৎ সৃষ্টি করার কারণে তার এমন কোনো নতুন গুণের সংযোজন ঘটেনি, যা সৃষ্টি করার পূর্বে ছিল না। তিনি তার গুণাবলীসহ যেমন অনাদি ছিলেন, তেমনি তিনি স্বীয় গুণাবলীসহ অনন্ত, চিরন্তন ও চিরঞ্জীব থাকবেন।
সৃষ্টির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার ধারণা
১৪. সৃষ্টি করার পর তার গুণবাচক নাম খালেক হয়নি এবং সৃষ্টিজগৎ উদ্ভাবন করার কারণে তার গুণবাচক নাম উদ্ভাবক হয়নি (لَيْسَ بَعْدَ خَلْقِ الْخَلْقِ اسْتَفَادَ اسم الْخَالِق وَلَا بِإِحْدَاثِهِ الْبَرِيَّةَ اسْتَفَادَ اسم الْبَارِي)
অনুচ্ছেদ ১ টি
সৃষ্টি করার পর তার গুণবাচক নাম খালেক হয়নি এবং সৃষ্টিজগৎ উদ্ভাবন করার কারণে তার গুণবাচক নাম উদ্ভাবক হয়নি।
১৫. আল্লাহ তা‘আলা তখনো প্রতিপালন করার বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন, যখন কোনো প্রতিপালিত সৃষ্টি ছিল না। তিনি তখনো সৃষ্টি করার বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন, যখন কোনো সৃষ্ট ছিল না (لَهُ مَعْنَى الرُّبُوبِيَّةِ وَلَا مَرْبُوبَ وَمَعْنَى الْخَالِقِ وَلَا مَخْلُوقَ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
আল্লাহ তা‘আলা তখনো প্রতিপালন করার বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন, যখন কোনো প্রতিপালিত সৃষ্টি ছিল না। তিনি তখনো সৃষ্টি করার বিশেষণে বিশেষিত ছিলেন, যখন কোনো সৃষ্ট ছিল না।
১৬. মৃতদেরকে জীবন দান করার পর যেমন তিনি জীবনদানকারী নাম ও বিশেষণে বিশেষিত ঠিক তেমনি তাদেরকে জীবনদান করার পূর্বেও তিনি এ নামের অধিকারী ছিলেন। অনুরূপ তিনি সৃষ্টিকুলের সৃজনের পূর্বেই স্রষ্টা নাম ও গুণের অধিকারী ছিলেন (وَكَمَا أَنَّهُ مُحْيِي الْمَوْتَى بَعْدَمَا أَحْيَا اسْتَحَقَّ هَذَا الِاسْمَ قَبْلَ إِحْيَائِهِمْ كَذَلِكَ اسْتَحَقَّ اسْمَ الْخَالِقِ قَبْلَ إِنْشَائِهِمْ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
মৃতদেরকে জীবন দান করার পর যেমন তিনি জীবনদানকারী নাম ও বিশেষণে বিশেষিত ঠিক তেমনি তাদেরকে জীবনদান করার পূর্বেও তিনি এ নামের অধিকারী ছিলেন। অনুরূপ তিনি সৃষ্টিকুলের সৃজনের পূর্বেই স্রষ্টা নাম ও গুণের অধিকারী ছিলেন।
১৭. এটা এ জন্য যে, তিনি সবকিছুর উপর সম্পূর্ণ ক্ষমতাবান এবং প্রত্যেক সৃষ্টিই তার মুখাপেক্ষী এবং সব কিছুই তার জন্য সহজ। তিনি কোনো কিছুর প্রতিই মুখাপেক্ষী নন। তার মত কিছুই নেই; তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা (ذَلِكَ بِأَنَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَكُلُّ شَىْءٍ إِلَيْهِ فَقِيرٌ وَكُلُّ أَمْرٍ إليه يَسِيرٌ لَا يَحْتَاجُ إِلَى شَيْءٍ، لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
এটা এ জন্য যে, তিনি সবকিছুর উপর সম্পূর্ণ ক্ষমতাবান এবং প্রত্যেক সৃষ্টিই তার মুখাপেক্ষী এবং সব কিছুই তার জন্য সহজ। তিনি কোনো কিছুর প্রতিই মুখাপেক্ষী নন। তার মত কিছুই নেই; তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
১৮. তিনি স্বীয় জ্ঞানে সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেছেন (خَلَقَ الْخَلْقَ بِعِلْمِهِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তিনি স্বীয় জ্ঞানে সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেছেন।
১৯. এবং তিনি তাদের জন্য তাকদীর বা সব কিছুরই পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন (وَقَدَّرَ لَهُمْ أَقْدَارًا)
অনুচ্ছেদ ১ টি
এবং তিনি তাদের জন্য তাকদীর বা সব কিছুরই পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন।
২০. তিনি তাদের মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করেছেন (وَضَرَبَ لَهُمْ آجَالًا)
অনুচ্ছেদ ২ টি
তিনি তাদের মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করেছেন।
নিহত ব্যক্তিও তার জন্য নির্ধারিত সময়েই মারা যায়
২১. সৃষ্টিজগৎ সৃষ্টির পূর্বে কোনো কিছুই তার কাছে গোপন ছিল না। এমনি সৃষ্টিজগৎ সৃষ্টির পূর্বেই তাদের সৃষ্টির পরবর্তীকালের কার্যকলাপ সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন (وَلَمْ يَخْفَ عَلَيْهِ شَيْءٌ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَهُمْ وَعَلِمَ مَا هُمْ عَامِلُونَ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَهُمْ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
সৃষ্টিজগৎ সৃষ্টির পূর্বে কোনো কিছুই তার কাছে গোপন ছিল না। এমনি সৃষ্টিজগৎ সৃষ্টির পূর্বেই তাদের সৃষ্টির পরবর্তীকালের কার্যকলাপ সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন।
২২. এবং তিনি তাদেরকে তার আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন এবং তার নাফরমানী করা হতে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন (وَأَمَرَهُمْ بِطَاعَتِهِ وَنَهَاهُمْ عَنْ مَعْصِيَتِه)
অনুচ্ছেদ ১ টি
এবং তিনি তাদেরকে তার আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন এবং তার নাফরমানী করা হতে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
২৩. সবকিছু তার নির্ধারণ এবং ইচ্ছা অনুসারে পরিচালিত হয়। তার ইচ্ছাই কার্যকর হয়, তার ইচ্ছা ব্যতীত বান্দার কোনো ইচ্ছাই বাস্তবায়ন হয় না। অতএব তিনি বান্দাদের জন্য যা চান তাই হয়, আর যা চান না তা হয় না (وَكُلُّ شَيْءٍ يَجْرِي بِتَقْدِيرِهِ وَمَشِيئَتِهِ وَمَشِيئَتُهُ تَنْفُذُ لَا مَشِيئَةَ لِلْعِبَادِ إِلَّا مَا شَاءَ لَهُمْ، فَمَا شَاءَ لَهُمْ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
সবকিছু তার নির্ধারণ এবং ইচ্ছা অনুসারে পরিচালিত হয়। তার ইচ্ছাই কার্যকর হয়, তার ইচ্ছা ব্যতীত বান্দার কোনো ইচ্ছাই বাস্তবায়ন হয় না। অতএব তিনি বান্দাদের জন্য যা চান তাই হয়, আর যা চান না তা হয় না।
তাকদীর দিয়ে দলীল গ্রহণ করে কুফুরী ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া অযৌক্তিক
২৪. আল্লাহ অনুগ্রহ করে যাকে ইচ্ছা, তাকে হেদায়াত, আশ্রয় ও নিরাপত্তা প্রদান করেন। আর যাকে ইচ্ছা ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পথভ্রষ্ট করেন, অপমানিত করেন ও বিপদগ্রস্ত করেন (يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَيَعْصِمُ وَيُعَافِي فَضْلًا وَيُضِلُّ مَنْ يَشَاءُ وَيَخْذُلُ وَيَبْتَلِي عَدْلًا)
অনুচ্ছেদ ১ টি
আল্লাহ অনুগ্রহ করে যাকে ইচ্ছা, তাকে হেদায়াত, আশ্রয় ও নিরাপত্তা প্রদান করেন। আর যাকে ইচ্ছা ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে পথভ্রষ্ট করেন, অপমানিত করেন ও বিপদগ্রস্ত করেন।
২৫. আর সকলেই আল্লাহর ইচ্ছার অধীনে এবং সবাই তারই অনুগ্রহ ও এ ন্যায়বিচারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে (وَكُلُّهُمْ يَتَقَلَّبُونَ فِي مَشِيئَتِهِ بَيْنَ فَضْلِهِ وَعَدْلِهِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
আর সকলেই আল্লাহর ইচ্ছার অধীনে এবং সবাই তারই অনুগ্রহ ও এ ন্যায়বিচারের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
২৬. তিনি কারও প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সমকক্ষ হওয়ার বহু উর্ধ্বে (وَهُوَ مُتَعَالٍ عَنِ الْأَضْدَادِ وَالْأَنْدَادِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তিনি কারও প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সমকক্ষ হওয়ার বহু উর্ধ্বে।
২৭. তার ফায়ছালার কোনো প্রতিহতকারী নেই। তার হুকুমকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করার কেউ নেই এবং তার নির্দেশকে পরাভূত করারও কেউ নেই (لَا رَادَّ لِقَضَائِهِ وَلَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِ وَلَا غَالِبَ لِأَمْرِهِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তার ফায়ছালার কোনো প্রতিহতকারী নেই। তার হুকুমকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করার কেউ নেই এবং তার নির্দেশকে পরাভূত করারও কেউ নেই।
২৮. উপরে উল্লেখিত সব কিছুর উপরই আমরা ঈমান এনেছি এবং দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করেছি যে, সব কিছুই আল্লাহর পক্ষ হতে আগত (آمَنَّا بِذَلِكَ كُلِّهِ، وَأَيْقَنَّا أَنَّ كُلًّا مِنْ عِنْدِهِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
উপরে উল্লেখিত সব কিছুর উপরই আমরা ঈমান এনেছি এবং দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করেছি যে, সব কিছুই আল্লাহর পক্ষ হতে আগত।
২৯. নিশ্চয় মুহাম্মাদ (ﷺ) তার নির্বাচিত বান্দা, মনোনীত নাবী এবং পছন্দনীয় রসূল।
অনুচ্ছেদ ৫ টি
নিশ্চয় মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার নির্বাচিত বান্দা, মনোনীত নাবী এবং পছন্দনীয় রসূল।
মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নবুওয়াতের প্রতি ঈমান আনয়ন করা আবশ্যক
নাবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেযা সম্পর্কে কিছু কথা - ১
নাবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুজেযা সম্পর্কে কিছু কথা - ২
নাবী ও রাসূলের মধ্যে পার্থক্য
৩০. তিনি সর্বশেষ নাবী, মুত্তাকীদের ইমাম, রসূলগণের নেতা এবং সৃষ্টিকুলের রবের হাবীব (وَأَنَّهُ خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ وَإِمَامُ الْأَتْقِيَاءِ وَسَيِّدُ الْمُرْسَلِينَ وَحَبِيبُ رَبِّ الْعَالَمِينَ)
অনুচ্ছেদ ৪ টি
তিনি সর্বশেষ নাবী, মুত্তাকীদের ইমাম, রসূলগণের নেতা এবং সৃষ্টিকুলের রবের হাবীব।
নাবীদের একজনকে অন্যজনের উপর প্রাধান্য দেয়া সম্পর্কে কিছু কথা
মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর হাবীব
ভালোবাসার স্তরসমূহ
৩১. তার পরে যেসব লোক নবুওয়াতের দাবি করবে, তাদের প্রত্যেকের দাবি ভ্রষ্টতা ও প্রবৃত্তির অনুসরণ ছাড়া অন্য কিছু নয় (وَكُلُّ دَعْوَى النُّبُوَّةِ بَعْدَهُ فَغَيٌّ وَهَوًى)
অনুচ্ছেদ ১ টি
তার পরে যেসব লোক নবুওয়াতের দাবি করবে, তাদের প্রত্যেকের দাবি ভ্রষ্টতা ও প্রবৃত্তির অনুসরণ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
৩২. তিনি সত্য, হেদায়াত, নূর ও জ্যোতি সহকারে সমস্ত জিন ও মানুষের প্রতি প্রেরিত হয়েছেন (وَهُوَ الْمَبْعُوثُ إِلَى عَامَّةِ الْجِنِّ وَكَافَّةِ الْوَرَى بِالْحَقِّ وَالْهُدَى وَبِالنُّورِ وَالضِّيَاءِ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
তিনি সত্য, হেদায়াত, নূর ও জ্যোতি সহকারে সমস্ত জিন ও মানুষের প্রতি প্রেরিত হয়েছেন।
মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেসালাত বিশ্বজনীন
৩৩. নিশ্চয়ই কুরআন আল্লাহর কালাম, যা আল্লাহর নিকট থেকে কথা হিসেবে শুরু হয়েছে, তবে এর কোনো ধরণ নির্ধারণ করা যাবে না। ......
অনুচ্ছেদ ৮ টি
নিশ্চয়ই কুরআন আল্লাহর কালাম, যা আল্লাহর নিকট থেকে কথা হিসেবে শুরু হয়েছে, তবে এর কোনো ধরণ নির্ধারণ করা যাবে না। এ কালামকে তিনি তার রাসূলের প্রতি অহী হিসাবে নাযিল করেছেন। আর ঈমানদারগণ তাকে এ ব্যাপারে সত্যবাদী বলে মেনে নিয়েছে। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, এটি সত্যিই আল্লাহর কালাম, কোনো সৃষ্টির কথার মত সৃষ্টি নয়। অতএব, যে ব্যক্তি কুরআন শুনে তাকে মানুষের কালাম বলে ধারণা করবে, সে কাফের হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা তার নিন্দা করেছেন, তাকে দোষারোপ করেছেন এবং তাকে জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করেছেন। যেমন তিনি বলেছেন, سَأُصْلِيهِ سَقَرَ ‘শীঘ্রই তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো’। (সূরা মুদ্দাসি্সর: ২৬) সুতরাং যে বলে إِنْ هَذَا إِلَّا قَوْلُ الْبَشَرِ ‘এটাতো মানুষের কথা ছাড়া আর কিছুই নয়’ আল্লাহ তা‘আলা তাকে সাকার নামক জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করেছেন। অতএব, আমরা জেনে নিলাম ও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করলাম যে, এ কুরআন মানুষের সৃষ্টিকর্তার কালাম। আর তা কোনো মানুষের কথার সাথে সাদৃশ্য রাখে না।
আল্লাহর কালাম সম্পর্কিত মাস‘আলায় আলেমদের মতভেদ
জান্নাতবাসীদের সাথে আল্লাহর কথোপকথন।
যারা কুরআনকে মাখলুক বলে তাদের জবাব:
আল্লাহর কালামের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মাযহাব এবং বিরোধীদের জবাব - ১
আল্লাহর কালামের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মাযহাব এবং বিরোধীদের জবাব - ২
আল্লাহর কালামের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মাযহাব এবং বিরোধীদের জবাব - ৩
কুরআনকে যারা মাখলুক বলে, তারা কাফের
৩৪. যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলাকে মানবীয় কোনো বিশেষণে বিশেষিত করবে, সে কাফের হয়ে যাবে। অতএব, যে ব্যক্তি অন্তরের চোখ দিয়ে এতে গভীর দৃষ্টি প্রদান করবে সে সঠিক শিক্ষা নিতে সক্ষম হবে। আর কাফেরদের মত কুরআনকে মানুষের কথা বলা হতে বিরত থাকবে এবং সে জানতে পারবে যে, আল্লাহ রাববুল আলামীন তার গুণাবলীতে মানুষের মত নন (وَمَنْ وَصَفَ اللَّهَ بِمَعْنًى مِنْ مَعَانِي الْبَشَرِ، فَقَدْ كَفَرَ مَنْ أَبْصَرَ هَذَا اعْتَبَرَ وَعَنْ مِثْلِ قَوْلِ الْكُفَّارِ انْزَجَرَ. وَعَلِمَ أَنَّ اللَّهَ بِصِفَاتِهِ لَيْسَ كَالْبَشَرِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলাকে মানবীয় কোনো বিশেষণে বিশেষিত করবে, সে কাফের হয়ে যাবে। অতএব, যে ব্যক্তি অন্তরের চোখ দিয়ে এতে গভীর দৃষ্টি প্রদান করবে সে সঠিক শিক্ষা নিতে সক্ষম হবে। আর কাফেরদের মত কুরআনকে মানুষের কথা বলা হতে বিরত থাকবে এবং সে জানতে পারবে যে, আল্লাহ রাববুল আলামীন তার গুণাবলীতে মানুষের মত নন।
৩৫. জান্নাতীদের জন্য আল্লাহকে দেখার বিষয়টি সত্য। তবে সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করে নয়, তার পদ্ধতিও আমাদের অজানা। ......
অনুচ্ছেদ ৪ টি
আর জান্নাতীদের জন্য আল্লাহকে দেখার বিষয়টি সত্য। তবে সম্পূর্ণভাবে আয়ত্ত করে নয়, তার পদ্ধতিও আমাদের অজানা। যেমনটি আমাদের রবের কিতাব ঘোষণা করেছে, وُجُوه يَومَئِذٍ نَّاضِرَةٌ إِلَىٰ رَبِّهَا نَاظِرَةٌ ‘সেদিন অনেক মুখম-ল আনন্দোজ্জল হবে, সেগুলো তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে’। (সূরা আল-কিয়ামাহ: ২২) এ দেখার ব্যাখ্যা হলো, একমাত্র আল্লাহ যেভাবে ইচ্ছা করেন এবং যেভাবে তিনি জানেন সেভাবেই এটি অর্জিত হবে এবং এ সম্পর্কে যা কিছু ছহীহ হাদীছে রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে, তা যেভাবে তিনি বলেছেন সেভাবেই গৃহীত হবে এবং তিনি যা উদ্দেশ্য করেছেন সেটিই ধর্তব্য হবে। এতে আমরা আমাদের নিজস্ব মতের উপর নির্ভর করে কোনো অপব্যাখ্যা করবো না এবং আমাদের প্রবৃত্তির প্ররোচনায় তাড়িত হয়ে কোনো অযাচিত ধারণার বশবর্তী হবো না। কারণ কোনো ব্যক্তি কেবল তখনই তার দ্বীনকে ভ্রষ্টতা ও বক্রতা থেকে নিরাপদ রাখতে পারে, যখন সে মহান আল্লাহ এবং তার রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনার কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সমর্পন করবে এবং সংশয়ের ব্যাপারসমূহকে আল্লাহর দিকেই ফিরিয়ে দিবে।
আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকারকারীদের দলীল ও তার জবাব - ১
আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকারকারীদের দলীল ও তার জবাব - ২
আল্লাহর সাক্ষাৎ অস্বীকারকারীদের দলীল ও তার জবাব - ৩
৩৬. পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ ও বশ্যতা স্বীকার করা ব্যতীত কারও পা ইসলামের উপর দৃঢ় থাকতে পারে না (وَلَا تَثْبُتُ قَدَمُ الْإِسْلَامِ إِلَّا عَلَى ظَهْرِالتَّسْلِيمِ وَالِاسْتِسْلَامِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ ও বশ্যতা স্বীকার করা ব্যতীত কারও পা ইসলামের উপর দৃঢ় থাকতে পারে না।
৩৭. যে ব্যক্তি এমন বিষয়ের জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা করবে যা তার জ্ঞানের নাগালের বাইরে এবং যার বুঝ বশ্যতা স্বীকারে সন্তুষ্ট হবে না, তার ইচ্ছা তাকে নির্ভেজাল তাওহীদ, স্বচ্ছ মারেফত-পরিচয় ও ছহীহ ঈমান হতে দূরে সরিয়ে রাখবে (فَمَنْ رَامَ عِلْمَ مَا حُظِرَ عَنْهُ عِلْمُهُ وَلَمْ يَقْنَعْ بِالتَّسْلِيمِ فَهْمُهُ حَجَبَهُ مَرَامُهُ عَنْ خَالِصِ التَّوْحِيدِ وَصَافِي الْمَعْرِفَةِ وَصَحِيحِ الْإِيمَانِ )
অনুচ্ছেদ ৩ টি
যে ব্যক্তি এমন বিষয়ের জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা করবে যা তার জ্ঞানের নাগালের বাইরে এবং যার বুঝ বশ্যতা স্বীকারে সন্তুষ্ট হবে না, তার ইচ্ছা তাকে নির্ভেজাল তাওহীদ, স্বচ্ছ মারেফত-পরিচয় ও ছহীহ ঈমান হতে দূরে সরিয়ে রাখবে।
কালামশাস্ত্রের অসারতা সম্পর্কে ইমাম গাজ্জালীর স্বীকারোক্তি
আক্বীদার ক্ষেত্রে মুসলিমদের বিভ্রান্তির কারণ
৩৮. ফলে সে কুফুরী ও ঈমান, সত্যায়ন ও মিথ্যায়ন, স্বীকৃতি প্রদান ও অস্বীকৃতি, সন্দেহ-পেরেশান এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অনিশ্চয়তার বেড়াজালে ঘুরপাক খেতে থাকবে। সে না সত্যবাদী মুমিন হবে, আর না অস্বীকারকারী মিথ্যাবাদী হবে (فَيَتَذَبْذَبُ بَيْنَ الْكُفْرِ وَالْإِيمَانِ، وَالتَّصْدِيقِ وَالتَّكْذِيبِ، وَالْإِقْرَارِ وَالْإِنْكَارِ مُوَسْوِسًا تَائِهًا، شَاكًّا، لَا مُؤْمِنًا مُصَدِّقًا، وَلَا جَاحِدًا مُكَذِّبًا)
অনুচ্ছেদ ১ টি
ফলে সে কুফুরী ও ঈমান, সত্যায়ন ও মিথ্যায়ন, স্বীকৃতি প্রদান ও অস্বীকৃতি, সন্দেহ-পেরেশান এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্বের অনিশ্চয়তার বেড়াজালে ঘুরপাক খেতে থাকবে। সে না সত্যবাদী মুমিন হবে, আর না অস্বীকারকারী মিথ্যাবাদী হবে।
৩৯. জান্নাতীদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষাৎ লাভের উপর ঐ ব্যক্তির ঈমান আনয়ন বিশুদ্ধ হবে না, যে কোনো ধারণার বশবর্তী হবে, অথবা নিজের বুঝ অনুসারে সাক্ষাতের তাবীল করবে বা ভুল ব্যাখ্যা দিবে। ......
অনুচ্ছেদ ৩ টি
জান্নাতীদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষাৎ লাভের উপর ঐ ব্যক্তির ঈমান আনয়ন বিশুদ্ধ হবে না, যে কোনো ধারণার বশবর্তী হবে, অথবা নিজের বুঝ অনুসারে সাক্ষাতের তাবীল করবে বা ভুল ব্যাখ্যা দিবে। কারণ আল্লাহকে দেখার বিষয়টি এবং রবের অন্যান্য গুণাবলীর বিষয়ের ব্যাপারে প্রকৃত কথা হচ্ছে ঐগুলোর কোনোরূপ তাবীল করার অপচেষ্টা না করে যেভাবে এসেছে সেভাবেই অবিকৃতভাবে মেনে নিতে। এটাই হচ্ছে মুসলিমদের দ্বীন। যে ব্যক্তি রবের জন্য সুসাব্যস্ত গুণাবলীকে অস্বীকার করা এবং সৃষ্টির গুণাবলীর সাথে তার সাদৃশ্য বর্ণনা করা থেকে বিরত থাকবে না, তার নিশ্চিত পদস্খলন ঘটবে ও সে সঠিকভাবে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণায় ব্যর্থ হবে।
আল্লাহর সিফাত সম্পর্কে অনুমান ও ধারণা করে কথা বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক
التأويل শব্দের অর্থ
৪০. যে ব্যক্তি রবের জন্য সুসাব্যস্ত গুণাবলীকে অস্বীকার করা এবং সৃষ্টির গুণাবলীর সাথে তার সাদৃশ্য করা থেকে বিরত থাকবে না, তার নিশ্চিত পদস্খলন ঘটবে ও সে সঠিকভাবে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণায় ব্যর্থ হবে (وَمَنْ لَمْ يَتَوَقَّ النَّفْيَ وَالتَّشْبِيهَ زَلَّ وَلَمْ يُصِبِ التَّنْزِيهَ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
যে ব্যক্তি রবের জন্য সুসাব্যস্ত গুণাবলীকে অস্বীকার করা এবং সৃষ্টির গুণাবলীর সাথে তার সাদৃশ্য করা থেকে বিরত থাকবে না, তার নিশ্চিত পদস্খলন ঘটবে ও সে সঠিকভাবে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণায় ব্যর্থ হবে।
আল্লাহ তা‘আলাকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করা কুফুরী
৪১. আমাদের মহান রব একক ও নজীর বিহীন হওয়ার গুণে গুণান্বিত। মাখলুকের মধ্যে কেউ তার গুণে ভূষিত নয় (فَإِنَّ رَبَّنَا جَلَّ وَعَلَا مَوْصُوفٌ بِصِفَاتِ الْوَحْدَانِيَّةِ، مَنْعُوتٌ بِنُعُوتِ الْفَرْدَانِيَّةِ، لَيْسَ فِي مَعْنَاهُ أَحَدٌ مِنَ الْبَرِيَّةِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
আমাদের মহান রব একক ও নজীর বিহীন হওয়ার গুণে গুণান্বিত। মাখলুকের মধ্যে কেউ তার গুণে ভূষিত নয়।
৪২. আর আল্লাহ তা‘আলা সীমা, পরিধি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সাজ-সরঞ্জাম, উপাদান-উপকরণ ও যন্ত্রপাতির সাহায্য নেয়ার অনেক উর্ধ্বে এবং সকল সৃষ্ট বস্তুকে যেমন ছয়টি দিক পরিবেষ্টন করে রাখে, দিকসমূহ তাকে সেভাবে পরিবেষ্টন করতে পারে না (وَتَعَالَى عَنِ الْحُدُودِ وَالْغَايَاتِ وَالْأَرْكَانِ وَالْأَعْضَاءِ وَالْأَدَوَاتِ، لَا تَحْوِيهِ الْجِهَاتُ السِّتُّ كَسَائِرِ الْمُبْتَدَعَاتِ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
আর আল্লাহ তা‘আলা সীমা, পরিধি, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সাজ-সরঞ্জাম, উপাদান-উপকরণ ও যন্ত্রপাতির সাহায্য নেয়ার অনেক উর্ধ্বে এবং সকল সৃষ্ট বস্তুকে যেমন ছয়টি দিক পরিবেষ্টন করে রাখে, দিকসমূহ তাকে সেভাবে পরিবেষ্টন করতে পারে না।
যারা আল্লাহ তা‘আলা থেকে দিক নাকোচ করার মাধ্যমে সৃষ্টির উপর তার সমুন্নত হওয়া নাকোচ করতে চায়, তাদের জবাব
৪৩. মিরাজ সত্য ......
অনুচ্ছেদ ৩ টি
আর মিরাজ সত্য, নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাতের বেলা আকসায় ভ্রমণ করানো হয়েছে। অতঃপর তাকে জাগ্রত অবস্থায় স্ব-শরীরে উর্ধ্ব আকাশে উত্থিত করা হয়েছে। সেখান থেকে আল্লাহর ইচ্ছা অনুসারে আরো উর্ধ্বে নেয়া হয়েছে। সেখানে আল্লাহ স্বীয় ইচ্ছা অনুসারে তাকে সম্মান প্রদর্শন করেছেন এবং তাকে যা প্রত্যাদেশ করার ছিল তা করেছেন। তিনি যা দেখেছেন তার অন্তর তা মিথ্যা বলেনি। আল্লাহ তার উপর আখেরাতে এবং দুনিয়ার জগতে সালাত (দরুদ) ও সালাম নাযিল করুন।
মিরাজের রাতে নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তা‘আলাকে দেখার ব্যাপারে ছাহাবীদের মতভেদ
স্বশরীরে জাগ্রত অবস্থায় মিরাজ হয়
৪৪. আর হাউয যা আল্লাহ তা‘আলা তার নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার উম্মতের পিপাসা নিবারণার্থে প্রদান করে সম্মানিত করেছেন, তা অবশ্যই সত্য (وَالْحَوْضُ الَّذِي أَكْرَمَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِهِ غِيَاثًا لِأُمَّتِهِ حَقٌّ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
আর হাউয যা আল্লাহ তা‘আলা তার নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তার উম্মতের পিপাসা নিবারণার্থে প্রদান করে সম্মানিত করেছেন, তা অবশ্যই সত্য।
৪৫. আর নাবী (ﷺ) এর শাফা‘আত সত্য। যা তিনি উম্মতের জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। যেমনটি বিভিন্ন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে (وَالشَّفَاعَةُ الَّتِي ادَّخَرَهَا لَهُمْ حَقٌّ كَمَا رُوِيَ فِي الْأَخْبَارِ)
অনুচ্ছেদ ৪ টি
আর নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শাফা‘আত সত্য। যা তিনি উম্মতের জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। যেমনটি বিভিন্ন হাদীছে বর্ণিত হয়েছে।
প্রথম প্রকার শাফা‘আত বা শাফা‘আতে উযমা (বৃহৎ)
অন্যান্য শাফা‘আতের বর্ণনা
দুনিয়ার জীবনে নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উসীলায় দু‘আ করা
৪৬. আল্লাহ তা‘আলা আদম এবং তার সন্তানদের কাছ থেকে যে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন তা সত্য (وَالْمِيثَاقُ الَّذِي أَخَذَهُ اللَّهُ تَعَالَى مِنْ آدَمَ وَذُرِّيَّتِهِ حَقٌّ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
আল্লাহ তা‘আলা আদম এবং তার সন্তানদের কাছ থেকে যে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন তা সত্য - ১
আল্লাহ তা‘আলা আদম এবং তার সন্তানদের কাছ থেকে যে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন তা সত্য - ২
৪৭. মহান আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, সর্বমোট কত সংখ্যক লোক জান্নাতে যাবে আর কত সংখ্যক লোক জাহান্নামে যাবে। এ সংখ্যায় কোনো কমবেশী হবে না। অর্থাৎ এ সংখ্যা কমবেও না, বাড়বেও না। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের কাজকর্ম সম্পর্কে পূর্ব হতেই অবহিত (وَقَدْ عَلِمَ اللَّهُ تَعَالَى فِيمَا لَمْ يَزَلْ عَدَدَ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ، وَعَدَدَ مَنْ يَدْخُلُ النار، جملة واحدة، فلا يزداد فِي ذَلِكَ الْعَدَدِ وَلَا يُنْقَصُ مِنْهُ, وَكَذَلِكَ أَفْعَالُهُمْ فِيمَا عَلِمَ مِنْهُمْ أَنْ يَفْعَلُوهُ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
মহান আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, সর্বমোট কত সংখ্যক লোক জান্নাতে যাবে আর কত সংখ্যক লোক জাহান্নামে যাবে। এ সংখ্যায় কোনো কমবেশী হবে না। অর্থাৎ এ সংখ্যা কমবেও না, বাড়বেও না। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের কাজকর্ম সম্পর্কে পূর্ব হতেই অবহিত।
৪৮. যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, সে কাজ তার জন্য সহজ করে দেয়া হয়। শেষ কর্ম দ্বারাই ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি যে আল্লাহর ফায়সালায় ভাগ্যবান বলে সাব্যস্ত হয়েছে। আর হতভাগ্য সে ব্যক্তি যে আল্লাহর ফায়সালায় হতভাগ্য বলে নির্ধারিত হয়েছে (وَكُلٌّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ، وَالْأَعْمَالُ بِالْخَوَاتِيمِ، وَالسَّعِيدُ مَنْ سَعِدَ بِقَضَاءِ اللَّهِ، وَالشَّقِيُّ مَنْ شَقِيَ بِقَضَاءِ اللَّهِ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, সে কাজ তার জন্য সহজ করে দেয়া হয়। শেষ কর্ম দ্বারাই ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি যে আল্লাহর ফায়সালায় ভাগ্যবান বলে সাব্যস্ত হয়েছে। আর হতভাগ্য সে ব্যক্তি যে আল্লাহর ফায়সালায় হতভাগ্য বলে নির্ধারিত হয়েছে।
৪৯. তাকদীর সম্পর্কে আসল কথা হলো, এটি সৃষ্টিকুলের ব্যাপারে আল্লাহর একটি গোপন বিষয়; যা নৈকট্যপ্রাপ্ত কোনো ফেরেশতা কিংবা প্রেরিত কোনো নাবীও অবহিত নন। ......
অনুচ্ছেদ ৫ টি
তাকদীর সম্পর্কে আসল কথা হলো, এটি সৃষ্টিকুলের ব্যাপারে আল্লাহর একটি গোপন বিষয়; যা নৈকট্যপ্রাপ্ত কোনো ফেরেশতা কিংবা প্রেরিত কোনো নাবীও অবহিত নন। এ সম্পর্কে গভীর চিন্তা-ভাবনা করা অথবা অনুরূপ আলোচনায় প্রবৃত্ত হওয়া ব্যর্থ হওয়ার কারণ, বঞ্চনার সিঁড়ি এবং সীমালংঘনের স্তর। অতএব সাবধান! এ সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা এবং কুমন্ত্রণা হতে সতর্ক থাকুন। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা তাকদীর সম্পর্কিত জ্ঞান তার সৃষ্টিকুল থেকে গোপন রেখেছেন এবং তাদেরকে এর উদ্দেশ্যে অনুসন্ধান করতে নিষেধ করেছেন। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, لَا يُسْأَلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْأَلُونَ ‘তিনি যা করেন সে বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হবে না; বরং তারা তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। (সূরা আম্বিয়া: ২৩) অতএব, যে ব্যক্তি একথা জিজ্ঞাসা করবে তিনি কেন এ কাজ করলেন? সে আল্লাহর কিতাবের হুকুম অমান্য করল। আর যে ব্যক্তি কিতাবের হুকুম অমান্য করল, সে কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হলো।
ক্ষতিকর ও অপছন্দনীয় জিনিস সৃষ্টি করার তাৎপর্য বা হেকমত - ১
ক্ষতিকর ও অপছন্দনীয় জিনিস সৃষ্টি করার তাৎপর্য বা হেকমত - ২
ক্ষতিকর ও অপছন্দনীয় জিনিস সৃষ্টি করার তাৎপর্য বা হেকমত - ৩
আল্লাহর কর্ম সম্পর্কে এ কথা বলা যাবে না যে, তিনি কেন এটি করেছেন?
৫০. তাকদীর বিষয়ে যা জানা ও যার উপর ঈমান আনয়ন করা প্রয়োজন .......
অনুচ্ছেদ ১ টি
তাকদীর বিষয়ে যা জানা ও যার উপর ঈমান আনয়ন করা প্রয়োজন উপরোক্ত আলোচনায় সংক্ষিপ্তভাবে তা বিধৃত হয়েছে। আল্লাহর অলীদের মধ্যে যার অন্তর জ্যোতিদীপ্ত তার জন্য এতটুকু জানাই প্রয়োজন। আর এটিই হচ্ছে জ্ঞানে সুগভীর প্রজ্ঞাবানদের স্তর। ইলম দু’প্রকার। (১) যে জ্ঞান সৃষ্ট জীবের নিকট বিদ্যমান। (২) যে জ্ঞান সৃষ্ট জীবের নিকট বিদ্যমান নয়। বিদ্যমান ইলমকে অস্বীকার করা যেমন কুফুরী, অবিদ্যমান জ্ঞানের দাবী করাও তেমনি কুফুরী। বিদ্যমান ইলম কবুল করা, আর অবিদ্যমান জ্ঞানের অন্বেষন করা হতে বিরত থাকা ব্যতীত কারো ঈমান সুদৃঢ় বিশুদ্ধ হবে না।
৫১. আর আমরা লাওহে মাহফুযে ঈমান রাখি, আরও ঈমান রাখি কলমের উপর। আর যা আল্লাহ লাওহে মাহফুযে লিখে রেখেছেন তার সবকিছুতেই আমরা বিশ্বাস করি (وَنُؤْمِنُ بِاللَّوْحِ وَالْقَلَمِ، وَبِجَمِيعِ مَا فِيهِ قَدْ رُقِمَ)
অনুচ্ছেদ ২ টি
আর আমরা লাওহে মাহফুযে ঈমান রাখি, আরও ঈমান রাখি কলমের উপর। আর যা আল্লাহ লাওহে মাহফুযে লিখে রেখেছেন তার সবকিছুতেই আমরা বিশ্বাস করি।
কলম সর্বপ্রথম সৃষ্টি কি না এ ব্যাপারে আলেমদের মতভেদ
৫২. যা সংঘটিত হবে বলে আল্লাহ লাওহে মাহফুযে লিখে রেখেছেন তা যদি সকল সৃষ্টি একত্রিত হয়েও রোধ করতে চায় তারা সেটা করতে সক্ষম হবে না। পক্ষান্তরে, তাতে যে বিষয় সংঘটিত হবার কথা তিনি লিখেননি, সমস্ত সৃষ্টি একত্রিত হয়েও তা ঘটাতে পারবে না ......
অনুচ্ছেদ ৩ টি
যা সংঘটিত হবে বলে আল্লাহ লাওহে মাহফুযে লিখে রেখেছেন তা যদি সকল সৃষ্টি একত্রিত হয়েও রোধ করতে চায় তারা সেটা করতে সক্ষম হবে না। পক্ষান্তরে, তাতে যে বিষয় সংঘটিত হবার কথা তিনি লিখেননি, সমস্ত সৃষ্টি একত্রিত হয়েও তা ঘটাতে পারবে না। কিয়ামত দিবস পর্যন্ত যা ঘটবে তা লিপিবদ্ধ হয়ে কলমের কালি শুকিয়ে গেছে।
তাকদীর লিখার স্তরসমূহ:
আল্লাহর উপর ভরসা করা উপায়-উপকরণ অবলম্বন ও চেষ্টা করার পরিপন্থী নয়
৫৩. যা বান্দার ভাগ্যে-নসীবে লিখা হয়নি, তা সে কখনই পাবে না আর যা বান্দার নসীবে লেখা আছে, তা কখনই বাদ পড়বে না (وَمَا أَخْطَأَ الْعَبْدَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبَهُ، وَمَا أَصَابَهُ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَهُ)
অনুচ্ছেদ ১ টি
যা বান্দার ভাগ্যে-নসীবে লিখা হয়নি, তা সে কখনই পাবে না আর যা বান্দার নসীবে লেখা আছে, তা কখনই বাদ পড়বে না।
৫৪. বান্দার একথা জেনে রাখা উচিত যে, তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত যাবতীয় ঘটনাবলী সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ব হতে অবহিত ......
অনুচ্ছেদ ১ টি
বান্দার একথা জেনে রাখা উচিত যে, তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত যাবতীয় ঘটনাবলী সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ব হতে অবহিত। অতএব, তিনি সেটাকে অকাট্য ও অবিচল তাকদীর হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আসমান ও যমীনের কোনো মাখলুক এটাকে বানচালকারী অথবা এর বিরোধিতাকারী নেই, অনুরূপ একে কেউ অপসারণ অথবা পরিবর্তন করতে পারবে না, একে সংকোচন কিংবা পরিবর্ধনও করতে পারবে না।
৫৫. আর এটাই হচ্ছে ঈমানের দৃঢ়তা, মারেফতের মূলবস্তু এবং আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ ও রুবুবিয়াত সম্পর্কে স্বীকৃতি দান। ......
অনুচ্ছেদ ২ টি
‘আর এটাই হচ্ছে ঈমানের দৃঢ়তা, মারেফতের মূলবস্তু এবং আল্লাহ তা‘আলার তাওহীদ ও রুবুবিয়াত সম্পর্কে স্বীকৃতি দান। যেমন আল্লাহ তা‘আলা তার কিতাবে ঘোষণা করেছেন, তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে যথাযথ অনুপাত অনুসারে পরিমিতি প্রদান করেছেন। (সূরা আল ফুরকান ২৫:২) আল্লাহ রাববুল আলামীন অন্যত্র বলেছেন, ‘‘আল্লাহর বিধান সুনির্ধারিত’ (সূরা আল আহযাব ৩৩:৩৮)
তাকদীরের মূলনীতিসমূহ
৫৬. ঐ ব্যক্তির জন্য ধ্বংস অনিবার্য যে ব্যক্তি তাকদীর সম্পর্কে আল্লাহর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছে এবং রোগাক্রান্ত অন্তর নিয়ে এ ব্যাপারে আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছে। ......
অনুচ্ছেদ ২ টি
অতএব ঐ ব্যক্তির জন্য ধ্বংস অনিবার্য যে ব্যক্তি তাকদীর সম্পর্কে আল্লাহর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছে এবং রোগাক্রান্ত অন্তর নিয়ে এ ব্যাপারে আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছে। নিশ্চয়ই সে স্বীয় ধারণা অনুসারে গায়েবের (অদৃশ্যের) একটি গুপ্ত রহস্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করেছে এবং এ সম্পর্কে সে যা মন্তব্য করেছে তার ফলে সে মিথ্যাবাদী ও পাপাচারীতে পরিণত হয়েছে।
অন্তরের জীবন, মরণ, রোগ ও সুস্থতা