পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২০৫. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’আমার উম্মতের উপর আমি যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সাথে মেসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ৮৮৭ ও মুসলিম ২৫২, নাসাঈ ১/২৬৬, ইবনে মাজাহ ২৮৭। ইবনে হিব্বান ১০৬৫, আহমাদ ২/২৪৫, ইবনে খুযায়মাহ ১/৭৩ এ হাদীছের বাক্য বুখারীর)
মুসলিমের বর্ণনায় বলা হয়ঃ প্রত্যেক ছালাতের সময়।
(হাসান সহীহ্) (আরো বর্ণনা করেন নাসাঈ, ইবনু মাজাহ্ ও ইবনু হিব্বান) তবে ইবনু হিব্বানের বর্ণনা এভাবেঃ مع الوضوء عند كل صلاة ’’প্রত্যেক ছালাতের সময় ওযুর সাথে।’’
(সহীহ্) (আহমাদ ও ইবনু খুযায়মার রেওয়ায়াত এভাবেঃ لأمرتهم بالسواك مع كل وضوء ’’তবে তাদেরকে প্রত্যেক ওযুর সাথে মেসওয়াক করার আদেশ করতাম।’’
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(صحيح) عن أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَوْلا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتهمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ الْوُضُوءِ عِنْد كُلِّ صَلَاةٍ. رواه البخاري واللفظ له ومسلم
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২০৬. (সহীহ) আলী বিন আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’আমার উম্মতের উপর আমি যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদেরকে প্রত্যেক ওযুর সাথে মেসওয়াক করার আদেশ করতাম।’’
(ত্ববরানী [আওসাত] গ্রন্থে হাসান সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। ২/৫৭)
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(حسن صحيح) وَعَنْ علي بن أبي طالب رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَوْلا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتهمْ بِالسِّوَاكِ مَعَ كُلِّ وُضُوءَ . رواه الطبراني في الأوسط بإسناد حسن
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২০৭. (হাসান) যায়নাব বিনতু জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’আমার উম্মতের উপর আমি যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তবে প্রত্যেক সালাতের সময় তারা যেমন ওযু করে, তেমনি তাদেরকে মেসওয়াক করার আদেশ করতাম।’’
(আহমাদ উত্তম সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৬/৪২৯)
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(حسن ) وَعَنْ زينب بنت جحش رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قالت سمعت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول: لَوْلا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتهمْ بِالسِّوَاكِ عند صَلَاةٍ كما يتوُضُؤن. رواه أحمد بإسناد جيد
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২০৮. (সহীহ্ লি গাইরিহী) উক্ত হাদীছটি আব্বাস বিন আবদুল মুত্তলিব (রাঃ) এর বরাতে বাযযার ও ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] বর্ণনা করেন। তার বর্ণনায় এসেছেঃ ’’আমার উম্মতের উপর যদি কঠিন মনে না করতাম, তবে যেমন প্রত্যেক সালাতের সময় তাদের উপর ওযু ফরয করে দিয়েছি, তেমনি তাদের উপর প্রত্যেক সালাতের সময় মেসওয়াক ফরয করে দিতাম।’’
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(صحيح لغيره) ورواه البزار والطبراني في الكبير من حديث الْعَبَّاسِ بن عَبْدِ
الْمُطَّلِبِ
. ولفظه: لَوْلا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَفَرَضْتُ عَلَيْهِمُ السِّوَاكَ عند كُلِّ الصَّلاةُ كَمَا فُرِضَتْ عَلَيْهِمُ الْوُضُوءَ.
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২০৯. (সহীহ) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’মেসওয়াক হল মুখের পবিত্রতা ও পালনকর্তার রেযামন্দী (লাভের অন্যতম মাধ্যম)।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ১/১০, ইবনু খুযায়মা ১/৭০ ও ইবনু হিব্বান। ইমাম বুখারীও দৃঢ়তাবোধক শব্দ দ্বারা মুআল্লাকভাবে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন।)
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ عائشة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: السِّواكُ مَطْهَرةٌ للفم مَرْضاةٌ للربّ . رواه النسائي وابن خزيمة في صحيحيهما ورواه البخاري معلقا مجزوما وتعليقاته المجزومة صحيحة
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২১০. (সহীহ) ইবনু ওমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’তোমরা মেসওয়াক কর, কেননা উহা হল মুখের পবিত্রতা দানকারী ও বরকতময় সুমহান পালনকর্তার সন্তোষটি আনয়নকারী।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ২/১০৮)
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " عَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ، فَإِنَّهُ مَطْيَبَةٌ لِلْفَمِ، وَمَرْضَاةٌ لِلرَّبِّ
تبارك وتعالى. رواه أحمد
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২১১. (সহীহ) শুরায়হ্ ইবনু হানী বলেনঃ আমি আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলামঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন গৃহে প্রবেশ করতেন, তখন সর্বপ্রথম কোন কাজটি করতেন? তিনি বললেনঃ মেসওয়াক।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ২৫৩)
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ شُرَيْحٍ بْنِ هانىء قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ يَبْدَأُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ قَالَتْ بِالسِّوَاكِ. رواه مسلم وغيره
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২১২. (সহীহ্ লি গাইরিহী) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রাতের বেলায় দু’দু’রাকাআত করে সালাত আদায় করতেন, অতঃপর ফিরে গিয়ে মেসওয়াক করতেন।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনু মাজাহ্ ২৮৮ ও নাসাঈ ১/৪২৪)
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(صحيح لغيره) و عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي بِاللَّيْلِ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَيَسْتَاكُ. رواه ابن ماجه والنسائي
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২১৩. (হাসান লি গাইরিহী) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’নিশ্চয় আমি মেসওয়াক করার প্রতি আদিষ্ট হয়েছি, এমনকি আমি ধারণা করেছিলাম যে, এ ব্যাপারে হয়তো আমার উপর কুরআন অথবা ওহী নাযিল হয়ে যাবে।’’
(আবু ইয়ালা ২৩৩০ ও আহমাদ ১/৩৩৭) আহমাদের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
لَقَدْ أُمِرْتُ بِالسِّوَاكِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُوحَى إِلَيَّ فِيهِ شيء
’’মেসওয়াকের ব্যাপারে আমাকে এমনভাবে আদেশ করা হয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত আমি আশংকা করছিলাম, এব্যাপারে হয়ত আমার নিকট কোন (বিশেষ) ওহী পাঠানো হবে।’’
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(حسن لغيره) وَعَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قالَ: " لَقَدْ أَمَرْتُ بِالسِّوَاكِ، حَتَّى ظَنَنْتُ أَنَّهُ يَنْزِلُ عَلَيَّ فيهِ قُرْآنٌ، أَوْ وَحْيٌ. رواه أبو يعلى وأحمد
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২১৪. (হাসান লি গাইরিহী) হাদীছটি (অর্থাৎ আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ যা যঈফ তারগীবে আছে তা) বাযযার আনাস (রাঃ) এর বরাতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’আমি মেসওয়াকের ব্যাপারে এমনভাবে আদিষ্ট হয়েছি যে, আমি আশংকা করছিলাম, আমার দাঁত পড়ে যাবে।’’
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(حسن لغيره) ورواه (يعني حديث عائشة الذي في "الضعيف") البزار من حديث أنس ولفظه قال رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَقَدْ أُمِرْتُ بِالسِّوَاكِ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ أدْرَدَ.
পরিচ্ছেদঃ ১০) মেসওয়াকের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও তার ফযীলতের বর্ণনা
২১৫. (হাসান সহীহ্) আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একদা মেসওয়াকের আদেশ করলেন ও বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’বান্দা যখন মেসওয়াক করে সালাতে দন্ডায়মান হয়, তখন ফেরেশতা তার পিছনে দন্ডায়মান হয়ে তার কেরাআত শুনতে থাকে, অতঃপর তার নিকটবর্তী হতে থাকে- (অথবা এধরণের কোন শব্দ বলেছেন) এমনকি তার মুখে নিজের মুখ রেখে দেয়। অতঃপর মুসল্লীর মুখ থেকে কুরআনের কোন শব্দ বের হওয়া মাত্রই তা ফেরেশতার পেটে চলে যায়। সুতরাং কুরআনের জন্য তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল কে পবিত্র কর।’’
(উত্তম সনদে বাযযার ৪৯৬ ও ইবনু মাজাহ্ আংশিক মওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেন।)
الترغيب في السواك وما جاء في فضله
(حسن صحيح) و عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ُأَنَّهُ أَمَرَ بِالسِّوَاكِ ، وَقَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا تَسَوَّكَ ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَامَ الْمَلَكُ خَلْفَهُ ، فَيَتَسَمَّعُ لِقِرَاءَتِهِ فَيَدْنُو مِنْهُ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا حَتَّى يَضَعَ فَاهُ عَلَى فِيهِ فَمَا يَخْرُجُ مِنْ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ ، إِلاَّ صَارَ فِي جَوْفِ الْمَلَكِ ، فَطَهِّرُوا أَفْوَاهَكُمْ لِلْقُرْآنِ. رواه البزار بإسناد جيد