পরিচ্ছেদঃ ২/ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর বাণীঃ ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীঃ ইসলামের ভিত্তি পাঁচটিঃ মৌখিক স্বীকৃতি (ইয়াকীনসহ) এবং কর্মই ঈমান এবং তা বাড়ে ও কমে। আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ যাতে তারা তাদের ঈমানের সাথে ঈমান দৃঢ় করে নেয় (৪৮ : ৪)। আমরা তাদের সৎ পথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। (১৮ঃ ১৩)। এবং যারা সৎপথে চলে আল্লাহ্ তাদের অধিক হেদায়াত দান করেন (১৯ঃ ৭৬)। এবং যারা সৎপথ অবলম্বন করে আল্লাহ্ তাদের অধিক হেদায়াত বাড়িয়ে দেন এবং তাদের সৎপথে চলার শক্তি বাড়িয়ে দেন (৪৭ঃ ১৭), যাতে মু’মিনদের ঈমান বেড়ে যায় (৭৪ঃ ৩১)। আল্লাহ্ তা’আলা আরো ইরশাদ করেন, এটা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বাড়িয়ে দিল? যারা মু’মিন এ তো তাদের ঈমান বাড়িয়ে দেয়। (৯ঃ ১২৪) এবং তাঁর বাণীঃ (فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا) "সুতরাং তোমরা তাদের ভয় কর; আর এটা তাদের ঈমান বাড়িয়ে দিয়েছিল" (৩ঃ ১৭৩)। (وَمَا زَادَهُمْ إِلاَّ إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا) "আর এতে তাদের ঈমান ও আনুগত্য বাড়লো।" (৩৩ঃ ২২)। আর আল্লাহ্র জন্য ভালবাসা ও আল্লাহ্র জন্য ঘৃণা করা ঈমানের অংশ।
উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) আদী ইবনু আদী (রহঃ) এর কাছে এক পত্রে লিখেছিলেন, ’ঈমানের কতকগুলো ফরয, কতকগুলো হুকুম-আহকাম, বিধি-নিষেধ এবং সুন্নাত রয়েছে। যে এগুলো পরিপূর্ণরূপে আদায় করে তার ঈমান পূর্ণ হয়। আর যে এগুলো পূর্ণভাবে আদায় করে না, তার ঈমান পূর্ণ হয় না। আমি যদি বেঁচে থাকি তবে অচিরেই এগুলো তোমাদের নিকট বর্ণনা করব, যাতে তোমরা তার উপর ’আমল করতে পার। আর যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে জেনে রাখ, তোমাদের সাহচর্যে থাকার জন্য আমি লালায়িত নই।
ইবরাহীম (’আ.) বলেন, (وَلَكِنْ لِيَطْمَئِنَّ قَلْبِي) ’তবে এ তো কেবল চিত্ত প্রশান্তির জন্য’- (২ঃ ২৬০)। মু’আয (রাঃ) বলেন, ’এসো আমাদের সঙ্গে বস, কিছুক্ষণ ঈমানের আলোচনা করি।’ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বলেন, ’ইয়াকীন হল পূর্ণ ঈমান।’ ইবনু ’উমার (রাঃ) বলেন, ’বান্দা প্রকৃত তাকওয়ায় পৌঁছতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে, মনে যে বিষয় সন্দেহের সৃষ্টি করে, তা পরিত্যাগ না করে।’ মুজাহিদ (রহঃ) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, অর্থাৎ হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি আপনাকে এবং নূহকে একই ধর্মের আদেশ করেছি। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, (شِرْعَةً وَمِنْهَاجًا) অর্থাৎ পথ ও পন্থা—এবং তোমাদের দু’আ অর্থাৎ তোমাদের ঈমান।
৭। উবায়দুল্লাহ্ ইবনু মূসা (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।
১। আল্লাহ্ ছাড়া ইলাহ্ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দান।
২। সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করা
৩। যাকাত দেওয়া
৪। হাজ্জ (হজ্জ) করা এবং
৫। রামাদান এর সিয়াম পালন করা।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ ".
The statement of the Prophet (saws) Islam is based on five principles
Narrated Ibn 'Umar: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said: Islam is based on (the following) five (principles):
1. To testify that none has the right to be worshipped but Allah and Muhammad is Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam).
2. To offer the (compulsory congregational) prayers dutifully and perfectly.
3. To pay Zakat (i.e. obligatory charity) .
4. To perform Hajj. (i.e. Pilgrimage to Mecca)
5. To observe fast during the month of Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ ১৬/ লজ্জা ঈমানের অঙ্গ
২৩। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁর ভাইকে তখন (অধিক) লজ্জা ত্যাগের জন্য নসীহত করছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ ওকে ছেড়ে দাও। কারন লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।
باب الْحَيَاءُ مِنَ الإِيمَانِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُوَ يَعِظُ أَخَاهُ فِي الْحَيَاءِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعْهُ فَإِنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الإِيمَانِ ".
Al-Haya (self-respect, modesty bashfulness, honour etc.) is a part of faith
Narrated 'Abdullah (bin 'Umar): Once Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) passed by an Ansari (man) who was admonishing to his brother regarding Haya'. On that Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "Leave him as Haya' is a part of faith." (See Hadith No. 8)
পরিচ্ছেদঃ ১৭/ যদি তারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়, তবে তাদের পথ ছেড়ে দেবে (৯:৫)
২৪। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ আল-মুসনাদী (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আমি লোকদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য আদিষ্ট হয়েছে, যতক্ষন না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ্র রাসূল, আর সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করে ও যাকাত দেয়। তারা যদি এ কাজগুলো করে, তবে আমার পক্ষ থেকে তাদের জান ও মালের ব্যাপারে নিরাপত্তা লাভ করল; অবশ্য ইসলামের বিধান অনুযায়ী যদি কোন কারন থাকে, তাহলে স্বতন্ত্র কথা। আর তাদের হিসাবের ভার আল্লাহ্র ওপর ন্যাস্ত।
بَابُ: {فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلاَةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ}
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُسْنَدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو رَوْحٍ الْحَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَيُقِيمُوا الصَّلاَةَ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلاَّ بِحَقِّ الإِسْلاَمِ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ ".
(The Statement of Allah Jalla Jalalahu) "But if they repent [by rejecting Shirk (polytheism) and accept Islamic Monotheism] and perform As-Salat (Iqamat-as-Salat) and give Zakat then leave their way free."
Narrated Ibn 'Umar: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said: "I have been ordered (by Allah) to fight against the people until they testify that none has the right to be worshipped but Allah and that Muhammad is Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam), and offer the prayers perfectly and give the obligatory charity, so if they perform that, then they save their lives and property from me except for Islamic laws and then their reckoning (accounts) will be done by Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/ মুহাদ্দিসের উক্তিঃ হাদ্দাসানা, আখবারানা ও আম্বা'আনা
হুমাইদী (রহ.) বর্ণনা করেন যে, ইবনু ’উয়াইনাহ (রহঃ)-এর মতে حَدَّثَنَا وَأَخْبَرَنَا وَأَنْبَأَنَا وَسَمِعْتُ একই অর্থবোধক।
ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) বলেন, حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন; আর তিনি সত্যবাদী এবং সত্যবাদীরূপে স্বীকৃত।’
শাকীক (রহঃ) ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَلِمَةً ’আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ উক্তি শুনেছি’...।
হুযাইফাহ (রাঃ) বলেন, حَدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ حَدِيثَيْنِ ’আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট দু’টি হাদীস বর্ণনা করেছেন।’
আবুল ’আলিয়াহ (রহঃ) ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, يَرْوِي عَنْ رَبِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে, তিনি তাঁর রব থেকে বর্ণনা করেন’...।
আনাস (রাঃ) বলেন, عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে, তিনি বর্ণনা করেন তাঁর রব থেকে’....।
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে, তিনি তোমাদের মহিমাময় ও সুমহান প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন’...।
৫৯। কুতায়বা ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) ... ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেনঃ গাছপালার মধ্যে এমন একটি গাছ আছে যার পাতা ঝরে না। আর তা মুসলিমের উপমা। তোমরা আমাকে বল, ’সেটি কি গাছ?’ রাবী বলেন, তখন লোকেরা জঙ্গলের বিভিন্ন গাছ-পালার নাম চিন্তা করতে লাগল। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, ’আমার মনে হল, সেটা হবে খেজুর গাছ।’ কিন্তু আমি তা বলতে লজ্জাবোধ করছিলাম। তারপর সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) বললেন, ’ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদের বলে দিন সেটি কি গাছ? তিনি বললেনঃ তা হল খেজুর গাছ।
باب قَوْلِ الْمُحَدِّثِ حَدَّثَنَا أَوْ، أَخْبَرَنَا وَأَنْبَأَنَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنَ الشَّجَرِ شَجَرَةً لاَ يَسْقُطُ وَرَقُهَا، وَإِنَّهَا مَثَلُ الْمُسْلِمِ، فَحَدِّثُونِي مَا هِيَ ". فَوَقَعَ النَّاسُ فِي شَجَرِ الْبَوَادِي. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَوَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ، فَاسْتَحْيَيْتُ ثُمَّ قَالُوا حَدِّثْنَا مَا هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " هِيَ النَّخْلَةُ ".
Concerning the variety of words used by narrators conveying different significations regarding the concept of narrating and which has importance for the Hadith scholars only
Narrated Ibn `Umar: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "Amongst the trees, there is a tree, the leaves of which do not fall and is like a Muslim. Tell me the name of that tree." Everybody started thinking about the trees of the desert areas. And I thought of the date-palm tree but felt shy to answer the others then asked, "What is that tree, O Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) ?" He replied, "It is the date-palm tree."
পরিচ্ছেদঃ ৪৭/ শাগরিদগনের জ্ঞান পরীক্ষার জন্য উস্তাদের কোন বিষয় উত্থাপন করা
৬০। খালিদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেনঃ গাছ-পালার মধ্যে এমন একটি গাছ আছে যার পাতা ঝরে না। আর তা মুসলিমের উপমা। তোমরা আমাকে বল দেখি সেটি কি গাছ? রাবী বলেন, তখন লোকেরা জঙ্গলের বিভিন্ন গাছ-পালার নাম চিন্তা করতে লাগল। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, ’আমার মনে হল, সেটা হবে খেজুর গাছ। কিন্তু তা বলতে আমি লজ্জাবোধ করছিলাম। তারপর সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) বললেন, ’ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনিই আমাদের বলে দিন সেটি কি গাছ? তিনি বললেনঃ তা হল খেজুর গাছ।
باب طَرْحِ الإِمَامِ الْمَسْأَلَةَ عَلَى أَصْحَابِهِ لِيَخْتَبِرَ مَا عِنْدَهُمْ مِنَ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ مِنَ الشَّجَرِ شَجَرَةً لاَ يَسْقُطُ وَرَقُهَا، وَإِنَّهَا مَثَلُ الْمُسْلِمِ، حَدِّثُونِي مَا هِيَ ". قَالَ فَوَقَعَ النَّاسُ فِي شَجَرِ الْبَوَادِي. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَوَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ، ثُمَّ قَالُوا حَدِّثْنَا مَا هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " هِيَ النَّخْلَةُ ".
The Imam questioning his companions in order to test their knowledge
Narrated Ibn `Umar: The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "Amongst the trees, there is a tree, the leaves of which do not fall and is like a Muslim. Tell me the name of that tree." Everybody started thinking about the trees of the desert areas. And I thought of the date-palm tree. The others then asked, "Please inform us what is that tree, O Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam)?" He replied, "It is the date-palm tree."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/ ইলমের ফযীলত
৮২। সাঈদ ইবনু ’উফায়র (রহঃ) ... ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, একবার আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন (স্বপ্নে) আমার কাছে এক পেয়ালা দুধ আনা হল। আমি তা পান করলাম (তার পরিতৃপ্তি আমার সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ল।) এমনকি আমার মনে হতে লাগল যে, সে তৃপ্তি আমার নখ দিয়ে বের হচ্ছে। এরপর যেটুকু অবশিষ্ট ছিল, তা আমি ’উমর ইবনুল খাত্তাবকে দিলাম। সাহাবায়ে কিরাম জানতে চাইলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি এ স্বপ্নের কী তা’বীর করেন? তিনি জওয়াবে বললেনঃ তা হল ইলম।
باب فَضْلِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِقَدَحِ لَبَنٍ، فَشَرِبْتُ حَتَّى إِنِّي لأَرَى الرِّيَّ يَخْرُجُ فِي أَظْفَارِي، ثُمَّ أَعْطَيْتُ فَضْلِي عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ". قَالُوا فَمَا أَوَّلْتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الْعِلْمَ ".
The superiority of (religious) knowledge
Narrated Ibn `Umar: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "While I was sleeping, I saw that a cup full of milk was brought to me and I drank my fill till I noticed (the milk) its wetness coming out of my nails. Then I gave the remaining milk to `Umar Ibn Al-Khattab" The companions of the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) asked, "What have you interpreted (about this dream)? "O Allah's Messenger (ﷺ) ,!" he replied, "(It is religious) knowledge."
পরিচ্ছেদঃ ৮৩। রাতে ইলমের আলোচনা করা
১১৭। সা’ঈদ ইবনু ’উফায়র (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবনের শেষের দিকে আমাদের নিয়ে ’ইশার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। সালাম ফিরাবার পর তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, তোমরা কি এ রাতের সম্পর্কে জানো? বর্তমানে যারা পৃথিবীতে রয়েছে, একশ বছরের মাথায় তাদের কেউ আর বাকী থাকবে না।
باب السَّمَرِ بِالْعِلْمِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، وَأَبِي، بَكْرِ بْنِ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ صَلَّى بِنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْعِشَاءَ فِي آخِرِ حَيَاتِهِ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ فَقَالَ " أَرَأَيْتَكُمْ لَيْلَتَكُمْ هَذِهِ، فَإِنَّ رَأْسَ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْهَا لاَ يَبْقَى مِمَّنْ هُوَ عَلَى ظَهْرِ الأَرْضِ أَحَدٌ ".
To speak about (religious) knowledge at night
Narrated `Abdullah bin `Umar: Once the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) led us in the `Isha' prayer during the last days of his life and after finishing it (the prayer) (with Taslim) he said: "Do you realize (the importance of) this night?" Nobody present on the surface of the earth tonight will be living after the completion of one hundred years from this night."
পরিচ্ছেদঃ ৯২। ‘ইলম শিক্ষা করতে লজ্জাবোধ করা।
১৩৩। ইসমা’ঈল (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ গাছের মধ্যে এমন এক গাছ আছে যার পাতা ঝরে পড়ে না এবং তা হল মুসলিমের দৃষ্টান্ত। তোমরা আমাকে বল তো সেটা কোন গাছ? তখন লোকজনের খেয়াল জঙ্গলের গাছপালার প্রতি গেল। আর আমরা মনে হতে লাগল যে, তা হল খেজুর গাছ। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, কিন্তু আমি লজ্জাবোধ করলাম। সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! আপনই আমাদের তা বলে দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা হল খেজুর গাছ। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, তারপর আমি আমার পিতাকে আমার মনে যা এসেছিল তা বললাম। তিনি বললেন তুমি তখন তা বলে দিলে অমুক অমুক জিনিস লাভ করার চাইতে আমি বেশী খুশী হতাম।
باب الْحَيَاءِ فِي الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ مِنَ الشَّجَرِ شَجَرَةً لاَ يَسْقُطُ وَرَقُهَا، وَهِيَ مَثَلُ الْمُسْلِمِ، حَدِّثُونِي مَا هِيَ ". فَوَقَعَ النَّاسُ فِي شَجَرِ الْبَادِيَةِ، وَوَقَعَ فِي نَفْسِي أَنَّهَا النَّخْلَةُ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَاسْتَحْيَيْتُ. فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنَا بِهَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هِيَ النَّخْلَةُ ". قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَحَدَّثْتُ أَبِي بِمَا وَقَعَ فِي نَفْسِي فَقَالَ لأَنْ تَكُونَ قُلْتَهَا أَحَبُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ يَكُونَ لِي كَذَا وَكَذَا.
(What is said as regards): To be shy (Al-Haya) while learning (religious) knowledge
Narrated `Abdullah bin `Umar: Once Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) said, "Amongst the trees there is a tree, the leaves of which do not fall and is like a Muslim, tell me the name of that tree." Everybody started thinking about the trees of the desert areas and I thought of the date-palm tree but felt shy (to answer). The others asked, "O Allah's Apostle! inform us of it." He replied, "it is the date-palm tree." I told my father what had come to my mind and on that he said, "Had you said it I would have preferred it to such and such a thing that I might possess."
পরিচ্ছেদঃ ৯৪। মসজিদে ইলম ও মাসআলা-মাসায়েল আলোচনা করা
১৩৫। কুতায়বা ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক ব্যাক্তি মসজিদে দাঁড়িয়ে বলল, ’ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমাদের কোথা থেকে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দেন?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মদিনাবাসী ইহরাম বাঁধবে ’যু’ল-হুলায়কা’ থেকে, সিরিয়াবাসী, ইহরাম বাঁধবে ’জুহফা’ থেকে এবং নাজদবাসী ইহরাম বাঁধবে ’করন’ থেকে। ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, অন্যরা বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এও বলেছেনঃ এবং ইয়ামানবাসী ইহরাম বাঁধবে ’ইয়ালামলাম’ থেকে। ইবনু ’উমার (রাঃ) বলেছেন, ’এ কথাটি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বুঝে নিতে পারিনি।
باب ذِكْرِ الْعِلْمِ وَالْفُتْيَا فِي الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنِي قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا نَافِعٌ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ،. أَنَّ رَجُلاً، قَامَ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مِنْ أَيْنَ تَأْمُرُنَا أَنْ نُهِلَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَيُهِلُّ أَهْلُ الشَّأْمِ مِنَ الْجُحْفَةِ، وَيُهِلُّ أَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ ". وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ وَيَزْعُمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ ". وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ لَمْ أَفْقَهْ هَذِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
Teaching religious knowledge and giving religious verdicts in a masjid
Narrated Nafi`: `Abdullah bin `Umar said: "A man got up in the mosque and said: O Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) 'At which place you order us that we should assume the Ihram?' Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) replied, 'The residents of Medina should assure the Ihram from Dhil-Hulaifa, the people of Syria from Al-Juhfa and the people of Najd from Qarn." Ibn `Umar further said, "The people consider that Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) had also said, 'The residents of Yemen should assume Ihram from Yalamlam.' " Ibn `Umar used to say, "I do not: remember whether Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) had said the last statement or not?"
পরিচ্ছেদঃ ৯৫। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের চাইতে বেশী উত্তর দেওয়া
১৩৬। আদম (রহঃ) .... ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যাক্তি তাঁকে জিজ্ঞাসা করল, ’মুহরিম কী কাপড় পরবে?’ তিনি বলেনঃ ’জামা পরবে না, পাগড়ী পরবে না, পাজামা পরবে না, টুপি পরবে না এবং কুসুম বা জাফরান রঙে রঞ্জিত কোন কাপড় পরবে না। জুতা না থাকলে চামড়ার মোজা পরতে পারে, তবে এমনভাবে কেটে ফেলতে হবে যাতে মোজা দু’টি পায়ের গিরার নিচে থাকে।
باب مَنْ أَجَابَ السَّائِلَ بِأَكْثَرَ مِمَّا سَأَلَهُ
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَعَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَجُلاً سَأَلَهُ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ فَقَالَ " لاَ يَلْبَسِ الْقَمِيصَ وَلاَ الْعِمَامَةَ وَلاَ السَّرَاوِيلَ وَلاَ الْبُرْنُسَ وَلاَ ثَوْبًا مَسَّهُ الْوَرْسُ أَوِ الزَّعْفَرَانُ، فَإِنْ لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا حَتَّى يَكُونَا تَحْتَ الْكَعْبَيْنِ ".
Whosoever answered the questioner more than what was asked
Narrated Ibn `Umar: A man asked the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) : "What (kinds of clothes) should a Muhrim (a Muslim intending to perform `Umra or Hajj) wear? He replied, "He should not wear a shirt, a turban, trousers, a head cloak or garment scented with saffron or Wars (kinds of perfumes). And if he has no slippers, then he can use Khuffs (socks made from thick fabric or leather) but the socks should be cut short so as to make the ankles bare."
পরিচ্ছেদঃ ১০৭। দুই ইটের ওপর বসে মলমূত্র ত্যাগ করা
১৪৭। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) .... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকে বলে মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলার দিকে এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে বসবে না। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) বলেন, ’আমি একদিন আমাদের ঘরের ছাদের উপর উঠলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখলাম বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে দুটি ইটের উপর তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন। তিনি [ওয়াসি (রহঃ)-কে] বললেন, তুমি বোধ হয় তাদের মধ্যে শামিল, যারা নিতম্বের ওপর ভর করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে। আমি বললাম, আল্লাহর কসম! আমি জানিনা। মালিক (রহঃ) বলেন, (নিতম্বের উপর ভর করার অর্থ হল) যারা সালাত আদায় করে এবং মাটি থেকে নিতম্ব না তুলে সিজদা করে।
باب مَنْ تَبَرَّزَ عَلَى لَبِنَتَيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَمِّهِ، وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِنَّ نَاسًا يَقُولُونَ إِذَا قَعَدْتَ عَلَى حَاجَتِكَ، فَلاَ تَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلاَ بَيْتَ الْمَقْدِسِ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَقَدِ ارْتَقَيْتُ يَوْمًا عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَنَا، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلاً بَيْتَ الْمَقْدِسِ لِحَاجَتِهِ. وَقَالَ لَعَلَّكَ مِنَ الَّذِينَ يُصَلُّونَ عَلَى أَوْرَاكِهِمْ، فَقُلْتُ لاَ أَدْرِي وَاللَّهِ. قَالَ مَالِكٌ يَعْنِي الَّذِي يُصَلِّي وَلاَ يَرْتَفِعُ عَنِ الأَرْضِ، يَسْجُدُ وَهُوَ لاَصِقٌ بِالأَرْضِ.
Defecating while sitting over two bricks
Narrated `Abdullah bin `Umar: People say, "Whenever you sit for answering the call of nature, you should not face the Qibla or Baitul-Maqdis (Jerusalem)." I told them. "Once I went up the roof of our house and I saw Allah's Apostle answering the call of nature while sitting on two bricks facing Baitul-Maqdis (Jerusalem) (but there was a screen covering him.
পরিচ্ছেদঃ ১০৯। ঘরে মলমূত্র ত্যাগ করা
১৫০। ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) .... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বিশেষ এক প্রয়োজনে হাফসা (রাঃ) এর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন।
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
হাদীসের বক্তব্য থেকে বুঝা যায় যে, বাধা দিবে না এমন হলে, কারো ঘরের ছাদে উঠা জায়েজ। প্রয়োজন বলতে হাদীসে পায়খানা সারার কথা বুঝানো হয়েছে। এর দ্বারা বুঝা যায় যে, যা বলা অসুন্দর তা ভিন্নভাবে তুলে ধরাই শ্রেয়।
বাহ্যিক দৃষ্টিতে উক্ত হাদীস দু'টিকে পরস্পর বিরোধী মনে হলেও আসলে তা পরস্পর বিরোধী নয়। এ ব্যাপারে আলেমগণের কয়েকটি মত পাওয়া যায়-
(১) আলেমগণের কেউ কেউ উভয় হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্য সাধনে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরের মধ্যে প্রাকৃতিক কাজ করছিলেন, আর পূর্বোক্ত হাদীসের নির্দেশনা হচ্ছে ঘরের বাইরের স্থানের জন্য।
(২) অপর দল বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য এটা বিশেষ ব্যতিক্রম ছিল।
(৩) কেউ বলেছেন, ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার উপরোক্ত ঘটনাটি সম্ভবত নিষেধ করার পূর্বে ছিল।
باب التَّبَرُّزِ فِي الْبُيُوتِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ ارْتَقَيْتُ فَوْقَ ظَهْرِ بَيْتِ حَفْصَةَ لِبَعْضِ حَاجَتِي، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْضِي حَاجَتَهُ مُسْتَدْبِرَ الْقِبْلَةِ مُسْتَقْبِلَ الشَّأْمِ.
To defecate in houses
Narrated `Abdullah bin `Umar: I went up to the roof of Hafsa's house for some job and I saw Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) answering the call of nature facing Sham (Syria, Jordan, Palestine and Lebanon regarded as one country) with his back towards the Qibla.
পরিচ্ছেদঃ ১০৯। ঘরে মলমূত্র ত্যাগ করা
১৫১। ইয়াকূব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদিন আমি আমাদের ঘরের উপর উঠলাম। আমি দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি ইটের উপর বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বসেছেন।
باب التَّبَرُّزِ فِي الْبُيُوتِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، قَالَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، أَنَّ عَمَّهُ، وَاسِعَ بْنَ حَبَّانَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ قَالَ لَقَدْ ظَهَرْتُ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى ظَهْرِ بَيْتِنَا، فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ.
To defecate in houses
Narrated `Abdullah bin `Umar: Once I went up the roof of our house and saw Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) answering the call of nature while sitting over two bricks facing Baitul-Maqdis (Jerusalem).
পরিচ্ছেদঃ ১৪০। নিজ স্ত্রীর সাথে উযূ করা এবং স্ত্রীর উযূর অবশিষ্ট পানি (ব্যবহার করা)।
وَتَوَضَّأَ عُمَرُ بِالْحَمِيمِ مِنْ بَيْتِ نَصْرَانِيَّةٍ
’উমর (রাঃ) গরম পানি দিয়ে এবং খৃস্টান মহিলাদের ঘরের পানি দিয়ে উযূ করেন।
১৯৩। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ..... ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় পুরুষ এবং মহিলা একত্রে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন।
باب وُضُوءِ الرَّجُلِ مَعَ امْرَأَتِهِ وَفَضْلِ وَضُوءِ الْمَرْأَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ يَتَوَضَّئُونَ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَمِيعًا.
The performance of ablution by a man along with his wife.
Narrated 'Abdullah bin 'Umar: "During the lifetime of Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) men and women used to perform ablution together."
পরিচ্ছেদঃ ২০০. পরিচ্ছেদঃ জুনুবী উযূ করে ঘুমাবে।
২৮৫। মূসা ইবনু ইসমা’ঈল (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ’উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ আমাদের কেউ জুনুবী অবস্থায় ঘুমাতে পারবে কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, যদি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে নেয়।
باب الْجُنُبِ يَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَنَامُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اسْتَفْتَى عُمَرُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَيَنَامُ أَحَدُنَا وَهْوَ جُنُبٌ قَالَ " نَعَمْ، إِذَا تَوَضَّأَ ".
Narrated `Abdullah: `Umar asked the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) "Can anyone of us sleep while he is Junub?" He replied, "Yes, if he performs ablution."
পরিচ্ছেদঃ ২০০. পরিচ্ছেদঃ জুনুবী উযূ করে ঘুমাবে।
২৮৬। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, রাত্রে কোন সময় তাঁর জানবাতের গোসল ফরয হয় (তখন কি করতে হবে?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে, লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবে, তারপর ঘুমাবে।
باب الْجُنُبِ يَتَوَضَّأُ ثُمَّ يَنَامُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ قَالَ ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ تُصِيبُهُ الْجَنَابَةُ مِنَ اللَّيْلِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ ثُمَّ نَمْ ".
Narrated `Abdullah bin `Umar: `Umar bin Al-Khattab told Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam), "I became Junub at night." Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) replied, "Perform ablution after washing your private parts and then sleep."
পরিচ্ছেদঃ ২৫০। জামা, পায়জামা, জাঙ্গিয়া কাবা পরে সালাত আদায় করা
৩৫৯। আসিম ইবনু ’আলী (রহঃ) ... ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলো, ইহরামকারী কি পরিধান করবে? তিনি বললেনঃ সে জামা পরবে না, পায়জামা পরবে না, টুপি পরবে না, জাফরান বা ওয়ারস* রঙে রঞ্জিত কাপড় পরবে না। আর জুতা না পেলে মোজা পরবে। তবে তা পায়ের গিরার নীচে পর্যন্ত কেটে নেবে।
নাফি’ (রহঃ) ইবনু ’উমর (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب الصَّلاَةِ فِي الْقَمِيصِ وَالسَّرَاوِيلِ وَالتُّبَّانِ وَالْقَبَاءِ
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا يَلْبَسُ الْمُحْرِمُ فَقَالَ " لاَ يَلْبَسُ الْقَمِيصَ وَلاَ السَّرَاوِيلَ وَلاَ الْبُرْنُسَ وَلاَ ثَوْبًا مَسَّهُ الزَّعْفَرَانُ وَلاَ وَرْسٌ، فَمَنْ لَمْ يَجِدِ النَّعْلَيْنِ فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ وَلْيَقْطَعْهُمَا حَتَّى يَكُونَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ ". وَعَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ.
Narrated Ibn 'Umar: A person asked Allah's Apostle, "What should a Muhrim wear?" He replied, "He should not wear shirts, trousers, a burnus (a hooded cloak), or clothes which are stained with saffron or Wars (a kind of perfume). Whoever does not find a sandal to wear can wear Khuffs, but these should be cut short so as not to cover the ankles.
পরিচ্ছেদঃ ২৭৩। কিবলা সম্পর্কে বর্ণনা।
৩৯৪। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক সময় লোকেরা কুবা নামক স্থানে ফযরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন। এমন সময় তাঁদের নিকট এক ব্যাক্তি এসে বললেন যে, এ রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ওহী নাযিল হয়েছে। আর তাঁকে কাবামুখী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা কাবার দিকে মুখ কর। তখন তাঁদের চেহারা ছিল বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে। একথা শুনে তাঁরা কাবার দিকে মুখ করে নিলেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الْقِبْلَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ بَيْنَا النَّاسُ بِقُبَاءٍ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ إِذْ جَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ، وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوهَا، وَكَانَتْ وُجُوهُهُمْ إِلَى الشَّأْمِ، فَاسْتَدَارُوا إِلَى الْكَعْبَةِ.
Narrated 'Abdullah bin 'Umar: While the people were offering the Fajr prayer at Quba (near Medina), someone came to them and said: "It has been revealed to Allah's Apostle tonight, and he has been ordered to pray facing the Ka'ba." So turn your faces to the Ka'ba. Those people were facing Sham (Jerusalem) so they turned their faces towards Ka'ba (at Mecca).
পরিচ্ছেদঃ ২৭৪। মসজিদে থুথু হাতের সাহায্যে পরিষ্কার করা
৩৯৭। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবনু ’উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে দেওয়ালে থুথু দেখে তা পরিষ্কার করে দিলেন। তারপর লোকদের দিকে ফিরে বললেনঃ যখন তোমাদের কেউ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে সে যেন তাঁর সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কেননা, সে যখন সালাত আদায় করে তখন তাঁর সামনের দিকে আল্লাহ তা’আলা থাকেন।
باب حَكِّ الْبُزَاقِ بِالْيَدِ مِنَ الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ،. أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى بُصَاقًا فِي جِدَارِ الْقِبْلَةِ فَحَكَّهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ " إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ يُصَلِّي، فَلاَ يَبْصُقْ قِبَلَ وَجْهِهِ، فَإِنَّ اللَّهَ قِبَلَ وَجْهِهِ إِذَا صَلَّى ".
Narrated 'Abdullah bin 'Umar: Allah's Apostle saw sputum on the wall of the mosque in the direction of the Qibla and scraped it off. He faced the people and said, "Whenever any one of you is praying, he should not spit in front of him because in the prayer Allah is in front of him."
পরিচ্ছেদঃ ২৮২। অমুক গোত্রের মসজিদ বলা যায় কি?
৪০৯। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধের জন্য তৈরী ঘোড়াকে ’হাফয়া’ (নামক স্থান) থেকে ’সানিয়াতুল ওয়াদা’ পর্যন্ত দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছিলেন। আর যে ঘোড়া যুদ্ধের জন্য তৈরী নয়, সে ঘোড়াকে ’সানিয়া’ থেকে যুরাইক গোত্রের মসজিদ পর্যন্ত দৌড় প্রতিযোগিতা করিয়েছিলেন। আর এই প্রতিযোগিতায় আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) অগ্রগামী ছিলেন।
পরিচ্ছেদ:২৮৩। মসজিদে কোন কিছু ভাগ করা (খেজুরের) ছড়া ঝুলানো।
আবূ ’আবদুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেন,الْعِذْقُ - الْقِنْوُ একই জিনিসের নাম। এর দ্বিবচনقِنْوَانِ এবং বহুবচনেও قِنْوَانٌ যেমন صِنْوٍ ও وَصِنْوَانٍ।
ইব্রাহীম (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বাহরাইন থেকে কিছু মাল এলো। তিনি বললেনঃ এগুলো মসজিদে রেখে দাও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ যাবত যত মাল আনা হয়েছে তার মধ্যে এ মালই ছিল পরিমাণে সবচে বেশী। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে চলে গেলেন এবং এর দিকে ভ্রুক্ষেপও করলেন না। সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে তিনি এসে মালের কাছে গিয়ে বসলেন। তিনি যাকেই দেখলেন, কিছু মাল তাকে দিয়ে দিলেন। ইতিমধ্যে আব্বাস (রাঃ) এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকেও কিছু দিন। কারণ আমি নিজে ও আকিলের (এ দু’জন বদরের যুদ্ধে মুসলিমদের কয়েদি ছিলেন) পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দিয়েছি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ নিয়ে যান। তিনি তা কাপড়ে ভরে নিলেন। তারপর তা উঠাতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু পারলেন না। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কাউকে বলুন, যেন আমাকে এটি উঠিয়ে দেয়। তিনি বললেনঃ না। আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ তাহলে আপনি নিজেই তুলে দিন। তিনি বললেনঃ না। তারপর আব্বাস (রাঃ) তা থেকে কিছু মাল রেখে দিলেন। তারপর আবার তা তুলতে চেষ্টা করলেন। (এবারও তুলতে না পেরে) তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! কাউকে আদেশ করুন যেন আমাকে তুলে দেয়। তিনি বললেনঃ না। তাহলে আপনিই আমাকে তুলে দিন। তিনি বললেনঃ না। তারপর আব্বাস (রাঃ) আরো কিছু মাল নামিয়ে রাখলেন। এবার তিনি উঠাতে পারলেন এবং তা নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার লোভ দেখে এতই অবাক হয়েছিলেন যে, তিনি চোখের আড়াল না হওয়া পর্যন্ত আব্বাসের দিকে তাকিয়ে থাকলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দিরহাম বাকী থাকা পর্যন্ত উঠলেন না।
باب هَلْ يُقَالُ مَسْجِدُ بَنِي فُلاَنٍ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَابَقَ بَيْنَ الْخَيْلِ الَّتِي أُضْمِرَتْ مِنَ الْحَفْيَاءِ، وَأَمَدُهَا ثَنِيَّةُ الْوَدَاعِ، وَسَابَقَ بَيْنَ الْخَيْلِ الَّتِي لَمْ تُضْمَرْ مِنَ الثَّنِيَّةِ إِلَى مَسْجِدِ بَنِي زُرَيْقٍ، وَأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ فِيمَنْ سَابَقَ بِهَا
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَقَالَ " انْثُرُوهُ فِي الْمَسْجِدِ ". وَكَانَ أَكْثَرَ مَالٍ أُتِيَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصَّلاَةِ، وَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَيْهِ، فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ جَاءَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ، فَمَا كَانَ يَرَى أَحَدًا إِلاَّ أَعْطَاهُ، إِذْ جَاءَهُ الْعَبَّاسُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطِنِي فَإِنِّي فَادَيْتُ نَفْسِي وَفَادَيْتُ عَقِيلاً، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خُذْ ". فَحَثَا فِي ثَوْبِهِ، ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ فَلَمْ يَسْتَطِعْ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُؤْمُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعُهُ إِلَىَّ. قَالَ " لاَ ". قَالَ فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَىَّ. قَالَ " لاَ ". فَنَثَرَ مِنْهُ، ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ، فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُؤْمُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ عَلَىَّ. قَالَ " لاَ ". قَالَ فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَىَّ. قَالَ " لاَ ". فَنَثَرَ مِنْهُ، ثُمَّ احْتَمَلَهُ فَأَلْقَاهُ عَلَى كَاهِلِهِ ثُمَّ انْطَلَقَ، فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ حَتَّى خَفِيَ عَلَيْنَا، عَجَبًا مِنْ حِرْصِهِ، فَمَا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَثَمَّ مِنْهَا دِرْهَمٌ.
Narrated `Abdullah bin `Umar: Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) ordered for a horse race; the trained horses were to run from a place called Al-Hafya' to Thaniyat Al-Wada` and the horses which were not trained were to run from Al-Thaniya to the Masjid (mosque of) Bani Zuraiq. The sub narrator added: Ibn `Umar was one of those who took part in the race.
Narrated Anas: Some goods came to Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) from Bahrain. The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) ordered the people to spread them in the mosque --it was the biggest amount of goods Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) had ever received. He left for prayer and did not even look at it. After finishing the prayer, he sat by those goods and gave from those to everybody he saw. Al-`Abbas came to him and said, "O Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam)! give me (something) too, because I gave ransom for myself and `Aqil". Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) told him to take. So he stuffed his garment with it and tried to carry it away but he failed to do so. He said, "O Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam)! Order someone to