পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৮৮. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’মানুষ যদি জানতো আযান দেয়া ও প্রথম কাতারে নামায পড়ার মধ্যে কি মর্যাদা রয়েছে, তাহলে তা পাওয়ার জন্য যদি লটারি করা ছাড়া কোন উপায় না পেত, তবে তারা লটারিই করত।’’
(বুখারী ৬১৫ ও মুসলিম ৪৩৭, ৪৩৯)
তবে মুসলিমের বর্ণনায় রয়েছেঃ
لَوْ تَعْلَمُونَ مَا فِي الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ لَكَانَتْ قُرْعَةً
’’যদি তোমরা জানতে সামনের কাতারে কি ফযীলত আছে, তাহলে অবশ্যই লটারি করতে বাধ্য হতে।’’
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) عن أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الْأَوَّلِ ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لَاسْتَهَمُوا . رواه البخاري ومسلم
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৮৯. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’পুরুষের জন্য শ্রেষ্ঠ কাতার হচ্ছে প্রথম কাতার আর নিকৃষ্ট কাতার[1] হচ্ছে শেষের কাতার। আর নারীদের জন্য উত্তম কাতার হচ্ছে শেষের কাতার, আর নিকৃষ্ট কাতার হচ্ছে প্রথম কাতার।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ৪৪০, আবু দাউদ ৬৮৭, তিরমিযী ২২৪, ইবনে মাজাহ ১০০০)
এই হাদীছটি আরো বর্ণিত হয়েছে ইবনে আব্বাস, ওমার বিন খাত্তাব, আনাস বিন মালেক, আবু উমামা, আবু সাঈদ, জাবের বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) প্রমূখ সাহাবায়ে কেরাম থেকে।
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ أيضا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : خَيْرُ صُفُوفِ الرِّجَالِ أَوَّلُهَا، وَشَرُّهَا آخِرُهَا، وَخَيْرُ صُفُوفِ النِّسَاءِ آخِرُهَا، وَشَرُّهَا أَوَّلُهَا. (رواه مسلم وأبو داود والترمذي والنسائي وابن ماجه)
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯০. (সহীহ্) এরবায বিন সারিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম কাতারে নামায আদায় কারীর জন্য তিন বার ক্ষমা প্রার্থনার দু’আ করতেন, আর দ্বিতীয় কাতারের জন্য একবার দুআ করতেন।’’
(ইবনে মাজাহ ৯৯৬, নাসাঈ ২/৯২, ইবনে খুযায়মা ৩/২৭ এবং হাকেম ১/২১৪। হাকেম বলেন হাদীছটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।)
ইবনে হিব্বানও বর্ণনা করেছেন। তবে তার বর্ণনা এরকমঃ
الْمُقَدَّمِ ثَلَاثًا، وَعَلَى الثَّانِي وَاحِدَةً
’’রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামনের কাতারের জন্য তিন বার দু’আ করতেন এবং দ্বিতীয় কাতারের জন্য একবার।’’
নাসাঈর বর্ণনাও অনুরূপ তবে তিনি বলেনঃ
كاَنَ يُصَلِّي عَلَى الصَّفِّ الْأَوَّلِ مرتين
’’প্রথম কাতারের জন্য তিনি দু’বার দু’আ করতেন।’’[1]
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) وَعَنْ العرباض بن سارية رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسْتَغْفِرُ لِلصَّفِّ الْمُقَدَّمِ ثَلاثًا، وَلِلثَّانِي مَرَّةً رواه ابن ماجه والنسائي وابن خزيمة والحاكم وابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯১. (হাসান লি গাইরিহী) আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’নিশ্চয়ই আল্লাহ্ রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা দু’আ করেন প্রথম কাতারের জন্য[1]।’’ তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় কাতারের জন্য?
তিনি বললেনঃ ’’নিশ্চয়ই আল্লাহ্ রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা দু’আ করেন প্রথম কাতারের জন্য।’’ তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয় কাতারের জন্য?
তিনি বললেনঃ ’’দ্বিতীয় কাতারের জন্যও।’’
(সহীহ) এবং রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেছেনঃ
’’তোমরা তোমাদের কাতার গুলোকে সোজা করে নাও, কাঁধগুলো বরাবর করে নাও। পার্শ্ববর্তী মুছল্লীর জন্য হাতগুলো নরম করে দাও, ফাঁকা স্থানকে পরিপূর্ণ করে দাও। কেননা ফাঁকা স্থানে শয়তান প্রবেশ করে যেমন একটি ছাগলের ছোট বাচ্চা ফাঁকা জায়গা পেলে ঢুকে যায়।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৫/২৬২ এবং ত্বাবরানী ২২২৬৩)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(حسن لغيره) وَعَنْ أَبِيْ أُماَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : (إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِ الْأَوَّلِ قَالُوا يَا رَسُولُ اللَّهِ وعلى الثاني قاَلَ "إِنَّ اللَّهَ وَمَلائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الأَوَّلِ، قَالُوا يَا رَسُولُ اللَّهِ وعلى الثاني قاَلَ وعلى الثاني
(صحيح) وقال رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : سَوُّوا صُفُوفَكُمْ وحاذوا بَيْنَ مَنَاكِبِكُمْ وَلِينُوا في أَيْدِي إِخْوَانِكُمْ، وَسَدِّدُوا الْخَلَلَ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ فيما بَيْنَكُمْ بمنزلة وَالْحَذْفُ) يعني أولاد الضأن الصغار
رواه أحمد والطبراني
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯২. (সহীহ্) নো’মান বিন বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথা বলেছেনঃ ’’নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা রহমতে নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা দু’আ করেন প্রথম কাতারের উপর অথবা প্রথম দিকের কাতার সমূহে।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ ৪/২৯৬)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(حسن ) وَعَنْ النعمان بن بشير رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الأَوَّلِ أَوِ الصُّفُوفِ الأُوَلِ. رواه أحمد
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯৩. (সহীহ্) বারা বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাতারের এক প্রান্তে এসে দাঁড়াতেন এরপর মুসল্লিদের বক্ষ ও কাঁধগুলো বরাবর সোজা করে দিতেন, আর বলতেনঃ ’’তোমরা আগে-পিছে হয়োনা তাহলে তোমাদের অন্তরের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা দু’আ করেন প্রথম কাতারের উপরে।
(ইবনে খুযায়মা তাঁর [সহীহ গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৩/২৬)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) وَعَنْ البراء بن عازب رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِي نَاحِيَةَ الصَّفِّ وَيُسَوِّي بَيْنَ صُدُورِ الْقَوْمِ وَمَنَاكِبِهِمْ وَيَقُولُ : لاَ تَخْتَلِفُوا فَتَخْتَلِفَ قُلُوبُكُمْ ، إِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِ الأُوَلِ. رواه ابن خزيمة في صحيحه
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯৪. (সহীহ্) আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমরা কাতারগুলো সোজা করে নাও কেননা কাতার সোজা হওয়া নামায পরিপূর্ণ হওয়ার অন্তর্গত।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৭২৩, মুসলিম ৪৩৩ ও ইবনে মাজাহ ৯৯৩ প্রমূখ)
বুখারীর অন্য বর্ণনায় এসেছেঃ
فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصُّفُوفِ مِنْ إِقَامَةِ الصَّلَاةِ
’’কেননা কাতার সমূহকে সোজা করা ছালাত প্রতিষ্ঠা করার অন্তর্গত।’’ (বুখারী ৭২৩)
(সহীহ্) আবু দাউদের বর্ণনায় এসেছেঃ
رُصُّوا صُفُوفَكُمْ وَقَارِبُوا بَيْنَهَا وَحَاذُوا بِالْأَعْنَاقِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَرَى الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ مِنْ خَلَلِ الصَّفِّ كَأَنَّهَا الْحَذَفُ.
’’পরস্পর মিলিত হয়ে তোমরা কাতারগুলোকে সোজা করে নাও এবং পরস্পরের নিকটবর্তী হয়ে যাও, কাঁধগুলোকে বরাবর করে নাও। শপথ সেই সত্বার যার হাতে আমার প্রাণ, আমি দেখি যে শয়তান কাতারের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় ছাগলের ছোট বাচ্চার মত প্রবেশ করছে।’’
(হাদীছটি আবু দাউদের ৬৬৭ বর্ণনার অনুরূপ আরো বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ও ইবনে খুযায়মা)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) و عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوُّوا صُفُوفَكُمْ فَإِنَّ تَسْوِيَةَ الصَّفِّ مِنْ تَمَامِ الصَّلَاةِ .رواه البخاري ومسلم وابن ماجه وغيرهم ورواه أبو داود
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯৫. (সহীহ্) ইবনে ওমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমরা কাতার প্রতিষ্ঠা কর, কাঁধগুলো বরাবর কর, দু’জনের মধ্যে ফাঁকা জায়গা পূর্ণ কর, মুসল্লিদের জন্য তোমাদের হাতগুলো নরম করে দাও, আর শয়তানের জন্য কোন জায়গা খালি রাখিও না। কেননা যে ব্যক্তি কাতার পরিপূর্ণ করবে আল্লাহ্ তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেন। আর যে ব্যক্তি কাতার বিছিন্ন করবে আল্লাহ তার সাথে সম্পর্ক বিছিন্ন করবেন।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ২/৯৭, আবু দাউদ ৬৬৬। নাসাঈ ২/৯৩ ও ইবনে খুযায়মা ৩/২৩ হাদীছটির শেষাংশ বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) عن ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَقِيمُوا الصُّفُوفَ , وَحَاذُوا بَيْنَ الْمَنَاكِبِ , وَسُدُّوا الْخَلَلَ , وَلِينُوا بِأَيْدِى إِخْوَانِكُمْ , وَلاَ تَذَرُوا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ , وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللَّهُ , وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللَّهُ. رواه أحمد وأبو داود وَعَنْد النسائي وابن خزيمة آخره
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯৬. (সহীহ্) জাবের বিন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট বের হয়ে এলেন, তারপর বললেনঃ ’’যেভাবে ফেরেশতারা আল্লাহর সামনে কাতার বন্দি হয় তোমরা কেন সেভাবে কাতারে দাঁড়াও না?’’ আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! ফেরেশতারা তাদের পালনকর্তার সামনে কাতার বন্দি হয়? তিনি বললেনঃ ’’তারা প্রথম কাতারগুলো পরিপূর্ণ করেন, আর কাতারের মাঝে ফাঁকা জায়গা মিলিয়ে নেন।’’
(মুসলিম ৪৩৮, আবু দাউদ ৬৮০, নাসাঈ ২/৮৩, ইবনে মাজাহ ৯৯২ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) وَعَنْ جابر بن سمرة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال خرج علينا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : أَلاَ تَصُفُّونَ كَمَا تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهِمْ ؟فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللهِ ، وَكَيْفَ تَصُفُّ الْمَلاَئِكَةُ عِنْدَ رَبِّهِمْ ؟ قَالَ : يُتِمُّونَ الصُّفُوفَ الأُوَلَ ، وَيَتَرَاصُّونَ فِي الصَّفِّ. رواه مسلم وأبو داود والنسائي وابن ماجه
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯৭. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সেই যে সালাতে তার কাঁধকে নরম করে দেয় অর্থাৎ পাশের মুসল্লিকে কষ্ট দেয় না।’’
(আবু দাউদ ৬৭২)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح لغيره) و عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : خِيَارُكُمْ أَلْيَنُكُمْ مَنَاكِبَ فِى الصَّلاَةِ. رواه أبو داود
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯৮. (সহীহ্) আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ছালাতের ইকামত দেয়া হলো, তখন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের সম্মুখবর্তী হলেন তারপর বললেনঃ ’’তোমরা তোমাদের কাতারগুলোকে সোজা করে নাও এবং পরস্পর মিলিত হয়ে দাঁড়াও। কেননা আমি তোমাদের পেছন থেকেও দেখতে পাই।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৭১৮। মুসলিমও ৪৩২ অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন)
বুখারীর রেওয়ায়াতে আনাস (রাঃ) বলেছেনঃ
فكان أحدنا يلزق منكبه بمنكب صاحبه وقدمه بقدمه
তখন আমরা একে অপরের কাঁধের সাথে কাঁধ আর পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়াতাম।
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) وَعَنْ أنس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال أقيمت الصلاة فأقبل علينا رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَجْهِهِ ، فَقَالَ : أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوا ، فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي. رواه البخاري ومسلم بنحوه
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৪৯৯. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’তোমরা সালাতের কাতার উত্তমভাবে প্রতিষ্ঠা কর।’’
(ইমাম আহমদ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ২/৪৮৫)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: ( أَحْسِنُوا إِقَامَةَ الصُّفُوفِ فِي الصَّلاَةِ. رواه أحمد
পরিচ্ছেদঃ ২৯) প্রথম কাতারে নামায পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করন এবং কাতার সোজা করা ও কাতারের ডান দিকের ফযীলতের বর্ণনা
৫০০. (হাসান) বারা ইবনে আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পিছনে ছালাত আদায় করতাম তখন চাইতাম যে তাঁর ডান দিকে থাকি। তিনি আমাদের দিকে (ডান দিকে) মুখ ফিরাতেন। তখন আমি শুনেছি তিনি একথা বলতেনঃ ’’হে আমার পালনকর্তা! আমাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর যে দিন তুমি তোমার বান্দাদেরকে পুনরুত্থান করবে।’’
(হাদীছটি ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন ৭০৯)
الترغيب في الصف الأول وما جاء في تسوية الصفوف والتراص فيها وفضل ميامنها
(حسن ) وَعَنْ البراء بن عازب رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْبَبْنَا أَنْ نَكُونَ عَنْ يَمِينِهِ ، يقبل علينا بوجهه فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ: رواه مسلم