পরিচ্ছেদঃ ২৮) মানুষে যাকে পছন্দ করে না তার ইমামতি করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮৪. (হাসান লি গাইরিহী) তালহা বিন আবদুল্লাহ (রহ.) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি কিছু লোকের ইমামতি করলেন। তিনি নামায শেষ করে বললেনঃ আমি ভুলে গিয়েছিলাম ইমামতি করার আগে তোমাদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে। তোমরা কি আমার নামায পড়াতে সন্তুষ্ট? তারা বলল: হ্যাঁ, হে রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সহযোগী, আপনাকে কে অপছন্দ করে? তিনি বললেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’কোন ব্যক্তি যদি কোন কওমের ইমামতি করে আর তারা তাকে অপছন্দ করে তাহলে ঐ ইমামের নামায তার কানের উপরে উঠবে না।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী কাবীর গ্রন্থে ২১০)
الترهيب من إمامة الرجل القوم وهم له كارهون
(حسن لغيره) وَعَنْ طلحة بن عبد الله رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أنه صلى بقوم فلما انصرف قال إني نسيت أن أستأمركم قبل أن أتقدم أرضيتم بصلاتي قالوا نعم ومن يكره ذلك يا حواري رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال إني سمعت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول أيما رجل أم قوما وهم له كارهون لم تجاوز صلاته أذنيه. رواه الطبراني في الكبير
পরিচ্ছেদঃ ২৮) মানুষে যাকে পছন্দ করে না তার ইমামতি করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮৫. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আতা ইবনে দিনার আল হুযালি (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’আল্লাহ তা’আলা তিন ব্যক্তির নামায কবূল করেন না, তাদের নামায আকাশে উঠে না এবং তাদের মাথার উপরে উঠে যায় না।
(১) যে ব্যক্তি কোন কওমের ইমামতি করে অথচ তারা তাকে অপছন্দ করে।
(২) যে ব্যক্তি জানাযার নামাযে ইমামতি করে অথচ তাকে তাতে অনুমতি দেয়া হয়নি।
(৩) যে নারীকে তার স্বামী সহবাসের জন্য ডাকে অথচ সে তা অস্বীকার করে রাত কাটায়।’’
(ইবনে খুযায়মা এ হাদীছটি এভাবে মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন ৩/১১)
الترهيب من إمامة الرجل القوم وهم له كارهون
) (صحيح لغيره) و عَنْ عَطَاءِ بْنِ دِينَارٍ الْهُذَلِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : ثَلاَثَةٌ لاَ تُقْبَلُ اللهُ مِنْهُمْ صَلاَةٌ ، وَلاَ تَصْعَدُ إِلَى السَّمَاءِ ، وَلاَ تُجَاوِزُ رُؤُوسَهُمْ : رَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ ، وَرَجُلٌ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ وَلَمْ يُؤْمَرْ ، وَامْرَأَةٌ دَعَاهَا زَوْجُهَا مِنَ اللَّيْلِ فَأَبَتْ عَلَيْهِ. (رواه ابن خزيمة في صحيحه هكذا مرسلا)
পরিচ্ছেদঃ ২৮) মানুষে যাকে পছন্দ করে না তার ইমামতি করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮৬. (হাসান সহীহ্) ইবনে খুযায়মা পূর্বের হাদীছটি অন্য সনদে আনাস (রাঃ) থেকে মারফূ’ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
الترهيب من إمامة الرجل القوم وهم له كارهون
(حسن صحيح) وروي له سنداً آخر إلى أنس يرفعه
পরিচ্ছেদঃ ২৮) মানুষে যাকে পছন্দ করে না তার ইমামতি করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮৭. (হাসান) আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তিনি ব্যক্তির নামায তাদের কানের উপরে উঠে না
(১) পলাতক কৃতদাস যতক্ষন সে মালিকের কাছে ফেরত না আসে
(২) ঐ নারী যে রাত অতিবাহিত করেছে অথচ স্বামী তার প্রতি অসন্তুষ্ট
(৩) ঐ ইমাম যে কোন কওমের ইমামতি করেছে অথচ তারা তাকে অপছন্দ করে।’’
(ইমাম তিরমিযী হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৩৬০)
الترهيب من إمامة الرجل القوم وهم له كارهون
(حسن ) وَعَنْ أَبِيْ أُماَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ثَلَاثَةٌ لَا تُجَاوِزُ صَلَاتُهُمْ آذَانَهُمْ الْعَبْدُ الْآبِقُ حَتَّى يَرْجِعَ وَامْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَإِمَامُ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ ) رواه الترمذي وقال حديث حسن غريب)