পরিচ্ছেদঃ ২৭) পরিপূর্ণরূপে এবং সঠিকভাবে ইমামতি করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ আর এ রকম না করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮২. (হাসান সহীহ্) আবু আলি আল মিসরী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা উকবা বিন আমের আল জুহানী (রাঃ)এর সাথে কোন এক সফরে গেলাম। নামাযের সময় উপস্থিত হল। তখন আমরা চাইলাম উনি আমাদের ইমামতি করবেন। তখন তিনি বললেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’যে ব্যক্তি কোন কওমের ইমামতি করবে সে যদি পরিপূর্ণরূপে নামায আদায় করে তাহলে সে ঐ পরিপূর্ণতার ছোয়াব লাভ করবে এবং মুসল্লিরাও পরিপূর্ণতার ছোয়াব পাবে। কিন্তু যদি পরিপূর্ণরূপে নামায না পড়ায় তাহলে মুসল্লিরা পরিপূর্ণ ছোয়াব লাভ করবে কিন্তু সে গুনাহগার হবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ ৪/১৫৪, আবু দাউদ ৫৮০, ইবনে মাযাহ ৯৮৩, হাকেম ১/২৭, ইবনে খুযায়মা ৩/৮, ইবনে হিব্বান ২২১৮)
তবে ইবনে হিব্বান ও ইবনে খুযায়মার বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
مَنْ أَمَّ النَّاسَ فَأَصَابَ الْوَقْتَ وَأَتَمَّ الصَّلاةَ فَلَهُ وَلَهُمْ، وَمَنِ انْتَقَصَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعَلَيْهِ وَلا عَلَيْهِمْ".
’’যে ব্যক্তি মানুষের ইমামতি করবে নিদিষ্ট সময়ে এবং পরিপূর্ণরূপে তাহলে সে এবং মুসল্লিরা পরিপূর্ণ ছোয়াব লাভ করবে। আর সে যদি সময় এবং পরিপূর্ণতার ব্যাপারে ত্রুটি করে তাহলে সে গুনাহগার হবে মুসল্লিদের কোন ক্ষতি হবে না।’’
الترغيب في الإمامة مع الإتمام والإحسان والترهيب منها عند عدمهما
(حسن صحيح) عن أبي علي المصري قال سَافَرْنَا مَعَ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، فَحَضَرَتْنَا الصَّلَاةُ، فَأَرَدْنَا أَنْ يَتَقَدَّمَنَا، فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَلَا : " مَنْ أَمَّ قَوْمًا، فَإِنْ أَتَمَّ فَلَهُ التَّمَامُ وَلَهُمُ التَّمَامُ، وَإِنْ لَمْ يُتِمَّ، فَلَهُمُ التَّمَامُ وَعَلَيْهِ الْإِثْمُ) رواه أحمد واللفظ له وأبو داود وابن ماجه والحاكم وصححه وابن خزيمة وابن حبان في صحيحيهما)
পরিচ্ছেদঃ ২৭) পরিপূর্ণরূপে এবং সঠিকভাবে ইমামতি করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ আর এ রকম না করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮৩. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’ওরা তোমাদের ইমামতি করবে যদি তারা সঠিকভাবে নামায আদায় করে তাহলে তোমরা ছোয়াব লাভ করবে। আর যদি ওরা ভুল করে তাহলে তোমরা ছোয়াব পেয়ে যাবে কিন্তু তারা গুনাহগার হবে।’’
(বুখারী প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৬৯৪, ইবনে হিব্বান ২২২৫)
ইবনে হিব্বানও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। তবে তার বর্ণনা এরকমঃ
سيأتي أو سيكون أقوام يصلون الصلاة فإن أتموا فلكم(ولهم) وإن انتقصوا فعليهم ولكم
’’অচিরেই এমন কিছু লোক আসবে বা হবে যারা নামাযের ইমামতি করবে, যদি তারা পরিপূর্ণভাবে নামায আদায় করে তাহলে তোমরা ছোয়াব পাবে এবং তারাও ছোয়াব পাবে। আর যদি তারা কোন ত্রুটি করে তাহলে তার গুনাহ সে ভোগ করবে, নামাযের ছোয়াব তোমরা পেয়ে যাবে।’’
الترغيب في الإمامة مع الإتمام والإحسان والترهيب منها عند عدمهما
(صحيح لغيره) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يُصَلُّونَ لَكُمْ فَإِنْ أَصَابُوا فَلَكُمْ وَإِنْ أَخْطَئُوا فَلَكُمْ وَعَلَيْهِمْ . رواه البخاري وغيره وابن حبان في صحيحه