পরিচ্ছেদঃ ২৬) বিনা ওযরে আসর নামায ছুটে যাওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৭৮. (সহীহ্) বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি আসরের নামায ছেড়ে দিল তার সমস্ত আমল ধ্বংস হয়ে গেল।’’[1]
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম বুখারী ৫৫৩ ও নাসাঈ ১/২৩৬)
সিন্দী বলেনঃ এখানে অপরাধটি ভয়াবহ একথা বুঝানো হয়েছে। প্রকৃতভাবে আমল বাতিল হয়ে যাবে তা উদ্দেশ্য করা হয়নি। শায়খ আলবানী বলেনঃ এ কথা তখন প্রযোজ্য হবে যখন বলা হবে যে কুফরী ব্যতীত কোন কারণে আমল ধ্বংস হয় না। কিন্তু আল্লাহর বাণী ‘‘তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বরকে উঁচু করো না।... এতে তোমাদের আমল ধ্বংস হয়ে যাবে।’’ (সূরা হুজুরাতঃ ২) এ থকে বুঝা যায় কোন কোন গুনাহের কাজের কারণেও আমল বাতিল হতে পারে। হতে পারে আসরের নামায ইচ্ছাকৃত পরিত্যাগ করা ঐ সমস্ত গুনাহের অন্তর্ভূক্ত যা আমল ধ্বংস করে দেয়। (আল্লাহই অধিক জ্ঞান রাখেন)
الترهيب من فوات العصر بغير عذر
(صحيح) عن بريدة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال قال النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ تَرَكَ صَلَاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ (رواه البخاري والنسائي)
পরিচ্ছেদঃ ২৬) বিনা ওযরে আসর নামায ছুটে যাওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৭৯. (সহীহ্) আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আসরের নামায ছেড়ে দিল, তার সমস্ত আমল ধবংস হয়ে গেল।’’
(ইমাম আহমদ সহীহ সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৬/৪৪১)
الترهيب من فوات العصر بغير عذر
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ الدَّرْداَءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ تَرَكَ صَلَاةَ الْعَصْرِ مُتَعَمدًا فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ. رواه أحمد بإسناد صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২৬) বিনা ওযরে আসর নামায ছুটে যাওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮০. (সহীহ্) আবদুল্লাহ বিন ওমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে গেল সে যেন নিজ পরিবার এবং সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।’’
(মালেক ১/১১, বুখারী ৫৫২, মুসলিম ৬২৬, আবু দাউদ ৪১৪, তিরমিযী ১৭৫, নাসাঈ ১/২৩৮, ইবনে মাজাহ ৬৮৫ ও ইবনে খুযায়মা ১/১৭৩) ইবনে খুযায়মা হাদীছের শেষে অতিরিক্ত একথাটি বলেছেনঃ ইমাম মালেক এর তাফসীরে বলেনঃ আসর নামায ছুটে গেল অর্থ নামাযের সময় শেষ হয়ে গেল।
الترهيب من فوات العصر بغير عذر
(صحيح) وَعَنْ ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال الَّذِي تَفُوتُهُ صَلاةُ الْعَصْرِ ، فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ. رواه مالك والبخاري ومسلم وأبو داود والترمذي والنسائي وابن ماجه وابن خزيمة في صحيحه وزاد في آخره قال مالك تفسيره ذهاب الوقت
পরিচ্ছেদঃ ২৬) বিনা ওযরে আসর নামায ছুটে যাওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪৮১. (সহীহ্) নওফল বিন মুয়াবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি শুনেছেন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতেঃ ’’যে ব্যক্তির একটি নামায ছুটে গেল সে যেন তার পরিবার এবং সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।’’
অন্য বর্ণনাতে রয়েছেঃ নওফল বলেন, এমন একটি নামায রয়েছে যদি কোন ব্যক্তির উহা ছুটে যায় তাহলে সে তার পরিবার ও সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইবনে ওমার বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’নামাযটি হচ্ছে আসরের নামায।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ১/২৩৮)
الترهيب من فوات العصر بغير عذر
(صحيح) وَعَنْ نوفل بن معاوية رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنه سمع رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول من فاتته صلاة العصر فكأنما وتر أهله وماله وفي رواية قال نوفل صلاةٌ من فاتته فكأنما وتر أهله وماله قال ابن عمر قال رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : هي العصر. رواه النسائي