পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫০. (সহীহ) আবদুল্লাহ বিন ওমার (রাঃ) এবং অন্যান্য ছাহাবী থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিতঃ (১) এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রাসূল (২) নামায প্রতিষ্ঠা করা (৩) যাকাত আদায় করা (৪) রামাযানের রোযা রাখা (৫) আল্লাহর ঘরে হজ্জ পালন করা।’’

(বুখারী ৮ ও মুসলিম ৪৫ প্রমূখ একাধিক ছাহাবী থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) فيه حديث ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وغيره عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: بُنِيَ الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَصَوْمِ رَمَضَانَ وَحَجِّ الْبَيْتِ. رواه البخاري ومسلم وغيرهما عن غير واحد من الصحابة

(صحيح) فيه حديث ابن عمر رضي الله عنهما وغيره عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: بني الاسلام على خمس شهادة ان لا اله الا الله وان محمدا عبده ورسوله واقام الصلاة وايتاء الزكاة وصوم رمضان وحج البيت. رواه البخاري ومسلم وغيرهما عن غير واحد من الصحابة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫১. (সহীহ্) ওমার বিন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকটে বসে ছিলাম। এমন সময় আমাদের সামনে এক ব্যক্তি উপস্থিত হলেন, তার পোশাক ছিল ধবধবে সাদা আর চুল ছিল কুচকুচে কালো। দূর হতে ভ্রমণ করে আসার কোন লক্ষণও দেখা যাচ্ছিল না তার মধ্যে। তিনি আমাদের কারো পরিচিতও নন। তিনি নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটবর্তী হলেন, তাঁর হাঁটুতে স্বীয় হাঁটু লাগালেন এবং দুই হাত তাঁর উরুর উপর রেখে বসে পড়লেন। অতঃপর বললেন, হে মুহাম্মাদ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান দান করুন, উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ইসলাম হচ্ছে (১) এ সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন উপাস্য নাই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। (২) ছালাত কায়েম করবে (৩) যাকাত আদায় করবে (৪) রামাযানে ছিয়াম পালন করবে এবং (৫) আল্লাহর ঘরের হজ্জ সম্পাদন করবে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৫০ ও মুসলিম ৯।[1] বিভিন্ন সহীহ্ গ্রন্থে একাধিক সাহাবী থেকে বর্ণিত)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) وَعَنْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعْرِ لَا يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلَا يَعْرِفُهُ منا أحد حَتَّى جَلَسَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ وَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنْ الْإِسْلَامِ فَقاَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْإِسْلَامُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ ، الحديث
(رواه البخاري ومسلم وهو مروي عن غير واحد من الصحابة في الصحاح وغيرها)

(صحيح) وعن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال بينما نحن عند رسول الله صلى الله عليه وسلم اذ طلع علينا رجل شديد بياض الثياب شديد سواد الشعر لا يرى عليه اثر السفر ولا يعرفه منا احد حتى جلس الى النبي صلى الله عليه وسلم فاسند ركبتيه الى ركبتيه ووضع كفيه على فخذيه وقال يا محمد اخبرني عن الاسلام فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم الاسلام ان تشهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله وتقيم الصلاة وتوتي الزكاة وتصوم رمضان وتحج البيت ، الحديث (رواه البخاري ومسلم وهو مروي عن غير واحد من الصحابة في الصحاح وغيرها)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫২. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথা বলেছেনঃ ’’তোমরা কি মনে কর তোমাদের কারো ঘরের দরজায় সামনে যদি একটি নদী থাকে এবং সেখানে প্রতিদিন সে পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে?’’

তাঁরা বললেনঃ না, তার শরীরে কোন ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।
তিনি বললেনঃ ’’অনুরূপ উদাহরণ হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের, এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা বান্দার গুনাহ্ সমূহ মিটিয়ে দেন।’’[1]

(বুখারী ৫২৮, মুসলিম ৬৬৭, তিরমিযী ২৮৬৮ ও নাসাঈ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) وَ عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ قَالُوا لَا يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ قَالَ فَكَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا

رواه البخاري ومسلم والترمذي والنسائي

(صحيح) و عن ابي هريرة رضي الله عنه سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ارايتم لو ان نهرا بباب احدكم يغتسل منه كل يوم خمس مرات هل يبقى من درنه شيء قالوا لا يبقى من درنه شيء قال فكذلك مثل الصلوات الخمس يمحو الله بهن الخطايا رواه البخاري ومسلم والترمذي والنساىي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫৩. (সহীহ্ লি গাইরিহী) উক্ত হাদীছটি ইবনে মাজাহ্ ওসমান বিন আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح لغيره) ورواه ابن ماجه من حديث عثمان

(صحيح لغيره) ورواه ابن ماجه من حديث عثمان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫৪. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’পাঁচ ওয়াক্ত নামায এবং এক জুমআ থেকে পরবর্তী জুমআ মধ্যবর্তী পাপ সমূহের জন্যে কাফ্ফারা স্বরূপ, যতক্ষন পর্যন্ত কবীরা গুনাহতে লিপ্ত না হয়।’’[1]

(মুসলিম ২৩৩, তিরমিযী ২১৪ প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ أيضا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الصلوات الخمس والْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ كَفَّارَةُ لِمَا بَيْنَهن مَا لَمْ تُغْشَ الْكَبَائِرُ رواه مسلم والترمذي وغيرهما

(صحيح) وعن ابي هريرة ايضا رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلوات الخمس والجمعة الى الجمعة كفارة لما بينهن ما لم تغش الكباىر رواه مسلم والترمذي وغيرهما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫৫. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতে শুনেছেনঃ ’’পাঁচ ওয়াক্ত নামায তার মধ্যবর্তী সময়ের পাপ সমূহের জন্য কাফ্ফারা স্বরূপ।’’ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

’’তুমি মনে কর যদি একজন লোক কোন কর্মে ব্যস্ত থাকে আর তার কর্মস্থল ও বাড়ীর মাঝে পাঁচটি নদী থাকে। কর্মস্থলে পৌঁছে আল্লাহ যা চায় তা কর্ম সম্পাদন করে। ফলে তার শরীরে ময়লা জমে বা ঘর্মাক্ত হয়। ফিরে আসার সময় প্রত্যেকটি নদীতে একবার করে গোসল করে। এতে তার শরীরে কোনরূপ ময়লা অবশিষ্ট থাকবে কি? অনুরূপ উদাহরণ হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের। যখনই কোন গুনাহের কাজ করে ফেলবে তখনই নামাযের মাধ্যমে দুআ করবে ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তাহলে তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’’

(বাযযার ৩৪৪, ত্বাবরানী [আওসাত এবং কাবীর গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح لغيره) وَعَنْ أبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدِرِيْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنه سمع النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول الصلوات الخمس كفارة لما بينها ثم قال رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أرأيت لو أنَّ رَجُلاً كان يعتمل وكان بين منزله وبين معتمله خمسة أنهار فإذا أتى معتمله عمل فيه ما شاء الله فأصابه الوسخ أو العرق فكلما مر بنهر اغتسل ما كان ذلك يبقي من درنه فكذلك الصلاة كلما عمل خطيئة فدعا واستغفر غفر له ما كان قبلها. (رواه البزار والطبراني في الأوسط والكبير)

(صحيح لغيره) وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه انه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول الصلوات الخمس كفارة لما بينها ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ارايت لو ان رجلا كان يعتمل وكان بين منزله وبين معتمله خمسة انهار فاذا اتى معتمله عمل فيه ما شاء الله فاصابه الوسخ او العرق فكلما مر بنهر اغتسل ما كان ذلك يبقي من درنه فكذلك الصلاة كلما عمل خطيىة فدعا واستغفر غفر له ما كان قبلها. (رواه البزار والطبراني في الاوسط والكبير)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫৬. (সহীহ্) জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের উদাহরণ হচ্ছে প্রবল বেগে প্রবাহমান একটি নদীর সাথে যা তোমাদের কারো ঘর বা দরজার সামনে থাকে এবং সেখানে সে প্রতিদিন পাঁচ বার গোসল করে। ’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম ৬৬৮)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح)وَ عن جابر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ كَمَثَلِ نَهْرٍ جَارٍ غَمْرٍ عَلَى بَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ قَالَ قَالَ الْحَسَنُ وَمَا يُبْقِي ذَلِكَ مِنْ الدَّرَنِ . رواه مسلم

(صحيح)و عن جابر رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم مثل الصلوات الخمس كمثل نهر جار غمر على باب احدكم يغتسل منه كل يوم خمس مرات قال قال الحسن وما يبقي ذلك من الدرن . رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫৭. (হাসান সহীহ্) আবদুল্লাহ বিন মাসউদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমরা পাপের মাধ্যমে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছ। যখন তোমরা সকালের নামায আদায় কর তখন ঐ নামায পাপগুলোকে ধুয়ে দেয়। অতঃপর আবার পাপের মাধ্যমে নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছ। যখন যোহরের নামায আদায় কর তখন এই নামায পূর্বের ঐ পাপগুলোকে ধুয়ে দেয়। আবার তোমরা গুনাহ কর। যখন তোমরা আছরের নামায পড় তখন তা পূর্বের গুনাহগুলোকে ধুয়ে দেয়। তারপর আবার তোমরা পাপ কর এবং ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হও। যখন মাগরিবের নামায আদায় কর তখন সেই নামায পূর্বের গুনাহগুলোকে ধুয়ে দেয়। তারপর তোমরা পাপে লিপ্ত হয়ে নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাও। যখন এশার নামায আদায় কর তখন তা ঐ গুনাহগুলোকে ধৌত করে দেয়। অতঃপর তোমরা যখন নিদ্রা যাও তখন তোমাদের কোন গুনাহ লেখা হয় না যতক্ষন তোমরা জাগ্রত না হও।’’

(ত্বাবরানী ২/৩৫৮ [ছগীর এবং আওসাত গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ১/৯১)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن صحيح) وَعَنْ عبد الله بن مسعود رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : تحترقون تحترقون فإذا صليتم الصبح غسلتها ثم تحترقون تحترقون فإذا صليتم الظهر غسلتها ثم تحترقون تحترقون فإذا صليتم العصر غسلتها ثم تحترقون تحترقون فإذا صليتم المغرب غسلتها ثم تحترقون تحترقون فإذا صليتم العشاء غسلتها ثم تنامون فلا يكتب عليكم حتى تستيقظوا.
رواه الطبراني في الصغير والأوسط

(حسن صحيح) وعن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : تحترقون تحترقون فاذا صليتم الصبح غسلتها ثم تحترقون تحترقون فاذا صليتم الظهر غسلتها ثم تحترقون تحترقون فاذا صليتم العصر غسلتها ثم تحترقون تحترقون فاذا صليتم المغرب غسلتها ثم تحترقون تحترقون فاذا صليتم العشاء غسلتها ثم تنامون فلا يكتب عليكم حتى تستيقظوا. رواه الطبراني في الصغير والاوسط

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫৮. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’প্রত্যেক নামাযের সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা নিয়োগ করা হয়। তিনি আহবান করেন: হে আদম সন্তান! উঠ এবং নির্বাপিত কর সে আগুন যা তোমরা পাপের মাধ্যমে প্রজ্জ্বলিত করেছ।’’

(ত্বাবরানী [আওসাত এবং ছগীর গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, মাযমাউল যাওয়ায়েদ ১/২৯৯)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن لغيره) وَعَنْ أنَسِ بْنِ ماَلِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إن لله ملكا ينادي عند كل صلاة يا بني آدم قوموا إلى نيرانكم التي أوقدتموها فأطفئوها
رواه الطبراني في الأوسط والصغير

(حسن لغيره) وعن انس بن مالك رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ان لله ملكا ينادي عند كل صلاة يا بني ادم قوموا الى نيرانكم التي اوقدتموها فاطفىوها رواه الطبراني في الاوسط والصغير

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫৯. (হাসান) আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে। তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ

’’প্রত্যেক নামাযের সময় উপস্থিত হলে একজন আহবানকারী (ফেরেশতা) প্রেরণ করা হয়। তিনি বলেন, হে আদম সন্তান! ওঠো এবং পাপ করে নিজেদের শাস্তির জন্যে যে আগুন তোমরা জ্বালিয়েছো তা নামাযের মাধ্যমে নির্বাপিত কর। তখন তারা ওঠে এবং পবিত্রতা অর্জন করে, তখন তাদের চোখ থেকে পাপগুলো ঝরে পড়ে যায়, তারা নামায আদায় করলে দু’নামাযের মধ্যবর্তী সময়ের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হয়। তারপর আবার তারা পাপের মাধ্যমে আগুন জ্বালায়। যখন প্রথম নামাযের সময় হয় তখন ঐ ফেরেশতা আহবান করেন: হে আদম সন্তান! তোমরা নির্বাপিত কর সেই আগুন যা (পাপের মাধ্যমে) নিজেদের জন্যে জ্বালিয়েছো। তখন তারা ওঠে পবিত্র হয় এবং যোহর নামায আদায় করে। তখন তাদের পূর্বের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। একইভাবে যখন আছর, মাগরিব ও এশার নামায আদায় করা হয় তখন অনুরূপ করা হয়। শেষে তারা নিদ্রা যায় এমন অবস্থায় যে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেউ রাত কাটায় কল্যাণের মধ্যে এবং কেউ রাত কাটায় অকল্যাণ বা গুনাহের মধ্যে।’’

(ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, মাযমাউল যাওয়ায়েদ ১/২৯৯)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن ) وروي عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بن مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَنَّهُ قَالَ: يُبْعَثُ مُنَادٍ عِنْدَ حَضْرَةِ كُلِّ صَلاةٍ، فَيَقُولُ: يَا بني آدَمَ، قُومُوا فَأَطْفِئُوا عَنْكُمْ مَا أَوْقَدْتُمْ عَلَى أَنْفُسِكُمْ، فَيَقُومُونَ فَيَتَطَهَّرُونَ وَتَسْقُطُ خَطَايَاهُمْ مِنْ أَعْيُنِهِمْ، وَيُصَلُّونَ فَيُغْفَرُ لَهُمْ مَا بَيْنَهُمَا، ثُمَّ يُوقِدُونَ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ، فَإِذَا كَانَ عِنْدَ صَلاةِ الأُولَى نَادَى: يَا بني آدَمَ، قُومُوا فَأَطْفِئُوا مَا أَوْقَدْتُمْ عَلَى أَنْفُسِكُمْ، فَيَقُومُونَ فَيَتَطَهَّرُونَ وَيُصَلُّونَ فَيُغْفَرُ لَهُمْ مَا بَيْنَهُمَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الْعَصْرُ فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَإِذَا حَضَرَتِ الْمَغْرِبُ فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَإِذَا حَضَرَتِ الْعَتَمَةُ فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَيَنَامُونَ وَقَدْ غُفِرَ لَهُمْ فَمُدْلِجٌ فِي خَيْرٍ، وَمُدْلِجٌ فِي شَرٍّ رواه" الطبراني في الكبير

(حسن ) وروي عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم ، انه قال: يبعث مناد عند حضرة كل صلاة، فيقول: يا بني ادم، قوموا فاطفىوا عنكم ما اوقدتم على انفسكم، فيقومون فيتطهرون وتسقط خطاياهم من اعينهم، ويصلون فيغفر لهم ما بينهما، ثم يوقدون فيما بين ذلك، فاذا كان عند صلاة الاولى نادى: يا بني ادم، قوموا فاطفىوا ما اوقدتم على انفسكم، فيقومون فيتطهرون ويصلون فيغفر لهم ما بينهما، فاذا حضرت العصر فمثل ذلك، فاذا حضرت المغرب فمثل ذلك، فاذا حضرت العتمة فمثل ذلك، فينامون وقد غفر لهم فمدلج في خير، ومدلج في شر رواه" الطبراني في الكبير

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬০. (সহীহ্ লি গাইরিহী মাওকূফ) ত্বারেক্ব বিন শিহাব থেকে বর্ণিত। তিনি একদা সালমান (রাঃ) এর নিকট রাত কাটালেন। উদ্দেশ্য তিনি কিরূপ ইবাদত করেন তা দেখা। তিনি বলেনঃ তিনি রাতের শেষাংশে উঠে তাহাজ্জুদ নামায পড়লেন। তিনি (ত্বারেক্ব) তাঁর সম্পর্কে যেরূপ ধারণা করছিলেন তা যেন দেখতে পেলেন না। তাই বিষয়টি তাঁর নিকট উত্থাপন করলেন। সালমান (রাঃ) বললেনঃ

’তোমরা এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের যথাযথভাবে হেফাজত কর। কেননা এগুলো এ পাপ সমূহের কাফ্ফরা স্বরূপ, যতক্ষন পর্যন্ত এমন পাপে লিপ্ত না হও যা তোমাদেরকে হত্যা করে ফেলে (অর্থাৎ কাবীরা গুনাহে লিপ্ত না হও)।’

(ত্বাবরানী কাবীর গ্রন্থে মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেছেন, মাযমাউল যাওয়ায়েদ ১/২৯৯)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح لغيره موقوف) وَعَنْ طارق بن شهاب: أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ سَلْمَانَ الفارسي رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لَيَنْظُرَ مَا اجْتِهادُهُ، قَالَ: فَقَامَ يُصَلِّي مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ، فَكَأَنَّهُ لَمْ يَرَ الَّذِي كَانَ يَظُنُّ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ سَلْمَانُ رَحِمَهُ اللَّهُ:"حَافِظُوا عَلَى هَذِهِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ، فَإِنَّهُنَّ كَفَّارَاتٌ لِهَذِهِ الْجِرَاحَاتِ مَا لَمْ تُصَبُ الْمَقْتَلَةُ رواه الطبراني في الكبير موقوفا

(صحيح لغيره موقوف) وعن طارق بن شهاب: انه بات عند سلمان الفارسي رضي الله عنه لينظر ما اجتهاده، قال: فقام يصلي من اخر الليل، فكانه لم ير الذي كان يظن، فذكر ذلك له، فقال سلمان رحمه الله:"حافظوا على هذه الصلوات الخمس، فانهن كفارات لهذه الجراحات ما لم تصب المقتلة رواه الطبراني في الكبير موقوفا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬১. (সহীহ্) আমর ইবনে মুররা আল জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন জনৈক ব্যক্তি নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি মনে করেন, যদি আমি এ সাক্ষ্য দেই যে আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং আপনি আল্লাহর রাসূল, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি, যাকাত প্রদান করি, রামাযানে সিয়াম পালন করি এবং ক্বিয়ামুল্লাইল করি- তাহলে আমি কাদের অন্তর্ভুক্ত হব? তিনি বললেনঃ

’’সিদ্দীক এবং শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’

(হাদীছটি বাযযার ৪৫, ইবনে হিব্বান ৩৪২৯ ও ইবনে খুযায়মা ২/২২ বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) وَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ الْجُهَنِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : جَاءَ رَجُلٌ إلى النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ أَرَأَيْتَ إِنْ شَهِدْتُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّكَ رَسُولُ اللهِ ، وَصَلَّيْتُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ الخمس وأديت الزكاة ، وَصُمْتُ رَمَضَانَ وَقُمْتُ فممن أنا قال من الصديقين والشهداء. رواه البزار وابن خزيمة وابن حبان

(صحيح) و عن عمرو بن مرة الجهني رضي الله عنه قال : جاء رجل الى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: يا رسول الله ارايت ان شهدت ان لا اله الا الله وانك رسول الله ، وصليت الصلوات الخمس الخمس واديت الزكاة ، وصمت رمضان وقمت فممن انا قال من الصديقين والشهداء. رواه البزار وابن خزيمة وابن حبان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬২. (হাসান সহীহ্) সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ’’মুসলিম ব্যক্তি নামায আদায় করে অথচ তার গুনাহ সমূহ তার মাথার উপরে লটকানো থাকে। যখনই সে সেজদা করে তখনই তার গুনাহগুলো পড়ে যায়। অতঃপর সে নামায শেষ করে এমন অবস্থায় যে তার সমস্ত গুনাহ পড়ে গেছে।’’

(ত্বাবরানী [কাবীর ৬/২৫০ এবং ছগীর গ্রন্থে ২/২৭২] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن صحيح) وَعَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :"إِنَّ الْمُسْلِمَ يُصَلِّي وَخَطَايَاهُ مَرْفُوعَةٌ عَلَى رَأْسِهِ، كُلَّمَا سَجَدَ تَحَات عَنْهُ ، فَيَفْرُغُ مِنْ صَلاتِهِ، وَقَدْ تَحَاتَتْ خَطَايَاهُ" . رواه الطبراني في الكبير والصغير

(حسن صحيح) وعن سلمان الفارسي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم :"ان المسلم يصلي وخطاياه مرفوعة على راسه، كلما سجد تحات عنه ، فيفرغ من صلاته، وقد تحاتت خطاياه" . رواه الطبراني في الكبير والصغير

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সালমান ফারসী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬৩. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবু উছমান থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা সালমান ফারসী (রাঃ) এর সাথে এক গাছের নীচে বসে ছিলাম। এমন সময় তিনি একটি শুকনো ডাল ধরলেন এবং ঝাকালেন তখন তার পাতাগুলো ঝরে পড়ে গেল। তিনি বললেন: হে আবু উছমান! আপনি কি জিজ্ঞেস করবেন না কেন আমি এরূপ করলাম? আমি বললামঃ কেন এরূপ করলেন?

তিনি বললেনঃ এভাবেই রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার সাথে করেছিলেন। তখন আমি তাঁর সাথে একটি গাছের নীচে ছিলাম। তিনি গাছের একটি শুকনা ডাল ঝাকালে তার সব পাতা ঝরে গেল। তিনি বললেনঃ হে সালমান তুমি কি প্রশ্ন করবে না কেন আমি এরূপ করলাম? আমি বললাম, কেন এরূপ করলেন?

তিনি বললেনঃ ’’মুসলিম ব্যক্তি যখন ওযু করে এবং ওযুকে সুন্দরভাবে সম্পাদন করে, অতঃপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে, তাহলে তার গুনাহ সমূহ ঝরে যায় যেমন করে এই পাতাগুলো ঝরে গেল। আর তিনি পাঠ করলেন আল্লাহ এই বাণীঃ

وَأَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ

’’তুমি সালাত আদায় করো দিনের উভয় প্রান্তে এবং রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই নেক কাজ সমূহ গুনাহ সমূহকে শেষ করে দেয়। আর এটা হচ্ছে উপদেশ গ্রহণ কারীদের জন্য একটি উপদেশ।’’ (সূরা হূদঃ ১১৪)

(আহমাদ ৫/৪৩৭, নাসাঈ ও ত্বাবরানী হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن لغيره) وَ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ قَالَ: كُنْتُ مَعَ سَلْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ تَحْتَ شَجَرَةٍ، فَأَخَذَ غُصْنًا مِنْهاَ يَابِسًا فَهَزَّهُ حَتَّى تَحَاتَّ وَرَقُهُ، ثُمَّ قَالَ يا أبا عثمان أَلا تَسْأَلُنِي لِمَ أَفْعَلُ هَذَا ؟ قُلْتُ: وَلِمَ تَفْعَلُهُ؟ قَالَ: هَكَذَا فَعَلَ بي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وأنا مَعَهُ تَحْتَ شَجَرَةٍ، فَأَخَذَ غُصْنًا مِنْهاَ غَصْنَا يَابِسًا، فَهَزَّهُ حَتَّى تَحَاتَّ وَرَقُهُ، ثُمَّ قَالَ يَا سَلْمَانُ أَلا تَسْأَلُنِي لِمَ أَفْعَلُ هَذَا ؟" قُلْتُ: وَلِمَ تَفْعَلُهُ؟ قَالَ :إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا تَوَضَّأَ، فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ صَلَّى الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ تَحَاتَّتْ خَطَايَاهُ، كَمَا تَحَاتَّ هَذَا الْوَرَقُ ،[أَقِمِ الصَّلاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ. رواه أحمد والنسائي والطبراني

(حسن لغيره) و عن ابي عثمان قال: كنت مع سلمان رضي الله عنه تحت شجرة، فاخذ غصنا منها يابسا فهزه حتى تحات ورقه، ثم قال يا ابا عثمان الا تسالني لم افعل هذا ؟ قلت: ولم تفعله؟ قال: هكذا فعل بي رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا معه تحت شجرة، فاخذ غصنا منها غصنا يابسا، فهزه حتى تحات ورقه، ثم قال يا سلمان الا تسالني لم افعل هذا ؟" قلت: ولم تفعله؟ قال :ان المسلم اذا توضا، فاحسن الوضوء، ثم صلى الصلوات الخمس تحاتت خطاياه، كما تحات هذا الورق ،[اقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل ان الحسنات يذهبن السيىات ذلك ذكرى للذاكرين. رواه احمد والنساىي والطبراني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ‘উসমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬৪. (সহীহ) উছমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন একদিন আসরের নামায থেকে ফেরার সময় আমাদের কাছে হাদীছ বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ

’’জানিনা তোমাদেরকে হাদীছ বলব না কি চুপ থাকব?’’
উছমান (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি ভাল হয় তবে বলুন। আর যদি অন্য কিছু হয় তবে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ ’’কোন মুসলিম যখন পবিত্রতা অর্জন করে- আল্লাহ্‌ তার জন্য যা লিখে রেখেছেন সে অনুযায়ী পরিপূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, অতঃপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে তবে তা তার মধ্যবর্তী গুনাহ সমূহের জন্য কাফ্ফারা হয়ে যায়।’’

অন্য রেওয়ায়াতে রয়েছে,

أن عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ

وَاللَّهِ لَأُحَدِّثَكُمْ حَدِيثًا لَوْلَا آيَةٌ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  يَقُولُ لَا يَتَوَضَّأُ رَجُلٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يُصَلِّي الصَّلَاةَ إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَها وَبَيْنَ الصَّلَاةِ الَّتِي تَلِيهَا

উছমান (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদের কাছে একটি হাদীছ বর্ণনা করবো, আল্লাহর কসম আল্লাহর কোরআনে যদি একটি আয়াত না থাকত তবে আমি হাদীছটি বর্ণনা করতাম না। আমি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতে শুনেছিঃ

’’কোন ব্যক্তি যখন সুন্দর ও পরিপূর্ণ ভাবে ওযু সম্পাদন করে, অতঃপর ছালাত আদায় করে, তবে তাকে পরবর্তী ছালাত পর্যন্ত ক্ষমা করে দেয়া হয়।’’

 (হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ১৬০ ও মুসলিম ২২৭)[1]

মুসলিমের অপর বর্ণনায় বলা হয়েছে, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

مَنْ تَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ فَصَلَّاهَا مَعَ النَّاسِ أَوْ مَعَ الْجَمَاعَةِ أَوْ فِي الْمَسْجِدِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَهُ

’’যে ব্যক্তি সালাতের জন্য ওযু করে, ওযুকে পূর্ণরূপে সম্পাদন করে। তারপর ফরয সালাত আদায় করার জন্য মসজিদের পানে পথ চলে এবং মানুষের সাথে বা জামাআতে বা মসজিদে সালাত আদায় করে, তবে তার গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’’

মুসলিমের আরেক বর্ণনায় এসেছে: আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথা বলেছেন:

مَنْ تَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ فَصَلَّاهَا مَعَ النَّاسِ أَوْ مَعَ الْجَمَاعَةِ أَوْ فِي الْمَسْجِدِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَهُ

 وفي رواية أيضا قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ( يَقُولُ : مَا مِنَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاةٌ مَكْتُوبَةٌ ، فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا ، وَخُشُوعَهَا ، وَرُكُوعَهَا إِلا كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ ، مَا لَمْ تُؤْتَ كَبِيرَةٌ ، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ.

’’কোন মুসলিম ব্যক্তির নিকট যখন ফরয ছালাতের সময় উপস্থিত হয়, তখন সে সুন্দরভাবে ওযু করে এবং রুকু-সিজদাগুলো বিনয়-নম্রতার সাথে সম্পাদন করে। তাহলে তা পূর্ববর্তী গুনাহ সমূহের জন্য কাফ্ফারা হয়ে যায়- যতক্ষণ সে কাবীরা গুনাহে লিপ্ত না হয়। আর তা বছরের সকল সময়ের জন্য।’’

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) وَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: حدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ انْصِرَافِنَا مِنْ صَلاَتِنَا أُرَاهُ قَالَ : الْعَصْرَ ، فَقَالَ : مَا أَدْرِي أُحَدِّثُكُمْ ، أَوْ أَسْكُتُ ، قَالَ : قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَ خَيْرًا فَحَدِّثْنَا ، وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ فَاَللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ، قَالَ مَا مِنْ مسلم يتطَّهرُ فيُتِمُّ الطهارةَ التي كتبَ الله عليه ، فيصلِّي هذه الصلوات الخمس ، إلا كانت كفَّاراتٍ لما بينها». رواه البخاري ومسلم

(صحيح) و عثمان رضي الله عنه قال: حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم عند انصرافنا من صلاتنا اراه قال : العصر ، فقال : ما ادري احدثكم ، او اسكت ، قال : قلنا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان كان خيرا فحدثنا ، وان كان غير ذلك فالله ورسوله اعلم ، قال ما من مسلم يتطهر فيتم الطهارة التي كتب الله عليه ، فيصلي هذه الصلوات الخمس ، الا كانت كفارات لما بينها». رواه البخاري ومسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬৫. (হাসান সহীহ্) আবু আইয়্যুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’প্রত্যেক নামায তার পূর্ববর্তী গুনাহ গুলোকে মিটিয়ে দেয়।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ ৫/৪১৩, সনদ হাসান)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن صحيح) وَ عَنْ أَبِيْ أَيُّوبَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ الأَنْصَارِيَّ حَدَّثَهُ ، أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، يَقُولُ : إِنَّ كُلَّ صَلاةٍ تَحُطُّ مَا بَيْنَ يَدَيْهَا مِنْ خَطِيئَةٍ. رواه أحمد بإسناد حسن

(حسن صحيح) و عن ابي ايوب رضي الله عنه الانصاري حدثه ، ان النبي صلى الله عليه وسلم ، يقول : ان كل صلاة تحط ما بين يديها من خطيىة. رواه احمد باسناد حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬৬. (হাসান লি গাইরিহী) উছমান (রাঃ) এর ক্রীতদাস হারেছ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উসমান (রাঃ) বসলেন আমরাও তার সাথে বসলাম। এমন সময় মুআয্যিন এলেন। তখন তিনি একটি পাত্রে পানি নিয়ে আসতে বললেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারনা হচ্ছে ঐ পাত্রে এক মুদ (তথা প্রায় ৩৫০ গ্রাম) পরিমাণ পানি ছিল। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি দেখেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ওযুর মতোই ওযু করেছেন, অতঃপর তিনি (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

’’যে ব্যক্তি আমার এই ওযুর ন্যায় ওযু করবে, অতঃপর যোহরের সালাত আদায় করবে, তার ফজর ও যোহর সালাতের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হবে। অতঃপর আসর সালাত আদায় করলে একইভাবে যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করা হবে। অতঃপর মাগরিব সালাত আদায় করলে আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। অতঃপর সে এশার সালাত আদায় করবে, তবে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। অতঃপর হয়ত সে রাতে গড়াগড়ি করে নিদ্রা যাবে। তারপর আবার যদি উঠে ওযু করে ফজরের নামায আদায় করে তাহলে এশা থেকে নিয়ে ফজর পর্যন্ত গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। এ সম্পর্কেই আল্লাহ বলেছেনঃ ’’নেক কাজ সমূহ গুনাহ গুলোকে দূরীভূত করে দেয়।’’

তাঁরা বললেনঃ হে উসমান (রাঃ)! এগুলোতো নেক কাজ (যেগুলো মানুষের গুনাহ গুলোকে মিটিয়ে দেয়) সেই কর্মগুলো কি যা অবশিষ্ট থাকবে (যা আল্লাহর কাছে জমা রাখা হবে)? তিনি বললেনঃ সেগুলো হচ্ছে এ কথা বলাঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-হাওলা ওয়লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ, আবু ইয়া’লা ও বাযযার)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن لغيره) وَعَنْ لْحَارِثَ مَوْلَى عُثْمَانَ قَالَ جَلَسَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَوْمًا وَجَلَسْنَا مَعَهُ ، فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ ، فَدَعَا بِمَاءٍ فِي إِنَاءٍ ، أَظُنُّهُ يكون فِيهِ مُدٌّ ، فَتَوَضَّأَ ، ثُمَّ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ وُضُوئِي هَذَا ، ثُمَّ قَالَ : " وَمَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ، ثُمَّ قَامَ وَمَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَامَ يُصَلِّى صَلاةَ الظُّهْرِ، غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الصُّبْحِ ، ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الظُّهْرِ ، ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْعَصْرِ ، ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْمَغْرِبِ ، ثُمَّ لَعَلَّهُ أَنْ يَبِيتَ يَتَمَرَّغُ لَيْلَتَهُ ، ثُمَّ إِنْ قَامَ فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى الصُّبْحَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْعِشَاءِ ، وَهُنَّ الْحَسَنَاتُ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ " . قَالُوا : هَذِهِ الْحَسَنَاتُ ، فَمَا الْبَاقِيَاتُ يَا عُثْمَانُ ؟ قَالَ : هُنَّ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَسُبْحَانَ اللهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ، وَاللهُ أَكْبَرُ ، وَلا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ رواه أحمد بإسناد حسن وأبو يعلى والبزار:

(حسن لغيره) وعن لحارث مولى عثمان قال جلس عثمان رضي الله عنه يوما وجلسنا معه ، فجاءه الموذن ، فدعا بماء في اناء ، اظنه يكون فيه مد ، فتوضا ، ثم قال : رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يتوضا وضوىي هذا ، ثم قال : " ومن توضا وضوىي هذا ، ثم قام ومن توضا وضوىي هذا ثم قام يصلى صلاة الظهر، غفر له ما كان بينها وبين الصبح ، ثم صلى العصر غفر له ما بينها وبين صلاة الظهر ، ثم صلى المغرب غفر له ما بينها وبين صلاة العصر ، ثم صلى العشاء غفر له ما بينها وبين صلاة المغرب ، ثم لعله ان يبيت يتمرغ ليلته ، ثم ان قام فتوضا وصلى الصبح غفر له ما بينها وبين صلاة العشاء ، وهن الحسنات يذهبن السيىات " . قالوا : هذه الحسنات ، فما الباقيات يا عثمان ؟ قال : هن : لا اله الا الله ، وسبحان الله ، والحمد لله ، والله اكبر ، ولا حول ولا قوة الا بالله رواه احمد باسناد حسن وابو يعلى والبزار:

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬৭. (সহীহ্) জুনদুব বিন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামায আদায় করে সে আল্লাহর জিম্মাদারীর (নিরাপত্তার) মধ্যে এসে যায়। সুতরাং আল্লাহ যেন তার জিম্মাদারীর মধ্যে থেকে কোন কিছু তোমাদের কাছে চেয়ে না বসেন।[1] কেননা তিনি যদি তার জিম্মাদারীর ভিতর কিছু চেয়ে বসেন তাহলে তাকে পাকড়াও করবেন, অতঃপর তাকে মুখের উপর ভর দিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’’

(মুসলিম ৬৫৭, আবু দাউদ, তিরমিযী ২২২ প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। হাদীছের বাক্য মুসলিমের)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) وَعَنْ جُنْدَبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى صَلَاةَ الصُّبْحِ فَهُوَ فِي ذِمَّةِ اللَّهِ فَلَا يَطْلُبَنَّكُمْ اللَّهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَيْءٍ فَإِنَّهُ مَنْ يَطْلُبْهُ مِنْ ذِمَّتِهِ بِشَيْءٍ يُدْرِكْهُ ثُمَّ يَكُبَّهُ عَلَى وَجْهِهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ. رواه مسلم واللفظ له وأبو داود والترمذي وغيرهم

(صحيح) وعن جندب بن عبد الله رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى صلاة الصبح فهو في ذمة الله فلا يطلبنكم الله من ذمته بشيء فانه من يطلبه من ذمته بشيء يدركه ثم يكبه على وجهه في نار جهنم. رواه مسلم واللفظ له وابو داود والترمذي وغيرهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬৮. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমাদের নিকট রাতের ফেরেশতা এবং দিনের ফেরেশতা পরস্পর আগমণ করেন। তারা ফজর এবং আসর নামাযের সময় মিলিত হন।

অতঃপর যে ফেরেশতারা রাতে তোমাদের সাথে ছিলেন, তারা আল্লাহর কাছে চলে যান। তখন আল্লাহ তা’আলা তাদের জিজ্ঞেস করেন অথচ আল্লাহ তাদের সম্পর্কে বেশী জ্ঞান রাখেন। তোমরা আমার বান্দাদের কি অবস্থায় রেখে এসেছো? ফেরেশতারা জবাবে বলেন, আমরা তাদেরকে এ অবস্থায় রেখে এসেছি যে তারা সালাত আদায় করছে এবং আমরা তাদের কাছে গেছি এমন অবস্থায় যে তারা সালাত আদায় করছে।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মালেক ১/১৭০, বুখারী ৫৫৫, মুসলিম ৬৩২, নাসাঈ ১/২৪০)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَتَعَاقَبُونَ فِيكُمْ مَلَائِكَةٌ بِاللَّيْلِ وَمَلَائِكَةٌ بِالنَّهَارِ وَيَجْتَمِعُونَ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ وَصَلَاةِ الْعَصْرِ ثُمَّ يَعْرُجُ الَّذِينَ بَاتُوا فِيكُمْ فَيَسْأَلُهُمْ وَهُوَ أَعْلَمُ بِهِمْ كَيْفَ تَرَكْتُمْ عِبَادِي فَيَقُولُونَ تَرَكْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ وَأَتَيْنَاهُمْ وَهُمْ يُصَلُّونَ. رواه مالك والبخاري ومسلم والنسائي

(صحيح) و عن ابي هريرة رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يتعاقبون فيكم ملاىكة بالليل وملاىكة بالنهار ويجتمعون في صلاة الفجر وصلاة العصر ثم يعرج الذين باتوا فيكم فيسالهم وهو اعلم بهم كيف تركتم عبادي فيقولون تركناهم وهم يصلون واتيناهم وهم يصلون. رواه مالك والبخاري ومسلم والنساىي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬৯. (হাসান) আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

’’যে ব্যক্তি ৫টি জিনিস ঈমানের সাথে বাস্তবায়ন করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে: (১) যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের হেফাযত করবে অর্থাৎ সঠিকভাবে ওযু করবে, ভালভাবে রুকূ’ ও সেজদা করবে এবং সঠিক সময়ে তা আদায় করবে, (২) রামাযান মাসে ছিয়াম পালন করবে (৩) সাধ্য থাকলে আল্লাহর ঘরের হজ্জ করবে (৪) খুশি মনে যাকাত আদায় করবে এবং (৫) আমানত আদায় করবে।

তাঁকে প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রসূল! আমানত আদায় করার অর্থ কি?
তিনি বললেন, ’’জানাবাত তথা নাপাকী থেকে গোসল করা। কেননা আল্লাহ তা’আলা জানাবাতের গোসলের চাইতে কোন বস্ত্ত আদম সন্তানের ধর্মের মধ্যে আমানত স্বরূপ রাখেন নি।’’

(উত্তম সনদে ত্বাবরানী ২/৫৬ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن ) و عَنْ أبِيْ الدَّرْداَءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسٌ مَنْ جَاءَ بِهِنَّ مَعَ إِيمَانٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ مَنْ حَافَظَ عَلَى الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ عَلَى وُضُوئِهِنَّ وَرُكُوعِهِنَّ وَسُجُودِهِنَّ وَمَوَاقِيتِهِنَّ وَصَامَ رَمَضَانَ وَحَجَّ الْبَيْتَ إِنْ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا وَآتى الزَّكَاةَ طَيِّبَةً بِهَا نَفْسُهُ وَأَدَّى الْأَمَانَةَ قيل يا رسول الله وَمَا أَدَاءُ الْأَمَانَةِ قَالَ الْغُسْلُ مِنْ الْجَنَابَةِ إن الله لم يأمن ابن آدم على شيء من دينه غيرها (رواه الطبراني بإسناد جيد)

(حسن ) و عن ابي الدرداء رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خمس من جاء بهن مع ايمان دخل الجنة من حافظ على الصلوات الخمس على وضوىهن وركوعهن وسجودهن ومواقيتهن وصام رمضان وحج البيت ان استطاع اليه سبيلا واتى الزكاة طيبة بها نفسه وادى الامانة قيل يا رسول الله وما اداء الامانة قال الغسل من الجنابة ان الله لم يامن ابن ادم على شيء من دينه غيرها (رواه الطبراني باسناد جيد)

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »