পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৩৬৬. (হাসান লি গাইরিহী) উছমান (রাঃ) এর ক্রীতদাস হারেছ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উসমান (রাঃ) বসলেন আমরাও তার সাথে বসলাম। এমন সময় মুআয্যিন এলেন। তখন তিনি একটি পাত্রে পানি নিয়ে আসতে বললেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারনা হচ্ছে ঐ পাত্রে এক মুদ (তথা প্রায় ৩৫০ গ্রাম) পরিমাণ পানি ছিল। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমি দেখেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার ওযুর মতোই ওযু করেছেন, অতঃপর তিনি (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’যে ব্যক্তি আমার এই ওযুর ন্যায় ওযু করবে, অতঃপর যোহরের সালাত আদায় করবে, তার ফজর ও যোহর সালাতের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হবে। অতঃপর আসর সালাত আদায় করলে একইভাবে যোহর ও আসরের মধ্যবর্তী সময়ে গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করা হবে। অতঃপর মাগরিব সালাত আদায় করলে আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। অতঃপর সে এশার সালাত আদায় করবে, তবে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। অতঃপর হয়ত সে রাতে গড়াগড়ি করে নিদ্রা যাবে। তারপর আবার যদি উঠে ওযু করে ফজরের নামায আদায় করে তাহলে এশা থেকে নিয়ে ফজর পর্যন্ত গুনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। এ সম্পর্কেই আল্লাহ বলেছেনঃ ’’নেক কাজ সমূহ গুনাহ গুলোকে দূরীভূত করে দেয়।’’
তাঁরা বললেনঃ হে উসমান (রাঃ)! এগুলোতো নেক কাজ (যেগুলো মানুষের গুনাহ গুলোকে মিটিয়ে দেয়) সেই কর্মগুলো কি যা অবশিষ্ট থাকবে (যা আল্লাহর কাছে জমা রাখা হবে)? তিনি বললেনঃ সেগুলো হচ্ছে এ কথা বলাঃ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা-হাওলা ওয়লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম আহমাদ, আবু ইয়া’লা ও বাযযার)
الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها
(حسن لغيره) وَعَنْ لْحَارِثَ مَوْلَى عُثْمَانَ قَالَ جَلَسَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَوْمًا وَجَلَسْنَا مَعَهُ ، فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ ، فَدَعَا بِمَاءٍ فِي إِنَاءٍ ، أَظُنُّهُ يكون فِيهِ مُدٌّ ، فَتَوَضَّأَ ، ثُمَّ قَالَ : رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَضَّأُ وُضُوئِي هَذَا ، ثُمَّ قَالَ : " وَمَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ، ثُمَّ قَامَ وَمَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَامَ يُصَلِّى صَلاةَ الظُّهْرِ، غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الصُّبْحِ ، ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الظُّهْرِ ، ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْعَصْرِ ، ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْمَغْرِبِ ، ثُمَّ لَعَلَّهُ أَنْ يَبِيتَ يَتَمَرَّغُ لَيْلَتَهُ ، ثُمَّ إِنْ قَامَ فَتَوَضَّأَ وَصَلَّى الصُّبْحَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهَا وَبَيْنَ صَلاةِ الْعِشَاءِ ، وَهُنَّ الْحَسَنَاتُ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ " . قَالُوا : هَذِهِ الْحَسَنَاتُ ، فَمَا الْبَاقِيَاتُ يَا عُثْمَانُ ؟ قَالَ : هُنَّ : لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَسُبْحَانَ اللهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ، وَاللهُ أَكْبَرُ ، وَلا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ رواه أحمد بإسناد حسن وأبو يعلى والبزار: