৩৬৪

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৬৪. (সহীহ) উছমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন একদিন আসরের নামায থেকে ফেরার সময় আমাদের কাছে হাদীছ বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ

’’জানিনা তোমাদেরকে হাদীছ বলব না কি চুপ থাকব?’’
উছমান (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! যদি ভাল হয় তবে বলুন। আর যদি অন্য কিছু হয় তবে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূল ভাল জানেন।
তিনি বললেনঃ ’’কোন মুসলিম যখন পবিত্রতা অর্জন করে- আল্লাহ্‌ তার জন্য যা লিখে রেখেছেন সে অনুযায়ী পরিপূর্ণরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, অতঃপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে তবে তা তার মধ্যবর্তী গুনাহ সমূহের জন্য কাফ্ফারা হয়ে যায়।’’

অন্য রেওয়ায়াতে রয়েছে,

أن عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ

وَاللَّهِ لَأُحَدِّثَكُمْ حَدِيثًا لَوْلَا آيَةٌ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  يَقُولُ لَا يَتَوَضَّأُ رَجُلٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يُصَلِّي الصَّلَاةَ إِلَّا غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَها وَبَيْنَ الصَّلَاةِ الَّتِي تَلِيهَا

উছমান (রাঃ) বলেন, আমি তোমাদের কাছে একটি হাদীছ বর্ণনা করবো, আল্লাহর কসম আল্লাহর কোরআনে যদি একটি আয়াত না থাকত তবে আমি হাদীছটি বর্ণনা করতাম না। আমি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতে শুনেছিঃ

’’কোন ব্যক্তি যখন সুন্দর ও পরিপূর্ণ ভাবে ওযু সম্পাদন করে, অতঃপর ছালাত আদায় করে, তবে তাকে পরবর্তী ছালাত পর্যন্ত ক্ষমা করে দেয়া হয়।’’

 (হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ১৬০ ও মুসলিম ২২৭)[1]

মুসলিমের অপর বর্ণনায় বলা হয়েছে, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

مَنْ تَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ فَصَلَّاهَا مَعَ النَّاسِ أَوْ مَعَ الْجَمَاعَةِ أَوْ فِي الْمَسْجِدِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَهُ

’’যে ব্যক্তি সালাতের জন্য ওযু করে, ওযুকে পূর্ণরূপে সম্পাদন করে। তারপর ফরয সালাত আদায় করার জন্য মসজিদের পানে পথ চলে এবং মানুষের সাথে বা জামাআতে বা মসজিদে সালাত আদায় করে, তবে তার গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’’

মুসলিমের আরেক বর্ণনায় এসেছে: আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একথা বলেছেন:

مَنْ تَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ فَصَلَّاهَا مَعَ النَّاسِ أَوْ مَعَ الْجَمَاعَةِ أَوْ فِي الْمَسْجِدِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبَهُ

 وفي رواية أيضا قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ( يَقُولُ : مَا مِنَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاةٌ مَكْتُوبَةٌ ، فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا ، وَخُشُوعَهَا ، وَرُكُوعَهَا إِلا كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ ، مَا لَمْ تُؤْتَ كَبِيرَةٌ ، وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ.

’’কোন মুসলিম ব্যক্তির নিকট যখন ফরয ছালাতের সময় উপস্থিত হয়, তখন সে সুন্দরভাবে ওযু করে এবং রুকু-সিজদাগুলো বিনয়-নম্রতার সাথে সম্পাদন করে। তাহলে তা পূর্ববর্তী গুনাহ সমূহের জন্য কাফ্ফারা হয়ে যায়- যতক্ষণ সে কাবীরা গুনাহে লিপ্ত না হয়। আর তা বছরের সকল সময়ের জন্য।’’

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(صحيح) وَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: حدَّثَنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ انْصِرَافِنَا مِنْ صَلاَتِنَا أُرَاهُ قَالَ : الْعَصْرَ ، فَقَالَ : مَا أَدْرِي أُحَدِّثُكُمْ ، أَوْ أَسْكُتُ ، قَالَ : قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَ خَيْرًا فَحَدِّثْنَا ، وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ فَاَللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ، قَالَ مَا مِنْ مسلم يتطَّهرُ فيُتِمُّ الطهارةَ التي كتبَ الله عليه ، فيصلِّي هذه الصلوات الخمس ، إلا كانت كفَّاراتٍ لما بينها». رواه البخاري ومسلم

صحيح و عثمان رضي الله عنه قال حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم عند انصرافنا من صلاتنا اراه قال العصر فقال ما ادري احدثكم او اسكت قال قلنا يا رسول الله صلى الله عليه وسلم ان كان خيرا فحدثنا وان كان غير ذلك فالله ورسوله اعلم قال ما من مسلم يتطهر فيتم الطهارة التي كتب الله عليه فيصلي هذه الصلوات الخمس الا كانت كفارات لما بينها رواه البخاري ومسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৫. সালাত (كتاب الصلاة)