৩৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৩৫৯. (হাসান) আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে। তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ

’’প্রত্যেক নামাযের সময় উপস্থিত হলে একজন আহবানকারী (ফেরেশতা) প্রেরণ করা হয়। তিনি বলেন, হে আদম সন্তান! ওঠো এবং পাপ করে নিজেদের শাস্তির জন্যে যে আগুন তোমরা জ্বালিয়েছো তা নামাযের মাধ্যমে নির্বাপিত কর। তখন তারা ওঠে এবং পবিত্রতা অর্জন করে, তখন তাদের চোখ থেকে পাপগুলো ঝরে পড়ে যায়, তারা নামায আদায় করলে দু’নামাযের মধ্যবর্তী সময়ের পাপগুলো ক্ষমা করে দেয়া হয়। তারপর আবার তারা পাপের মাধ্যমে আগুন জ্বালায়। যখন প্রথম নামাযের সময় হয় তখন ঐ ফেরেশতা আহবান করেন: হে আদম সন্তান! তোমরা নির্বাপিত কর সেই আগুন যা (পাপের মাধ্যমে) নিজেদের জন্যে জ্বালিয়েছো। তখন তারা ওঠে পবিত্র হয় এবং যোহর নামায আদায় করে। তখন তাদের পূর্বের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। একইভাবে যখন আছর, মাগরিব ও এশার নামায আদায় করা হয় তখন অনুরূপ করা হয়। শেষে তারা নিদ্রা যায় এমন অবস্থায় যে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেউ রাত কাটায় কল্যাণের মধ্যে এবং কেউ রাত কাটায় অকল্যাণ বা গুনাহের মধ্যে।’’

(ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, মাযমাউল যাওয়ায়েদ ১/২৯৯)

الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها

(حسن ) وروي عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بن مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَنَّهُ قَالَ: يُبْعَثُ مُنَادٍ عِنْدَ حَضْرَةِ كُلِّ صَلاةٍ، فَيَقُولُ: يَا بني آدَمَ، قُومُوا فَأَطْفِئُوا عَنْكُمْ مَا أَوْقَدْتُمْ عَلَى أَنْفُسِكُمْ، فَيَقُومُونَ فَيَتَطَهَّرُونَ وَتَسْقُطُ خَطَايَاهُمْ مِنْ أَعْيُنِهِمْ، وَيُصَلُّونَ فَيُغْفَرُ لَهُمْ مَا بَيْنَهُمَا، ثُمَّ يُوقِدُونَ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ، فَإِذَا كَانَ عِنْدَ صَلاةِ الأُولَى نَادَى: يَا بني آدَمَ، قُومُوا فَأَطْفِئُوا مَا أَوْقَدْتُمْ عَلَى أَنْفُسِكُمْ، فَيَقُومُونَ فَيَتَطَهَّرُونَ وَيُصَلُّونَ فَيُغْفَرُ لَهُمْ مَا بَيْنَهُمَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الْعَصْرُ فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَإِذَا حَضَرَتِ الْمَغْرِبُ فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَإِذَا حَضَرَتِ الْعَتَمَةُ فَمِثْلُ ذَلِكَ، فَيَنَامُونَ وَقَدْ غُفِرَ لَهُمْ فَمُدْلِجٌ فِي خَيْرٍ، وَمُدْلِجٌ فِي شَرٍّ رواه" الطبراني في الكبير


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ