- সিলেক্ট -
❶ কুরআনের শব্দ/বাক্য দিয়ে খুঁজতে (বাংলা, ইংরেজি ও আরবী)
❷ যে কোন সূরার একাধিক আয়াত খুঁজতে
❸ একাধিক সূরার একাধিক আয়াত খুঁজতে
❹ শব্দে শব্দে কুরআন থেকে খুঁজতে
❺ হাদিসের শব্দ/বাক্য দিয়ে খুঁজতে (বাংলা, ইংরেজি ও আরবী)
❻ গ্রন্থ অনুসারে হাদিসের শব্দ/বাক্য দিয়ে খুঁজতে
❼ হাদিসের নম্বর দিয়ে খুঁজতে
❽ গ্রন্থসমূহ/মাস'আলা মাসায়েল (শব্দ/বাক্য দিয়ে খুঁজতে)
❾ গুগলের মাধ্যমে খুঁজতে
≡
কুরআন ও তাফসীর
হাদিসসমূহ
ইসলামী গ্রন্থাবলী
ভিডিও
নাম অভিধান ও বিবিধ
ডাউনলোড
ডোনেশন
My Account
আল-কুরআন অনুবাদ, তাফসীর ও তিলাওয়াত
আরবী কুরআন তিলাওয়াত
শব্দে শব্দে আল-কুরআন
তিলাওয়াত (সমস্ত সূরার) - কারী অনুসারে
তিলাওয়াত (সমস্ত কারীর) - সূরা অনুসারে
আয়াত নম্বর দিয়ে খুঁজুন [2:10,5:2]
যে কোন একটি সূরার একাধিক আয়াত খুঁজুন
শব্দে শব্দে আল-কুরআন খুঁজুন
বিষয়ভিত্তিক আয়াত (কার্যক্রম চলমান)
হাদিস পড়ুন (সমস্ত গ্রন্থ)
হাদিস শাস্ত্রের পরিভাষা
গ্রন্থ অনুসারে হাদিসের ধরণ ফিল্টার
হাদিসের ধরন অনুসারে পড়ুন
হাদিসের বর্ণনাকারী অনুসারে পড়ুন
গ্রন্থ অনুসারে হাদিসের বর্ণনাকারী
হাদিস নম্বর দিয়ে খুঁজুন
হাদিসের শব্দ দিয়ে খুঁজুন (গ্রন্থ অনুসারে)
তুলনামূলক হাদিস খুঁজুন
বিষয়ভিত্তিক হাদিস (কার্যক্রম চলমান)
বিষয়ভিত্তিক ইসলামী গ্রন্থাবলী
লেখকভিত্তিক ইসলামী গ্রন্থাবলী
বিষয়ভিত্তিক ইসলামিক ভিডিও
ভিডিও সার্চ
আল্লাহর ৯৯ নাম ও অর্থ
শিশুদের নামের তালিকা (চলমান)
শিশুদের নাম খুঁজুন
মাহরাম ও গায়রে মাহরাম তালিকা
Signup
Login
Change Password
ইসলাম কিউ এ ফতোয়া সমগ্র
শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ
১৩ টি অধ্যায়
১৫৮ টি অনুচ্ছেদ
সম্পূর্ণ বইটি একসাথে পড়ুন
অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ তালিকা
1. আল ইরশাদ-সহীহ আকীদার দিশারী
2. আল-ফিকহুল আকবর
3. ইসলাম বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ
4. ঈমান বিধ্বংসী দশটি কারণ
5. কিতাবুত তাওহীদ
6. কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা
7. চার ইমামের আকীদাহ (আবূ হানীফা, মালেক, শাফে‘ঈ ও আহমাদ ইবন হাম্বল)
8. তাওহীদ ও তার প্রমাণাদি
9. তাওহীদ পন্থীদের নয়নমণি
10. তাওহীদের কালেমা: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ [এর ফযীলত, অর্থ, শর্ত ও পরিপন্থী বিষয়]
11. নাজাত প্রাপ্ত দলের আকীদাহ
12. প্রশ্নোত্তরে সহজ তাওহীদ শিক্ষা
13. ফির্কাহ নাজিয়া
14. মানহাজ (আল-আজবিবাতুল মুফীদাহ)
15. শরহুল আকীদাহ আল-ওয়াসেতীয়া
16. শারহুল আক্বীদা আত্-ত্বহাবীয়া
17. শু'আবুল ঈমান (ঈমানের শাখাসমূহ)
18. কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান
19. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জামা‘আতে সালাত আদায় [বিধান, ফযীলত, ফায়েদা ও নিয়ম-কানূন]
20. চেয়ারে বসে সালাত আদায় বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল
21. ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)
22. জানাযা দর্পণ
23. জানাযার নামাযের নিয়ম
24. জানাযার বিধিবিধান
25. জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত
26. নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি
27. প্রশ্নোত্তরে সালাতুদ-দুহার সংক্ষিপ্ত বিধান
28. সালাতুল আউওয়াবীন
29. সালাতের গুরুত্ব ও ফযীলত
30. স্বালাতে মুবাশ্শির
31. দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম [যাকাত অধ্যায়]
32. যাকাত ও সাওম বিষয়ক দু’টি পুস্তিকা
33. যাকাত বিধানের সারসংক্ষেপ
34. প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ
35. রমযান মাসের ৩০ আসর
36. রমযানের দায়িত্ব-কর্তব্য (ইবন রজব আল-হাম্বলী রহ. এর ‘লাতায়িফুল মা‘আরিফ’ অবলম্বনে)
37. রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
38. সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ
39. সাওম বিষয়ক আধুনিক কিছু মাসআলা
40. সিয়াম বিষয়ক নির্বাচিত ফাতওয়া
41. কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উমরা করার নিয়ম
42. কুরআন ও হাদীছের আলোকে হজ্জ, উমরাহ ও মদীনা যিয়ারত
43. কুরবানীর বিধান
44. প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা
45. যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন, ঈদ, কুরবানি ও আইয়ামে তাশরীকের দিনসমূহ
46. হজ উমরা ও যিয়ারত
47. হজ সফরে সহজ গাইড
48. হজে প্রদত্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফাতাওয়া
49. হজের সাথে সংশ্লিষ্ট আকীদাগত ভুল-ভ্রান্তিসমূহ
50. হজ্জ, উমরা ও যিয়ারত গাইড
51. দুআ-মুনাজাত : কখন ও কিভাবে
52. নামাযের দো‘আ ও যিক্র
53. মুমিনের দু‘আ
54. রাহে বেলায়াত
55. সহীহ দুআ ও যিক্র
56. হিসনুল মুসলিম
57. অতি গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় প্রশ্নোত্তর
58. ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কোন ছেলেকে কুরবানী দিয়েছিলেন?
59. ইসলাম কিউ এ ফতোয়া সমগ্র
60. কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ
61. জানাযার কিছু বিধান
62. দীনের ফিক্হ তথা জ্ঞানই ফিতনা থেকে বাঁচার সঠিক উপায়
63. দ্বীনী প্রশ্নোত্তর
64. প্রশ্নোত্তরে ফিকহুল ইবাদাত
65. ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম
66. ফাতাওয়া ও প্রশ্নোত্তর
67. মুখতাসার যাদুল মা‘আদ
68. রূহ সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত মাসআলাসমূহ
69. সহজ ফিকহ শিক্ষা
70. সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ
71. স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর
72. উসীলা গ্রহণ: বৈধ ও অবৈধ পন্থা
73. কুরআন ও হাদীছের মানদন্ডে সুফীবাদ
74. প্রচলিত বিভিন্ন খতম তাৎপর্য ও পর্যালোচনা
75. বাংলাদেশে প্রচলিত শির্ক বিদ‘আত ও কুসংস্কার পর্যালোচনা
76. বিদআত দর্পণ
77. বিদ‘আত ও এর মন্দ প্রভাব
78. বিদ‘আত পরিচিতির মূলনীতি
79. বৈধ ও অবৈধ অসীলা
80. বড় শির্ক ও ছোট শির্ক
81. যে কেউ কোনো জাতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে চলবে সে তাদের দলভুক্ত বলে গণ্য হবে
82. শরী‘আতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও বিদ‘আতের ভয়াবহতা
83. শির্ক কী ও কেন?
84. সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার
85. যুব সমাজের অবক্ষয়, কারণ ও প্রতিকার
86. আকীকা এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধান
87. আদর্শ বিবাহ ও দাম্পত্য
88. আদর্শ মুসলিম পরিবার
89. আমি তাওবা করতে চাই . . কিন্তু !
90. ইসলামী জীবন-ধারা
91. ইসলামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এম এল এম) এর বিধান
92. ইসলামের কিছু আলোচিত বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য বিভ্রান্তি
93. উপদেশ
94. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার ভয়াবহ পরিণতি
95. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে নিষিদ্ধ কর্মকান্ড
96. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে ব্যভিচার ও সমকামিতার ভয়াবহ পরিণতি
97. কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে মদপান ও ধূমপানের অপকারিতা
98. কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে মুসলিম জীবনের আদব-কায়দা
99. কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিকোণে স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা
100. কুরআনে কারীম ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে গুনাহ্ মাফের আমল
101. গুনাহ মাফের উপায়
102. জালেম শাসকের সামনে সত্য তুলে ধরা
103. তাক্বদীরঃ আল্লাহ্র এক গোপন রহস্য
104. দাড়ি রাখা ওয়াজিব
105. ন্যায়ের আদেশ ও অন্যায়ের নিষেধ অত্যাবশ্যক
106. ব্যবসা-বাণিজ্য: করনীয় ও বর্জনীয়
107. মহিলাদের স্রাব ও প্রসূতি অবস্থার বিধিবিধান সংক্রান্ত ৬০টি প্রশ্ন
108. মুসলিম শাসকের প্রতি জনগণের দায়িত্ব ও কর্তব্য
109. মেহমানের মেহমানদারি
110. যুব-সমস্যা ও তার শরয়ী সমাধান
111. লা-তাহযান [হতাশ হবেন না]
112. শারহু মাসাইলিল জাহিলিয়্যাহ
113. শিশুর নাম নির্বাচন: ইসলামী দৃষ্টিকোণ
114. সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের ক্ষেত্রে করণীয়
115. হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামী
116. আর-রাহীকুল মাখতূম
117. নবী-রাসূলগণের ঘটনায় রয়েছে শিক্ষা
118. নবীদের কাহিনী
119. রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের] গৃহে একদিন
120. ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ
121. ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতী শিয়াদের আসল চেহারা
122. দল, সংগঠন, ইমারত ও বায়‘আত সম্পর্কে বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের বক্তব্য
123. সালাফী ও সালাফিয়াত পরিচিতি
124. কুরআনের অর্থ বুঝার সহজ অভিধান
125. মুখতাসারুল ফাওয়ায়েদ (ইবনুল কাইয়্যেম রহ.-এর আল-ফাওয়ায়েদ অবলম্বনে)
126. হাদীসের নামে জালিয়াতি
127. উসূলে ফিক্বহ (ফিক্বহের মূলনীতি)
128. হাদিস শাস্ত্রের পরিভাষা পরিচিতি
129. জাদুকর্ম, জ্যোতিষ ও দৈবকর্ম এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে ইসলামের বিধান
130. যাদুকর ও জ্যোতিষীর গলায় ধারালো তরবারি
131. আলেমগণের মধ্যে মতভেদ কারণ এবং আমাদের অবস্থান
132. আল্লাহর দিকে দাওয়াতের সম্বল
133. নবী-রাসূলগণের দা‘ওয়াতী মূলনীতি
134. কবর যিয়ারত ও কবরবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন
135. কবরের শাস্তি ও শান্তি সম্পর্কে কতিপয় মাসআলা বারযাখী জীবন
136. কিয়ামতের আলামত
137. কিয়ামতের ভয়াবহতা ও তারপর
138. জান্নাত-জাহান্নাম
139. ইয়াহূদী-খৃস্টানরা কি কাফির?
140. কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম
141. খ্রিস্টান বানানোর অপকৌশল থেকে সাবধান
142. ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কি কোনো ইসলামী দলে যোগ দেওয়া যাবে?
143. ধর্মনিরপেক্ষতা ও তার কুফল
144. নাস্তিক্যবাদ উৎস ও সমাধান
145. পবিত্র বাইবেল পরিচিতি ও পর্যালোচনা
146. বাংলাদেশে নাস্তিক্যবাদী অপতৎপরতা : প্রতিরোধের উপায়
147. বারো ইমামের অনুসারী শিয়াদের দৃষ্টিতে চার ইমাম (আবু হানিফা, মালেক, শাফে‘ঈ ও আহমাদ)
148. শিয়া আকিদার অসারতা
149. শিয়া আকীদা সম্পর্কে ইবন তাইমিয়্যার মিনহাজুস সুন্নাহ থেকে নির্বাচিত কিছু কথা
150. নারী শিক্ষা সম্পর্কে ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি
151. পর্দা একটি ইবাদত
152. পর্দাহীনতার পরিণতি
153. পোশাক যখন বিপদের কারণ
154. বেলা ফুরাবার আগে
155. মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান
156. সৌন্দর্য প্রদর্শন ও বেপর্দা প্রসঙ্গে মুমিন নারীদের জন্য কতিপয় নির্দেশনা
157. সৌভাগ্যময় ঘর ও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব
158. আবু বকর ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমার জীবনের কিছু ঘটনা
159. উম্মতের ওপর সাহাবীগণের অধিকারসমূহ
160. আল্লাহ তা‘আলার নান্দনিক নাম ও গুণসমগ্র: কিছু আদর্শিক নীতিমালা
161. ইসলামে হালাল উপার্জন : গুরুত্ব ও তাৎপর্য
162. ব্যাংকের সুদ কি হালাল
163. যে সকল হারামকে মানুষ তুচ্ছ মনে করে থাকে
164. সুদের ক্ষতি-অপকার-কুপ্রভাব
165. হারাম ও কবিরা গুনাহ
আকীদা
অনুচ্ছেদ ১৮ টি
ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহর প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়
ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়?
আসমানী কিতাবসমূহের প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়?
রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনা বলতে কী বুঝায়?
ভালো মৃত্যুর কোন আলামত আছে কি?
কেয়ামতের ছোট ও বড় আলামতগুলো কী কী?
যদি আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের জীবিকা লিপিবদ্ধ করে থাকেন তাহলে কিছু মানুষ না-খেয়ে মারা যায় কেন?
ইসলামে উবুদিয়্যত তথা আল্লাহর দাসত্ব ও মানুষের দাসত্বের স্বরূপ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবেন আশা করছি।
আল্লাহ তাআলা হাদিসে কুদসিতে বলেছেন- "যখন আমি তাকে (বান্দাকে) ভালবাসি তখন আমি তার কান হয়ে যাই, যে কান দিয়ে সে শুনে। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যে চোখ দিয়ে সে দেখে। আমি তার হাত হয়ে যাই, যে হাত দিয়ে সে ধরে। আমি তার পা হয়ে যাই, যে পা দিয়ে সে হাঁটে।" এমতাবস্থায় আমরা স্রষ্টা ও সৃষ্টি একই সত্তা এই মতাদর্শ এবং আল্লাহর গুণাবলী সম্বলিত আয়াতসমূহের ব্যাপারে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অনুসৃত পদ্ধতির মাঝে কিভাবে সমন্বয় করব? আশা করি আপনারা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবেন; আল্লাহ আপনাদের সম্মান বৃদ্ধি করুন। কারণ আল্লাহর গুণাবলীকে অস্বীকারকারী সম্প্রদায় আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে সলফে সালেহীনদের অনুসৃত পদ্ধতিকে এই বলে প্রশ্নবিদ্ধ করেন যে, আমরা যদি আল্লাহর গুণাবলী সম্বলিত আয়াত ও হাদিসকে মূল অর্থে গ্রহণ করি এতে করে স্রষ্টা ও সৃষ্টি এক সত্তা- এ দৃষ্টিভঙ্গি অনিবার্য হয়ে যায়।
আমরা ইসলামি শরিয়ার আলোকে সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই মুসলমানেরা অমুসলমানের প্রতি কোন দৃষ্টিতে তাকাবে এবং অমুসলমানদের সাথে কী ধরনের আচরণ করবে।
কিছু কিছু মানুষ তাদের ধন-সম্পদ, সহায়-সম্পত্তি নেককার ব্যক্তিদের কবরের কাছে আমানত রাখে। তাদের বিশ্বাস হচ্ছে- এই নেককার ব্যক্তিগণ তাদের সম্পদগুলো পাহারা দিবে। ফলে তাদের ধন-সম্পদ চুরি হবে না, ছিনতাই হবে না এবং কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না।
মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য এমন কোন শাসককে নির্বাচিত করা কি জায়েয হবে যে আল্লাহর আইন অনুযায়ী শাসন করে না? উল্লেখ্য, তাকে যদি নির্বাচিত করা না হয় তাহলে সে নানাভাবে কোণঠাসা করে রাখবে; এমন কি গ্রেফতারও করতে পারে।
তাকদীরের প্রতি ঈমান বলতে কী বুঝায়?
কিছু কিছু মানুষ তাদের ধন-সম্পদ, সহায়-সম্পত্তি নেককার ব্যক্তিদের কবরের কাছে আমানত রাখে। তাদের বিশ্বাস হচ্ছে- এই নেককার ব্যক্তিগণ তাদের সম্পদগুলো পাহারা দিবে। ফলে তাদের ধন-সম্পদ চুরি হবে না, ছিনতাই হবে না এবং কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না।
যাদুটোনা থেকে নিরাময়ের উপায়
আমার প্রতিবেশিনী একজন আমেরিকান খ্রিস্টান। খ্রিস্টমাস উপলক্ষে তিনি আমাকে কিছু হাদিয়া পাঠিয়েছেন। আমি তাকে এ হাদিয়াগুলো ফেরত দিতে পারছি না; যাতে তিনি রেগে না যান!! আমি কি এ হাদিয়াগুলো গ্রহণ করতে পারি যেভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরদের পাঠানো হাদিয়া গ্রহণ করেছেন।
বিভিন্ন বার্ষিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার শরয়ি বিধান কী? যেমন- বিশ্ব পরিবার দিবস, বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস, আন্তর্জাতিক প্রবীণ বছর। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন- মেরাজ দিবস পালন, মিলাদুন্নবী বা নবীর জন্মবার্ষিকী কিংবা হিজরত বার্ষিকী পালন করার হুকুম কি। অর্থাৎ এ উপলক্ষে মানুষকে ওয়াজ-নসিহত করার উদ্দেশ্যে কিছু প্রচারপত্র প্রস্তুত করা, আলোচনাসভা বা ইসলামী সম্মেলনের আয়োজন করা ইত্যাদি।
দেওবন্দিরা কি আহলুস সুন্নাহ? তারা কি ইসলামের গন্ডির মধ্যে রয়েছে ?
কুরআন ও কুরআনের জ্ঞানসমূহ
অনুচ্ছেদ ২ টি
পরীক্ষার প্রশ্নে ছাত্রকে যখন কোন একটি আয়াতে কারীমা দিয়ে দলিল পেশ করতে বলা হয় তখন যে ছাত্র আয়াতে কারীমাটির কোন একটি হরফ বা শব্দ ভুলে গেছে সে ঐ হরফ বা শব্দটির স্থানে নিজের মনমত একটি শব্দ লিখে আসে। কারণ সে পরীক্ষায় পাস করতে চায়; ফেল করার ভয়ে সে এটা করে। কিন্তু সে স্বীকার করে- সে যা করেছে সেটা বিকৃতি। এর দ্বারা তার উদ্দেশ্য- কার্যতঃ কুরআন বিকৃতি নয়। কিন্তু পরীক্ষায় ফেল করার ভয়ে সে ভুলে-যাওয়া শব্দটির স্থানে অন্য একটি শব্দ লিখেছে। এটা কি কুরআন বিকৃতির মধ্যে পড়বে; যে কারণে এই ছাত্র ইসলামের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা ইরাশাদ করেন: "মুমিন তো তারাই, যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং রসূলের সাথে কোন সমষ্টিগত কাজে শরীক হলে তাঁর কাছ থেকে অনুমতি গ্রহণ ব্যতীত চলে যায় না।"[সূরা নুর, আয়াত: ৬২] আমরা এ আয়াতটি কিভাবে অনুসরণ করব এবং নিজেদের জীবনে কিভাবে বাস্তবায়ন করব?
হাদিস ও হাদিসের জ্ঞানসমূহ
অনুচ্ছেদ ৩ টি
আসসালামু আলাইকুম। আমি কিছু পরিভাষার ব্যাপারে জানতে চাই। আশা করব আপনারা সে পরিভাষাগুলো স্পষ্ট করবেন। যেমন কিছু আলোচনাতে শুনি: হাদিসে মারফু, হাদিসে মাকতু?
প্রশ্ন: আমি জানতে চাই- রজব মাসের প্রথম রাত্রিতে বলতে হয় এমন কোন নির্দিষ্ট দু’আ আছে কি? দু’আটি হচ্ছে- “আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজব ও শাবান ওয়া বাল্লিগ না রমজান।” আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে সহিহ হাদিসের উপর অটল রাখেন।
প্রশ্ন: আমি একজন আলোচককে “রোজাদারের ঘুম ইবাদত” এই শীর্ষক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি হাদিস বলতে শুনেছি। এই হাদিসটি কি সহীহ?
পারিবারিক ফিকাহ
অনুচ্ছেদ ২ টি
একজন নারীর জন্য একই সময়ে তিন বা চারজন পুরুষকে বিয়ে করা নাজায়েয কেন? অথচ একজন পুরুষ তিন বা চারজন নারীকে বিয়ে করতে পারে।
সংক্ষেপে বিয়ের রুকন, শর্ত ও ওলি বা অভিভাবক এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তসমূহ
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
অনুচ্ছেদ ১ টি
ফিল্ম দেখা ছেড়ে দিয়েছিল; কিন্তু ভুলে গিয়ে একটি ফিল্ম দেখে ফেলেছে। এখন জানতে চাচ্ছে কিভাবে ফিল্ম দেখা একেবারে ছেড়ে দিতে পারবে
শিষ্টাচার, আখলাক ও অন্তর পরিচর্যা
অনুচ্ছেদ ৯ টি
যুহুদ বা দুনিয়া-বিমুখতা বলতে কী বুঝায়? তালি-দেয়া কাপড় পরা, প্রতিদিন রোজা রাখা, সমাজ থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি কী যুহুদ?
এক নারী আমাকে চুম্বন করেছে। তাতে সাড়া দিয়ে আমিও তাকে চুম্বন করেছি এবং আমরা একে অপরকে স্পর্শ ও চুম্বন করতে থাকলাম। অনতিবিলম্বে সে আমাকে চূড়ান্ত যৌন কর্মের আবেদন জানাল। কিন্তু আমি আল্লাহর কাছে ব্যভিচারের শাস্তির ভয়ে তা হতে বিরত থেকেছি। আমি যা করেছি সে কর্মের কারণে আমি কি যিনাকারী (ব্যভিচারী) গণ্য হব? আমি শুধু আঙ্গুল প্রবেশ করিয়েছিলাম।
যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে “কুত্তা” বলে অথবা “শুয়োর” বলে অথবা এ ধরনের অন্য কোন অশ্লীল শব্দ বলে গালি দিয়েছে তার উপর কী অনিবার্য হবে? সে কি গুনাহগার হবে?
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তরে আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা যে নির্যাতন নিষ্পেষণের শিকার হচ্ছে তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য কী?
আমার প্রশ্নটির বিভিন্নরকম উত্তর পাওয়া যায়। সহবাসকালে কোন কিছু পড়া কি আবশ্যকীয়? প্রথমবার সহবাস করার পূর্বে নামায পড়া কি মুসলিম স্বামী-স্ত্রীর উপর আবশ্যকীয়?
জনৈক ব্যক্তির জিন্দেগী রাশি রাশি পাপে ভরপুর। বর্তমানে সে এক জটিল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা নেয়ার বহু চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। ডাক্তার বলেছেন, এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই। এ পর্যায়ে এসে তিনি অত্যন্ত অনুতপ্ত এবং গুনাহ থেকে তওবা করতে ইচ্ছুক। যে রোগ থেকে মুক্তির আশা নেই এমন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত এই ব্যক্তির তওবা কী শুদ্ধ হবে?
আমি প্রকৃত ইসলামের অনুসারী নারী হতে চাই। আমি কিভাবে শুরু করতে পারি। আমি এখনও সে রকম খারাপ নই। তবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সবগুলো পড়া হয় না। এখনো পুরোপুরি ইসলামি পোশাক পরিধান করি না। আমি এখন কিভাবে শুরু করব।
বর্তমানে আমি মানসিকভাবে খুব ভেঙ্গে পড়েছি। মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করতে পারছি না। আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে অথবা মৃত্যু ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে ভাবতে পারছি না। তবে, তা সত্ত্বেও আমি এই মুহূর্তে মরতে চাই না। আল্লাহর কাছে আশা করছি, আমি যে পাপ করেছি তিনি তা ক্ষমা করে দেবেন। আমার সমস্যাটা হল, বিগত কয়েক মাস ধরে আমি এক নারীর সাথে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছি। তার সাথে কোন হারাম সম্পর্ক করার আমার কোনোরূপ ইচ্ছা ছিল না। তবে যে কারণে আমি তার কাছাকাছি এসেছি সেটা হল আমি তাকে বুঝাতে চেয়েছি যাতে সে আত্মহত্যার ইচ্ছা থেকে সরে আসে। সে আত্মহত্যা করবে বলে মনস্থির করেছিল। সে উচ্চমাত্রার ট্যাবলেট গ্রহণ করত। আমি তাকে আত্মহত্যার পাপ থেকে বাঁচানোর জন্য নানা উপদেশ ও চেষ্টা করতাম। আমার ইচ্ছা ছিল তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানো। তবে যা ঘটল তা হলো- ক্রমান্বয়ে আমাদের মাঝে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলো। তবে আমরা কখনো যৌনকর্মে লিপ্ত হই নি। এ ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছাও আমার ছিল না। মহিলাটি বিবাহিত। সমস্যা হলো- সে দাবি করছে, আমি একবার তার সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হয়েছি। আমি তার কথা বিশ্বাস করি না। কেননা আমি কখনো আমার কাপড় খুলিনি। তবে সে ছিল অর্ধনগ্ন। আমার ভয় হচ্ছে, আমি গুনাহ করে ফেলেছি; যদিও আমি তার সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হই নি। তবে যদি সত্যি তার দাবি অনুযায়ী এরূপ কর্ম করে থাকি, তবে তো আমার রক্ষা নেই। আমি তাকে বিশ্বাস করি না; কারণ আমি বুঝতে পেরেছি, সে আমার ভালো চায় না। আর তার আত্মহত্যার অভিনয়টি ছিল আমার নিকটবর্তী হওয়ার জন্য নিছক একটি ছলনা। বর্তমানে আমি খুবই উৎকণ্ঠিত। আমি ঘুমাতে পারি না, কোনো কিছু করতে পারি না। যা হয়েছে তার জন্য আমি লজ্জিত। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন। আমি তো শুধু তাকে দোযখের আগুন থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম; আর কিছু চাইনি। তবে এখন আমার ভয় হচ্ছে- আমি নিজেকে নিজে ধ্বংস করার কারণ হয়েছি।
প্রশ্ন: রমজান মাসে কুরআন মুখস্থ করা উত্তম; নাকি কুরআন তেলাওয়াত করা?
ইসলামী আইন ও এর মূলনীতি
অনুচ্ছেদ ৮৯ টি
যে রোগ থেকে স্বভাবতঃ সুস্থতা আশা করা যায় না এমন হৃদরোগের কারণে ডাক্তারেরা জনৈক মহিলাকে রোযা পালন করতে নিষেধ করেছিলেন। তাই তিনি রমজানে রোযা না রেখে প্রতিদিনের রোযার পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াতেন। এরপর আল্লাহর ইচ্ছায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরো অগ্রগতি হয়। ফলে তাঁর হার্টে ভাল্বের সার্জারি করা সম্ভব হয় এবং আলহামদুলিল্লাহ্, উক্ত সার্জারি সফল হয়। তবে তিনি বেশ কিছুদিন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং আল্লাহ্ তাকে গত রমজানে সিয়াম পালনের তাওফিক দেন। এখন তিনি জানতে চাচ্ছেন, যে দিনগুলোতে তিনি রোযা ভঙ্গ করেছিলেন সে ব্যাপারে কি করবেন? তিনি কি সেই দিনগুলোর রোযা কাজা করবেন। তাতে তাঁকে ১৮০ দিন রোযা রাখতে হবে। যা ছয় বছরের রোযার সমান। নাকি তিনি সে সময় রোযার পরিবর্তে যে ফিদিয়া (খাদ্য দান) আদায় করেছিলেন সেটাই তাঁর জন্য যথেষ্ট হবে?
আমি শুনেছি আশুরার রোজা নাকি বিগত বছরের গুনাহ মোচন করে দেয়- এটা কি সঠিক? সব গুনাহ কি মোচন করে; কবিরা গুনাহও? এ দিনের এত বড় মর্যাদার কারণ কি?
আমাদের স্থানীয় ইমাম মানুষকে কতিপয় বিদআতের দিকে আহ্বান করেন। কিছু দ্বীনদার ভাই দলিল-প্রমাণসহ এ ব্যাপারে তাঁকে সাবধান করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি এ বিদআতগুলোর পক্ষে অটল অবস্থানে রয়েছেন। যদি জানা যায় যে, আজকের খোতবায় খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবেন যেমন- মিলাদ, শবে বরাত, ইত্যাদি সেক্ষেত্রে আপনারা কি এ পরামর্শ দিবেন যে, সে ব্যক্তি জুমার খোতবা শুনতে যাবে না। কেউ যদি মসজিদে গিয়ে শুনতে পায় যে, খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন তখন সে ব্যক্তির করণীয় কী? সে কী খোতবার মাঝখানে উঠে বাড়ীতে এসে যোহরের নামায আদায় করবে? অন্যথায় সে কী করবে? এ ধরণের খোতবা শুনায় হাজির থাকলে ব্যক্তি কি গুনাহগার হবে? কারণ কিছু ভাই নসিহত করার পরও খতীবসাহেব তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির উপর অটল অবস্থানে রয়েছেন। কেউ যদি খোতবার মধ্যে দুর্বল ও বানোয়াট হাদিস উল্লেখ করে তার ক্ষেত্রেও কি একই হুকুম প্রযোজ্য? আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।
একজন তরুণের জন্য কখন ইজতিহাদ করা ও ফতোয়া দেয়া জায়েয? কারণ কিছু কিছু তরুণ দ্বীনদার হওয়ার পর প্রায়শ শরিয়তের দলিল-প্রমাণ নিয়ে আলোচনা ও বিশ্লেষণে জড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন সাম্প্রতিক ইস্যু ও মাসয়ালার বিধান নির্ণয় করার চেষ্টা করে- যা হালাল বা হারাম ঘোষণা করার শামিল। তারা নিজেদের বিচার-বিশ্লেষণ অনুযায়ী কিছু কিছু সাম্প্রতিক ইস্যুর ফিকহী বিধান বলারও চেষ্টা করে।
মিলাদুন্নবীর দিন, অথবা এর আগের দিন, অথবা এর পরের দিন মিলাদুন্নবীর মিষ্টান্ন খাওয়া কি হারাম? এই মিষ্টান্ন ক্রয়ের বিধান কি? বিশেষতঃ এই মিষ্টান্ন এই দিনগুলো ছাড়া অন্য কোন সময় পাওয়া যায় না। আশা করি জবাব দিয়ে বাধিত করবেন।
নখে রঙ লাগিয়ে নামায পড়া কী ইসলাম অনুমোদন করে?
স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছেন। সহবাসের পরপরই স্ত্রীর মাসিক শুরু হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় স্ত্রীকে সহবাসের কারণে তখনি ফরজ গোসল করতে হবে; নাকি মাসিক শেষ হওয়ার পর গোসল করলে চলবে?
আমার প্রশ্ন হচ্ছে স্ত্রী তার স্বামীর সাথে থাকার পরে কখন তার উপর গোসল ফরজ হবে? গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- তারা সহবাসে লিপ্ত হয়নি। যা ঘটেছে সেটা হচ্ছে তারা হাত দিয়ে একে অপরকে উপভোগ করেছে। পরবর্তী দিনের রোজা শুরু করার আগে কি গোসল করা তাদের উপর ফরজ?
ভালো মৃত্যুর কোন আলামত আছে কি?
কোন কাফের মারা গেলে তার পরিবারকে সমবেদনা জানানোর হুকুম কী? চাই তার পরিবার-পরিজন মুসলিম হোক অথবা কাফের হোক।
আমি রাগের মাথায় মান্নত (প্রতিজ্ঞা) করেছিলাম- আমার ছেলেকে মেরে রক্তাক্ত করব। কিন্তু আমি সেটা করিনি। এখন আমার কী করণীয়; এ ব্যাপারে আমাকে জানাবেন। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।
প্রায় দেড় বছর ধরে আমার দাদী/নানী অসুস্থ। তাঁর হুঁশ নেই, তিনি কথা বলতে পারেন না এবং খাবারদাবারও চান না। যদি আমরা তাঁকে কোন খাবার দেই তবে তিনি খান। তাঁর সাথে কেউ কথা বললে তিনি কদাচিৎ তাকে চিনতে পারেন। তাঁর যা প্রয়োজন সেটাও তিনি আমাদেরকে বলেন না।[যেমন ধরুন তিনি বলেন না যে, আমি টয়লেটে যাব। আল্লাহ আপনাদেরকে সম্মানিত করুন**] তাঁর অবস্থা হলো- তিনি কোন নড়াচড়া ছাড়া বিছানার উপর ঘুমিয়ে থাকেন। তাঁর ছেলেরা তাঁকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। আমি তাঁর সিয়াম ও সালাতের ব্যাপারে জানতে চাই। আমরা কি তাঁর পক্ষ থেকে ফিদিয়া আদায় করব এবং ইতিপূর্বে গত অবস্থার জন্য আমাদের কোন করণীয় আছে কী? [** আরবী ভাষাভাষীরা অপবিত্র জিনিস যেমন জুতো, টয়লেট ইত্যাদির কথা উল্লেখের পর সাধারণত “আল্লাহ আপনাদের সম্মানিত করুন” এই দু‘আটি উল্লেখ করে থাকে।]
আমি হল্যাণ্ডে থাকি। এখানে লোকেরা প্রথম রমজানের দিন মতভেদে জড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ মিশরের সাথে রোজা রাখে। আবার কেউ কেউ সৌদি আরবের ঘোষণার জন্য অপেক্ষায় থাকে। এ ক্ষেত্রে কোন অবস্থানটি সঠিক?
নারীদের নাকে ফুল পরা কি জায়েয?
জনৈক ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করতেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি নিরুদ্যম হয়ে পড়েন। এখন তিনি আগের মত কুরআন তেলাওয়াত করেন না। দ্বীনদারির ক্ষেত্রে উদ্যমহীনতা দূর করার উত্তম উপায় কী?
আমি একজন অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আপনাদের বিশ্বাসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছি। কিন্তু এ বিষয়টি বুঝা কঠিন যে, এক ব্যক্তি একটা কথা বলল, আর সে কথাটার কারণে তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হবে- আমি সালমান রুশদির কথা বুঝাতে চাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যেহেতু মানুষ তাই এ ধরনের কোন রায় প্রকাশ করার অধিকার আমাদের নেই। এ ধরনের বিষয়ের ফয়সালা আল্লাহই করবেন।
প্রথমে আমি মাহে রমজান মাস উপলক্ষে আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করছি- আল্লাহ যেন আমাদের ও আপনাদের সিয়াম ও ক্বিয়াম কবুল করে নেন। আশা করছি- আমি রমজানের এই সুযোগকে সাধ্যানুযায়ী ইবাদতের মধ্যে ও সওয়াব হাছিলে কাজে লাগাব। তাই আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করব, আপনারা আমার ও আমার পরিবারের জন্য উপযোগী একটি প্রোগ্রাম উপস্থাপন করুন, যাতে আমরা এই মাসটি ভালো আমল ও আল্লাহর আনুগত্যের মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারি।
মরক্কোর অধিবাসীদের মধ্যে শিশুর খতনা উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার প্রথা চালু আছে। এই অনুষ্ঠান করা কি সুন্নত; না বিদআত?
জনৈক ব্যক্তি সরকারের অর্থ বিভাগে চাকুরী করেন। তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে- কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পাদন করা। এর মধ্যে রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে স্ব স্ব বেতন সম্পর্কে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা। তাদের কেউ কেউ এই প্রত্যয়নপত্রটি সুদী ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে ব্যবহার করে থাকেন। এমতাবস্থায়, প্রত্যয়নপত্র ইস্যুকারী ব্যক্তি গুনাহগার হবেন কি না? উল্লেখ্য, এটা তার অফিসিয়াল দায়িত্ব।
আমি জানি না আমার ঠিক কি করা উচিত? আমি বড় একটা গুনাহ করে ফেলেছি। আমি জানি, আমাদের সুন্দর ধর্মে “ধর্মগুরুর কাছে স্বীকারোক্তি” এ রকম কিছু নেই। কিন্তু আমি যেনা করে ফেলেছি। আমি আল্লাহর কাছে তওবা করতে চাই এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই। আমি সূরা নূরের মধ্যে পেয়েছি যে, আমার মত ব্যক্তি কোন পুতপবিত্রা নারীকে বিয়ে করতে পারবে না। এখন আমার কী করা উচিত? আমি আশা করব আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাআলা আমার জন্য জাহান্নামের শাস্তি লাঘব করেন।
কোন মুসলিমের জন্য কি বিভিন্ন জীবজন্তু যেমন ইঁদুর কাটা জায়েয আছে? যদি সেটা লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে হয়। অনুরূপভাবে শুকর কাটা ও মানুষের হাড্ডি স্পর্শ করা কি জায়েয আছে?
যয়তুন তেলে ঝাড়ফুঁক করার ব্যাপারে আপনাদের মতামত কী? একই বোতলে কি একাধিক ব্যক্তি ঝাড়ফুঁক করতে পারেন?
রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে বর্তমানে চেচনিয়াবাসী যে পরিস্থিতির মধ্যে আছে এ অবস্থায় চেচনিয়ার মুসলমানদেরকে যাকাত দেয়া কি জায়েয হবে?
একটি প্রাইভেট হসপিটাল কর্তৃপক্ষ সরকারী হসপিটালের ডাক্তারগণকে প্রস্তাব দেন: আপনারা যদি কিছু ডায়াগনস্টিক টেস্ট করানোর জন্য আমাদের হাসপাতালে রোগী প্রেরণ করেন, যে টেস্টগুলো শুধু আমাদের কাছেই আছে তাহলে টেস্ট বিলের কিছু পার্সেন্টিজ আপনারা পাবেন। এটা কি ঘুষ?
একটা কসাইখানাতে বেশ কিছু শ্রমিক কাজ করে। তাদের মধ্যে কিছু লোক নামায পড়ে না। আর কিছু লোক নামায পড়ে। এদের মধ্যে অধিকাংশ লোক ইসলামকে গালিগালাজ করে। এই ব্যক্তিদের যবেহকৃত পশুর গোশত খাওয়া কি জায়েয হবে?
মসজিদ পুনঃনির্মাণের বিধান কী? মসজিদ পুনঃনির্মাণের সওয়াব কি মসজিদ নির্মাণের সওয়াবের সমান?
কেউ যদি শিশু প্রতিপালন কেন্দ্র হতে কোন শিশুকে পালক নিতে চায় প্রতিপালন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের জন্য সে ব্যক্তিকে শিশুটি দেয়া কি জায়েয হবে?
যে নারীর মাসিক শুরু হয়েছে তিনি লাইলাতুল কদরে কী করবেন? তিনি কি ইবাদত বন্দেগীতে মশগুল হয়ে তার সওয়াব বাড়াতে পারবেন? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তবে এই রাতে তিনি কী কী ইবাদত করতে পারবেন?
আমার মা মারা গেছেন। তিনি জীবিত থাকতে আমাকে বলে গেছেন যে,তার উপর দুই বছরের রমজান মাসের রোযা কাযা করা বাকি আছে। যখন রমজান মাস এসেছিল তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি কাযা পালন করে যেতে পারেননি । আমি কি তার পক্ষে রোযা আদায় করব, নাকি মিসকীন খাওয়াব? এই মিসকীন খাওয়ানোর পদ্ধতিটা কি? আমি কি একটি ছাগল জবাই করে সেই গোস্ত ৬০টি বাড়িতে বণ্টন করে দিব, নাকি সেই খাবারের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ দান করে দিব ?
আমি ইতিকাফে বসতে চাই। কিন্তু ডাক্তারের সাথে আমার গুরুত্বপূর্ণ এপয়েন্টমেন্ট আছে। আমি কি ইতিকাফ অবস্থায় ডাক্তারের কাছে যেতে পারব? নাকি আমার জন্য ইতিকাফ করা ওয়াজিব নয় ?
এক ব্যক্তি সফরে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প করে রোযা না-রাখার নিয়ত করেছেন। ফজর হওয়ার পর তিনি তার সফর বাতিল করেছেন; কিন্তু রোযা ভঙ্গকারী কোন বিষয়ে লিপ্ত হননি। এক্ষেত্রে তার হুকুম কি?
আমার বাবা চোয়ালের ব্যথায় আক্রান্ত রোগী। ডাক্তার তাকে চোয়ালের নড়াচড়ার সচলতা বজায় রাখতে চুইংগাম খেতে বলেছেন। তাঁর সিয়াম পালনকালীন সময়ে কি চুইংগাম খাওয়া ঠিক হবে?
আমি কিয়ামুল লাইল ও তারাবীর নামাযের মধ্যে পার্থক্য জানতে চাই।
আমি একজন মুসলিম নারী। আমি নিয়মিত তারাবী সালাত আদায় করি। আমি যদি সালাত আদায় করতে মসজিদে না যাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমার ছোট ভাই সেও মসজিদে যায় না। মসজিদে গেলে আমরা ইমামের সাথে বিতিরের সালাত আদায় করি। আমি শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় ও কুরআন তিলাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তুলেছি। তবে বিতিরের সালাত আদায় করার পর তো আর তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে পারি না। এখন আমার ক্ষেত্রে কোনটি বেশি ভাল? তারাবীর সালাত আদায় করতে মসজিদে যাওয়া যাতে আমার ভাই মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে পারে। নাকি বাসায় থেকে শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা। এই দুইটির মধ্যে কোনটিতে বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে
আমার বাবা মারা গেছেন। তিনি মারা যাওয়ার আগের বছর রোগের কারণে রমজানের দুই দিনের রোযা রাখতে পারেননি। তিনি শাওয়াল মাসে মারা যান। তিনি বলেছিলেন যে, এই দুই দিনের রোযার পরিবর্তে তিনি মিসকীন খাওয়াবেন। এখন এর হুকুম কী এবং আমাদের উপরই বা কী করা ওয়াজিব? আমরা কি তার পক্ষ থেকে রোযা পালন করব এবং ফিদিয়া দিব, নাকি শুধু ফিদিয়া দিব? উল্লেখ্য যে, আমরা জানি না তিনি কি এই দুই দিনের পরিবর্তে ফিদিয়া দিয়েছিলেন অথবা রোযা রেখেছিলেন। তিনি ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত ছিলেন বিধায় খুব কষ্ট করে রমজান মাসে রোযা পালন করতেন।
আমি দুই ঈদের নামাযের ক্ষেত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ কী সেটা জানতে চাই।
ইফতারের মধ্যে অপচয় কি রোযার সওয়াব কমিয়ে দেয়?
নারীর জন্য তার নিজ ঘরে ইতিকাফ করা কি জায়েয আছে? যদি জায়েয হয় সেক্ষেত্রে তার যদি রান্নাবান্না করার প্রয়োজন পড়ে, তখন কি করবে?
রমজান মাসে ফজরের আযানের আগ থেকে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করছিলাম। আযান চলাকালীন সময়েও আমি সহবাসরত ছিলাম। তবে আযান শেষ হওয়ার আগেই আমরা বিরত হয়েছি। আমার ধারণা ছিল যে, মুয়াজ্জিনের আযান শেষ করার পূর্ব পর্যন্ত সহবাস করা জায়েয। এখন আমার করণীয় কি?
আমি স্বেচ্ছায় রমজান মাসে একদিন রোযা ভেঙ্গে ফেলেছিলাম। এখন ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানোর নিয়্যত করেছি। প্রশ্ন হচ্ছে-মিসকীনদেরকে কি একবারেই খাওয়ানো শর্ত, নাকি আমি প্রতিদিন তিন বা চারজন করে মিসকীন খাওয়াতে পারি? আমার পরিবারের সদস্যরা (যেমন আমার বাবা,মা ও ভাইয়েরা) যদি মিসকীন হয়ে থাকে আমি কি তাদেরকে খাওয়াতে পারি।
ইতিকাফের সর্বনিম্ন সময় কতটুকু? আমি কি অল্প কিছু সময়ের জন্য ইতিকাফ করতে পারি? নাকি একসাথে কয়েকদিনের জন্য ইতিকাফ করতে হবে?
প্রায় দেড় বছর ধরে আমার দাদী/নানী অসুস্থ। তাঁর হুঁশ নেই, তিনি কথা বলতে পারেন না এবং খাবারদাবারও চান না। যদি আমরা তাঁকে কোন খাবার দেই তবে তিনি খান। তাঁর সাথে কেউ কথা বললে তিনি কদাচিৎ তাকে চিনতে পারেন। তাঁর যা প্রয়োজন সেটাও তিনি আমাদেরকে বলেন না।[যেমন ধরুন তিনি বলেন না যে, আমি টয়লেটে যাব। আল্লাহ আপনাদেরকে সম্মানিত করুন**] তাঁর অবস্থা হলো- তিনি কোন নড়াচড়া ছাড়া বিছানার উপর ঘুমিয়ে থাকেন। তাঁর ছেলেরা তাঁকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে। আমি তাঁর সিয়াম ও সালাতের ব্যাপারে জানতে চাই। আমরা কি তাঁর পক্ষ থেকে ফিদিয়া আদায় করব এবং ইতিপূর্বে গত অবস্থার জন্য আমাদের কোন করণীয় আছে কী? [** আরবী ভাষাভাষীরা অপবিত্র জিনিস যেমন জুতো, টয়লেট ইত্যাদির কথা উল্লেখের পর সাধারণত “আল্লাহ আপনাদের সম্মানিত করুন” এই দু‘আটি উল্লেখ করে থাকে।]
অন্য কোন রাত্রিতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় না করে শুধু লাইলাতুল কদরের রাত্রিতে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করার বিধান কি?
কারো যদি বৃষ্টি প্রার্থনার নামায অথবা ঈদের নামাযের কিছু অংশ ছুটে যায় যেমন -কেউ ২য় রাকাতে এসে শামিল হলো অথবা কারো রুকু-সেজদা ছুটে গেল সেক্ষেত্রে তার জন্য কী করা ওয়াজিব?
সিয়ামের আয়াতে উল্লেখিত ফিদিয়া এর পরিমাণ কতটুকু?
রমজানের আগে আমার স্ত্রী বিগত রমজান মাসের কিছু কাযা রোযা পালন করছিলেন। এমতাবস্থায় আমি তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হয়েছি। সে সবগুলো রোযা কাযা করতে পারেনি। বিঃ দ্রঃ সে পূর্বেই আমার কাছে রোযা পালনের অনুমতি চেয়েছিল এবং আমি তাকে অনুমতি দিয়েছিলাম।
আমরা মরক্কোর একটি সংস্থার সদস্য। বর্তমানে বার্সেলোনাতে বসবাস করছি। আমরা সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা কিভাবে হিসাব করব?
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নত হওয়া সত্ত্বেও কেন মুসলমানেরা ইতিকাফ করা ছেড়ে দিয়েছে? ইতিকাফের মূল উদ্দেশ্যই বা কি?
তারাবীর সালাতে ইমামের পেছনে মুক্তাদির কুরআন ধরে রাখা কি জায়েয?
দুই ঈদে সংঘটিত হয় এমন কোন্ কোন্ ভুল ও শরিয়ত গর্হিতকাজ থেকে আমরা মুসলিম সমাজকে সতর্ক করবো? আমরা কিছু কাজ দেখে সেগুলোর বিরোধিতা করে থাকি। যেমন-ঈদের নামাযের পরে কবর যিয়ারত করা এবং ঈদের রাতে জেগে থেকে ইবাদত করা...।
আমি ছুটি কাটাচ্ছিলাম। ছুটিকালীন সময়ে উমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে পবিত্র মক্কা নগরী সফর করি। মক্কা থেকে মদিনা মুনাওয়ারাতে যাই। সেখানে আমি রমজানের দিনের বেলায় আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি; কিন্তু কোন বীর্যপাত হয়নি। প্রশ্ন হলো- এজন্য আমার উপর কি কোন কিছু আবশ্যক হবে? যদি আমার উপর কিছু আবশ্যক হয়ে থাকে আমার জানা মতে সেটা এই ক্রমধারায় আবশ্যক হয়- একজন দাসমুক্তি; আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় এটা পালন করা আমার পক্ষে সম্ভবপর নয়। অথবা একাধারে দুই মাস সিয়াম পালন; আমার ফিল্ড ওয়ার্কধর্মী চাকুরী ও গ্রীষ্মের তীব্র গরমের কারণে এটা পালন করাও আমার জন্য কঠিন। তবে কি আমি ৬০ জন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াবো? আমার স্ত্রীর উপরও কি একই জরিমানা আবশ্যক হবে, যদি সে সহবাসের প্রস্তাবে রাজি থাকে? এখানে উল্লেখ্য যে, আমি রিয়াদের অধিবাসী। কিন্তু মদিনাতে আমার একটি বাড়ি আছে। ছুটি কাটাতে আমি মদিনাতে যাই।
নারীদের জন্য রমজানের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করা জায়েয কি না?
আমার বাবা মারা গেছেন (আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন)। তিনি কিছু সম্পদ রেখে গেছেন। সে সম্পদ ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর মা আমাকে জানিয়েছেন যে, ২৫ কি ৩০ বছর আগে বাবা একবার রমজান মাসে তাঁর সাথে সহবাস করেছিলেন; যে ব্যাপারে আমার মা অসম্মত ছিলেন। আমার মা যতটুকু স্মরণ করতে পারছেন, সে সময় আমার মায়ের একটা অপারেশন করার পর তিনি হসপিটাল থেকে রিলিজ পেয়েছিলেন। তিনি আরো জানান যে, তিনি সে সময় বাবাকে বুঝিয়েছিলেন যে, এটি জায়েয নয় এবং এ ব্যাপারে কাউকে জিজ্ঞেস করা উচিত। কিন্তু বাবা মাকে বুঝিয়েছেন যে, তিনি তওবা করেছেন এবং আল্লাহ মহা-ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। আমার মা আরো জানিয়েছেন যে, তিনি লজ্জার কারণে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে বা আমাদেরকে জানাতে পারেননি। এখন আমার মা চাচ্ছেন- তিনি দুই মাস রোযা পালন করে এর কাফ্ফারা আদায় করবেন। আমি তাকে বলেছি যে, যা হয়েছে তাতে তাঁর কোন হাত ছিল না। তাই তাঁকে কিছু করতে হবে না। তাছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থাও এর জন্য প্রস্তুত নয়। এখন আমাদের মৃত পিতার ব্যাপারে আমাদের কী করণীয়? আর আমার মার উপর কী করণীয় ?
কোন শ্রেণীর মিসকীনকে সিয়ামের ফিদিয়া প্রদান করা যাবে? কতটুকু পরিমাণ এবং কোন প্রকারের খাদ্য?
বার্ধক্য বা অসুস্থতার কারণে রোযা পালনে অক্ষম ব্যক্তির ফিদিয়ার পরিমাণ
কোকাকোলা পান করার হুকুম
রোযার ফিদিয়া কি অমুসলিমকে খাওয়ানো যাবে?
আমরা লাইলাতুল কদরে কী কী ইবাদত পালন করতে পারি এবং সেটি কোন রাত?
রমজানের কাযা আদায় ও শাওয়ালের ছয় দিনের রোযা এক নিয়্যতে এক সাথে আদায় করা শুদ্ধ নয়।
যে ব্যক্তি এশার আগে তারাবীর সালাত আদায় করে ফেলেছে!
কুরআন শরিফ শিক্ষা দেয়ার বদলে পারিশ্রমিক নেয়া কি ঠিক?
নারীর জন্য অপর নারী বা মোহরেম পুরুষের সামনে যা কিছু খোলা রাখা জায়েয
শুক্রবারে আরাফার দিন হওয়ার কোন বিশেষত্ব বা ফজিলত আছে কি?
বছরের মাঝখানে উপার্জিত সম্পদের যাকাত
আমি যেনা করতে চাই! আমি আর নিজেকে সামলাতে পারছি না। দশ বছর যাবৎ ধৈর্য ধরে আছি। আলহামদু লিল্লাহ আমি নামায পড়ি, রোজা রাখি। কিন্তু যখনই আমি কোন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেই বিয়ে ভেঙ্গে যায়। আমি যেনা করতে চাই! আমি যেনা করতে চাই! আমি দোয়া করি; কিন্তু দুআ কবুল হয় না। আমি কি করব? আমি আর পারছি না।
আমি জানি, ইসলামে ইবাদত হিসেবে যা কিছুর নব উদ্ভাবন করা হয় সেটা- বিদআত। এটা যদি সঠিক হয় তাহলে আমরা মিলাদকে বিদআত বলছি কেন? মিলাদ একটি সাধারণ অনুষ্ঠান; এর সাথে ইবাদতের কোন সম্পর্ক নেই। কেউ কেউ দলিল দেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জন্য শুধু দুইটি ঈদ বা উৎসবের বিধান দিয়েছেন। এ দুইটি ঈদ ছাড়া আর কোন উৎসব উদযাপন করা যাবে না। আমি এখানে পুনরায় বলতে চাই- মিলাদ একটি সাধারণ অনুষ্ঠান; এতে তো কোন ইবাদত সম্পর্কিত কোন রেওয়াজ রীতি নেই। এটি অন্য যে কোন জন্মদিবস পালনের মত।
আমি মিলাদুন্নবী পালন করি না। কিন্তু পরিবারের বাকী সবাই তা পালন করে। তারা বলেন: আমার ইসলাম নতুন ইসলাম। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ভালবাসি না। এ বিষয়ে কোন উপদেশ আছে কী?
যে ব্যক্তির ইচ্ছা আছে ও সক্ষমতা আছে তার জন্য প্রতিবছর হজ্জ করা উত্তম? নাকি প্রতি তিন বছরে একবার হজ্জ করা উত্তম? নাকি প্রতি দুই বছরে একবার হজ্জ করা উত্তম?
হজ্জ ভিসা বিক্রি করার হুকুম কি? যে ভিসাগুলো বের করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
নামাযের বাহিরে ‘আউজুবিল্লাহ’ ছাড়া কুরআন পড়ার হুকুম কী?
মক্কার হারাম এলাকার সীমানা কতটুকু? গোটা মক্কা কি হারামের অন্তর্ভুক্ত?
নামায না পড়ে সিয়াম পালন করা কি জায়েয?
কোন কাফের যদি রমজানের দিনের বেলায় ইসলাম গ্রহণ করে তবে সে যেই দিন ইসলাম গ্রহণ করেছে সেই দিনের বাকি অংশ মুফাত্তিরাত (রোজা-ভঙ্গকারী বিষয়সমূহ) থেকে বিরত থাকা কি তার উপর আবশ্যক?
আমি ওজু করে কুরআন শরিফ পড়া শুরু করেছি। কুরআন শরিফ পড়ার মাঝখানে যদি সাদা স্রাব নির্গত হয় তাহলে কি কুরআন শরিফ পড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য পুনরায় ওজু করতে হবে?
যে কারাবন্দী মাটির নীচে অন্ধকার সেলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে, নামাযের সময় জানার তার কোন সুযোগ নেই, রমজান মাস কখন শুরু হবে সে সম্পর্কে তার কাছে কোন তথ্য নেই সে কিভাবে নামায ও রোজা আদায় করবে?
পিতামাতা জীবিত থাকাবস্থায় আমি যদি তাঁদের পক্ষ থেকে সদকা করি তাঁদেরকে অবহিত করা বা জানানো কি অপরিহার্য? পিতামাতা ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে সদকা করা কি জায়েয। আমি কি অন্য কোন লোকের পক্ষ থেকে সদকা করতে পারি?
প্রশ্ন: বিশাল সাহারা অঞ্চলে কখনও গ্রীষ্মকালে রমজান মাস আসে এবং সিয়াম পালন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কোন কোন ক্ষেত্রে তাদের জন্য তা অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা বিরাজমান থাকে। তারা কিভাবে সিয়াম পালন করবে?
প্রশ্ন: যাদের অঞ্চলে দিন ২১ ঘণ্টা দীর্ঘ হয় তারা কি করবে? তারা কি রোজার জন্য বিশেষ কোন হিসাব করে নিবে? যাদের অঞ্চলে দিন খুব ছোট তারা কি করবে? একইভাবে যাদের অঞ্চলে ৬ মাস দিন ও ৬ মাস রাত থাকে তারা কি করবে? তারা কিভাবে নামায ও রোজা আদায় করবে?
প্রশ্ন: যখন আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়ি, রমজানের রোজা রেখে পড়াশুনা করতে পারতাম না। সে জন্য দুই রমজানের কিছু রোজা আমি রাখি নি। এখন আমার উপর কি শুধু কাযা ওয়াজিব; নাকি শুধু কাফফারা ওয়াজিব? নাকি কাযা কাফফারা উভয়টা ওয়াজিব?
প্রশ্ন: রমজান মাসে যেসব মুসলিম সিয়াম পালন করে না তাদের সাথে আচার-আচরণ কেমন হওয়া উচিত? এবং তাদেরকে রোজা রাখার প্রতি দাওয়াত দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি কোনটি?
প্রশ্ন: রাতের বেলা সহবাস করার পর কখনো কখনো দিবাভাগে জরায়ু থেকে বীর্য বের হয়, এতে কি রোজা ভঙ্গ হবে? এমতাবস্থায় নামাযের জন্য গোসল করা কি ফরজ হবে?
প্রশ্ন: আমাদের কিছু মুসলিম ভাই সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত রমজান মাসের আগমন সম্পর্কে জানতে পারেননি। জানার পর থেকে তারা রোজা থেকেছেন। এই রোজা কি তাদের জন্য যথেষ্ট হবে, নাকি তাদেরকে এর বদলে কাযা রোজা রাখতে হবে?
প্রশ্ন: রমজান মাসে মাগরিবের নামাযের সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খেজুর খেতেন। এরপর জামাতের সাথে মাগরিবের নামায আদায় করতেন। প্রশ্ন হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফরজ নামায পড়ার পর আগে কি সুন্নত আদায় করতেন নাকি ইফতার খেতেন? আমার এ প্রশ্নটি এসেছে এ ক্ষেত্রেও রাসূলের সুন্নত আদায় করার তীব্র আগ্রহ থেকে।
প্রশ্ন: রমজানের দিনের বেলায় কু-অভ্যাস এর কারণে কি রোজা ভঙ্গ হবে; যদি বীর্যপাত না হয়?
প্রশ্ন: কোন এক বছর রমজান মাসের যে দিনগুলোতে আমার মাসিক ছিল সেদিনগুলোতে আমি রোজা ভেঙ্গেছি। কিন্তু অনেক বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও আমি সে রোজাগুলো রাখতে পারিনি। আমি আমার দায়িত্বে থেকে যাওয়া সে রোজাগুলোর কাযা পালন করতে চাচ্ছি। কিন্তু কয়দিন আমি রোজা ভেঙ্গেছি সেটা আমার মনে নেই। এখন আমি কী করব?
আমি প্রশ্নটি আগেও করেছিলাম। আশা করি এর উত্তর দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন। কারণ এর আগে আমি সন্তোষজনক জবাব পাইনি। প্রশ্নটি তারাবীর নামায সম্পর্কে। তারাবীর নামায কি ১১ রাকাত, নাকি ২০ রাকাত? সুন্নাহ অনুযায়ী তো তারাবীর নামায ১১ রাকাত । শাইখ আলবানী রহিমাহুল্লাহ “আলক্বিয়াম ওয়াত তারাউয়ীহ” বইতে বলেছেন তারাবী নামায ১১ রাকাত। এখন কিছু মানুষ সেসব মসজিদে নামায পড়েন যেখানে ১১ রাকাত তারাবী পড়া হয়। আবার কিছু মানুষ সেসব মসজিদে নামায পড়েন যেখানে ২০ রাকাত তারাবী পড়া হয়। এখানে যুক্তরাষ্ট্রে এটি একটি সংবেদনশীল মাসয়ালা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যিনি ১১ রাকাত তারাবী পড়েন তিনি ২০ রাকাত সালাত আদায়কারীকে ভৎর্সনা করেন। আবার যিনি ২০ রাকাত তারাবী পড়েন তিনি ১১ রাকাত সালাত আদায়কারীকে ভৎর্সনা করেন। এটা নিয়ে একটা ফিতনা (গোলযোগ) সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি মসজিদে হারামেও ২০ রাকাত তারাবী পড়া হয়। তাহলে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে সুন্নাহর বিপরীত আমল হচ্ছে কেন? কেন তাঁরা মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে ২০ রাকাত তারাবী নামায আদায় করেন?
বিভিন্ন দোয়া মুখস্থ করতে আমার খুব কষ্ট হয়; যেমন বিতিরের নামাযের দোয়ায়ে কুনুত। এ কারণে আমি এ দোয়ার জায়গায় একটি সূরা পড়তাম। যখন আমি জানতে পারলাম যে, এ দোয়া পড়া ফরজ; তখন দোয়াটি মুখস্থ করার চেষ্টা করতে থাকি। আমি নামাযের মধ্যে একটি বই থেকে দেখে দেখে দোয়াটি পড়ি। বইটিকে আমার পাশে একটি টেবিলের উপরে রাখি। আমি কিবলামুখী থেকেই বই থেকে দোয়াটি পড়ি। আমার এ আমলটি কি জায়েয?
পর সমাচার আমি জিজ্ঞেস করতে চাই যে, তারাবির নামাযের শেষে আমরা জোড় সংখ্যক ও বিতির (বেজোড় সংখ্যক) নামায আদায় করি। আমি শুনেছি যে, আমাদের সর্বশেষ নামায বিতির বা বেজোড় সংখ্যা হওয়া আবশ্যক। এর মানে এটা যে, আমরা যদি রাতে আরও নামায পড়ি তখন জোড়ের সাথে বিতির (বেজোড়) নামায আবার পড়ব? নাকি বিতির নামায প্রথমে আদায় না করে পরে একবার মাত্র পড়তে হবে?
আমি কিয়ামুল লাইল ও তারাবীর নামাযের মধ্যে পার্থক্য জানতে চাই।
ইলম ও দাওয়াত
অনুচ্ছেদ ৫ টি
যারা পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করে তাদের শেষ পরিণতি কী হবে? জান্নাত; না জাহান্নাম? যেমন যারা বনে জঙ্গলে বা দক্ষিণ গোলার্ধে বসবাস করে, তারা কোন নবীর দেখা পায়নি, কেউ তাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে অথবা ইসলাম সম্পর্কে অবহিত করেনি।
কোন বিষয় দিয়ে দাওয়াতি কাজ শুরু করা অপরিহার্য তা নিয়ে এখানের ইসলামী দলগুলো পরস্পর মতভেদ করছে। সেটা কি রাজনৈতিক দিক, নাকি আকিদা, নাকি আখলাক...? আপনারা কোন বিষয় দিয়ে দাওয়াতী কাজ শুরু করাকে উচিত মনে করেন।
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অসৎ কিছু দেখে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে” এ হাদিস কি এ কথা বুঝাচ্ছে যে, আমরা অসৎ কাজের প্রতিরোধ সরাসরি হাত দিয়ে শুরু করব; যদিও সে অসৎ কাজটি মুখ দিয়েই প্রতিহত করা সম্ভব।
আমি ও আমার দুই বান্ধবী ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের জন্য মসজিদে যেতে চাই; কিন্তু তারা দুজন পর্দা করে না। তাদের জন্য কি নিজেদের অভ্যস্ত পোশাকের সঙ্গে কেবল ওড়না পেঁচিয়ে মসজিদে যাওয়া জায়েয হবে?
ইলমে দ্বীন অর্জন করার হুকুম কী?
ইতিহাস ও জীবনী
অনুচ্ছেদ ২ টি
ইসলামের কিছু কিছু শত্রুরা দাবী করছে যে, ইসলাম তরবারির মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছে? এ ব্যাপারে আপনাদের প্রত্যুত্তর কী?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ কোনটি? আমার জানা মতে এ বিষয়ে অনেকগুলো অভিমত। এর মধ্যে বিশুদ্ধ অভিমত কোনটি- কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে দলিলসহ জানতে চাই
ইসলামী রাজনীতি
অনুচ্ছেদ ৩ টি
যে শাসক আল্লাহর আইন অনুযায়ী শাসন করে না তাকে কি নির্বাচিত করা যাবে?
আমি শুনেছি ‘গণতন্ত্র’ ইসলাম থেকে নেয়া হয়েছে। এ কথাটা কি ঠিক? গণতন্ত্রের পক্ষে প্রচারণা করার হুকুম কি?
সাহাবায়ে কেরাম যেভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে বাইআত করেছেন, খুলাফায়ে রাশেদীন এর হাতে বাইআত করেছেন সেভাবে প্রত্যেক মুসলমানকে কী অন্য কোন ব্যক্তির হাতে বাইআত করতে হবে?
মানসিক ও সামাজিক সমস্যা
অনুচ্ছেদ ১১ টি
আমার একজন বান্ধবী আছে। তার মা মারা গেছেন। সে সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে। আসলে তার কী করা উচিত।
আমি তিউনিসিয়ার অধিবাসী একজন ধার্মিক মেয়ে। আমার সমস্যা হচ্ছে- আমাকে বিয়ের প্রস্তাবকারী ছেলে আমার হিযাব পরাকে মেনে নিচ্ছে না, এমনকি সেটা যদি আধুনিক যুগের হিযাব হয় সেটাও না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- আমি কি তার সাথে সম্পর্ক করব; নাকি প্রত্যাখ্যান করব? উল্লেখ্য, অধিকাংশ তিউনিসিয়ান ছেলে এ ধরনের মানসিকতার হয়ে থাকে।
আমি একজন নারী। বছর খানেক আগে আমার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পূর্বে আমার স্বামী আমার ওপর শর্তারোপ করেছিলেন যে, তাঁর মায়ের খালার মেয়েকে আমাদের বাসায় থাকতে দিতে হবে; যেহেতু তিনি একজন বয়স্ক মহিলা। স্বামীর এ শর্তে আমি রাজী হয়েছিলাম। বিয়ের পর আমি জানতে পারলাম যে, এ বাড়ীর অর্ধেক আসবাবপত্র এই মহিলার। বাসার কোন একটি আসবাবপত্র আমি ধরতে পারি না, ছুঁইতে পারি না। শুধু তাই নয়- তিনি আমাকে, আমার পরিবারকে গালিগালাজ করেন। আমার স্বামী এর কোন প্রতিবাদ করে না। ভদ্রমহিলা বলেন: আমার পিতা নাকি জারজ সন্তান! আমার মধ্যে নাকি আদব কায়দা কম! কারণ- আমার স্বামী ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় আমি তার সাথে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে যাই। এ বিষয়গুলো আমি আমার পরিবারকে অবহিত করলে তারা এসে আমাকে নিয়ে যায়। বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে আমি কি আমার স্বামীর নিকট আলাদা বাসস্থান দাবী করতে পারি? এই ভদ্রমহিলা আমাদের সাথে বসবাস করার শরয়ি বিধান কি?
জনৈক ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করতেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিনি নিরুদ্যম হয়ে পড়েন। এখন তিনি আগের মত কুরআন তেলাওয়াত করেন না। দ্বীনদারির ক্ষেত্রে উদ্যমহীনতা দূর করার উত্তম উপায় কী?
আমাদের দেশে একজন তালিবে ইল্ম আছে। তাঁর ইল্ম ভাল। তিনি আমাদেরকে ইলম অর্জন, তাকওয়া, সুন্নাহর অনুসরণ ও আলেমদের সাথে আদব মেনে চলার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেন। আমরা তাঁকে হকপন্থী সালাফী হিসেবে জানি। তিনি আমাদেরকে দ্বীনের খুঁটিনাটি যা কিছু শিক্ষা দেন আমরা তাঁকে অনুসরণ করে চলি। কুরআনে কারীম ও রাসূল (সাঃ) এর হাদিস শিক্ষাদানের জন্য তিনি সনদপ্রাপ্ত। যদিওবা আমরা উনার তাকলীদ করি, কিন্তু তিনি আমাদেরকে তাকলীদ না-করার প্রতি উৎসাহিত করেন। তিনি ফতোয়ার ক্ষেত্রে অথবা নারী হিসেবে আমাদের সাথে আচার আচরণের ক্ষেত্রে আল্লাহ্কে ভয় করেন বলে আমি মনে করি। আমি তার জ্ঞান প্রচারের ক্ষেত্রে কিছু ভূমিকা রেখে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো একজন মহিলা আমাকে অবহিত করেছেন (আমার কাছে তাকে সত্যবাদী মনে হয়) যে, এই নারীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে। সেটা সম্পূর্ণ গোপনে। আমি আবারও বলছি সম্পূর্ণ গোপনে। মহিলাটি জানাচ্ছেন যে, তিনি এ সম্পর্ককে বিয়ের মাধ্যমে শরিয়তসম্মত রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নিজস্ব কিছু পরিস্থিতির কারণে তিনি সেটা পারছেন না। পরিতাপের বিষয় হলো- তা সত্ত্বেও তিনি এ মহিলার সাথে কথাবার্তা বন্ধ করেননি। তিনি বলছেন যে, তিনি পরিবেশ তৈরী করার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায়, আমরা কি তার কাছ থেকে ইলেম অর্জনে বিরত থাকব? তার দরসে বসা থেকে বিরত থাকব? শয়তান আমাকে ধাঁধায় ফেলে দিচ্ছে, আমাকে বলছে- এই আলেম যা বলে তিনি নিজে সে অনুযায়ী আমল করেন না। তার প্রতিটি কথার মধ্যে শয়তান আমাকে সন্দেহে ফেলে দিচ্ছে। নাকি আমরা বলব- মানুষ মাত্রই গুনাহগার। হতে পারে এই গুনার কাছে তিনি হেরে গেছেন। আমাদের সাথে আচার ব্যবহারে তিনি আল্লাহ্কে ভয় করেন এটাই তো আমরা জানি। আর এ বিষয়টি একেবারে একটা গোপন বিষয়। গুটিকতক মানুষ ছাড়া এ বিষয়টি কেউ জানে না। আমি যে, এ বিষয়টি জানি তিনি তা জানেন না। নবী ছাড়া তো নিষ্পাপ কেউ নেই।
ইহুদীদের অভিশপ্ত হওয়ার ১০টি কারণ
প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এক ক্লাসমেটের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল; আমি তওবা করেছি এবং সে সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। তার কাছে আমার কিছু ছবি রয়ে গেছে। তার কিছু ছবিও আমার কাছে আছে। আমি কি সে ছবিগুলো তার থেকে ফেরত চাইব এবং তার ছবিগুলো তাকে ফেরত দিব। কারণ এগুলো রাখা তো হারাম। নাকি আমি চুপ থাকব; যাতে করে দ্বিতীয়বার তার সাথে কথা বলা এড়িয়ে চলতে পারি।
যাদুটোনা থেকে নিরাময়ের উপায়
কোন ক্ষতির শিকার না হয়ে তাবিজ-কবচ থেকে মুক্ত হওয়া যায় কিভাবে?
ঘরে সূরা বাক্বারা পড়ার পদ্ধতি কী? ক্যাসেট-প্লেয়ার থেকে পড়া কি যথেষ্ট?
জিনের সাথে কথা ও তাদেরকে ব্যবহার করা কি সম্ভব?
বন্ধুত্ব ও মুক্ততা
অনুচ্ছেদ ১১ টি
প্রশ্ন: কাফেরদের ধর্মীয় উৎসব ও আচারানুষ্ঠান উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা নাজায়েয হওয়া সংক্রান্ত ফতোয়াগুলো আমি পড়েছি। কিন্তু আমি জানতে চাই, তাদের ব্যক্তিগত যেসব অনুষ্ঠানাদি রয়েছে যেমন- বিয়ে-সাদী, নিখোঁজ ব্যক্তির ফিরে আসা ইত্যাদি উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর বিধান কি?
প্রশ্ন: অমুসলিমরা যখন আমাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলে, ‘শুভ নববর্ষ’, কিংবা বলে ‘শুভ কামনা’ তখন প্রত্যুত্তরে তাদেরকে ‘আপনাদের জন্যেও অনুরূপ’ বলা কি জায়েয হবে?
প্রশ্ন: ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে মুসলমানরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানানো ও দোয়া করা কি জায়েয? উল্লেখ্য, তারা উদযাপন করার নিয়তে তা করে না।
প্রশ্ন: বিধর্মীদের উৎসব উপলক্ষে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর বিধান কি?
প্রশ্ন: ভালবাসা দিবসের বিধান কি?
প্রশ্ন: আমি একটি ইসলামিক স্কুলে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। আমাদের সাথে ডেনমার্কের কিছু অমুসলিম শিক্ষক আছেন। প্রতিবছর খ্রিস্টমাসের উৎসব উপলক্ষে আমরা সকলে একটি হলরুমে একত্রিত হই, নিজেরা হালাল খাবার তৈরী করি, কোন ড্রিংক্স করি না। উল্লেখ্য, আমরা এ অনুষ্ঠানটি করি খ্রিস্টমাসের উৎসব শেষ হওয়ার প্রায় একমাস বা তারও বেশিদিন পর; যাতে করে তাদের উৎসবে অংশ গ্রহণ করার সংশয় থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি। মুসলমান হিসেবে আমাদের এ ভোজ অনুষ্ঠানে যোগদান করা কি জায়েয হবে? আমরা তো নিজেরা খাবার প্রস্তুতে অংশ গ্রহণ করে থাকি? আল্লাহ আপনাদেরকে মোবারকময় করুন।
প্রশ্ন: মুসলমানেরা যেহেতু নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মবার্ষিকী পালন করে তাহলে নবী ঈসা (আঃ) এর জন্মবার্ষিকী পালন করতে তাদের অসুবিধা কোথায়? তিনি কি আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত নবী নন? আমি একজন লোকের কাছ থেকে এমন কথা শুনেছি। যদিও আমি জানি খ্রিস্টমাস পালন করা হারাম। কিন্তু আমি এ প্রশ্নের জবাব চাই। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।
প্রশ্ন: যুক্তরাজ্যের যেসব মুসলমান খ্রিস্টমাস (বড়দিন) এর মৌসুমে খ্রিস্টমাসের দিন অথবা এরপরে নিজেদের বাড়ীতে তাদের মুসলিম পরিবারের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করে তাদেরকে আপনারা কি উপদেশ দিবেন। যেমন- তুর্কি মোরগের রোস্ট তৈরি করা, খ্রিস্টমাস কেন্দ্রিক অন্যান্য নৈশ খাবারের আয়োজন করা। বেলুন ও কাগুজে ফুল দিয়ে নিজেদের বাড়ীঘর সজ্জিত করা। গোপন সান্তা প্রথা পালন করা। সেটা এ রকম- প্রত্যেক আত্মীয় গোপনে উপস্থিত কারো জন্য বিশেষ একটা উপহার নির্বাচন করবে। যার জন্য উপহারটি কেনা হয়েছে তাকে দেয়ার জন্য উপহারটি অনুষ্ঠানে নিয়ে আসবে; কিন্তু তাকে জানাবে না যে, সে কে? (সান্তাক্লজের ব্যাপারে আজগুবি বিশ্বাস অপনোদন করতে গিয়ে গোপন সান্তা প্রথাটি অমুসলিমদের মধ্যে যারা খ্রিস্টমাস পালন করে তাদের মাঝে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।) এই কাজটি কি হালাল; নাকি হারাম? যদি এ ধরণের অনুষ্ঠানে মুসলমান ছাড়া (আত্মীয়স্বজন ছাড়া) অন্য কেউ হাজির না হয়?
প্রশ্ন: আমার প্রতিবেশিনী একজন আমেরিকান খ্রিস্টান। খ্রিস্টমাস উপলক্ষে তিনি আমাকে কিছু হাদিয়া পাঠিয়েছেন। আমি তাকে এ হাদিয়াগুলো ফেরত দিতে পারছি না; যাতে তিনি রেগে না যান!! আমি কি এ হাদিয়াগুলো গ্রহণ করতে পারি যেভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাফেরদের পাঠানো হাদিয়া গ্রহণ করেছেন।
প্রশ্ন: বিভিন্ন বার্ষিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করার শরয়ি বিধান কী? যেমন- বিশ্ব পরিবার দিবস, বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস, আন্তর্জাতিক প্রবীণ বছর। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন- মেরাজ দিবস পালন, মিলাদুন্নবী বা নবীর জন্মবার্ষিকী কিংবা হিজরত বার্ষিকী পালন করার হুকুম কি। অর্থাৎ এ উপলক্ষে মানুষকে ওয়াজ-নসিহত করার উদ্দেশ্যে কিছু প্রচারপত্র প্রস্তুত করা, আলোচনাসভা বা ইসলামী সম্মেলনের আয়োজন করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন: আমরা ইসলামি শরিয়ার আলোকে সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই মুসলমানেরা অমুসলমানের প্রতি কোন দৃষ্টিতে তাকাবে এবং অমুসলমানদের সাথে কী ধরনের আচরণ করবে।
ফিকহ ও উসুলুল ফিকহ
অনুচ্ছেদ ২ টি
আমি আপনাদের ওয়েব সাইটে ‘মুসাফিরের নামায’ এবং ‘কোন দিকে ফিরে নামায আদায় করব’ সে সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরগুলো পড়েছি। কিন্তু আমরা যখন সফর অবস্থায় থাকি এবং কিবলার দিক জানার জন্য কোন উপায়ন্তর না পাই, যেমনটি ঘটে আমেরিকাতে; এখানে কিবলার দিক জিজ্ঞেস করার জন্য কোন মুসলমান পাওয়া খুবই দুস্কর হয়ে যায়। আমি কম্পাস ব্যবহার করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু, তাতে সফল হইনি। এরপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি। এমতাবস্থায়, ওয়াক্ত ছুটে যাওয়ার আশংকায় যে কোন দিকে ফিরে নামায আদায় করা জায়েয হবে কি এবং অন্য সময় পুনরায় নামাযটা আদায় করে নিব? আমরা জানি যে, আল্লাহ তাআলা গোটা পৃথিবীকে সেজদাস্থল বানিয়েছেন?
যদি কোন মুসলিমের অনাদায়কৃত সালাত ও সিয়ামের সংখ্যা মনে না থাকে, তবে তিনি কিভাবে নামাজ ও রোযার কাযা করবেন?