পরিচ্ছেদঃ ৮) ক্বিয়ামুল্লাইল করার নিয়তে পবিত্রাবস্থায় নিদ্রা যাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
৫৯৭. (হাসান লি গাইরিহী) ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “যে ব্যাক্তি পবিত্রবস্থায় রাত কাটায়, তার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বস্তুতে (যেমন বস্ত্র ইত্যাদি) একজন করে ফেরেশতা রাত কাটায়। সে জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতা তার জন্য দু’আ করে আর বলে, হে আল্লাহ! তোমার উমুক বান্দাকে ক্ষমা কর, কেননা সে পবিত্রাবস্থায় রাত অতিবাহিত করেছে।’’
হাদীছটি বর্ণনা করেন ইবনে হিব্বান তার [সহীহ] গ্রন্থে ১০৪৮।
الترغيب في أن ينام الإنسان طاهرا ناويا للقيام
(صحيح) عن ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ بَاتَ طَاهِرًا، بَاتَ فِي شِعَارِهِ مَلَكٌ لَا يَسْتَيْقِظُ إِلَّا قَالَ الْمَلَكُ: اللهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِكَ فُلَانٌ فَإِنَّهُ بَاتَ طَاهِرًا ". رواه ابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ৮) ক্বিয়ামুল্লাইল করার নিয়তে পবিত্রাবস্থায় নিদ্রা যাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
৫৯৮. (সহীহ) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “কোন মুসলিম ব্যাক্তি যদি পবিত্রাবস্থায় রাত অতিবাহিত করে, অতঃপর রাতে জাগ্রত হয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের কোন কল্যাণ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তবে আল্লাহ্ তাকে উহা দান করেন।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেন আবু দাঊদ ৫০৪২, নাসাঈ ৮০৬ ও ইবনে মাজাহ ৩৮৮১)
الترغيب في أن ينام الإنسان طاهرا ناويا للقيام
(صحيح) وَعَنْ معاذ بن جبل رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَبِيتُ طَاهِرًا ، فَيَتَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ ، فَيَسْأَلُ اللهَ خَيْراً مِنْ أمر الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ ، إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ.رواه أبو داود والنسائي وابن ماجه
পরিচ্ছেদঃ ৮) ক্বিয়ামুল্লাইল করার নিয়তে পবিত্রাবস্থায় নিদ্রা যাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
৫৯৯. (হাসান লি গাইরিহী) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “তোমাদের শরীরগুলো পাক-সাফ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে পবিত্র করবেন। কেননা বান্দা যখন পবিত্রাবস্থায় রাত্রি যাপন করে, তখন তার সাথে শরীরের বস্ত্র ইত্যাদিতে একজন ফেরেশতা রাত্রি যাপন করেন। যখনই রাতের একটি প্রহর শেষ হয়, তখনই সে ফেরেশতা দু’আ করে, হে আল্লাহ! তোমার এ বান্দাকে ক্ষমা কর। কেননা সে পবিত্রাবস্থায় রাত যাপন করছে।’’
(হাদীছটি ত্বাবরানী স্বীয় [আওসাত] গ্রন্থে উত্তম সনদে বর্ণনা করেন, সিলসিলা সহীহা ২৫৩৯)
الترغيب في أن ينام الإنسان طاهرا ناويا للقيام
(حسن لغيره) وَعَنْ ابن عباس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال طَهِّرُوا هَذِهِ الأَجْسَادَ طَهَّرَكُمُ اللَّهُ , فَإِنَّهُ لَيْسَ عَبْدٌ يَبِيتُ طَاهِرًا إِلا بَاتَ معه فِي شِعَارِهِ مَلَكٌ لا يَنْقَلِبُ سَاعَةً مِنَ اللَّيْلِ إِلا قَالَ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِكَ فَإِنَّهُ بَاتَ طَاهِرًا.رواه الطبراني في الأوسط بإسناد جيد
পরিচ্ছেদঃ ৮) ক্বিয়ামুল্লাইল করার নিয়তে পবিত্রাবস্থায় নিদ্রা যাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
৬০০. (হাসান লি গাইরিহী) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কোন ব্যাক্তির যদি রাতে নামায পড়ার অভ্যাস থাকে, অতঃপর নিদ্রা তাকে পরাজিত করে দেয় (ফলে উক্ত নামায আদায় করতে পারে না), তবে আল্লাহ তার জন্য সেই নামাযের প্রতিদান লিখে দেন এবং তার নিদ্রা তার জন্য সাদকা স্বরূপ হয়ে যায়।
(হাদীসটি বর্ণনা করেন, ইমাম মালেক ১/১১৭, আবূ দাউদ ১৩১৪ ও নাসাঈ ৩/২৫৭ এবং ইবনু আবী দুনিয়া কিতাবুত্ তাহাজ্জুদ গ্রন্থে)
الترغيب في أن ينام الإنسان طاهرا ناويا للقيام
(حسن لغيره) وَعَنْ عائشة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: مَا مِنْ امْرِئٍ تَكُونُ لَهُ صَلَاةٌ بِلَيْلٍ فَيَغْلِبُهُ عَلَيْهَا نَوْمٌ إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرَ صَلَاتِهِ وَكَانَ نَوْمُهُ عَلَيْهِ صَدَقَةً. رواه مالك وأبو داود والنسائي ورواه ابن أبي الدنيا في كتاب التهجد
পরিচ্ছেদঃ ৮) ক্বিয়ামুল্লাইল করার নিয়তে পবিত্রাবস্থায় নিদ্রা যাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
৬০১. (সহীহ) আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত হাদীছটি পৌঁছিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে ব্যাক্তি রাতে নফল ছালাত আদায় করার নিয়তে বিছানা গ্রহণ করে, অতঃপর তার চোখ তাকে পরাজিত করে দেয়, ফলে নামায না পড়েই সকাল হয়ে যায়, তবে সে যা নিয়ত করেছিল তার ছওয়াব তাকে লিখে দেয়া হয়। আর তার নিদ্রা পালনকর্তার পক্ষ থেকে হয়ে যায় সাদকা স্বরূপ।’’
(হাদীছটি রেওয়ায়াত করেন, নাসাঈ ৩/২৫৮ ও ইবনে মাজাহ উত্তম সনদে ১৩৪৪। ইবনে খুযায়মাও তার সহীহ গ্রন্থে বর্ণনা করেন ৫২৮৯)
الترغيب في أن ينام الإنسان طاهرا ناويا للقيام
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ الدَّرْداَءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يبلغ به النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال مَنْ أَتَى فِرَاشَهُ وَهُوَ يَنْوِي أَنْ يَقُومَ يُصَلِّيَ مِنْ اللَّيْلِ فَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ حَتَّى يُصْبِحَ كُتِبَ لَهُ مَا نَوَى وَكَانَ نَوْمُهُ صَدَقَةً عَلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ. رواه النسائي ابن ماجه بإسناد جيد وابن خزيمة
পরিচ্ছেদঃ ৮) ক্বিয়ামুল্লাইল করার নিয়তে পবিত্রাবস্থায় নিদ্রা যাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান
৬০২. (সহীহ) আবূ যার অথবা আবূ দারদা (রাঃ) (বর্ণনাকারী শো’বার সন্দেহ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কোন বান্দা যখন রাতের একটি মূহুর্তে ক্বিয়াম করার (নফল নামাযের) নিয়ত করে, অতঃপর নিদ্রার কারণে তা পুরা করতে সক্ষম না হয়, তবে তার নিদ্রা ছাদকা স্বরূপ হয়ে যায়। আল্লাহ তাকে উহা ছাদকা স্বরূপ দান করেন। আর যে কাজের সে নিয়ত করেছিল, তার প্রতিদান লিখে দেন।’’
(হাদীছটি ইবনু হিব্বান স্বীয় [সহীহ] গ্রন্থে মারফু সূত্রে ২৫৭৯ এবং ইবনে খুযাইমা স্বীয় [সহীহ] গ্রন্থে মাওকুফ সূত্রে বর্ণনা করেন ২/১৯৭)
الترغيب في أن ينام الإنسان طاهرا ناويا للقيام
(صحيح) وَعَنْ أبي ذر أو أبِيْ الدَّرْداَءِ شك شعبة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ما من عبد يحدث نفسه بقيام ساعة من الليل فينام عنها إلا كان نومه صدقة تصدق الله بها عليه وكتب له أجر ما نوى.
رواه ابن حبان في صحيحه مرفوعا ورواه ابن خزيمة في صحيحه موقوفا لم يرفعه