পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা
৫৯২. (সহীহ লি গাইরিহী) আলী (রাঃ) বলেন, ফরয নামাযের ন্যায় বিতর নামায অত্যাবশ্যক নয়। তবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ নামায সুন্নাত (প্রবর্তন) করেছেন। তিনি বলেন, “আল্লাহ একক, তিনি একক তথা বিতর নামায পছন্দ করেন। সুতরাং হে কুরআনের অনুসারীগণ তোমরা বিতর পড়।’’
(হাদীসটি বর্ণনা করেন আবূ দাঊদ ১৪১৬, তিরমিযী ৪৫৩, নাসাঈ ৩/২২৮, ইবনে মাজাহ্ ১১৬৯ ও ইবনে খুযাইমা ২/১৩৭। হাদীসটির বাক্য তিরমিযী থেকে নেয়া।)
الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر
(صحيح لغيره) عن علي رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: الوِتْرُ لَيْسَ بِحَتْمٍ كَصَلاَةِ المَكْتُوبَةِ ، وَلَكِنْ سَنَّ رسولُ الله - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، قَالَ : ( إنَّ اللهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الوِتْرَ ، فَأَوْتِرُوا يَا أهْلَ القُرْآنِ ). رواه أبو داود والترمذي واللفظ له والنسائي وابن ماجه وابن خزيمة
পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা
৫৯৩. (সহীহ) জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যাক্তি এরুপ আশংকা করে যে, শেষ রাতে কিয়াম করতে (তাহাজ্জুদ পড়তে) পারবে না, তবে সে যেন রাতের প্রথমাংশেই বিতর পড়ে নেয়। আর যে ব্যাক্তি শেষ রাতে কিয়াম করার আশা রাখে সে যেন শেষ রাতেই বিতর পড়ে। কেননা শেষ রাতের নামায সাক্ষ্য স্বরূপ হবে, তাকে উপস্থিত করা হবে। আর এটাই উত্তম। (বিতর শেষ রাতেই পড়া উত্তম)’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেন, ইমাম মুসলিম ৭৫৫, তিরমিযী ৪৫৫, ইবনু মাজাহ ১১৮৭ প্রমূখ)
الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر
(صحيح) وَعَنْ جابر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ خَافَ أَنْ لاَ يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ ، فَلْيُوتِرْ أَوَّلَهُ ، وَمَنْ طَمِعَ أَنْ يَقُومَ آخِرَهُ ، فَلْيُوتِرْ آخِرَ اللَّيْلِ ، فَإِنَّ صَلاَةَ آخِرِ اللَّيْلِ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ ، وَذَلِكَ أَفْضَلُ.. رواه مسلم والترمذي وابن ماجه وغيرهم
পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা
৫৯৪. (হাসান সহীহ্) আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “হে কুরআনের অনুসারীগণ তোমরা বিতর নামায পড়। কেননা আল্লাহ বেজোড় তথা একক, তিনি বেজোড় নামায পছন্দ করেন।’’
(হাদীছটি আবূ দাউদ বর্ণনা করেন ১৪১৬, ইবনে খুযায়মাহ ২/১৩৮)
উক্ত হাদীছটি ইবনু খুযায়মাহ্ স্বীয় [সহীহ] গ্রন্থে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ্ বেজোড় বা একক, তিনি বেজোড় তথা বিতর ছালাত পছন্দ করেন।’’ (মুসলিম ২৬৭৭)
الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر
(حسن صحيح) وَعَنْه رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ أَوْتِرُوا ، فَإِنَّ اللهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ. رواه أبو داود ورواه ابن خزيمة مختصرا من حديث أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা
৫৯৫. (সহীহ্) ইবনে ওমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ ’’যে ব্যক্তি চাশতের নামায আদায় করবে, প্রত্যেক মাসে তিনটি (নফল) রোযা রাখবে, গৃহে অবস্থান ও সফর কালে বিতর নামায পরিত্যাগ করবে না, তার জন্য একজন শহীদের প্রতিদান লিখে দেয়া হবে।’’ (হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] ১৩৭০৭)
الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر
(صحيح) وروي عن ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول من صلى الضحى وصام ثلاثة أيام من الشهر ولم يترك الوتر في سفر ولا حضر كتب له أجر شهيد. رواه الطبراني في الكبير
পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা
৫৯৬. (সহীহ) আবূ তামীম আল জায়শানী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমর ইবনুল আস (রা.) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক ছাহাবী আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য একটি নামায বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। এ নামায তোমরা এশা এবং ফজরের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করবে। উহা হল বিতর নামায, বিতর নামায।’’
সংবাদদাতা সাহাবীর নাম হল আবু বাসরাহ আল গিফারী (রাঃ)।
হাদীছটি রেওয়ায়াত করেন, আহমাদ ৬/৩৯৭ ও ত্ববরানী।
এ হাদীছটি মুআয বিন জাবাল, আবদুল্লাহ্ বিন আমর, ইবনু আব্বাস, ঊক্ববা বিন আমের আল জুহানী, আমর বিন আছ (রাঃ) প্রমূখ সাহাবীদের থেকে বর্ণিত হয়েছে।
الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر
(صحيح) وَعَنْ أبي تميم الجيشاني رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ يَقُولُ : أَخْبَرَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
إِنَّ اللهَ ، عَزَّ وَجَلَّ ، زَادَكُمْ صَلاَةً ، فَصَلُّوهَا فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى صَلاَةِ الصُّبْحِ ، الْوَتْرُ ، الْوَتْرُ.
لاَ وَإِنَّهُ أَبُو بَصْرَةَ الْغِفَارِيُّ.. رواه أحمد والطبراني