আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৩৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১১) ক্বিয়ামুল্লায়ল (রাতে নফল নামায পড়া) করার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৬৩৬. (হাসান সহীহ) ইয়াযীদ বিন আখনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

’’তোমাদের পরস্পরের মাঝে দু’টি বিষয় ব্যতীত অন্য কিছুতে প্রতিযোগিতা নেই। এক ব্যক্তিকে আল্লাহ্‌ কুরআন (কুরআনের জ্ঞান) দান করেছেন, তাই সে রাত-দিন তা দ্বারা নামায পড়ে থাকে এবং তার মধ্যে যে নির্দেশ আছে তার অনুসরণ করে থাকে। তখন আরেক ব্যক্তি বলেঃ আল্লাহ্‌ যেমন এই ব্যক্তিকে দিয়েছেন, যদি আমাকে সেরূপ দিতেন তবে সে যেমন নামায পড়ে আমিও তেমন নামায পড়তাম। দ্বিতীয় ব্যক্তিকে আল্লাহ্‌ সম্পদ দিয়েছেন, সে তা ব্যয় করে ও সাদকা করে। তখন আরেক ব্যক্তি পূর্বের জনের মত কমনা করে (বলেঃ আমাকে যদি আল্লাহ্‌ সম্পদ দিতেন তবে আমিও ঐ ব্যক্তির মত খরচ করতাম ও সাদকা করতাম)

(ত্বাবরানী, আলবানী বলেন, হাদীছটি ইমাম আহমাদও স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন ৪/১০৪।)

الترغيب في قيام الليل

(حسن ) وَعَنْ يزيد بن الأخنس وكانت له صحبة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال : لَا تَنَافُسَ بَيْنَكُمْ إِلَّا فِي اثْنتَيْنِ: رَجُلٍ أعطاه اللهُ قرآنا فَهُوَ يَقُومُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَيَتَّبِعُ مَا فِيهِ، فَيَقُولُ رَجُلٌ: لَوْ أَنَّ اللهَ أَعْطَانِي مَا أَعْطَى فلَاناً فَأَقُومُ بِهِ كما يَقُومُ ، وَرَجُلٍ أَعْطَاهُ اللهُ مَالًا فَهُوَ يُنْفِقُ منه وَيَتَصَدَّقُ فيقول رجل مثل ذلك. رواه الطبراني في الكبير

(حسن ) وعن يزيد بن الاخنس وكانت له صحبة رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : لا تنافس بينكم الا في اثنتين: رجل اعطاه الله قرانا فهو يقوم به اناء الليل والنهار، ويتبع ما فيه، فيقول رجل: لو ان الله اعطاني ما اعطى فلانا فاقوم به كما يقوم ، ورجل اعطاه الله مالا فهو ينفق منه ويتصدق فيقول رجل مثل ذلك. رواه الطبراني في الكبير

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৭৯

পরিচ্ছেদঃ ১) দিবা-রাত্রি বারো রাকাআত সুন্নাত নিয়মিত আদায়ে উদ্বুদ্ধকরণ

৫৭৯. (সহীহ) উম্মে হাবীবা রমলা বিনতে আবু সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতে শুনেছিঃ

’’কোন মুসলিম বান্দা যদি আল্লাহ্‌ তা’আলার উদ্দেশ্যে দিনে-রাতে ১২ (বারো) রাকাআত নফল- ফরয নয় এমন নামায আদায় করে, তাহলে আল্লাহ্‌ তা’আলা তার জন্যে জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। অথবা তার জন্যে জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করা হয়।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম ৭২৮, আবু দাউদ ১২৫০, নাসাঈ ৩/২৬১ ও তিরমিযী ৪১৫, ইবনু মাজাহ ১১৪১)

তিরমিযী আরো অতিরিক্ত বর্ণনা করেনঃ

أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلاةِ الْغَدَاةِ".

’’যোহরের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে দু’রাকাআত, মাগরিবের পর দু’রাকাআত, এশার পর দু’রাকাআত এবং সকাল তথা ফজরের পূর্বে দু’ রাকাআত।’’ (তিরমিযী ৪১৫)

الترغيب في المحافظة على ثنتي عشرة ركعة من السنة في اليوم والليلة

(صحيح) عن أم حبيبة رملة بنت أبي سفيان رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قالت سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يُصَلِّي لِلَّهِ تعالى في كل يَوْمٍ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً تَطَوُّعًا غَيْرَ فَرِيضَةٍ إِلَّا بَنَى اللَّهُ تعالى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ أَوْ إِلَّا بُنِيَ لَهُ بَيْتٌ فِي الْجَنَّةِ.رواه مسلم وأبو داود والنسائي والترمذي

(صحيح) عن ام حبيبة رملة بنت ابي سفيان رضي الله عنهما قالت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ما من عبد مسلم يصلي لله تعالى في كل يوم ثنتي عشرة ركعة تطوعا غير فريضة الا بنى الله تعالى له بيتا في الجنة او الا بني له بيت في الجنة.رواه مسلم وابو داود والنساىي والترمذي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮০

পরিচ্ছেদঃ ১) দিবা-রাত্রি বারো রাকাআত সুন্নাত নিয়মিত আদায়ে উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮০. (সহীহ লি গাইরিহী) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ (বারো) রাকাআত নামায নিয়মিত আদায় করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। যোহরের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে দু’রাকাআত, মাগরিবের পর দু’ রাকাআত, এশার পর দু’রাকাআত এবং ফজরের পূর্বে দু’রাকাআত।’’

(ইমাম নাসাঈ ৩/২৬০, তিরমিযী ৪১৪ ও ইবনে মাজাহ্ ১১৪০ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন) হাদীছের বাক্য নাসাঈর।

الترغيب في المحافظة على ثنتي عشرة ركعة من السنة في اليوم والليلة

(صحيح لغيره) و عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ دَخَلَ الْجَنَّةَ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَهَا، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ .رواه النسائي وهذا لفظه والترمذي وابن ماجه

(صحيح لغيره) و عن عاىشة رضي الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من ثابر على اثنتي عشرة ركعة في اليوم والليلة دخل الجنة اربعا قبل الظهر، وركعتين بعدها، وركعتين بعد المغرب، وركعتين بعد العشاء، وركعتين قبل الفجر .رواه النساىي وهذا لفظه والترمذي وابن ماجه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮১

পরিচ্ছেদঃ ২) ফজরের পূর্বে দু'রাকাআত নামাযে গুরুত্বারোপের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮১. (সহীহ) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,  “ফজরের দু’রাকাআত (সুন্নাত) নামায দুনিয়া এবং উহার মধ্যস্থিত সকল বস্তু হতে উত্তম।’’ (হাদীছটি বর্ণনা করেন ইমাম মুসলিম ৮২৫ ও তিরমিযী ৪১৬। )

মুসলিমের অপর বর্ণনায় এসেছে,

لهما أحب إلي من الدنيا جميعا

“ঐ দুরাকাত নামায আমার নিকট সারা দুনিয়ার চেয়ে অধিক পছন্দনীয়।’’ (মুসলিম ১৭২২)

الترغيب في المحافظة على ركعتين قبل الصبح

(صحيح) وَعَنْ عائشة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال رَكْعَتَا الْفَجْرِ خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا. رواه مسلم والترمذي

(صحيح) وعن عاىشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ركعتا الفجر خير من الدنيا وما فيها. رواه مسلم والترمذي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮২

পরিচ্ছেদঃ ২) ফজরের পূর্বে দু'রাকাআত নামাযে গুরুত্বারোপের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮২. (সহীহ) আয়েশা (রাঃ) আরো বলেন, নফল নামায সমূহের মধ্যে থেকে ফজরের দু’রাকাআতের চেয়ে অন্য কোন নামাযের প্রতি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এত অধিক গুরুত্বারোপ করতেন না।

(বুখারী ১১৬৯, মুসলিম ৭২৫, আবু দাউদ ১২৪৫, নাসাঈ ৩/২৫২ ও ইবনে খুযাইমাহ্ হাদীছটি বর্ণনা করেন।)

ইবনে খুযাইমার অপর বর্ণনায় এসেছেঃ তিনি (আয়েশা) বলেন,

مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  إِلَى شَيْءٍ مِنَ الْخَيْرِ أَسْرَعُ مِنْهُ إِلَى الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ ، وَلاَ إِلَى غَنِيمَةٍ

ফজরের পূর্বের দু’রাকাআতের চাইতে অন্য কোন কল্যাণজনক কাজে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে আমি এত দ্রুত গতি দেখিনি। এমনকি কোন গণীমতের প্রতিও নয়। (ইবনে খুযাইমাহ ২/১৬১)

الترغيب في المحافظة على ركعتين قبل الصبح

(صحيح) وَعَنْها رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قالت: لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَلَى شَيْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ أشَدَّ تَعَاهُدَاً مِنهُ عَلَى رَكْعَتَي الفَجْرِ. رواه البخاري ومسلم أبو داود والنسائي وابن خزيمة

(صحيح) وعنها رضي الله عنها قالت: لم يكن النبي - صلى الله عليه وسلم - على شيء من النوافل اشد تعاهدا منه على ركعتي الفجر. رواه البخاري ومسلم ابو داود والنساىي وابن خزيمة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮৩

পরিচ্ছেদঃ ২) ফজরের পূর্বে দু'রাকাআত নামাযে গুরুত্বারোপের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮৩. (সহীহ লি গাইরিহী) ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ (সূরা ইখলাস) কুরআনের এক তৃতীয়াংশ বরাবর। ’কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফেরূন’ কুরআনের এক চতুর্থাংশের সমান। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দুটি সূরা ফজরের দু’রাকাআত সুন্নতে পাঠ করতেন।

হাদীসটি আবু ইয়ালা হাসান সনদে ১০১৭ ও ত্ববরানী [কাবীর] গ্রন্থে বর্ণনা করেন। বাক্যগুলো ত্ববরানী থেকেই গৃহীত।

الترغيب في المحافظة على ركعتين قبل الصبح

(صحيح لغيره) وَعَنْ ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ) (الإخلاص 1 ) تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ . و (قُلْ يَاأَيُّهَا الْكَافِرُونَ) (الكافرون 1 ) تعدل ربع القرآن وكان يقرؤهما في ركعتي الفجر ..
رواه أبو يعلى بإسناد حسن والطبراني في الكبير واللفظ له

(صحيح لغيره) وعن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : (قل هو الله احد) (الاخلاص 1 ) تعدل ثلث القران . و (قل ياايها الكافرون) (الكافرون 1 ) تعدل ربع القران وكان يقروهما في ركعتي الفجر .. رواه ابو يعلى باسناد حسن والطبراني في الكبير واللفظ له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৩) যোহরের পূর্বে ও পরে সুন্নাত নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮৪. (হাসান সহীহ) উম্মে হাবীবা (রাঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতে শুনেছি, “যে ব্যাক্তি যোহরের পূর্বে চার রাকাআত এবং পরে চার রাকাআতের প্রতি যত্নবান হবে (যথারীতি আদায় করবে) আল্লাহ তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করে দিবেন।’’

হাদীসটি বর্ণনা করেন আহমাদ ৬/৪২৬, আবূ দাঊদ ১২৬৯, নাসাঈ ৩/২৬৫ ও তিরমিযী ৪২৮, ইবনে মাজাহ ১১৬০, ইবনে খুযায়মাহ ২/২০৫। নাসাঈর অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ

 فتمَسّ وجهَه النارُ أبداً

“কখনই তার মুখমণ্ডল জাহান্নামের আগুনে স্পর্শ করবে না।’’ (নাসাঈ ১৮১৩)

الترغيب في الصلاة قبل الظهر وبعدها

(حسن صحيح) عن أُمُّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قالت: سمعت رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :
مَنْ يُحَافَظَ عَلَى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ قَبْلَ الظُّهْرِ ، وَأَرْبَعٍ بَعْدَهَا ، حَرَّمَهُ اللَّهُ عَلَى النَّارِ .رواه أحمد وأبو داود والنسائي والترمذي

(حسن صحيح) عن ام حبيبة رضي الله عنها قالت: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم : من يحافظ على اربع ركعات قبل الظهر ، واربع بعدها ، حرمه الله على النار .رواه احمد وابو داود والنساىي والترمذي

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু হাবীবা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৩) যোহরের পূর্বে ও পরে সুন্নাত নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮৫. (হাসান লি গাইরিহী) আবু আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যোহরের পূর্বে চার রাকাআত নামায.... তার জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়।

হাদীসটি বর্ণনা করেন আবূ দাঊদ ১২৭০ ও ইবনে মাজাহ ১১৫৭। উপরোক্ত বাক্য আবূ দাঊদ থেকে গৃহীত।

ইমাম ত্ববরানী [কাবীর ও আওসাত] গ্রন্থদ্বয়ে হাদীছটি নিম্নলিখিত বাক্যে রেওয়ায়েত করেনঃ

(হাসান লি গাইরিহী) আবু আইয়ুব (রাঃ) বলেনঃ

لما نزل رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  علي رأيته يديم أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ ، وَقَالَ : إِنَّهُ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ فُتِحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ فَلا يُغْلَقُ مِنْهَا بَابٌ حَتَّى يُصَلَّى الظُّهْرُ ، فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ يُرْفَعَ لِي فِي تِلْكَ السَّاعَةِ خَيْرٌ .

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন আমার বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন, তখন আমি দেখেছি তিনি যোহরের পূর্বে সর্বদা চার রাকাআত ছালাত আদায় করতেন।

তিনি বলেনঃ “যখন সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে যায়, তখন আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়। যোহর নামায পড়া পর্যন্ত কোন দরজা বন্ধ করা হয় না। তাই আমি পছন্দ করি উক্ত সময়ে যেন আমার একটি কল্যাণ উপরে উঠানো হয়।’’

الترغيب في الصلاة قبل الظهر وبعدها

(حسن صحيح) وروي عَنْ أَبِي أَيُّوبَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَرْبَعٌ قَبْلَ الظُّهْرِ لَيْسَ فِيهِنَّ تَسْلِيمٌ تُفْتَحُ لَهُنَّ أَبْوَابُ السَّمَاءِ. رواه أبو داود واللفظ له وابن ماجه

(حسن صحيح) وروي عن ابي ايوب رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال اربع قبل الظهر ليس فيهن تسليم تفتح لهن ابواب السماء. رواه ابو داود واللفظ له وابن ماجه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৩) যোহরের পূর্বে ও পরে সুন্নাত নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮৬. (হাসান লি গাইরিহী) ক্বাবূস তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমার পিতা আয়েশা (রাঃ) এর কাছে একজন লোক পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কোন নামাযটি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট সর্বাধিক প্রিয় ছিল- তিনি নিয়মিত উহা আদায় করতেন? তিনি বললেনঃ তিনি যোহরের পূর্বে চার রাকাত আদায় করতেন। এ নামাযে দীর্ঘ সময় দন্ডায়মান থাকতেন এবং সুন্দর করে রুকূ’ ও সিজদা করতেন। (হাদীসটি বর্ণনা করেন ইবনে মাজাহ ১১৫৬)

الترغيب في الصلاة قبل الظهر وبعدها

(حسن صحيح) وَعَنْ قابوس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عن أبيه قال: ارْسَلَ ابِي الَى عَائِشَةَ: ايُّ صَلاةِ رَسُولِ الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ احَبَّ الَيْهِ انْ يُوَاظِبَ عَلَيْهَا ؟ قَالَتْ:
كَانَ يُصَلِّي ارْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ . يُطِيلُ فِيهِنَّ الْقِيَامَ ، وُيحْسِنُ فِيهِنَّ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ. رواه ابن ماجه

(حسن صحيح) وعن قابوس رضي الله عنه عن ابيه قال: ارسل ابي الى عاىشة: اي صلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم كان احب اليه ان يواظب عليها ؟ قالت: كان يصلي اربعا قبل الظهر . يطيل فيهن القيام ، ويحسن فيهن الركوع والسجود. رواه ابن ماجه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৩) যোহরের পূর্বে ও পরে সুন্নাত নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮৭. (সহীহ্) আবদুল্লাহ বিন সায়েব (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য ঢলে যাওয়ার পর যোহরের পূর্বে চার রাকাআত নামায পড়তেন।[1] তিনি এরশাদ করেন, “এটা এমন সময় যখন আসমানের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়। তাই আমি পছন্দ করি যে, এ সময় আমার একটি নেক আমল আল্লাহর নিকট উত্থিত হোক।’’

(হাদীসটি বর্ণনা করেন আহমাদ ৩/৪১১ ও তিরমিযী ৪৭৮)

الترغيب في الصلاة قبل الظهر وبعدها

(صحيح) و عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ؛ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّى أَرْبَعًا بَعْدَ أَنْ تَزُولَ الشَّمْسُ قَبْلَ الظُّهْرِ وَقَالَ إِنَّهَا سَاعَةٌ تُفْتَحُ فِيهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ فَأُحِبُّ أَنْ يَصْعَدَ لِى فِيهَا عَمَلٌ صَالِحٌ. رواه أحمد والترمذي

(صحيح) و عن عبد الله بن الساىب رضي الله عنه ؛ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصلى اربعا بعد ان تزول الشمس قبل الظهر وقال انها ساعة تفتح فيها ابواب السماء فاحب ان يصعد لى فيها عمل صالح. رواه احمد والترمذي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৪) আসরের পূর্বে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮৮. (সহীহ)  ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “আল্লাহ রহম করুন সেই ব্যাক্তিকে যে আসরের পূর্বে চার রাকাআত নামায পড়বে।’’

হাদীসটি বর্ণনা করেন আহমাদ ২/১১৭, আবূ দাঊদ ১২৭১, তিরমিযী ৪৩০, ইবনু খুযাইমা ২/২০৬ ও ইবনু হিব্বান ২৪৪৪।

الترغيب في الصلاة قبل العصر

(حسن ) عن ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً صَلَّى قَبْلَ الْعَصْرِ أَرْبَعًا. رواه أحمد وأبو داود والترمذي وحسنه وابن خزيمة وابن حبان

(حسن ) عن ابن عمر رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال رحم الله امرا صلى قبل العصر اربعا. رواه احمد وابو داود والترمذي وحسنه وابن خزيمة وابن حبان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৫) মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৮৯. (সহীহ) আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর বাণী (تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنْ الْمَضَاجِعِ) ’’তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে আলাদা থাকে।’’ (সূরা সিজদাহ্-১৬) এ আয়াতটি নাযিল হয় রাতের (এশার) নামাযের জন্য অপেক্ষা করার ক্ষেত্রে।

(হাদীসটি বর্ণনা করেন তিরমিযী ৩১৯৬ ও আবূ দাঊদ ১৩২১।)

(সহীহ্) আবূ দাঊদের বর্ণনায় বলা হয়ঃ

كانوا يَتَنَفَّلُونَ مَا بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ يُصَلُّونَ

وَكَانَ الْحَسَنُ يَقُولُ قِيَامُ اللَّيْلِ

তারা (সাহাবীগণ) মাগরীব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে জাগ্রত থাকতেন ও নামায পড়তেন। হাসান বাসরী একে ক্বিয়ামুল্লাইল বলতেন। (আবূ দাঊদ ১৩২১)

الترغيب في الصلاة بين المغرب والعشاء

(حسن ) وَعَنْ أنس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، في قوله تعالى (تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ) نَزَلَتْ فِى انْتِظَارِ هَذِهِ الصَّلاَةِ الَّتِى تُدْعَى الْعَتْمَةَ. رواه الترمذي

(حسن ) وعن انس رضي الله عنه ، في قوله تعالى (تتجافى جنوبهم عن المضاجع) نزلت فى انتظار هذه الصلاة التى تدعى العتمة. رواه الترمذي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৯০

পরিচ্ছেদঃ ৫) মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৯০. (সহীহ) হুযাইফা (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এলাম, তারপর তার সাথে মাগরিবের ছালাত আদায় করলাম। তারপর দেখলাম তিনি এশা পর্যন্ত ছালাতে রত থাকলেন।

(হাদীসটি নাসাঈ ৩৮০ উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)

الترغيب في الصلاة بين المغرب والعشاء

(صحيح) وَعَنْ حذيفة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: أتيت النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فصليت مَعَهُ الْمَغْرِبِ فصلى إلَى وَالْعِشَاءِ. رواه النسائي

(صحيح) وعن حذيفة رضي الله عنه قال: اتيت النبي صلى الله عليه وسلم فصليت معه المغرب فصلى الى والعشاء. رواه النساىي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৯১

পরিচ্ছেদঃ ৬) এশার পর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৫৯১. (সহীহ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন এশার নামায শেষ করে বাড়ী ফিরতেন তখন (বাড়ীতে) চার রাকাআত নামায পড়তেন।

(শায়খ আলবানী বলেনঃ ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীসটি সহীহ বুখরীতে বর্ণিত হয়েছে।)

অন্যান্য হাদীছগুলো আমরা এ জন্যে উল্লেখ করিনি যে, তাতে উদ্বুদ্ধ করণের জন্যে নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে কোন কথা নেই; বরং এশার নামাযের পর তাঁর আমল থেকে কিছু হাদীছ আছে।

الترغيب في الصلاة بعد العشاء

(صحيح) أنَّ النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا صلَّى الْعِشَاءَ وَرَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ أَضْرَبْتُ عَنْ ذِكْرِ هَا لِأَنَّهَا لَيْسَتْ مِنْ شَرْطِ كِتَابِنَا (أَيْ هِيَ مِنْ فِعْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلاَ تُفِيْرُ التَّرْغِيْبَ)

(صحيح) ان النبي صلى الله عليه وسلم كان اذا صلى العشاء ورجع الى بيته صلى اربع ركعات اضربت عن ذكر ها لانها ليست من شرط كتابنا (اي هي من فعله صلى الله عليه وسلم فلا تفير الترغيب)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৯২

পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা

৫৯২. (সহীহ লি গাইরিহী) আলী (রাঃ) বলেন, ফরয নামাযের ন্যায় বিতর নামায অত্যাবশ্যক নয়। তবে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ নামায সুন্নাত (প্রবর্তন) করেছেন। তিনি বলেন, “আল্লাহ একক, তিনি একক তথা বিতর নামায পছন্দ করেন। সুতরাং হে কুরআনের অনুসারীগণ তোমরা বিতর পড়।’’

(হাদীসটি বর্ণনা করেন আবূ দাঊদ ১৪১৬, তিরমিযী ৪৫৩, নাসাঈ ৩/২২৮, ইবনে মাজাহ্ ১১৬৯ ও ইবনে খুযাইমা ২/১৩৭। হাদীসটির বাক্য তিরমিযী থেকে নেয়া।)

الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر

(صحيح لغيره) عن علي رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: الوِتْرُ لَيْسَ بِحَتْمٍ كَصَلاَةِ المَكْتُوبَةِ ، وَلَكِنْ سَنَّ رسولُ الله - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، قَالَ : ( إنَّ اللهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الوِتْرَ ، فَأَوْتِرُوا يَا أهْلَ القُرْآنِ ). رواه أبو داود والترمذي واللفظ له والنسائي وابن ماجه وابن خزيمة

(صحيح لغيره) عن علي رضي الله عنه قال: الوتر ليس بحتم كصلاة المكتوبة ، ولكن سن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - ، قال : ( ان الله وتر يحب الوتر ، فاوتروا يا اهل القران ). رواه ابو داود والترمذي واللفظ له والنساىي وابن ماجه وابن خزيمة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা

৫৯৩. (সহীহ) জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যাক্তি এরুপ আশংকা করে যে, শেষ রাতে কিয়াম করতে (তাহাজ্জুদ পড়তে) পারবে না, তবে সে যেন রাতের প্রথমাংশেই বিতর পড়ে নেয়। আর যে ব্যাক্তি শেষ রাতে কিয়াম করার আশা রাখে সে যেন শেষ রাতেই বিতর পড়ে। কেননা শেষ রাতের নামায সাক্ষ্য স্বরূপ হবে, তাকে উপস্থিত করা হবে। আর এটাই উত্তম। (বিতর শেষ রাতেই পড়া উত্তম)’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেন, ইমাম মুসলিম ৭৫৫, তিরমিযী ৪৫৫, ইবনু মাজাহ ১১৮৭ প্রমূখ)

الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر

(صحيح) وَعَنْ جابر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَنْ خَافَ أَنْ لاَ يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ ، فَلْيُوتِرْ أَوَّلَهُ ، وَمَنْ طَمِعَ أَنْ يَقُومَ آخِرَهُ ، فَلْيُوتِرْ آخِرَ اللَّيْلِ ، فَإِنَّ صَلاَةَ آخِرِ اللَّيْلِ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ ، وَذَلِكَ أَفْضَلُ.. رواه مسلم والترمذي وابن ماجه وغيرهم

(صحيح) وعن جابر رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : من خاف ان لا يقوم من اخر الليل ، فليوتر اوله ، ومن طمع ان يقوم اخره ، فليوتر اخر الليل ، فان صلاة اخر الليل مشهودة محضورة ، وذلك افضل.. رواه مسلم والترمذي وابن ماجه وغيرهم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা

৫৯৪. (হাসান সহীহ্) আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “হে কুরআনের অনুসারীগণ তোমরা বিতর নামায পড়। কেননা আল্লাহ বেজোড় তথা একক, তিনি বেজোড় নামায পছন্দ করেন।’’

(হাদীছটি আবূ দাউদ বর্ণনা করেন ১৪১৬, ইবনে খুযায়মাহ ২/১৩৮)

উক্ত হাদীছটি ইবনু খুযায়মাহ্ স্বীয় [সহীহ] গ্রন্থে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ্ বেজোড় বা একক, তিনি বেজোড় তথা বিতর ছালাত পছন্দ করেন।’’ (মুসলিম ২৬৭৭)

الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر

(حسن صحيح) وَعَنْه رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يَا أَهْلَ الْقُرْآنِ أَوْتِرُوا ، فَإِنَّ اللهَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ. رواه أبو داود ورواه ابن خزيمة مختصرا من حديث أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ

(حسن صحيح) وعنه رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : يا اهل القران اوتروا ، فان الله وتر يحب الوتر. رواه ابو داود ورواه ابن خزيمة مختصرا من حديث ابي هريرة رضي الله عنه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা

৫৯৫. (সহীহ্) ইবনে ওমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ ’’যে ব্যক্তি চাশতের নামায আদায় করবে, প্রত্যেক মাসে তিনটি (নফল) রোযা রাখবে, গৃহে অবস্থান ও সফর কালে বিতর নামায পরিত্যাগ করবে না, তার জন্য একজন শহীদের প্রতিদান লিখে দেয়া হবে।’’  (হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] ১৩৭০৭)

الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر

(صحيح) وروي عن ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول من صلى الضحى وصام ثلاثة أيام من الشهر ولم يترك الوتر في سفر ولا حضر كتب له أجر شهيد. رواه الطبراني في الكبير

(صحيح) وروي عن ابن عمر رضي الله عنهما قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول من صلى الضحى وصام ثلاثة ايام من الشهر ولم يترك الوتر في سفر ولا حضر كتب له اجر شهيد. رواه الطبراني في الكبير

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৭) বিতর নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, যে বিতর পড়ে না তার সম্পর্কে যা এসেছে তার বর্ণনা

৫৯৬. (সহীহ) আবূ তামীম আল জায়শানী হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমর ইবনুল আস (রা.) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর জনৈক ছাহাবী আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য একটি নামায বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। এ নামায তোমরা এশা এবং ফজরের মধ্যবর্তী সময়ে আদায় করবে। উহা হল বিতর নামায, বিতর নামায।’’

সংবাদদাতা সাহাবীর নাম হল আবু বাসরাহ আল গিফারী (রাঃ)।

হাদীছটি রেওয়ায়াত করেন, আহমাদ ৬/৩৯৭ ও ত্ববরানী।

এ হাদীছটি মুআয বিন জাবাল, আবদুল্লাহ্ বিন আমর, ইবনু আব্বাস, ঊক্ববা বিন আমের আল জুহানী, আমর বিন আছ (রাঃ) প্রমূখ সাহাবীদের থেকে বর্ণিত হয়েছে।

الترغيب في صلاة الوتر وما جاء فيمن لم يوتر

(صحيح) وَعَنْ أبي تميم الجيشاني رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال: سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ يَقُولُ : أَخْبَرَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:
إِنَّ اللهَ ، عَزَّ وَجَلَّ ، زَادَكُمْ صَلاَةً ، فَصَلُّوهَا فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى صَلاَةِ الصُّبْحِ ، الْوَتْرُ ، الْوَتْرُ.
لاَ وَإِنَّهُ أَبُو بَصْرَةَ الْغِفَارِيُّ.. رواه أحمد والطبراني

(صحيح) وعن ابي تميم الجيشاني رضي الله عنه قال: سمعت عمرو بن العاص يقول : اخبرني رجل من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ان الله ، عز وجل ، زادكم صلاة ، فصلوها فيما بين صلاة العشاء الى صلاة الصبح ، الوتر ، الوتر. لا وانه ابو بصرة الغفاري.. رواه احمد والطبراني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
৫৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৮) ক্বিয়ামুল্লাইল করার নিয়তে পবিত্রাবস্থায় নিদ্রা যাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান

৫৯৭. (হাসান লি গাইরিহী) ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “যে ব্যাক্তি পবিত্রবস্থায় রাত কাটায়, তার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বস্তুতে (যেমন বস্ত্র ইত্যাদি) একজন করে ফেরেশতা রাত কাটায়। সে জাগ্রত হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতা তার জন্য দু’আ করে আর বলে, হে আল্লাহ! তোমার উমুক বান্দাকে ক্ষমা কর, কেননা সে পবিত্রাবস্থায় রাত অতিবাহিত করেছে।’’

হাদীছটি বর্ণনা করেন ইবনে হিব্বান তার [সহীহ] গ্রন্থে ১০৪৮।

الترغيب في أن ينام الإنسان طاهرا ناويا للقيام

(صحيح) عن ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ بَاتَ طَاهِرًا، بَاتَ فِي شِعَارِهِ مَلَكٌ لَا يَسْتَيْقِظُ إِلَّا قَالَ الْمَلَكُ: اللهُمَّ اغْفِرْ لِعَبْدِكَ فُلَانٌ فَإِنَّهُ بَاتَ طَاهِرًا ". رواه ابن حبان

(صحيح) عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: " من بات طاهرا، بات في شعاره ملك لا يستيقظ الا قال الملك: اللهم اغفر لعبدك فلان فانه بات طاهرا ". رواه ابن حبان

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »