পরিচ্ছেদঃ ১৫৮। দাঁড়িয়ে এবং বসে পেশাব করা
২২৪। আদম (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার কওমের আবর্জনা ফেলার স্থানে এলেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে পেশাব করলেন। তারপর পানি চাইলেন। আমি তাঁকে পানি নিয়ে দিলাম। তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন।*
باب الْبَوْلِ قَائِمًا وَقَاعِدًا
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ أَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ قَائِمًا، ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ، فَجِئْتُهُ بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ.
Narrated Hudhaifa: Once the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) went to the dumps of some people and passed urine while standing. He then asked for water and so I brought it to him and he performed ablution.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৯। সঙ্গীর কাছে বসে পেশাব করা এবং দেয়ালের আড়ালে করা
২২৫। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) .... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার স্মরণ আছে যে, একবার আমিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাথে চলছিলাম। তিনি দেয়ালের পেছনে মহল্লার একটি আবর্জনা ফেলার জায়গায় এলেন। তারপর তোমাদের কেউ যেভাবে দাঁড়ায় সেভাবে দাঁড়িয়ে তিনি পেশাব করলেন। এ সময় আমি তাঁর কাছ থেকে সরে যাচ্ছিলাম কিন্তু তিনি আমাকে ইশারা করলেন। আমি এসে তাঁর পেশাব করা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে থাকলাম।
باب الْبَوْلِ عِنْدَ صَاحِبِهِ وَالتَّسَتُّرِ بِالْحَائِطِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ رَأَيْتُنِي أَنَا وَالنَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم نَتَمَاشَى، فَأَتَى سُبَاطَةَ قَوْمٍ خَلْفَ حَائِطٍ، فَقَامَ كَمَا يَقُومُ أَحَدُكُمْ فَبَالَ، فَانْتَبَذْتُ مِنْهُ، فَأَشَارَ إِلَىَّ فَجِئْتُهُ، فَقُمْتُ عِنْدَ عَقِبِهِ حَتَّى فَرَغَ.
Narrated Hudhaifa': The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) and I walked till we reached the dumps of some people. He stood, as any one of you stands, behind a wall and urinated. I went away, but he beckoned me to come. So I approached him and stood near his back till he finished.
পরিচ্ছেদঃ ১৭১। মিসওয়াক করা।
২৪৪। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে (সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য) উঠতেন তখন মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন।
باب السِّوَاكِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ.
Narrated Hudhaifa: Whenever the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) got up at night, he used to clean his mouth with Siwak.
পরিচ্ছেদঃ ২৬৭। সিজদা পূর্ণভাবে না করলে
৩৮২। সালত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ..... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি তাঁর রুকু-সিজদা পুরোপুরি আদায় করছিল না। সে যখন সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করলো তখন তাকে হুযায়ফা (রাঃ) বললেনঃ তোমার সালাত (নামায/নামাজ) ঠিক হয়নি। রাবী বলেনঃ আমার মনে হয় তিনি (হুযায়ফা) এ কথাও বলেছেন, (এ অবস্থায়) তোমার মৃত্যু হলে তা মুহাম্মদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরীকা অনুযায়ী হবে না।
باب إِذَا لَمْ يُتِمَّ السُّجُودَ
أَخْبَرَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا مَهْدِيٌّ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، رَأَى رَجُلاً لاَ يُتِمُّ رُكُوعَهُ وَلاَ سُجُودَهُ، فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ مَا صَلَّيْتَ ـ قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ ـ لَوْ مُتَّ مُتَّ عَلَى غَيْرِ سُنَّةِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Hudhaifa that he saw a person bowing and prostrating imperfectly. When he finished his Salat, Hudhaifa told him that he had not offered Salat. The subnarrator added, "I think that Hudhaifa also said: Were you to die you would die on a "Sunna" (legal way) other than that of Muhammad (sallallahu 'alaihi wa sallam)."
পরিচ্ছেদঃ ৩৫৪। সালাত হল (গুনাহর) কাফফারা।
৫০০। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা উমর (রাঃ) এর কাছে বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন, ফিতনা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তব্য তোমাদের মধ্যে কে স্মরণ রেখেছ? হুযাইফা (রাঃ) বললেন, যেমনি তিনি বলেছিলেন হুবহু তেমনই আমি মনে রেখেছি। উমর (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী স্মরণ রাখার ব্যপারে তুমি খুব দৃঢ়তার পরিচয় দিচ্ছ। আমি বললাম, (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন) মানুষ নিজের পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি, পাড়া-প্রতিবেশীদের ব্যাপারে যে ফেতনায় পতিত হয় -সালাত (নামায/নামাজ), সিয়াম, সাদাকা, (ন্যায়ের) আদেশ ও (অন্যায়ের) নিষেধ তা দূরীভূত করে দেয়।
উমর (রাঃ) বললেন, তা আমার উদ্দেশ্যে নয়। বরং আমি সেই ফিতনার কথা বলছি, যা সমুদ্র তরঙের ন্যায় ভয়াল হবে। হুযাইফা (রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে ব্যাপারে আপনার ভয়ের কোন কারন নেই। কেননা, আপনার ও সে ফিতনার মাঝখানে একটি বন্ধ দরজা রয়েছে। উমর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, সে দরজাটি ভেঙ্গে ফেলা হবে, না খুলে দেওয়া হবে? হুযাইফা (রাঃ) বললেন, ভেঙ্গে ফেলা হবে। উমর (রাঃ) বললেন, তাহলে তো আর কোন দিন তা বন্ধ করা যাবে না।
[হুযাইফা (রাঃ) এর ছাত্র শাকীক (রহঃ) বললেন], আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, উমর (রাঃ)-কি সে দরজাটি সম্পর্কে জানতেন? হুযাইফা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ, দিনের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত, তেমনি নিশ্চিতভাবে তিনি জানতেন। কেননা আমি তার কাছে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করেছি, যা মোটেও ভুল নয়। (দারজাটি কী) এ বিষয়ে হুযাইফা (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করতে আমরা ভয় পাছিলাম। তাই, আমরা মাসরূক (রহঃ)-কে বললাম এবং তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, দরজাটি উমর (রাঃ) নিজেই।
باب الصَّلاَةُ كَفَّارَةٌ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ حَدَّثَنِي شَقِيقٌ، قَالَ سَمِعْتُ حُذَيْفَةَ، قَالَ كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ فَقَالَ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ قَوْلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتْنَةِ قُلْتُ أَنَا، كَمَا قَالَهُ. قَالَ إِنَّكَ عَلَيْهِ ـ أَوْ عَلَيْهَا ـ لَجَرِيءٌ. قُلْتُ " فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصَّوْمُ وَالصَّدَقَةُ وَالأَمْرُ وَالنَّهْىُ ". قَالَ لَيْسَ هَذَا أُرِيدُ، وَلَكِنِ الْفِتْنَةُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَا يَمُوجُ الْبَحْرُ. قَالَ لَيْسَ عَلَيْكَ مِنْهَا بَأْسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، إِنَّ بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا بَابًا مُغْلَقًا. قَالَ أَيُكْسَرُ أَمْ يُفْتَحُ قَالَ يُكْسَرُ. قَالَ إِذًا لاَ يُغْلَقَ أَبَدًا. قُلْنَا أَكَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ الْبَابَ قَالَ نَعَمْ، كَمَا أَنَّ دُونَ الْغَدِ اللَّيْلَةَ، إِنِّي حَدَّثْتُهُ بِحَدِيثٍ لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ. فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَ حُذَيْفَةَ، فَأَمَرْنَا مَسْرُوقًا فَسَأَلَهُ فَقَالَ الْبَابُ عُمَرُ.
Narrated Shaqiq: that he had heard Hudhaifa saying, "Once I was sitting with `Umar and he said, 'Who amongst you remembers the statement of Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) about the afflictions?' I said, 'I know it as the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) had said it.' `Umar said, 'No doubt you are bold.' I said, 'The afflictions caused for a man by his wife, money, children and neighbor are expiated by his prayers, fasting, charity and by enjoining (what is good) and forbidding (what is evil).' `Umar said, 'I did not mean that but I asked about that affliction which will spread like the waves of the sea.' I (Hudhaifa) said, 'O leader of the faithful believers! You need not be afraid of it as there is a closed door between you and it.' `Umar asked, Will the door be broken or opened?' I replied, 'It will be broken.' `Umar said, 'Then it will never be closed again.' I was asked whether `Umar knew that door. I replied that he knew it as one knows that there will be night before the tomorrow morning. I narrated a Hadith that was free from any misstatement" The subnarrator added that they deputized Masruq to ask Hudhaifa (about the door). Hudhaifa said, "The door was `Umar himself."
পরিচ্ছেদঃ ৫২৩. পূর্ণভাবে সিজদা না করলে।
بَابُ يَسْتَقْبِلُ بِأَطْرَافِ رِجْلَيْهِ الْقِبْلَةَ
قَالَهُ أَبُو حُمَيْدٍ السَّاعِدِيُّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
৫২২. অনুচ্ছেদঃ সালাতে উভয় পায়ের আঙ্গুল কিবলামুখী রাখা। আবূ হুমাইদ (রা.) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
৭৭১। সালত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এক ব্যাক্তিকে দেখলেন, সে রুকূ’ও সিজদা পূর্ণরূপে আদায় করছে না। সে যখন তার সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করল, তখন হুযায়ফা (রাঃ) তাকে বললেন, তুমি তো সালাত আদায় করনি।
আবূ ওয়াইল (রহঃ) বলেন, আমার মনে হয়, তিনি এও বলেছিলেন যে, এভাবে সালাত আদায় করে তুমি যদি মারা যাও, তাহলে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরীকা থেকে বিচ্যুত হয়ে মারা যাবে।
باب إِذَا لَمْ يُتِمَّ السُّجُودَ
حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، رَأَى رَجُلاً لاَ يُتِمُّ رُكُوعَهُ وَلاَ سُجُودَهُ، فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ لَهُ حُذَيْفَةُ مَا صَلَّيْتَ ـ قَالَ وَأَحْسِبُهُ قَالَ ـ وَلَوْ مُتَّ مُتَّ عَلَى غَيْرِ سُنَّةِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم
Narrated Abu Wail:
Hudhaifa said, "I saw a person not performing his bowing and prostrations perfectly. When he completed the prayer, I told him that he had not prayed." I think that Hudhaifa added (i.e. said to the man), "Had you died, you would have died on a tradition other than that of the Prophet (s) Muhammad."
পরিচ্ছেদঃ ৫৬৩. জুমু’আর দিন মিসওয়াক করা।
৮৪৫। মুহাম্মাদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রাতে সালাতের জন্য উঠতেন তখন দাঁত মেজে মুখ পরিস্কার করে নিতেন।
باب السِّوَاكِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، وَحُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوصُ فَاهُ.
Narrated Hudhaifa:
When the Prophet (p.b.u.h) got up at night (for the night prayer), he used to clean his mouth .
পরিচ্ছেদঃ ৭২৩. তাহজ্জুদের সালাত দীর্ঘায়িত করা।
১০৭০। হাফস ইবনু উমর (রহঃ) ... হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলা যখন তাহাজ্জুদ সালাতের জন্য উঠতেন তখন মিস্ওয়াক দ্বারা তাঁর মুখ (দাঁত) পরিষ্কার করে নিতেন।
باب طُولِ الْقِيَامِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا قَامَ لِلتَّهَجُّدِ مِنَ اللَّيْلِ يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ.
Narrated Hudhaifa:
Whenever the Prophet (ﷺ) got up for Tahajjud prayer he used to clean his mouth (and teeth) with Siwak.
পরিচ্ছেদঃ ৯০৫. সাদকা গুনাহ মিটিয়ে দেয়।
১৩৫২। কুতায়বা (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ফিতনা সম্পর্কিত হাদীস স্মরণ রেখেছ? হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি আরয করলাম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে বলেছেন, আমি ঠিক সে ভাবেই তা স্মরণ রেখেছি। ’উমর (রাঃ) বললেন, তুমি [রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে] বড় দুঃসাহসী ছিলে, তিনি কিভাবে বলেছেন (বলত)? তিনি বলেন, আমি বললাম, (হাদীসটি হলঃ) মানুষ পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী নিয়ে ফিতনায় পতিত হবে আর সালাত (নামায/নামাজ), সাদকা ও নেক কাজ সেই ফিতনা মিটিয়ে দেবে।
সুলায়মান [অর্থাৎ ’আমাশ (রহঃ)] বলেন, আবূ ওয়াইল কোন কোন সময় صلاة (সালাত) صدقة (সাদকা) এরপর معروف (সৎকাজ শব্দের স্থলে)الامر بالمعروف والنهى عن المنكر (সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ) বলতেন। ’উমর (রাঃ) বলেন, আমি এধরনের ফিতনার কথা জানতে চাইনি, বরং যে ফিতনা সাগরের ঢেউয়ের ন্যায় প্রবল বেগে ছুটে আসবে।
হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আমীরুল মু’মিনীন! আপনার জীবনকালে ঐ ফিতনার কোন আশংকা নেই। সেই ফিতনা ও আপনার মাঝে বদ্ধ দরজা রয়েছে। ’উমর (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, দরজা কি ভেঙ্গে দেওয়া হবে না কি খুলে দেওয়া হবে? হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, না, বরং ভেঙ্গে দেওয়া হবে। ’উমর (রাঃ) বললেন, দরজা ভেঙ্গে দেওয়া হলে কোন দিন তা আর বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, আমি বললাম, সত্যই বলেছেন।
আবূ ওয়াইল (রাঃ) বলেন, দরজা বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? এ কথা হুযায়ফা (রাঃ) এর নিকট প্রশ্ন করে জানতে আমরা কেউ সাহসী হলামনা। তাই প্রশ্ন করতে মাশরূককে অনুরোধ করলাম। মাশরূক (রহঃ) হুযায়ফা (রাঃ) কে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তর দিলেনঃ দরজা হলেন ’উমর (রাঃ)। আমরা বললাম আপনি দরজা বলে যাকে উদ্দেশ্য করেছেন, ’উমর (রাঃ) কি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন? তিনি বললেন, হাঁ, আগামীকালের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত (তেমনি নিঃসন্দেহে তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন)। এর কারণ হল, আমি তাঁকে এমন হাদীস বর্ণনা করেছি, যাতে কোন ভুল ছিল না।
باب الصَّدَقَةُ تُكَفِّرُ الْخَطِيئَةَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْفِتْنَةِ قَالَ قُلْتُ أَنَا أَحْفَظُهُ كَمَا قَالَ. قَالَ إِنَّكَ عَلَيْهِ لَجَرِيءٌ فَكَيْفَ قَالَ قُلْتُ فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ وَالْمَعْرُوفُ. قَالَ سُلَيْمَانُ قَدْ كَانَ يَقُولُ " الصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ، وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ ". قَالَ لَيْسَ هَذِهِ أُرِيدُ، وَلَكِنِّي أُرِيدُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ. قَالَ قُلْتُ لَيْسَ عَلَيْكَ بِهَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَأْسٌ، بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا باب مُغْلَقٌ. قَالَ فَيُكْسَرُ الْبَابُ أَوْ يُفْتَحُ. قَالَ قُلْتُ لاَ. بَلْ يُكْسَرُ. قَالَ فَإِنَّهُ إِذَا كُسِرَ لَمْ يُغْلَقْ أَبَدًا. قَالَ قُلْتُ أَجَلْ. فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَهُ مَنِ الْبَابُ فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ سَلْهُ. قَالَ فَسَأَلَهُ. فَقَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ. قَالَ قُلْنَا فَعَلِمَ عُمَرُ مَنْ تَعْنِي قَالَ نَعَمْ، كَمَا أَنَّ دُونَ غَدٍ لَيْلَةً، وَذَلِكَ أَنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ.
Narrated Abu Wail:
Hudhaifa said, "`Umar said, 'Who amongst you remembers the statement of Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) about afflictions'?' I said, 'I know it as the Prophet (ﷺ) had said it.' `Umar said, 'No doubt, you are bold. How did he say it?' I said, 'A man's afflictions (wrong deeds) concerning his wife, children and neighbors are expiated by (his) prayers, charity, and enjoining good.' (The sub-narrator Sulaiman added that he said, 'The prayer, charity, enjoining good and forbidding evil.') `Umar said, 'I did not mean that, but I ask about that affliction which will spread like the waves of the sea.' I said, 'O chief of the believers! You need not be afraid of it as there is a closed door between you and it.' He asked, 'Will the door be broken or opened?' I replied, 'No, it will be broken.' He said, 'Then, if it is broken, it will never be closed again?' I replied, 'Yes.' " Then we were afraid to ask what that door was, so we asked Masruq to inquire, and he asked Hudhaifa regarding it. Hudhaifa said, "The door was `Umar. "We further asked Hudhaifa whether `Umar knew what that door meant. Hudhaifa replied in the affirmative and added, "He knew it as one knows that there will be a night before the tomorrow morning."
পরিচ্ছেদঃ ১১৮৫. সাওম (গোনাহের) কাফফারা
১৭৭৪। ’আলী ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন ’উমর (রাঃ) বললেন, ফিতনা সম্পর্কিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিসটি কার মুখস্ত আছে? হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, পরিবার, ধন-সম্পদ এবং প্রতিবেশীই মানুষের জন্য ফিতনা। সালাত (নামায/নামাজ), সিয়াম এবং সদকা এর কাফফারা হয়ে যায়। ’উমর (রাঃ) বললেন, এ ফিতনা সম্পর্কে আমি জিজ্ঞাসা করছি না, আমি তো জিজ্ঞাসা করেছি ওই ফিতনা সম্পর্কে, যা সমুদ্রের ঢেউয়ের মত আন্দোলিত হতে থাকবে।
হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, এ ফিতনার সামনে বন্ধ দরজা আছে। ’উমর (রাঃ) বললেন, এ দরজা কি খুলে যাবে, না ভেঙ্গে যাবে? হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, ভেঙ্গে যাবে। ’উমর (রাঃ) বললেন, তাহলে তো তা কিয়ামত পর্যন্ত বন্ধ হবে না। আমার মাসরুক (রহঃ) কে বললাম, হুযায়ফা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করূন, ’উমর (রাঃ) কি জানতেন, কে সেই দরজা? তিনি বললেন, হাঁ, তিনি এরুপ জানতেন যেরুপ কালকের দিনের পূর্বে আজকের রাত।
باب الصَّوْمُ كَفَّارَةٌ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا جَامِعٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ مَنْ يَحْفَظُ حَدِيثًا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْفِتْنَةِ قَالَ حُذَيْفَةُ أَنَا سَمِعْتُهُ يَقُولُ " فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَمَالِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصِّيَامُ وَالصَّدَقَةُ ". قَالَ لَيْسَ أَسْأَلُ عَنْ ذِهِ، إِنَّمَا أَسْأَلُ عَنِ الَّتِي تَمُوجُ كَمَا يَمُوجُ الْبَحْرُ. قَالَ وَإِنَّ دُونَ ذَلِكَ بَابًا مُغْلَقًا. قَالَ فَيُفْتَحُ أَوْ يُكْسَرُ قَالَ يُكْسَرُ. قَالَ ذَاكَ أَجْدَرُ أَنْ لاَ يُغْلَقَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ. فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ سَلْهُ أَكَانَ عُمَرُ يَعْلَمُ مَنِ الْبَابُ فَسَأَلَهُ فَقَالَ نَعَمْ، كَمَا يَعْلَمُ أَنَّ دُونَ غَدٍ اللَّيْلَةَ.
Narrated Abu Wail from Hudhaifa:
`Umar asked the people, "Who remembers the narration of the Prophet (ﷺ) about the affliction?" Hudhaifa said, "I heard the Prophet (ﷺ) saying, 'The affliction of a person in his property, family and neighbors is expiated by his prayers, fasting, and giving in charity." `Umar said, "I do not ask about that, but I ask about those afflictions which will spread like the waves of the sea." Hudhaifa replied, "There is a closed gate in front of those afflictions." `Umar asked, "Will that gate be opened or broken?" He replied, "It will be broken." `Umar said, "Then the gate will not be closed again till the Day of Resurrection." We said to Masruq, "Would you ask Hudhaifa whether `Umar knew what that gate symbolized?" He asked him and he replied "He (`Umar) knew it as one knows that there will be night before tomorrow, morning.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯৩. সচ্ছল ব্যক্তিকে অবকাশ দেওয়া
১৯৪৭. আহমদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের পূর্ববর্তিগণের মধ্যে এক ব্যাক্তির রুহের সাথে ফেরেশতা সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কোন নেক কাজ করেছ? লোকটি উত্তর দিল, আমি আমার কর্মচারীদের আদেশ করতাম যে, তারা যেন সচ্ছল ব্যাক্তিকে অবকাশ দেয় এবং তার উপর পীড়াপীড়ি না করে। রাবী বলেন, তিনি বলেছেন, ফেরেশতারাও তাঁকে ক্ষমা করে দেন।
আবূ মালিক (রহঃ) রিবঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) সূত্রে বর্ননা করেন, আমি সচ্ছল ব্যাক্তির ব্যাপারে সহজ করতাম এবং অভাবগ্রস্থকে অবকাশ দিতাম। শু’বা (রহঃ), আবদুল মালিক (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ননা করেন। আবূ আওয়ানা (রহঃ), আবদুল মালিক (রহঃ) সূত্রে বর্ননা করেন, আমি সচ্ছলকে অবকাশ দিতাম এবং অভাবগ্রস্থকে মাফ করে দিতাম এবং নুআঈম ইবনু আবূ হিনদ (রহঃ), রিবঈ (রহঃ) সূত্রে বলেন, আমি সচ্ছল ব্যাক্তি থেকে গ্রহন করতাম এবং অভাবগ্রস্থকে ক্ষমা করে দিতাম।
باب مَنْ أَنْظَرَ مُوسِرًا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، أَنَّ رِبْعِيَّ بْنَ حِرَاشٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ حَدَّثَهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " تَلَقَّتِ الْمَلاَئِكَةُ رُوحَ رَجُلٍ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ قَالُوا أَعَمِلْتَ مِنَ الْخَيْرِ شَيْئًا قَالَ كُنْتُ آمُرُ فِتْيَانِي أَنْ يُنْظِرُوا وَيَتَجَاوَزُوا عَنِ الْمُوسِرِ قَالَ قَالَ فَتَجَاوَزُوا عَنْهُ ". وَقَالَ أَبُو مَالِكٍ عَنْ رِبْعِيٍّ " كُنْتُ أُيَسِّرُ عَلَى الْمُوسِرِ وَأُنْظِرُ الْمُعْسِرَ ". وَتَابَعَهُ شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ رِبْعِيٍّ. وَقَالَ أَبُو عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ رِبْعِيٍّ " أُنْظِرُ الْمُوسِرَ، وَأَتَجَاوَزُ عَنِ الْمُعْسِرِ ". وَقَالَ نُعَيْمُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ رِبْعِيٍّ " فَأَقْبَلُ مِنَ الْمُوسِرِ، وَأَتَجَاوَزُ عَنِ الْمُعْسِرِ ".
Narrated Hudhaifa:
The Prophet (ﷺ) said, "Before your time the angels received the soul of a man and asked him, 'Did you do any good deeds (in your life)?' He replied, 'I used to order my employees to grant time to the rich person to pay his debts at his convenience.' So Allah said to the angels; "Excuse him." Rabi said that (the dead man said), 'I used to be easy to the rich and grant time to the poor.' Or, in another narration, 'grant time to the well-off and forgive the needy,' or, 'accept from the well-off and forgive the needy.'
পরিচ্ছেদঃ ১৪৮৭. সুন্দরভাবে (প্রাপ্য) তাগাদা করা
২২৩৩। মুসলিম (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, একজন লোক মারা গেল, তাকে জিজ্ঞাসা করা হল তুমি কি বলতে? সে বলল, আমি লোকজনের সাথে বেচা-কেনা করতাম। ধনীদেরকে অবকাশ দিতাম এবং গরীবদেরকে হ্রাস করে দিতাম। কাজেই তাকে মাফ করে দেওয়া হল। আবূ মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হতে এ হাদীস শুনেছি।
باب حُسْنِ التَّقَاضِي
حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَاتَ رَجُلٌ، فَقِيلَ لَهُ قَالَ كُنْتُ أُبَايِعُ النَّاسَ، فَأَتَجَوَّزُ عَنِ الْمُوسِرِ، وَأُخَفِّفُ عَنِ الْمُعْسِرِ، فَغُفِرَ لَهُ ". قَالَ أَبُو مَسْعُودٍ سَمِعْتُهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Hudhaifa:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Once a man died and was asked, 'What did you use to say (or do) (in your life time)?' He replied, 'I was a businessman and used to give time to the rich to repay his debt and (used to) deduct part of the debt of the poor.' So he was forgiven (his sins.)" Abu Mas`ud said, "I heard the same (Hadith) from the Prophet."
পরিচ্ছেদঃ ১৫৫১. লোকজনের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে দাঁড়ানো ও পেশাব করা
২৩০৯। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি। (রাবী বলেন) অথবা তিন বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন লোকদের ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থানে এরপর তিনি দাঁড়িয়ে পেশাব করলে। (বিশেষ কারণে)।
باب الْوُقُوفِ وَالْبَوْلِ عِنْدَ سُبَاطَةِ قَوْمٍ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، أَوْ قَالَ لَقَدْ أَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ قَائِمًا.
Narrated Hudhaifa:
I saw Allah's Messenger (ﷺ) coming (or the Prophet (ﷺ) came) to the dumps of some people and urinated there while standing .
পরিচ্ছেদঃ ১৯২২. ইমাম কর্তৃক লোকদের নাম তালিকাভুক্ত করা
২৮৪৩। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... হুযাইফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষের মধ্যে যারা ইসলামের কলেমা উচ্চারণ করেছে, তাদের নাম তালিকাভুক্ত করে আমাকে দাও। হুযাইফা (রাঃ) বলেন, তখন আমরা এক হাজার পাঁচশ লোকের নাম তালিকাভুক্ত করে তাঁর নিকট পেশ করি। তখন আমরা বলতে লাগলাম, আমরা একহাজার পাঁচশত লোক এক্ষণে আমাদের ভয় কিসের? (রাবী) হুযাইফা (রাঃ) বলেন, পরবর্তীকালে আমরা দেখেছি যে, আমরা এমনভাবে ফিতনা পতিত হয়েছি যাতে লোকেরা ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় একা একা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছে।
باب كِتَابَةِ الإِمَامِ النَّاسَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اكْتُبُوا لِي مَنْ تَلَفَّظَ بِالإِسْلاَمِ مِنَ النَّاسِ ". فَكَتَبْنَا لَهُ أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةِ رَجُلٍ، فَقُلْنَا نَخَافُ وَنَحْنُ أَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فَلَقَدْ رَأَيْتُنَا ابْتُلِينَا حَتَّى إِنَّ الرَّجُلَ لَيُصَلِّي وَحْدَهُ وَهْوَ خَائِفٌ.
Narrated Hudhaifa:
The Prophet (ﷺ) said (to us), " List the names of those people who have announced that they are Muslims." So, we listed one thousand and five hundred men. Then we wondered, "Should we be afraid (of infidels) although we are one thousand and five hundred in number?" No doubt, we witnessed ourselves being afflicted with such bad trials that one would have to offer the prayer alone in fear.
পরিচ্ছেদঃ ২০৫০. পরিচ্ছেদ নাই
৩২৩৩। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, এক ব্যাক্তির যখন মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এল এবং সে জীবন থেকে নিরাশ হয়ে গেল। তখন সে তার পরিবার পরিজনকে ওসিয়াত করল, যখন আমি মরে যাব তখন তোমরা আমার জন্য অনেক লাকড়ি জমা করে (তার ভিতরে আমাকে রেখে) আগুন জ্বালিয়ে দিও। আগুন যখন আমার মাংস জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হাড় পর্যন্ত পৌছে যাবে তখন (অদগ্ধ) হাড়গুলি পিষে ছাই করে নিও। তারপর সেই ছাই গরমের দিন কিংবা প্রচণ্ড বাতাসের দিনে সাগরে ভাসিয়ে দিও। (তারা তাই করল) আল্লাহ তা’আলা (তার ভস্মীভূত দেহ একত্রিত করে) জিজ্ঞাসা করলেন, এমন কেন করলে? সে বলল, আপনার ভয়ে। আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলেন। উকবা (রহঃ) বলেন, আর আমিও তাঁকে [হুযায়ফা (রাঃ)-কে] বলতে শুনেছি।
মুসা (রহঃ) ... আবদুল মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, فِي يَوْمٍ رَاحٍ অর্থাৎ প্রচণ্ড বাতাসের দিন।
باب
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، قَالَ قَالَ عُقْبَةُ لِحُذَيْفَةَ أَلاَ تُحَدِّثُنَا مَا سَمِعْتَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ " إِنَّ رَجُلاً حَضَرَهُ الْمَوْتُ، لَمَّا أَيِسَ مِنَ الْحَيَاةِ، أَوْصَى أَهْلَهُ إِذَا مُتُّ فَاجْمَعُوا لِي حَطَبًا كَثِيرًا، ثُمَّ أَوْرُوا نَارًا حَتَّى إِذَا أَكَلَتْ لَحْمِي، وَخَلَصَتْ إِلَى عَظْمِي، فَخُذُوهَا فَاطْحَنُوهَا، فَذَرُّونِي فِي الْيَمِّ فِي يَوْمٍ حَارٍّ أَوْ رَاحٍ. فَجَمَعَهُ اللَّهُ، فَقَالَ لِمَ فَعَلْتَ قَالَ خَشْيَتَكَ. فَغَفَرَ لَهُ ". قَالَ عُقْبَةُ وَأَنَا سَمِعْتُهُ يَقُولُ. حَدَّثَنَا مُوسَى حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ وَقَالَ " فِي يَوْمٍ رَاحٍ ".
Narrated Rabi` bin Hirash:
`Uqba said to Hudhaifa, "Won't you narrate to us what you heard from Allah's Messenger (ﷺ) ?" Hudhaifa said, "I heard him saying, 'Death approached a man and when he had no hope of surviving, he said to his family, 'When I die, gather for me much wood and build a fire (to burn me),. When the fire has eaten my flesh and reached my bones, take the bones and grind them and scatter the resulting powder in the sea on a hot (or windy) day.' (That was done.) But Allah collected his particles and asked (him), 'Why did you do so?' He replied, 'For fear of You.' So Allah forgave him."
Narrated `Abdu Malik:
As above, saying, "On a windy day."
পরিচ্ছেদঃ ২০৭৫. ইসলাম আগমনের পর নবুয়্যতের নিদর্শনসমূহ
৩৩৪৮। ইয়াহইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) ... হুযায়ফা ইবনু ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কল্যাণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন আর আমি তাঁকে অকল্যাণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম; এ আশঙ্কায় যেন আমি ঐ সবের মধ্যে নিপাতিত না হই। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলিয়াতে অকল্যাণকর পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করতাম এরপর আল্লাহ আমাদের এ কল্যাণ দান করেছেন। এ কল্যাণকর অবস্থার পর কোন প্রকার অমঙ্গলের আশঙ্কা আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ঐ অমঙ্গলের পর কোন কল্যাণ আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ আছে। তবে তা মন্দ মিশ্রিত। আমি বললাম যে, মন্দ মিশ্রিত কি? তিনি বললেন, এমন একদল লোক যারা আমরা আদর্শ ত্যাগ করে অন্যপথে পরিচালিত হবে। তাদের কাজে ভালো-মন্দ সবই থাকবে।
আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এরপর কি আরো অমঙ্গল আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ তখন জাহান্নামের দিকে আহ্বানকারীদের আগমন ঘটবে। যারা তাদের ডাকে সাড়া দিবে তাকেই তাঁরা জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এদের পরিচয় বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, তাঁরা আমাদেরই সম্প্রদায়ভুক্ত এবং কথা বলবে আমাদেরই ভাষায়। আমি বললাম, আমি যদি এ অবস্থায় পতিত হই তবে আপনি আমাকে কি করতে আদেশ দেন? তিনি বললেন, মুসলিমদের দল ও তাঁদের ইমামকে আঁকড়িয়ে ধরবে। আমি বললাম, যদি মুসলিমদের এহেন দল ও ইমাম না থাকে? তিনি বলেন, তখন তুমি তাদের সকল দল উপদলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে এবং মৃত্যু না আসা পর্যন্ত বৃক্ষমূল দাঁতে আঁকড়িয়ে ধরে থাকবে এবং তোমার দ্বীনকে রক্ষা করবে।
باب عَلاَمَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي بُسْرُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْحَضْرَمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ، يَقُولُ كَانَ النَّاسُ يَسْأَلُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْخَيْرِ، وَكُنْتُ أَسْأَلُهُ عَنِ الشَّرِّ مَخَافَةَ أَنْ يُدْرِكَنِي. فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَشَرٍّ، فَجَاءَنَا اللَّهُ بِهَذَا الْخَيْرِ، فَهَلْ بَعْدَ هَذَا الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ " نَعَمْ ". قُلْتُ وَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الشَّرِّ مِنْ خَيْرٍ قَالَ " نَعَمْ، وَفِيهِ دَخَنٌ ". قُلْتُ وَمَا دَخَنُهُ قَالَ " قَوْمٌ يَهْدُونَ بِغَيْرِ هَدْيِي تَعْرِفُ مِنْهُمْ وَتُنْكِرُ ". قُلْتُ فَهَلْ بَعْدَ ذَلِكَ الْخَيْرِ مِنْ شَرٍّ قَالَ " نَعَمْ دُعَاةٌ إِلَى أَبْوَابِ جَهَنَّمَ، مَنْ أَجَابَهُمْ إِلَيْهَا قَذَفُوهُ فِيهَا ". قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ صِفْهُمْ لَنَا فَقَالَ " هُمْ مِنْ جِلْدَتِنَا، وَيَتَكَلَّمُونَ بِأَلْسِنَتِنَا " قُلْتُ فَمَا تَأْمُرُنِي إِنْ أَدْرَكَنِي ذَلِكَ قَالَ " تَلْزَمُ جَمَاعَةَ الْمُسْلِمِينَ وَإِمَامَهُمْ ". قُلْتُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ جَمَاعَةٌ وَلاَ إِمَامٌ قَالَ " فَاعْتَزِلْ تِلْكَ الْفِرَقَ كُلَّهَا، وَلَوْ أَنْ تَعَضَّ بِأَصْلِ شَجَرَةٍ حَتَّى يُدْرِكَكَ الْمَوْتُ وَأَنْتَ عَلَى ذَلِكَ ".
Narrated Hudhaifa bin Al-Yaman:
The people used to ask Allah's Messenger (ﷺ) about good, but I used to ask him about evil for fear that it might overtake me. Once I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We were in ignorance and in evil and Allah has bestowed upon us the present good; will there by any evil after this good?" He said, "Yes." I asked, "Will there be good after that evil?" He said, "Yes, but it would be tained with Dakhan (i.e. Little evil)." I asked, "What will its Dakhan be?" He said, "There will be some people who will lead (people) according to principles other than my tradition. You will see their actions and disapprove of them." I said, "Will there by any evil after that good?" He said, "Yes, there will be some people who will invite others to the doors of Hell, and whoever accepts their invitation to it will be thrown in it (by them)." I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Describe those people to us." He said, "They will belong to us and speak our language" I asked, "What do you order me to do if such a thing should take place in my life?" He said, "Adhere to the group of Muslims and their Chief." I asked, "If there is neither a group (of Muslims) nor a chief (what shall I do)?" He said, "Keep away from all those different sects, even if you had to bite (i.e. eat) the root of a tree, till you meet Allah while you are still in that state."
পরিচ্ছেদঃ ২০৭৫. ইসলাম আগমনের পর নবুয়্যতের নিদর্শনসমূহ
৩৩৪৯। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার সঙ্গীগণ কল্যাণ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আর আমি জানতে চেয়েছি ফিতনা ফাসাদ সম্পর্কে।
باب عَلاَمَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنِي قَيْسٌ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ تَعَلَّمَ أَصْحَابِي الْخَيْرَ وَتَعَلَّمْتُ الشَّرَّ.
Narrated Hudhaifa:
My companions learned (something about) good (through asking the Prophet) while I learned (something about) evil.
পরিচ্ছেদঃ ২১০০. আবু উবাদা ইবন জাররাহ (রাঃ) এর মর্যাদা
৩৪৭৩। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজরানবাসীকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন; আমি (তোমাদের ওখানে) এমন এক ব্যাক্তিকে পাঠাব যিনি হবেন অত্যন্ত আমীন ও বিশ্বস্ত। একথা শুনে সাহাবয়ে কেরাম আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করতে লাগলেন। পরে তিনি আবূ উবাইদা (রাঃ) কে পাঠালেন।
باب مَنَاقِبُ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ صِلَةَ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لأَهْلِ نَجْرَانَ " لأَبْعَثَنَّ ـ يَعْنِي عَلَيْكُمْ ـ يَعْنِي أَمِينًا ـ حَقَّ أَمِينٍ ". فَأَشْرَفَ أَصْحَابُهُ، فَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ رضى الله عنه.
Narrated Hudhaifa:
The Prophet (ﷺ) said to the people of Nijran, "I will send you the most trustworthy man." (Every one of) the companions of the Prophet (ﷺ) was looking forward (to be that person). He then sent Abu 'Ubaida.
পরিচ্ছেদঃ ২২৩৬. নাজরান অধিবাসীদের ঘটনা
৪০৩৮। আব্বাস ইবনু হুসায়ন (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) বর্নিত, তিনি বলেন, নাজরান এলাকার দু’জন সরদার আকিব এবং সাইয়িদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাঁর সাথে মুবাহালা* করতে চেয়েছিল। বর্ননাকারী হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, তখন তাদের একজন অপরজনকে বলল, এরুপ করোনা। কারন আল্লাহর কসম, তিনি যদি সত্যি নবী হয়ে থাকেন আর আমরা তাঁর সাথে মুবাহালা করি, তাহলে আমরা এবং আমাদের পরবর্তী সন্তান-সন্ততি (কেউ) রক্ষা পাবেনা। তারা উভয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বলল যে, আপনি আমাদের কাছ থেকে যা চাইবেন, আপনাকে আমরা তা-ই দেবো। তবে এর জন্য আপনি আমাদের সাথে একজন আমানতদার ব্যাক্তিকে পাঠিয়ে দিন। আমানতদার ছাড়া অন্য কোন ব্যাক্তিকে আমাদের সাথে পাঠাবেন না। তিনি বললেন, আমি তোমাদের সাথে অবশ্যই একজন পুরা আমানতদার ব্যাক্তিকেই পাঠাবো, এ দায়িত্ব গ্রহনের নিমিত্তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগন আগ্রহ প্রকাশ করলেন। তখন তিনি বললেন, হে আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ তুমি উঠে দাঁড়াও। তিনি যখন দাঁড়ালেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ হচ্ছে এই উম্মতের আমানতদার।
باب قِصَّةُ أَهْلِ نَجْرَانَ
حَدَّثَنِي عَبَّاسُ بْنُ الْحُسَيْنِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ جَاءَ الْعَاقِبُ وَالسَّيِّدُ صَاحِبَا نَجْرَانَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرِيدَانِ أَنْ يُلاَعِنَاهُ، قَالَ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ لاَ تَفْعَلْ، فَوَاللَّهِ لَئِنْ كَانَ نَبِيًّا فَلاَعَنَّا، لاَ نُفْلِحُ نَحْنُ وَلاَ عَقِبُنَا مِنْ بَعْدِنَا. قَالاَ إِنَّا نُعْطِيكَ مَا سَأَلْتَنَا، وَابْعَثْ مَعَنَا رَجُلاً أَمِينًا، وَلاَ تَبْعَثْ مَعَنَا إِلاَّ أَمِينًا. فَقَالَ " لأَبْعَثَنَّ مَعَكُمْ رَجُلاً أَمِينًا حَقَّ أَمِينٍ ". فَاسْتَشْرَفَ لَهُ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " قُمْ يَا أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ ". فَلَمَّا قَامَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَا أَمِينُ هَذِهِ الأُمَّةِ ".
Narrated Hudhaifa:
Al-`Aqib and Saiyid, the rulers of Najran, came to Allah's Messenger (ﷺ) with the intention of doing Lian one of them said to the other, "Do not do (this Lian) for, by Allah, if he is a Prophet and we do this Lian, neither we, nor our offspring after us will be successful." Then both of them said (to the Prophet (ﷺ) ), "We will give what you should ask but you should send a trustworthy man with us, and do not send any person with us but an honest one." The Prophet (ﷺ) said, "I will send an honest man who Is really trustworthy." Then every one of the companions of Allah's Messenger (ﷺ) wished to be that one. Then the Prophet said, "Get up, O Abu 'Ubaida bin Al-Jarrah." When he got up, Allah's Messenger (ﷺ) said, "This is the Trustworthy man of this (Muslim) nation."
পরিচ্ছেদঃ ২২৩৬. নাজরান অধিবাসীদের ঘটনা
৪০৩৯। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) বর্নিত, তিনি বলেন, নাজরান অধিবাসীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, আমাদের এলাকার জন্য একজন আমানতদার ব্যাক্তি পাঠিয়ে দিন। তিনি বললেন, তোমাদের কাছে আমি একজন আমানতদার ব্যাক্তিকেই পাঠাবো, যিনি সত্যই আমানতদার। কথাটি শুনে লোকজন সবাই আগ্রহভরে তাকিয়ে রইলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ্ (রাঃ) কে পাঠালেন।
باب قِصَّةُ أَهْلِ نَجْرَانَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ جَاءَ أَهْلُ نَجْرَانَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا ابْعَثْ لَنَا رَجُلاً أَمِينًا. فَقَالَ " لأَبْعَثَنَّ إِلَيْكُمْ رَجُلاً أَمِينًا حَقَّ أَمِينٍ ". فَاسْتَشْرَفَ لَهُ النَّاسُ، فَبَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ.
Narrated Hudhaifa:
The people of Najran came to the Prophet (ﷺ) and said, "Send an honest man to us." The Prophet (ﷺ) said, "I will send to you an honest man who is really trustworthy." Everyone of the (Muslim) people hoped to be that one. The Prophet (ﷺ) then sent Abu Ubaida bin Al-Jarrah.