পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬০৩. (সহীহ) বারা ইবনে আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “নিদ্রার উদ্দেশ্যে যখন বিছানায় আসবে, তখন স্বলাতের ওযুর ন্যায় ওযু করবে। অতঃপর ডান পার্শ্বের উপর শুয়ে পড়বে। অতঃপর পাঠ করবে,

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসলামতু নাফসী ইলায়কা, ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহী ইলায়কা, ওয়া ফাওয়াযতু আমরী ইলায়কা, ওয়া আলজা’তু যাহরী ইলায়কা, রাগবাতান ও রাহবাতান ইলায়কা, লা মালজা’ ওলা মান্জা’ মিনকা ইল্লা ইলায়কা, আমানতু বিকিতাবিকাল্লাযী আন্যালতা, ওয়া বে নাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।

অর্থঃ হে আল্লাহ আপনার নিকট আমার প্রাণকে সমর্পন করছি। আমার মুখমণ্ডল আপনার সম্মুখে পেশ করছি, আমার যাবতীয় বিষয় আপনার নিকট সমর্পন করছি। আমার পৃষ্ঠদেশ আপনার নিকট পেশ করছি। আপনার কাছে আশা পোষণ করছি, আপনাকেই ভয় করছি। আপনি ছাড়া আপনার আযাব থেকে কোন আশ্রয়স্থল, কোন মুক্তিস্থল নেই। আপনি যে কিতাব নাযীল করেছেন, যে নবী পাঠিয়েছেন তার প্রতি ঈমান এনেছি।

তিনি বলেন, তুমি যদি সে রাতে মৃত্যু বরণ কর তবে ফিতরাতের (ইসলামের) উপর মৃত্যু বরণ করবে। এই দুআটি তোমার সর্বশেষ কথা হিসেবে নির্ধারিত করবে।’’

বারা বলেনঃ আমি দুআটি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পূণরাবৃত্তি করলাম। যখন এই স্থানে পৌছলাম; আমানতু বিকিতাবিকাল্লাযী আন্যালতা- বললাম, ওয়া রাসূলেকা, নবী (সা.) বললেন, এ ভাবে নয়; বরং ওয়া নাবিয়্যেকাল্লাযী আরসালতা।[1]

(হাদীসটি বর্ণনা করেন ইমাম বুখারী ২৪৭, মুসলিম ২৭১০, আবূ দাউদ ৫০৪৬, তিরমিযী ৩৩৯৪, নাসাঈ ৭৮১ ও ইবনে মাজাহ্ ৩৮৭৬)

বুখারী ও তিরমিযীর বর্ণনায় এরূপ রয়েছে,

فَإِنَّكَ إِنْ مِتَّ مِنْ لَيلَتِكَ مِتَّ عَلَى الفِطْرَةِ ، وَإِنْ أصْبَحْتَ أَصَبْتَ خَيراً

’’তুমি যদি সে রাতে মৃত্যু বরণ কর, তবে ফিতরাত তথা ইসলামের উপর মৃত্যু বরণ করবে। আর যদি সকালে জাগ্রত হও তবে কল্যাণ লাভ করবে।’’ (বুখারী ২৪৭, তিরমিযি ৩৩৯৪)

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

(صحيح) عن البراء بن عازب رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال قال النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلَاةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الْأَيْمَنِ ثم قَلْ اللَّهُمَّ إنِّي أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ ووجهت وَجْهِي إليك وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ َرَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجأ مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ فَإِنْ مِتَّ مِتَّ مِنْ لَيْلَتِكَ، فَأَنْتَ عَلَى الْفِطْرَةِ وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَتَكَلَّمُ بِهِ قَالَ، فَرَدَدْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَلَمَّا بَلَغْتُ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ قُلْتُ: وَرَسُولِكَ قَالَ: لاَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ .رواه البخاري ومسلم وأبو داود والترمذي والنسائي وابن ماجه

(صحيح) عن البراء بن عازب رضي الله عنه قال قال النبي صلى الله عليه وسلم : اذا اتيت مضجعك فتوضا وضوءك للصلاة ثم اضطجع على شقك الايمن ثم قل اللهم اني اسلمت نفسي اليك ووجهت وجهي اليك وفوضت امري اليك والجات ظهري اليك رغبة ورهبة اليك لا ملجا ولا منجا منك الا اليك امنت بكتابك الذي انزلت ونبيك الذي ارسلت فان مت مت من ليلتك، فانت على الفطرة واجعلهن اخر ما تتكلم به قال، فرددتها على النبي صلى الله عليه وسلم ، فلما بلغت امنت بكتابك الذي انزلت قلت: ورسولك قال: لا ونبيك الذي ارسلت .رواه البخاري ومسلم وابو داود والترمذي والنساىي وابن ماجه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)

পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬০৪. (সহীহ) ইবনে আবী লায়লা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আলী (রাঃ) আমাদের কাছে হাদীছ বর্ণনা করেছেনঃ যাঁতা টানার কারণে ফাতিমা (রাঃ) এর হাত ব্যথিত হয়ে গিয়েছিল। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুদ্ধ বন্দী কিছু দাসী লাভ করলেন। তখন ফাতিমা নবীজীর কাছে গেলেন কিন্তু তাঁকে পেলেন না। আয়েশা (রাঃ) কে পেয়ে তাঁর আগমণের উদ্দেশ্য বর্ণনা করলেন। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এলে আয়েশা (রাঃ) ফাতিমার আগমণ সম্পর্কে তাঁকে বললেন। তখন নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিকট আগমণ করলেন। তখন আমরা শুয়ে পড়েছিলাম। তাঁকে দেখে আমরা উঠতে চাইলাম। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, শুয়ে থাক। তিনি আমাদের দু’জনের মধ্যবর্তী স্থানে বসে পড়লেন এমনকি তাঁর পায়ের ঠান্ডা আমার সিনায় অনুভব করলাম। তারপর তিনি বললেনঃ

’’তোমরা যা চেয়েছো আমি কি তোমাদেরকে তার চেয়ে উত্তম কিছু শিখিয়ে দিব না? তোমরা যখন শয্যা গ্রহণ করবে তখন ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ্ পাঠ করবে এবং ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্ পাঠ করবে। এগুলো তোমাদের জন্য একজন খাদেমের চেয়ে উত্তম।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৬৩১ ও মুসলিম ২৭২৭)

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

(صحيح) قلت : ولفظ الشيخين في حديث علي المذكور في الضعيف عن أبي ليلى : حَدَّثَنَا عَلِيٌّ أَنَّ فَاطِمَةَ اشْتَكَتْ مَا تَلْقَى مِنْ الرَّحَى فِي يَدِهَا وَأتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْيٌ فَانْطَلَقَتْ فَلَمْ تَجِدْهُ وَلَقِيَتْ عَائِشَةَ فَأَخْبَرَتْهَا فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ بِمَجِيءِ فَاطِمَةَ إِلَيْهَا فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا فَذَهَبْنَا نَقُومُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَكَانِكُمَا فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمِهِ عَلَى صَدْرِي ثُمَّ قَالَ
أَلَا أُعَلِّمُكُمَا خَيْرًا مِمَّا سَأَلْتُمَا إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا أَنْ تُكَبِّرَا اللَّهَ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ وَتُسَبِّحَاهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَتَحْمَدَاهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَهْوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ

(صحيح) قلت : ولفظ الشيخين في حديث علي المذكور في الضعيف عن ابي ليلى : حدثنا علي ان فاطمة اشتكت ما تلقى من الرحى في يدها واتى النبي صلى الله عليه وسلم سبي فانطلقت فلم تجده ولقيت عاىشة فاخبرتها فلما جاء النبي صلى الله عليه وسلم اخبرته عاىشة بمجيء فاطمة اليها فجاء النبي صلى الله عليه وسلم الينا وقد اخذنا مضاجعنا فذهبنا نقوم فقال النبي صلى الله عليه وسلم على مكانكما فقعد بيننا حتى وجدت برد قدمه على صدري ثم قال الا اعلمكما خيرا مما سالتما اذا اخذتما مضاجعكما ان تكبرا الله اربعا وثلاثين وتسبحاه ثلاثا وثلاثين وتحمداه ثلاثا وثلاثين فهو خير لكما من خادم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)

পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬০৫. (হাসান লি গাইরিহী) ফারওয়া বিন নওফল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতা নওফল (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা নওফলকে বললেনঃ  ’’পড় (কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফেরূন) তারপর সূরাটি শেষ করে ঘুমিয়ে পড়। কেননা উহা হচ্ছে শির্ক থেকে মুক্তিনামা।’’

(আবু দাউদ ৫০৫৫, তিরমিযী ৩৪০০, নাসাঈ ৮০২, ইবনে হিব্বান ৭৮৭ ও হাকেম ২/৫৩৮ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন) হাদীছের বাক্য আবু দাউদের। তিরমিযী ও নাসাঈ হাদীছটি মুত্তাসেল ও মুরসাল উভয় সনদে বর্ণনা করেছেন। হাকেম বলেনঃ সনদ ছহীহ্)

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

(حسن لغيره) وَعَنْ فروة بن نوفل عن أبيه رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِنَوْفَلٍ اقْرَأْ قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ثُمَّ نَمْ عَلَى خَاتِمَتِهَا فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنْ الشِّرْكِ.رواه أبو داود واللفظ له والترمذي والنسائي متصلا ومرسلا وابن حبان في صحيحه والحاكم وقال صحيح الإسناد

(حسن لغيره) وعن فروة بن نوفل عن ابيه رضي الله عنه ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لنوفل اقرا قل يا ايها الكافرون ثم نم على خاتمتها فانها براءة من الشرك.رواه ابو داود واللفظ له والترمذي والنساىي متصلا ومرسلا وابن حبان في صحيحه والحاكم وقال صحيح الاسناد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)

পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬০৬. (সহীহ) আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’কোন মুসলিম বান্দা যদি দু’টি বৈশিষ্টের প্রতি যত্নবান হয়, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। বিষয় দু’টি খুবই সহজ। যে তার প্রতি আমল করবে তার জন্য খুবই অল্প। প্রত্যেক ফরয নামাযের পর দশবার ’সুবহানাল্লাহ্’ বলবে। দশবার ’আল হামদু লিল্লাহ্’ বলবে এবং দশবার বলবে ’আল্লাহু আকবার’। এগুলো মুখে বললে সংখ্যায় (পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে) মাত্র একশত পঞ্চাশ বার। কিন্তু ওযনে এক হাজার পাঁচশত বারের সমান। আর যখন শয্যা গ্রহণ করবে তখন পাঠ করবে ’আল্লাহু আকবার’ চৌত্রিশবার, ’আল হামদু লিল্লাহ্’ তেত্রিশবার এবং ’সুবহানাল্লাহ্’ তেত্রিশবার। এগুলো মুখে বললে সংখ্যায় হবে একশত বার কিন্তু ওযনে এক হাজার বারের সমান।’’

আমি দেখেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডান হাতের আঙ্গুলের সাহয্যে সেগুলো গণনা করতেন।

তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ’’এই বৈশিষ্ট দু’টো সহজ এবং যে উহা আমল করবে তার জন্যে অল্প’’ আপনার একথা বলার কারণ কি? তিনি বললেন,

’’তোমাদের মধ্যে কোন মানুষ যখন নিদ্রা যায় তখন শয়তান আসে এবং ওগুলো বলার পূর্বেই নিদ্রা চাপিয়ে দেয়। নামাযের সময় আসে এবং ওগুলো বলার পূর্বে কোন প্রয়োজনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৫০৬৫, তিরমিযী ৩৪০৭, নাসাঈ ৩/৭৪ ও ইবনে হিব্বান ২০০৯) হাদীছের বাক্য আবু দাউদের।

ইবনে হিব্বানের বর্ণনায়ঃ

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :  وَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِائَةِ سيئة

’ওযনে এক হাজার পাঁচশতবার’ বলার পরে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে দিনে-রাতে দু’হাজার পাঁচশতটি গুনাহ করে থাকে?’’

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

(صحيح) وَعَنْ عبد الله بن عمرو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لَا يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِئَةٌ بِاللِّسَانِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لَا يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسَمِئَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُ مِئَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ وَيَحْمَدُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَذَلِكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْقِدُهَا . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ قَالَ يَأْتِي أَحَدَكُمْ يَعْنِي الشَّيْطَانَ فِي مَنَامِهِ فَيُنَوِّمُهُ قَبْلَ أَنْ يَقُولَهُ وَيَأْتِيهِ فِي صَلَاتِهِ فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةً قَبْلَ أَنْ يَقُولَهَا. رواه أبو داود واللفظ له والترمذي وقال حديث حسن صحيح والنسائي وابن حبان

(صحيح) وعن عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال خصلتان او خلتان لا يحافظ عليهما عبد مسلم الا دخل الجنة هما يسير ومن يعمل بهما قليل يسبح في دبر كل صلاة عشرا ويحمد عشرا ويكبر عشرا فذلك خمسون ومىة باللسان عن النبي صلى الله عليه وسلم قال خصلتان او خلتان لا يحافظ عليهما عبد مسلم الا دخل الجنة هما يسير ومن يعمل بهما قليل يسبح في دبر كل صلاة عشرا ويحمد عشرا ويكبر عشرا فذلك خمسمىة باللسان والف وخمس مىة في الميزان ويكبر اربعا وثلاثين اذا اخذ مضجعه ويحمد ثلاثا وثلاثين ويسبح ثلاثا وثلاثين فذلك ماىة باللسان والف في الميزان فلقد رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يعقدها . قالوا يا رسول الله كيف هما يسير ومن يعمل بهما قليل قال ياتي احدكم يعني الشيطان في منامه فينومه قبل ان يقوله وياتيه في صلاته فيذكره حاجة قبل ان يقولها. رواه ابو داود واللفظ له والترمذي وقال حديث حسن صحيح والنساىي وابن حبان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)

পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬০৭. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

 যে ব্যক্তি শয্যা গ্রহণ পূর্বক এই দু’আটি পাঠ করবেঃ

لا إله إلا الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ


(লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা-শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর। লা- হাউলা অলা- কুউঅতা ইল্লা- বিল্লা-হ। সুবহানাল্লা-হি অল হামদুলিল্লা-হি অলা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার।)


’’আল্লাহ ছাড়া কোন হক উপাস্য নেই। তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই। তারই জন্য রাজত্ব, তারই জন্য সমস্ত প্রশংসা। তিনি সকল বস্ত্তর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর শক্তি ও সামর্থ ছাড়া কোন উপায় নেই। অতি পবিত্র আল্লাহ্‌ তা’আলা, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ্‌ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, আল্লাহ্‌ মহান।’’

তার গুনাহ সমূহ বা ত্রুটি সমূহ (বর্ণনাকারী মিসআরের সন্দেহ) ক্ষমা করা হবে যদিও উহা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।’’

(নাসাঈ ৮১০ ও ইবনে হিব্বান ৫৫০৩ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। হাদীছের বাক্য ইবনে হিব্বানের)

নাসাঈর বর্ণনায় আছেঃ (সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি) এবং তার শেষে বলা হয়েছেঃ ’’তার পাপ রাশী ক্ষমা করা হবে যদিও উহা সমুদ্রের ফেনারাশীর চেয়ে বেশী হয়।’’

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : مَنْ قَالَ حِينَ يَأْوِي إلَى فِرَاشِهِ ، لاَ إلَهَ إلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ ، لاَ شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ لاَ حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلَّا بِالله العلي العَظِيْم ، سُبْحَانَ اللهِ وَالحَمدُ لله ، وَلاَ إلَهَ إلاَّ اللَّهُ ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ، غُفِرْت ذُنُوبُهُ أو خطاياه وإن كانت مثل زبد البحر. رواه النسائي، وابن حبان في صحيحه واللفظ له

(صحيح) و عن ابي هريرة رضي الله عنه قال : من قال حين ياوي الى فراشه ، لا اله الا الله وحده ، لا شريك له ، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير لا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم ، سبحان الله والحمد لله ، ولا اله الا الله ، والله اكبر ، غفرت ذنوبه او خطاياه وان كانت مثل زبد البحر. رواه النساىي، وابن حبان في صحيحه واللفظ له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)

পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬০৮. (সহীহ লি গাইরিহী) আবু আবদুর রহমান আল হুবলী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) আমাদের সামনে একটি খাতা বের করলেন এবং বললেনঃ আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই কথাগুলো শিক্ষা দিতেন,


اللهم فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالأرْضِ، عاَلِمَ الغَيْبِ وَالشَّهاَدَةِ، ربَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيْكَهُ، اَشْهَدُ أنْ لاإله إلا أنْتَ، أعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِيْ، وَشَرِّ الشَّيْطاَنِ وَشِرْكِهِ، وأنْ أقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِيْ سُوْءً، أوْ أجُرُّهُ إلَى مُسْلِمٍ.  رواه أحمد بسند حسن

’’হে আল্লাহ্‌ তুমি আসমান-যমিনের সৃষ্টিকর্তা, তুমি গোপন-প্রকাশ্য সবকিছুই জান। তুমি সকল বস্ত্তর প্রভু এবং সব কিছুর মালিক, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বূদ নেই। আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তান ও তার শিরকের অনিষ্ট থেকে। আর আশ্রয় কামনা করছি নিজের উপর অন্যায় করা থেকে বা সে অন্যায় কোন মুসলিমের উপর চাপিয়ে দেয়া থেকে।’’

আবু আবদুর রহমান বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আবদুল্লাহ ইবনে আমরকে এই কথা শিখিয়েছিলেন যখন তিনি নিদ্রা যাওয়ার ইচ্ছা করবেন তখন পাঠ কর করার জন্য।

(হাসান সনদে ইমাম আহমাদ হাদীছটি বর্ণনা করেন ২/১৭১, সিলসিলা সহীহা ৩৪৪৩)

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

(صحيح لغيره) عن أبي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيَّ حَدَّثَهُ قَالَ : أَخْرَجَ لَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو قِرْطَاسًا وَقَالَ: كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُنَا يَقُولُ : اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ رَبُّ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَهُ كُلِّ شَيْءٍ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ وَالْمَلَائِكَةُ يَشْهَدُونَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي إِثْمًا أَوْ أَجُرَّهُ عَلَى مُسْلِمٍ قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَأنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو أَنْ يَقُولَ ذَلِكَ حِينَ يُرِيدُ أَنْ يَنَامَ

(صحيح لغيره) عن ابي عبد الرحمن الحبلي حدثه قال : اخرج لنا عبد الله بن عمرو قرطاسا وقال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعلمنا يقول : اللهم فاطر السموات والارض عالم الغيب والشهادة انت رب كل شيء واله كل شيء اشهد ان لا اله الا انت وحدك لا شريك لك وان محمدا عبدك ورسولك والملاىكة يشهدون اعوذ بك من الشيطان وشركه واعوذ بك ان اقترف على نفسي اثما او اجره على مسلم قال ابو عبد الرحمن كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعلمه عبد الله بن عمرو ان يقول ذلك حين يريد ان ينام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)

পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬০৯. (হাসান) আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি শয্যা গ্রহণ করে পাঠ করবেঃ

(الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَفَاني وَآوَاني الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَنَّ عَلَيَّ فَأفْضَلَ)

[সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমার প্রয়োজন পূরণ করেছেন এবং আমাকে আশ্রয় দান করেছেন। সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাকে পানাহার করিয়েছেন। সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করে আমাকে উত্তম করেছেন।] তাহলে সে সকল সৃষ্টিজীব আল্লাহর যা প্রশংসা করে তা সবই সে করে ফেলল।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বায়হাক্বী ৪৩৮২)

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

(حسن ) وَعَنْ أنَسِ بْنِ ماَلِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:"مَنْ قَالَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي وَسَقَانِي، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي مَنَّ عَلَيَّ فَأَفْضَلَ، فَقَدْ حَمِدَ اللهَ بِجَمِيعِ مَحَامِدِ الْخَلْقِ كُلِّهِمْ ". رواه البيهقي

(حسن ) وعن انس بن مالك رضي الله عنه: قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:"من قال اذا اوى الى فراشه: الحمد لله الذي اطعمني وسقاني، والحمد لله الذي من علي فافضل، فقد حمد الله بجميع محامد الخلق كلهم ". رواه البيهقي

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)

পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬১০. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রমাযানের যাকাত (ফিতরা) পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দিলেন। একজন লোক এসে নিজের অঞ্জলি ভর্তি করে খাদ্যদ্রব্য নিতে লাগল। আমি তাকে ধরে ফেললাম। বললাম, অবশ্যই আমি তোমাকে রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট সোপর্দ করবো। সে বলল, আমি অভাবী, আমি ঋণগ্রস্থ এবং পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব আমারই উপর আর আমার অভাব খুবই তীব্র। (তাই আমাকে ছেড়ে দিন।) আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। প্রভাতে নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ

’’হে আবু হুরায়রা! গত রাতে তোমার বন্দীর খবর কি?’’

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে পরিজন ও নিজের তীব্র অভাবের কথা আমাকে বললে আমি করুণা করে তাকে ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি বললেন,’’ সাবধান! সে তোমাকে মিথ্যা কথা বলেছে এবং সে পুনরায় আসবে।’’

রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কথায় আমি নিশ্চিত হলাম যে সে পুনরায় আসবে। সুতরাং আমি তার অপেক্ষায় ওঁৎ পেতে থাকলাম। সে পুনরায় এল এবং অঞ্জলি পূর্ণ করে খাদ্যদ্রব্য নিতে লাগল। এভাবে আবু হুরায়রা আগের মতই হাদীছ বর্ণনা করলেন। এরপর বললেন, তৃতীয়বার আমি তাকে পাকড়াও করে বললামঃ অবশ্যই আমি তোমাকে রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট নিয়ে যাব। এটা তৃতীয়বার, তুমি বারবার বলছো যে আর আসবে না। কিন্তু ঠিকই আবার আসছো। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন, আমি আপনাকে কিছু কথা শিখিয়ে দিব। তা দ্বারা আল্লাহ্‌ আপনাকে উপকৃত করবেন। আমি বললাম সেটা কি? সে বলল, যখন আপনি শয্যা গ্রহণ করবেন তখন পাঠ করবেন আয়াতুল কুরসী (আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল্ হাইয়্যুল কাইয়্যুম..) আয়াতের শেষ পর্যন্ত। তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান আপনার নিকটবর্তী হতে পারবে না। তখন আমি তাকে ছেড়ে দিলাম। সকাল বেলায় রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেনঃ

’’গত রাতে তোমার বন্দীর খবর কি?’’

আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! সে মনে করেছে আমাকে কিছু কথা শিখিয়ে দিবে। যা দ্বারা আল্লাহ্‌ আমাকে উপকৃত করবেন। তাই আমি তার পথ ছেড়ে দিয়েছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ ’’উহা কি?’’

আমি বললাম, সে আমাকে বলেছেঃ যখন আপনি শয্যা গ্রহণ করবেন তখন আয়াতুল কুরসী (আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুওয়াল্ হাইয়্যুল কাইয়্যুম..) প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করবেন। সে আমাকে বলেছেঃ তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আপনার জন্য একজন পাহারাদার নিয়োগ করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান আপনার নিকটবর্তী হতে পারবে না। (বর্ণনাকারী বলেনঃ) সাহাবায়ে কেরাম কল্যাণজনক বিষয়ের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। তাই আবু হুরায়রা চোরটিকে ছেড়ে দিয়েছেন।

তখন নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’হ্যাঁ, সে তোমাকে একটি সত্য কথা বলেছে কিন্তু সাবধান সে বড় মিথ্যুক। আবু হুরায়রা! তুমি কি জানো গত তিন রাত যাবত কার সাথে কথা বলছিলে? আমি বললাম, না।

তিনি বললেন, ’’সে ছিল শয়তান।’’

(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ২৩১১, তিরমিযি ২৮৮৩ ও ইবনে খুযায়মা) শায়খ আলবানী বলেনঃ এ বর্ণনাটি ইমাম বুখারী মুআল্লাক সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ وَكَّلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ فَأَتَانِي آتٍ فَجَعَلَ يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ فَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنِّي مُحْتَاجٌ وَعَلَيَّ عِيَالٌ وَلِي حَاجَةٌ شَدِيدَةٌ فَخَلَّيْتُ عَنْهُ فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :
يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ الْبَارِحَةَ .
قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ شَكَا حَاجَةً شَدِيدَةً وَعِيَالًا فَرَحِمْتُهُ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ قَالَ:
أَمَا إِنَّهُ قَدْ كَذَبَكَ وَسَيَعُودُ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ سَيَعُودُ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهُ سَيَعُودُ فَرَصَدْتُهُ فَجَاءَ يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ وذكر الحديث إلى أن قال فَأَخَذْتُهُ يعني في الثالثة فَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ وَهَذَا آخِرُ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ أَنَّكَ تَزْعُمُ لَا تَعُودُ ثُمَّ تَعُودُ قَالَ دَعْنِي أُعَلِّمْكَ كَلِمَاتٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهَا قُلْتُ مَا هُوَ قَالَ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ [ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ] حَتَّى تَخْتِمَ الْآيَةَ فَإِنَّكَ لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنْ اللَّهِ حَافِظٌ وَلَا يَقْرَبَنَّكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :
مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ الْبَارِحَةَ
قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَعَمَ أَنَّهُ يُعَلِّمُنِي كَلِمَاتٍ يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهَا فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ قَالَ مَا هِيَ
قُلْتُ قَالَ لِي إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ مِنْ أَوَّلِهَا حَتَّى تَخْتِمَ الْآيَةَ [ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ]
وَقَالَ لِي لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنْ اللَّهِ حَافِظٌ وَلَا يَقْرَبَكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ وَكَانُوا أَحْرَصَ شَيْءٍ عَلَى الْخَيْرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :
أَمَا إِنَّهُ قَدْ صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ تَعْلَمُ مَنْ تُخَاطِبُ مُنْذُ ثَلَاثِ لَيَالٍ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ.
قَلْتُ: لَا قَالَ:
ذَاكَ شَيْطَانٌ.رواه البخاري وابن خزيمة وغيرهما

و عن ابي هريرة رضي الله عنه قال وكلني رسول الله صلى الله عليه وسلم بحفظ زكاة رمضان فاتاني ات فجعل يحثو من الطعام فاخذته فقلت لارفعنك الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اني محتاج وعلي عيال ولي حاجة شديدة فخليت عنه فاصبحت فقال النبي صلى الله عليه وسلم : يا ابا هريرة ما فعل اسيرك البارحة . قال قلت يا رسول الله شكا حاجة شديدة وعيالا فرحمته فخليت سبيله قال: اما انه قد كذبك وسيعود فعرفت انه سيعود لقول رسول الله صلى الله عليه وسلم انه سيعود فرصدته فجاء يحثو من الطعام وذكر الحديث الى ان قال فاخذته يعني في الثالثة فقلت لارفعنك الى رسول الله وهذا اخر ثلاث مرات انك تزعم لا تعود ثم تعود قال دعني اعلمك كلمات ينفعك الله بها قلت ما هو قال اذا اويت الى فراشك فاقرا اية الكرسي [ الله لا اله الا هو الحي القيوم ] حتى تختم الاية فانك لن يزال عليك من الله حافظ ولا يقربنك شيطان حتى تصبح فخليت سبيله فاصبحت فقال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم : ما فعل اسيرك البارحة قلت يا رسول الله زعم انه يعلمني كلمات ينفعني الله بها فخليت سبيله قال ما هي قلت قال لي اذا اويت الى فراشك فاقرا اية الكرسي من اولها حتى تختم الاية [ الله لا اله الا هو الحي القيوم ] وقال لي لن يزال عليك من الله حافظ ولا يقربك شيطان حتى تصبح وكانوا احرص شيء على الخير فقال النبي صلى الله عليه وسلم : اما انه قد صدقك وهو كذوب تعلم من تخاطب منذ ثلاث ليال يا ابا هريرة. قلت: لا قال: ذاك شيطان.رواه البخاري وابن خزيمة وغيرهما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)

পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা

৬১১. (হাসান সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যে ব্যক্তি শয্যা গ্রহণ করতঃ আল্লাহকে স্মরণ করবে না। (কোন দু’আ পাঠ করবে না) তবে কিয়ামত দিবসে এটা তার আক্ষেপের কারণ হবে। আর যে ব্যক্তি মজলিসে বসে আল্লাহকে স্মরণ করবে না। তবে উহা তার জন্য কিয়ামত দিবসে ক্ষতি ও আক্ষেপের কারণ হবে।’’

(আবু দাউদ ৫০৫৯ ও নাসাঈ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৪০৪)

الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى

(حسن صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنِ اضْطَجَعَ مَضْجَعًا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ فِيهِ كَانَ عَلَيْهِ تِرَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ قعد مقعدا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ فِيهِ كَانَ عَلَيْهِ تِرَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ. رواه أبو داود والنسائي

(حسن صحيح) و عن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " من اضطجع مضجعا لم يذكر الله فيه كان عليه ترة يوم القيامة ومن قعد مقعدا لم يذكر الله فيه كان عليه ترة يوم القيامة. رواه ابو داود والنساىي

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব
৬. নফল সালাত সমূহ [নফল সালাতের বর্ণনা] (كتاب النوافل)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে