লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা
৬০৩. (সহীহ) বারা ইবনে আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “নিদ্রার উদ্দেশ্যে যখন বিছানায় আসবে, তখন স্বলাতের ওযুর ন্যায় ওযু করবে। অতঃপর ডান পার্শ্বের উপর শুয়ে পড়বে। অতঃপর পাঠ করবে,
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নী আসলামতু নাফসী ইলায়কা, ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহী ইলায়কা, ওয়া ফাওয়াযতু আমরী ইলায়কা, ওয়া আলজা’তু যাহরী ইলায়কা, রাগবাতান ও রাহবাতান ইলায়কা, লা মালজা’ ওলা মান্জা’ মিনকা ইল্লা ইলায়কা, আমানতু বিকিতাবিকাল্লাযী আন্যালতা, ওয়া বে নাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ আপনার নিকট আমার প্রাণকে সমর্পন করছি। আমার মুখমণ্ডল আপনার সম্মুখে পেশ করছি, আমার যাবতীয় বিষয় আপনার নিকট সমর্পন করছি। আমার পৃষ্ঠদেশ আপনার নিকট পেশ করছি। আপনার কাছে আশা পোষণ করছি, আপনাকেই ভয় করছি। আপনি ছাড়া আপনার আযাব থেকে কোন আশ্রয়স্থল, কোন মুক্তিস্থল নেই। আপনি যে কিতাব নাযীল করেছেন, যে নবী পাঠিয়েছেন তার প্রতি ঈমান এনেছি।
তিনি বলেন, তুমি যদি সে রাতে মৃত্যু বরণ কর তবে ফিতরাতের (ইসলামের) উপর মৃত্যু বরণ করবে। এই দুআটি তোমার সর্বশেষ কথা হিসেবে নির্ধারিত করবে।’’
বারা বলেনঃ আমি দুআটি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট পূণরাবৃত্তি করলাম। যখন এই স্থানে পৌছলাম; আমানতু বিকিতাবিকাল্লাযী আন্যালতা- বললাম, ওয়া রাসূলেকা, নবী (সা.) বললেন, এ ভাবে নয়; বরং ওয়া নাবিয়্যেকাল্লাযী আরসালতা।[1]
(হাদীসটি বর্ণনা করেন ইমাম বুখারী ২৪৭, মুসলিম ২৭১০, আবূ দাউদ ৫০৪৬, তিরমিযী ৩৩৯৪, নাসাঈ ৭৮১ ও ইবনে মাজাহ্ ৩৮৭৬)
বুখারী ও তিরমিযীর বর্ণনায় এরূপ রয়েছে,
فَإِنَّكَ إِنْ مِتَّ مِنْ لَيلَتِكَ مِتَّ عَلَى الفِطْرَةِ ، وَإِنْ أصْبَحْتَ أَصَبْتَ خَيراً
’’তুমি যদি সে রাতে মৃত্যু বরণ কর, তবে ফিতরাত তথা ইসলামের উপর মৃত্যু বরণ করবে। আর যদি সকালে জাগ্রত হও তবে কল্যাণ লাভ করবে।’’ (বুখারী ২৪৭, তিরমিযি ৩৩৯৪)
الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى
(صحيح) عن البراء بن عازب رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قال قال النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلَاةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الْأَيْمَنِ ثم قَلْ اللَّهُمَّ إنِّي أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ ووجهت وَجْهِي إليك وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ َرَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجأ مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ فَإِنْ مِتَّ مِتَّ مِنْ لَيْلَتِكَ، فَأَنْتَ عَلَى الْفِطْرَةِ وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَتَكَلَّمُ بِهِ قَالَ، فَرَدَدْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَلَمَّا بَلَغْتُ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ قُلْتُ: وَرَسُولِكَ قَالَ: لاَ وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ .رواه البخاري ومسلم وأبو داود والترمذي والنسائي وابن ماجه