লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৯) নিদ্রার আগে যে দুআ পড়তে হয় তার প্রতি উৎসাহ দান এবং আল্লাহর যিকির না করে কেউ ঘুমিয়ে পড়লে কি করতে হবে তার বর্ণনা
৬০৬. (সহীহ) আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’কোন মুসলিম বান্দা যদি দু’টি বৈশিষ্টের প্রতি যত্নবান হয়, তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। বিষয় দু’টি খুবই সহজ। যে তার প্রতি আমল করবে তার জন্য খুবই অল্প। প্রত্যেক ফরয নামাযের পর দশবার ’সুবহানাল্লাহ্’ বলবে। দশবার ’আল হামদু লিল্লাহ্’ বলবে এবং দশবার বলবে ’আল্লাহু আকবার’। এগুলো মুখে বললে সংখ্যায় (পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে) মাত্র একশত পঞ্চাশ বার। কিন্তু ওযনে এক হাজার পাঁচশত বারের সমান। আর যখন শয্যা গ্রহণ করবে তখন পাঠ করবে ’আল্লাহু আকবার’ চৌত্রিশবার, ’আল হামদু লিল্লাহ্’ তেত্রিশবার এবং ’সুবহানাল্লাহ্’ তেত্রিশবার। এগুলো মুখে বললে সংখ্যায় হবে একশত বার কিন্তু ওযনে এক হাজার বারের সমান।’’
আমি দেখেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ডান হাতের আঙ্গুলের সাহয্যে সেগুলো গণনা করতেন।
তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ’’এই বৈশিষ্ট দু’টো সহজ এবং যে উহা আমল করবে তার জন্যে অল্প’’ আপনার একথা বলার কারণ কি? তিনি বললেন,
’’তোমাদের মধ্যে কোন মানুষ যখন নিদ্রা যায় তখন শয়তান আসে এবং ওগুলো বলার পূর্বেই নিদ্রা চাপিয়ে দেয়। নামাযের সময় আসে এবং ওগুলো বলার পূর্বে কোন প্রয়োজনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৫০৬৫, তিরমিযী ৩৪০৭, নাসাঈ ৩/৭৪ ও ইবনে হিব্বান ২০০৯) হাদীছের বাক্য আবু দাউদের।
ইবনে হিব্বানের বর্ণনায়ঃ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : وَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِائَةِ سيئة
’ওযনে এক হাজার পাঁচশতবার’ বলার পরে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে কে এমন আছে যে দিনে-রাতে দু’হাজার পাঁচশতটি গুনাহ করে থাকে?’’
الترغيب في كلمات يقولهن حين يأوي إلى فراشه وما جاء فيمن نام ولم يذكر الله تعالى
(صحيح) وَعَنْ عبد الله بن عمرو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لَا يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِئَةٌ بِاللِّسَانِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لَا يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسَمِئَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُ مِئَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ وَيَحْمَدُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ فَذَلِكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْقِدُهَا . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ هُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ قَالَ يَأْتِي أَحَدَكُمْ يَعْنِي الشَّيْطَانَ فِي مَنَامِهِ فَيُنَوِّمُهُ قَبْلَ أَنْ يَقُولَهُ وَيَأْتِيهِ فِي صَلَاتِهِ فَيُذَكِّرُهُ حَاجَةً قَبْلَ أَنْ يَقُولَهَا. رواه أبو داود واللفظ له والترمذي وقال حديث حسن صحيح والنسائي وابن حبان