পরিচ্ছেদঃ ৩৫) নামায অবস্থায় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৫৪৭. (সহীহ্) আনাস বিন মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’এ সব লোকের কি হয়েছে যে, তারা নামাযের মধ্যে আসমানের দিকে দৃষ্টিপাত করে থাকে! এব্যাপারে তিনি অত্যন্ত কঠোর কথা বললেন। এমনকি পরিশেষে তিনি বললেনঃ ’’তারা একাজ থেকে বিরত হোক, অন্যথা আকস্মাৎ তাদের দৃষ্টি ছিনিয়ে নেয়া হবে।’’
(বুখারী ৭৫০, আবু দাউদ ৯১৩, নাসাঈ ৩/৭, ইবনে মাজাহ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ১০৪৪)
الترهيب من رفع البصر إلى السماء في الصلاة
(صحيح) عَنْ أنَسِ بْنِ ماَلِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَرْفَعُونَ أَبْصَارَهُمْ إِلَى السَّمَاءِ فِي صَلَاتِهِمْ فَاشْتَدَّ قَوْلُهُ فِي ذَلِكَ حَتَّى قَالَ لَيَنْتَهُنَّ عَنْ ذَلِكَ أَوْ لَتُخْطَفَنَّ أَبْصَارُهُمْ رواه البخاري وأبو داود والنسائي وابن ماجه
পরিচ্ছেদঃ ৩৫) নামায অবস্থায় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৫৪৮. (সহীহ্) ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমরা নামাযে আকাশের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করো না। অন্যথা তোমাদের দৃষ্টি চলে যাবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনে মাজাহ ১০৪৩, ত্বাবরানী ও ইবনে হিব্বান ২২৭৮)
الترهيب من رفع البصر إلى السماء في الصلاة
(صحيح) و عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَرْفَعُوا أَبْصَارَكُمْ إِلَى السَّمَاءِ فَتَلْتَمِعَ يَعْنِي فِي الصَّلَاةِ. رواه ابن ماجه والطبراني في الكبير وابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ৩৫) নামায অবস্থায় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৫৪৯. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’লোকেরা নামাযে দু’আ পাঠ করার সময় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত হবে, অন্যথা তাদের দৃষ্টিকে আকস্মাৎ ছিনিয়ে নেয়া হবে।’’
(মুসলিম ৪২৯ ও নাসাঈ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৩/৩৯)
الترهيب من رفع البصر إلى السماء في الصلاة
(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ أيضا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ رَفْعِهِمْ أَبْصَارَهُمْ إِلَى السَّمَاءِ عِنْدَ الدُّعَاءِ فِي الصَّلَاةِ أَوْ لَتُخْطَفَنَّ أَبْصَارُهُمْ.
رواه مسلم والنسائي
পরিচ্ছেদঃ ৩৫) নামায অবস্থায় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৫৫০. (সহীহ্) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন নামাযে থাকবে, তখন সে যেন আসমানের দিকে দৃষ্টিপাত না করে, যাতে করে দ্রুত তার দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে না নেয়া হয়।’’
(নাসাঈ ৩/৭, ত্বাবারানী হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من رفع البصر إلى السماء في الصلاة
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدِرِيْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ، فَلا يَرْفَعْ بَصَرَهُ إِلَى السَّمَاءِ لا يَلْتَمِعُ. رواه الطبراني
পরিচ্ছেদঃ ৩৫) নামায অবস্থায় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করার ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৫৫১. (সহীহ্) জাবের বিন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’নামায অবস্থায় লোকেরা তাদের দৃষ্টি আকাশের দিকে নিক্ষেপ করা থেকে বিরত হোক, নতুবা তাদের দৃষ্টি ফেরত আসবে না।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইমাম মুসলিম ৪২৮, আবু দাউদ ৯১২, ইবনে মাজাহ ১০৪৫)
আবু দাউদের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَسْجِدَ فَرَأَى فِيهِ نَاسًا يُصَلُّونَ رَافِعِي أَيْدِيهِمْ إِلَى السَّمَاءِ فَقَالَ لَيَنْتَهِيَنَّ رِجَالٌ يَشْخَصُونَ أَبْصَارَهُمْ إِلَى السَّمَاءِ فِي الصَّلَاةِ أَوْلَا تَرْجِعُ إِلَيْهِمْ أَبْصَارُهُمْ
একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন, কতিপয় লোক নামায আদায় করছে। কিন্তু তাদের দৃষ্টি আকাশের দিকে। তখন তিনি বললেনঃ ’’মানুষ নামায অবস্থায় আকশের দিকে দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত হোক, অন্যথা তাদের দৃষ্টি তাদের কাছে ফেরত আসবে না।’’
الترهيب من رفع البصر إلى السماء في الصلاة
(صحيح) و عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قالَ: لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ يَرْفَعُونَ أَبْصَارَهُمْ إِلَى السَّمَاءِ فِي الصَّلَاةِ أَوْ لَا تَرْجِعُ إِلَيْهِمْ . رواه مسلم وأبو داود وابن ماجه