পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫২২. (সহীহ্) আবু মাসউদ বাদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ’’কোন মানুষের নামায যথেষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত সে রুকূ’- সিজদায় নিজের মেরুদন্ডকে সোজা না করবে।’’
(আহমাদ ৪/১১৯, আবু দাউদ ৮৫৫, তিরমিযী ২৬৫, নাসাঈ ২/১৮৩, ইবনে মাজাহ ৮৭০, ইবনে খুযাইমা ১/৩০০, ইবনে হিব্বান ১৮৮৯, ত্বাবরানী, দারাকুতনী ১/৩৪৮ ও বায়হাকী ২/৮৯) দারাকুতনী ও বায়হাকী বলেনঃ ’হাদীছটির সনদ সহীহ ও সুপ্রমাণিত’। তিরমিযী বলেনঃ ’হাদীছটি হাসান সহীহ’
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح) عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْبَدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُجْزِئُ صَلَاةُ الرَّجُلِ حَتَّى يُقِيمَ ظَهْرَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ.
رواه أحمد وأبو داود واللفظ له والترمذي والنسائي وابن ماجه وابن خزيمة وابن حبان في صحيحيهما ورواه الطبراني والدارقطني والبيهقي وقالا إسناده صحيح ثابت
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫২৩. (হাসান লিগাইরিহি) আবদুর রহমান বিন শিবিল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিষেধ করেছেন ’’নামাযে কাকের মত ঠোকর দিতে[1], পশুর মত করে বসতে এবং উট যেমন নিজের জায়গা নির্ধারণ করে নেয় তেমন করে কোন মানুষ মসজিদে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে নিতে।’’
(আহমাদ ৩/৪২৮, আবু দাউদ ৮৬২, নাসাঈ ২/২১৪ ইবনে মাজাহ ১৪২৯, ইবনে খুযাইমা ১/৩৩১, ইবনে হিব্বান হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ২২৭৪)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
حسن لغيره) و عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شِبْلٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ نَقْرَةِ الْغُرَابِ وَافْتِرَاشِ السَّبْعِ وَأَنْ يُوَطِّنَ الرَّجُلُ الْمَكَانَ فِي الْمَسْجِدِ كَمَا يُوَطِّنُ الْبَعِيرُ .(رواه أحمد وأبو داود والنسائي وابن ماجه وابن خزيمة وابن حبان في صحيحيهما)
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫২৪. (সহীহ লি গাইরিহী) আবু কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’সেই লোক নিকৃষ্ট চোর যে নামাযে চুরি করে। লোকেরা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! কিভাবে নামাযে চুরি করে? তিনি বললেনঃ ’’পরিপূর্ণরূপে রুকূ’-সিজদা করে না।’’ অথবা তিনি বলেছেনঃ ’’রুকূ’-সিজদায় পিঠকে সোজা করে না।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৫/৩১০, ত্বাবরানী, ইবনে খুযাইমা ১/৩৩২ ও হাকেম ১/২২৯) হাকেম বলেন, হাদীছটির সনদ সহীহ।
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح لغيره) وَعَنْ أبي قتادة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : أَسْوَأُ النَّاسِ سَرِقَةً الَّذِي يَسْرِقُ مِنْ صَلاَتِهِ ، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ ، وَكَيْفَ يَسْرِقُ مِنْ صَلاَتِهِ ؟ قَالَ : لاَ يُتِمُّ رُكُوعَهَا وَلاَ سُجُودَهَا ، أَوْ قَالَ : لاَ يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ. (رواه أحمد والطبراني وابن خزيمة في صحيحه والحاكم)
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫২৫. (সহীহ লিগাইরিহী) আবদুল্লাহ বিন মুগাফ্ফাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’সবচেয়ে বড় চোর সেই লোক যে নামায চুরি করে।’’ প্রশ্ন হল, হে আল্লাহর রাসূল! কিভাবে নামায চুরি করে? তিনি বললেনঃ ’’রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণরূপে করে না। আর সবচেয়ে বড় কৃপণ সে যে সালাম দিতে কৃপণতা করে।’’
(ত্বাবরানী হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح لغيره) وَعَنْ عبد الله بن مغفل رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : "أَسْرَقُ النَّاسِ الَّذِي يَسْرِقُ صَلاتَهُ، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ يَسْرِقُ صَلاتَهُ؟، قَالَ: لا يُتِمُّ رُكُوعَهَا، وَلا سُجُودَهَا، وَأَبْخَلُ النَّاسِ مَنْ بَخِلَ بِالسَّلامِ. (رواه الطبراني في معاجيمه الثلاثة بإسناد جيد)
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫২৬. (সহীহ্) আলী বিন শায়বান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদা বের হয়ে রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট আগমণ করলাম। তাঁর কাছে বায়আত করলাম এবং তাঁর পিছনে নামায আদায় করলাম। তিনি আড় চোখে লক্ষ্য করলেন, জনৈক লোক রুকূ’তে নিজের মেরুদন্ডকে সোজা করেনি। নামায শেষ করে নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’হে মুসলামান সমাজ! যে লোক রুকূ’-সিজদাতে নিজের মেরুদন্ডকে সোজা করবে না তার নামায হবে না।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৪/২৩, ইবনে মাজাহ ৮৭১, ইবনে খুযাইমা ১/৩৩৩ ও ইবনে হিব্বান ১৮৮৮)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
وَعَنْ عَلِيِّ بْنِ شَيْبَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ خَرَجْنَا حَتَّى قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَايَعْنَاهُ وَصَلَّيْنَا خَلْفَهُ فَلَمَحَ بِمُؤْخِرِ عَيْنِهِ رَجُلًا لَا يُقِيمُ صَلَاتَهُ يَعْنِي صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ قَالَ: يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَا يُقِيمُ صُلْبَهُ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ. (رواه أحمد وابن ماجه وابن خزيمة وابن حبان في صحيحيهما)
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫২৭. (সহীহ্) ত্বলক বিন আলী হানাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’আল্লাহ্ ঐ বান্দার নামাযের দিকে দৃষ্টিপাত করেন না, যে রুকূ’ ও সিজদার মাঝে মেরুদন্ডকে সোজা করে না।’’
(আহমাদ ও ত্বাবরানী হাদীছটি [কাবীর গ্রন্থে] বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح) و عَنْ طَلْقِ بْنِ عَلِىٍّ الْحَنَفِىِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لاَ يَنْظُرُ الله إِلَى صَلاَةِ عَبْدٍ لاَ يُقِيمُ فِيهَا صُلْبَهُ بَيْنَ رُكُوعِهَا وَسُجُودِهَا. (رواه الطبراني في الكبير)
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫২৮. (হাসান) আবু আবদুল্লাহ আশআরী থেকে বর্ণিত। একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখলেন একজন লোক নামায আদায় করছে কিন্তু পরিপূর্ণরূপে রুকূ’ করে না এবং ঠোকর দেয়ার মত করে সিজদা করছে। তখন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’এ লোক যদি এই অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে, তবে মুহাম্মাদ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ধর্মের বাইরে মৃত্যু বরণ করবে।’’
তারপর রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’যে ব্যক্তি পরিপূর্ণরূপে রুকূ’ করে না এবং ঠোকর দেয়ার মত করে সিজদা করে তার উদাহরণ সেই ক্ষুধার্ত ব্যক্তির সাথে যে একটি বা দু’টি খেজুর খায় কিন্তু তাতে তার ক্ষুধা নিবারণ হয় না।’’
আবু সালেহ বলেন, আমি আবু আবদুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলাম রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)থেকে কে তোমার কাছে এই হাদীছ বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেন, সৈনিকদের কয়েকজন সেনাপতিঃ আমর বিন আস, খালেদ বিন ওয়ালিদ এবং শুরাহবিল বিন হাসানা (রাঃ)। তাঁরা সবাই রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট থেকে শুনেছেন।
(হাদীছটি বর্ণনা করেন, ত্ববরানী, আবু ইয়ালা ৭১৮৪ ও ইবনে খুযায়মা ১/৩৩২)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(حسن ) و عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، أَن ّرَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَجُلا لا يُتِمَّ رُكُوعَهُ يَنْقُرُ فِي سُجُودِهِ وَهُوَ يُصَلِّي ، فَقاَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لَوْ مَاتَ هَذَا عَلَى حَالِهِ هَذِهِ مَاتَ عَلَى غَيْرِ مِلَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَثَلُ الَّذِي لا يُتِمُّ رُكُوعَهُ ويَنْقُرُ فِي سُجُودِهِ ، مَثَلُ الْجَائِعِ يَأْكُلُ التَّمْرَةَ وَالتَّمْرَتَانِ لا يُغْنِيَانِ عَنْهُ شَيْئًا ، قَالَ أَبُو صَالِحٍ : قُلْتُ لأَبِي عَبْدِ اللَّهِ : مَنْ حَدَّثَكَ بِهَذَا عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَ : أُمَرَاءُ الأَجْنَادِ : عَمْرُو بن الْعَاصِ ، وَخَالِدُ بن الْوَلِيدِ ، وَشُرَحْبِيلُ بن حَسَنَةَ سَمِعُوهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .
رواه الطبراني في الكبير وأبو يعلى بإسناد حسن وابن خزيمة في صحيحه
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫২৯. (হাসান) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ’’একজন লোক ষাট বছর নামায আদায় করে; অথচ তার নামায কবূল হয় না। কেননা হয়তো সে রুকূ’ ঠিকভাবে আদায় করে কিন্তু সিজদা ঠিকভাবে আদায় করে না। সিজদা হয়তো ঠিকভাবে আদায় করে কিন্তু রুকূ’ ঠিকভাবে আদায় করে না।’’
(হাদীছটি আবুল কাসেম আসপাহানী বর্ণনা করেন।)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(حسن ) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : إنَّ الرَّجُلَ لَيُصَلِّي سِتِّينَ سَنَةً مَا تُقْبَلُ لَهُ صَلاَةٌ ، لَعَلَّهُ يُتِمُّ الرُّكُوعَ ، وَلاَ يُتِمُّ السُّجُودَ ، وَيُتِمُّ السُّجُودَ ، وَلاَ يُتِمُّ الرُّكُوعَ.
رواه أبو القاسم الأصبهاني
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩০. (সহীহ মাওকূফ) বেলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি একদা দেখলেন একজন লোক রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণরূপে করছে না। তখন তিনি বললেনঃ ’এ লোক (এ অবস্থায়) মৃত্যু বরণ করলে মুহাম্মাদ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর ধর্মের বাইরে মৃত্যু বরণ করবে।’
(ত্বাবারনী হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৩/১২৭)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح لغيره) وَعَنْ بلال رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنه أبْصَرَ رَجُلاً لاَ يُتِمُّ الرُّكُوعَ وَلاَ السُّجُودَ فَقَالَ لَوْ مَأتَ هَذَا لمَـاَتَ عَلَى غَيْرِ مِلةِ مُحَمدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ . رواه الطبراني
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩১. (সহীহ লিগাইরিহী) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’আল্লাহ্ তা’আলা দৃষ্টিপাত করেন না ঐ বান্দার নামাযের প্রতি, যে রুকূ’ ও সিজদার মাঝে (দন্ডায়মান অবস্থায়) নিজের মেরুদন্ডকে সোজা করে না।’’
(ইমাম আহমাদ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ২/২৫২)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح لغيره) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى صَلاَةِ عَبْدٍ لاَ يُقِيمُ صُلْبَهُ بَيْنَ رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ. رواه أحمد
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩২. (সহীহ লিগাইরিহী) আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে রুকূ’ অবস্থায় কুরআন পাঠ করতে নিষেধ করেছেন।
(হাদীছটি আবু ই’য়ালা ও আসপাহানী বর্ণনা করেন)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
) (صحيح لغيره) وروي عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ:نَهَانِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَقْرَأَ وَأَنَا رَاكِعٌ..... رواه أبو يعلى والأصبهاني
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩৩. (হাসান) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’সেই লোক নিকৃষ্ট চোর যে নিজের নামাযে চুরি করে।’’ তিনি প্রশ্ন করলেনঃ কিভাবে নিজের নামাযে চুরি করে? তিনি বললেনঃ ’’পরিপূর্ণরূপে রুকূ’ করে না, পূর্ণরূপে সিজদা করে না।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ত্বাবরানী, ইবনে হিব্বান ও হাকেম। হাকেম বলেন, হাদীছটি সহীহ।)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(حسن ) عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :"إِنَّ أَسْوَأَ النَّاسِ سَرِقَةً الَّذِي يَسْرِقُ صَلاتَهُ"، قَالَ: وَكَيْفَ يَسْرِقُ صَلاتَهُ؟ قَالَ:"لا يُتِمُّ رُكُوعَهَا، وَلا سُجُودَهَا. رواه الطبراني في الأوسط وابن حبان في صحيحه والحاكم وصححه
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩৪. (সহীহ লিগাইরিহী) নো’মান বিন মুর্রা থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’মদ্যপানকারী, ব্যভিচারী ও চোর সম্পর্কে তোমাদের মন্তব্য কি?’’
প্রশ্নটি ছিল এসকল বিষয়ে দন্ডবিধি নাযিল হওয়ার পূর্বে। তাঁরা বললেন, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ ’’এগুলো অশ্লীল কাজ। একাজগুলো করলে শাস্তি আছে। কিন্তু নিকৃষ্ট চুরি ঐটা যে লোক নামাযে চুরি করে।’’ তাঁরা বললেন, কিভাবে নামাযে চুরি করে? তিনি বললেনঃ ’’পরিপূর্ণরূপে রুকূ’ করে না, পরিপূর্ণরূপে সিজদা করে না।’’
(ইমাম মালেক হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ১/১৬৭)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح لغيره) و عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ مُرَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَا تَرَوْنَ فِي الشَّارِبِ وَالزَّانِي وَالسَّارِقِ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يُنْزَلَ فِيهِمْ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ هُنَّ فَوَاحِشُ وَفِيهِنَّ عُقُوبَةٌ وَأَسْوَأُ السَّرِقَةِ الَّذِي يَسْرِقُ صَلَاتَهُ قَالُوا وَكَيْفَ يَسْرِقُ صَلَاتَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لَا يُتِمُّ رُكُوعَهَا وَلَا سُجُودَهَا. رواه مالك
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩৫. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের এক কিনারে বসে ছিলেন। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে নামায আদায় করল। অতঃপর নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে এসে তাঁকে সালাম দিল।
রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জবাবে বললেনঃ ’’ওয়া আলাইকাস্ সালাম। ফিরে যাও এবং নামায পড়। কেননা তুমি নামায পড়নি।’’ লোকটি ফিরে গিয়ে নামায পড়ল। এসে সালাম দিল। নবীজী বললেনঃ ওয়া আলাইকাস্ সালাম। ’’ফিরে যাও এবং নামায পড়। কেননা তুমি নামায পড়নি।’’ লোকটি আবার নামায পড়ল। এসে সালাম দিল। নবীজী বললেনঃ ’’ওয়া আলাইকাস্ সালাম। ফিরে যাও এবং নামায পড়। কেননা তুমি নামায পড়নি।" লোকটি পূনরায় নামায পড়ল। এসে সালাম দিল। লোকটি দ্বিতীয়বার বা তার পরের বারে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল আমাকে শিখিয়ে দিন। তখন তিনি বললেনঃ
’’তুমি যখন নামাযের ইচ্ছা করবে তখন পরিপূর্ণরূপে ওযু সম্পাদন করবে। তারপর কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর দিবে। এরপর কুরআন থেকে যা তোমার কাছে সহজ হয় তা পাঠ করবে। অতঃপর এমনভাবে রুকূ’ করবে যাতে রুকূ’ অবস্থায় প্রশান্তি আসে। তারপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দন্ডায়মান হবে। এরপর এমনভাবে সিজদা করবে যাতে সিজদায় প্রশান্তি আসে। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে প্রশান্ত হয়ে কিছুক্ষণ বসবে। এরপর আবার প্রশান্তির সাথে সিজদা করবে। তারপর সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে কিছুক্ষণ প্রশান্তির সাথে বসবে এবং এভাবে তোমার সমস্ত নামায পড়বে।’’
অপর বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ ’’দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দন্ডায়মান হবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৭৫৭ ও মুসলিম ৩৯৭)
মুসলিমের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
فَقَالَ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا فَعَلِّمْنِي
লোকটি বললঃ সেই মহান সত্তার শপথ করে বলছি যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমি এর চেয়ে সুন্দর করে নামায আদায় করতে জানি না। তাই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। এ বর্ণনায় একটি মাত্র সিজদার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদীছটি আরো বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৮৫৬, তিরমিযী ৩০৩, নাসাঈ ১/১২৫ ও ইবনে মাজাহ্ ১০৬০।
(সহীহ্) আবু দাউদের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
فَإِذَا فَعَلْتَ هَذَا فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُكَ وَان انْتَقَصْتَ مِنْ هَذَا فَإِنَّمَا انْتَقَصْتَهُ مِنْ صَلَاتِكَ
’’তুমি যখন এই নিয়ম অবলম্বন করবে, তখন তোমার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নিয়মের মধ্যে কোন ঘাটতি করলে তোমার নামাযেও ঘাটতি হয়ে যাবে।’’
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَجُلاً دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْكَ السَّلَامُ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ فَقَالَ وَعَلَيْكَ السَّلَامُ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ فَقَالَ وَعَلَيْكَ السَّلَامُ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ
فَقَالَ فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الَّتِي تليها عَلِّمْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغْ الْوُضُوءَ ثُمَّ اسْتَقْبِلْ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِمَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا
وفي رواية ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ قَائِمًا يعني منَ السَّجْدَةِ الثاَّنِيَةِ . رواه البخاري ومسلم
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩৬. (সহীহ্) রিফাআ’ বিন রাফে’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় একজন লোক মসজিদে প্রবেশ করে নামায পড়ল। এরপর তিনি আগের হাদীছের মতই হাদীছ বর্ণনা করেন- তিনি বলেনঃ তখন লোকটি বললঃ আমি বুঝতে পারছি না আপনি আমার কি দোষ ধরছেন?
তখন নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ
’’তোমাদের মধ্যে কোন মানুষের নামায পূর্ণ হবে না যে পর্যন্ত সে এই কাজগুলো না করবেঃ আল্লাহ্ যেভাবে আদেশ করেছেন সেভাবে পূর্ণরূপে ওযু করবে- মুখমণ্ডল ধৌত করবে, হাত দু’টি কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে, মাথা মাসেহ করবে এবং দু’পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর দিবে। তাঁর প্রশংসা করবে ও মহাত্ম বর্ণনা করবে। আল্লাহ্ তাকে যতটুকু অনুমতি দিবেন এবং তার জন্য সহজ করবেন ততটুকু কুরআন পাঠ করবে। তারপর তাকবীর দিয়ে রুকূ’ করবে। দু’হাতের করতলকে দু’হাঁটুর উপর এমনভাবে স্থাপন করবে যাতে তার জোড়াগুলো সুস্থির হয় ও ঢিলা-ঢালা থাকে। এরপর ’সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্’ বলে এমনভাবে সোজা হয়ে দন্ডায়মান হবে যে, প্রত্যেক হাড় স্বস্থানে মিলিত হয়। মেরুদন্ডকে সোজা করবে। তারপর তাকবীর দিয়ে সিজদা করবে। নিজের কপাল মাটিতে রাখবে যাতে প্রত্যেকটা জোড়া সুস্থির হয় ও ঢিলা-ঢালা থাকে। এরপর তাকবীর দিয়ে মাথা উঠাবে এবং নিজের নিতম্বের উপর সোজা হয়ে বসবে আর মেরুদন্ডকে সোজা রাখবে।’’
এভাবে নামাযের পূর্ণ বিবরণ দিয়ে শেষ করলেন তারপর বললেনঃ ’’তোমাদের কারো নামায পূর্ণ হবে না যে পর্যন্ত এভাবে যাবতীয় কাজ আদায় না করবে।’’
এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ২/২২৫ ও তিরমিযী ৩০২। হাদীছের বাক্য নাসাঈর। তবে তিরমিযী হাদীছের শেষাংশে বলেনঃ
فَإِذَا فَعَلْتَ هَذَا فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُكَ وَإن انْتَقَصْتَ مِنْهَا شَيْئًا انْتَقَصْتَ مِنْ صَلَاتِكَ
’’তুমি যখন এরূপ করবে, তখন তোমার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি এর কোন অংশে ত্রুটি কর; তবে তোমার নামাযেও ত্রুটি হয়ে যাবে।’’
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح) وَعَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فصلى فذكر الحديث إلى أن قال فيه فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا عِبْتَ عليَّ فَقَالَ النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :
إِنَّهُ لَمْ تَتِمَّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ تعالى وَيَغْسِلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَيَمْسَحَ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُكَبِّرَ اللَّهَ وَيَحْمَدَهُ وَيُمَجِّدَهُ وَيَقْرَأَ مِنْ الْقُرْآنِ مَا أَذِنَ اللَّهُ لَهُ فِيهِ و تَيَسَّرَ ثُمَّ يُكَبِّرَ وَيَرْكَعَ فيضع كفيه على ركبتيه حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ثُمَّ يَقُولَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ويَسْتَوِيَ قَائِمًا حَتَّى يأخذ كل عظم مأخذه ويُقِيمَ صُلْبَهُ ثُمَّ يُكَبِّرَ فَيَسْجُدَ ويُمَكِّنَ جَبْهَتَهُ من الأرض حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ثم يُكَبِّرَ فَيَرْفَعَ رأسه ويَسْتَوِيَ قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدَتِهِ وَيُقِيمَ صُلْبَهُ فَوَصَفَ الصَّلاةَ هَكَذَا حَتَّى فَرَغَ ، ثُمَّ قَالَ : لا تَتِمُّ صَلاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يَفْعَلَ ذَلِكَ
رواه النسائي وهذا لفظه والترمذي وقال حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩৭. (হাসান) আম্মার বিন ইয়াসের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’একজন মানুষ নামায পড়ে ফিরে যায়, অথচ তার নামাযের মাত্র এক দশমাংশের বেশী ছওয়াব লিখা হয় না। কখনো এক নবমাংশ, কখনো এক অষ্টমাংশ, কখনো এক সপ্তমাংশ, কখনো এক ষষ্ঠাংশ, কখনো এক পঞ্চমাংশ, কখনো এক চতুর্থাংশ, কখনো এক তৃতীয়াংশ এবং কখনো অর্ধেক।’’
(আবু দাউদ ৭৯৬, নাসাঈ ৭/৪৮৪, ইবনে হিব্বান ১৮৮৬ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(حسن ) و عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَنْصَرِفُ وَمَا كُتِبَ لَهُ إِلَّا عُشْرُ صَلَاتِهِ تُسْعُهَا ثُمْنُهَا سُبْعُهَا سُدْسُهَا خُمْسُهَا رُبْعُهَا ثُلُثُهَا نِصْفُهَا. رواه أبو داود والنسائي وابن حبان
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩৮. (হাসান লিগাইরিহী) আবুল ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে কেউ পূর্ণ নামায পড়ে, কেউ অর্ধেক নামায পড়ে কেউ এক তৃতীয়াংশ নামায পড়ে, কেউ এক চতুর্থাংশ, কেউ এক পঞ্চমাংশ এভাবে এক দশমাংশ পর্যন্ত তিনি উল্লেখ করেন।’’
(ইমাম নাসাঈ ৮/৩০৮ এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
আবুল ইয়াসারের নাম হচ্ছেঃ কা’ব বিন আমর সুলামী। তিনি বদর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(حسن لغيره) و عَنْ أَبِي الْيُسْرِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مِنْكُمْ مَنْ يُصَلِّي الصَّلَاةَ كَامِلَةً , وَمِنْكُمْ مَنْ يُصَلِّي النِّصْفَ وَالثُّلُثَ وَالرُّبُعَ وَالْخُمُسَ حَتَّى بَلَغَ الْعُشْرَ. رواه النسائي
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩৯. (হাসান সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’নামায তিনভাগে বিভক্তঃ পবিত্রতা এক তৃতীয়াংশ, রুকূ’ এক তৃতীয়াংশ এবং সিজদা এক তৃতীয়াংশ। যে ব্যক্তি পরিপূর্ণরূপে এগুলো আদায় করবে, তার নামায কবূল হবে এবং তার যাবতীয় আমল কবূল হবে। আর যার নামায প্রত্যাখ্যান করা হবে, তার যাবতীয় আমল প্রত্যাখ্যান করা হবে।’’
(বাযযার ৩৪৯ হাদীছটি বর্ণনা করেন)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(حسن صحيح ) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : الصلاة ثلاثة أثلاث الطهور ثلث والركوع ثلث والسجود ثلث فمن أداها بحقها قبلت منه وقبل منه سائر عمله ومن ردت عليه صلاته رد عليه سائر عمله. رواه البزار
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৪০. (সহীহ লি গাইরিহী) হুরাইছ বিন কাবীছা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি মদীনা শরীফে আগমণ করে দু’আ করলাম হে আল্লাহ্ আমাকে একজন সৎ সঙ্গী মিলিয়ে দাও। তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রাঃ)এর নিকট বসলাম। তাঁকে বললামঃ আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করেছি তিনি যেন আমাকে একজন সৎসঙ্গী মিলিয়ে দেন। তাই আপনি আমাকে এমন একটি হাদীছ বর্ণনা করেন যা আপনি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট থেকে শুনেছেন। যাতে করে আল্লাহ তার মাধ্যমে আমাকে উপকৃত করেন। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’কিয়ামত দিবসে বান্দার সর্বপ্রথম যে আমলের হিসাব নেয়া হবে তা হচ্ছে তার নামায। নামায যদি ঠিক হয়, তবে সে বিজয়ী হবে ও মুক্তি পাবে। আর নামায যদি নষ্ট হয়ে যায়, তবে সে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে। তার ফরয নামাযে যদি কোন ঘাটতি থাকে তবে আল্লাহ্ তা’আলা বলবেনঃ তোমরা দেখ আমার বান্দার কোন নফল নামায আছে কি না? তা দ্বারা তার ফরযের ঘাটতিকে পূর্ণ করা হবে। অতঃপর তার অবশিষ্ট আমলের এভাবেই হিসাব নেয়া হবে।’’
(হাদীছটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন ৪১৩)
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح لغيره) و عَنْ حُرَيْثِ بْنِ قَبِيصَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَقُلْتُ اللَّهُمَّ ارزقني جَلِيسًا صَالِحًا قَالَ فَجَلَسْتُ إِلَى أبِيْ هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ أَنْ يَرْزُقَنِي جَلِيسًا صَالِحًا فَحَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ
فَقاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلَاتُهُ فَإِنْ صَلُحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ فَإِنْ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ قَالَ الله تعالى انْظُرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ يُكَمَّلَ بِهَا مَا انْتَقَصَ مِنْ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى ذَلِكَ رواه الترمذي وغيره وقال حديث حسن غريب
পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৪১. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামায পড়লেন। অতঃপর ফিরে বসে বললেনঃ ’’হে উমুক তুমি কি সুন্দর করে নামায পড়বে না? মুসল্লি কি খেয়াল করবে না কিভাবে সে নামায পড়ছে? সে তো নিজের উপকারের জন্যই নামায পড়ছে। আমি যেমন আমার সম্মুখে দেখতে পাই তেমন আমার পিছন দিকেও দেখতে পাই।’’ [1]
(মুসলিম ৪২৩, নাসাঈ ২/১১৯ ও ইবনে খুযাইমা হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ১/২৪১)
(হাসান) ইবনে খুযাইমার বর্ণনায় এসেছেঃ
صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ، فَلَمَّا سَلَّمَ نَادَى رَجُلاً كَانَ فِي آخِرِ الصُّفُوفِ ، فَقَالَ : يَا فُلاَنُ ، أَلاَ تَتَّقِي اللَّهَ أَلاَ تَنْظُرُ كَيْفَ تُصَلِّي ؟ إِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا قَامَ يُصَلِّي إِنَّمَا يَقُومُ يُنَاجِي رَبَّهُ ، فَلْيَنْظُرْ كَيْفَ يُنَاجِيهِ ، إِنَّكُمْ تَرَوْنَ أَنِّي لاَ أَرَاكُمْ ، إِنِّي وَاللَّهِ لأَرَى مِنْ خَلْفِ ظَهْرِي كَمَا أَرَى مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ.
রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে নিয়ে যোহরের নামায পড়লেন। সালাম ফেরানোর পর পিছনের কাতার থেকে একজন লোককে সামনে ডাকলেন। তারপর বললেনঃ ’’হে উমুক! তুমি কি আল্লাহকে ভয় করবে না? কিভাবে নামায পড়ছো তা কি তুমি খেয়াল করবে না? তোমাদের কোন ব্যক্তি যখন নামাযে দন্ডায়মান হয়, তখন সে তার পালনকর্তার সাথে গোপনে কথা বলে। তাই খেয়াল করা উচিত কিভাবে সে তাঁর সাথে কথা বলছে। তোমরা মনে করছো আমি তোমাদেরকে দেখতে পাই না। আল্লাহর শপথ আমি তোমাদেরকে পিছন থেকে দেখতে পাই, যেমন আমি সামনের দিক থেকে দেখতে পাই।’’
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ يَا فُلَانُ أَلَا تُحْسِنُ صَلَاتَكَ أَلَا يَنْظُرُ الْمُصَلِّي إِذَا صَلَّى كَيْفَ يُصَلِّي فَإِنَّمَا يُصَلِّي لِنَفْسِهِ إِنِّي لَأُبْصِرُ مِنْ وَرَائِي كَمَا أُبْصِرُ مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ. رواه مسلم والنسائي وابن خزيمة