৫৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা

৫৩৬. (সহীহ্) রিফাআ’ বিন রাফে’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় একজন লোক মসজিদে প্রবেশ করে নামায পড়ল। এরপর তিনি আগের হাদীছের মতই হাদীছ বর্ণনা করেন- তিনি বলেনঃ তখন লোকটি বললঃ আমি বুঝতে পারছি না আপনি আমার কি দোষ ধরছেন?

তখন নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ

’’তোমাদের মধ্যে কোন মানুষের নামায পূর্ণ হবে না যে পর্যন্ত সে এই কাজগুলো না করবেঃ আল্লাহ্‌ যেভাবে আদেশ করেছেন সেভাবে পূর্ণরূপে ওযু করবে- মুখমণ্ডল ধৌত করবে, হাত দু’টি কনুই পর্যন্ত ধৌত করবে, মাথা মাসেহ করবে এবং দু’পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করবে। তারপর আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর দিবে। তাঁর প্রশংসা করবে ও মহাত্ম বর্ণনা করবে। আল্লাহ্‌ তাকে যতটুকু অনুমতি দিবেন এবং তার জন্য সহজ করবেন ততটুকু কুরআন পাঠ করবে। তারপর তাকবীর দিয়ে রুকূ’ করবে। দু’হাতের করতলকে দু’হাঁটুর উপর এমনভাবে স্থাপন করবে যাতে তার জোড়াগুলো সুস্থির হয় ও ঢিলা-ঢালা থাকে। এরপর ’সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ্’ বলে এমনভাবে সোজা হয়ে দন্ডায়মান হবে যে, প্রত্যেক হাড় স্বস্থানে মিলিত হয়। মেরুদন্ডকে সোজা করবে। তারপর তাকবীর দিয়ে সিজদা করবে। নিজের কপাল মাটিতে রাখবে যাতে প্রত্যেকটা জোড়া সুস্থির হয় ও ঢিলা-ঢালা থাকে। এরপর তাকবীর দিয়ে মাথা উঠাবে এবং নিজের নিতম্বের উপর সোজা হয়ে বসবে আর মেরুদন্ডকে সোজা রাখবে।’’

এভাবে নামাযের পূর্ণ বিবরণ দিয়ে শেষ করলেন তারপর বললেনঃ ’’তোমাদের কারো নামায পূর্ণ হবে না যে পর্যন্ত এভাবে যাবতীয় কাজ আদায় না করবে।’’

 এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ২/২২৫ ও তিরমিযী ৩০২। হাদীছের বাক্য নাসাঈর। তবে তিরমিযী হাদীছের শেষাংশে বলেনঃ

فَإِذَا فَعَلْتَ هَذَا فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُكَ وَإن انْتَقَصْتَ مِنْهَا شَيْئًا انْتَقَصْتَ مِنْ صَلَاتِكَ

’’তুমি যখন এরূপ করবে, তখন তোমার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি এর কোন অংশে ত্রুটি কর; তবে তোমার নামাযেও ত্রুটি হয়ে যাবে।’’

الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع

(صحيح) وَعَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فصلى فذكر الحديث إلى أن قال فيه فَقَالَ الرَّجُلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا عِبْتَ عليَّ فَقَالَ النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّهُ لَمْ تَتِمَّ صَلَاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يُسْبِغَ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ تعالى وَيَغْسِلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَيَمْسَحَ بِرَأْسِهِ وَرِجْلَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُكَبِّرَ اللَّهَ وَيَحْمَدَهُ وَيُمَجِّدَهُ وَيَقْرَأَ مِنْ الْقُرْآنِ مَا أَذِنَ اللَّهُ لَهُ فِيهِ و تَيَسَّرَ ثُمَّ يُكَبِّرَ وَيَرْكَعَ فيضع كفيه على ركبتيه حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ثُمَّ يَقُولَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ويَسْتَوِيَ قَائِمًا حَتَّى يأخذ كل عظم مأخذه ويُقِيمَ صُلْبَهُ ثُمَّ يُكَبِّرَ فَيَسْجُدَ ويُمَكِّنَ جَبْهَتَهُ من الأرض حَتَّى تَطْمَئِنَّ مَفَاصِلُهُ وَتَسْتَرْخِيَ ثم يُكَبِّرَ فَيَرْفَعَ رأسه ويَسْتَوِيَ قَاعِدًا عَلَى مَقْعَدَتِهِ وَيُقِيمَ صُلْبَهُ فَوَصَفَ الصَّلاةَ هَكَذَا حَتَّى فَرَغَ ، ثُمَّ قَالَ : لا تَتِمُّ صَلاةُ أَحَدِكُمْ حَتَّى يَفْعَلَ ذَلِكَ رواه النسائي وهذا لفظه والترمذي وقال حديث حسن


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ