পরিচ্ছেদঃ ৩৪) রুকূ’-সিজদা পরিপূর্ণ না করা, মেরুদন্ড সোজা করে না দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করার ব্যাপারে যে নির্দেশ এসেছে তার বর্ণনা
৫৩৫. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদের এক কিনারে বসে ছিলেন। এমন সময় জনৈক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে নামায আদায় করল। অতঃপর নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কাছে এসে তাঁকে সালাম দিল।
রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জবাবে বললেনঃ ’’ওয়া আলাইকাস্ সালাম। ফিরে যাও এবং নামায পড়। কেননা তুমি নামায পড়নি।’’ লোকটি ফিরে গিয়ে নামায পড়ল। এসে সালাম দিল। নবীজী বললেনঃ ওয়া আলাইকাস্ সালাম। ’’ফিরে যাও এবং নামায পড়। কেননা তুমি নামায পড়নি।’’ লোকটি আবার নামায পড়ল। এসে সালাম দিল। নবীজী বললেনঃ ’’ওয়া আলাইকাস্ সালাম। ফিরে যাও এবং নামায পড়। কেননা তুমি নামায পড়নি।" লোকটি পূনরায় নামায পড়ল। এসে সালাম দিল। লোকটি দ্বিতীয়বার বা তার পরের বারে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল আমাকে শিখিয়ে দিন। তখন তিনি বললেনঃ
’’তুমি যখন নামাযের ইচ্ছা করবে তখন পরিপূর্ণরূপে ওযু সম্পাদন করবে। তারপর কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে তাকবীর দিবে। এরপর কুরআন থেকে যা তোমার কাছে সহজ হয় তা পাঠ করবে। অতঃপর এমনভাবে রুকূ’ করবে যাতে রুকূ’ অবস্থায় প্রশান্তি আসে। তারপর মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দন্ডায়মান হবে। এরপর এমনভাবে সিজদা করবে যাতে সিজদায় প্রশান্তি আসে। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে প্রশান্ত হয়ে কিছুক্ষণ বসবে। এরপর আবার প্রশান্তির সাথে সিজদা করবে। তারপর সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে কিছুক্ষণ প্রশান্তির সাথে বসবে এবং এভাবে তোমার সমস্ত নামায পড়বে।’’
অপর বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ ’’দ্বিতীয় সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে দন্ডায়মান হবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৭৫৭ ও মুসলিম ৩৯৭)
মুসলিমের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
فَقَالَ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا فَعَلِّمْنِي
লোকটি বললঃ সেই মহান সত্তার শপথ করে বলছি যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমি এর চেয়ে সুন্দর করে নামায আদায় করতে জানি না। তাই আপনি আমাকে শিখিয়ে দিন। এ বর্ণনায় একটি মাত্র সিজদার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদীছটি আরো বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৮৫৬, তিরমিযী ৩০৩, নাসাঈ ১/১২৫ ও ইবনে মাজাহ্ ১০৬০।
(সহীহ্) আবু দাউদের বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
فَإِذَا فَعَلْتَ هَذَا فَقَدْ تَمَّتْ صَلَاتُكَ وَان انْتَقَصْتَ مِنْ هَذَا فَإِنَّمَا انْتَقَصْتَهُ مِنْ صَلَاتِكَ
’’তুমি যখন এই নিয়ম অবলম্বন করবে, তখন তোমার নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নিয়মের মধ্যে কোন ঘাটতি করলে তোমার নামাযেও ঘাটতি হয়ে যাবে।’’
الترهيب من عدم إتمام الركوع والسجود وإقامة الصلب بينهما وما جاء في الخشوع
(صحيح) و عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَجُلاً دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْكَ السَّلَامُ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ فَقَالَ وَعَلَيْكَ السَّلَامُ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ فَقَالَ وَعَلَيْكَ السَّلَامُ فَارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَقَالَ فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الَّتِي تليها عَلِّمْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغْ الْوُضُوءَ ثُمَّ اسْتَقْبِلْ الْقِبْلَةَ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِمَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنْ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا وفي رواية ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَسْتَوِيَ قَائِمًا يعني منَ السَّجْدَةِ الثاَّنِيَةِ . رواه البخاري ومسلم