পরিচ্ছেদঃ ২৩. পাগড়ির উপর মাসেহ্ করা
৫৩০। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মদ ইবনুল আলা (রহঃ) ... বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় মোযা ও পাগড়ীর ওপর মাসেহ করেছেন।
باب الْمَسْحِ عَلَى النَّاصِيَةِ وَالْعِمَامَةِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ . وَفِي حَدِيثِ عِيسَى حَدَّثَنِي الْحَكَمُ حَدَّثَنِي بِلاَلٌ
It is narrated from Bilal that the Messenger of Allah (ﷺ) wiped over the socks and turban, and in the hadith transmitted by 'Isa b. Yaunus the words are:
" Bilal narrated it to me."
পরিচ্ছেদঃ ১৯৬: ফজরের দু’ রাকআত সুন্নতের গুরুত্ব
৪/১১১০। আবূ আব্দুল্লাহ বিলাল ইবনে রাবাহ- যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুয়াজ্জিন ছিলেন।- (একবার) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ফজরের নামাযের খবর দেবার মানসে তাঁর নিকট হাযির হলেন। তখন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ’আনহা তাঁকে এমন বিষয়ে ব্যস্ত রাখলেন, তিনি যে সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত ভোর খুব বেশি পরিস্ফুট হয়ে পড়ল, সুতরাং বিলাল দাঁড়িয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নামাযের খবর দিলেন এবং বারংবার জানাতে থাকলেন। কিন্তু তিনি বাইরে আসলেন না। (তার কিছুক্ষণ পর) তিনি আসলেন ও লোকদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন।
তখন বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জানালেন যে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁকে এমন বিষয়ে ব্যস্ত রেখেছিলেন, যে সম্পর্কে তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন। শেষ পর্যন্ত খুব ফর্সা হয়ে গেল এবং তিনিও বাইরে আসতে দেরি করলেন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “আমি ফজরের দু’ রাকআত সুন্নত পড়ছিলাম।” বিলাল বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো একদম সকাল করে দিলেন।’ তিনি বললেন, “তার চেয়েও বেশি সকাল হয়ে গেলেও, আমি ঐ দু’ রাকআত সুন্নত পড়তাম এবং সুন্দর ও উত্তমরূপে পড়তাম।” (আবূ দাউদ, হাসান সূত্রে)[1]
(196) بَابُ تَأْكِيْدِ رَكْعَتَيْ سُنَّةِ الصُّبْحِ
وَعَنْ أَبِي عَبدِ اللهِ بِلاَلِ بنِ رَبَاح رضي الله عنه مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لِيُؤْذِنَهُ بِصَلاَةِ الغَدَاةِ، فَشَغَلَتْ عَائِشَةُ بِلالاً بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنْهُ، حَتَّى أَصْبَحَ جِدّاً، فَقَامَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ، وَتَابَعَ أَذَانَهُ، فَلَمْ يَخْرُجْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا خَرَجَ صَلَّى بِالنَّاسِ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ شَغَلَتْهُ بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنْهُ حَتَّى أَصْبَحَ جِدّاً، وَأنَّهُ أَبْطَأَ عَلَيْهِ بِالخُرُوجِ، فَقَالَ - يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم «إنِّي كُنْتُ رَكَعْتُ رَكْعْتَي الفَجْرِ» فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنَّكَ أَصْبَحْتَ جِدّاً ؟ فقَالَ: «لَوْ أَصْبَحْتُ أَكْثَرَ مِمَّا أَصْبَحْتُ، لَرَكَعْتُهُمَا، وَأَحْسَنْتُهُمَا وَأَجْمَلْتُهُمَا». رواه أبُو دَاوُدَ بإسناد حسن
(196) Chapter: Emphasis on Performing two Rak'ah Sunnah before Dawn (Fajr) Prayer
Abu 'Abdullah Bilal bin Rabah (May Allah be pleased with him) the Mu'adhdhin of Messenger of Allah (ﷺ) reported:
I went to inform the Messenger of Allah (ﷺ) about the time of the dawn (Fajr) prayer, and 'Aishah (May Allah be pleased with her) kept me busy and began to ask me about something till the day grew bright. Then I got up and informed the Messenger of Allah (ﷺ) of the time of Salat. I informed him again but he did not came out immediately to lead As- Salat. When he came out, he led As-Salat. I said to him: 'Aishah (May Allah be pleased with her) kept me busy and thus diverted my attention by asking about something and the morning grew bright. You also came out late. Upon that the Messenger of Allah (ﷺ) said, "I was engaged in performing two Rak'ah of Fajr prayer." Bilal (May Allah be pleased with him)said: "O Messenger of Allah! You delayed As-Salat so long as the morning grew bright." He (ﷺ) replied, "Even if the morning had become brighter than it had, I would have performed two Rak'ah of prayer in an excellent manner."
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith also tells us about the importance of the two Rak`ah of Fajr prayers and stresses the need to perform them with full concentration.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্বে আযান দেওয়া।
৫৩৪. যুহায়ের ইবনু হারব .... বিলাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেনঃ দিগন্তে ফজরের আলো স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তুমি আযান দিবে না এই বলে তিনি স্বীয় হস্তদ্বয় উত্তর ও দক্ষিণ দিকে প্রসারিত করেন।
আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, শাদ্দাদ (রহঃ) বিলাল (রাঃ) এর সাক্ষাত লাভ করেননি।
باب فِي الأَذَانِ قَبْلَ دُخُولِ الْوَقْتِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنْ شَدَّادٍ، مَوْلَى عِيَاضِ بْنِ عَامِرٍ عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهُ " لاَ تُؤَذِّنْ حَتَّى يَسْتَبِينَ لَكَ الْفَجْرُ هَكَذَا " . وَمَدَّ يَدَيْهِ عَرْضًا قَالَ أَبُو دَاوُدَ شَدَّادٌ مَوْلَى عِيَاضٍ لَمْ يُدْرِكْ بِلاَلاً .
Narrated Bilal:
The Messenger of Allah (ﷺ) said to Bilal: Do not call adhan until the dawn appears clearly to you in this way, stretching his hand in latitude.
Abu Dawud said: Shaddad did not see Bilal.
পরিচ্ছেদঃ ২৯৭. ফজরের সুন্নাত সংক্ষেপে পড়া সম্পর্কে।
১২৫৭. আহমাদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ..... বিলাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে ফজরের নামাযের সময় সম্পর্কে জ্ঞাত করতে আসেন। এ সময় আয়েশা (রাঃ) বিলাল (রাঃ)-কে একটি প্রশ্ন করে ব্যাস্ত রাখা অবস্থায় আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। অতঃপর বিলাল (রাঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পুনঃ দুইবার ফজরের নামাযের সময় সম্পর্কে অবহিত করেন, কিন্তু তিনি তখন বাইরে আসেন নাই। কিছুক্ষন পরে তিনি বাইরে বের হয়ে এসে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন। বিলাল (রাঃ) তাঁকে বলেন, (অদ্য নামাযে বিলম্ব হওয়ার কারন এই যে) আয়েশা (রাঃ) তাঁকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে আটকে রাখেন এবং অপরপক্ষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও বের হতে বিলম্ব করেন। ফলে পূর্বাকাশ অধিক পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (আমার বিলম্বের কারন এই যে) আমি তোমার আহবানের সময় ফজরের ফরয নামাযের পূর্বের দুই রাকাত নামায আদায়ে মশগুল ছিলাম। তিনি বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনিও আজ অধিক বিলম্ব করেছেন। তিনি বলেনঃ আমি আজ যত দেরি করেছি এই চাইতে অধিক বিলম্ব হলেও দুই রাকাত অত্যন্ত সুন্দরভাবে আদায় করতাম।
باب فِي تَخْفِيفِهِمَا
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنِي أَبُو زِيَادَةَ، عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ زِيَادٍ الْكِنْدِيُّ عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُؤْذِنَهُ بِصَلاَةِ الْغَدَاةِ فَشَغَلَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - بِلاَلاً بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنْهُ حَتَّى فَضَحَهُ الصُّبْحُ فَأَصْبَحَ جِدًّا قَالَ فَقَامَ بِلاَلٌ فَآذَنَهُ بِالصَّلاَةِ وَتَابَعَ أَذَانَهُ فَلَمْ يَخْرُجْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا خَرَجَ صَلَّى بِالنَّاسِ وَأَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ شَغَلَتْهُ بِأَمْرٍ سَأَلَتْهُ عَنْهُ حَتَّى أَصْبَحَ جِدًّا وَأَنَّهُ أَبْطَأَ عَلَيْهِ بِالْخُرُوجِ فَقَالَ " إِنِّي كُنْتُ رَكَعْتُ رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّكَ أَصْبَحْتَ جِدًّا . قَالَ " لَوْ أَصْبَحْتُ أَكْثَرَ مِمَّا أَصْبَحْتُ لَرَكَعْتُهُمَا وَأَحْسَنْتُهُمَا وَأَجْمَلْتُهُمَا " .
Narrated Bilal:
Ziyadah al-Kindi reported on the authority of Bilal that he (Bilal) came to the Messenger of Allah (ﷺ) to inform him about the dawn prayer. Aisha kept Bilal engaged in a matter which she asked him till the day was bright and it became fairly light. Bilal then stood up and called him to prayer and called him repeatedly. The Messenger of Allah (ﷺ) did not yet come out. When he came out, he led the people in prayer and he (Bilal) informed him that Aisha had kept him engaged in a matter which she asked him till it became fairly light; hence he became late in reaching him (in time). He (Bilal) said: Messenger of Allah, the dawn became fairly bright. He said: If the dawn became brighter than it is now, I would pray them (the two rak'ahs of the sunnah prayer), offer them well and in a more beautiful manner.
পরিচ্ছেদঃ ৮৬/ পাগড়ীর উপর মাসাহ করা
১০৪। হুসায়ন ইবনু মনসূর (রহঃ) ... বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মোজা ও পাগড়ির উপর মসেহ করতে দেখেছি।
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، ح وَأَنْبَأَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ بِلاَلٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ .
It was narrated that Bilal said:
"I saw the Prophet (ﷺ) wiping over the Khuff and the Khimar."
পরিচ্ছেদঃ ৮৬/ পাগড়ীর উপর মাসাহ করা
১০৫। হুসায়ন ইবনু আবদুর রহমান জারজারায়ী* (রহঃ) ... বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উভয় মোজার উপর মাসেহ করতে দেখেছি।
وَأَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَرْجَرَائِيُّ، عَنْ طَلْقِ بْنِ غَنَّامٍ، قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، وَحَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنْ بِلاَلٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ .
It was narrated that Bilal said:
"I saw the Messenger of Allah (ﷺ) wiping over the Khuff."
পরিচ্ছেদঃ ৮৬/ পাগড়ীর উপর মাসাহ করা
১০৬। হান্নাদ ইবনু সাররী (রহঃ) ... বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাগড়ি ও মোজার উপর মসেহ করতে দেখেছি।
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ بِلاَلٍ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ عَلَى الْخِمَارِ وَالْخُفَّيْنِ .
It was narrated that Bilal said:
"I saw the Messenger of Allah (ﷺ) wiping over the Khimar and Khuff."
পরিচ্ছেদঃ ১৬/ আযানের শেষ বাক্য প্রসঙ্গে।
৬৫০। মুহাম্মদ ইবনু মা’দান ইবনু ঈসা (রহঃ) ... বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আযানের শেষ বাক্যগুলো এরূপ বলতেনঃ
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْدَانَ بْنِ عِيسَى، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَعْيَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ بِلاَلٍ، قَالَ آخِرُ الأَذَانِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ .
It was narrated from Al-Aswad that Bilal said:
"The final words of the Adhan are: 'Allahu Akbar, Allahu Akbar; La ilaha illallah (Allah is the Greatest, Allah is the Greatest, there is none worthy of worship except Allah.)'"
পরিচ্ছেদঃ ১/৮৯. পাগড়ির উপর মাসহ করা।
১/৫৬১। বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চামড়ার মোজাদ্বয় ও পাগড়ির উপর মাসহ(মাসেহ) করেছেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْعِمَامَةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ .
It was narrated from Bilal that:
The Messenger of Allah wiped over his leather socks and his head cover (i.e., over the Imamah).
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
৬/৭১৫। বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -আমাকে ফজরের সালাতে তাসবীব করার নির্দেশ দেন এবং এশার সালাতে তাবসীব করতে নিষেধ করেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ২৩৫ যঈফ, মিশকাত ৬৪৬। উক্ত হাদিসের রাবী আবু ইসরাইল সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অনেক সন্দেহ করেন। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَسَدِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ بِلاَلٍ، قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ أُثَوِّبَ فِي الْفَجْرِ وَنَهَانِي أَنْ أُثَوِّبَ فِي الْعِشَاءِ .
It was narrated that Bilal said:
"The Messenger of Allah commanded me (with Tathwib) in the Adhan for Fajr, and he forbade me to do so in the Adhan for 'Isha'."
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
৭/৭১৬। বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ফজরের সালাত সম্পর্কে অবহিত করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলেন। তাকে বলা হল যে, তিনি ঘুমিয়ে আছেন। তখন বিলাল বলেন, ঘুম থেকে সালাত উত্তম; ঘুম থেকে সালাত উত্তম। এ বাক্য ফজরের আযানে যোগ করা হল এবং তদনুযায়ী আমল চলে আসছে।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُؤْذِنُهُ بِصَلاَةِ الْفَجْرِ فَقِيلَ هُوَ نَائِمٌ . فَقَالَ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فَأُقِرَّتْ فِي تَأْذِينِ الْفَجْرِ فَثَبَتَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ .
It was narrated that Bilal came to the Prophet to call him for the Fajr prayer, and was told:
"He is sleeping." He said: "As-salatu khairum minan-nawm, As-salatu khairum minan-nawm (The prayer is better than sleep, the prayer is better than sleep). These words were approved of in the Adhan for the Fajr, and that is how it remained.
পরিচ্ছেদঃ পাগড়ীতে মাসহে করা প্রসঙ্গে।
১০১. হান্নাদ .... বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চামড়ার মোযা এবং পাগড়ির উপর মাসেহ করেছেন। - ইবনু মাজাহ ৫৬১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْعِمَامَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ .
BilaI narrated:
"The Prophet wiped over the Khuff and the Khimar."
পরিচ্ছেদঃ ফজরের সালাতের জন্য তাছবীব অর্থাৎ আযানের পর পুনরাহবান।
১৯৮. আহমদ ইবনু মানী (রহঃ) ..... বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন ফজরের সালাত ব্যতীত অন্য কোন সালাতে তাছবীব অর্থাৎ আযানের পর পুনরায় আহবান জানাবে না। - ইবনু মাজাহ ৭১৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ মাহযূরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবূ ইসরাঈল আল মূলাই ব্যতীত আর কারো সূত্রে বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদিসটি বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। আবূ ইসরাঈল (রহঃ) এই হাদিসটি রাবী হাকাম ইবনু উতায়বা (রহঃ) থেকে সরাসরি শোনেননি। তিনি হাসান ইবনু ইমারা (রহঃ) এর সূত্রে হাকাম ইবনু উতায়বা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। আবূ ইসারাঈল (রহঃ) এর নাম হল ইসমাঈল ইবনু আবী ইসহাক। তিনি হাদিস বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে তেমন আস্থাভাজন নন।
তাছবীব এর ব্যাখ্যায় আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। কতক বলেন তাছবীব হল ফজরের সালাতে الصلاة خير من النوم বলা। এ হল ইবনু মুবারাক ও আহমদ (রহঃ) এর অভিমত। ইমাম ইসহাক (রহঃ) এর ভিন্ন অর্থ করেছেন। তিনি বলেন তাছবীব হল মাকরুহ। এই বিষয়টি হল এমন যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তিরধানের পর লোকেরা বানিয়ে নিয়েছে। আযানের পর লোকেরা মসজিদে আসতে বিলম্ব করতে থাকায় মুয়াজ্জ্বীন আযান ও ইকামতের মাঝে লোকদেরকে এই বলে ডাকতে শুরু করেঃ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইমাম ইসহাক (রহঃ) যে তাছবীবের কথা বলেছেন সেটিকে আলিমগণ মাকরুহ বলে অভিমত দিয়েছে। এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তিরোধানের পর লোকেরা বিদআতরূপে বানিয়ে নেয়। ইবনু মুবারাক ও আহমদ (রহঃ) ফজরের আযানে الصلاة خير من النوم বলা রুপে তাছবীবের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটি বলা অবশ্য ঠিক। একেও তাছবীব বলা হয়।
আলিমগণ এই কথাটি গ্রহণ করেছেন এবং ফজরের আযনে এই বাক্যটির ব্যবহারের পক্ষে মত দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনু ইমন রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি ফজরের সালাতে الصلاة خير من النوم বলতেন। মুজাহিদ থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন আবদুল্লাহ ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সঙ্গে একবার এক মসজিদে গেলাম। তখন আযান হয়ে গিয়েছিল। সেই মসজিদে সালাত আদায় করা ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। কিছুক্ষন পর মুয়াজ্জ্বীন তাছবীব শুরু করলে আবদুল্লাহ ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু মসজিদ ছেড়ে বের হয়ে পড়লেন এবং বললেন এই বিদআতীর কাছ থেকে আমাকে নিয়ে চল। সেখানে তিনি সালাত আদায় করলেন না। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন আবদুল্লাহ (রাঃ) এখানে তাছবীবকে অপছন্দ করেছেন, লোকেরা পরবর্তী যুগে বিদআত রুপে যা বানিয়ে নিয়েছিল
باب مَا جَاءَ فِي التَّثْوِيبِ فِي الْفَجْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ بِلاَلٍ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُثَوِّبَنَّ فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ إِلاَّ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بِلاَلٍ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْرَائِيلَ الْمُلاَئِيِّ . وَأَبُو إِسْرَائِيلَ لَمْ يَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ مِنَ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ قَالَ إِنَّمَا رَوَاهُ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُمَارَةَ عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ . وَأَبُو إِسْرَائِيلَ اسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ وَلَيْسَ هُوَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَفْسِيرِ التَّثْوِيبِ فَقَالَ بَعْضُهُمُ التَّثْوِيبُ أَنْ يَقُولَ فِي أَذَانِ الْفَجْرِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ . وَقَالَ إِسْحَاقُ فِي التَّثْوِيبِ غَيْرَ هَذَا قَالَ التَّثْوِيبُ الْمَكْرُوهُ هُوَ شَيْءٌ أَحْدَثَهُ النَّاسُ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ فَاسْتَبْطَأَ الْقَوْمَ قَالَ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ . قَالَ وَهَذَا الَّذِي قَالَ إِسْحَاقُ هُوَ التَّثْوِيبُ الَّذِي قَدْ كَرِهَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ وَالَّذِي أَحْدَثُوهُ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَالَّذِي فَسَّرَ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ أَنَّ التَّثْوِيبَ أَنْ يَقُولَ الْمُؤَذِّنُ فِي أَذَانِ الْفَجْرِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ وَهُوَ قَوْلٌ صَحِيحٌ وَيُقَالُ لَهُ التَّثْوِيبُ أَيْضًا وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ وَرَأَوْهُ . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ . وَرُوِيَ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ دَخَلْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ مَسْجِدًا وَقَدْ أُذِّنَ فِيهِ وَنَحْنُ نُرِيدُ أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِ فَثَوَّبَ الْمُؤَذِّنُ فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ مِنَ الْمَسْجِدِ وَقَالَ اخْرُجْ بِنَا مِنْ عِنْدِ هَذَا الْمُبْتَدِعِ . وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ . قَالَ وَإِنَّمَا كَرِهَ عَبْدُ اللَّهِ التَّثْوِيبَ الَّذِي أَحْدَثَهُ النَّاسُ بَعْدُ .
Bilal narrated:
"Allah's Messenger said [to me]: 'Do not say the Tathwib for any prayer except the Fajr prayer.'" [He said:] There is something on this topic from Abu Mahdhurah. Abu `Eisa said: We do not know of the Hadith of Bilal except as a narration of Abu Isra'il Al-Mula'i. Abu Isra'il did not hear this Hadith from Al-Hakam bin `Utaibah. He said: He only reported it from Al-Hasan bin `Umarah, from Al-Hakam bin `Utaibah. Abu Isra'il's name is [Isma`il bin Abi Ishaq, and he is not strong according to the people of Hadith. The people of knowledge have differed over the interpretation of At-Tathwib. Some of them say that At-Tathwib is when one says "As-Salatu Khairummin An-Nawm, (prayer is better than sleep)" for the Adhan of Fajr. This is the saying of Ibn Al-Mubarak and Ahmad. Ishaq said something different about At-Tathwib, he said: "[The disliked Tathwib] is something that the people started after the Prophet; when the Mu'adh-dhin calls the Adhan and the people are slow in coming, so between the Adhan and the Iqamah he says: 'Qad Qamatis-Salat, Hayya `Alasalat, Hayya `AlalFalah. (Prayer is ready, come to prayer, come to success.)" [He said:] This Tathwib, which Ishaq mentioned, is the one that the people of knowledge dislike, which they innovated after the Prophet. But Ibn Al-Mubarak and Ahmad explained that At-Tathwib is when the Mu'adh-dhin says: "As-Salatu Khairum minan-Nawm, (prayer is better than sleep)" for the Adhan of Fajr. And this is the correct saying, and it is called At-Tathawwub as well, and this is the one chosen by the people of knowledge, and it is their opinion. It has been reported from `Abdullah bin `Umar that he would say: "As-Salatu Khairum-minan-Nawm, (prayer is better than sleep)" for Fajr. It has been reported from Mujahid that he said: "I entered a Masjid with `Abdullah bin `Umar in which the Adhan was called, and we wanted to pray in it. Then the Mu'adh-dhin said the Tathwib. So `Abdullah bin `Umar left the Masjid and said: 'Let us leave the place of this innovator' And he did not pray in it." [He said:] `Abdullah only disliked the Tathwib that the people invented later on.
পরিচ্ছেদঃ কাবা শরীফের অভ্যন্তরে সালাত আদায় করা।
৮৭৫. কুতায়বা (রহঃ) ..... বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবার অভ্যন্তরে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছিলেন। - ইবনু মাজাহ ৩০৬৩, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮৭৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, তিনি সালাত আদায় করেননি, তবে সেখানে তাকবীর বলেছিলেন।
এই বিষয়ে উসামা ইবনু যায়দ, ফাযল ইবনু আব্বাস, উসমান, ইবনু তালহা ও শায়বা ইবনু উসমান (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা বলেন, বিলাল (রাঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। অধিকাংশ আলিম এই হাদীস অনুসারে অভিমত দিয়েছেন। তারা কাবা শরীফের অভ্যন্তরে সা্লাত আদায়ে কোন দোষ আছে বলে মনে করেন না। ইমাম মালিক ইবনু আনাস (রহঃ) বলেন, কাবা শরীফের ভিতরে নফল সালাত আদায়ে কোন দোষ নাই; তবে ফরয সালাত আদায় করা মাকরূহ। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলেন, ফরয হোক বা নফল যে কোন সালাতই কাবা শরীফের ভিতরে আদায় করায় দোষ নাই। কেননা কিবলামুখী হওয়া, তাহারাত অর্জন করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ফরয ও নফলের হুকুম-আহকাম একই রকমের।
باب مَا جَاءَ فِي الصَّلاَةِ فِي الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمْ يُصَلِّ وَلَكِنَّهُ كَبَّرَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَالْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ وَعُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ وَشَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بِلاَلٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ بِالصَّلاَةِ فِي الْكَعْبَةِ بَأْسًا . وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ لاَ بَأْسَ بِالصَّلاَةِ النَّافِلَةِ فِي الْكَعْبَةِ . وَكَرِهَ أَنْ تُصَلَّى الْمَكْتُوبَةُ فِي الْكَعْبَةِ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ بَأْسَ أَنْ تُصَلَّى الْمَكْتُوبَةُ وَالتَّطَوُّعُ فِي الْكَعْبَةِ لأَنَّ حُكْمَ النَّافِلَةِ وَالْمَكْتُوبَةِ فِي الطَّهَارَةِ وَالْقِبْلَةِ سَوَاءٌ .
Ibn Umar narrated from Bilal:
"The Prophet performed Salat in the interior of the Ka'bah." And Ibn Abbas said: "He did not perform Salat in it, but he said the Takbir."
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর দু'আ
৩৫৪৯. ইসহাক ইবন মানসূর (রহঃ) ...... বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এ হল তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের অবলম্বিত রীতি। রাতের সালাত আল্লাহর নৈকট্যলাভ ও গুনাহ থেকে বাঁচার উপায়; মন্দ কাজের কাফফারা এবং শারীরিক রোগের প্রতিরোধক।
যইফ, ইরওয়া ৪৫২, তা’লীকুর রাগীব ২/২১৬, মিশকাত ১২২৭
হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু এর রিওয়ায়াত হিসেবে এটি সম্পর্কে আমারা কিছু জানি না। সনদের দিক থেকে এটি সহীহ নয়। মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল বুখারী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ মুহাম্মাদ কুরাশী হলেন মুহাম্মাদ ইবন সাঈদ শামী। ইনি ইবন আবূ কায়েস; আর ইনি মুহাহাম্মাদ ইবন হাসসান। তাঁর বর্ণিত হাদীস পরিত্যাজ্য। মুআবিয়া ইবন সালিহ (রহঃ) এই হাদীসটি রাবিআ ইবন ইয়াযীদ-আবূ ইদরীস খাওলানী-আবূ উমামা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে। অনুরূপভাবে মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ... আবূ উমামারাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ) প্রতিষ্ঠা করা উচিত। কেননা, এ হল তোমাদের পূর্ববর্তী নেককারদের রীতি। এ হল তোমাদের রব্বের নৈকট্য লাভের উপায়, মন্দ কাজ সমুহের কাফফারা ও পাপসমূহের জন্য প্রতিরোধক। আবূ ইদরীস-বিলালরাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত থেকে এই রিওয়ায়াতটি অধিক সাহীহ।
হাসান, ইরওয়া ৪৫২, তা’লীকুর রাগীব ২/২১৬, মিশকাত ১২২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৪৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خُنَيْسٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَإِنَّ قِيَامَ اللَّيْلِ قُرْبَةٌ إِلَى اللَّهِ وَمَنْهَاةٌ عَنِ الإِثْمِ وَتَكْفِيرٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَطْرَدَةٌ لِلدَّاءِ عَنِ الْجَسَدِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ بِلاَلٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ يَصِحُّ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ . قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ مُحَمَّدٌ الْقُرَشِيُّ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الشَّامِيُّ وَهُوَ ابْنُ أَبِي قَيْسٍ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ وَقَدْ تُرِكَ حَدِيثُهُ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَهُوَ قُرْبَةٌ إِلَى رَبِّكُمْ وَمَكْفَرَةٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَنْهَاةٌ لِلإِثْمِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ بِلاَلٍ .
Bilal narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “Hold fast to Qiyam al-Lail, for it is the practice of the righteous before you, and indeed Qiyam al-Lail is a means of nearness to Allah, a means of prevention from sin, an expiation for bad deeds, and a barrier for the body against disease.”
পরিচ্ছেদঃ ৭৫. পাগড়ীর উপর মাসাহ করা
১০১। বিলাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোজা এবং পাগড়ীর উপর মাসাহ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ (৫৬১)।
باب مَا جَاءَ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْعِمَامَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَالْخِمَارِ .
BilaI narrated:
"The Prophet wiped over the Khuff and the Khimar."
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. ফজরের নামাযের ওয়াক্তে তাসবিব করা প্রসঙ্গে
১৯৮। বিলাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ ফযরের নামায ছাড়া অন্য কোন নামাযে ’তাসবীব করো না।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (৭১৫)
এ অনুচ্ছেদে আবূ মাহযুরা (রাঃ) হতে বর্ণনাকৃত হাদীসও আছে। আবূ ঈসা বলেন, আমরা শুধু আবূ ইসরাঈলের সূত্রে বিলাল (রাঃ)-এর হাদীসটি জানতে পেরেছি। অথচ আবূ ইসরাঈল হাকামের নিকট এ হাদীসটি কখনও শুনেননি। বরং তিনি হাসান ইবনু উমারার মাধ্যমে হাকামের নিকট হতে এ হাদীসটি সংগ্রহ করেছেন। আবূ ইসরাঈলের নাম ইসমাঈল ইবনু আবূ ইসহাক। তিনি হাদীস বিশারদদের মতে নির্ভরযোগ্য রাবী নন।
তাসবীব শব্দের ব্যাখ্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে মতপার্থক্য আছে। ইবনুল মুবারাক ও আহমাদের মতে, ফযরের আযানের ’আসসালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম’ বাক্যটিকে তাসবীব বলা হয়। ইসহাকের মতে, আযানের পর যদি লোকেরা আসতে দেরি করে তবে আযান ও ইকামাতের মাঝখানে কাদ কামাতিস্ সালাহ, হাইয়াঅলাস্ সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলে লোকদের ডাকার নাম হল তাসবীব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর লোকেরা এটা নতুনভাবে চালু করেছে বিধায় ইসহাকের উল্লেখিত এ তাসবীবকে আলিমগণ মাকরূহ বলেছেন।
ইবনুল মুবারাক ও আহমাদ তাসবীবের (উপরের উল্লেখিত) যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সেটাই নির্ভুল এবং সহীহ। ফজরের আযানে এ তাসবীব করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে একেই তাসবীব বলা হয়। আর আলিমগণ এ তাসবীবকেই পছন্দ করেছেন। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি ভোরের নামাযের সময় আস-সালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম’ বলে (লোকদের) ডাকতেন। মুজাহিদ হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)-এর সাথে কোন এক মসজিদে গেলাম। সেখানে আগেই আযান হয়ে গেছে। আমরা নামায আদায়ের উদ্দেশে সেখানে গিয়েছিলাম, এমন সময় মুয়াযযিন তাসবীব শুরু করে দিল। তা শুনা মাত্রই ইবনু উমর (রাঃ) এ বলতে বলতে মাসজিদ হতে বের হয়ে আসলেনঃ “এ বিদ’আতীর কাছ থেকে চলে আস।" তিনি সেখানে নামায আদায় করলেন না। পরবর্তী সময়ে লোকেরা যে তাসবীব আবিষ্কার করেছে, আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) এটাকে খুবই মন্দ জানতেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّثْوِيبِ فِي الْفَجْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ بِلاَلٍ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تُثَوِّبَنَّ فِي شَيْءٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ إِلاَّ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بِلاَلٍ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْرَائِيلَ الْمُلاَئِيِّ . وَأَبُو إِسْرَائِيلَ لَمْ يَسْمَعْ هَذَا الْحَدِيثَ مِنَ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ قَالَ إِنَّمَا رَوَاهُ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُمَارَةَ عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ . وَأَبُو إِسْرَائِيلَ اسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ وَلَيْسَ هُوَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَفْسِيرِ التَّثْوِيبِ فَقَالَ بَعْضُهُمُ التَّثْوِيبُ أَنْ يَقُولَ فِي أَذَانِ الْفَجْرِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدَ . وَقَالَ إِسْحَاقُ فِي التَّثْوِيبِ غَيْرَ هَذَا قَالَ التَّثْوِيبُ الْمَكْرُوهُ هُوَ شَيْءٌ أَحْدَثَهُ النَّاسُ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ فَاسْتَبْطَأَ الْقَوْمَ قَالَ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ . قَالَ وَهَذَا الَّذِي قَالَ إِسْحَاقُ هُوَ التَّثْوِيبُ الَّذِي قَدْ كَرِهَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ وَالَّذِي أَحْدَثُوهُ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَالَّذِي فَسَّرَ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ أَنَّ التَّثْوِيبَ أَنْ يَقُولَ الْمُؤَذِّنُ فِي أَذَانِ الْفَجْرِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ وَهُوَ قَوْلٌ صَحِيحٌ وَيُقَالُ لَهُ التَّثْوِيبُ أَيْضًا وَهُوَ الَّذِي اخْتَارَهُ أَهْلُ الْعِلْمِ وَرَأَوْهُ . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ . وَرُوِيَ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ دَخَلْتُ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ مَسْجِدًا وَقَدْ أُذِّنَ فِيهِ وَنَحْنُ نُرِيدُ أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِ فَثَوَّبَ الْمُؤَذِّنُ فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ مِنَ الْمَسْجِدِ وَقَالَ اخْرُجْ بِنَا مِنْ عِنْدِ هَذَا الْمُبْتَدِعِ . وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ . قَالَ وَإِنَّمَا كَرِهَ عَبْدُ اللَّهِ التَّثْوِيبَ الَّذِي أَحْدَثَهُ النَّاسُ بَعْدُ .
Bilal narrated:
"Allah's Messenger said [to me]: 'Do not say the Tathwib for any prayer except the Fajr prayer.'" [He said:] There is something on this topic from Abu Mahdhurah. Abu `Eisa said: We do not know of the Hadith of Bilal except as a narration of Abu Isra'il Al-Mula'i. Abu Isra'il did not hear this Hadith from Al-Hakam bin `Utaibah. He said: He only reported it from Al-Hasan bin `Umarah, from Al-Hakam bin `Utaibah. Abu Isra'il's name is [Isma`il bin Abi Ishaq, and he is not strong according to the people of Hadith. The people of knowledge have differed over the interpretation of At-Tathwib. Some of them say that At-Tathwib is when one says "As-Salatu Khairummin An-Nawm, (prayer is better than sleep)" for the Adhan of Fajr. This is the saying of Ibn Al-Mubarak and Ahmad. Ishaq said something different about At-Tathwib, he said: "[The disliked Tathwib] is something that the people started after the Prophet; when the Mu'adh-dhin calls the Adhan and the people are slow in coming, so between the Adhan and the Iqamah he says: 'Qad Qamatis-Salat, Hayya `Alasalat, Hayya `AlalFalah. (Prayer is ready, come to prayer, come to success.)" [He said:] This Tathwib, which Ishaq mentioned, is the one that the people of knowledge dislike, which they innovated after the Prophet. But Ibn Al-Mubarak and Ahmad explained that At-Tathwib is when the Mu'adh-dhin says: "As-Salatu Khairum minan-Nawm, (prayer is better than sleep)" for the Adhan of Fajr. And this is the correct saying, and it is called At-Tathawwub as well, and this is the one chosen by the people of knowledge, and it is their opinion. It has been reported from `Abdullah bin `Umar that he would say: "As-Salatu Khairum-minan-Nawm, (prayer is better than sleep)" for Fajr. It has been reported from Mujahid that he said: "I entered a Masjid with `Abdullah bin `Umar in which the Adhan was called, and we wanted to pray in it. Then the Mu'adh-dhin said the Tathwib. So `Abdullah bin `Umar left the Masjid and said: 'Let us leave the place of this innovator' And he did not pray in it." [He said:] `Abdullah only disliked the Tathwib that the people invented later on.
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. কা’বার অভ্যন্তরে নামায আদায় করা
৮৭৪। বিলাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, কাবার অভ্যন্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় করেছেন। – সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩০৬৩), বুখারী, মুসলিম
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, তিনি নামায আদায় করেননি, বরং তাকবীর ধ্বনি করেছেন।
উসামা ইবনু যাইদ, ফাযল ইবনু আব্বাস, উসমান ইবনু তালহা ও শাইবা ইবনু উসমান (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। বিলাল (রাঃ) বর্ণিত এই হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এই হাদীস অনুযায়ী বেশিরভাগ আলিম মত দিয়েছেন। কাবার অভ্যন্তরে নামায আদায় করাতে কোন সমস্যা আছে বলে তারা মনে করেন না; ইমাম মালিক বলেন, নফল নামায কা’বার অভ্যন্তরে আদায় করাতে কোন সমস্যা নেই; তবে ফরয নামায আদায় করা মাকরূহ। ইমাম শাফিঈ বলেন, যে কোন নামায কাবার অভ্যন্তরে আদায় করায় সমস্যা নেই তা ফরয হোক বা নফল হোক। কেননা, কিবলামূখী হওয়া, পবিত্রতা অর্জন করা ইত্যাদি প্রসঙ্গে ফরয ও নফলের বিধান একই।
باب مَا جَاءَ فِي الصَّلاَةِ فِي الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي جَوْفِ الْكَعْبَةِ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمْ يُصَلِّ وَلَكِنَّهُ كَبَّرَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَالْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ وَعُثْمَانَ بْنِ طَلْحَةَ وَشَيْبَةَ بْنِ عُثْمَانَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بِلاَلٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ بِالصَّلاَةِ فِي الْكَعْبَةِ بَأْسًا . وَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ لاَ بَأْسَ بِالصَّلاَةِ النَّافِلَةِ فِي الْكَعْبَةِ . وَكَرِهَ أَنْ تُصَلَّى الْمَكْتُوبَةُ فِي الْكَعْبَةِ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ بَأْسَ أَنْ تُصَلَّى الْمَكْتُوبَةُ وَالتَّطَوُّعُ فِي الْكَعْبَةِ لأَنَّ حُكْمَ النَّافِلَةِ وَالْمَكْتُوبَةِ فِي الطَّهَارَةِ وَالْقِبْلَةِ سَوَاءٌ .
Ibn Umar narrated from Bilal:
"The Prophet performed Salat in the interior of the Ka'bah." And Ibn Abbas said: "He did not perform Salat in it, but he said the Takbir."
পরিচ্ছেদঃ ১০২. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু’আ
৩৫৪৯। বিলাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদাত করবে। কেননা তা তোমাদের পূর্ববর্তী সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের নিত্য আচরণ ও প্রথা। রাতের ইবাদাত আল্লাহ তা’আলার সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, পাপকর্মের প্রতিবন্ধক, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং দেহের রোগ দূরকারী।
যঈফ, ইরওয়া (৪৫২), তা’লীকুর রাগীব (২/২১৬), মিশকাত (১২২৭)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান ও গারীব। কেননা এ হাদীস আমরা শুধু বিলাল (রাঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে জেনেছি। সনদসূত্রের দিক হতে এটি সহীহ নয়। আমি মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (আল-বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, মুহাম্মাদ আল-কুরাশী হলেন মুহাম্মাদ ইবনু সাঈদ আশ-শামী। ইবনু আবূ কাইস হলেন মুহাম্মাদ ইবনু হাসসান এবং তার হাদীস বাদ দেয়া হয়েছে। মুআবিয়া ইবনু সালিহ (রাহঃ) এ হাদীস রবীআ ইবনু ইয়াযীদ হতে তিনি আবূ ইদরীস আল-খাওলানী হতে তিনি আবূ উমামা (রাঃ) হতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “তোমরা অবশ্যই রাতের ইবাদাত করবে। কেননা উহা তোমাদের পূর্ববর্তী সৎকর্মপরায়নগণের অভ্যাস, আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জনের উপায়, গুনাহসমূহের কাফফারা এবং পাপ কর্মের প্রতিবন্ধক" আবূ ঈসা বলেন, এই বর্ণনাটি ইদরীসের সূত্রে বিলালের বর্ণনা হতে অধিকতর সহীহ।
হাসান, ইরওয়া (৪৫২), তা’লীকুর রাগীব (২/২১৬), মিশকাত (১২২৭)
باب فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خُنَيْسٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ الْقُرَشِيِّ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَإِنَّ قِيَامَ اللَّيْلِ قُرْبَةٌ إِلَى اللَّهِ وَمَنْهَاةٌ عَنِ الإِثْمِ وَتَكْفِيرٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَطْرَدَةٌ لِلدَّاءِ عَنِ الْجَسَدِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ بِلاَلٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ يَصِحُّ مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ . قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ مُحَمَّدٌ الْقُرَشِيُّ هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الشَّامِيُّ وَهُوَ ابْنُ أَبِي قَيْسٍ وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ حَسَّانَ وَقَدْ تُرِكَ حَدِيثُهُ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ وَهُوَ قُرْبَةٌ إِلَى رَبِّكُمْ وَمَكْفَرَةٌ لِلسَّيِّئَاتِ وَمَنْهَاةٌ لِلإِثْمِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِدْرِيسَ عَنْ بِلاَلٍ .
That was narrated to us by Al-Qasim bin Dinar Al-Kufi (who said):
“Ishaq bin Mansur narrated to us, from Isra’il” with this (Another chain) Bilal narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “Hold fast to Qiyam al-Lail, for it is the practice of the righteous before you, and indeed Qiyam al-Lail is a means of nearness to Allah, a means of prevention from sin, an expiation for bad deeds, and a barrier for the body against disease.”
পরিচ্ছেদঃ ৪০. খাদ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সমান-সমান না হওয়া প্রসঙ্গে
২৬১৪. বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য এক মুদ খেজুর ছিল। এরপর আমি এ থেকে দু’ সা’আ পরিমাণ খেুজর দিয়ে এক সা’আ পরিমাণ এর থেকে উত্তম খেজুর ক্রয় করলাম। এরপর তা নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এলে তিনি বললেন: “হে বিলাল! তুমি এটা কোথায় পেলে?” আমি বললাম, (আমার খেজুর) দু’ সা’আ দিয়ে (এ খেজুর) এক সা’আ কিনেছি। তিনি বললেন: “এটি ফিরিয়ে দাও এবং আমাদের খেজুর আমাদের নিকট ফিরিয়ে নিয়ে আস।”[1]
তাখরীজ: তাহাবী, মা’আনিল আছার ৪/৬৮; তাবারাণী, কাবীর ১/৩৫৯ নং ১০৯৭; ইবনু আব্দুল বারর, আত তামহীদ ৫/১৩৪; বাযযার, কাশফুল আসতার ২/১০৮ নং ১৩১৬; হারিছ ইবনু আবী উসামাহ, বুগইয়াতুল বাহিছ নং ৪৪২ মাতরুক ও যয়ীফ সনদে।
তবে এ হাদীসের অনেকগুলি শাহিদ রয়েছে। দেখুন আমাদের তাহক্বীক্বকৃত মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৬৬৩৮, ৬৬৩৯ তে। এছাড়াও, ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে এর শাহিদ রয়েছে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলীতে নং ৫৭১০ সেখানে এর শাহিদসমূহও উল্লেখ করেছি। এরপরবর্তী হাদীসটিও দেখুন।
باب فِي بَيْعِ الطَّعَامِ مِثْلًا بِمِثْلٍ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ بِلَالٍ قَالَ كَانَ عِنْدِي مُدُّ تَمْرٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدْتُ أَطْيَبَ مِنْهُ صَاعًا بِصَاعَيْنِ فَاشْتَرَيْتُ مِنْهُ فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مِنْ أَيْنَ لَكَ هَذَا يَا بِلَالُ قُلْتُ اشْتَرَيْتُ صَاعًا بِصَاعَيْنِ قَالَ رُدَّهُ وَرُدَّ عَلَيْنَا تَمْرَنَا