পরিচ্ছেদঃ মক্কার মর্যাদা ও সম্মান প্রসঙ্গে।
৮০৭. কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ...... আবূ শুরায়হ আল-আদাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনার গভর্ণর আমর ইবনু সাঈদ যখন (আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রের বিরুদ্ধে) মক্কায় সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করছিল তখন তিনি তাকে বললেন, হে আমির! আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি একটি হাদীস আপনার কাছে বর্ণনা করছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসটি মক্কা বিজয়ের পর দিন এরশাদ করেছিলেন। যখন তিনি এ কথা বলছিলেন, তখন আমার কর্ণদ্বয় তা শুনছিল, আমার হৃদয় তা সংরক্ষণ করছিল এবং আমার চক্ষুদয় তা প্রত্যক্ষ করছিল, তিনি আল্লাহর হামদ করলেন, তাঁর প্রশংসা করলেন; পরে বললেনঃ মক্কাকে আল্লাহ তা’আলা নিজে ’’হারাম’’ করে দিয়েছেন। কোন মানুষ তাকে ’হারাম’ করেনি। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে তার জন্য হালাল নয় রক্ত প্রবাহিত করা, এখানকার কোন বৃক্ষ কর্তন করা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক এখানে যুদ্ধ করার ওসীলাধরে কেউ যদি এখানে কোনরূপ যুদ্ধভিযান চালানোর অবকাশ খোঁজে তাকে তোমরা বলে দিবে, আল্লাহ তা’আলা কেবল তাঁর রাসূল) কেই বিশেষ করে এর অনুমতি দিয়েছেন। তোমাকে এর অনুমতি দেননি। আমাকেও কেবল দিনের কিছুক্ষনের জন্য অনুমতি দিয়ে ছিলেন। গতকাল যেমন তা হারাম ছিল আজ তেমনিভাবে তা হারাম হওয়ার বিধান প্রত্যার্পিত হয়েছে। তোমাদের উপস্থিত জন অনুপস্থিত জনকে পৌছিয়ে দিও। - বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮০৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আবূ শুরায়হ (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার এই কথা শোনে আমর ইবনু সাঈদ তখন কি বলেছিল? তিনি বললেন, সে বলেছিল, হে আবূ শুরায়হ! এই হাদীস সম্পর্কে আমি আপনার চেয়ে অধিক অবহিত। ’’হারাম’’ শরীফ কোন অবাধ্যচারী, পলাতক খুনী এবং পলাতক অপরাধীকে আশ্রয় দেয়না।
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, بخربة -এর স্থলে بِخِزْيَةٍ ও বর্ণিত আছে। এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ শুরায়হ বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ শুরায়হ আল-খুযাঈ (রাঃ) এর নাম হল খুওয়ালিদ ইবনু আমর আল-আদাবী আল-কা’ব। ولا فارا بخربة এর بخربة অর্থ অপরাধী। বাক্যটির মর্ম হল, কোন অপরাধ করে বা খুন করে যদি কেউ হারাম শরীফে আশ্রয় নেয় তবে ঐ স্থানে তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হয় না।
باب مَا جَاءَ فِي حُرْمَةِ مَكَّةَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْعَدَوِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلاً قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَاىَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ أَنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ وَلاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ فِيهَا دَمًا أَوْ يَعْضِدَ بِهَا شَجَرَةً فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ بِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا فَقُولُوا لَهُ إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَأْذَنْ لَكَ وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي فِيهِ سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالأَمْسِ وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ " .
فَقِيلَ لأَبِي شُرَيْحٍ مَا قَالَ لَكَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ قَالَ أَنَا أَعْلَمُ مِنْكَ بِذَلِكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ إِنَّ الْحَرَمَ لاَ يُعِيذُ عَاصِيًا وَلاَ فَارًّا بِدَمٍ وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُرْوَى وَلاَ فَارًّا بِخِزْيَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي شُرَيْحٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيُّ اسْمُهُ خُوَيْلِدُ بْنُ عَمْرٍو وَهُوَ الْعَدَوِيُّ وَهُوَ الْكَعْبِيُّ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ " وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ " يَعْنِي الْجِنَايَةَ يَقُولُ مَنْ جَنَى جِنَايَةً أَوْ أَصَابَ دَمًا ثُمَّ لَجَأَ إِلَى الْحَرَمِ فَإِنَّهُ يُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ .
Sa'eed bin Abi Sa'eed Al Maqbury narrated:
"Abu Shuraih Al-Adawi said tat when Amr bin Sa'eed was sending troops to Makkah he said to him: 'O Amr! Allow me to tell you what the Messenger of Allah said on the day following the Conquest of Makkah. My ears heard it, my heard understood it thoroughly, and with my own eyes, I saw the Prophet when he - after glorifying and praising Allah - said: "Indeed Allah, the Most High, made Makkah a sanctuary, it was not made a sanctuary by the people. So it is not lawful for a man who believes in Allah and the Last Day to shed blood it, nor to cut down its trees. If anybody tries to use the Messenger of Allah to make an excuse for fighting in it, then say to him: 'Indeed Allah permitted His Messenger and He did not permit you.' Allah only allowed it for me for a few hours of one day, and today its sanctity has returned as it was before. So let the one who is present convey to the one who is absent." Abu Shuraih was asked: "What was Amr bin Sa'eeds reply to you?" He said: "I am more knowledgeable about that than you Abu Shuraih! The Haram does not give protection to a disobedient person, nor a person fleeing for murder, nor fleeing for (Kharbah) lawlessness."
পরিচ্ছেদঃ হজ্জ ও উমরার সাওয়াব প্রসঙ্গে।
৮০৮. কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও আবূ সাঈদ আল-আশাজ্জ (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা ধারাবাহিক হজ্জ ও উমরা আদায় করতে থাক। এ দুটো আমল দারিদ্র ও গুনাহ বিদূরিত করে দেয়। যেমন ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রূপার ময়লা-জং দূরিভূত হয়ে থাকে। একটি কবুল হজ্জের প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়। - ইবনু মাজাহ ২৮৮৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে উমার, আমির ইবনু রাবীআ, আবূ হুরায়রা, আবদুল্লাহ ইবনু হুবশী, উম্মু সালামা ও জাবির (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবে হাসান-সহীহ-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَابِعُوا بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَإِنَّهُمَا يَنْفِيَانِ الْفَقْرَ وَالذُّنُوبَ كَمَا يَنْفِي الْكِيرُ خَبَثَ الْحَدِيدِ وَالذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَلَيْسَ لِلْحَجَّةِ الْمَبْرُورَةِ ثَوَابٌ إِلاَّ الْجَنَّةُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُبْشِيٍّ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ .
Abdullah (bin Mas'ud) narrated that:
The Messenger of Allah said: "Alternate between Hajj and Umrah; for those two remove poverty and sins just as the bellows removes filth from iron, gold, and silver - and there is no reward for Al-Hajj Al-Mabrur except for Paradise."
পরিচ্ছেদঃ হজ্জ ও উমরার সাওয়াব প্রসঙ্গে।
৮০৯. ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি কেউ হজ্জ করে এবং তাতে কোনরূপ অশ্লীল ও অন্যায় আচরণ না করে তবে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। - হাজ্জাতুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - পৃঃ ৫, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী আবূ হাযিম আল-কূফীই হলেন আল-আশজাঈ। তার নাম হল সালমান। ইনি আযযা আল-আশজাঈয়া এর মাওলা বা আযাদকৃত দাস ছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَجَّ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو حَازِمٍ كُوفِيٌّ وَهُوَ الأَشْجَعِيُّ وَاسْمُهُ سَلْمَانُ مَوْلَى عَزَّةَ الأَشْجَعِيَّةِ .
Abu Hurairah narrated that :
The Messenger of Allah said: "Whoever performs Hajj for Allah, and he does not have sexual relations nor commit any sin, then his previous sins will be forgiven."
পরিচ্ছেদঃ হজ্জ পরিত্যাগ করা সম্পর্কে কঠোর সতর্কবাণী।
৮১০. মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়া আল-কুতাঈ আল-বাসরী (রহঃ) ..... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি এতটুকু পাথেয় ও সফর সংক্রান্ত্রের অধিকারী হয়, যা তাকে বায়তুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে, এরপরও যদি সে হজ্জ পালন না করে তবে সে ইয়াহুদী হয়ে মরল বা নাসারা হয়ে মরল এই বিষয়ে (আল্লাহর) কোন পরওয়া নেই। কারণ আল্লাহ তা’আলা তাঁর পবিত্র কিতাবে ইরশাদ করেনঃ(وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ) ’’মানুষের মাঝে যার সেখানে যাবার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য’’। - মিশকাত ২৫২১, তা’লীকুর রাগীব ২/১৩৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। এটির সনদ সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে। হিলাল ইবনু আবদুল্লাহ রাবী হচ্ছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আর হারিসকে হাদীস বর্ণনায় যঈফ বলা হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي التَّغْلِيظِ فِي تَرْكِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، مَوْلَى رَبِيعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مُسْلِمٍ الْبَاهِلِيِّ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً تُبَلِّغُهُ إِلَى بَيْتِ اللَّهِ وَلَمْ يَحُجَّ فَلاَ عَلَيْهِ أَنْ يَمُوتَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ يَقُولُ فِي كِتَابِهِ : (وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ) " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَفِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ . وَهِلاَلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مَجْهُولٌ وَالْحَارِثُ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ .
Ali narrated that :
The Messenger of Allah said: "Whoever has the provisions and the means to convey him to Allah's House and he does not perform Hajj, then it does not matter if he dies as a Jew or a Christian. That is because Allah said in His Book: 'And Hajj to the House is a duty that mankind owes to Allah, for whomever is able to bear the journey.'
পরিচ্ছেদঃ পাথেয় ও বাহন যোগাড়ে সক্ষম হলে হজ্জ ফরয হয়।
৮১১. ইউসুফ ইবনু ঈসা (রহঃ) ..... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরকাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! কিসে হজ্জ ফরয হয়? তিনি বললেন, পাথেয় ও বাহন যোগাড়ে সক্ষম হলে। - ইবনু মাজাহ ২৮৯৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান। আলিমগণ এতদনুসারে আমল করেছেন। তাঁরা বলেন, কোন ব্যক্তি যখন পাথেয় ও বাহন যোগাড়ে সক্ষম হয় তখন তার উপর হজ্জ ফরয হয়। রাবী ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ হলেন, আল-খাওযী আল-মাক্কী। কতক হাদীস বিশেষজ্ঞ আলিম তার স্মরণশক্তির সমালোচনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي إِيجَابِ الْحَجِّ بِالزَّادِ وَالرَّاحِلَةِ .
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا يُوجِبُ الْحَجَّ قَالَ " الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا مَلَكَ زَادًا وَرَاحِلَةً وَجَبَ عَلَيْهِ الْحَجُّ . وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ هُوَ الْخُوزِيُّ الْمَكِّيُّ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
Ibn Umar narrated:
"A man came to the Prophet and said: 'O Messenger of Allah! What is it that makes Hajj obligatory?' He said: "The provisions and a means of conveyance."
পরিচ্ছেদঃ কতবার হজ্জ করা ফরয।
৮১২. আবূ সাঈদ আল আশাজ্জ (রহঃ) ...... আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً - মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য। এই আয়াত নাযিল হলে সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! একি প্রতি বছরই করতে হবে? তিনি চুপ করে রইলেন। তারা আবার বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! একি প্রতি বছরই করতে হবে? তিনি বললেন, না; আমি যদি বলতাম হ্যাঁ, তবে তো তোমাদের উপর তা (প্রতি বছরই করাই) ফরয হয়ে যেত। অনন্তর আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেনঃ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ হে মুমিনগণ! তোমরা সে সব বিষয়ে প্রশ্ন করবে না যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে। - ইবনু মাজাহ ২৮৮৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই সনদে আলী (রাঃ) এর হাদীসটি হাসান-গারীব। রাবী আবূল বাখতারীর নাম হল সাঈদ ইবনু আবূ ইমরান। ইনি হলেন, সাঈদ ইবনু ফীরোয।
باب مَا جَاءَ كَمْ فُرِضَ الْحَجُّ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ وَرْدَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ ( وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ) قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفِي كُلِّ عَامٍ فَسَكَتَ . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفِي كُلِّ عَامٍ قَالَ " لاَ وَلَوْ قُلْتُ نَعَمْ لَوَجَبَتْ " . فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ ) . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَاسْمُ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عِمْرَانَ وَهُوَ سَعِيدُ بْنُ فَيْرُوزَ .
Ali bin Abi Talib narrated:
"When Allah revealed: And Hajj to the House is a duty that mankind owes to Allah, for whomever is able to bear the journey. They said: 'O Messenger of Allah! Is that every year?' He remained silent. So they said: 'O Messenger of Allah! Is that every year?' He said: 'No. If I had said yes, then it would have been made obligatory.' So Allah revealed: O you who believe! Do not ask about things which, if made plain to you, may cause you trouble.
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) কয়বার হজ্জ পালন করেছেন।
৮১৩. আবদুল্লাহ ইবনু আবূ যিয়াদ কূফী (রহঃ) ...... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবার হজ্জ করেছেন। হিজরতের পূর্বে দুই হজ্জ আর হিজরতের পর এক হজ্জ। এই হজ্জের সঙ্গে উমরাও করেছেন। তিনি তেষট্টিটি কুরবানীর উট নিয়ে এসেছিলেন। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বাকী উটগুলি নিয়ে ইয়ামান থেকে এসছিলেন। এই উটগুলির মধ্যে আবূ জাহলের একটি উট ছিল। এর নাকে রৌপ্যের রিং ছিল। এটিকেও তিনি কুরবানী করেছিলেন। যা হোক, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি উট থেকে এক টুকরা মাংস নিয়ে আসতে নির্দেশ দিলেন, এগুলো পাকানো হলে তিনি এর শোরবা পান করেন। - হাজ্জাতুন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ৬৭-৮৩, মুসলিম, হিজরতের পূর্বে দুই হজ্জ এবং আবূ জাহল এই বাক্যাংশ ছাড়া, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৫/১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, সুফিয়ানের রিওয়ায়াত হিসাবে এই হাদীসটি গারীব। তাঁর থেকে যায়ীদ ইবনু হুবাব ছাড়া আর কারো রিওয়ায়াত সম্পর্কে আমাদের জানা নাই। আবদুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান (রহঃ) কে দেখেছি যে, তিনি এটিকে আবদুল্লাহ ইবনু আবূ যিয়াদ এর বরাতে কার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। ইমাম মুহাম্মদ আল-বুখারী (রহঃ) কে আমি এই রিওয়ায়াতটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তিনি এটিকে সাওরী-জাফর-তৎপিতা-জাবির নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সনদে বর্ণিত আছে বলে জানতে পারেননি। আমি দেখেছি তিনি এই হাদীসটিকে মাহফুয বা সংরক্ষিত বলে গণ্য করতেন না। তিনি বলেন, সাওরী আবূ ইসহাক মুজাহিদ সনদে এটি মুরসাল হিসাবে বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَجَّ ثَلاَثَ حِجَجٍ حَجَّتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ وَحَجَّةً بَعْدَ مَا هَاجَرَ وَمَعَهَا عُمْرَةٌ فَسَاقَ ثَلاَثًا وَسِتِّينَ بَدَنَةً وَجَاءَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ بِبَقِيَّتِهَا فِيهَا جَمَلٌ لأَبِي جَهْلٍ فِي أَنْفِهِ بُرَةٌ مِنْ فِضَّةٍ فَنَحَرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ فَطُبِخَتْ وَشَرِبَ مِنْ مَرَقِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ حُبَابٍ . وَرَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ فِي كُتُبِهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا فَلَمْ يَعْرِفْهُ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ عَنْ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَأَيْتُهُ لاَ يَعُدُّ هَذَا الْحَدِيثَ مَحْفُوظًا . وَقَالَ إِنَّمَا يُرْوَى عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلاً .
Jabir bin Abdullah narrated:
"The Prophet performed Hajj three times. He performed Hajj twice before his emigration, and he performed one Hajj after he emigrated, and these were accompanied by Umrah. So he drove sixty-three sacrificial animals (Budn) and Ali came from Yemen with the rest of them, among them was a camel of Abu Jahl that has a ring made of silver in its nose. So he (the Messenger of Allah) slaughtered the, and the Messenger of Allah ordered that a piece of each of them be cooked, and he drank from its broth."
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) কয়বার হজ্জ পালন করেছেন।
৮১৪. ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কে বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়বার হজ্জ করেছেন? তিনি বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার হজ্জ এবং চারবার উমরা করেছেন। যিলকাদ মাসে একটি উমরা, হুদায়বিয়ার উমরা, হজ্জের সঙ্গে একটি এবং জি’ইররানার থেকে একটি, সে সময় তিনি হুনায়ন যুদ্ধে লব্ধ গনীমত বন্টন করেছিলেন। - বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৫/২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী হাব্বান ইবনু হিলাল হলেন আবূ হাবীব আল-বাসরী একজন মহান ও নির্ভরযোগ্য রাবী। প্রখ্যাত হাদীসবিদ ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান (রহঃ) তার নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন।
باب مَا جَاءَ كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، قَالَ قُلْتُ لأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ كَمْ حَجَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ وَاعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةٌ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةٌ مَعَ حَجَّتِهِ وَعُمْرَةُ الْجِعِرَّانَةِ إِذْ قَسَّمَ غَنِيمَةَ حُنَيْنٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَحَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ هُوَ أَبُو حَبِيبٍ الْبَصْرِيُّ هُوَ جَلِيلٌ ثِقَةٌ وَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ .
Qatadah narrated:
"I said to Anas bin Malik: 'How many times did the Prophet perform Hajj?' He said: 'He performed one Hajj and he performed four Umrah: An Umrah during Dhul-Qa'dah; the Umrah of Al-Hudaibiyah, and Umrah with his Hajj, and an Umrah from Al-Ji'irranah when he divided up the war spoils of Hunain.'"
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) কতবার উমরা করেছেন।
৮১৫. কুতায়বা (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারবার উমরা করেছেন। হুদায়বিয়ার উমরা, এর পরবর্তী বছর দ্বিতীয় উমরা এটি ছিল যিলকাদ মাসে কাযা উমরা হিসাবে, তৃতীয় উমরা হল জিইররানা নামক নামক স্থান থেকে, চতুর্থ উমরা হল তাঁর হজ্জের সঙ্গে। - ইবনু মাজাহ ৩০০৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও ইবনু উমার (রাঃ) থেকেও বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব। ইবনু উআয়না (রহঃ) এই হাদীসটিকে আমর ইবনু দ্বীনার ইকরিমা (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারবার উমরা করেছেন। এই সনদে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর উল্লেখ করেননি।
باب مَا جَاءَ كَمِ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الثَّانِيَةِ مِنْ قَابِلٍ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَعُمْرَةَ الثَّالِثَةِ مِنَ الْجِعِرَّانَةِ وَالرَّابِعَةِ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ.
قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَرَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Ibn Abbas narrared:
"The Messenger of Allah performed four Umrah: The Umrah of Al-Hudaibiyah, a second Umrah the following (year), (which was) the Umrah of Al-Qisas during Dhul-Qa'dah, a third Umrah from Al-Ji'irranah, and the fourth which accompanied his Hajj."
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) কতবার উমরা করেছেন।
৮১৬. সাঈদ ইবনু আব্দুর রহমান আল-মাখযুমী (রহঃ) ...... ইকরিমা (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৬ এর শেষাংশ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ كَمِ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
পরিচ্ছেদঃ কোন জায়গা থেকে নবী (ﷺ) ইহরাম বেঁধেছেন।
৮১৭. ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ...... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হজ্জ করার ইচ্ছা করলেন তখন লোকদের মাঝে ঘোষনা দিলেন, এতে তারা একত্রিত হল। পরে যুল হুলায়ফার নিকটবর্তী বায়দা নামক স্থানে পৌছে ইহরাম বাঁধেন। - হাজ্জাতুন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৪৫/২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবনু উমার,আনাস, মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ مِنْ أَىِّ مَوْضِعٍ أَحْرَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا أَرَادَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْحَجَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ فَاجْتَمَعُوا فَلَمَّا أَتَى الْبَيْدَاءَ أَحْرَمَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَنَسٍ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Jabir bin Abdullah narrated:
"When the Prophet wanted to Perform Hajj, he announced it to the people, and they gathered (to accompany him). When he reached Al-Baida he assumed Ihram"
পরিচ্ছেদঃ কোন জায়গা থেকে নবী (ﷺ) ইহরাম বেঁধেছেন।
৮১৮. কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ...... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বায়দা হল এমন একটি জায়গা, যে ব্যাপারে তোমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জড়িয়ে (ইহরাম সম্পর্কে) ভুল আরোপ করে থাক। আল্লাহর কসম! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (যুল হুলায়ফার) মসজিদের কাছে একটি বৃক্ষের পাশে ইহরামের তাকবীর উচ্চারণ করেছিলেন। - বুখারি, মুসলিম,তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান সহিহ।
باب مَا جَاءَ مِنْ أَىِّ مَوْضِعٍ أَحْرَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ الْبَيْدَاءُ الَّتِي يَكْذِبُونَ فِيهَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاللَّهِ مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ مِنْ عِنْدِ الشَّجَرَةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ibn Umar narrated:
"Al-Baida the one they lie about regarding the Messenger of Allah. By Allah! The Messenger of Allah did not start the Talbiyah except from near the Masjid, near the tree."
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) কখন ইহরাম বাঁধেন।
৮১৯. কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের পর ইহরামের তাকবীর উচ্চারণ করেন। - যইফ আবু দাউদ ৩১২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব। আব্দুস সালাম ইবনু হারব ছাড়া আর কেউ এটি রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমরা জানিনা। সালাতের পর ইহরাম বাঁধা আলিমগণ মুস্তাহাব বলে মনে করেন।
باب مَا جَاءَ مَتَى أَحْرَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَهَلَّ فِي دُبُرِ الصَّلاَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ غَيْرَ عَبْدِ السَّلاَمِ بْنِ حَرْبٍ . وَهُوَ الَّذِي يَسْتَحِبُّهُ أَهْلُ الْعِلْمِ أَنْ يُحْرِمَ الرَّجُلُ فِي دُبُرِ الصَّلاَةِ .
Ibn Abbas narrated:
"The Prophet started the Talbiyah after the Salat."
পরিচ্ছেদঃ ইফরাদ হজ্জ প্রসঙ্গে।
৮২০. আবূ মুসআব (রহঃ) ...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফরাদ হজ্জ করেছেন। - ইবনু মাজাহ ২৯৬৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জাবির ও ইবনু উমার (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম হাদীসটিকে আমলের জন্য গ্রহণ করেছেন। ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইফরাদ হজ্জ করেছেন এবং আবু বকর, উমর ও উসমান (রাঃ)ও ইফরাদ হজ্জ করেছেন। - সনদ সহিহ, কিন্তু তা শাজ।
باب مَا جَاءَ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، قِرَاءَةً عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ .
وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَفْرَدَ الْحَجَّ وَأَفْرَدَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ .
Aishah narrated:
"the Messenger of Allah performed the Ifrad form of Hajj."
পরিচ্ছেদঃ ইফরাদ হজ্জ প্রসঙ্গে।
৮২১. কুতায়বা (রহঃ) ....... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইমাম সাওরী (রহঃ) বলেছেন, যদি ইফরাদ হজ্জ কর তবে তাও উত্তম, কিরান যদি কর তাও উত্তম আর তামাত্তু যদি কর তবে তাও উত্তম। ইমাম শাফেঈ (রহঃ) ও অনুরূপ কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের নিকট সবচে পছন্দনীয় হল ইফরাদ এরপর তামাত্তু এরপর কিরান।
باب مَا جَاءَ فِي إِفْرَادِ الْحَجِّ
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَ الثَّوْرِيُّ إِنْ أَفْرَدْتَ الْحَجَّ فَحَسَنٌ وَإِنْ قَرَنْتَ فَحَسَنٌ وَإِنْ تَمَتَّعْتَ فَحَسَنٌ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ مِثْلَهُ . وَقَالَ أَحَبُّ إِلَيْنَا الإِفْرَادُ ثُمَّ التَّمَتُّعُ ثُمَّ الْقِرَانُ .
পরিচ্ছেদঃ হজ্জ ও উমরা একসঙ্গে আদায় করা।
৮২২. কুতায়বা (রহঃ) ...... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (ইহরামের সময়)لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ - উমরা ও হজ্জ উভয়ের লাব্বায়েক বলতে শুনেছি। - ইবনু মাজাহ ২৯৬৮, ২৯৬৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮২১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে উমার ও ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আনাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম আমলের ক্ষেত্রে এই হাদীসটিকে গ্রহণ করেছেন। কূফাবাসী ফকীহগণ ও অপরাপর আলিম একে অধিক পছন্দনীয় বলে গ্রহণ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْجَمْعِ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لَبَّيْكَ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . وَاخْتَارُوهُ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ .
Anas narrated:
"I heard the Prophet saying: (Labbaika Bi'umratin wa Hajjah) 'Here I am for 'Umrah and Hajj.'"
পরিচ্ছেদঃ তামাত্তু হজ্জ।
৮২৩. আবূ মূসা মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ বকর, উমার ও উসমান (রাঃ) তামাত্তু হজ্জ করেছেন। মুআবিয়া (রাঃ)-ই প্রথম তা নিষেধ করেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮২২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَأَوَّلُ مَنْ نَهَى عَنْهَا مُعَاوِيَةُ
Ibn Abbas narrated:
"The Messenger of Allah performed Tamattu, as did Abu Bakr, Umar and Uthman. And the first to prohibit it was Mu'awiyah."
পরিচ্ছেদঃ তামাত্তু হজ্জ।
৮২৪. কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ...... মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু হারিস ইবনু নাওফাল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজ্জের সঙ্গে উমরা একত্রিত করে তামাত্তু হজ্জ করা সম্পর্কে সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস ও যাহহাক ইবনু কায়স (রাঃ) কে আলোচনা করতে শোনেছেন। যাহহাক ইবনু কায়স (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তি ব্যতীত কেউ এ কাজ করতে পারেনা। সা’দ (রাঃ) বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র! তুমি কত মন্দ কথা বললে। যাহহাক বললেন, উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) তো এটা নিষেধ করেছেন। তখন সা’দ (রাঃ) বললেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও তা করেছেন, আমরাও তাঁর সঙ্গে থেকে তা করেছি। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এই হাদীসটি সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ، وَالضَّحَّاكَ بْنَ قَيْسٍ، وَهُمَا، يَذْكُرَانِ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ لاَ يَصْنَعُ ذَلِكَ إِلاَّ مَنْ جَهِلَ أَمْرَ اللَّهِ . فَقَالَ سَعْدٌ بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أَخِي . فَقَالَ الضَّحَّاكُ بْنُ قَيْسٍ فَإِنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَدْ نَهَى عَنْ ذَلِكَ . فَقَالَ سَعْدٌ قَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَنَعْنَاهَا مَعَهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
Muhammad bin Abdullah bin Al-Harith bin Nawfal narrated that:
He heard Sa'd bin Abi Waqas, and Ad-Dahhak bin Qais while they were mentioning Tamattu after "Umrah until Hajj. Ad-Dahhak bin Qais said: "No one does that except one who is ignorant of the order of Allah, Most High." Sa'd said: "How horrible is it what you have said O my nephew!" So Ad-Dahhak (bin Qais) said: "Indeed Umar bin Al-Khattab has prohibited that." So Sa'd said: "The Messenger of Allah did it, and we did it with him."
পরিচ্ছেদঃ তামাত্তু হজ্জ।
৮২৫. আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজ্জের সঙ্গে একত্র করে তামাত্তু করা সম্পর্কে তিনি জনৈক সিরিয়াবাসী ব্যক্তিকে আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) এর কাছে প্রশ্ন করতে শুনেছেন। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, তা করা বৈধ। সিরিয়াবাসী ব্যক্তিটি বলল, আপনার পিতা তো তা করতে নিষেধ করতেন। আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, তুমি কি মনে কর, কোন বিষয় যদি আমার পিতা নিষেধ করেন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে কি আমার পিতার অনুসরণ করা হবে, না রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করা হবে? লোকটি বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাজেরই তো (অনুসরণ করা হবে)। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা (তামাত্তু) করেছেন।
এ হাদিসটি হাসান-সহীহ। এই বিষয়ে আলী, উসমান, জাবির, সা’দ, আসমা বিনত আবূ বকর ও ইবনু উমার (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের একদল (হজ্জ ও) উমরা একসঙ্গে করে তামাত্তু করার বিষয়টিকে পছন্দনীয় বলে গ্রহণ করেছেন। তামাত্তু হল একজন (মীকাত থেকে) হজ্জের মাসসমূহে উমরার (এর ইহরাম বেঁধে মক্কায়) দাখিল হবে এবং তা সমাধা করে হজ্জ করা পর্যন্ত ইহরাম অবস্থায় অবস্থান করবে। এমতাবস্থায় এই ব্যক্তিটি হবে মুতামাত্তি- তামাত্তু পালনকারী। তার জন্য যে প্রকারের হাদী (কুরবানীর পশু) সহজ হয় তা কুরবানী করবে। যদি কেউ তাতে সক্ষম না হয় তবে সে হজ্জের সময় তিন এবং বাড়ি প্রত্যাবর্তনকালে সাত দিন সিয়াম পালন করবে। তামাত্তু পালনকারী যখন হজ্জের সময় দিন সিয়াম পালন করবে তখন মুস্তাহাব হল যিল হাজ্জ মাসের দশ দিনের মধ্যে এমনভাবে তা করতে যে আরাফার দিন যেম তার সিয়ামের শেষ দিন হয়। যদি সে এই দশের ভিতর সিয়াম পালন না করে। তবে কতক সাহাবীর মতে সে আইয়্যামে তাশরীকের মাঝে (যিল হজ্জ মাসের ১১, ১২, ১৩ তারিখ) তা পালন করবে। এ হল ইবনু উমার ও আয়িশা (রাঃ)-এর অভিমত। ইমাম মালিক,শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) ও এই মত ব্যক্ত করেছেন। কতক আলেম বলেন, আইয়্যামে তাশরীকে সিয়াম পালন করবে না। এ হল কুফাবাসী আলিমগণ -এর অভিমত। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদিস বিশেষজ্ঞ আলিমগণ হজ্জের সঙ্গে উমরা করে তামাত্তু করা পছন্দনীয় আমল বলে গ্রহণ করেছেন। এ হলো ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) (প্রমুখ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي التَّمَتُّعِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَهُوَ يَسْأَلُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنِ التَّمَتُّعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ هِيَ حَلاَلٌ . فَقَالَ الشَّامِيُّ إِنَّ أَبَاكَ قَدْ نَهَى عَنْهَا . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ أَبِي نَهَى عَنْهَا وَصَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَأَمْرَ أَبِي نَتَّبِعُ أَمْ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ الرَّجُلُ بَلْ أَمْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ لَقَدْ صَنَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ وَجَابِرٍ وَسَعْدٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ وَابْنِ عُمَرَ . وَقَدِ اخْتَارَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ . وَالتَّمَتُّعُ أَنْ يَدْخُلَ الرَّجُلُ بِعُمْرَةٍ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ ثُمَّ يُقِيمَ حَتَّى يَحُجَّ فَهُوَ مُتَمَتِّعٌ وَعَلَيْهِ دَمٌ مَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْىِ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ صَامَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ وَيُسْتَحَبُّ لِلْمُتَمَتِّعِ إِذَا صَامَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ أَنْ يَصُومَ فِي الْعَشْرِ وَيَكُونَ آخِرُهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فَإِنْ لَمْ يَصُمْ فِي الْعَشْرِ صَامَ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ فِي قَوْلِ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ وَعَائِشَةُ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يَصُومُ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ . وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَهْلُ الْحَدِيثِ يَخْتَارُونَ التَّمَتُّعَ بِالْعُمْرَةِ فِي الْحَجِّ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
Salim bin Abdullah narrated that :
he had heard a man from Ash-Sham asking Abdullah bin Umar about Tamattu after Umrah until Hajj, so Abdullah bin Umar said: "It is lawful." The man from Ash-Sham said: "But your father prohibited it." So Abdullah bin Umar said: "Is the order to follow my father or is the order (to follow) for the Messenger of Allah?" The man said: "Rather it is for the Messenger of Allah." So he said: "Indeed the Messenger of Allah did it."
পরিচ্ছেদঃ তালবিয়া প্রসংগে।
৮২৬. আহমাদ ইবনু মানী (রহঃ) ..... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তালবিয়া ছিলঃ لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
আমি হাযির হে আল্লাহ! আমি হাযির; শরীক নাই কেউ তোমার,আমি, হাযির; সব হামদ ও সব নিয়ামত তোমার তো তোমারই আর সব সমরাজ্যও; কোন শরীক নাই তোমার। - ইবনু মাজাহ ২৯১৮, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮২৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন এই বিষয়ে ইবনু মসঊদ, জাবির, আয়িশা, ইবনু আব্বাস ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান-সাহীহ্। সাহাবী ও অপরাপর আলেমগন এই হাদিসটির উপর আমল করেছেন, এ হল সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন আল্লাহ তায়ালার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দ যদি কেউ তালবিয়াতে বৃদ্ধি করে তবে ইনশাআল্লাহ্ এতে কোন দোষ নেই। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পঠিত তালবিয়াতের উপর সীমাবদ্ধ থাকাই আমার নিকট অধিক প্রিয়।
ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন আল্লাহ তায়ালার মহত্ব ব্যঞ্জক কোন শব্দতালবিয়াতে বৃদ্ধি ঘটালে কোন দোষ নাই। দলীল হল ইবন উমর (রাঃ) এর এই রিওায়াতটি। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তালবিয়ার শব্দ সংরক্ষণ করেছেন। এরপরও তিনি নিজের তরফ থেকে এতে বৃদ্ধি করেছেনঃ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِي يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ
باب مَا جَاءَ فِي التَّلْبِيَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ تَلْبِيَةَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم كَانَتْ " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَجَابِرٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنْ زَادَ فِي التَّلْبِيَةِ شَيْئًا مِنْ تَعْظِيمِ اللَّهِ فَلاَ بَأْسَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَأَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ يَقْتَصِرَ عَلَى تَلْبِيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ الشَّافِعِيُّ وَإِنَّمَا قُلْنَا لاَ بَأْسَ بِزِيَادَةِ تَعْظِيمِ اللَّهِ فِيهَا لِمَا جَاءَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَهُوَ حَفِظَ التَّلْبِيَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ زَادَ ابْنُ عُمَرَ فِي تَلْبِيَتِهِ مِنْ قِبَلِهِ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ .
Ibn Umar narrated:
"The Prophet would say the following for the Talbiyah: "Labbaik Allahumma labbaik. Labbaik la sharika laka labbaik. Innal-hamda wan-ni;mata laka wal-mulk, la sharika laka." ('I respond to Your call O Allah! I respond to Your call. You have no partner. I respond to Your call. All praise, thanks and blessings are for You. All sovereignty is for You. And You have no partners with You).'"