পরিচ্ছেদঃ ৩/১. আযানের সূচনা।
১/৭০৬। আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গাধ্বনি করার মনস্থ করেন এবং দফ বাজিয়ে লোকেদের (সালাতের জন্য) ডাকার নির্দেশ দেন। এরপর আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) কে স্বপ্নে দেখানো হল। তিনি বলেন, আমি সবুজ বর্ণের একজোড়া কাপড় পরিহিত এক ব্যাক্তিকে একটি নাকূস বহন করতে দেখলাম। আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহ্র বান্দা! তুমি কি নাকূস বিক্রয় করবে? সে বললো, তা দিয়ে তুমি কী করবে? আমি বললাম, আমি তা দিয়ে সালাতের জন্য ডাকবো। সে বললো, আমি কি তোমাকে এর চাইতে উৎকৃষ্ট কোন জিনিস সম্পর্কে অবহিত করবো না? আমি বললাম, তা কী? সে বললো, তুমি বলোঃ
আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল, আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল। সালাতের দিকে এসো, সালাতের দিকে এসো। কল্যাণের দিকে এসো, কল্যাণের দিকে এসো। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।
রাবী বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ(রাঃ) বের হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট আসেন এবং যে স্বপ্ন তিনি দেখেছেন সে সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি স্বপ্নযোগে একজোড়া সবুজ কাপড় পরিহিত এক ব্যাক্তিকে নাকূস বহন করতে দেখলাম। এরপর তিনি তাঁর কাছে সব ঘটনা খুলে বলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের এই সাথী একটি স্বপ্ন দেখেছে। তুমি বিলালের সাথে মসজিদে চলে যাও, তাকে এগুলো শিখিয়ে দাও এবং বিলাল যেন আযান দেয়। কারণ বিলাল তোমার চাইতে উচ্চ কন্ঠের অধিকারী।
রাবী বলেন, আমি বিলালের সাথে মসজিদে গেলাম। আমি তাকে শিখিয়ে দিলাম এবং তিনি তা উচ্চ স্বরে ঘোষণা দিলেন। রাবী বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব(রাঃ) এই বাক্যধ্বনি শুনে বেরিয়ে আসেন এবং বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! আল্লাহ্র শপথ! আমিও অনুরূপ স্বপ্ন দেখেছি। ইরওয়াহ ইবনু মাজাহ এর উষ্ণতায় আবূ উবাইদ (রহঃ) বলেন, আবূ বকর আল-হাকামী (রহঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবনু যায়েদ আল-আনসারী(রাঃ) এ সম্পর্কে (কবিতা) বলেনঃ
আমি মহামহিম গৌরান্বিত আল্লাহ্র অশেষ প্রশংসা করছি আযান দেয়ার জন্য। যখন আল্লাহ্র পক্ষ থেকে সুসংবাদদাতা তা নিয়ে আমার নিকট এলো, আমাকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য তাকে সম্মান করে, সে তিন রাত আমাকে আযান দিলো, যখনই সে এলো, আমার মর্যাদা বাড়িয়ে দিলো।
بَاب بَدْءِ الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدٍ، مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ الْمَدَنِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَدْ هَمَّ بِالْبُوقِ وَأَمَرَ بِالنَّاقُوسِ فَنُحِتَ فَأُرِيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ فِي الْمَنَامِ قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ يَحْمِلُ نَاقُوسًا فَقُلْتُ لَهُ يَا عَبْدَ اللَّهِ تَبِيعُ النَّاقُوسَ قَالَ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ قُلْتُ أُنَادِي بِهِ إِلَى الصَّلاَةِ . قَالَ أَفَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ قُلْتُ وَمَا هُوَ قَالَ تَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ . اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . قَالَ فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَخْبَرَهُ بِمَا رَأَى . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ رَجُلاً عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ يَحْمِلُ نَاقُوسًا . فَقَصَّ عَلَيْهِ الْخَبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ صَاحِبَكُمْ قَدْ رَأَى رُؤْيَا فَاخْرُجْ مَعَ بِلاَلٍ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَلْقِهَا عَلَيْهِ وَلْيُنَادِ بِلاَلٌ فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ " . قَالَ فَخَرَجْتُ مَعَ بِلاَلٍ إِلَى الْمَسْجِدِ فَجَعَلْتُ أُلْقِيهَا عَلَيْهِ وَهُوَ يُنَادِي بِهَا . قَالَ فَسَمِعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ بِالصَّوْتِ فَخَرَجَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى . قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ فَأَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرٍ الْحَكَمِيُّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدٍ الأَنْصَارِيَّ قَالَ فِي ذَلِكَ أَحْمَدُ اللَّهَ ذَا الْجَلاَلِ وَذَا الإِكْرَامِ حَمْدًا عَلَى الأَذَانِ كَثِيرًا إِذْ أَتَانِي بِهِ الْبَشِيرُ مِنَ اللَّهِ فَأَكْرِمْ بِهِ لَدَىَّ بَشِيرًا فِي لَيَالٍ وَالَى بِهِنَّ ثَلاَثٍ كُلَّمَا جَاءَ زَادَنِي تَوْقِيرًا
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৪৬, মিশকাত ৬৫০।
It was narrated from Muhammed bin 'Abdullah bin Zaid that his father said that:
The Messenger of Allah was thinking of a horn, and he commanded that a bell be made and it was done. Then 'Abdullah bin Zaid had a dream. He said: "I saw a man wearing two green garments, carrying a bell. I said to him, 'O slave of Allah, will you sell the bell?' He said; 'What will you do with it?' I said, 'I will call (the people) to prayer.' He said, 'Shall I not tell you of something better than that?' I said, 'What is it?' he said, 'Say: Allahu Akbar Allahu Akbar, Allahu Akbar Allahu Akbar; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Hayya 'alas-salah, Hayya 'alas-salah; Hayya 'alal-falah, Hayya 'alal-falah; Allahu Akbar Allahu Akbar; La ilaha illallah (Allah is The Most Great, Allah is The Most Great; Allah is The Most Great, Allah is The Most Great; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammed is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammed is the Messenger of Allah; Come to the Prayer, Come to the Prayer; Come to the prosperity, Come to the prosperity; Allah is the Most great, Allah is the Most Great; None has the right to be worshipped but Allah)." 'Abdullah bin Zaid went out and came to the Messenger of Allah, and told him what he had seen. He said, "O Messenger of Allah, I saw a man wearing two green garments carrying a bell," and he told him the story. The Messenger of Allah said, "Your companion has had a dream. Go out with Bilal to the mosque and teach it to him, for he has a louder voice than you." I ('Abdullah) went out with Bilal to the mosque, and I started teaching him the words and he was calling them out. 'Umar Al-Khattab heard the voice and came out saying, "O Messenger of Allah! By Allah, I saw the same (dream) as him." (Hasan)Abu 'Ubaid said: "Abu Bakr Al-Hakami told me that 'Abdullah bin Zaid Al-Ansari said concerning that: 'I praise Allah, the Possessor of majesty and honor, A great deal of praise for the Adhan. Since the news of it came to me from Allah, So due to it, I was honored by the information. During the three nights. Each of which increased me in honor.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩/১. আযানের সূচনা।
২/৭০৭। সালিম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের জন্য সমবেত করার ব্যাপারে সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করেন। তারা শিঙ্গার উল্লেখ করেন, কিন্তু এটি ইহূদীদের যন্ত্র বলে তিনি অপছন্দ করেন। অতঃপর তারা নাকূসের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু এটি খ্রিস্টানদের ঘন্টা বলে তিনি অপছন্দ করেন। সেই রাতে আবদুল্লাহ বিন যায়দ (রাঃ) নামক এক আনসারীকে স্বপ্নে আযানের পদ্ধতি দেখানো হল এবং উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)ও (রাতে একই স্বপ্ন দেখেন)। আনসারী সাহাবী রাতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট আসেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল -কে আযানের নির্দেশ দিলে তিনি আযান দেন। যুহরী (রহঃ) বলেন, বিলাল ফজরের সালাতে (ঘুম থেকে সালাত উত্তম) বাক্যটি সংযোজন করেন এবং রাসূলুল্লাহ তা বহাল রাখেন। উমার বলেন, হে আল্লাহ্র রাসূল! নিশ্চয় আমিও এ ব্যাক্তির অনুরূপ স্বপ্ন দেখেছি, কিন্তু সে আমার আগেই পৌঁছে গেছে।
بَاب بَدْءِ الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ اسْتَشَارَ النَّاسَ لِمَا يُهِمُّهُمْ إِلَى الصَّلاَةِ فَذَكَرُوا الْبُوقَ فَكَرِهَهُ مِنْ أَجْلِ الْيَهُودِ ثُمَّ ذَكَرُوا النَّاقُوسَ فَكَرِهَهُ مِنْ أَجْلِ النَّصَارَى فَأُرِيَ النِّدَاءَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَطَرَقَ الأَنْصَارِيُّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لَيْلاً فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِلاَلاً بِهِ فَأَذَّنَ . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَزَادَ بِلاَلٌ فِي نِدَاءِ صَلاَةِ الْغَدَاةِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فَأَقَرَّهَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى وَلَكِنَّهُ سَبَقَنِي .
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ, এর কিছু অংশ সহীহ যা বুখারী, মুসলিমে রয়েছে।
It was narrated from Salim, from his father, that:
The Prophet consulted the people as to how he could call them to the prayer. They suggested a horn, but he disliked that because of the Jews (because the Jews used a horn). Then they suggested a bell but he disliked that because of the Christians (because the Christians used a bell). Then that night the call to the prayer was shown in a dream to a man among the Ansar whose name was 'Abdullah bin Zaid, and to 'Umar bin Khattab. The Ansari man came to the Messenger of Allah at night, and the Messenger of Allah commanded Bilal to give the call to the prayer. (Da'if)Zuhri said: "Bilal added the phrase "As-salatu khairum minan-nawm (the prayer is better than sleep)" to the call for the morning prayer, and the Messenger of Allah approved of that." 'Umar said: "O Messenger of Allah, I saw the same as he did, but he beat me to it."
পরিচ্ছেদঃ ৩/২. আযানের তারজীর বিবরণ।
১/৭০৮। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাইরীয় (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি (রহঃ) ইয়াতীম হিসাবে আবূ মাহযূরা (রাঃ)-এর তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় তিনি তাকে সিরিয়ার দিকে পাঠান। তখন আমি আবূ মাহযূরা (রাঃ)-কে বললাম, হে চাচাজান! আমি সিরিয়ায় যাচ্ছি। আমি আপনাকে আপনার আযান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছি। তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, আবূ মাহযূরা বলেন, আমি একটি দলের সাথে রওয়ানা হলাম এবং আমরা কোন এক রাস্তা অতিক্রম করছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুয়ায্যিন তাঁর উপস্থিতিতে সালাতের আযান দেন।
আমরাও মুয়াযযিনের আযান ধ্বনি শুনলাম। তা অপছন্দ হওয়ার কারণে আমরা তার শব্দাবলীর প্রতিধ্বনি করতে লাগলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিধ্বনি শুনে আমাদের নিকট লোক পাঠান। আমাদেরকে তাঁর সামনে পেশ করা হলে তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কার কন্ঠস্বর উচ্চ, যার কন্ঠস্বর আমি শুনতে পেলাম? লোকেরা ইশারা করে আমাকে দেখিয়ে দিল। তিনি সকলকে ছেড়ে দিলেন এবং আমাকে আটক রাখলেন। তিনি আমাকে বলেনঃ দাঁড়াও এবং আযান দাও। অতএব আমি দাঁড়ালাম।
আমার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তিনি যার নির্দেশ দিয়েছেন তার চাইতে অধিকতর প্রিয় কোন কিছুই ছিল না। আমি রাসসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে দাঁড়ালাম এবং তিনি নিজে আমাকে আযান শিক্ষা দিলেন। তিনি বলেনঃ তুমি বলোঃ
আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই; আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল; আমি সাক্ষ্য দেউ যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল। অতঃপর তিনি আমাকে বলেনঃ তুমি আরো উচ্চকন্ঠে বলোঃ আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই; আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল; আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল। সালাতের দিকে এসো, সালাতের দিকে এসো। কল্যাণের দিকে এসো, কল্যাণের দিকে এসো। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।
আমি আযান শেষ করলে তিনি আমাকে কাছে ডাকলেন এবং কিছু রূপার মুদ্রা ভর্তি একটি থলে দান করেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত আবূ মাহযূরা (রাঃ) এর কপালের অগ্রভাগে রাখেন, অতঃপর তা তাঁর মুখমণ্ডল ে বুলিয়ে দেন, অতঃপর তাঁর হাত তার বুকে বুলিয়ে দেন, এমনকি তাঁর হাত আবূ মাহযূরা (রাঃ) এর নাভিমূল পর্যন্ত পৌঁছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাকে বরকত দান করুন এবং তোমার উপর বরকত নাযিল করুন।
আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে মক্কা মুয়াযযমায় আযান দেয়ার জন্য নিয়োগ করুন। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তোমাকে নিয়োগ করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যা কিছু আমার নিকট অপ্রিয় ছিল তা সব দূর হয়ে গেলো এবং তদস্থলে তাঁর প্রতি অকুন্ঠ ভালোবাসা স্থান পেলো। অতঃপর আমি মক্কা মুয়াযযমায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিযুক্ত গভর্নর আত্তাব ইবনু উসাইদ -এর নিকট এলাম। আমি তার উপস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নির্দেশ মোতাবেক সালাতের আযান দিলাম।
بَاب التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ، - وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي مَحْذُورَةَ بْنِ مِعْيَرٍ حِينَ جَهَّزَهُ إِلَى الشَّامِ - فَقُلْتُ لأَبِي مَحْذُورَةَ أَىْ عَمِّ إِنِّي خَارِجٌ إِلَى الشَّامِ وَإِنِّي أُسْأَلُ عَنْ تَأْذِينِكَ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ قَالَ خَرَجْتُ فِي نَفَرٍ فَكُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ فَأَذَّنَ مُؤَذِّنُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالصَّلاَةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَسَمِعْنَا صَوْتَ الْمُؤَذِّنِ وَنَحْنُ عَنْهُ مُتَنَكِّبُونَ فَصَرَخْنَا نَحْكِيهِ نَهْزَأُ بِهِ فَسَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا قَوْمًا فَأَقْعَدُونَا بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ " أَيُّكُمُ الَّذِي سَمِعْتُ صَوْتَهُ قَدِ ارْتَفَعَ " . فَأَشَارَ إِلَىَّ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَصَدَقُوا فَأَرْسَلَ كُلَّهُمْ وَحَبَسَنِي وَقَالَ لِي " قُمْ فَأَذِّنْ " . فَقُمْتُ وَلاَ شَىْءَ أَكْرَهُ إِلَىَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَلاَ مِمَّا يَأْمُرُنِي بِهِ فَقُمْتُ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَلْقَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ فَقَالَ " قُلِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ " . ثُمَّ قَالَ لِي " ارْجِعْ فَمُدَّ مِنْ صَوْتِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . ثُمَّ دَعَانِي حِينَ قَضَيْتُ التَّأْذِينَ فَأَعْطَانِي صُرَّةً فِيهَا شَىْءٌ مِنْ فِضَّةٍ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى نَاصِيَةِ أَبِي مَحْذُورَةَ ثُمَّ أَمَرَّهَا عَلَى وَجْهِهِ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ ثُمَّ عَلَى كَبِدِهِ ثُمَّ بَلَغَتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سُرَّةَ أَبِي مَحْذُورَةَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَرْتَنِي بِالتَّأْذِينِ بِمَكَّةَ قَالَ " نَعَمْ قَدْ أَمَرْتُكَ " . فَذَهَبَ كُلُّ شَىْءٍ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ كَرَاهِيَةٍ وَعَادَ ذَلِكَ كُلُّهُ مَحَبَّةً لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَدِمْتُ عَلَى عَتَّابِ بْنِ أَسِيدٍ عَامِلِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمَكَّةَ فَأَذَّنْتُ مَعَهُ بِالصَّلاَةِ عَلَى أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . قَالَ وَأَخْبَرَنِي ذَلِكَ مَنْ أَدْرَكَ أَبَا مَحْذُورَةَ عَلَى مَا أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَيْرِيزٍ .
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ২০২।
Ibn Juraij narrated:
"Abdul-'Aziz bin 'Abdul-Malik bin Abu Mahdhurah narrated from 'Abdullah bin muhairiz who was an orphan under the care of Abu Mahdhurah bin mi'yar that when he was preparing him to travel to Sham, he said: 'O my uncle, I am going out to Sham, and I will be asked about how you started the Adhan.' So he informed me that. Abu Mahdhurah said: 'I went out with a group of people, and we were somewhere on the road, when the Mu'adh-dhin of the Messenger of Allah gave the call to prayer in the presence of the Messenger of Allah. We heard the voice of the Mu'adh-dhin, and we were shunning it (the Adhan), so we started yelling, imitating it and mocking it. The Messenger of Allah heard us, so he sent some people who brought us to sit in front of him. He said: 'Who is the one whose voice I heard so loud?' The people all pointed to me, and they were telling the truth. He sent them all away, but kept me there and said to me: 'Stand up and give the call to prayer.' I stood up and there was nothing more hateful to me than the Messenger of Allah and what he was telling me to do. I stood up in front of the Messenger of Allah and the Messenger of Allah himself taught me the call. He said: "Say: 'Allahu Akbar Allahu Akbar, Allahu Akbar Allahu Akbar; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah (Allah is the Most great, Allah is the most Great, Allah is the most Great, Allah is the most Great; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah).'" Then he said: "Raise your voice (and say). Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Hayya 'alal-salah, Hayya 'alal-salah; Hayya 'alal-falah, Hayya 'alal-falah; Allahu Akbar Allahu Akbar; La ilaha illallah (I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah; Come to the Prayer, Come to the Prayer; Come to the prosperity, Come to the prosperity; Allah is the Most great, Allah is the Most Great; None has the right to be worshipped but Allah).'" Then he called me when I had finished saying the Adhan, and gave me a small bag in which there was some silver. Then he put his hand on the forelock of Abu Mahdhurah, then passed it over his face, then over his chest, and over his heart, until the hand of the Messenger of Allah reached his navel. Then the Messenger of Allah said: 'May Allah bless you and send blessings upon you.' I said: 'O Messenger of Allah, do you command me to give the call to prayer in Makkah?' He said: 'Yes, I command you (to do so).' Then all the hatred I had felt towards the Messenger of Allah disappeared, and was replaced with love for the Messenger of Allah. I came to 'Attab bin Asid, the governor of the Messenger of Allah in Makkah, and gave the call to prayer with him by command of the Messenger of Allah." (Sahih)He ('Abdul-'Aziz) said: "Someone who met Abu Mahdhurah told me the same as 'Abdullah bin Muhairiz told me."
পরিচ্ছেদঃ ৩/২. আযানের তারজীর বিবরণ।
২/৭০৯। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাইরীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ মাহযূরা তাকে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আযানের ঊনিশটি এবং ইকামতের সতেরটি বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন। আযানের বাক্যগুলো হলঃ আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (২বার); আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল (২ বার), সালাতের দিকে এসো (২বার), কল্যানের দিকে এসো (২বার), আল্লাহ্ মহান (২ বার), আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (১বার)
ইকামতের সতেরটি বাক্য হলঃ আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান,আল্লাহ্ মহান; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (২বার); আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল (২ বার), সালাতের দিকে এসো (২ বার), কল্যানের দিকে এসো (২ বার), সালাত কায়েম হয়েছে (২ বার) আল্লাহ্ মহান (২ বার), আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (১বার)
بَاب التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، أَنَّ مَكْحُولاً، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ حَدَّثَهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً وَالإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً الأَذَانُ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . وَالإِقَامَةُ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৬৪৪, সহীহ আবূ দাউদ ৫১৭।
It was narrated that Abu Mahdhurah said:
"The Messenger of Allah taught me the Adhan with nineteen phrases and the Iqamah with seventeen. The Adhan is: Allahu Akbar Allahu Akbar, Allahu Akbar Allahu Akbar; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Hayya 'alal-salah, Hayya 'alal-salah; Hayya 'alal-falah, Hayya 'alal-falah; Allahu Akbar Allahu Akbar; La ilaha illallah (Allah is the Most great, Allah is the most Great, Allah is the most Great, Allah is the most Great; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah; Come to the Prayer, Come to the Prayer; Come to the prosperity, Come to the prosperity; Allah is the Most great, Allah is the Most Great; None has the right to be worshipped but Allah). And the Iqamah is seventeen phrases: Allahu Akbar Allahu Akbar, Allahu Akbar Allahu Akbar; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Hayya 'alal-salah, Hayya 'alal-salah; Hayya 'alal-falah, Hayya 'alal-falah; Qad qamatis-salah, qad qamatis-salah; Allahu Akbar Allahu Akbar; La ilaha illallah (Allah is the Most great, Allah is the most Great, Allah is the most Great, Allah is the most Great; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah; Come to the Prayer, Come to the Prayer; Come to the prosperity, Come to the prosperity; The prayer is about to begin, the prayer is about to begin; Allah is the Most great, Allah is the Most Great; None has the right to be worshipped but Allah)."
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
১/৭১০। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুয়াযযিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে তার দু কানের ছিদ্রে তার দু আঙ্গুল প্রবিষ্ট করার নির্দেশ দেন এবং বলেনঃ তাতে তোমার কন্ঠস্বর আরো উচ্চ হবে।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ، مُؤَذِّنِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَمَرَ بِلاَلاً أَنْ يَجْعَلَ إِصْبَعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ وَقَالَ " إِنَّهُ أَرْفَعُ لِصَوْتِكَ " .
'Abdur-Rahman bin Sa'd bin 'Ammar bin Sa'd, who was the Mu'adh-dhin of the Messenger of Allah narrated from his grandfather, that:
The Messenger of Allah commanded Bilal to put his fingers in his ears when calling the Adhan, and he said: "It makes the voice louder."
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
২/৭১১। আবূ জুহাইফা (রাঃ) বলেন, আমি আল-আবতাহ্ (মিনা) নামক উপত্যকায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। তিনি তখন একটি লাল তাঁবুর মধ্যে অবস্থান করছিলেন। বিলাল বেরিয়ে এসে আযান দিলেন। আযান দেয়ার সময় তিনি এদিক-সেদিক তার মুখ ফিরান এবং তার দু কানের ছিদ্রে তার দু আঙ্গুল প্রবিষ্ট করান।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَاشِمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالأَبْطَحِ وَهُوَ فِي قُبَّةٍ حَمْرَاءَ فَخَرَجَ بِلاَلٌ فَأَذَّنَ فَاسْتَدَارَ فِي أَذَانِهِ وَجَعَلَ إِصْبَعَيْهِ فِي أُذُنَيْهِ .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ২৩০।
It was narrated from 'Awn bin Abu Juhaifah that his father said:
"I came to the Messenger of Allah in Abtah, when he was in a red tent. Bilal came out and gave the call to prayer, turning around and putting his fingers in his ears."
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
৩/৭১২। ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুয়ায্যিনের কাঁধে মুসলিমদের দুটি বিষয় অর্পিতঃ তাদের সালাত ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম)।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى الْحِمْصِيُّ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ سَالِمٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " خَصْلَتَانِ مُعَلَّقَتَانِ فِي أَعْنَاقِ الْمُؤَذِّنِينَ لِلْمُسْلِمِينَ صَلاَتُهُمْ وَصِيَامُهُمْ " .
It was narrated that Ibn 'Umar said:
"The Messenger of Allah said: There are two characteristics in which the Muslims are dependent upon their Mu'adh-dhins: their prayer and their fasting."
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
৪/৭১৩। জাবির ইবনু সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ওয়াক্ত হলে বিলাল কখনো আযান দিতে বিলম্ব করতেন না। তবে তিনি কখনো ইকামতে কিছুটা বিলম্ব করতেন।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ كَانَ بِلاَلٌ لاَ يُؤَخِّرُ الأَذَانَ عَنِ الْوَقْتِ وَرُبُّمَا أَخَّرَ الإِقَامَةَ شَيْئًا .
It was narrated that Jabir bin Samurah said:
"Bilal did not delay the Adhan from its proper time, but he sometimes delayed the Iqamah a little."
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
৫/৭১৪। উসমান ইবনু আবূল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার থেকে সর্বশেষ যে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন তা হলঃ আমি যেন বেতনভুক্ত মুয়াযযিন নিয়োগ না করি।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ، قَالَ كَانَ آخِرُ مَا عَهِدَ إِلَىَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ لاَ أَتَّخِذَ مُؤَذِّنًا يَأْخُذُ عَلَى الأَذَانِ أَجْرًا .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩১৬, সহীহ আবূ দাউদ ৫৪১।
It was narrated that 'Uthman bin Abul-As said:
"The last instruction that the Messenger of Allah gave to me was that I should not appoint a Mu'adh-dhin who took payment for the Adhan." (sahih)
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
৬/৭১৫। বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -আমাকে ফজরের সালাতে তাসবীব করার নির্দেশ দেন এবং এশার সালাতে তাবসীব করতে নিষেধ করেন।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَسَدِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْرَائِيلَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ بِلاَلٍ، قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ أُثَوِّبَ فِي الْفَجْرِ وَنَهَانِي أَنْ أُثَوِّبَ فِي الْعِشَاءِ .
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়া ২৩৫ যঈফ, মিশকাত ৬৪৬। উক্ত হাদিসের রাবী আবু ইসরাইল সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় অনেক সন্দেহ করেন। ইয়াকুব বিন সুফইয়ান তাকে সিকাহ বললেও ইয়াহইয়া বিন মাঈন তাকে দুর্বল বলেছেন।
It was narrated that Bilal said:
"The Messenger of Allah commanded me (with Tathwib) in the Adhan for Fajr, and he forbade me to do so in the Adhan for 'Isha'."
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
৭/৭১৬। বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ফজরের সালাত সম্পর্কে অবহিত করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলেন। তাকে বলা হল যে, তিনি ঘুমিয়ে আছেন। তখন বিলাল বলেন, ঘুম থেকে সালাত উত্তম; ঘুম থেকে সালাত উত্তম। এ বাক্য ফজরের আযানে যোগ করা হল এবং তদনুযায়ী আমল চলে আসছে।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ بِلاَلٍ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُؤْذِنُهُ بِصَلاَةِ الْفَجْرِ فَقِيلَ هُوَ نَائِمٌ . فَقَالَ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فَأُقِرَّتْ فِي تَأْذِينِ الْفَجْرِ فَثَبَتَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ .
It was narrated that Bilal came to the Prophet to call him for the Fajr prayer, and was told:
"He is sleeping." He said: "As-salatu khairum minan-nawm, As-salatu khairum minan-nawm (The prayer is better than sleep, the prayer is better than sleep). These words were approved of in the Adhan for the Fajr, and that is how it remained.
পরিচ্ছেদঃ ৩/৩. আযানের সুন্নাত।
৮/৭১৭। যিয়াদ ইবনুল হারিস আস-সুদাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। তিনি আমাকে নির্দেশ দিলে আমি আযান দিলাম। বিলাল ইকামত দিতে চাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমার ভাই সুদাঈ আযান দিয়েছে। আর যে ব্যাক্তি আযান দিবে সেই ইকামত দিবে।
بَاب السُّنَّةِ فِي الْأَذَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا الإِفْرِيقِيُّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ، قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي سَفَرٍ فَأَمَرَنِي فَأَذَّنْتُ فَأَرَادَ بِلاَلٌ أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ أَخَا صُدَاءٍ قَدْ أَذَّنَ وَمَنْ أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৩৭, মিশকাত ৬৪৮, যঈফাহ ৩৫। উক্ত হাদিসের রাবী আল ইফরিকী সম্পর্কে ইবনু মাহদী বলেন, তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা উচিত নয়। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, কোন সমস্যা নেই। তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস বর্ণনা করিনি।
It was narrated that Ziyad bin Harith As-Suda'i said:
"I was with the Messenger of Allah on a journey, and he commanded me to call the Adhan. Bilal wanted to call the Iqamah, but the Messenger of Allah said: 'The brother of Suda' called the Adhan, and the one who calls the Adhan is the one who calls the Iqamah.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩/৪. মুয়াযযিন যখন আযান দেয় তখন যা বলতে হবে।
১/৭১৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুয়াযযিন যখন আযান দেয়, তখন তোমরা তার কথার অনুরূপ বলো।
بَاب مَا يُقَالُ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ
حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّافِعِيُّ، إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْعَبَّاسِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ الْمَكِّيُّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ فَقُولُوا مِثْلَ قَوْلِهِ " .
It was narrated that Abu Hurairah said:
"The Messenger of Allah said: 'When the Mu'adh-dhin calls the Adhan, say as he says.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩/৪. মুয়াযযিন যখন আযান দেয় তখন যা বলতে হবে।
২/৭১৯। উম্মু হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তার পালার দিন ও রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার নিকট অবস্থান করতেন তখন তিনি তাঁকে মুয়ায্যিনের আযান শুনে তার অনুরূপ বলতে শুনেছেন।
بَاب مَا يُقَالُ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ
حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ مَخْلَدٍ أَبُو الْفَضْلِ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، حَدَّثَتْنِي عَمَّتِي أُمُّ حَبِيبَةَ، أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ إِذَا كَانَ عِنْدَهَا فِي يَوْمِهَا وَلَيْلَتِهَا فَسَمِعَ الْمُؤَذِّنَ يُؤَذِّنُ قَالَ كَمَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ .
Umm Habibah narrated that :
When the Messenger of Allah was with her on her day and night, and heard the Mu'adh-dhin calling the Adhan, she heard him saying what he said.
পরিচ্ছেদঃ ৩/৪. মুয়াযযিন যখন আযান দেয় তখন যা বলতে হবে।
৩/৭২০। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন আযান শুনতে পাও, তখন মুয়ায্যিন যা বলে তোমরাও তা বলো।
بَاب مَا يُقَالُ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا كَمَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৩৫।
It was narrated that Abu Sa'eed Al-Khudri said:
"The Messenger of Allah said: 'When you hear the call (to prayer), say what the Mu'adh-dhin says.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩/৪. মুয়াযযিন যখন আযান দেয় তখন যা বলতে হবে।
৪/৭২১। সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন ব্যাক্তি মুয়ায্যিনের আযান শোনার পর নিম্নোক্ত দুআ পড়লে তার গুনাহ ক্ষমা করা হবেঃ আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শারীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নবী হিসাবে পেয়ে সন্তুষ্ট।
بَاب مَا يُقَالُ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ وَأَنَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৫৩৭।
It was narrated from Sa'd bin Abu Waqqas that:
The Messenger of Allah said: "Whoever says, when he hears the Mu'adh-dhin, 'Wa ana Ash-hadu an la ilaha illallah wahdahu la sharika lahu, wa ash-hadu anna Muhammadan 'abduhu wa rasuluhu, radaytu Billahi rabban wa bil-islami dinan wa bi muhammadin nabiyyan (And I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah alone, with no partner, and I bear witness that Muhammad is His slave and Messenger, and I am content with Allah as my Lord, Islam as my religion and Muhammad as my Prophet),' his sins will be forgiven to him."
পরিচ্ছেদঃ ৩/৪. মুয়াযযিন যখন আযান দেয় তখন যা বলতে হবে।
৫/৭২২। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি মুয়ায্যিনের আযান শুনে নিম্নোক্ত দুআ পড়লে তার জন্য কিয়ামতের দিন শাফা আত অবধারিত হবেঃ হে আল্লাহ, এই পূর্ণাঙ্গ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের প্রভু! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দান করুন সুমহান মর্যাদা ও সম্মান এবং তাঁকে প্রশংসিত স্থানে পৌঁছান, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাকে দিয়েছেন।
بَاب مَا يُقَالُ إِذَا أَذَّنَ الْمُؤَذِّنُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَالْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي الْحُسَيْنِ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ الأَلْهَانِيُّ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ - إِلاَّ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৩৪৩, সহীহ আবূ দাউদ ৫৪০।
It was narrated that Jabir bin 'Abdullah said:
"The Messenger of Allah said: 'Whoever says when he hears the call to the prayer: "Allahumma Rabba hadhihid-da'watit-tammah was-salatil-qa'imah, ati Muhammadanil-wasilata wal-fadilah, wab'athhu maqaman mahmudanilladhi wa'adtah (O Allah, Lord of this perfect call and the prayer to be offered, grant Muhammad the privilege (of intercession) and also the eminence, and resurrect him to the praised position that You have promised)," my intercession for him will be permitted on the Day of Resurrection.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩/৫. আযানের ফযীলাত ও মুয়ায্যিনদের সাওয়াব।
১/৭২৩। আবূ সাঈদ (রাঃ) এর তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত আবদুর রহমান ইবনু আবূ সাসাআ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ সাঈদ আমাকে বলেছেনঃ যখন তুমি গ্রামে বা বন-জঙ্গলে থাকবে, তখন উচ্চস্বরে আযান দিবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ জ্বীন, মানুষ, বৃক্ষলতা ও পাথর যে-ই এই আযান শুনবে, সে তার জন্য (আখেরাতে) সাক্ষ্য দিবে।
بَاب فَضْلِ الْأَذَانِ وَثَوَابِ الْمُؤَذِّنِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، - وَكَانَ أَبُوهُ فِي حِجْرِ أَبِي سَعِيدٍ - قَالَ قَالَ لِي أَبُو سَعِيدٍ إِذَا كُنْتَ فِي الْبَوَادِي فَارْفَعْ صَوْتَكَ بِالأَذَانِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " لاَ يَسْمَعُهُ جِنٌّ وَلاَ إِنْسٌ وَلاَ شَجَرٌ وَلاَ حَجَرٌ إِلاَّ شَهِدَ لَهُ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
It was narrated from 'Abdullah bin 'Abdur-Rahman bin Abu Sa'sa'ah that:
His father who was under the care of Abu Sa'eed said: "Abu Sa'eed said to me: 'If you are in the desert, raise your voice when you say the Adhan, for I heard the Messenger of Allah say: 'No jinn, human, tree or rock will hear it, but it will bear witness for you.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩/৫. আযানের ফযীলাত ও মুয়ায্যিনদের সাওয়াব।
২/৭২৪। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিজ মুখে বলতে শুনেছি: মুয়ায্যিনের আযান ধ্বনি যত দূর পর্যন্ত পৌঁছবে, তত দূর তাকে ক্ষমা করা হবে এবং জীবিত ও নির্জীব সকলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। সালাতে উপস্থিত লোকেদের পঁচিশ নেকী লেখা হয় এবং তার দু সালাতের মধ্যবর্তী কালের গুনাহ ক্ষমা করা হয়।
بَاب فَضْلِ الْأَذَانِ وَثَوَابِ الْمُؤَذِّنِينَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْ، فِي رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " الْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مَدَّ صَوْتِهِ وَيَسْتَغْفِرُ لَهُ كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ وَشَاهِدُ الصَّلاَةِ يُكْتَبُ لَهُ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ حَسَنَةً وَيُكَفَّرُ عَنْهُ مَا بَيْنَهُمَا " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৬৬৭, সহীহ্ আবূ দাউদ ৫২৮।
It was narrated that Abu Hurairah said:
"I heard the Messenger of Allah himself say: 'The Mu'adh-dhin's sins will be forgiven as far as his voice reaches, and every wet and dry thing will pray for forgiveness for him. For the one who attends the prayer, twenty-five Hasanat (good deeds) will be recorded, and it is will be expiation (for sins committed) between them (the two prayers).'"
পরিচ্ছেদঃ ৩/৫. আযানের ফযীলাত ও মুয়ায্যিনদের সাওয়াব।
৩/৭২৫। মুআবিয়াহ ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মুয়াযযিনগণ লোকেদের মাঝে সুদীর্ঘ ঘাড়বিশিষ্ট হবে।
بَاب فَضْلِ الْأَذَانِ وَثَوَابِ الْمُؤَذِّنِينَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ، قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " الْمُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
It was narrated that 'Esa bin Talhah said:
"I heard Mu'awiyah bin Abu Sufyan say that Messenger of Allah said: "The Mu'adh-dhin will have the longest necks of all people on the Day of Resurrection."