ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৭ টি

পরিচ্ছেদঃ ১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাকে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)

২৩৭৪ আবদুল্লাহ ইবনু ইউসূফ (রহঃ) ... ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ) কে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমরা বনী মুস্তালিক যুদ্ধে কিছু আরব যুদ্ধ বন্দী আমাদের হস্তগত হল। তখন আমাদের স্ত্রীদের কথা মনে পড়ে (কেননা) দূর-নিঃসঙ্গ জীবন আমাদের জন্য পীড়াদায়ক হয়ে পড়েছিল। (সে সময়) আমরা আযল করতে চাইলাম (বাঁদী ব্যবহার করে)। এ সম্পর্কে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এরুপ না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা কিয়ামত পর্যন্ত যাদের জন্ম নির্ধারিত রয়েছে, তারা আসবেই।

باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلاً عَبْدًا مَمْلُوكًا لاَ يَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ وَمَنْ رَزَقْنَاهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ يُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَجَهْرًا هَلْ يَسْتَوُونَ الْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ}

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ ـ رضى الله عنه ـ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْىِ الْعَرَبِ، فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ فَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ، فَسَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا، مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ وَهْىَ كَائِنَةٌ ‏"‏‏.‏


Narrated Ibn Muhairiz: I saw Abu Sa`id and asked him about coitus interruptus. Abu Sa`id said, "We went with Allah's Apostle, in the Ghazwa of Bani Al-Mustaliq and we captured some of the 'Arabs as captives, and the long separation from our wives was pressing us hard and we wanted to practice coitus interruptus. We asked Allah's Messenger (ﷺ) (whether it was permissible). He said, "It is better for you not to do so. No soul, (that which Allah has) destined to exist, up to the Day of Resurrection, but will definitely come, into existence."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪৩. আয্ল।

২১৬৯. আল্ কা’নবী ....... ইবন মুহায়রীয হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মসজিদে (নববীতে) প্রবেশ করে, সেখানে আবূ সাঈদ আবূ খুদরী (রাঃ)-কে দেখতে পাই। আমি তার নিকট উপবেশন করে তাকে ’আযল’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, আমি বনূ মুস্তালিকের যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বের হই। তখন আমাদের হাতে আরবের (বনূ মুস্তালিক গোত্রের) কিছু মহিলা বন্দী হয়। ঐ সময় আমরা স্ত্রীদের নিকট হতে দূরে থাকায় আমাদের কামস্পৃহা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আমরা তাদের (মহিলাদের) অধিক মূল্য প্রাপ্তির জন্যও লালায়িত ছিলাম। তখন আমরা (তাদের সাথে সহবাসকালে) আযল করার সিন্ধান্ত গ্রহণ করি। অতঃপর আমরা বলি, আমরা ’আযল’ করব, অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো আমাদের সংগেই আছেন, তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছি না কেন? অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ যদি তোমরা তা কর, তবে তাতে দোষের কিছু নেই। (তবে জেনে রাখ!) কিয়ামত পর্যন্ত যারা সৃষ্টি হওয়ার, তাঁরা সৃষ্টি হবেই হবেই (প্রতিরোধের ক্ষমতা কারো নাই)।

باب مَا جَاءَ فِي الْعَزْلِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْعَزْلِ، فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْىِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْفِدَاءَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ ثُمَّ قُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ ‏ "‏ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ وَهِيَ كَائِنَةٌ ‏"‏ ‏.‏


Muhairiz said “I entered the mosque and saw Abu Sa’id Al Khudri . I sat with him and asked about withdrawing the penis (while having intercourse). Abu Sa’id said We went out with the Apostle of Allaah(ﷺ) on the expedition to Banu Al Mustaliq and took some Arab women captive and we desired the women for we were suffering from the absence of our wives and we wanted ransom, so we intended to withdraw the penis (while having intercourse with the slave women). But we asked ourselves “can we draw the penis when the Apostle of Allaah(ﷺ) is among us before asking him about it? So we asked him about it. He said “it does not matter if you do not do it, for very soul that is to be born up to the Day of Resurrection will be born.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১. চোরের কাটা হাত তার গলায় ঝুলানো সম্পর্কে।

৪৩৫৯. কুতায়বা ইবন সাঈদ (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবন মুহায়রীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি ফুযালা ইবন উবায়দুল্লাহ (রহঃ)-কে, চোরের হাত কেটে তার গলায় ঝুলানো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একজন চোরকে হাযির করা হলে, তার হাত কাটা যায়। এরপর তিনি তার কর্তিত হাত চোরের গালায় ঝুলিয়ে দিতে বলেন।

باب فِي السَّارِقِ تُعَلَّقُ يَدُهُ فِي عُنُقِهِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ سَأَلْنَا فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ عَنْ تَعْلِيقِ الْيَدِ، فِي الْعُنُقِ لِلسَّارِقِ أَمِنَ السُّنَّةِ هُوَ قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَارِقٍ فَقُطِعَتْ يَدُهُ ثُمَّ أُمِرَ بِهَا فَعُلِّقَتْ فِي عُنُقِهِ ‏.‏


'Abd al-Rahman b. Muhariz said: We asked Fadalah b. 'Ubaid about the hanging the (amputated) hand on the neck of a thief whether it was a sunnan. He said: A thief was brought to the Messenger of Allah (ﷺ) and his hand was cut off. Thereafter he commanded for it, and it was hung on his neck.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬/ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হেফাজত করা

৪৬২। কুতায়বা (রহঃ) ... ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুখ্‌দাজী নামক বনূ কিনানার জনৈক ব্যাক্তি আবূ মুহাম্মদ নামক এক ব্যাক্তিকে সিরিয়ায় বলতে শুনেছেন যে, বিতরের সালাত ওয়াজিব। মুখদাজী বলেন, আমি এ কথা শুনে উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি যখন তাঁর নিকট পৌঁছি তখন তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে আবূ মুহাম্মদের বক্তব্য শুনালাম। উবাদা (রাঃ) বললেনঃ আবূ মুহাম্মদ ভুল বলেছেন। আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্‌ তা’আলা বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যাক্তি এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে এবং এগুলোর মধ্যে কোন সালাত হালকা জ্ঞানে ছেড়ে দেবে না, তার জন্য আল্লাহ্‌র ওয়াদা হল- তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যে ব্যাক্তি এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহ্‌র কোন ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে জান্নাতেও প্রবেশ করাতে পারেন।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ بَنِي كِنَانَةَ يُدْعَى الْمُخْدَجِيَّ سَمِعَ رَجُلاً، بِالشَّامِ يُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ يَقُولُ الْوِتْرُ وَاجِبٌ ‏.‏ قَالَ الْمُخْدَجِيُّ فَرُحْتُ إِلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَاعْتَرَضْتُ لَهُ وَهُوَ رَائِحٌ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ فَقَالَ عُبَادَةُ كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ خَمْسُ صَلَوَاتٍ كَتَبَهُنَّ اللَّهُ عَلَى الْعِبَادِ مَنْ جَاءَ بِهِنَّ لَمْ يُضَيِّعْ مِنْهُنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يَأْتِ بِهِنَّ فَلَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ أَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏


It was narrated from Ibn Muhairiz that a man from Banu Kinanah who was called Al-Mukhdaji heard a man in Ash-Sham, who was known as Abu Muhammad, saying that Witr was obligatory. Al-Mukhdaji said: "In the morning I went to 'Ubadah bin As-Samit, and I met him while he was on his way to the Masjid. I told him what Abu Muhammad said, and 'Ubadah said: 'Abu Muhammad is wrong. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Five prayers are those that Allah has decreed for (His) slaves, whoever does them, and does not neglect any of them out of disregard toward them, will have a promise from Allah that He will admit him to Paradise. And whoever does not to them will have no such promise from Allah; if He wills he will punish him and if He wills He will admit him to Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. চোরের কর্তিত হাত ঘাড়ে ঝুলানো

৪৯৮১. সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) ... ইবন মুহায়রীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাযালা ইবন উবায়দকে চোরের হাত তার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, এটা সুন্নত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক চোরের হাত কেটে তার ঘাড়ে লটকে দিয়েছিলেন।

تَعْلِيقُ يَدِ السَّارِقِ فِي عُنُقِهِ

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ الْحَجَّاجِ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ قَالَ سَأَلْتُ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ عَنْ تَعْلِيقِ يَدِ السَّارِقِ فِي عُنُقِهِ قَالَ سُنَّةٌ قَطَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَ سَارِقٍ وَعَلَّقَ يَدَهُ فِي عُنُقِهِ







It was narrated that Ibn Muhairiz said; "I asked Fadalah bin 'Ubaid about hanging the hand (of the thief) from his neck, and he said: 'It is Sunnah. The Messenger of Allah cut off a thief's hand then hung it from his neck."'


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. চোরের কর্তিত হাত ঘাড়ে ঝুলানো

৪৯৮২. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন মুহায়রীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাযালা ইবন উবায়দকে জিজ্ঞাসা করলামঃ চোরের হাত কেটে তা ঝুলিয়ে দেয়া কি সুন্নত? তিনি বললেন, হ্যাঁ, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক চোরকে আনা হলে তিনি তার হাত কেটে তার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।

تَعْلِيقُ يَدِ السَّارِقِ فِي عُنُقِهِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ قَالَ قُلْتُ لِفَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ أَرَأَيْتَ تَعْلِيقَ الْيَدِ فِي عُنُقِ السَّارِقِ مِنْ السُّنَّةِ هُوَ قَالَ نَعَمْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَارِقٍ فَقَطَعَ يَدَهُ وَعَلَّقَهُ فِي عُنُقِهِ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ الْحَجَّاجُ بْنُ أَرْطَاةَ ضَعِيفٌ وَلَا يُحْتَجُّ بِحَدِيثِهِ


It was narrated that 'Abdur-Rahman bin Muhairiz said: "I said to Fadalah bin 'Ubaid: 'Do you think that hanging the hand from the thief's neck is Sunnah?' He said: 'Yes; a thief was brought to the Messenger of Allah and he cut off his hand and hung it from his neck."' Abu 'Abdur-Rahman (An-Nasai) said; Al-Hajjaj bin Artah is weak, his narrations are not used as proof.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩/২. আযানের তারজীর বিবরণ।

১/৭০৮। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাইরীয় (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি (রহঃ) ইয়াতীম হিসাবে আবূ মাহযূরা (রাঃ)-এর তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থায় তিনি তাকে সিরিয়ার দিকে পাঠান। তখন আমি আবূ মাহযূরা (রাঃ)-কে বললাম, হে চাচাজান! আমি সিরিয়ায় যাচ্ছি। আমি আপনাকে আপনার আযান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছি। তিনি আমাকে অবহিত করেন যে, আবূ মাহযূরা বলেন, আমি একটি দলের সাথে রওয়ানা হলাম এবং আমরা কোন এক রাস্তা অতিক্রম করছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মুয়ায্যিন তাঁর উপস্থিতিতে সালাতের আযান দেন।

আমরাও মুয়াযযিনের আযান ধ্বনি শুনলাম। তা অপছন্দ হওয়ার কারণে আমরা তার শব্দাবলীর প্রতিধ্বনি করতে লাগলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিধ্বনি শুনে আমাদের নিকট লোক পাঠান। আমাদেরকে তাঁর সামনে পেশ করা হলে তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কার কন্ঠস্বর উচ্চ, যার কন্ঠস্বর আমি শুনতে পেলাম? লোকেরা ইশারা করে আমাকে দেখিয়ে দিল। তিনি সকলকে ছেড়ে দিলেন এবং আমাকে আটক রাখলেন। তিনি আমাকে বলেনঃ দাঁড়াও এবং আযান দাও। অতএব আমি দাঁড়ালাম।

আমার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তিনি যার নির্দেশ দিয়েছেন তার চাইতে অধিকতর প্রিয় কোন কিছুই ছিল না। আমি রাসসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে দাঁড়ালাম এবং তিনি নিজে আমাকে আযান শিক্ষা দিলেন। তিনি বলেনঃ তুমি বলোঃ

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই; আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রাসূল; আমি সাক্ষ্য দেউ যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রাসূল। অতঃপর তিনি আমাকে বলেনঃ তুমি আরো উচ্চকন্ঠে বলোঃ আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই; আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রাসূল; আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্‌র রাসূল। সালাতের দিকে এসো, সালাতের দিকে এসো। কল্যাণের দিকে এসো, কল্যাণের দিকে এসো। আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।

আমি আযান শেষ করলে তিনি আমাকে কাছে ডাকলেন এবং কিছু রূপার মুদ্রা ভর্তি একটি থলে দান করেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত আবূ মাহযূরা (রাঃ) এর কপালের অগ্রভাগে রাখেন, অতঃপর তা তাঁর মুখমণ্ডল ে বুলিয়ে দেন, অতঃপর তাঁর হাত তার বুকে বুলিয়ে দেন, এমনকি তাঁর হাত আবূ মাহযূরা (রাঃ) এর নাভিমূল পর্যন্ত পৌঁছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাকে বরকত দান করুন এবং তোমার উপর বরকত নাযিল করুন।

আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমাকে মক্কা মুয়াযযমায় আযান দেয়ার জন্য নিয়োগ করুন। তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তোমাকে নিয়োগ করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যা কিছু আমার নিকট অপ্রিয় ছিল তা সব দূর হয়ে গেলো এবং তদস্থলে তাঁর প্রতি অকুন্ঠ ভালোবাসা স্থান পেলো। অতঃপর আমি মক্কা মুয়াযযমায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিযুক্ত গভর্নর আত্তাব ইবনু উসাইদ -এর নিকট এলাম। আমি তার উপস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নির্দেশ মোতাবেক সালাতের আযান দিলাম।

بَاب التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ، - وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي مَحْذُورَةَ بْنِ مِعْيَرٍ حِينَ جَهَّزَهُ إِلَى الشَّامِ - فَقُلْتُ لأَبِي مَحْذُورَةَ أَىْ عَمِّ إِنِّي خَارِجٌ إِلَى الشَّامِ وَإِنِّي أُسْأَلُ عَنْ تَأْذِينِكَ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ قَالَ خَرَجْتُ فِي نَفَرٍ فَكُنَّا بِبَعْضِ الطَّرِيقِ فَأَذَّنَ مُؤَذِّنُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِالصَّلاَةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَسَمِعْنَا صَوْتَ الْمُؤَذِّنِ وَنَحْنُ عَنْهُ مُتَنَكِّبُونَ فَصَرَخْنَا نَحْكِيهِ نَهْزَأُ بِهِ فَسَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا قَوْمًا فَأَقْعَدُونَا بَيْنَ يَدَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ أَيُّكُمُ الَّذِي سَمِعْتُ صَوْتَهُ قَدِ ارْتَفَعَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَشَارَ إِلَىَّ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ وَصَدَقُوا فَأَرْسَلَ كُلَّهُمْ وَحَبَسَنِي وَقَالَ لِي ‏"‏ قُمْ فَأَذِّنْ ‏"‏ ‏.‏ فَقُمْتُ وَلاَ شَىْءَ أَكْرَهُ إِلَىَّ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَلاَ مِمَّا يَأْمُرُنِي بِهِ فَقُمْتُ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَأَلْقَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ فَقَالَ ‏"‏ قُلِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ لِي ‏"‏ ارْجِعْ فَمُدَّ مِنْ صَوْتِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ دَعَانِي حِينَ قَضَيْتُ التَّأْذِينَ فَأَعْطَانِي صُرَّةً فِيهَا شَىْءٌ مِنْ فِضَّةٍ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى نَاصِيَةِ أَبِي مَحْذُورَةَ ثُمَّ أَمَرَّهَا عَلَى وَجْهِهِ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ ثُمَّ عَلَى كَبِدِهِ ثُمَّ بَلَغَتْ يَدُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سُرَّةَ أَبِي مَحْذُورَةَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَرْتَنِي بِالتَّأْذِينِ بِمَكَّةَ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ قَدْ أَمَرْتُكَ ‏"‏ ‏.‏ فَذَهَبَ كُلُّ شَىْءٍ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ كَرَاهِيَةٍ وَعَادَ ذَلِكَ كُلُّهُ مَحَبَّةً لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَدِمْتُ عَلَى عَتَّابِ بْنِ أَسِيدٍ عَامِلِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِمَكَّةَ فَأَذَّنْتُ مَعَهُ بِالصَّلاَةِ عَلَى أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏.‏ قَالَ وَأَخْبَرَنِي ذَلِكَ مَنْ أَدْرَكَ أَبَا مَحْذُورَةَ عَلَى مَا أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَيْرِيزٍ ‏.‏


Ibn Juraij narrated: "Abdul-'Aziz bin 'Abdul-Malik bin Abu Mahdhurah narrated from 'Abdullah bin muhairiz who was an orphan under the care of Abu Mahdhurah bin mi'yar that when he was preparing him to travel to Sham, he said: 'O my uncle, I am going out to Sham, and I will be asked about how you started the Adhan.' So he informed me that. Abu Mahdhurah said: 'I went out with a group of people, and we were somewhere on the road, when the Mu'adh-dhin of the Messenger of Allah gave the call to prayer in the presence of the Messenger of Allah. We heard the voice of the Mu'adh-dhin, and we were shunning it (the Adhan), so we started yelling, imitating it and mocking it. The Messenger of Allah heard us, so he sent some people who brought us to sit in front of him. He said: 'Who is the one whose voice I heard so loud?' The people all pointed to me, and they were telling the truth. He sent them all away, but kept me there and said to me: 'Stand up and give the call to prayer.' I stood up and there was nothing more hateful to me than the Messenger of Allah and what he was telling me to do. I stood up in front of the Messenger of Allah and the Messenger of Allah himself taught me the call. He said: "Say: 'Allahu Akbar Allahu Akbar, Allahu Akbar Allahu Akbar; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah (Allah is the Most great, Allah is the most Great, Allah is the most Great, Allah is the most Great; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah).'" Then he said: "Raise your voice (and say). Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Hayya 'alal-salah, Hayya 'alal-salah; Hayya 'alal-falah, Hayya 'alal-falah; Allahu Akbar Allahu Akbar; La ilaha illallah (I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah; Come to the Prayer, Come to the Prayer; Come to the prosperity, Come to the prosperity; Allah is the Most great, Allah is the Most Great; None has the right to be worshipped but Allah).'" Then he called me when I had finished saying the Adhan, and gave me a small bag in which there was some silver. Then he put his hand on the forelock of Abu Mahdhurah, then passed it over his face, then over his chest, and over his heart, until the hand of the Messenger of Allah reached his navel. Then the Messenger of Allah said: 'May Allah bless you and send blessings upon you.' I said: 'O Messenger of Allah, do you command me to give the call to prayer in Makkah?' He said: 'Yes, I command you (to do so).' Then all the hatred I had felt towards the Messenger of Allah disappeared, and was replaced with love for the Messenger of Allah. I came to 'Attab bin Asid, the governor of the Messenger of Allah in Makkah, and gave the call to prayer with him by command of the Messenger of Allah." (Sahih)He ('Abdul-'Aziz) said: "Someone who met Abu Mahdhurah told me the same as 'Abdullah bin Muhairiz told me."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩/২. আযানের তারজীর বিবরণ।

২/৭০৯। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাইরীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ মাহযূরা তাকে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আযানের ঊনিশটি এবং ইকামতের সতেরটি বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন। আযানের বাক্যগুলো হলঃ আল্লাহ্‌ মহান,আল্লাহ্‌ মহান,আল্লাহ্‌ মহান,আল্লাহ্‌ মহান; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (২বার); আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল (২ বার), সালাতের দিকে এসো (২বার), কল্যানের দিকে এসো (২বার), আল্লাহ্‌ মহান (২ বার), আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (১বার)

ইকামতের সতেরটি বাক্য হলঃ আল্লাহ্‌ মহান,আল্লাহ্‌ মহান,আল্লাহ্‌ মহান,আল্লাহ্‌ মহান; আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (২বার); আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসুল (২ বার), সালাতের দিকে এসো (২ বার), কল্যানের দিকে এসো (২ বার), সালাত কায়েম হয়েছে (২ বার) আল্লাহ্‌ মহান (২ বার), আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই (১বার)

بَاب التَّرْجِيعِ فِي الْأَذَانِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ عَامِرٍ الأَحْوَلِ، أَنَّ مَكْحُولاً، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ حَدَّثَهُ قَالَ عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً وَالإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً الأَذَانُ ‏"‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ وَالإِقَامَةُ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً ‏"‏ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Abu Mahdhurah said: "The Messenger of Allah taught me the Adhan with nineteen phrases and the Iqamah with seventeen. The Adhan is: Allahu Akbar Allahu Akbar, Allahu Akbar Allahu Akbar; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Hayya 'alal-salah, Hayya 'alal-salah; Hayya 'alal-falah, Hayya 'alal-falah; Allahu Akbar Allahu Akbar; La ilaha illallah (Allah is the Most great, Allah is the most Great, Allah is the most Great, Allah is the most Great; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah; Come to the Prayer, Come to the Prayer; Come to the prosperity, Come to the prosperity; Allah is the Most great, Allah is the Most Great; None has the right to be worshipped but Allah). And the Iqamah is seventeen phrases: Allahu Akbar Allahu Akbar, Allahu Akbar Allahu Akbar; Ash-hadu an la ilaha illallah, Ash-hadu an la ilaha illallah; Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah, Ash-hadu anna Muhammadan Rasulullah; Hayya 'alal-salah, Hayya 'alal-salah; Hayya 'alal-falah, Hayya 'alal-falah; Qad qamatis-salah, qad qamatis-salah; Allahu Akbar Allahu Akbar; La ilaha illallah (Allah is the Most great, Allah is the most Great, Allah is the most Great, Allah is the most Great; I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah, I bear witness that none has the right to be worshipped but Allah; I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah, I bear witness that Muhammad is the Messenger of Allah; Come to the Prayer, Come to the Prayer; Come to the prosperity, Come to the prosperity; The prayer is about to begin, the prayer is about to begin; Allah is the Most great, Allah is the Most Great; None has the right to be worshipped but Allah)."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪/২৩. কর্তিত হাত কাঁধের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া

১/২৫৮৭। ইবনে মুহাইরীয (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ফাদালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) কে কর্তিত হাত কাঁধের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, এটাই নিয়ম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তির হাত কেটে তা তার কাঁধের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।

بَاب تَعْلِيقِ الْيَدِ فِي الْعُنُقِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو بِشْرٍ بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَأَبُو سَلَمَةَ الْجُوبَارِيُّ يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ قَالُوا حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ عَطَاءِ بْنِ مُقَدَّمٍ، عَنْ حَجَّاجٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ سَأَلْتُ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ عَنْ تَعْلِيقِ الْيَدِ، فِي الْعُنُقِ فَقَالَ السُّنَّةُ قَطَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَ رَجُلٍ ثُمَّ عَلَّقَهَا فِي عُنُقِهِ ‏.‏


It was narrated that Ibn Muhairiz said: “I asked Fadalah bin Ubaid about hanging the hand (of the thief) from this neck, and he said: 'It is sunnah. The messenger of Allah (ﷺ) cut off a man's hand then hung it from his neck'''


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ চোরের হাত লটকে দেওয়া প্রসঙ্গে।

১৪৫৩। কুতায়বা (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু মুহায়রীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি ফুযালা উবায়দকে চোরের গলায় (কর্তিত) হাত লটকে দেওয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, এটি কি সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক চোরকে নিয়ে আসা হল। তখন তার হাত কাটা হল। এরপর সেটি তার গলায় লটকে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তখন তার গলায় হাতটি লটকে দেওয়া হল।

যঈফ, ইবনু মাজাহ ২৫৮৭, মিশকাত, তাহকীক ছানী ৩৬০৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই হাদীস হাসান-গারীব। উমার ইবনু আলী মুকাদ্দামী-হাজ্জাজ ইবনু আরতাত সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আবদুর রহমান ইবনু মুহায়রীয হলেন আবদুল্লাহ ইবনু মুহায়রীয শামী-এর ভাই।

باب مَا جَاءَ فِي تَعْلِيقِ يَدِ السَّارِقِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ سَأَلْتُ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ عَنْ تَعْلِيقِ الْيَدِ، فِي عُنُقِ السَّارِقِ أَمِنَ السُّنَّةِ هُوَ قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَارِقٍ فَقُطِعَتْ يَدُهُ ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَعُلِّقَتْ فِي عُنُقِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيِّ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ ‏.‏ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَيْرِيزٍ هُوَ أَخُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ شَامِيٌّ ‏.‏


'Abdur-Rahman bin Muhariz said: "I asked Fadalah bin 'Ubaid about hanging the hand around the neck of the thief: 'Is this from the Sunnah?' He said: 'A man came to the Messenger of Allah (ﷺ) with a thief so his hand was cut off, and then he ordered that it be hung around his neck.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৯/১৩. কোন আরব যদি কোন দাস-দাসীর মালিক হয় এবং তাকে দান করে, বিক্রয় করে, সহবাস করে এবং ফিদিয়া হিসাবে দেয় অথবা শিশুদেরকে বন্দী করে রাখে তবে এর বিধান কী?

২৫৪২. ইবনু মুহায়রিয (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ সাঈদ (রাঃ)-কে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে আমরা বনী মুস্তালিক যুদ্ধে কিছু আরব যুদ্ধ বন্দী আমাদের হস্তগত হল। তখন আমাদের স্ত্রীদের কথা মনে পড়ে (কেননা) দূর-নিঃসঙ্গ জীবন আমাদের জন্য পীড়াদায়ক হয়ে পড়েছিল। (সে সময়) আমরা আযল করতে চাইলাম (বাঁদী ব্যবহার করে)। এ সম্পর্কে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এরূপ না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা, ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত যাদের জন্ম নির্ধারিত রয়েছে, তাদের আগমন ঘটবেই। (২২২৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৭৪)

بَاب مَنْ مَلَكَ مِنْ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ قَالَ رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ فَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ فَسَأَلْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ وَهِيَ كَائِنَةٌ


Narrated Ibn Muhairiz: I saw Abu Sa`id and asked him about coitus interruptus. Abu Sa`id said, "We went with Allah's Apostle, in the Ghazwa of Bani Al-Mustaliq and we captured some of the 'Arabs as captives, and the long separation from our wives was pressing us hard and we wanted to practice coitus interruptus. We asked Allah's Messenger (ﷺ) (whether it was permissible). He said, "It is better for you not to do so. No soul, (that which Allah has) destined to exist, up to the Day of Resurrection, but will definitely come, into existence."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৩২. যাতুর রিকা-র যুদ্ধ।

قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَذَلِكَ سَنَةَ سِتٍّ وَقَالَ مُوْسَى بْنُ عُقْبَةَ سَنَةَ أَرْبَعٍ وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ رَاشِدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ كَانَ حَدِيْثُ الإِفْكِ فِيْ غَزْوَةِ الْمُرَيْسِيْعِ

ইবনু ইসহাক (রহ.) বলেছেন, এ যুদ্ধ ৬ষ্ঠ হিজরী সনে সংঘটিত হয়েছিল। মূসা ইবনু ‘উকবাহ (রহ.) বলেছেন, ৪র্থ হিজরী সনে। নুমান ইবনু রাশিদ (রহ.) যুহরী (রহ.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মুরাইসীর যুদ্ধে ইফ্কের ঘটনা ঘটেছিল।


৪১৩৮. ইবনু মুহাইরীয (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ)-কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বানূ মুসতালিকের যুদ্ধে যোগদান করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহু বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে আসক্তি জাগে এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন অবস্থা আমাদের জন্য কষ্টকর অনুভূত হয়। তাই আমরা আযল করা পছন্দ করলাম এবং তা করতে মনস্থ করলাম। তখন আমরা পরস্পর বলাবলি করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে আছেন। এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ওটা না করলে তোমাদের কী ক্ষতি? ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমন ঘটবার আছে, ততগুলোর আগমন ঘটবেই। [২২২৯; মুসলিম ত্বলাক (তালাক)/২১, হাঃ ১৪৩৮, আহমাদ ১১৮৩৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২৯)

 

بَاب غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ رَبِيْعَةَ بْنِ أَبِيْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيْزٍ أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيْدٍ الْخُدْرِيَّ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْعَزْلِ قَالَ أَبُوْ سَعِيْدٍ خَرَجْنَا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْعَزْلَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ وَقُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوْا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ.


Narrated Ibn Muhairiz: I entered the Mosque and saw Abu Sa`id Al-Khudri and sat beside him and asked him about Al-Azl (i.e. coitus interruptus). Abu Sa`id said, "We went out with Allah's Messenger (ﷺ) for the Ghazwa of Banu Al-Mustaliq and we received captives from among the Arab captives and we desired women and celibacy became hard on us and we loved to do coitus interruptus. So when we intended to do coitus interrupt us, we said, 'How can we do coitus interruptus before asking Allah's Messenger (ﷺ) who is present among us?" We asked (him) about it and he said, 'It is better for you not to do so, for if any soul (till the Day of Resurrection) is predestined to exist, it will exist."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. চোরের (কাটা) হাত (তার ঘাড়ে) লটকানো

১৪৪৭। আবদুর রহমান ইবনু মুহাইরীয (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি ফাযালী ইবনু উবাইদ (রাঃ)-কে চোরের (কাটা) হাত তার ঘাড়ের সাথে লটকে দেয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম, এটা কি সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে একটি চোর ধরে আনা হলে তার হাত কেটে দেয়া হয়। তারপর তার নির্দেশ মোতাবিক চোরের (কর্তিত) হাত তার ঘাড়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৫৮৭), মিশকাত, তাহকীক ছানী (৩৬০৫)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। উমার ইবনু আলী আল-মুকাদামী- হতে হাজ্জাজ ইবনু আরতাত-এর সনদসূত্রেই শুধুমাত্র আমরা উক্ত হাদীস জেনেছি। আবদুর রহমান ইবনু মুহাইরীয (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুহাইরযের ভাই। তিনি শামের অধিবাসী।

باب مَا جَاءَ فِي تَعْلِيقِ يَدِ السَّارِقِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ سَأَلْتُ فَضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ عَنْ تَعْلِيقِ الْيَدِ، فِي عُنُقِ السَّارِقِ أَمِنَ السُّنَّةِ هُوَ قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِسَارِقٍ فَقُطِعَتْ يَدُهُ ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَعُلِّقَتْ فِي عُنُقِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ عَلِيٍّ الْمُقَدَّمِيِّ عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ ‏.‏ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَيْرِيزٍ هُوَ أَخُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ شَامِيٌّ ‏.‏


'Abdur-Rahman bin Muhariz said: "I asked Fadalah bin 'Ubaid about hanging the hand around the neck of the thief: 'Is this from the Sunnah?' He said: 'A man came to the Messenger of Allah (ﷺ) with a thief so his hand was cut off, and then he ordered that it be hung around his neck.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩১. এ উম্মতের শেষ অংশের (যামানার) ফযীলত

২৭৮২. মুহাইরিয (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবী জুমু’আহ- যিনি সাহাবীগণের মধ্যেকার একজন-তাকে বললাম, আপনি আমাদেরকে এমন একটি হাদীস শুনান যা আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন।

তিনি বললেন: আচ্ছা, আমি তোমাদেরকে একটি উত্তম হাদীস শুনাচ্ছি। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সকালের খাবার খেলাম, তখন্ আমাদের সাথে আবী উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। তখন তিনি বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে? যেখানে আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং আপনার সাথে থেকে জিহাদ করেছি? তিনি বললেন: হাঁ। তারা হবে সেই সকল লোক, যারা তোমাদের পরে আসবে; তারা আমার প্রতি ঈমান আনবে, অথচ তারা আমাকে দেখেনি।”[1]

باب فِي فَضْلِ آخِرِ هَذِهِ الْأُمَّةِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا أَسِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ خَالِدِ بْنِ دُرَيْكٍ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ قَالَ قُلْتُ لِأَبِي جُمُعَةَ رَجُلٍ مِنْ الصَّحَابَةِ حَدِّثْنَا حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا جَيِّدًا تَغَدَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَدٌ خَيْرٌ مِنَّا أَسْلَمْنَا وَجَاهَدْنَا مَعَكَ قَالَ نَعَمْ قَوْمٌ يَكُونُونَ مِنْ بَعْدِكُمْ يُؤْمِنُونَ بِي وَلَمْ يَرَوْنِي


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২. আযল এর হুকুম

৩৪৩৬-(১২৫/১৪৩৮) ইয়াহইয়া ইবনু আবূ আইয়ুব, কুতায়বাহ্ ইবনু সাঈদ ও আলী ইবনু হুজর (রহিমাহুমুল্লাহ) ..... ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আবূ সিরমাহ (রহঃ) আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম। আবূ সিরমাহ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ সাঈদ! আপনি কি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ’আযল সম্পর্কে আলোচনা করতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বানু মুসতালিক এর যুদ্ধ করেছি। সে যুদ্ধে আমরা আরবের সবচেয়ে সুন্দরী বাঁদীদের বন্দী করলাম। এদিকে আমরা দীর্ঘকাল স্ত্রী সাহচর্য থেকে বঞ্চিত ছিলাম। অন্যদিকে আমরা ছিলাম সম্পদের প্রতি অনুরাগী। এমতাবস্থায় আমরা বাঁদীদের দ্বারা উদ্দেশ্য হাসিল করার এবং ’আযল করার ইচ্ছা করলাম। কিন্তু আমরা এ কথাও আলোচনা করলাম যে, আমরা কি এ কাজ করতে যাব, অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন। তার নিকট আমরা কি এ ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করব না! তাই আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ ঐ কাজ না করাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। কেননা, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ সৃষ্টি করার কথা লিখে রেখেছেন সে সব মানুষ সৃষ্টি হবেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৪০৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৪০৮)

باب حُكْمِ الْعَزْلِ ‏

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، بْنُ جَعْفَرٍ أَخْبَرَنِي رَبِيعَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَأَبُو صِرْمَةَ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَسَأَلَهُ أَبُو صِرْمَةَ فَقَالَ يَا أَبَا سَعِيدٍ هَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ الْعَزْلَ فَقَالَ نَعَمْ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ بَلْمُصْطَلِقِ فَسَبَيْنَا كَرَائِمَ الْعَرَبِ فَطَالَتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَرَغِبْنَا فِي الْفِدَاءِ فَأَرَدْنَا أَنْ نَسْتَمْتِعَ وَنَعْزِلَ فَقُلْنَا نَفْعَلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا لاَ نَسْأَلُهُ ‏.‏ فَسَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ لاَ عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ خَلْقَ نَسَمَةٍ هِيَ كَائِنَةٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلاَّ سَتَكُونُ ‏"‏ ‏.‏


Abu Sirma said to Abu Sa'id al Khadri (Allah he pleased with him): 0 Abu Sa'id, did you hear Allah's Messenger (ﷺ) mentioning al-'azl? He said: Yes, and added: We went out with Allah's Messenger (ﷺ) on the expedition to the Bi'l-Mustaliq and took captive some excellent Arab women; and we desired them, for we were suffering from the absence of our wives, (but at the same time) we also desired ransom for them. So we decided to have sexual intercourse with them but by observing 'azl (Withdrawing the male sexual organ before emission of semen to avoid-conception). But we said: We are doing an act whereas Allah's Messenger is amongst us; why not ask him? So we asked Allah's Mes- senger (ﷺ), and he said: It does not matter if you do not do it, for every soul that is to be born up to the Day of Resurrection will be born.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৯. ‘আযল’ (স্ত্রী যৌনাঙ্গের বাইরে বীর্যপাত)

২১৭২। ইবনু মুহায়রিয (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযি.)-কে দেখতে পেয়ে তাঁর কাছে গিয়ে বসি এবং তাকে ’আযল’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। আবূ সাঈদ (রাযি.) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বনু মুসতালিকের যুদ্ধাভিযানে বের হই। তখন আমাদের হাতে কিছু মহিলা বন্দী হয়। ঐ সময় আমরা স্ত্রীদের থেকে দূরে অবস্থান করায় নারী বন্দীদের প্রতি আমাদের আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়। অতঃপর আমরা তাদেরকে অধিকমূল্যে বিক্রি করার ইচ্ছায় তাদের সাথে আযল করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা ভাবলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝেই আছেন। কাজেই তাকে কিছু জিজ্ঞেস না করে আযল করা উচিত হবে না। সুতরাং আমরা এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ তোমরা এরূপ না করলে কি ক্ষতি? কেননা কিয়ামত পর্যন্ত যারা সৃষ্টি হবে বলে নির্ধারিত তারা তো জন্মাবেই।[1]

সহীহ।

بَابُ مَا جَاءَ فِي الْعَزْلِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ: دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ فَسَأَلْتُهُ عَنِ العَزْلِ؟، فَقَالَ: أَبُو سَعِيدٍ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ الْعَرَبِ فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا الْعُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا الْفِدَاءَ فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ، ثُمَّ قُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لَا تَفْعَلُوا، مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ

صحيح


Muhairiz said “I entered the mosque and saw Abu Sa’id Al Khudri . I sat with him and asked about withdrawing the penis (while having intercourse). Abu Sa’id said We went out with the Apostle of Allaah(ﷺ) on the expedition to Banu Al Mustaliq and took some Arab women captive and we desired the women for we were suffering from the absence of our wives and we wanted ransom, so we intended to withdraw the penis (while having intercourse with the slave women). But we asked ourselves “can we draw the penis when the Apostle of Allaah(ﷺ) is among us before asking him about it? So we asked him about it. He said “it does not matter if you do not do it, for very soul that is to be born up to the Day of Resurrection will be born.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬: পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের হিফাযাত করা

৪৬১. কুতায়বাহ (রহ.)…. ইবনু মুহায়রীয (রহ.) হতে বর্ণিত যে, মুখদাজী নামক বানূ কিনানার জনৈক ব্যক্তি আবূ মুহাম্মাদ নামক এক ব্যক্তিকে সিরিয়ায় বলতে শুনলেন যে, বিতরের সালাত ওয়াজিব।
মুখদাজী বলেন, আমি এ কথা শুনে ’উবাদাহ ইবনুস সামিত (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। আমি যখন তার কাছে পৌছাই তখন তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। তখন আমি তাঁকে আবূ মুহাম্মাদ-এর বক্তব্য শুনালাম। ’উবাদাহ্ (রাঃ) বললেন, আবূ মুহাম্মদ মিথ্যা বলেছেন। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা’আলা বান্দার ওপরে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যক্তি এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে এবং এগুলোর মধ্যে কোন সালাত অবহেলা করে ছেড়ে দিবে না, তার জন্যে আল্লাহর ওয়াদা হলো- তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যে ব্যক্তি এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে না, তার জন্যে আল্লাহর কোন ওয়া’দা নেই। ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিতে পারেন। আবার ইচ্ছা করলে জান্নাতেও প্রবেশ করাতে পারেন।

باب المحافظة على الصلوات الخمس

خْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ مَالِكٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، ‏‏‏‏‏‏أَنَّ رَجُلًا مِنْ بَنِي كِنَانَةَ يُدْعَى الْمُخْدَجِيّ سَمِعَ رَجُلًا بِالشَّامِ يُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ، ‏‏‏‏‏‏يَقُولُ:‏‏‏‏ الْوِتْرُ وَاجِبٌ، ‏‏‏‏‏‏قال الْمُخْدَجِيُّ:‏‏‏‏ فَرُحْتُ إِلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَاعْتَرَضْتُ لَهُ وَهُوَ رَائِحٌ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قال أَبُو مُحَمَّدٍ، ‏‏‏‏‏‏فَقَالَ عُبَادَةُ:‏‏‏‏ كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ، ‏‏‏‏‏‏سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ‏‏‏‏‏‏يَقُولُ:‏‏‏‏ خَمْسُ صَلَوَاتٍ كَتَبَهُنَّ اللَّهُ عَلَى الْعِبَادِ، ‏‏‏‏‏‏مَنْ جَاءَ بِهِنَّ لَمْ يُضَيِّعْ مِنْهُنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ، ‏‏‏‏‏‏وَمَنْ لَمْ يَأْتِ بِهِنَّ فَلَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ أَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ .

تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۳۳۷ (۱۴۲۰)، سنن ابن ماجہ/إقامة ۱۹۴ (۱۴۰۱)، (تحفة الأشراف: ۵۱۲۲)، موطا امام مالک/صلاة اللیل ۳/۱۴ (۱۴)، مسند احمد ۵/۳۱۵، ۳۱۹، ۳۲۲، سنن الدارمی/الصلاة ۲۰۸ (۱۶۱۸) (صحیح)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 462 - صحيح

6. Observing The Five Daily Prayers


It was narrated from Ibn Muhairiz that a man from Banu Kinanah who was called Al-Mukhdaji heard a man in Ash-Sham, who was known as Abu Muhammad, saying that Witr was obligatory. Al-Mukhdaji said: In the morning I went to 'Ubadah bin As-Samit, and I met him while he was on his way to the Masjid. I told him what Abu Muhammad said, and 'Ubadah said: 'Abu Muhammad is wrong. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Five prayers are those that Allah has decreed for (His) slaves, whoever does them, and does not neglect any of them out of disregard toward them, will have a promise from Allah that He will admit him to Paradise. And whoever does not to them will have no such promise from Allah; if He wills he will punish him and if He wills He will admit him to Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে