সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة)
৪৪৯

পরিচ্ছেদঃ ১/ সালাতের ফরযসমূহ এবং আনাস ইবন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বর্ণনাকারীদের সনদ সম্পর্কিত মতভেদ ও শব্দ প্রয়োগে তাদের বিভিন্নতা

৪৪৯। ইয়াকূব ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... মালিক ইবনু সা’সা’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কা’বার নিকট তন্দ্রাচ্ছন্নাবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, তিনজনের একটি দলের মধ্যবর্তী ব্যাক্তিটি এগিয়ে আসল। আমার নিকট হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হল। তারপর ঐ ব্যাক্তি আমার সিনার অগ্রভাগ থেকে নাভি পর্যন্ত বিদীর্ণ করলো। তারপর যমযমের পানি দ্বারা ’কল্‌ব’ ধৌত করলো। তারপর হিকমত ও ঈমান দ্বারা তা ভরে দেয়া হল।

পরে আমার নিকট আকারে খচ্চরের চেয়ে ছোট এবং গাধার চেয়ে বড় এরূপ একটি জন্তু আনা হল। আমি জিবরীল (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে চলতে থাকি। পরে আমরা দুনিয়ার (নিকতবর্তী) আকাশ পর্যন্ত পৌঁছি। তখন বলা হল, কে? জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, (আমি) জিবরীল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বলা হল, তাঁকে আনার জন্য কি দূত প্রেরণ করা হয়েছে? তাঁকে স্বাগতম, তাঁর আগমন কতই না শুভ।

এরপর আমি আদম (আলাইহিস সালাম) এর নিকট আসলাম, তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) পুত্র ও নবী। তারপর আমরা দ্বিতীয় আসমানে আসলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, কে? জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, (আমি) জিবরীল। বলা হল, আপনার সঙ্গে কে? জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পুর্ববৎ তাঁকে স্বাগতম জানানো হল। এরপর আমি ইয়াহ্‌ইয়া ও ঈসা (আলাইহিমুস সালাম) এর নিকট আসলাম এবং তাঁদের উভয়কে সালাম দিলাম। তাঁরা বললেন স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে আসলাম। এখানেও জিজ্ঞাসা করা হল, কে? তিনি বললেন, আমি জিবরীল। বলা হল, আপনার সঙ্গে কে?

তিনি বললেন, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পুর্ববৎ তাঁকে স্বাগতম জানানো হল। এখানে আমি ইউসুফ (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনিও বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে আসলাম। এখানেও পুর্ববৎ প্রশ্নোত্তর হল ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হল। পরে আমি হারুন (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। এরপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে আসলাম। এখানেও প্রশ্ন উত্তর সম্বর্ধনার পর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী।

আমি যখন তাঁকে অতিক্রম করে যাই, তখন তিনি কাঁদতে থাকেন। জিজ্ঞাসা করা হল আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, হে আমার রব! এ যুবক, যাকে আপনি আমার পর নবীরূপে প্রেরণ করেছেন, আমার উম্মত হতে যত সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাঁর উম্মত থেকে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাঁরা মর্যাদায় হবেন শ্রেষ্ঠতর। তারপর আমরা সপ্তম আসমানে আসলাম। এখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্ন-উত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, খোশ আমদেদ স্বাগতম (হে) পুত্র ও নবী। তারপর আমার সামনে বায়তুল মা’মূর তুলে ধরা হল।

আমি জিবরীল (আলাইহিস সালাম)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ কোন্‌ স্থান? তিনি বললেন, এ বায়তুল মা’মূর। এখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশ্‌তা সালাত আদায় করেন। একদিনে যারা এখানে সালাত আদায় করেন, তারা এখানে কোনদিন প্রত্যাবর্তন করবেন না। এটাই তাদের শেষ (প্রবেশ)। তারপর আমার সামনে ’সিদরাতুল মুনতাহা’ তুলে ধরা হল। তার (সিদরাতুল মুনতাহার) গাছের ফল আকারে হাজর (নামক স্থান-এর) কলসীর ন্যায় এবং পাতাগুলো হাতির কানের মত এবং দেখলাম যে, তার মূল হতে চারটি নহর প্রবাহমান। দু’টি অপ্রকাশ্য ও দু’টি প্রকাশ্য।

আমি জিবরীল (আলাইহিস সালাম)-কে এগুলো সম্পর্কে জজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহর দু’টি জান্নাতে প্রবাহমান। আর প্রকাশ্য নহর দু’টির একটি ফুরাত ও অন্যটি নীল। তারপর আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হল। ফেরার পথে আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট এলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি করে আসলেন? বললাম, আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে।

তিনি বললেন, আমি মানুষের (প্রকৃতি) সম্পর্কে আপনার চেয়ে অধিক অবগত। আমি বনী ইসরাঈলকে নিয়ে কঠিনভাবে চেষ্টা করেছি। একথা নিশ্চিত যে, এগুলো আদায় করতে আপনার উম্মত সক্ষম হবে না। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং এ নির্দেশ সহজ করে নিয়ে আসুন। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট পুনরায় গেলাম এবং এ বিধান সহজ করার আবেদন জানালাম। এতে তিনি চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন।

আমি আবার মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট এলাম। তিনি বললেন, আপনি কি করে আসলেন? আমি বললাম, চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিয়েছেন। তিনি এবারও আমাকে পূর্বের ন্যায় বললেন। আমি আমার মহান প্রতিপালকের নিকট ফিরে গেলাম। তিনি এবার ত্রিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আমি আবার মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট এলাম এবং তাকে অবহিত করলাম। তিনি আমাকে পূর্বের মত বললেন।

আমি আবার প্রতিপালকের নিকট হাযির হলাম। তিনি বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর দশ ওয়াক্ত এবং তারপর পাঁচ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপরে আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট এলাম। তিনি পূর্বের মত একই কথা বললেন। আমি বললাম, আমি আবার আল্লাহ্‌র নিকট যেতে লজ্জাবোধ করছি। তারপর আল্লাহ্‌র তরফ থেকে ঘোষণা দেয়া হল, আমি আমার বিধান চূড়ান্ত করলাম এবং আমার বান্দাদের জন্য সহজ করে দিলাম। আর আমি একটি নেককাজের বিনিময়ে দশটি প্রতিদান দিব।

باب فَرْضِ الصَّلاَةِ وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضى الله عنه - وَاخْتِلاَفِ أَلْفَاظِهِمْ فِيهِ

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ بَيْنَا أَنَا عِنْدَ الْبَيْتِ بَيْنَ النَّائِمِ وَالْيَقْظَانِ إِذْ أَقْبَلَ أَحَدُ الثَّلاَثَةِ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَأُتِيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مَلآنَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا فَشَقَّ مِنَ النَّحْرِ إِلَى مَرَاقِّ الْبَطْنِ فَغَسَلَ الْقَلْبَ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ مُلِئَ حِكْمَةً وَإِيمَانًا ثُمَّ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ دُونَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ ثُمَّ انْطَلَقْتُ مَعَ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَأَتَيْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَقِيلَ مَنْ هَذَا قَالَ جِبْرِيلُ ‏.‏ قِيلَ وَمَنْ مَعَكَ قَالَ مُحَمَّدٌ ‏.‏ قِيلَ وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ مَرْحَبًا بِهِ وَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ فَأَتَيْتُ عَلَى آدَمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ قَالَ مَرْحَبًا بِكَ مِنِ ابْنٍ وَنَبِيٍّ ‏.‏ ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ قِيلَ مَنْ هَذَا قَالَ جِبْرِيلُ ‏.‏ قِيلَ وَمَنْ مَعَكَ قَالَ مُحَمَّدٌ فَمِثْلُ ذَلِكَ فَأَتَيْتُ عَلَى يَحْيَى وَعِيسَى فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِمَا فَقَالاَ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ ‏.‏ ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الثَّالِثَةَ قِيلَ مَنْ هَذَا قَالَ جِبْرِيلُ ‏.‏ قِيلَ وَمَنْ مَعَكَ قَالَ مُحَمَّدٌ فَمِثْلُ ذَلِكَ فَأَتَيْتُ عَلَى يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ قَالَ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ ‏.‏ ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ فَمِثْلُ ذَلِكَ فَأَتَيْتُ عَلَى إِدْرِيسَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ ‏.‏ ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ الْخَامِسَةَ فَمِثْلُ ذَلِكَ فَأَتَيْتُ عَلَى هَارُونَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ قَالَ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ ‏.‏ ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّادِسَةَ فَمِثْلُ ذَلِكَ ثُمَّ أَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَرْحَبًا بِكَ مِنْ أَخٍ وَنَبِيٍّ ‏.‏ فَلَمَّا جَاوَزْتُهُ بَكَى قِيلَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يَا رَبِّ هَذَا الْغُلاَمُ الَّذِي بَعَثْتَهُ بَعْدِي يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِهِ الْجَنَّةَ أَكْثَرُ وَأَفْضَلُ مِمَّا يَدْخُلُ مِنْ أُمَّتِي ‏.‏ ثُمَّ أَتَيْنَا السَّمَاءَ السَّابِعَةَ فَمِثْلُ ذَلِكَ فَأَتَيْتُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ مَرْحَبًا بِكَ مِنِ ابْنٍ وَنَبِيٍّ ‏.‏ ثُمَّ رُفِعَ لِيَ الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ فَقَالَ هَذَا الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ يُصَلِّي فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ فَإِذَا خَرَجُوا مِنْهُ لَمْ يَعُودُوا فِيهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ ثُمَّ رُفِعَتْ لِي سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى فَإِذَا نَبِقُهَا مِثْلُ قِلاَلِ هَجَرٍ وَإِذَا وَرَقُهَا مِثْلُ آذَانِ الْفِيَلَةِ وَإِذَا فِي أَصْلِهَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ فَسَأَلْتُ جِبْرِيلَ فَقَالَ أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَفِي الْجَنَّةِ وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ فَالْفُرَاتُ وَالنِّيلُ ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَىَّ خَمْسُونَ صَلاَةً فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى فَقَالَ مَا صَنَعْتَ قُلْتُ فُرِضَتْ عَلَىَّ خَمْسُونَ صَلاَةً ‏.‏ قَالَ إِنِّي أَعْلَمُ بِالنَّاسِ مِنْكَ إِنِّي عَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ وَإِنَّ أُمَّتَكَ لَنْ يُطِيقُوا ذَلِكَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنْكَ فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَسَأَلْتُهُ أَنْ يُخَفِّفَ عَنِّي فَجَعَلَهَا أَرْبَعِينَ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ مَا صَنَعْتَ قُلْتُ جَعَلَهَا أَرْبَعِينَ ‏.‏ فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الأُولَى فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَجَعَلَهَا ثَلاَثِينَ فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الأُولَى فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَجَعَلَهَا عِشْرِينَ ثُمَّ عَشْرَةً ثُمَّ خَمْسَةً فَأَتَيْتُ عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ لِي مِثْلَ مَقَالَتِهِ الأُولَى فَقُلْتُ إِنِّي أَسْتَحِي مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ أَنْ أَرْجِعَ إِلَيْهِ فَنُودِيَ أَنْ قَدْ أَمْضَيْتُ فَرِيضَتِي وَخَفَّفْتُ عَنْ عِبَادِي وَأَجْزِي بِالْحَسَنَةِ عَشْرَ أَمْثَالِهَا ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا يعقوب بن ابراهيم، قال حدثنا يحيى بن سعيد، قال حدثنا هشام الدستواىي، قال حدثنا قتادة، عن انس بن مالك، عن مالك بن صعصعة، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ بينا انا عند البيت بين الناىم واليقظان اذ اقبل احد الثلاثة بين الرجلين فاتيت بطست من ذهب ملان حكمة وايمانا فشق من النحر الى مراق البطن فغسل القلب بماء زمزم ثم ملى حكمة وايمانا ثم اتيت بدابة دون البغل وفوق الحمار ثم انطلقت مع جبريل عليه السلام فاتينا السماء الدنيا فقيل من هذا قال جبريل ‏.‏ قيل ومن معك قال محمد ‏.‏ قيل وقد ارسل اليه مرحبا به ونعم المجيء جاء فاتيت على ادم عليه السلام فسلمت عليه قال مرحبا بك من ابن ونبي ‏.‏ ثم اتينا السماء الثانية قيل من هذا قال جبريل ‏.‏ قيل ومن معك قال محمد فمثل ذلك فاتيت على يحيى وعيسى فسلمت عليهما فقالا مرحبا بك من اخ ونبي ‏.‏ ثم اتينا السماء الثالثة قيل من هذا قال جبريل ‏.‏ قيل ومن معك قال محمد فمثل ذلك فاتيت على يوسف عليه السلام فسلمت عليه قال مرحبا بك من اخ ونبي ‏.‏ ثم اتينا السماء الرابعة فمثل ذلك فاتيت على ادريس عليه السلام فسلمت عليه فقال مرحبا بك من اخ ونبي ‏.‏ ثم اتينا السماء الخامسة فمثل ذلك فاتيت على هارون عليه السلام فسلمت عليه قال مرحبا بك من اخ ونبي ‏.‏ ثم اتينا السماء السادسة فمثل ذلك ثم اتيت على موسى عليه السلام فسلمت عليه فقال مرحبا بك من اخ ونبي ‏.‏ فلما جاوزته بكى قيل ما يبكيك قال يا رب هذا الغلام الذي بعثته بعدي يدخل من امته الجنة اكثر وافضل مما يدخل من امتي ‏.‏ ثم اتينا السماء السابعة فمثل ذلك فاتيت على ابراهيم عليه السلام فسلمت عليه فقال مرحبا بك من ابن ونبي ‏.‏ ثم رفع لي البيت المعمور فسالت جبريل فقال هذا البيت المعمور يصلي فيه كل يوم سبعون الف ملك فاذا خرجوا منه لم يعودوا فيه اخر ما عليهم ثم رفعت لي سدرة المنتهى فاذا نبقها مثل قلال هجر واذا ورقها مثل اذان الفيلة واذا في اصلها اربعة انهار نهران باطنان ونهران ظاهران فسالت جبريل فقال اما الباطنان ففي الجنة واما الظاهران فالفرات والنيل ثم فرضت على خمسون صلاة فاتيت على موسى فقال ما صنعت قلت فرضت على خمسون صلاة ‏.‏ قال اني اعلم بالناس منك اني عالجت بني اسراىيل اشد المعالجة وان امتك لن يطيقوا ذلك فارجع الى ربك فاساله ان يخفف عنك فرجعت الى ربي فسالته ان يخفف عني فجعلها اربعين ثم رجعت الى موسى عليه السلام فقال ما صنعت قلت جعلها اربعين ‏.‏ فقال لي مثل مقالته الاولى فرجعت الى ربي عز وجل فجعلها ثلاثين فاتيت على موسى عليه السلام فاخبرته فقال لي مثل مقالته الاولى فرجعت الى ربي فجعلها عشرين ثم عشرة ثم خمسة فاتيت على موسى عليه السلام فقال لي مثل مقالته الاولى فقلت اني استحي من ربي عز وجل ان ارجع اليه فنودي ان قد امضيت فريضتي وخففت عن عبادي واجزي بالحسنة عشر امثالها ‏"‏ ‏.‏


"While I was at the Ka'bah, in a state between sleep and wakefulness, three men came, and one of them who was in the middle came toward me. I was brought a basin of gold, filled with wisdom and faith, and he slit open from the throat to the lower abdomen, and washed the heart with Zamzam water, then - "it was filled with wisdom and faith. Then I was brought a riding-beast, smaller than a mule and bigger than a donkey. I set off with Jibril, peace be upon him, and we came to the lowest heaven. It was said: 'Who is with you?' He said: 'Muhammad.' It was said: 'Has (revelation) been sent to him? Welcome to him, what an excellent visit his is.' I came to Adam, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent son and Prophet.' Then we came to the second heaven and it was said: 'Who is this?' He said: 'Jibra'il.' [1] It was said: 'Who is with you?' he said: 'Muhammad.' And the same exchange took place. I came to Yahya and 'Eisa, peace be upon them both, and greeted them, and they said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the third heaven and it was said: 'Who is this?' He said: 'Jibra'il.' It was said: 'Who is with you?' He said: 'Muhammad.' And the same exchange took place. I came to Yusuf, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the fourth heaven and the same exchange took place. I came to Idris, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the fifth heaven and the same exchange took place. I came to Harun, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' Then we came to the sixth heaven and the same exchange took place. I came to Musa, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent brother and Prophet.' What I passed him, he wept, and it was said: 'Why are you weeping?' He said: 'O Lord, this young man whom You have sent after me, more of his Ummah will enter Paradise than from my nation, and they will be more virtuous than them.' Then we came to the seventh heaven and a similar exchange took place. I came to Ibrahim, peace be upon him, and greeted him, and he said: 'Welcome to you! What an excellent son and Prophet.' Then I was taken up to the Oft-Frequented House (Al-Bait al-Ma'mur) and I asked Jibra'il about it, and he said: 'This is Al-Bait al-Ma'mur in which seventy thousand angels pray everyday, and when they leave it they never come back.' Then I was taken up to Sidrah Al-Muntaha (the Lote-Tree of the Utmost Boundary). Its fruits were like Qilal [2] of Hajar and its leaves were like the ears of elephants. At its base were four rivers: Two hidden rivers and two manifest rivers. I asked Jibril (About them) and he said: 'The two hidden ones are in paradise, and the two manifest ones are the Euphrates and the Nile.' Then fifty prayers were enjoined upon me. I came to Musa and he said: 'What happened?' I said: 'Fifty prayers have been enjoined upon me.' He said: 'I know more about the people than you. I tried hard with the Children of Israel. Your Ummah will never be able to bear that. Go back to your Lord and ask Him to reduce it for you.' So I went back to my Lord and asked Him to reduce it, and He made it forty. Then I went back to Musa, peace be upon him, and he said: 'What happened?' I said: 'He made it forty.' He said to me something similar to what he said the first time, so I went back to my Lord and He made it thirty. I came to Musa, peace be upon him, and told him, and he said to me something similar to what he said the first time, so I went back to my Lord and he made it twenty, then ten, then five. I came to Musa, peace be upon him, and he said to me something like he had said the first time, but I said: 'I feel too shy before my Lord to go back to Him.' Then it was called out: 'I have decreed (the reward for) My obligation, and I have reduced the burden for My slaves and I will give a ten-fold reward for each good deed.'"

[1] It is like this here, while it is Jibra'il the first time it appears in this narration, and Jibra'il is often used in the Hadith literature.
[2] Plural of Qullah


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫০

পরিচ্ছেদঃ ১/ সালাতের ফরযসমূহ এবং আনাস ইবন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বর্ণনাকারীদের সনদ সম্পর্কিত মতভেদ ও শব্দ প্রয়োগে তাদের বিভিন্নতা

৪৫০। ইউনুস ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এবং ইবনু হায্‌ম থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা আমার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেন। আমি ঐ পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত নিয়ে মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট ফিরে আসলাম। তখন মূসা (আলাইহিস সালাম) আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, আপনার প্রতিপালক আপনার উম্মতের উপর কি ফরয করেছেন? তখন আমি বললাম, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। মূসা (আলাইহিস সালাম) আমাকে বললেন যে, আপনি আবার আপনার প্রতিপালকের নিকট হাযির হোন। কারণ আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে সক্ষম হবে না।

তারপর আমি আমার প্রতিপালকের নিকট উপস্থিত হলাম। আল্লাহ্‌ পঞ্চাশ ওয়াক্ত থেকে কিছু কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট এসে তাঁকে এ বিষয়ে অবহিত করলাম। তিনি বললেন, আপনি আবার হাযির হোন। কেননা আপনার উম্মত তা আদায় করতে সক্ষম হবে না। পরে আমি আবার আমার প্রতিপালকের নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আল্লাহ্‌ পাক বললেন, এটা (গণনার) পাঁচ কিন্তু (প্রতিদানে) এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতই পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সমান এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আমার সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয় না। তারপর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট ফিরে যাই। মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আবার আপনার প্রতিপালকের নিকট হাযির হোন। তখন আমি বললাম, আমি আমার মহান প্রতিপালকের নিকট এ বিষয় নিয়ে আবার উপস্থিত হতে লজ্জাবোধ করছি।

باب فَرْضِ الصَّلاَةِ وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضى الله عنه - وَاخْتِلاَفِ أَلْفَاظِهِمْ فِيهِ

أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ وَابْنُ حَزْمٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى أُمَّتِي خَمْسِينَ صَلاَةً فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ حَتَّى أَمُرَّ بِمُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ مَا فَرَضَ رَبُّكَ عَلَى أُمَّتِكَ قُلْتُ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسِينَ صَلاَةً ‏.‏ قَالَ لِي مُوسَى فَرَاجِعْ رَبَّكَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏.‏ فَرَاجَعْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَوَضَعَ شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لاَ تُطِيقُ ذَلِكَ ‏.‏ فَرَاجَعْتُ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُونَ لاَ يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَىَّ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَقُلْتُ قَدِ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا يونس بن عبد الاعلى، قال حدثنا ابن وهب، قال اخبرني يونس، عن ابن شهاب، قال انس بن مالك وابن حزم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ فرض الله عز وجل على امتي خمسين صلاة فرجعت بذلك حتى امر بموسى عليه السلام فقال ما فرض ربك على امتك قلت فرض عليهم خمسين صلاة ‏.‏ قال لي موسى فراجع ربك عز وجل فان امتك لا تطيق ذلك ‏.‏ فراجعت ربي عز وجل فوضع شطرها فرجعت الى موسى فاخبرته فقال راجع ربك فان امتك لا تطيق ذلك ‏.‏ فراجعت ربي عز وجل فقال هي خمس وهي خمسون لا يبدل القول لدى ‏.‏ فرجعت الى موسى فقال راجع ربك فقلت قد استحييت من ربي عز وجل ‏"‏ ‏.‏


Anas bin Malik and Ibn Hazm said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Allah, the Mighty and Sublime, enjoined fifty prayers upon my Ummah, and I came back with that until I passed by Musa, peace be upon him, who said: 'What has your Lord enjoined upon your Ummah?' I said: 'He has enjoined fifty prayers on them.' Musa said to me: 'Go back to your Lord, the Mighty and Sublime, for your Ummah will not be able to do that.' So I went back to my Lord, the Mighty and Sublime, and He reduced a portion of it. Then I came back to Musa and told him, and he said: 'Go back to you Lord, for your Ummah will not be able to do that.' So I went back to my Lord, the Mighty and Sublime, and He said: 'They are five (prayers) but they are fifty (in reward), and the Word that comes from Me cannot be changed.' [1] I came back to Musa and he said: 'Go back to your Lord.' I said: 'I feel too shy before my Lord, the Mighty and Sublime.'"

[1]See Surah Qaf 50:29.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫১

পরিচ্ছেদঃ ১/ সালাতের ফরযসমূহ এবং আনাস ইবন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বর্ণনাকারীদের সনদ সম্পর্কিত মতভেদ ও শব্দ প্রয়োগে তাদের বিভিন্নতা

৪৫১। আমর ইবনু হিশাম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার সামনে এমন একটি জন্তু আনা হল যা আকারে গাধা থেকে বড় এবং খচ্চর থেকে ছোট এবং যার কদম পড়ত দৃষ্টির শেষ সীমায়। আমি তার উপর আরোহণ করলাম। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা সফর করলাম (মদিনা পর্যন্ত)। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি নেমে সালাত আদায় করুন। আমি সালাত আদায় করলাম। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি কোথায় সালাত আদায় করেছেন তা কি জানেন?

আপনি সালাত আদায় করেছেন তায়বায়। এ শহরেই আপনি হিজরত করবেন। আবার জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি অবতরণ করে সালাত আদায় করুন। আমি তখন নেমে সালাত আদায় করলাম। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি কি জানেন কোন্‌ জায়গায় সালাত আদায় করেছেন? আপনি ’তূরে সায়না’ নামক স্থানে সালাত আদায় করেছেন। যেখানে আল্লাহ্‌ পাক মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে কথা বলেছিলেন।

তারপর আবার এক স্থানে গিয়ে জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, অবতরণ করে সালাত আদায় করুন। আমি তা-ই করলাম। জিবরীল (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি কি জানেন, আপনি কোথায় সালাত আদায় করেছেন? আপনি ’বায়ত লাহম’ নামক স্থানে সালাত আদায় করেছেন। যেখানে হজরত ঈসা (আলাইহিস সালাম) জন্মগ্রহন করেছিলেন। তারপর আমি ’বায়তুল মাকদিস’-এ প্রবেশ করলাম এবং সমস্ত নবীকে আমার নিকট একত্র করা হল এবং জিব্রাঈল (আলাইহিস সালাম) আমাকে সম্মুখে এগিয়ে দিলেন আমি সকলের ইমামতি করলাম। তারপর আমাকে নিয়ে প্রথম আসমানে উঠলেন।

সেখানে আদম (আলাইহিস সালাম)-এর সাক্ষাত লাভ করলাম। পরে আমাকে নিয়ে দ্বিতীয় আসমানে উঠলেন। সেখানে পরপর দু’খালাত ভাই ঈসা (আলাইহিস সালাম) ও ইয়াহইয়া (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাত হল। তারপর আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানে উঠলেন এবং সেখানে ইউসুফ (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে দেখা হল। এরপর আমাকে নিয়ে চতুর্থ আসমানে উঠলেন এবং সেখানে হারুন (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাত হল। তারপর আমাকে নিয়ে পঞ্চম আসমানে উঠলেন সেখানে ইদ্রিস (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাত হল। তারপর আমাকে নিয়ে ষষ্ঠ আসমানে উঠলেন। সেখানে মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাত হল।

তারপর আমাকে সপ্তম আসমানে নিয়ে গেলেন এবং সেখানে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর সাথে সাক্ষাত হল। এরপর আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানের উপরে উঠলেন। তখন আমরা সিদরাতুল মুনতাহায় উপনীত হলাম। সেখানে একখণ্ড ধুঁয়াশা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলল আমি সিজদায় পড়ে গেলাম। তখন আমাকে বলা হল -যেদিন আমি এ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছি, সেদিন আপনার উপর ও আপনার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি। সুতরাং আপনি এবং আপনার উম্মত এই সালাত কায়েম করুন।

তখন আমি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট প্রত্যাবর্তন করলাম। তিনি আমাকে কিছুই জিজ্ঞাসা করলেন না। পরে মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট আসলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, আপনার এবং আপনার উম্মতের উপর আল্লাহ্‌ কি ফরয করেছেন? আমি বললাম পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তখন মূসা(আলাইহিস সালাম) বললেন, নিশ্চয়ই আপনি এবং আপনার উম্মত পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত যথাযথ আদায় করতে সক্ষম হবেন না। আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং কমানোর জন্য আরয করুন। আমি প্রতিপালকের নিকট ফিরে গেলাম। তিনি আমার থেকে দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর আবার মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট আসলাম। তিনি আমাকে পুনরায় ফিরে যেতে বললেন। আমি ফিরে গেলাম। তখন তিনি আরো দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। তারপর মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট আসার পর তিনি আমাকে পুনরায় ফিরে যেতে বললেন, আমি আবার ফিরে গেলাম। তিনি দশ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন।

তারপর সর্বশেষ সালাতকে পাঁচ ওয়াক্তে পরিণত করা হল। মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি পুনরায় প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং সালাত আরও কমানোর আবেদন করুন। কেননা আল্লাহ্‌ বনী ইসরাঈলের উপর শুধু দুই ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছিলেন। তারা এই দুই ওয়াক্তও আদায় করেনি। তখন আমি আবার আল্লাহ্‌র নিকট ফিরে গিয়ে সালাত কমিয়ে দেয়ার জন্য আরয করলাম। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি যেদিন এই আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছি, সেদিন আপনার ও আপনার উম্মতের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছি। আর এই পাঁচ ওয়াক্ত পঞ্চাশ ওয়াক্তের সমান বলে গণ্য হবে। আপনি ও আপনার উম্মত এটা আদায় করুন। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আল্লাহ্‌র পাকের পক্ষ হতে অবশ্য পালনীয়। এরপর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম)-এর নিকট ফিরে আসলাম। এবারও তিনি আমাকে ফিরে যেতে বললেন। কিন্তু আমি বুঝতে পারলাম যে, পাঁচ ওয়াক্ত আল্লাহ্‌র পক্ষ হতে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তাই আমি আর ফিরে গেলাম না।

باب فَرْضِ الصَّلاَةِ وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضى الله عنه - وَاخْتِلاَفِ أَلْفَاظِهِمْ فِيهِ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مَخْلَدٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي مَالِكٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ فَوْقَ الْحِمَارِ وَدُونَ الْبَغْلِ خَطْوُهَا عِنْدَ مُنْتَهَى طَرْفِهَا فَرَكِبْتُ وَمَعِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَسِرْتُ فَقَالَ انْزِلْ فَصَلِّ ‏.‏ فَفَعَلْتُ فَقَالَ أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ صَلَّيْتَ بِطَيْبَةَ وَإِلَيْهَا الْمُهَاجَرُ ثُمَّ قَالَ انْزِلْ فَصَلِّ ‏.‏ فَصَلَّيْتُ فَقَالَ أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ صَلَّيْتَ بِطُورِ سَيْنَاءَ حَيْثُ كَلَّمَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ ثُمَّ قَالَ انْزِلْ فَصَلِّ ‏.‏ فَنَزَلْتُ فَصَلَّيْتُ فَقَالَ أَتَدْرِي أَيْنَ صَلَّيْتَ صَلَّيْتَ بِبَيْتِ لَحْمٍ حَيْثُ وُلِدَ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏.‏ ثُمَّ دَخَلْتُ بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَجُمِعَ لِيَ الأَنْبِيَاءُ عَلَيْهِمُ السَّلاَمُ فَقَدَّمَنِي جِبْرِيلُ حَتَّى أَمَمْتُهُمْ ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَإِذَا فِيهَا آدَمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ فَإِذَا فِيهَا ابْنَا الْخَالَةِ عِيسَى وَيَحْيَى عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ فَإِذَا فِيهَا يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ فَإِذَا فِيهَا هَارُونُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الْخَامِسَةِ فَإِذَا فِيهَا إِدْرِيسُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ السَّادِسَةِ فَإِذَا فِيهَا مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ ثُمَّ صُعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ السَّابِعَةِ فَإِذَا فِيهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ثُمَّ صُعِدَ بِي فَوْقَ سَبْعِ سَمَوَاتٍ فَأَتَيْنَا سِدْرَةَ الْمُنْتَهَى فَغَشِيَتْنِي ضَبَابَةٌ فَخَرَرْتُ سَاجِدًا فَقِيلَ لِي إِنِّي يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَرَضْتُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ خَمْسِينَ صَلاَةً فَقُمْ بِهَا أَنْتَ وَأُمَّتُكَ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى إِبْرَاهِيمَ فَلَمْ يَسْأَلْنِي عَنْ شَىْءٍ ثُمَّ أَتَيْتُ عَلَى مُوسَى فَقَالَ كَمْ فَرَضَ اللَّهُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ قُلْتُ خَمْسِينَ صَلاَةً ‏.‏ قَالَ فَإِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَقُومَ بِهَا أَنْتَ وَلاَ أُمَّتُكَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي فَخَفَّفَ عَنِّي عَشْرًا ثُمَّ أَتَيْتُ مُوسَى فَأَمَرَنِي بِالرُّجُوعِ فَرَجَعْتُ فَخَفَّفَ عَنِّي عَشْرًا ثُمَّ رُدَّتْ إِلَى خَمْسِ صَلَوَاتٍ ‏.‏ قَالَ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ فَإِنَّهُ فَرَضَ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ صَلاَتَيْنِ فَمَا قَامُوا بِهِمَا ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَسَأَلْتُهُ التَّخْفِيفَ فَقَالَ إِنِّي يَوْمَ خَلَقْتُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ فَرَضْتُ عَلَيْكَ وَعَلَى أُمَّتِكَ خَمْسِينَ صَلاَةً فَخَمْسٌ بِخَمْسِينَ فَقُمْ بِهَا أَنْتَ وَأُمَّتُكَ ‏.‏ فَعَرَفْتُ أَنَّهَا مِنَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى صِرَّى فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ ارْجِعْ فَعَرَفْتُ أَنَّهَا مِنَ اللَّهِ صِرَّى - أَىْ حَتْمٌ - فَلَمْ أَرْجِعْ ‏.‏

اخبرنا عمرو بن هشام، قال حدثنا مخلد، عن سعيد بن عبد العزيز، قال حدثنا يزيد بن ابي مالك، قال حدثنا انس بن مالك، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اتيت بدابة فوق الحمار ودون البغل خطوها عند منتهى طرفها فركبت ومعي جبريل عليه السلام فسرت فقال انزل فصل ‏.‏ ففعلت فقال اتدري اين صليت صليت بطيبة واليها المهاجر ثم قال انزل فصل ‏.‏ فصليت فقال اتدري اين صليت صليت بطور سيناء حيث كلم الله عز وجل موسى عليه السلام ثم قال انزل فصل ‏.‏ فنزلت فصليت فقال اتدري اين صليت صليت ببيت لحم حيث ولد عيسى عليه السلام ‏.‏ ثم دخلت بيت المقدس فجمع لي الانبياء عليهم السلام فقدمني جبريل حتى اممتهم ثم صعد بي الى السماء الدنيا فاذا فيها ادم عليه السلام ثم صعد بي الى السماء الثانية فاذا فيها ابنا الخالة عيسى ويحيى عليهما السلام ثم صعد بي الى السماء الثالثة فاذا فيها يوسف عليه السلام ثم صعد بي الى السماء الرابعة فاذا فيها هارون عليه السلام ثم صعد بي الى السماء الخامسة فاذا فيها ادريس عليه السلام ثم صعد بي الى السماء السادسة فاذا فيها موسى عليه السلام ثم صعد بي الى السماء السابعة فاذا فيها ابراهيم عليه السلام ثم صعد بي فوق سبع سموات فاتينا سدرة المنتهى فغشيتني ضبابة فخررت ساجدا فقيل لي اني يوم خلقت السموات والارض فرضت عليك وعلى امتك خمسين صلاة فقم بها انت وامتك ‏.‏ فرجعت الى ابراهيم فلم يسالني عن شىء ثم اتيت على موسى فقال كم فرض الله عليك وعلى امتك قلت خمسين صلاة ‏.‏ قال فانك لا تستطيع ان تقوم بها انت ولا امتك فارجع الى ربك فاساله التخفيف ‏.‏ فرجعت الى ربي فخفف عني عشرا ثم اتيت موسى فامرني بالرجوع فرجعت فخفف عني عشرا ثم ردت الى خمس صلوات ‏.‏ قال فارجع الى ربك فاساله التخفيف فانه فرض على بني اسراىيل صلاتين فما قاموا بهما ‏.‏ فرجعت الى ربي عز وجل فسالته التخفيف فقال اني يوم خلقت السموات والارض فرضت عليك وعلى امتك خمسين صلاة فخمس بخمسين فقم بها انت وامتك ‏.‏ فعرفت انها من الله تبارك وتعالى صرى فرجعت الى موسى عليه السلام فقال ارجع فعرفت انها من الله صرى - اى حتم - فلم ارجع ‏.‏


Anas bin Malik narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"I was brought an animal that was larger than a donkey and smaller than a mule, whose stride could reach as far as it could see. I mounted it, and Jibril was with me, and I set off. Then he said: 'Dismount and pray,' so I did that. He said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Taibah, which will be the place of the emigration.' Then he said: 'Dismount and pray,' so I prayed. He said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Mount Sinai, where Allah, the Mighty and Sublime, spoke to Musa, peace be upon him.' So I dismounted and prayed, and he said: 'Do you know where you have prayed? You have prayed in Bethlehem, where 'Eisa, peace be upon him, was born.' Then I entered Bait Al-Maqdis (Jerusalem) where the Prophets, peace be upon them, were assembled for me, and Jibril brought me forward to lead them in prayer. Then I was taken up to the first heaven, where I saw Adam, peace be upon him. Then I was taken up to the second heaven where I saw the maternal cousins 'Eisa and Yahya, peace be upon them. Then I was taken up to the third heaven where I saw Yusuf, peace be upon him. Then I was taken up to the fourth heaven where I saw Harun, peace be upon him. Then I was taken up to the fifth heaven where I saw Idris, peace be upon him. Then I was taken up to the sixth heaven where I saw Musa, peace be upon him. Then I was taken up to the seventh heaven where I saw Ibrahim, peace be upon him. Then I was taken up above seven heavens and we came to Sidrah Al-Muntaha and I was covered with fog. I fell down prostrate and it was said to me: '(Indeed) The day I created the heavens and the Earth, I enjoined upon you and your Ummah fifty prayers, so establish them, you and your Ummah.' I came back to Ibrahim and he did not ask me about anything, then I came to Musa and he said: 'How much did your Lord enjoin upon you and your Ummah?' I said: 'Fifty prayers.' He said: 'You will not be able to establish them, neither you nor your Ummah. Go back to your Lord and ask Him to reduce it.' So I went back to my Lord and He reduced it by ten. Then I came to Musa and he told me to go back, so I went back and He reduced it by ten. Then I came to Musa and he told me to go back, so I went back and He reduced it by ten. Then it was reduced it by ten. Then it was reduced to five prayers. He (Musa) said: 'Go back to you Lord and ask Him to reduce it, for two prayers were enjoined upon the Children of Israel but they did not establish them.' So I went back to my Lord and asked Him to reduce it, but He said: 'The day I created the heavens and the Earth, I enjoined fifty prayers upon you and your Ummah. Five is for fifty, so establish them, you and your Ummah.' I knew that this was what Allah, the Mighty and Sublime, had determined so I went back to Musa, peace be upon him, and he said: 'Go back.' But I knew that it was what Allah had determined, so I did not go back."


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫২

পরিচ্ছেদঃ ১/ সালাতের ফরযসমূহ এবং আনাস ইবন মালিক (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বর্ণনাকারীদের সনদ সম্পর্কিত মতভেদ ও শব্দ প্রয়োগে তাদের বিভিন্নতা

৪৫২। আহমদ ইবনু সুলায়মান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যখন মি’রাজের রাতে ভ্রমন করানো হয়েছিল, তখন তাঁকে সিদরাতুল মুনতাহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সিদরাতুল মুনতাহা ষষ্ঠ আকাশে অবস্থিত।* তার নীচ থেকে যে সব জিনিস (নেক আমল, আত্মা ইত্যাদি) উর্ধে উঠানো হয় এবং তার উপর হতে আল্লাহ্‌র যেসব নির্দেশ অবতীর্ণ হয়, সবকিছুই এখানে পৌঁছে থেমে যায়। তারপর এখান থেকেই তা গ্রহন করা হয়। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ এই আয়াতটি তিলাওয়াত করেনঃ

إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى

(যখন বৃক্ষটিকে আচ্ছাদিত করল, যা আচ্ছাদিত করার)। (৫৩: ১৬)

আবদুল্লাহ বলেন তা হল সোনার প্রজাপতি। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তিনটি পুরস্কার দেয়া হয়েছেঃ

(১) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত

(২) সূরা বাকারার শেষ কয়েকটি আয়াত এবং

(৩) তাঁর উম্মতের যে ব্যাক্তি আল্লাহ্‌র সাথে কোন শরীক না করে মৃত্যুবরণ করবে, তার মাগফিরাত।

باب فَرْضِ الصَّلاَةِ وَذِكْرِ اخْتِلاَفِ النَّاقِلِينَ فِي إِسْنَادِ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ - رضى الله عنه - وَاخْتِلاَفِ أَلْفَاظِهِمْ فِيهِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا أُسْرِيَ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْتُهِيَ بِهِ إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى وَهِيَ فِي السَّمَاءِ السَّادِسَةِ وَإِلَيْهَا يَنْتَهِي مَا عُرِجَ بِهِ مِنْ تَحْتِهَا وَإِلَيْهَا يَنْتَهِي مَا أُهْبِطَ بِهِ مِنْ فَوْقِهَا حَتَّى يُقْبَضَ مِنْهَا قَالَ ‏(إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى‏)‏ قَالَ فَرَاشٌ مِنْ ذَهَبٍ فَأُعْطِيَ ثَلاَثًا الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ وَخَوَاتِيمُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ وَيُغْفَرُ لِمَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِهِ لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا الْمُقْحِمَاتُ ‏.‏

اخبرنا احمد بن سليمان، قال حدثنا يحيى بن ادم، قال حدثنا مالك بن مغول، عن الزبير بن عدي، عن طلحة بن مصرف، عن مرة، عن عبد الله، قال لما اسري برسول الله صلى الله عليه وسلم انتهي به الى سدرة المنتهى وهي في السماء السادسة واليها ينتهي ما عرج به من تحتها واليها ينتهي ما اهبط به من فوقها حتى يقبض منها قال ‏(اذ يغشى السدرة ما يغشى‏)‏ قال فراش من ذهب فاعطي ثلاثا الصلوات الخمس وخواتيم سورة البقرة ويغفر لمن مات من امته لا يشرك بالله شيىا المقحمات ‏.‏


It was narrated that 'Abdullah said:
"When the Messenger of Allah (ﷺ) was taken on the Night Journey, he came to Sidrah Al-Muntaha, which is in the sixth heaven. That is where everything that comes up from below ends, and where everything that comes down from above, until it is taken from it. Allah says: When what covered the lote-tree did cover it! [1] He said: "It was moths of gold. And I was given three things: The five daily prayers, the last verses of Surah Al-Baqarah, and whoever of my Ummah dies without associating anything with Allah will be forgiven for Al-Muqhimat." [2]

[1] An-Najm 53:16.
[2] "The sins of the worst magnitude that drag one into the Fire." (An-Nihayah)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫৩

পরিচ্ছেদঃ ২/ নামাজ কোথায় ফরজ হয়েছে ?

৪৫৩। সুলায়মান ইবনু দাঊদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সালাত মক্কায় ফরয হয়েছে। দু’জন ফেরেশতা রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসেন। ফেরেশতাদ্বয় তাঁকে নিয়ে যমযমের নিকট যান। তারা তাঁর পেট বিদীর্ণ করেন এবং তাঁর ভেতরের বস্তু বের করে স্বর্ণের পাত্রে রাখেন ও যমযমের পানি দ্বারা ধৌত করেন। তারপর তাঁর মধ্যে ইলম ও হিকমত পূর্ণ করে দেন।

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ عَبْدَ رَبِّهِ بْنَ سَعِيدٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ الْبُنَانِيَّ حَدَّثَهُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ الصَّلَوَاتِ، فُرِضَتْ بِمَكَّةَ وَأَنَّ مَلَكَيْنِ أَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَهَبَا بِهِ إِلَى زَمْزَمَ فَشَقَّا بَطْنَهُ وَأَخْرَجَا حَشْوَهُ فِي طَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ فَغَسَلاَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ كَبَسَا جَوْفَهُ حِكْمَةً وَعِلْمًا ‏.‏

اخبرنا سليمان بن داود، عن ابن وهب، قال اخبرني عمرو بن الحارث، ان عبد ربه بن سعيد، حدثه ان البناني حدثه عن انس بن مالك، ان الصلوات، فرضت بمكة وان ملكين اتيا رسول الله صلى الله عليه وسلم فذهبا به الى زمزم فشقا بطنه واخرجا حشوه في طست من ذهب فغسلاه بماء زمزم ثم كبسا جوفه حكمة وعلما ‏.‏


It was narrated from Anas bin Malik that the prayers were enjoined in Makkah, and that two angels came to the Messenger of Allah (ﷺ) and took him to Zamzam, where they split open his stomach and took out his innards in a basin of gold, and washed them with Zamzam water, then they filled his heart with wisdom and knowledge.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৩/ নামাজ কেমন করে ফরজ হয়েছে?

৪৫৪। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ প্রথমত সালাত দুই রাক’আত করে ফরয হয়েছিল। পরে সফরের সালাত পূর্ববৎ রাখা হয় এবং আবাসে সালাত পূর্ণ করা হয়।

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَوَّلَ مَا فُرِضَتِ الصَّلاَةُ رَكْعَتَيْنِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ وَأُتِمَّتْ صَلاَةُ الْحَضَرِ ‏.‏

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم، قال انبانا سفيان، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، قالت اول ما فرضت الصلاة ركعتين فاقرت صلاة السفر واتمت صلاة الحضر ‏.‏


t was narrated that 'Aishah said:
"The first time the Salah was enjoined it was two Rak'ahs, and it remained as such when traveling, but the Salah while resident was made complete."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৩/ নামাজ কেমন করে ফরজ হয়েছে?

৪৫৫। মুহাম্মদ ইবনু হাশিম বা’লাবাক্কী (রহঃ) ... আবূ আমর অর্থাৎ আওযাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি যুহ্‌রী (রহঃ)-কে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পূর্বেকার সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বলেন, উরওয়াহ (রহঃ) আমাকে আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা প্রথমত তাঁর রাসূলের উপর দুই-দুই রাকাত সালাত ফরয করেন। পরে আবাসে সালাত চার রাকাত পূর্ণ করা হয় এবং সফরে পূর্বের বিধান অনুযায়ী দুই রাকআতই বহাল রাখা হয়।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هَاشِمٍ الْبَعْلَبَكِّيُّ، قَالَ أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو عَمْرٍو يَعْنِي الأَوْزَاعِيَّ، أَنَّهُ سَأَلَ الزُّهْرِيَّ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ فَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ الصَّلاَةَ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَ مَا فَرَضَهَا رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أُتِمَّتْ فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا وَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ عَلَى الْفَرِيضَةِ الأُولَى ‏.

اخبرنا محمد بن هاشم البعلبكي، قال انبانا الوليد، قال اخبرني ابو عمرو يعني الاوزاعي، انه سال الزهري عن صلاة، رسول الله صلى الله عليه وسلم بمكة قبل الهجرة الى المدينة قال اخبرني عروة عن عاىشة قالت فرض الله عز وجل الصلاة على رسوله صلى الله عليه وسلم اول ما فرضها ركعتين ركعتين ثم اتمت في الحضر اربعا واقرت صلاة السفر على الفريضة الاولى ‏.


Abu 'Amr - meaning, Al-Awza'i - said that he asked Az-Zuhri about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) in Makkah before the Hijrah to Al-Madinah. He said:
"Urwah told me that 'Aishah said: 'Allah enjoined the salah upon the Messenger of Allah (ﷺ), and the first thing that He enjoined was two Rak'ahs at a time, then it was made complete four Rak'ahs while in the state of residence but the prayer when traveling remained two Rak'ahs, as it was first enjoined.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আওযায়ী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৩/ নামাজ কেমন করে ফরজ হয়েছে?

৪৫৬। কুতায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সালাত দুই দুই রাকাত করে ফরয করা হয়। কিন্তু সফর অবস্থায় সালাত পূর্ববৎ থাকে এবং আবাস অবস্থায় তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِي صَلاَةِ الْحَضَرِ ‏.‏

اخبرنا قتيبة، عن مالك، عن صالح بن كيسان، عن عروة، عن عاىشة، قالت فرضت الصلاة ركعتين ركعتين فاقرت صلاة السفر وزيد في صلاة الحضر ‏.‏


It was narrated that 'Aishah said:
"The Salah was enjoined two Rak'ahs at a time, then the Salah when traveling remained like that, but the Salah while resident was increased."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৩/ নামাজ কেমন করে ফরজ হয়েছে?

৪৫৭। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর আবাসে চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকআত এবং ভয়কালীন অবস্থায় (ইমামের সঙ্গে) এক রাকআত করে সালাত ফরয করা হয়েছে।

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَخْنَسِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ فُرِضَتِ الصَّلاَةُ عَلَى لِسَانِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَضَرِ أَرْبَعًا وَفِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ وَفِي الْخَوْفِ رَكْعَةً ‏

اخبرنا عمرو بن علي، قال حدثنا يحيى، وعبد الرحمن، قالا حدثنا ابو عوانة، عن بكير بن الاخنس، عن مجاهد، عن ابن عباس، قال فرضت الصلاة على لسان النبي صلى الله عليه وسلم في الحضر اربعا وفي السفر ركعتين وفي الخوف ركعة ‏


It was narrated that Ibn 'Abbas said:
"The Salah was enjoined on the lips of the Prophet (ﷺ), four Rak'ahs while resident, and two while traveling, and one Rak'ah during times of fear."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৩/ নামাজ কেমন করে ফরজ হয়েছে?

৪৫৮। ইউসুফ ইবনু সা’ঈদ (রহঃ) ... উমাইয়া ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু খালিদ ইবনু উসায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কসরের সালাত কেমন করে আদায় করেন? আল্লাহ্‌ তো বলেন, "তোমরা যদি (কাফিরদের) ভয়ের আশংকা কর তাহলে সালাত কসর করলে গুনাহ হবে না।" ইবনু উমর (রাঃ) বললেনঃ ভাতিজা! রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আবির্ভাব আমাদের মধ্যে এমন অবস্থায় হয়েছে যে, তখন আমরা পথভ্রষ্ট ছিলাম। তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দান করেছেন। তাঁর শিক্ষার মধ্যে এও ছিল যে, আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সফরে সালাত দুই রাকআত করে আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শু’আইসী বলেছেন, ইমাম যুহ্‌রী আবদুল্লাহ্‌ ইবনু আবূ বকর (রাঃ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করতেন।

أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الشُّعَيْثِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدِ بْنِ أَسِيدٍ، أَنَّهُ قَالَ لاِبْنِ عُمَرَ كَيْفَ تَقْصُرُ الصَّلاَةَ وَإِنَّمَا قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏فَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ‏)‏ فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ يَا ابْنَ أَخِي إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَتَانَا وَنَحْنُ ضُلاَّلٌ فَعَلَّمَنَا فَكَانَ فِيمَا عَلَّمَنَا أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَمَرَنَا أَنْ نُصَلِّيَ رَكْعَتَيْنِ فِي السَّفَرِ ‏.‏ قَالَ الشُّعَيْثِيُّ وَكَانَ الزُّهْرِيُّ يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ ‏

اخبرنا يوسف بن سعيد، قال حدثنا حجاج بن محمد، قال حدثنا محمد بن عبد الله الشعيثي، عن عبد الله بن ابي بكر بن الحارث بن هشام، عن امية بن عبد الله بن خالد بن اسيد، انه قال لابن عمر كيف تقصر الصلاة وانما قال الله عز وجل ‏(‏فليس عليكم جناح ان تقصروا من الصلاة ان خفتم‏)‏ فقال ابن عمر يا ابن اخي ان رسول الله صلى الله عليه وسلم اتانا ونحن ضلال فعلمنا فكان فيما علمنا ان الله عز وجل امرنا ان نصلي ركعتين في السفر ‏.‏ قال الشعيثي وكان الزهري يحدث بهذا الحديث عن عبد الله بن ابي بكر ‏


It was narrated that Umayyah bin 'Abdullah bin Khalid bin Asid said to Ibn 'Umar:
"How can the Salah be shortened as Allah says: There is no sin on you if you shorten As-Salah (the prayer) if you are in fear?" [1] Ibn 'Umar said: "O son of my brother! The Messenger of Allah (ﷺ) came to us when we had gone astray and he taught us. One of the things that he taught us was that Allah, the Mighty and Sublime, has commanded us to pray two Rak'ahs when traveling."

[1] An-Nisa' 4:101.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৪/ দিনে ও রাতে কত ওয়াক্ত নামাজ ফরয হয়েছে?

৪৫৯। কুতায়বা (রহঃ) ... তাল্‌হা ইবনু উবায়দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নজদ এলাকার অধিবাসী একটি লোক রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসল। তার মাথার চুল ছিল এলোমেলো। তার গুন গুন আওয়াজ শুনছিলাম কিন্তু সে কি বলছিল তা আমরা বুঝতে পারছিলাম না। সে আরো নিকটবর্তী হল এবং লক্ষ্য করা গেল যে, ইসলাম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, রাত-দিনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত তোমার জন্য ফরয। সে জিজ্ঞাসা করল, এগুলো ব্যতীত আমার উপর আরো (অতিরিক্ত করণীয়) কিছু আছে কি? তিনি বললেন, না, তবে নফল পড়তে পার। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আর রমযানের এক মাসের সিয়াম।

সে জিজ্ঞাসা করল, এ ছাড়া আমার উপর আরো (সিয়াম) আছে কি? তিনি বললেন, না, তবে নফল (সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করতে পার। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যাকাতের কথা বললেন। সে জিজ্ঞাসা করল, তা ছাড়া আমার উপর আরো কোন (দানের হুকুম) আছে কি? তিনি বললেন, না, তবে নফল (দান) করতে পার। তারপরে সে ব্যাক্তি এই কথা বলতে বলতে চলে গেলঃ “আল্লাহ্‌র শপথ! আমি এই (হুকুম)-গুলোর উপর অতিরিক্ত কিছু করব না এবং এগুলো থেকে কমও করব না। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সফল হয়ে গেল যদি তার কথায় সত্যবাদী হয়।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ، يَقُولُ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَهْلِ نَجْدٍ ثَائِرَ الرَّأْسِ نَسْمَعُ دَوِيَّ صَوْتِهِ وَلاَ نَفْهَمُ مَا يَقُولُ حَتَّى دَنَا فَإِذَا هُوَ يَسْأَلُ عَنِ الإِسْلاَمِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خَمْسُ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُنَّ قَالَ ‏"‏ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَصِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهُ قَالَ ‏"‏ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ‏"‏ ‏.‏ وَذَكَرَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الزَّكَاةَ قَالَ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا قَالَ ‏"‏ لاَ إِلاَّ أَنْ تَطَّوَّعَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَدْبَرَ الرَّجُلُ وَهُوَ يَقُولُ وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُ عَلَى هَذَا وَلاَ أَنْقُصُ مِنْهُ ‏.‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا قتيبة، عن مالك بن انس، عن ابي سهيل، عن ابيه، انه سمع طلحة بن عبيد الله، يقول جاء رجل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم من اهل نجد ثاىر الراس نسمع دوي صوته ولا نفهم ما يقول حتى دنا فاذا هو يسال عن الاسلام فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ خمس صلوات في اليوم والليلة ‏"‏ ‏.‏ قال هل على غيرهن قال ‏"‏ لا الا ان تطوع ‏"‏ ‏.‏ قال ‏"‏ وصيام شهر رمضان ‏"‏ ‏.‏ قال هل على غيره قال ‏"‏ لا الا ان تطوع ‏"‏ ‏.‏ وذكر له رسول الله صلى الله عليه وسلم الزكاة قال هل على غيرها قال ‏"‏ لا الا ان تطوع ‏"‏ ‏.‏ فادبر الرجل وهو يقول والله لا ازيد على هذا ولا انقص منه ‏.‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ افلح ان صدق ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Suhail, from his fatehr, that he heard Talhah bin 'Ubaidullah say:
"A man from the people of Najd came to the Messenger of Allah (ﷺ) with unkempt hair. We could hear him talking loudly but we could not understand what he was saying until he came closer. He was asking about Islam. The Messenger of Allah (ﷺ) said to him: 'Five prayers each day and night.' He said: 'Do I have to do anything else' He said: 'No, unless you do it voluntarily.' He said: 'And fasting the month of Ramadan.' He said: 'Do I have to do anything else?' He said: 'No, unless you do it voluntarily.' And the Messenger of Allah (ﷺ) mentioned Zakah to him, and he said: 'Do I have to do anything else?' He said: 'No, unless you do it voluntarily.' The man left saying: 'By Allah, I will not do any more than this or any less.' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'He will achieve salvation, if he is speaking the truth.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬০

পরিচ্ছেদঃ ৪/ দিনে ও রাতে কত ওয়াক্ত নামাজ ফরয হয়েছে?

৪৬০। কুতায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর বান্দাদের উপর কত ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন? তিনি উত্তরে বললেন, আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। সে ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! এগুলোর আগে ও পরে আরো কিছু (করণীয়) আছে কি? তিনি বললেন, আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। তারপর সে ব্যাক্তি শপথ করে বলল যে, সে এগুলোর চেয়ে অতিরিক্ত কিছু করবে না এবং কমও করবে না। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে যদি সত্যবাদী হয় তাহলে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَمِ افْتَرَضَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى عِبَادِهِ مِنَ الصَّلَوَاتِ قَالَ ‏"‏ افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ صَلَوَاتٍ خَمْسًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ قَبْلَهُنَّ أَوْ بَعْدَهُنَّ شَيْئًا قَالَ ‏"‏ افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ صَلَوَاتٍ خَمْسًا ‏"‏ ‏.‏ فَحَلَفَ الرَّجُلُ لاَ يَزِيدُ عَلَيْهِ شَيْئًا وَلاَ يَنْقُصُ مِنْهُ شَيْئًا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا قتيبة، قال حدثنا نوح بن قيس، عن خالد بن قيس، عن قتادة، عن انس، قال سال رجل رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله كم افترض الله عز وجل على عباده من الصلوات قال ‏"‏ افترض الله على عباده صلوات خمسا ‏"‏ ‏.‏ قال يا رسول الله هل قبلهن او بعدهن شيىا قال ‏"‏ افترض الله على عباده صلوات خمسا ‏"‏ ‏.‏ فحلف الرجل لا يزيد عليه شيىا ولا ينقص منه شيىا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان صدق ليدخلن الجنة ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Anas said:
"A man asked the Messenger of Allah (ﷺ): 'O Messenger of Allah, how many prayers has Allah enjoined upon His slaves?' He said: 'Allah has enjoined upon His slaves (five) prayers.' He said: 'O Messenger of Allah, is there anything before them or after them?' He said: 'Allah has enjoined upon His salves (five) prayers.' The man swore that he would not do anything more or less than that. The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'If he is speaking the truth he will most certainly enter Paradise.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬১

পরিচ্ছেদঃ ৫/ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপর বাই'আত গ্রহণ করা জরুরি

৪৬১। আমর ইবনু মানসুর (রহঃ) ... আওফ ইবনু মালিক আশজাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা কি আল্লাহ্‌র রাসূলের নিকট বায়আত গ্রহন করবে না? এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন। আমরা হাত বাড়িয়ে দিলাম এবং তাঁর নিকট বায়আত গ্রহন করলাম। তারপর আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! আমরা তো পুর্বেই আপনার নিকট বায়’আত হয়েছি, তবে এ বায়’আত কোন্‌ বিষয়ের উপর? তিনি বললেনঃ এ বায়’আত হল এ কথার উপর যে, তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদত করবে এবং তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে। তারপর আস্তে করে মৃদু স্বরে বললেনঃ মানুষের নিকট কিছু চাইবে না।

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الْخَوْلاَنِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنَا الْحَبِيبُ الأَمِينُ، عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ قَالَ كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ أَلاَ تُبَايِعُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ‏.‏ فَرَدَّدَهَا ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَقَدَّمْنَا أَيْدِيَنَا فَبَايَعْنَاهُ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ بَايَعْنَاكَ فَعَلاَمَ قَالَ ‏"‏ عَلَى أَنْ تَعْبُدُوا اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَالصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ وَأَسَرَّ كَلِمَةً خَفِيَّةً أَنْ لاَ تَسْأَلُوا النَّاسَ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا عمرو بن منصور، قال حدثنا ابو مسهر، قال حدثنا سعيد بن عبد العزيز، عن ربيعة بن يزيد، عن ابي ادريس الخولاني، عن ابي مسلم الخولاني، قال اخبرنا الحبيب الامين، عوف بن مالك الاشجعي قال كنا عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ الا تبايعون رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ‏.‏ فرددها ثلاث مرات فقدمنا ايدينا فبايعناه فقلنا يا رسول الله قد بايعناك فعلام قال ‏"‏ على ان تعبدوا الله ولا تشركوا به شيىا والصلوات الخمس واسر كلمة خفية ان لا تسالوا الناس شيىا ‏"‏ ‏.‏


'Awf bin Malik Al-Ashja'i said:
"We were with the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: 'Will you not pledge to the Messenger of Allah (ﷺ)?' And he repeated it three times. So we stretched forth our hands to give our pledge. We said: 'O Messenger of Allah, we are willing to give you our pledge, but on what?' He said: 'That you will worship Allah and not associate anything with him, and (offer) the five daily prayers.' And he said, very quietly: 'And you will not ask the people for anything.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আউফ ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬২

পরিচ্ছেদঃ ৬/ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হেফাজত করা

৪৬২। কুতায়বা (রহঃ) ... ইবনু মুহায়রিয (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুখ্‌দাজী নামক বনূ কিনানার জনৈক ব্যাক্তি আবূ মুহাম্মদ নামক এক ব্যাক্তিকে সিরিয়ায় বলতে শুনেছেন যে, বিতরের সালাত ওয়াজিব। মুখদাজী বলেন, আমি এ কথা শুনে উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। আমি যখন তাঁর নিকট পৌঁছি তখন তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে আবূ মুহাম্মদের বক্তব্য শুনালাম। উবাদা (রাঃ) বললেনঃ আবূ মুহাম্মদ ভুল বলেছেন। আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ্‌ তা’আলা বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন। যে ব্যাক্তি এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে এবং এগুলোর মধ্যে কোন সালাত হালকা জ্ঞানে ছেড়ে দেবে না, তার জন্য আল্লাহ্‌র ওয়াদা হল- তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। যে ব্যাক্তি এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে না, তার জন্য আল্লাহ্‌র কোন ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিতে পারেন, আবার ইচ্ছা করলে জান্নাতেও প্রবেশ করাতে পারেন।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ بَنِي كِنَانَةَ يُدْعَى الْمُخْدَجِيَّ سَمِعَ رَجُلاً، بِالشَّامِ يُكْنَى أَبَا مُحَمَّدٍ يَقُولُ الْوِتْرُ وَاجِبٌ ‏.‏ قَالَ الْمُخْدَجِيُّ فَرُحْتُ إِلَى عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ فَاعْتَرَضْتُ لَهُ وَهُوَ رَائِحٌ إِلَى الْمَسْجِدِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ فَقَالَ عُبَادَةُ كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ خَمْسُ صَلَوَاتٍ كَتَبَهُنَّ اللَّهُ عَلَى الْعِبَادِ مَنْ جَاءَ بِهِنَّ لَمْ يُضَيِّعْ مِنْهُنَّ شَيْئًا اسْتِخْفَافًا بِحَقِّهِنَّ كَانَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يَأْتِ بِهِنَّ فَلَيْسَ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ أَدْخَلَهُ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏

اخبرنا قتيبة، عن مالك، عن يحيى بن سعيد، عن محمد بن يحيى بن حبان، عن ابن محيريز، ان رجلا، من بني كنانة يدعى المخدجي سمع رجلا، بالشام يكنى ابا محمد يقول الوتر واجب ‏.‏ قال المخدجي فرحت الى عبادة بن الصامت فاعترضت له وهو راىح الى المسجد فاخبرته بالذي قال ابو محمد فقال عبادة كذب ابو محمد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ خمس صلوات كتبهن الله على العباد من جاء بهن لم يضيع منهن شيىا استخفافا بحقهن كان له عند الله عهد ان يدخله الجنة ومن لم يات بهن فليس له عند الله عهد ان شاء عذبه وان شاء ادخله الجنة ‏"‏ ‏


It was narrated from Ibn Muhairiz that a man from Banu Kinanah who was called Al-Mukhdaji heard a man in Ash-Sham, who was known as Abu Muhammad, saying that Witr was obligatory. Al-Mukhdaji said:
"In the morning I went to 'Ubadah bin As-Samit, and I met him while he was on his way to the Masjid. I told him what Abu Muhammad said, and 'Ubadah said: 'Abu Muhammad is wrong. I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Five prayers are those that Allah has decreed for (His) slaves, whoever does them, and does not neglect any of them out of disregard toward them, will have a promise from Allah that He will admit him to Paradise. And whoever does not to them will have no such promise from Allah; if He wills he will punish him and if He wills He will admit him to Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু মুহায়রিয (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৭/ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত প্রসঙ্গে

৪৬৩। কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারো গৃহদ্বারে যদি নহর (প্রবাহিত) থাকে এবং সে যদি তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তবে কি তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকতে পারে? সাহাবায়ে কিরাম বললেন, না, তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে না। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দৃষ্টান্তও এরূপ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের দ্বারা আল্লাহ্‌ গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেন।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ.‏"‏ قَالُوا لَا يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ قَالَ فَكَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا

اخبرنا قتيبة، قال حدثنا الليث، عن ابن الهاد، عن محمد بن ابراهيم، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ارايتم لو ان نهرا بباب احدكم يغتسل منه كل يوم خمس مرات هل يبقى من درنه شىء.‏"‏ قالوا لا يبقى من درنه شيء قال فكذلك مثل الصلوات الخمس يمحو الله بهن الخطايا


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Do you think that is there was a river by the door of any one of you, and he bathed in it five times each day, would there be any trace of dirt left on him?" They said: "No trace of dirt would be left on him." He said: "That is the likeness of the five daily prayers. By means of them Allah erases sins."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৮/ নামাজ পরিত্যাগকারী সম্পর্কে বিধান

৪৬৪। হুসায়ন ইবনু হুরায়স (রহঃ) ... বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের এবং কাফিরদের মধ্যে পার্থক্যকারী আমল হল সালাত। যে সালাত ছেড়ে দিল সে কুফরী করল।

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ الْعَهْدَ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلاَةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا الحسين بن حريث، قال انبانا الفضل بن موسى، عن الحسين بن واقد، عن عبد الله بن بريدة، عن ابيه، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from 'Abdullah bin Buraidah that his father said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The covenant that stands between us and them is the Salah; whoever abandons it, he has committed disbelief.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৮/ নামাজ পরিত্যাগকারী সম্পর্কে বিধান

৪৬৫। আহমদ ইবনু হারব (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সালাত ছেড়ে দেওয়া ব্যতীত বান্দা ও কুফরের মাঝে কোন অন্তরায়ই নেই।

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَيْسَ بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ إِلاَّ تَرْكُ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا احمد بن حرب، حدثنا محمد بن ربيعة، عن ابن جريج، عن ابي الزبير، عن جابر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ليس بين العبد وبين الكفر الا ترك الصلاة ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Jabir said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'There is nothing between a person and disbelief except abandoning Salah.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৯/ নামাজের হিসাব নিকাশ প্রসঙ্গে

৪৬৬। আবূ দাঊদ (রহঃ) ... হুরায়স ইবনু কাবীসাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি মদিনা এসে আল্লাহ্‌র নিকট দোয়া করি, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে একজন সৎ সঙ্গী দান করুন। তারপর আমি এসে আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর মজলিসে বসলাম এবং তাঁকে বললাম যে, আমি মহান আল্লাহ্‌র নিকট একজন সৎ সঙ্গী পাওয়ার জন্য দোয়া করেছি। অতএব আপনি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট থেকে শোনা এমন একটি হাদিস আমাকে বর্ণনা করুন যা দ্বারা আল্লাহ্‌ আমাকে উপকৃত করবেন।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম তাঁর বান্দা থেকে সালাতের হিসাব নেওয়া হবে। সালাত যথাযথভাবে আদায় হয়ে থাকলে সে সফল হবে ও মুক্তি পাবে। সালাত যথাযথ আদায় না হয়ে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হবে। হাম্মাম বলেন, ’আমি জানি না- এটা কাতাদার কথা না হাদিসের অংশ। যদি ফরয সালাত কিছু কম হয়ে থাকে তবে আল্লাহ্‌ (ফেরেশতাদের) বলবেন, আমার বান্দার কোন নফল সালাত আছে কি না? থাকলে তা দ্বারা ফরয পূর্ণ করে দেওয়া হবে। এরপর অন্যান্য আমলের ব্যাপারেও একই অবস্থা হবে।

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَارُونُ، - هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ الْخَزَّازُ - قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حُرَيْثِ بْنِ قَبِيصَةَ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ قَالَ قُلْتُ اللَّهُمَّ يَسِّرْ لِي جَلِيسًا صَالِحًا فَجَلَسْتُ إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ - رضى الله عنه - قَالَ فَقُلْتُ إِنِّي دَعَوْتُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يُيَسِّرَ لِي جَلِيسًا صَالِحًا فَحَدِّثْنِي بِحَدِيثٍ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَنِي بِهِ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ بِصَلاَتِهِ فَإِنْ صَلَحَتْ فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَمَّامٌ لاَ أَدْرِي هَذَا مِنْ كَلاَمِ قَتَادَةَ أَوْ مِنَ الرِّوَايَةِ ‏"‏ فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَىْءٌ قَالَ انْظُرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ فَيُكَمَّلُ بِهِ مَا نَقَصَ مِنَ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى نَحْوِ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ خَالَفَهُ أَبُو الْعَوَّامِ ‏.‏

اخبرنا ابو داود، قال حدثنا هارون، - هو ابن اسماعيل الخزاز - قال حدثنا همام، عن قتادة، عن الحسن، عن حريث بن قبيصة، قال قدمت المدينة قال قلت اللهم يسر لي جليسا صالحا فجلست الى ابي هريرة - رضى الله عنه - قال فقلت اني دعوت الله عز وجل ان ييسر لي جليسا صالحا فحدثني بحديث سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم لعل الله ان ينفعني به ‏.‏ قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ ان اول ما يحاسب به العبد بصلاته فان صلحت فقد افلح وانجح وان فسدت فقد خاب وخسر ‏"‏ ‏.‏ قال همام لا ادري هذا من كلام قتادة او من الرواية ‏"‏ فان انتقص من فريضته شىء قال انظروا هل لعبدي من تطوع فيكمل به ما نقص من الفريضة ثم يكون ساىر عمله على نحو ذلك ‏"‏ ‏.‏ خالفه ابو العوام ‏.‏


It was narrated that Huraith bin Qabisah said:
"I arrived in Al-Madinah and said: 'O Allah, make it easy for me to find a righteous companion.' Then I sat with Abu Hurairah, may Allah be pleased with him, and said: 'I prayed to Allah to help me find a righteous companion.' So tell me a Hadith that you heard from the Messenger of Allah (ﷺ), so that Allah might benefit me from it. He said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "The first thing for which a person will be brought to account will be his Salah. If it is sound then he will have succeeded, be salvaged, but if it is not then he will have lost and be doomed." - (One of the narrators) Hammam said: "I do not know whether this was the words of Qatadah or part of the report." - "If anything is lacking from his obligatory prayers, He will say: 'Look and see whether My slave has any voluntary prayers to make up for what is deficient from his obligatory prayers.' Then all of his deeds will be dealt with in like manner."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৯/ নামাজের হিসাব নিকাশ প্রসঙ্গে

৪৬৭। আবূল আওয়াম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষের আমলের মধ্যে সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব-নিকাশ নেওয়া হবে। যদি সালাত পরিপূর্ণ রূপে পাওয়া যায়, তবে তা পরিপূর্ণ লেখা হবে। যদি কিছু কম পাওয়া যায়, তাহলে আল্লাহ্‌ বলবেন, তার নফল সালাত কিছু আছে কি না? (যদি থাকে) এগুলোর দ্বারা ফরয সালাতের ক্ষতিপূরণ করে দেওয়া হবে। তারপর অন্যান্য আমলের ক্ষেত্রেও এরূপ করা হবে।

أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، - يَعْنِي ابْنَ زِيَادِ بْنِ مَيْمُونٍ - قَالَ كَتَبَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ عَنْهُ - أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَوَّامِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَلاَتُهُ فَإِنْ وُجِدَتْ تَامَّةً كُتِبَتْ تَامَّةً وَإِنْ كَانَ انْتَقَصَ مِنْهَا شَىْءٌ قَالَ انْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ لَهُ مِنْ تَطَوُّعٍ يُكَمِّلُ لَهُ مَا ضَيَّعَ مِنْ فَرِيضَةٍ مِنْ تَطَوُّعِهِ ثُمَّ سَائِرُ الأَعْمَالِ تَجْرِي عَلَى حَسَبِ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا ابو داود، قال حدثنا شعيب، - يعني ابن زياد بن ميمون - قال كتب علي بن المديني عنه - اخبرنا ابو العوام، عن قتادة، عن الحسن، عن ابي رافع، عن ابي هريرة، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ان اول ما يحاسب به العبد يوم القيامة صلاته فان وجدت تامة كتبت تامة وان كان انتقص منها شىء قال انظروا هل تجدون له من تطوع يكمل له ما ضيع من فريضة من تطوعه ثم ساىر الاعمال تجري على حسب ذلك ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said:
"The first thing for which a person will be brought to account on the Day of Resurrection will be his Salah. If it is found to be complete then it will be recorded as complete, and if anything is lacking He will say: 'Look and see if you can find any voluntary prayers with which to complete what he neglected of his obligatory prayers.' Then the rest of his deeds will be reckoned in like manner."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
৪৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৯/ নামাজের হিসাব নিকাশ প্রসঙ্গে

৪৬৮। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন বান্দার থেকে সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নেয়া হবে। সালাত পুরোপুরি আদায় করে থাকলে তো ভাল কথা, অন্যথায় আল্লাহ্‌ তা’আলা বলবেন, দেখ, আমার বান্দার কোন নফল সালাত আছে কি না? নফল সালাত থাকলে বলবেন, এই নফল সালাত দ্বারা ফরয সালাত পূর্ণ করে দাও।

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنِ الأَزْرَقِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَوَّلُ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ صَلاَتُهُ فَإِنْ كَانَ أَكْمَلَهَا وَإِلاَّ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ انْظُرُوا لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ فَإِنْ وُجِدَ لَهُ تَطَوُّعٌ قَالَ أَكْمِلُوا بِهِ الْفَرِيضَةَ ‏"‏ ‏.‏

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم، قال حدثنا النضر بن شميل، قال انبانا حماد بن سلمة، عن الازرق بن قيس، عن يحيى بن يعمر، عن ابي هريرة، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اول ما يحاسب به العبد صلاته فان كان اكملها والا قال الله عز وجل انظروا لعبدي من تطوع فان وجد له تطوع قال اكملوا به الفريضة ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"The first thing for which a person will be brought to account will be his Salah. If it is complete (all well and good), otherwise Allah will say: 'Look and see if My slave did any voluntary prayer.' If he is found to have done voluntary prayers, his obligatory prayers will be completed therewith."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ নামাজ প্রসঙ্গে (كتاب الصلاة) 5/ The Book of Salah
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »