সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ)
১৪২৮

পরিচ্ছেদঃ যার উপর দন্ডবিধি আরোপিত হয় না।

১৪২৮. মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়া কুতা’ঈ (রহঃ) ...... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তিন ব্যক্তির উপর থেকে দন্ডবিধি রহিত করে দেওয়া হয়েছে, ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, শিশু যতক্ষন না সাবালক হয়, বেহুশ ব্যক্তি যতক্ষণ না তার হুশ ফিরে এসেছে। - ইবনু মাজাহ ২০৪১, ২০৪২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু -এর বরাতে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। কেউ কেউعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَشِبَّ এর স্থলেعَنِ الْغُلاَمِ حَتَّى يَحْتَلِمَ উল্লেখ করেছেন। হাসান (রহঃ) সরাসরি আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে কিছু শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। এই হাদীসটি আতা ইবনু সাঈব-আবূ যাবয়ান-আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। আ’মাশ-আবূ যাবয়াম-ইবনু আব্বাস-আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে মাওকুফরূপে এটি বর্ণিত হয়েছে। এই সূত্রে এটিকে মারফু’ করা হয়নি।

এই হাদীস অনুসারে আলিমগণের আমল রয়েছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাসান (রহঃ) আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু -এর সময়কাল পেয়েছেন কিন্তু তিনি তাঁর কাছ থেকে কিছু শুনেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আবূ যাবয়ান (রহঃ) এর নাম হল হুসায়ন ইবনু জুন্দুব।

باب مَا جَاءَ فِيمَنْ لاَ يَجِبُ عَلَيْهِ الْحَدُّ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْقُطَعِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَشِبَّ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ ‏"‏ وَعَنِ الْغُلاَمِ حَتَّى يَحْتَلِمَ ‏"‏ ‏.‏ وَلاَ نَعْرِفُ لِلْحَسَنِ سَمَاعًا عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ وَرَوَاهُ الأَعْمَشُ عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عَلِيٍّ مَوْقُوفًا وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى قَدْ كَانَ الْحَسَنُ فِي زَمَانِ عَلِيٍّ وَقَدْ أَدْرَكَهُ وَلَكِنَّا لاَ نَعْرِفُ لَهُ سَمَاعًا مِنْهُ وَأَبُو ظَبْيَانَ اسْمُهُ حُصَيْنُ بْنُ جُنْدَبٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن يحيى القطعي البصري، حدثنا بشر بن عمر، حدثنا همام، عن قتادة، عن الحسن البصري، عن علي، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ رفع القلم عن ثلاثة عن الناىم حتى يستيقظ وعن الصبي حتى يشب وعن المعتوه حتى يعقل ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عاىشة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث علي حديث حسن غريب من هذا الوجه وقد روي من غير وجه عن علي عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وذكر بعضهم ‏"‏ وعن الغلام حتى يحتلم ‏"‏ ‏.‏ ولا نعرف للحسن سماعا عن علي بن ابي طالب ‏.‏ وقد روي هذا الحديث عن عطاء بن الساىب عن ابي ظبيان عن علي بن ابي طالب عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا الحديث ‏.‏ ورواه الاعمش عن ابي ظبيان عن ابن عباس عن علي موقوفا ولم يرفعه ‏.‏ والعمل على هذا الحديث عند اهل العلم ‏.‏ قال ابو عيسى قد كان الحسن في زمان علي وقد ادركه ولكنا لا نعرف له سماعا منه وابو ظبيان اسمه حصين بن جندب ‏.‏


Narrated 'Ali:
That the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The pen has been lifted from three; for the sleeping person until he awakens, for the boy until he becomes a young man and for the mentally insane until he regains sanity."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪২৯

পরিচ্ছেদঃ হদ প্রতিহত করা প্রসঙ্গে।

১৪২৯. আবদুর রহমান ইবনু আসওয়াদ ও আবূ আমর বাসরী (রহঃ) ...... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা যথা সম্ভব মুসলিমদের থেকে হদ প্রতিহত করার চেষ্টা করবে। সম্ভব হলে, কোন উপায় থাকলে তাকে তার পথে ছেড়ে দিও। কারণ, ইমাম বা কর্তৃপক্ষের শাস্তি প্রদান করে ভুল করা অপেক্ষা ক্ষমা করে ভুল করা শ্রেয়। - মিশকাত ৩৫৭০, ইরওয়া ২৩৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي دَرْءِ الْحُدُودِ ‏.‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زِيَادٍ الدِّمَشْقِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ادْرَءُوا الْحُدُودَ عَنِ الْمُسْلِمِينَ مَا اسْتَطَعْتُمْ فَإِنْ كَانَ لَهُ مَخْرَجٌ فَخَلُّوا سَبِيلَهُ فَإِنَّ الإِمَامَ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعَفْوِ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يُخْطِئَ فِي الْعُقُوبَةِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عبد الرحمن بن الاسود ابو عمرو البصري، حدثنا محمد بن ربيعة، حدثنا يزيد بن زياد الدمشقي، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ادرءوا الحدود عن المسلمين ما استطعتم فان كان له مخرج فخلوا سبيله فان الامام ان يخطى في العفو خير من ان يخطى في العقوبة ‏"‏ ‏.‏


Narrated 'Aishah:
that the Messenger of Allah (ﷺ): "Avert the legal penalties from the Muslims as much as possible, if he has a way out then leave him to his way, for if the Imam makes a mistake in forgiving it would be better than making mistake in punishment."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩০

পরিচ্ছেদঃ হদ প্রতিহত করা প্রসঙ্গে।

১৪৩০. হাসনাদ (রহঃ) ...... ইয়াযীদ ইবনু যিয়াদ (রহঃ) থেকে মুহাম্মদ ইবনু রাবিআ এর অনুরূপ (১৪২৯ নং) হাদীস বর্ণিত আছে। কিন্তু তিনি তা মারফুরূপে বর্ণনা করেন নি। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৪ এর শেষাংশ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। মুহাম্মদ ইবনু রাবীআ-ইয়াযীদ ইবনু যিয়াদ আদ-দিমাশকী-যুহরী-উরওয়া-আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা -নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্র ব্যতিরেকে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত এই হাদীসটি (১৪২৯ নং) মারফু’রূপে বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। ওয়াকী (রহঃ) ও ইয়াযীদ ইবনু যিয়াদ (রহঃ)-এর বরাতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন তবে তিনি এটিকে মারফু’ হিসাবে রিওয়ায়াত করেন নি। ওয়াকি (রহঃ) এর রিওয়ায়াতটই অধিকতর সহীহ। একাধিক সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। তারাও এরূপ কথা বলেছেন। ইয়াযীদ ইবনু দিয়াদ দিমাশকী হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ। আর ইয়াযীদ ইবনু আবী যিয়াদ কুফী হলেন এই ইয়াযীদের তুলনায় অধিকতর আস্থাশীল ও অগ্রগণ্য।

باب مَا جَاءَ فِي دَرْءِ الْحُدُودِ ‏.‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ، نَحْوَ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ الدِّمَشْقِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَرَوَاهُ وَكِيعٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَرِوَايَةُ وَكِيعٍ أَصَحُّ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ نَحْوُ هَذَا عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ قَالُوا مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏ وَيَزِيدُ بْنُ زِيَادٍ الدِّمَشْقِيُّ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْكُوفِيُّ أَثْبَتُ مِنْ هَذَا وَأَقْدَمُ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا وكيع، عن يزيد بن زياد، نحو حديث محمد بن ربيعة ولم يرفعه ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي هريرة، وعبد الله بن عمرو، ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة لا نعرفه مرفوعا الا من حديث محمد بن ربيعة عن يزيد بن زياد الدمشقي عن الزهري عن عروة عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ورواه وكيع عن يزيد بن زياد نحوه ولم يرفعه ورواية وكيع اصح ‏.‏ وقد روي نحو هذا عن غير واحد من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم انهم قالوا مثل ذلك ‏.‏ ويزيد بن زياد الدمشقي ضعيف في الحديث ويزيد بن ابي زياد الكوفي اثبت من هذا واقدم ‏.‏


(Another chain) which is similar to the narration of Muhammad bin Rabi'ah but he did not narrate it in Marfu' form.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩১

পরিচ্ছেদঃ মুসলিমের দোষ ঢেকে রাখা প্রসঙ্গে।

১৪৩১। কুতায়বা (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মুসলিম থেকে দুনিয়ার কোন একটি পেরশোনী দুর করবে আল্লাহ তা’আলা তার আখিরাতের একটি পেরশোনী দুর করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের একটি দোষ গোপন রাখবে আল্লাহ তা’আলা দুনিয়া ও আখিরাতের তার দোষ ঢেকে রাখবেন। আল্লাহ ততক্ষণ কোন বান্দার সাহায্যে থাকবেন যতক্ষণ সে তার এক ভাইয়ের সাহায্যে ব্যস্ত থাকে।

সহীহ ইবনু মাজাহ ২২৫, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে উকবা ইবনু আমির ও ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর এই হাদীসটিকে একাধিক রাবী আ’মাশ-আবূ সালিহ-আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আবূ আওয়ানা (রহঃ)-এর রিওয়ায়াতের (১৪৩১ নং) অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। আসবাত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ও আমাশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আবূ সালিহ (রহঃ)-এর সূত্রেও আমার কাছে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

উবায়দ ইবনু আসবাত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আমাশ (রহঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ فِي السَّتْرِ عَلَى الْمُسْلِمِ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الآخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ عَلَى مُسْلِمٍ سَتَرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَاللَّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَابْنِ عُمَرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ رِوَايَةِ أَبِي عَوَانَةَ ‏.‏
وَرَوَى أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ حُدِّثْتُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَكَأَنَّ هَذَا أَصَحُّ مِنَ الْحَدِيثِ الأَوَّلِ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنِ الأَعْمَشِ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا ابو عوانة، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من نفس عن مومن كربة من كرب الدنيا نفس الله عنه كربة من كرب الاخرة ومن ستر على مسلم ستره الله في الدنيا والاخرة والله في عون العبد ما كان العبد في عون اخيه ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن عقبة بن عامر وابن عمر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة هكذا روى غير واحد عن الاعمش عن ابي صالح عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو رواية ابي عوانة ‏.‏ وروى اسباط بن محمد، عن الاعمش، قال حدثت عن ابي صالح، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه وكان هذا اصح من الحديث الاول حدثنا بذلك عبيد بن اسباط بن محمد قال حدثني ابي عن الاعمش بهذا الحديث ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
That the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever relieves a Muslim of a burden from the burdens of the world, Allah will relieve him of a burden from the burdens of the Hereafter. And whoever covers (the faults of) a Muslim, Allah will cover (his faults) for him in the world and the Hereafter. And Allah is engaged in helping the worshipper as long as the worshipper is engaged in helping his brother."

Asbat bin Muhammad reported it from Al-A'mash who said:
"It has been narrated to me from Abu Salih, from Abu Hurairah, from the Prophet (ﷺ)," and it is similar. [It is as if this is more correct than the first narration.] (Another chain) for this Hadith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩২

পরিচ্ছেদঃ মুসলিমের দোষ ঢেকে রাখা প্রসঙ্গে।

১৪৩২। কুতায়বা (রহঃ) ... সালিম তার পিতা আবদুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। সে তার উপর যুলুম করবে না, তাকে ধ্বংসের জন্য সমর্পণ করবে না। যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রয়োজনে ব্যস্ত থাকে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণে ব্যস্ত থাকেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দুঃখ দুর করে দেয়, আল্লাহ তা’আলা তার কিয়ামতের দিনের কষ্ট দুর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের দোষ গোপন রাখে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার দোষ ঢেকে রাখবেন। সহীহ, সহীহাহ ৫০৪, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই হাদীস হাসান-সহীহ, ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসাবে গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي السَّتْرِ عَلَى الْمُسْلِمِ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ لاَ يَظْلِمُهُ وَلاَ يُسْلِمُهُ وَمَنْ كَانَ فِي حَاجَةِ أَخِيهِ كَانَ اللَّهُ فِي حَاجَتِهِ وَمَنْ فَرَّجَ عَنْ مُسْلِمٍ كُرْبَةً فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن عقيل، عن الزهري، عن سالم، عن ابيه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ المسلم اخو المسلم لا يظلمه ولا يسلمه ومن كان في حاجة اخيه كان الله في حاجته ومن فرج عن مسلم كربة فرج الله عنه كربة من كرب يوم القيامة ومن ستر مسلما ستره الله يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من حديث ابن عمر.‏


Narrated Ibn 'Umar:
That the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The Muslim is the brother of the Muslim, he doesn't oppress him and doesn't put him into ruin, and whoever is concerned for the needs of his brother, Allah is concerned for his needs, and whoever relieves a Muslim of a burden, Allah will relieve him of a burden from the burdens of the Day of Judgement and whoever covers (the faults of) a Muslim, Allah will cover (his faults) on the Day of Judgement."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩৩

পরিচ্ছেদঃ হদের ক্ষেত্রে বারবার বুঝানো।

১৪৩৩। কুতায়বা (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাইয ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বলেছিলেন, তোমার বিষয়ে আমার কাছে যে খবর পৌছেছে তা কি সত্য? মাইয বললেন, আমার সম্পর্কে আপনার কাছে কি খবর এসেছে? তিনি বললেন, আমার কাছে সংবাদ এসেছে যে, তুমি অমুক কবীলার এক দাসীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছ? মাইয বললেন, হ্যাঁ। তারপর মাইয় চারবার শাহাদত সহ অপরাধের স্বীকৃতি দেন। অনন্তর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশে মাইযকে ’রজম’ করা হয়। সহীহ, ইরওয়া ৭/৩৫৫, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে সাইব ইবনু ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান। শু’বা (রহঃ) এই হাদীসটিকে সিমান ইবনু হারব-সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) সূত্রে মূরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। তিনি এতে ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর উল্লেখ করেন নি।

باب مَا جَاءَ فِي التَّلْقِينِ فِي الْحَدِّ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ ‏"‏ أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي قَالَ ‏"‏ بَلَغَنِي أَنَّكَ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ آلِ فُلاَنٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ مُرْسَلاً وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا ابو عوانة، عن سماك بن حرب، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لماعز بن مالك ‏"‏ احق ما بلغني عنك ‏"‏ ‏.‏ قال وما بلغك عني قال ‏"‏ بلغني انك وقعت على جارية ال فلان ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ فشهد اربع شهادات فامر به فرجم ‏.‏ قال وفي الباب عن الساىب بن يزيد ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عباس حديث حسن ‏.‏ وروى شعبة هذا الحديث عن سماك بن حرب عن سعيد بن جبير مرسلا ولم يذكر فيه عن ابن عباس ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
That the Prophet (ﷺ) said to Ma'iz bin Malik: "Is what has reached me about you true?" He said: "What has reached you about me?" He said: "It has reached me that you had relations with the slave-maid of the family of so-and-so" He said: "Yes." So he testified four times, and he gave the order that he be stoned.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩৪

পরিচ্ছেদঃ অপরাধ স্বীকারকারী যদি তার স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে তবে তার উপর হদ প্রয়োগ না করা।

১৪৩৪। আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইয আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন এবং বললেন যে, তিনি যিনা করে ফেলেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনিও ঐ দিকে গিয়ে বললেন যে, তিনি যিনা করে ফেলেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তিনিও সেই দিকে গিয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ তো যিনা করে বসেছে। চতুর্থবারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন। অনন্তর তাকে ’’হাররা’’-এর দিকে বের করে নিয়ে যাওয়া হল এবং পাথর ছুড়ে রজম করা (শুরু) হল। পাথরের আঘাত যখন তাকে স্পর্শ করল তিনি দৌড়ে পালাতে শুরু করলেন। এক ব্যক্তির পাশ দিয়ে তিনি দৌড়ে যাচ্ছিলেন। ঐ ব্যক্তির হাতে ছিল একটি উটের চোয়াল। তা দিয়ে সে তাকে আঘাত করে এবং অজানা লোকেরাও তাকে আঘাত করেন। শেষে তিনি মারা যান। পরে লোকেরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এই কথার আলোচনা করেন যে, পাথরের আঘাত ও মৃত্যুর স্পর্শ পেয়ে মাইয পালাতে গিয়েছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে তোমরা কেন ছেড়ে দিলে না? হাসান সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৫৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই হাদীসটি হাসান। এটি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। এই হাদীসটি আবূ সালামা-জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ فِي دَرْءِ الْحَدِّ عَنِ الْمُعْتَرِفِ إِذَا رَجَعَ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ مَاعِزٌ الأَسْلَمِيُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّهُ قَدْ زَنَى ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ جَاءَ مِنْ شِقِّهِ الآخَرِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى ‏.‏ فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ جَاءَ مِنْ شِقِّهِ الآخَرِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَدْ زَنَى ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ فِي الرَّابِعَةِ فَأُخْرِجَ إِلَى الْحَرَّةِ فَرُجِمَ بِالْحِجَارَةِ فَلَمَّا وَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ فَرَّ يَشْتَدُّ حَتَّى مَرَّ بِرَجُلٍ مَعَهُ لَحْىُ جَمَلٍ فَضَرَبَهُ بِهِ وَضَرَبَهُ النَّاسُ حَتَّى مَاتَ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ فَرَّ حِينَ وَجَدَ مَسَّ الْحِجَارَةِ وَمَسَّ الْمَوْتِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هَلاَّ تَرَكْتُمُوهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَرُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا عبدة بن سليمان، عن محمد بن عمرو، حدثنا ابو سلمة، عن ابي هريرة، قال جاء ماعز الاسلمي الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال انه قد زنى ‏.‏ فاعرض عنه ثم جاء من شقه الاخر فقال يا رسول الله انه قد زنى ‏.‏ فاعرض عنه ثم جاء من شقه الاخر فقال يا رسول الله انه قد زنى ‏.‏ فامر به في الرابعة فاخرج الى الحرة فرجم بالحجارة فلما وجد مس الحجارة فر يشتد حتى مر برجل معه لحى جمل فضربه به وضربه الناس حتى مات فذكروا ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم انه فر حين وجد مس الحجارة ومس الموت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ هلا تركتموه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن وقد روي من غير وجه عن ابي هريرة ‏.‏ وروي هذا الحديث عن الزهري عن ابي سلمة عن جابر بن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
"Ma'iz Al-Aslamu came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said that he had committed adultery, so he (ﷺ) turned away from him. Then he approached from his other side and said: '[O Messenger of Allah!] I have committed adultery.' So he turned away from him. The he came from his other side and said: 'O Messenger of Allah! I have committed adultery.' So he gave the order (for stoning) upon the fourth time. He was taken to Al-Harrah and stoned with rocks, he ran swiftly until he passed a man with a camel whip who beat him with it, and the people beat him until he died. They mentioned to the Messenger of Allah (ﷺ), that he ran upon feeling the rocks at the time of death. So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Why didn't you leave him?'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩৫

পরিচ্ছেদঃ অপরাধ স্বীকারকারী যদি তার স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে তবে তার উপর হদ প্রয়োগ না করা।

১৪৩৫। হাসান ইবনু আলী খাললাল (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে যিনায় পতিত হওয়ার স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু তিনি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। পুনরায় সে তার নিজের অপরাধের স্বীকৃতি প্রকাশ করে। কিন্তু তিনি (এই বারও) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এমনকি এই লোকটি শেষে নিজের বিষয়ে চারবার শাহাদাত সহ স্বীকৃতি প্রকাশ করে। অনন্তর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার মাঝে কি পাগলামী আছে? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি কি বিবাহিত? সে বলল, হ্যাঁ। শেষে তিনি নির্দেশ দিলেন এবং এ প্রেক্ষিতে ঈদগাহে তাকে ’’রজম’’ করা হয়। তাকে যখন পাথরের আঘাত স্পর্শ করতে লাগল তখন তিনি পালাইতে চাইলেন। কিন্তু তিনি ধরা পড়লেন এবং ’’রজম’’ প্রয়োগে মারা যান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে সপ্রশংস ও ভাল আলোচনা করেন। কিন্তু নিজে তার সালাতুল জানাযা আদায় করেন নি। সহীহ, ইরওয়া ৭/৩৫৩, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪২৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। এতদনুসারে কতক আলিমের আমল রয়েছে যে, যিনার স্বীকৃতি দানকারী যদি চারবার শাহাদাত সহ স্বীয় অপরাধ স্বীকার করে তবে তার উপর হদ প্রয়োগ করা হবে। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত। কতক আলিম বলেন, যদি একবারও কেউ স্বীয় অপরাধ স্বীকার করে নেয় তার উপর হদ প্রয়োগ করা যাবে। এ হল ইমাম মালিক ইবনু আনাস ও শাফিঈ (রহঃ)-এর অভিমত। এই বক্তব্য প্রদানকারীর দলিল হল আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণিত রিওয়ায়াতটি। একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে দুই ব্যক্তি অভিযোগ নিয়ে হাযির হয়। তাদের একজন বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমার ছেলে এই ব্যক্তির স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করে বসেছে। ... দীর্ঘ এই হাদীসে আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হে উনায়স, ভোরেই এই ব্যক্তির স্ত্রীর নিকট যাও। সে যদি যিনার কথা স্বীকার করে তবে তাদের দুজনকে ’’রজম’’ বিধান করবে। এই হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেননি যে, যদি সে চারবার স্বীকার করে তবে ...।

باب مَا جَاءَ فِي دَرْءِ الْحَدِّ عَنِ الْمُعْتَرِفِ إِذَا رَجَعَ ‏.‏

حَدَّثَنَا بِذَلِكَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَسْلَمَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاعْتَرَفَ بِالزِّنَا فَأَعْرَضَ عَنْهُ ثُمَّ اعْتَرَفَ فَأَعْرَضَ عَنْهُ حَتَّى شَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبِكَ جُنُونٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَحْصَنْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ بِالْمُصَلَّى فَلَمَّا أَذْلَقَتْهُ الْحِجَارَةُ فَرَّ فَأُدْرِكَ فَرُجِمَ حَتَّى مَاتَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيْرًا وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْمُعْتَرِفَ بِالزِّنَا إِذَا أَقَرَّ عَلَى نَفْسِهِ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ أُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدُّ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَقَرَّ عَلَى نَفْسِهِ مَرَّةً أُقِيمَ عَلَيْهِ الْحَدُّ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ ‏.‏ وَحُجَّةُ مَنْ قَالَ هَذَا الْقَوْلَ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ أَنَّ رَجُلَيْنِ اخْتَصَمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَحَدُهُمَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنِي زَنَى بِامْرَأَةِ هَذَا الْحَدِيثَ بِطُولِهِ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اغْدُ يَا أُنَيْسُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ فَإِنِ اعْتَرَفَتْ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ ‏.‏

حدثنا بذلك الحسن بن علي الخلال، حدثنا عبد الرزاق، انبانا معمر، عن الزهري، عن ابي سلمة بن عبد الرحمن، عن جابر بن عبد الله، ان رجلا، من اسلم جاء الى النبي صلى الله عليه وسلم فاعترف بالزنا فاعرض عنه ثم اعترف فاعرض عنه حتى شهد على نفسه اربع شهادات فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ابك جنون ‏"‏ ‏.‏ قال لا ‏.‏ قال ‏"‏ احصنت ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏ قال فامر به فرجم بالمصلى فلما اذلقته الحجارة فر فادرك فرجم حتى مات فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم خيرا ولم يصل عليه ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل على هذا الحديث عند بعض اهل العلم ان المعترف بالزنا اذا اقر على نفسه اربع مرات اقيم عليه الحد وهو قول احمد واسحاق ‏.‏ وقال بعض اهل العلم اذا اقر على نفسه مرة اقيم عليه الحد وهو قول مالك بن انس والشافعي ‏.‏ وحجة من قال هذا القول حديث ابي هريرة وزيد بن خالد ان رجلين اختصما الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال احدهما يا رسول الله ان ابني زنى بامراة هذا الحديث بطوله وقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اغد يا انيس على امراة هذا فان اعترفت فارجمها ‏"‏ ‏.‏ ولم يقل فان اعترفت اربع مرات ‏.‏


Narrated Jabir bin 'Abdullah:
"A man from the tribe of Aslam came to the Prophet (ﷺ) and confessed adultery. He turned away from him, the he confessed (again). Then he turned away from him (again) until he had testified against himself four times. So the Prophet (ﷺ) said: "Are you insane?" He said:"No" He said: "Are you married?" He said: "Yes". So he gave the order and he was stoned at the Musalla. He ran when he was stuck by the stones, and he was caught and stoned until he died. So the Messenger of Allah (ﷺ) spoke well of him but he did not perform the (funeral) Salat for him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩৬

পরিচ্ছেদঃ হদের ব্যাপারে সুপারিশ করা ঠিক নয়।

১৪৩৬। কুতায়বা (রহঃ) ... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, মাখযুমী গোত্রের যে মহিলাটি চুরি করেছিল তার বিষয়টি কুরায়শদের খুবই উদ্বিগ্ন করে তোলে। তারা নিজেদের মধ্যে বলল, এই বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কথা বলবার মত কে আছে? কেউ কেউ বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একান্ত প্রিয় পাত্র উসামা ইবনু যায়দ ব্যতীত আর কেউ সাহস পাবে না। তারপর উসামা এই বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কথা বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি আমার কাছে আল্লাহ নির্ধরিত হদসমূহের অন্যতম হদ সম্পর্কে সুপারিশ করছ? এরপর তিনি দাঁড়ালেন এবং খুতবা দিয়ে বললেন, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এই জন্যই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল যে, তাদের মধ্যে প্রতিপত্তিশালী ভদ্র ঘরের কেউ যদি চুরি করত তবে তারা তাকে ছেড়ে দিত আর দুর্বল কোন ব্যক্তি চুরি করলে তার উপর হদ প্রয়োগ করত। আল্লাহর কসম, মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও যদি চুরি করত তবুও আমি অবশ্যই তার হাত কাটতাম। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৪৭, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে মাসঊদ ইবনুল আজমা ইনি বর্ণনান্তরে ইবনুল আ’জাম বলে কথিত-ইবনু উমার ও জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ أَنْ يُشْفَعَ فِي الْحُدُودِ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ قُرَيْشًا، أَهَمَّهُمْ شَأْنُ الْمَرْأَةِ الْمَخْزُومِيَّةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقَالُوا مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا مَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلاَّ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَكَلَّمَهُ أُسَامَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَامَ فَاخْتَطَبَ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّمَا أَهْلَكَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ وَايْمُ اللَّهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ مَسْعُودِ ابْنِ الْعَجْمَاءِ وَيُقَالُ مَسْعُودُ بْنُ الأَعْجَمِ وَابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن شهاب، عن عروة، عن عاىشة، ان قريشا، اهمهم شان المراة المخزومية التي سرقت فقالوا من يكلم فيها رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالوا من يجترى عليه الا اسامة بن زيد حب رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فكلمه اسامة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اتشفع في حد من حدود الله ‏"‏ ‏.‏ ثم قام فاختطب فقال ‏"‏ انما اهلك الذين من قبلكم انهم كانوا اذا سرق فيهم الشريف تركوه واذا سرق فيهم الضعيف اقاموا عليه الحد وايم الله لو ان فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن مسعود ابن العجماء ويقال مسعود بن الاعجم وابن عمر وجابر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Aishah:
"The Quraish were troubled by the affair of a woman from the tribe of Makhzum who stole. So they said: 'Who will speak about her to the Messenger of Allah (ﷺ)?' They said: 'Who can do it other than Usamah bin Zaid, the one dear to the Messenger of Allah?' So Usamah spoke with him, the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Do you intercede about a penalty from Allah's penalties?' Then he stood up and adressed the people saying: 'Those before you were only destroyed because they used to leave a noble person if he stole. And if a weak person stole they would establish the penalty upon him. And by Allah! If Fatimah bint Muhammad stole, then I would cut off her hand."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩৭

পরিচ্ছেদঃ ‘রজম’-এর প্রমাণ।

১৪৩৭। আহমাদ ইবনু মানী (রহঃ) ... উমার ইবনু খাত্তব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’রজম’-এর বিধান দিয়েছেন, আবূ বকরও ’রজম’-এর বিধান দিয়েছেন আর আমিও ’রজম’-এর বিধান দিয়েছি। আল্লাহর কিতাবে অতিরিক্তকরণ যদি আমি হারাম মনে না করতাম তবে অবশ্যই আমি এই বিধানটি আল্লাহর কিতাবে লিখে দিতাম। কারণ আমি আশংকা করি (ভবিষ্যতে) একদল লোক হয়ত এমন আসবে তারা যখন ’’রজম’’-এর বিধান আল্লাহর কিতাবে পাবে না তখন তা অস্বীকার করে বসবে।

সহীহ, তা’লীক আলা ইবনু মাজাহ, ইরওয়া ৮/৫০৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক সূত্রে এটি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সূত্রে বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ فِي تَحْقِيقِ الرَّجْمِ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ رَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمَ أَبُو بَكْرٍ وَرَجَمْتُ وَلَوْلاَ أَنِّي أَكْرَهُ أَنْ أَزِيدَ فِي كِتَابِ اللَّهِ لَكَتَبْتُهُ فِي الْمُصْحَفِ فَإِنِّي قَدْ خَشِيتُ أَنْ تَجِيءَ أَقْوَامٌ فَلاَ يَجِدُونَهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَكْفُرُونَ بِهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُمَرَ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا اسحاق بن يوسف الازرق، عن داود بن ابي هند، عن سعيد بن المسيب، عن عمر بن الخطاب، قال رجم رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجم ابو بكر ورجمت ولولا اني اكره ان ازيد في كتاب الله لكتبته في المصحف فاني قد خشيت ان تجيء اقوام فلا يجدونه في كتاب الله فيكفرون به ‏.‏ قال وفي الباب عن علي ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عمر حديث حسن صحيح وروي من غير وجه عن عمر ‏.‏


'Umar bin Al-Khattab said:
"The Messenger of Allah (ﷺ) stoned, Abu Bakr stoned, and I stoned. If I didn't dislike that I add to the Book of Allah. I would have written it in the Mushaf, for I fear that there will come a people and they will not find it in the Book of Allah, so they will disbelieve in it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩৮

পরিচ্ছেদঃ ‘রজম’-এর প্রমাণ।

১৪৩৮। সালামা ইবনু শাবীব, ইসহাক ইবনু মানসুর, হাসান ইবনু আলী আল খাল্লাল প্রমুখ (রহঃ) ... উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই সত্যসহ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রেরণ করেছেন। তাঁর উপর নাযিল করেছেন কিতাব। তাঁর উপর তিনি যা নাযিল করেছেন তাতে ’রজম’-এর বিধান সম্বলিত আয়াত ছিল। [অনন্তর তার তিলাওয়াত বা পাঠ রহিত (মানসুখ) হয়ে যায়] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও রজম এর বিধান দিয়েছেন। তাঁর তিরোধানের পর আমরাও রজম করেছি। আমার আশংকা হয় যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হওয়ার পর কেউ হয়ত বলবে, আমরা তো আল্লাহর কিতাবে ’’রজম’’-এর কথা পাই না। ফলে তারা আল্লাহর নাযিলকৃত ফরয ও অবশ্য করণীয় বিধান পরিত্যাগের কারণে গুমরাহ ও পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। সাবধান, কোন ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত হলে তার উপর ’রজম’’ শাস্তি প্রয়োগ করা হল প্রতিষ্ঠিত বিধান যদি সে বিবাহিত হয় এবং সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় বা তার গর্ভসুস্পষ্ট হয়ে উঠে বা সে যদি অপরাধ স্বীকার করে নেয়।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৫৩, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي تَحْقِيقِ الرَّجْمِ ‏.‏

حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ فَكَانَ فِيمَا أَنْزَلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ فَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ وَإِنِّي خَائِفٌ أَنْ يَطُولَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ فَيَقُولَ قَائِلٌ لاَ نَجِدُ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ أَلاَ وَإِنَّ الرَّجْمَ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أَحْصَنَ وَقَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ حَبَلٌ أَوِ اعْتِرَافٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.‏

حدثنا سلمة بن شبيب، واسحاق بن منصور، والحسن بن علي الخلال، وغير، واحد، قالوا حدثنا عبد الرزاق، عن معمر، عن الزهري، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة، عن ابن عباس، عن عمر بن الخطاب، قال ان الله بعث محمدا صلى الله عليه وسلم بالحق وانزل عليه الكتاب فكان فيما انزل عليه اية الرجم فرجم رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجمنا بعده واني خاىف ان يطول بالناس زمان فيقول قاىل لا نجد الرجم في كتاب الله فيضلوا بترك فريضة انزلها الله الا وان الرجم حق على من زنى اذا احصن وقامت البينة او كان حبل او اعتراف ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وروي من غير وجه عن عمر رضي الله عنه.‏


'Umar bin Al-Khattab said:
"Verily Allah sent Muhammad (ﷺ) with the truth, and he revealed the Book to him. Among what was revealed to him was the Ayah of stoning. So the Messenger of Allah (ﷺ) stoned, and we stoned after him. I fear that time will pass over the people such that someone will say 'We do not see stoning in the Book of Allah.' They will be misguided by leaving an obligation which Allah revealed. Indeed stoning is the retribution for the adulterer if he was married and the evidence has been established, or due to pregnancy, or confession."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৩৯

পরিচ্ছেদঃ বিবাহিত ব্যক্তির উপর ‘রজম’ প্রয়োগ।

১৪৩৯। নাসর ইবনু আলী প্রমুখ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ ও শিবল রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত যে, তাঁরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলেন। এমন সময় তাঁর নিকট দুই ব্যক্তি বিবাদ করতে করতে এল। একজন তাঁর নিকট দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব দিয়ে ফায়সালা করে দিবেন। তার চাইতে অধিকতর বোধসম্পন্ন তার সঙ্গীটি বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি অবশ্যই আল্লাহর কিতাব অনুসারে আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিবেন। আর আমাকে কথা বলতে অনুমতি দিন। আমার ছেলে এই ব্যক্তির কাছে মজদুর হিসাবে ছিল। অনন্তর সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করে বসেছে। লোকেরা আমাকে অবহিত করল যে, আমার পুত্রের উপর ’রজম’ প্রযোজ্য। ফলে আমি এর বদলে একশত বকরী ও একজন খাদিম ফিদয়া রূপে দিয়ে দেই। পরে আলেমদের মত কিছু লোকের সঙ্গে আমার সাক্ষাত হয়। তারা মত দিলেন, আমার ছেলের উপর প্রযোজ্য হল এক শত কোড়া এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন দন্ড। আর রজম হল এই ব্যক্তির স্ত্রীর উপর।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, অবশ্যই তোমাদের মাঝে আমি আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করে দিব। একশত ছাগল ও খাদিম তোমাদের নিকট প্রত্যাবৃত্ত হবে। তোমার পুত্রের উপর শাস্তি হল, এক শত কোড়া ও এক বছরের জন্য নির্বাসন দন্ড। হে উনায়স, তুমি ভোরে এর স্ত্রীর কাছে যাবে। যদি সে তার অপরাধ স্বীকার করে তবে তাকে ’রজম’ দন্ড দেবে। পরে তিনি ভোরে ঐ মহিলাটির কাছে গেলে সে অপরাধ স্বীকার করে। ফলে তিনি তাকে ’রজম’ করেন।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৪৯, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইসহাক ইবনু মূসা আল-আনসারী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণিত আছে।

কুতায়বা (রহঃ) ... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে মালিক (রহঃ) সূত্রে অনুরূপ মর্মে (১৪৩৯ নং) হাদীস বর্ণিত আছে। এই বিষয়ে আবূ বকর, উবাদা ইবনুস সামিত, আবূ হুরায়রা, আবূ সাঈদ, ইবনু আব্বাস, জাবির ইবনু সামুরা, হাযযাল, বুরায়দা, সালামা ইবনুল মুহাববাক, আবূ বারযা ও ইমরান ইবনু হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।

মালিক ইবনু আনাস, মা’মার (রহঃ) প্রমুখ যুহরী থেকে উবায়দুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ-আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিত রাদিয়াল্লাহু আনহুম সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। উক্ত সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বললেনঃ দাসী যদি যিনা করে তবে তাকে দুররা মার। চতুর্থ বারও যদি সে যিনায় লিপ্ত হয় তবে একটি দড়ির বিনিময়ে হলেও তাকে বিক্রি করে দিবে।

সুফইয়ান ইবনু উয়ায়না (রহঃ) অনুরূপভাবে এটিকে যুহরী সূত্রে উবায়দুল্লাহর মাধ্যমে আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ ও শিবল রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণনা করেন; তারা বললেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম। ইবনু উয়াইনা দুটি হাদীসকেই আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ ও শিবল রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইবনু উয়াইনা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়াতে ওয়াহম বা বিভ্রান্তি ঘটেছে। এ বিভ্রান্তি সয়ং সুফইয়ান ইবনু উয়ায়না (রহঃ) থেকে ঘটেছে। তিনি একটি রিওয়ায়াতকে আর একটি রিওয়ায়াতের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেছেন।

সাহীহ হল যুবায়দী, ইউনুস ইবনু উবায়দ ও যুহরী ভ্রাতুষ্পুত্র-যুহরী সূত্রে উবায়দুল্লাহর মাধ্যমে আবূ হুরায়রা ও যায়দ ইবনু খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এর সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যদি দাসী যিনা করে (অপর সূত্র) এবং যুহরী-উবায়দুল্লাহ থেকে, তিনি শিবল ইবনু খালিদ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মালিক আওসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যদি দাসী যিনা করে...। হাদীস বিশারদগণের মতে এটি সহীহ।

শিবল ইবনু খালিদ (রহঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাত পান নাই। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মালিক আওসী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। এটি সহীহ। ইবনু উয়ায়নার রিওয়ায়াতটি ’মাহফুজ’ নয়। তার থেকে এও বর্ণিত আছে যে, তিনি নামোল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন শিবল ইবনু হামিদ, অথচ তা হল ভুল। আসলে তিনি শিবল ইবনু খালিদ এবং তাকে শিবল ইবনু খুলায়দও বলা হয়।

باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ عَلَى الثَّيِّبِ ‏.‏

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، سَمِعَهُ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ، وَشِبْلٍ، أَنَّهُمْ كَانُوا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَاهُ رَجُلاَنِ يَخْتَصِمَانِ فَقَامَ إِلَيْهِ أَحَدُهُمَا وَقَالَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَمَّا قَضَيْتَ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ خَصْمُهُ وَكَانَ أَفْقَهَ مِنْهُ أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَائْذَنْ لِي فَأَتَكَلَّمَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى هَذَا فَزَنَا بِامْرَأَتِهِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي الرَّجْمَ فَفَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَخَادِمٍ ثُمَّ لَقِيتُ نَاسًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَزَعَمُوا أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ وَإِنَّمَا الرَّجْمُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ الْمِائَةُ شَاةٍ وَالْخَادِمُ رَدٌّ عَلَيْكَ وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَاغْدُ يَا أُنَيْسُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا فَإِنِ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا ‏"‏ ‏.‏ فَغَدَا عَلَيْهَا فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا ‏.‏
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ ‏.‏
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ بِمَعْنَاهُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَجَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ وَهَزَّالٍ وَبُرَيْدَةَ وَسَلَمَةَ بْنِ الْمُحَبِّقِ وَأَبِي بَرْزَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَهَكَذَا رَوَى مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَمَعْمَرٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏
وَرَوَوْا بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏"‏ إِذَا زَنَتِ الأَمَةُ فَاجْلِدُوهَا فَإِنْ زَنَتْ فِي الرَّابِعَةِ فَبِيعُوهَا وَلَوْ بِضَفِيرٍ ‏"‏ ‏.‏ وَرَوَى سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَشِبْلٍ قَالُوا كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ هَكَذَا رَوَى ابْنُ عُيَيْنَةَ الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَشِبْلٍ وَحَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ وَهَمٌ وَهِمَ فِيهِ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ أَدْخَلَ حَدِيثًا فِي حَدِيثٍ ‏.‏ وَالصَّحِيحُ مَا رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا زَنَتِ الأَمَةُ فَاجْلِدُوهَا ‏"‏ ‏.‏ وَالزُّهْرِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ شِبْلِ بْنِ خَالِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ الأَوْسِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا زَنَتِ الأَمَةُ ‏"‏ ‏.‏ وَهَذَا الصَّحِيحُ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ‏.‏ - وَشِبْلُ بْنُ خَالِدٍ لَمْ يُدْرِكِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا رَوَى شِبْلٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ الأَوْسِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهَذَا الصَّحِيحُ وَحَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ غَيْرُ مَحْفُوظٍ وَرُوِيَ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ شِبْلُ بْنُ حَامِدٍ وَهُوَ خَطَأٌ إِنَّمَا هُوَ شِبْلُ بْنُ خَالِدٍ وَيُقَالُ أَيْضًا شِبْلُ بْنُ خُلَيْدٍ ‏.‏

حدثنا نصر بن علي، وغير، واحد، حدثنا سفيان بن عيينة، عن الزهري، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة، سمعه من ابي هريرة، وزيد بن خالد، وشبل، انهم كانوا عند النبي صلى الله عليه وسلم فاتاه رجلان يختصمان فقام اليه احدهما وقال انشدك الله يا رسول الله لما قضيت بيننا بكتاب الله ‏.‏ فقال خصمه وكان افقه منه اجل يا رسول الله اقض بيننا بكتاب الله واىذن لي فاتكلم ان ابني كان عسيفا على هذا فزنا بامراته فاخبروني ان على ابني الرجم ففديت منه بماىة شاة وخادم ثم لقيت ناسا من اهل العلم فزعموا ان على ابني جلد ماىة وتغريب عام وانما الرجم على امراة هذا ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ والذي نفسي بيده لاقضين بينكما بكتاب الله الماىة شاة والخادم رد عليك وعلى ابنك جلد ماىة وتغريب عام واغد يا انيس على امراة هذا فان اعترفت فارجمها ‏"‏ ‏.‏ فغدا عليها فاعترفت فرجمها ‏.‏ حدثنا اسحاق بن موسى الانصاري، حدثنا معن، حدثنا مالك، عن ابن شهاب، عن عبيد الله بن عبد الله، عن ابي هريرة، وزيد بن خالد الجهني، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه بمعناه ‏.‏ حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن شهاب، باسناده نحو حديث مالك بمعناه ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي بكرة وعبادة بن الصامت وابي هريرة وابي سعيد وابن عباس وجابر بن سمرة وهزال وبريدة وسلمة بن المحبق وابي برزة وعمران بن حصين ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة وزيد بن خالد حديث حسن صحيح ‏.‏ وهكذا روى مالك بن انس ومعمر وغير واحد عن الزهري عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة عن ابي هريرة وزيد بن خالد عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ ورووا بهذا الاسناد عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال ‏"‏ اذا زنت الامة فاجلدوها فان زنت في الرابعة فبيعوها ولو بضفير ‏"‏ ‏.‏ وروى سفيان بن عيينة عن الزهري عن عبيد الله عن ابي هريرة وزيد بن خالد وشبل قالوا كنا عند النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ هكذا روى ابن عيينة الحديثين جميعا عن ابي هريرة وزيد بن خالد وشبل وحديث ابن عيينة وهم وهم فيه سفيان بن عيينة ادخل حديثا في حديث ‏.‏ والصحيح ما روى محمد بن الوليد الزبيدي ويونس بن يزيد وابن اخي الزهري عن الزهري عن عبيد الله عن ابي هريرة وزيد بن خالد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اذا زنت الامة فاجلدوها ‏"‏ ‏.‏ والزهري عن عبيد الله عن شبل بن خالد عن عبد الله بن مالك الاوسي عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اذا زنت الامة ‏"‏ ‏.‏ وهذا الصحيح عند اهل الحديث ‏.‏ - وشبل بن خالد لم يدرك النبي صلى الله عليه وسلم انما روى شبل عن عبد الله بن مالك الاوسي عن النبي صلى الله عليه وسلم وهذا الصحيح وحديث ابن عيينة غير محفوظ وروي عنه انه قال شبل بن حامد وهو خطا انما هو شبل بن خالد ويقال ايضا شبل بن خليد ‏.‏


Narrated 'Ubaidullah bin 'Abdullah bin 'Uthbah:
That he heard from Abu Hurairah, Zaid bin Khalid, and Shibl, that they were with the Prophet (ﷺ) and two men came to him disputing. So one of them stood before him and said: "I ask you by Allah, O Messenger of Allah! Only that you would judge between us by the book of Allah." So his disputant said - and he was more eloquent that him: "I agree of O Messenger of Allah! Judge between us by the Book of Allah, and allow me to speak. My son was a servant for this man and he committed adultery with his wife. So they told me that my son was to be stoned. I paid him one hundred female sheep and a female slave. Then I met some people from the people of knowledge and they said that my son was to be lashed one hundred times, and to be banished for a year and that stoning is only for this man's wife." So the Prophet (ﷺ) said: "By the One in Whose Hand is my soul! I will judge between you two by the Book of Allah. The one hundred female sheep and the female slave should be returned to you. For your son is one hundred lashes and banishment for a year. O Unais! Go to this Man's wife, and if she confesses then stone her." He went to her and she confessed, so he stoned her.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৪০

পরিচ্ছেদঃ বিবাহিত ব্যক্তির উপর ‘রজম’ প্রয়োগ।

১৪৪০। কুতায়বা (রহঃ) ... উবাদা ইবনু সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার নিকট থেকে এ বিধান গ্রহণ কর; আল্লাহ তা’আলা এদের (ব্যভিচারীদের) জন্য একটি পথ বাতলে দিয়েছেন। বিবাহিত ব্যক্তি যদি বিবাহিতার সাথে তা করে তবে দন্ড হল একশ বেত্রাঘাত, এরপর প্রস্তরাঘাতে হত্যা আর অবিবাহিত ব্যক্তি যদি অবিবাহিত ব্যক্তির সাথে তা করে তবে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৫০, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলী ইবনু আবূ তালিব, উবাই ইবনু কা’ব, আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহুম সহ সাহাবীদের মধ্যে কতক আলিমের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। তাঁরা বললেন, বিবাহিতদেরকে দুররা মারা হবে এবং রজমও করা হবে। এ-ই কতক আলিমের মাযহাব। আর ইমাম ইসহাক (রহঃ)-ও-এরও অভিমত।

আবূ বকর, উমার প্রমুখ রাদিয়াল্লাহু আনহুম সহ সাহাবীদের মধ্যে কতক আলিমের অভিমত হল অবিবাহিতদের কেবল রজম করা হবে, দুররা মারা হবে না। মাইয ও অন্যান্যদের ঘটনার প্রসঙ্গে একাধিক রিওয়ায়াতেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি ’রজম’-এর নির্দেশ দিয়েছেন। রজম-এর পূর্বে দুররা মারার নির্দেশ দেননি। কতক আলিমের এতদনুসারে আমল রয়েছে। এ হল ইমাম সুফইয়ান ছাওরী, ইবনুল মুবারক, শাফিঈ ও আহমাদ (রহঃ)-এর অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي الرَّجْمِ عَلَى الثَّيِّبِ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ حِطَّانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خُذُوا عَنِّي فَقَدْ جَعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلاً الثَّيِّبُ بِالثَّيِّبِ جَلْدُ مِائَةٍ ثُمَّ الرَّجْمُ وَالْبِكْرُ بِالْبِكْرِ جَلْدُ مِائَةٍ وَنَفْىُ سَنَةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَغَيْرُهُمْ قَالُوا الثَّيِّبُ تُجْلَدُ وَتُرْجَمُ ‏.‏ وَإِلَى هَذَا ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَغَيْرُهُمَا الثَّيِّبُ إِنَّمَا عَلَيْهِ الرَّجْمُ وَلاَ يُجْلَدُ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلُ هَذَا فِي غَيْرِ حَدِيثٍ فِي قِصَّةِ مَاعِزٍ وَغَيْرِهِ أَنَّهُ أَمَرَ بِالرَّجْمِ وَلَمْ يَأْمُرْ أَنْ يُجْلَدَ قَبْلَ أَنْ يُرْجَمَ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا هشيم، عن منصور بن زاذان، عن الحسن، عن حطان بن عبد الله، عن عبادة بن الصامت، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ خذوا عني فقد جعل الله لهن سبيلا الثيب بالثيب جلد ماىة ثم الرجم والبكر بالبكر جلد ماىة ونفى سنة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل على هذا عند بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم علي بن ابي طالب وابى بن كعب وعبد الله بن مسعود وغيرهم قالوا الثيب تجلد وترجم ‏.‏ والى هذا ذهب بعض اهل العلم وهو قول اسحاق ‏.‏ وقال بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم ابو بكر وعمر وغيرهما الثيب انما عليه الرجم ولا يجلد ‏.‏ وقد روي عن النبي صلى الله عليه وسلم مثل هذا في غير حديث في قصة ماعز وغيره انه امر بالرجم ولم يامر ان يجلد قبل ان يرجم ‏.‏ والعمل على هذا عند بعض اهل العلم وهو قول سفيان الثوري وابن المبارك والشافعي واحمد ‏.‏


Narrated 'Ubadah bin As-Samit:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Take from me. For Allah has a way made for them : For the married person who commits adultery with a married person is one hundred lashes, then stoning. And for the virgin who commits adultery with a virgin is one hundred lashes and banishment for a year."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৪১

পরিচ্ছেদঃ গর্ভবতী মহিলার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত ‘রাজম’ বিরম্ব করা।

১৪৪১। হাসান ইবনু আলী (রহঃ) ... ইমরান ইবনু হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, জুহায়না কবীলার জনৈক মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যিনার কথা স্বীকার করল এবং বলল, আমি গর্ভবতী। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মেয়েটির অভিভাবককে ডাকলেন এবং তাকে বললেন, তার সাথে ভাল ব্যবহার করবে এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর আমাকে তা অবহিত করবে। সে তাই করল, তখন তিনি মেয়েটির কাপড়-চোপড় ভাল করে শরীরে বাধতে বললেন এবং ’রজম’-এর নির্দেশ দিলেন। তখন তাকে রজম করা হল। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালাতুল জানাযা আদায় করলেন। তখন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! একে রজম করলেন আবার তার সালাতুল জানাযাও আদায় করলেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই মেয়েটি এমন তওবা করেছে যে, মদীনার সত্তর জনের মাঝেও যদি তা বণ্টন করে দেওয়া হয় তবু তা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজের জান দিয়ে দিল, এর চেয়েও উত্তম কিছু তুমি পেয়েছ? ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب تَرَبُّصِ الرَّجْمِ بِالْحُبْلَى حَتَّى تَضَعَ ‏.‏

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ جُهَيْنَةَ اعْتَرَفَتْ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالزِّنَا فَقَالَتْ إِنِّي حُبْلَى ‏.‏ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَلِيَّهَا فَقَالَ ‏"‏ أَحْسِنْ إِلَيْهَا فَإِذَا وَضَعَتْ حَمْلَهَا فَأَخْبِرْنِي ‏"‏ ‏.‏ فَفَعَلَ فَأَمَرَ بِهَا فَشُدَّتْ عَلَيْهَا ثِيَابُهَا ثُمَّ أَمَرَ بِرَجْمِهَا فَرُجِمَتْ ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَا رَسُولَ اللَّهِ رَجَمْتَهَا ثُمَّ تُصَلِّي عَلَيْهَا ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ لَقَدْ تَابَتْ تَوْبَةً لَوْ قُسِمَتْ بَيْنَ سَبْعِينَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَوَسِعَتْهُمْ وَهَلْ وَجَدْتَ شَيْئًا أَفْضَلَ مِنْ أَنْ جَادَتْ بِنَفْسِهَا لِلَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي، حدثنا عبد الرزاق، حدثنا معمر، عن يحيى بن ابي كثير، عن ابي قلابة، عن ابي المهلب، عن عمران بن حصين، ان امراة، من جهينة اعترفت عند النبي صلى الله عليه وسلم بالزنا فقالت اني حبلى ‏.‏ فدعا النبي صلى الله عليه وسلم وليها فقال ‏"‏ احسن اليها فاذا وضعت حملها فاخبرني ‏"‏ ‏.‏ ففعل فامر بها فشدت عليها ثيابها ثم امر برجمها فرجمت ثم صلى عليها فقال له عمر بن الخطاب يا رسول الله رجمتها ثم تصلي عليها ‏.‏ فقال ‏"‏ لقد تابت توبة لو قسمت بين سبعين من اهل المدينة لوسعتهم وهل وجدت شيىا افضل من ان جادت بنفسها لله ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Imran bin Husain:
"A woman from Juhainah confessed before the Prophet (ﷺ) that she had committed adultery, and she said: 'I am pregnant.' So the Prophet (ﷺ) called for her guardian and said: 'Be good to her and if she gives birth to her child then tell me.' So he did so, and then he (ﷺ) gave the order that her clothes be bound tightly around her. Then he ordered her to be stoned and she was stoned. Then he performed (funeral) Salat for her. So 'Umar bin Al-Khattab said to him: 'O Messenger of Allah! You stoned her then you prayed for her?!' He said: 'She has repented a repentance that, if distributed among seventy of the people of Al-Madinah, it would have sufficed them. Have you ever seen something more virtuous than her sacrificing herself for the saek of Allah?'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৪২

পরিচ্ছেদঃ কিতাবীদের রজম প্রসঙ্গে।

১৪৪২। ইসহাক ইবনু মূসা আনসারী (রহঃ) ... ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ইয়াহুদী পুরুষ ও স্ত্রী লোকের উপর ’রজম’ কায়েম করেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৪৭৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটিতে ঘটনার আরো বিবরণ রয়েছে। এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي رَجْمِ أَهْلِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجَمَ يَهُودِيًّا وَيَهُودِيَّةً ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن موسى الانصاري، حدثنا معن، حدثنا مالك بن انس، عن نافع، عن ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم رجم يهوديا ويهودية ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الحديث قصة وهذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
That the Messenger of Allah (ﷺ) stoned a Jew and Jewess.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৪৩

পরিচ্ছেদঃ কিতাবীদের রজম প্রসঙ্গে।

১৪৪৩। হান্নাদ (রহঃ) ... জাবির ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহুদী পুরুষ ও ইয়াহুদী স্ত্রী লোককে রজম দন্ড দিয়েছেন।

সহীহ পূর্বোক্ত হাদীসের সহায়তায়। তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। জাবির ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়াতের মধ্যে এই হাদীসটি হাসান-গারীব। অধিকাংশ আলিমের এতদনুসারে আমল রয়েছে। তারা বললেন, কিতাবীরা যদি তাদের বিবাদ মুসলিম বিচারকদের নিকট উত্থাপন করে তবে বিচারকগণ কুরআন সুন্নাহ ও মুসলিমদের বিধান অনুসারেই তাদেরও ফায়সালা দিবেন। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। কতক আলিম বলেন, যিনার ক্ষেত্রে তাদের উপর হদ প্রয়োগ করা হবে না। প্রথমোক্ত অভিমতটি অধিকতর সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي رَجْمِ أَهْلِ الْكِتَابِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجَمَ يَهُودِيًّا وَيَهُودِيَّةً ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَالْبَرَاءِ وَجَابِرٍ وَابْنِ أَبِي أَوْفَى وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا إِذَا اخْتَصَمَ أَهْلُ الْكِتَابِ وَتَرَافَعُوا إِلَى حُكَّامِ الْمُسْلِمِينَ حَكَمُوا بَيْنَهُمْ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ وَبِأَحْكَامِ الْمُسْلِمِينَ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يُقَامُ عَلَيْهِمُ الْحَدُّ فِي الزِّنَا ‏.‏ وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا شريك، عن سماك بن حرب، عن جابر بن سمرة، ان النبي صلى الله عليه وسلم رجم يهوديا ويهودية ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن عمر والبراء وجابر وابن ابي اوفى وعبد الله بن الحارث بن جزء وابن عباس ‏.‏ قال ابو عيسى حديث جابر بن سمرة حديث حسن غريب ‏.‏ والعمل على هذا عند اكثر اهل العلم قالوا اذا اختصم اهل الكتاب وترافعوا الى حكام المسلمين حكموا بينهم بالكتاب والسنة وباحكام المسلمين وهو قول احمد واسحاق ‏.‏ وقال بعضهم لا يقام عليهم الحد في الزنا ‏.‏ والقول الاول اصح ‏.‏


Narrated Jabir bin Samurah:
That the Prophet (ﷺ) stoned a Jew and a Jewess.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৪৪

পরিচ্ছেদঃ নির্বাসন দন্ড প্রসঙ্গে।

১৪৪৪। আবূ কুরায়ব ও ইয়াহইয়া ইবনু আকছাম (রহঃ) ... ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুররাঘাত ও নির্বাসন দন্ড দিয়েছেন; আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুও দুররাঘাত ও নির্বাসন দন্ড দিয়েছেন; উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুও দুররাঘাত ও নির্বাসন দন্ড দিয়েছেন। সহীহ ইরওয়া ২৩৪৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ, উবাদা ইবনু সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি গারীব। একাধিক রাবী এটিকে আবদুল্লাহ ইবনু ইদরীস (রহঃ) সূত্রে মারফু’ রূপে বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ এই হাদীসটিকে আবদুল্লাহ ইবনু ইদরীস-উবায়দুল্লাহ-নাফি’-ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু দুররাঘাত ও নির্বাসন দন্ড দিয়েছেন। উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু দুররাঘাত ও নির্বাসন দন্ড দিয়েচেন।

আবূ সাঈদ আশাজ্জ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু ইদরীস (রহঃ) সূত্রে তা রিওয়ায়াত করেছেন। ইবনু ইদরীস (রহঃ) এর বরাত ছাড়াও উবায়দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে্ মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক (রহঃ) ও নাফি’-ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে এইরূপ বর্ণনা করেছেন যে, আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু দুররাঘাত ও নির্বাসন দন্ড দিয়েছেন, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুও দুররাঘত ও নির্বাসন দন্ড প্রদানকরেছেন। এই সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উল্লেখ নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও নির্বাসন দন্ড দানের সহীহ রিওয়ায়াত বিদ্যমান। আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ ও উবাদা ইবনুস সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহুম প্রমুখ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ বকর, উমার, আলী, উবাই ইবনু কা’ব, আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ, আবূ যার প্রমুখ সাহাবীগণ রাদিয়াল্লাহু আনহুম-এই হাদীস অনুসারে আমল করেছেন। একাধিক তাবিঈ ফকীহ থেকে তদ্রুপ অভিমত বর্ণিত আছে। এ হল সুফইয়ান ছাওরী, মালিক ইবনু আনাস, আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي النَّفْىِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَيَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ضَرَبَ وَغَرَّبَ وَأَنَّ أَبَا بَكْرٍ ضَرَبَ وَغَرَّبَ وَأَنَّ عُمَرَ ضَرَبَ وَغَرَّبَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ فَرَفَعُوهُ ‏.‏
وَرَوَى بَعْضُهُمْ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، ضَرَبَ وَغَرَّبَ وَأَنَّ عُمَرَ ضَرَبَ وَغَرَّبَ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ رِوَايَةِ ابْنِ إِدْرِيسَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ نَحْوَ هَذَا ‏.‏ وَهَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ضَرَبَ وَغَرَّبَ وَأَنَّ عُمَرَ ضَرَبَ وَغَرَّبَ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَدْ صَحَّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّفْىُ رَوَاهُ أَبُو هُرَيْرَةَ وَزَيْدُ بْنُ خَالِدٍ وَعُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ وَغَيْرُهُمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعَلِيٌّ وَأُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ وَأَبُو ذَرٍّ وَغَيْرُهُمْ وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، ويحيى بن اكثم، قالا حدثنا عبد الله بن ادريس، عن عبيد الله، عن نافع، عن ابن عمر، ان النبي صلى الله عليه وسلم ضرب وغرب وان ابا بكر ضرب وغرب وان عمر ضرب وغرب ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي هريرة وزيد بن خالد وعبادة بن الصامت ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عمر حديث غريب رواه غير واحد عن عبد الله بن ادريس فرفعوه ‏.‏ وروى بعضهم، عن عبد الله بن ادريس، هذا الحديث عن عبيد الله، عن نافع، عن ابن عمر، ان ابا بكر، ضرب وغرب وان عمر ضرب وغرب ‏.‏ حدثنا بذلك ابو سعيد الاشج حدثنا عبد الله بن ادريس ‏.‏ وهكذا روي هذا الحديث من غير رواية ابن ادريس عن عبيد الله بن عمر نحو هذا ‏.‏ وهكذا رواه محمد بن اسحاق عن نافع عن ابن عمر ان ابا بكر ضرب وغرب وان عمر ضرب وغرب ‏.‏ ولم يذكروا فيه عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وقد صح عن رسول الله صلى الله عليه وسلم النفى رواه ابو هريرة وزيد بن خالد وعبادة بن الصامت وغيرهم عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم ابو بكر وعمر وعلي وابى بن كعب وعبد الله بن مسعود وابو ذر وغيرهم وكذلك روي عن غير واحد من فقهاء التابعين وهو قول سفيان الثوري ومالك بن انس وعبد الله بن المبارك والشافعي واحمد واسحاق ‏.‏


Narrated Ibn 'Umar:
That the Messenger of Allah (ﷺ) lashed and banished, Abu Bakr lashed and banished, and 'Umar lashed and banished.

Some of them reported this Hadith from 'Ubaidullah, from Nafi', from Ibn 'Umar:
that Aby Bakr lashed and banished, and that 'Umar lashed and banished.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৪৫

পরিচ্ছেদঃ দাসীদের উপর হদ প্রয়োগ।

১৪৪৫। কুতায়বা (রহঃ) ... উবাদা ইবনু সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা আমার কাছে এই বিষয়ে বায়য়াত কর যে, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। চুরি করবে না। ব্যভিচার করবে না। তিনি সম্পূর্ণ আয়াতটি [সূরা মুমতাহিনা ৬০: ১২] তিলাওয়াত করেন। তোমাদের মধ্যে যে এই বায়আত পূরণ করবে তার প্রতিদান আল্লাহর যিম্মায়। আর কেউ যদি এইগুলির কোন কিছুতে লিপ্ত হয়ে পড়ে আর এ জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয় তবে তা হবে তার জন্য কাফফারা স্বরূপ। আর কেউ যদি এগুলির কোন একটিতে লিপ্ত হয় আর আল্লাহ তার এ অপরাধ ঢেকে রাখেন তবে তা আল্লাহর উপর ন্যাস্ত। ইচ্ছা করলে তিনি আযাব দিবেন আর ইচ্ছা করলে তিনি মাফ করে দিবেন। সহীহ ইরওয়া ২৩৩৪, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ ও খুযায়মা ইবনু সাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা ইবনুস সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, ’হদ প্রয়োগ অপরাধীর জন্য কাফফারা স্বরূপ’ এতদবিষয়ে এই হাদীসটি অপেক্ষা উত্তম কোন কিছু আমি শুনিনি। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, কেউ যদি কোন গোনাহে লিপ্ত হয়ে পড়ে আর আল্লাহ তা’আলা তা গোপন রাখেন তবে তার জন্য নিজেও তা গোপন রাখা এবং প্রভুর কাছে তওবা করতে থাকাই আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। আবূ বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে এইরূপ বর্ণিত আছে যে, তারা এক ব্যক্তিকে নিজের অপরাধ গোপন রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

باب مَا جَاءَ فِي إِقَامَةِ الْحَدِّ عَلَى الإِمَاءِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَجْلِسٍ فَقَالَ ‏ "‏ تُبَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَزْنُوا قَرَأَ عَلَيْهِمُ الآيَةَ فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ عَلَيْهِ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَجَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لَمْ أَسْمَعْ فِي هَذَا الْبَابِ أَنَّ الْحُدُودَ تَكُونُ كَفَّارَةً لأَهْلِهَا شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ الشَّافِعِيُّ وَأُحِبُّ لِمَنْ أَصَابَ ذَنْبًا فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ أَنْ يَسْتُرَ عَلَى نَفْسِهِ وَيَتُوبَ فِيمَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَبِّهِ ‏.‏ وَكَذَلِكَ رُوِيَ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ أَنَّهُمَا أَمَرَا رَجُلاً أَنْ يَسْتُرَ عَلَى نَفْسِهِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا سفيان بن عيينة، عن الزهري، عن ابي ادريس الخولاني، عن عبادة بن الصامت، قال كنا عند النبي صلى الله عليه وسلم في مجلس فقال ‏ "‏ تبايعوني على ان لا تشركوا بالله شيىا ولا تسرقوا ولا تزنوا قرا عليهم الاية فمن وفى منكم فاجره على الله ومن اصاب من ذلك شيىا فعوقب عليه فهو كفارة له ومن اصاب من ذلك شيىا فستره الله عليه فهو الى الله ان شاء عذبه وان شاء غفر له ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن علي وجرير بن عبد الله وخزيمة بن ثابت ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عبادة بن الصامت حديث حسن صحيح ‏.‏ وقال الشافعي لم اسمع في هذا الباب ان الحدود تكون كفارة لاهلها شيىا احسن من هذا الحديث ‏.‏ قال الشافعي واحب لمن اصاب ذنبا فستره الله عليه ان يستر على نفسه ويتوب فيما بينه وبين ربه ‏.‏ وكذلك روي عن ابي بكر وعمر انهما امرا رجلا ان يستر على نفسه ‏.‏


Narrated 'Ubadah bin As-Samit:
"We were with the Prophet (ﷺ) [in a gathering] and he said: 'Pledge to me that you will not associate [anything as] partners with Allah, and that you will not steal nor commit adultery.' He recited to them the Ayah. (And he said:)'Whoever among you dies, then this reward is with Allah, and whoever among you does some of this and then he is punished, it is atonement for him. And whoever does some of this and Allah covers it for him, then it is up to Allah; if He wills, He will punish them, and if He wills, He will forgive him.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৪৬

পরিচ্ছেদঃ দাসীদের উপর হদ প্রয়োগ।

১৪৪৬। আবূ সাঈদ আশাজ্জ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারো দাসী যদি যিনা করে তবে আল্লাহর কিতাব অনুসারে তাকে তিনবার (পর্যন্ত) দুররা মারবে। এরপরও যদি সে এতে পুনরায় লিপ্ত হয় তবে চুলের একটি দড়ির বিনিময়ে হলেও তাকে বিক্রি করে দিবে।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫৬৫, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী, আবূ হুরায়রা, যায়দ ইবনু খালিদ এবং শিবল-আবদুল্লাহ ইবনু মালিক আওসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। একাধিক সূত্রে এটি তাঁর থেকে বর্ণিত হয়েছে। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিমের এতদনুসারে আমল রয়েছে। তাঁদের মত হল যে, শাসক নয় বরং মালিকই তার দাস-দাসীর উপর হদ প্রয়োগ করবে। এ হল আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। কতক আলিম বলেন, শাসন কর্তৃপক্ষের নিকট তা পেশ করতে হবে। কেউ নিজে হদ কায়েম করতে পারবে না। প্রথমোক্ত অভিমতটি অধিকতর সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي إِقَامَةِ الْحَدِّ عَلَى الإِمَاءِ

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَلْيَجْلِدْهَا ثَلاَثًا بِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنْ عَادَتْ فَلْيَبِعْهَا وَلَوْ بِحَبْلٍ مِنْ شَعَرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَشِبْلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ الأَوْسِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ رَأَوْا أَنْ يُقِيمَ الرَّجُلُ الْحَدَّ عَلَى مَمْلُوكِهِ دُونَ السُّلْطَانِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُرْفَعُ إِلَى السُّلْطَانِ وَلاَ يُقِيمُ الْحَدَّ هُوَ بِنَفْسِهِ ‏.‏ وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ ‏.‏

حدثنا ابو سعيد الاشج، حدثنا ابو خالد الاحمر، حدثنا الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اذا زنت امة احدكم فليجلدها ثلاثا بكتاب الله فان عادت فليبعها ولو بحبل من شعر ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن علي وابي هريرة وزيد بن خالد وشبل عن عبد الله بن مالك الاوسي ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح وقد روي عنه من غير وجه ‏.‏ والعمل على هذا عند بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم وغيرهم راوا ان يقيم الرجل الحد على مملوكه دون السلطان وهو قول احمد واسحاق ‏.‏ وقال بعضهم يرفع الى السلطان ولا يقيم الحد هو بنفسه ‏.‏ والقول الاول اصح ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
That the Messenger of Allah (ﷺ) said: "If one of your slave girl commits illegal sexual intercourse, then whip her three times according to the Book of Allah, and if she does it again then sell her, even if it is for a rope made of hair."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
১৪৪৭

পরিচ্ছেদঃ দাসীদের উপর হদ প্রয়োগ।

১৪৪৭। হাসান ইবন আলী খাল্‌লাল (রহঃ) ... আবূ আবদুর রহমান সুলামী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এক ভাষণে বলেছিলেন, হে লোক সকল, তোমরা তোমাদের বিবাহিত ও অবিবাহিত দাস-দাসীদের উপর হদ প্রয়োগ করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি দাসী যিনা করে বসে। তখন তিনি তাকে দুররা মারতে আমাকে নির্দেশ দেন। আমি তার কাছে এসে দেখি যে, নব প্রসূতি। সুতরাং আমার আশংকা হল যে, যদি তাকে দুররা মারি তবে হয়ত তাকে হত্যা করে ফেলব। অথবা বলেছেন যে, সে মারা যাবে। অনন্তর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তা উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, তুমি ভাল করেছ।

সহীহ, ইরওয়া ৭/৩৬০, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪৪১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী সুদ্দীর নাম হল ইসমাঈল ইবনু আবদুর রাহমান। তিনি একজন তাবিঈ্ আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে তিনি হাদীস শুনেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي إِقَامَةِ الْحَدِّ عَلَى الإِمَاءِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، قَالَ خَطَبَ عَلِيٌّ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَقِيمُوا الْحُدُودَ عَلَى أَرِقَّائِكُمْ مَنْ أَحْصَنَ مِنْهُمْ وَمَنْ لَمْ يُحْصِنْ وَإِنَّ أَمَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَنَتْ فَأَمَرَنِي أَنْ أَجْلِدَهَا فَإِذَا هِيَ حَدِيثَةُ عَهْدٍ بِنِفَاسٍ فَخَشِيتُ إِنْ أَنَا جَلَدْتُهَا أَنْ أَقْتُلَهَا - أَوْ قَالَ تَمُوتَ - فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏ "‏ أَحْسَنْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالسُّدِّيُّ اسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ مِنَ التَّابِعِينَ قَدْ سَمِعَ مِنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَرَأَى حُسَيْنَ بْنَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رضى الله عنه ‏.‏

حدثنا الحسن بن علي الخلال، حدثنا ابو داود الطيالسي، حدثنا زاىدة بن قدامة، عن السدي، عن سعد بن عبيدة، عن ابي عبد الرحمن السلمي، قال خطب علي فقال يا ايها الناس اقيموا الحدود على ارقاىكم من احصن منهم ومن لم يحصن وان امة لرسول الله صلى الله عليه وسلم زنت فامرني ان اجلدها فاذا هي حديثة عهد بنفاس فخشيت ان انا جلدتها ان اقتلها - او قال تموت - فاتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكرت ذلك له فقال ‏ "‏ احسنت ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ والسدي اسمه اسماعيل بن عبد الرحمن وهو من التابعين قد سمع من انس بن مالك وراى حسين بن علي بن ابي طالب رضى الله عنه ‏.‏


Narrated Abu 'Abdur-Rahman As-Sulami:
"Ali gave a Khutbah, and said: 'O people, establish the penalties upon your slaves, those married from them and those unmarried. A slave girl of the Prophet (ﷺ) committed illegal sexual intercourse so he ordered me to whip her. I went to her and she was just experiencing her post-natal bleeding, so I feared that if I were to whip her I would kill her' - or he said: 'She would die' - 'so I went to the Messenger of Allah (ﷺ) and I told that to him. So he said: 'You did well.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৭/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود عن رسول الله ﷺ) 17/ The Book on Legal Punishments (Al-Hudud)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »