সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১. আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন

২৭৪৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন।”[1]

وَمِنْ كِتَابِ الرِّقَاقِ بَاب مَنْ يُرِدْ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ يُرِدْ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ

اخبرنا سعيد بن سليمان عن اسمعيل بن جعفر عن عبد الله بن سعيد بن ابي هند عن ابيه عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من يرد الله به خيرا يفقهه في الدين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৫

পরিচ্ছেদঃ ২. সুস্থতা ও অবসর সম্পর্কে

২৭৪৫. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোর ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর।”[1]

باب فِي الصِّحَّةِ وَالْفَرَاغِ

أَخْبَرَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الصِّحَّةَ وَالْفَرَاغَ نِعْمَتَانِ مِنْ نِعَمِ اللَّهِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ

اخبرنا المكي بن ابراهيم حدثنا عبد الله هو ابن سعيد انه سمع اباه يحدث عن ابن عباس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الصحة والفراغ نعمتان من نعم الله مغبون فيهما كثير من الناس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. শ্রবণেন্দ্রিয়কে সংরক্ষণ করা

২৭৪৬. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যে লোক কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না, কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে।”[1]

باب فِي حِفْظِ السَّمْعِ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اسْتَمَعَ إِلَى حَدِيثِ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ صُبَّ فِي أُذُنِهِ الْآنُكُ

اخبرنا عمرو بن عون اخبرنا خالد يعني ابن عبد الله عن خالد الحذاء عن عكرمة عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من استمع الى حديث قوم وهم له كارهون صب في اذنه الانك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. শ্রবণেন্দ্রিয়কে সংরক্ষণ করা

২৭৪৭. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেন, “তোমার প্রথম দৃষ্টিপাতকে (বেগানা স্ত্রীলোকের প্রতি) তোমার দ্বিতীয় দৃষ্টি (যা ইচ্ছাকৃত) যেন অনুসরণ না করে। কেননা, প্রথমবার দৃষ্টিপাত তোমার জন্য (জায়িয),আর দ্বিতীয়বার (ইচ্ছাকৃতভাবে) দৃষ্টিপাত করা তোমার বিপক্ষে (যা বৈধ নয়)।”[1]

باب فِي حِفْظِ السَّمْعِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ لِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُتْبِعْ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ الْأُولَى لَكَ وَالْآخِرَةَ عَلَيْكَ

اخبرنا ابو الوليد الطيالسي حدثنا حماد بن سلمة عن محمد بن اسحق عن محمد بن ابراهيم عن سلمة بن ابي الطفيل عن علي قال لي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تتبع النظرة النظرة فان الاولى لك والاخرة عليك

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে

২৭৪৮. সুফইয়ান ইবনু আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আপনার পরে আর কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবে না।

তিনি বললেনঃ “তুমি আল্লাহকে ভয় করো, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।”

আমি বললাম, এরপর কোন কাজটি? তিনি তার জিহ্বার দিকে ইশারা করলেন।[1]

باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ فِي الْإِسْلَامِ لَا أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا قَالَ اتَّقِ اللَّهَ ثُمَّ اسْتَقِمْ قَالَ قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ شَيْءٍ قَالَ فَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ

اخبرنا سعيد بن الربيع حدثنا شعبة عن يعلى بن عطاء قال سمعت عبد الله بن سفيان عن ابيه قال قلت يا رسول الله اخبرني بعمل في الاسلام لا اسال عنه احدا قال اتق الله ثم استقم قال قلت ثم اي شيء قال فاشار الى لسانه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে

২৭৪৯. (অপর সনদে) সুফইয়ান ইবন আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারি।

তিনি বললেনঃ “তুমি বল, আমার রব হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।”

রাবী বলেন আমি বললামঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ, আমার ব্যাপারে সবচে বেশী কোন্ বিষয়টির আপনি আশংকা করেন? তিনি বলেন, এরপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জিহ্বা ধরলেন এরপর বললেনঃ “এটির।”[1]

باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ يَعْنِي ابْنَ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاذٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ قُلْ رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَكْثَرُ مَا تَخَوَّفُ عَلَيَّ قَالَ فَأَخَذَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلِسَانِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا

اخبرنا ابو نعيم حدثنا ابراهيم يعني ابن اسمعيل بن مجمع قال اخبرني ابن شهاب عن عبد الرحمن بن معاذ عن سفيان بن عبد الله قال قلت يا رسول الله مرني بامر اعتصم به قال قل ربي الله ثم استقم قال قلت يا نبي الله ما اكثر ما تخوف علي قال فاخذ نبي الله صلى الله عليه وسلم بلسانه ثم قال هذا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫০

পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে

২৭৫০. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন্ ইসলাম সর্বোত্তম? তিনি বললেন, “যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।”[1]

باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْإِسْلَامِ أَفْضَلُ قَالَ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا مالك بن مغول عن الاعمش عن ابي سفيان عن جابر قال قيل يا رسول الله اي الاسلام افضل قال من سلم المسلمون من لسانه ويده

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫১

পরিচ্ছেদঃ ৫. মৌনতা অবলম্বন করা বা চুপ থাকা প্রসঙ্গে

২৭৫১. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি চুপ থাকলো, সে মুক্তি পেলো।”[1]

باب فِي الصَّمْتِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَمَتَ نَجَا

اخبرنا اسحق بن عيسى عن عبد الله بن عقبة عن يزيد بن عمرو عن ابي عبد الرحمن الحبلي عن عبد الله بن عمرو بن العاص قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صمت نجا

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫২

পরিচ্ছেদঃ ৬. গীবত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

২৭৫২. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, গীবত কি? তিনি বললেন: “তোমার ভাইয়ের প্রসঙ্গে তোমার এমন ধরনের কথা-বার্তা বলা, যা সে অপছন্দ করে।” প্রশ্নকারী বলল, আমি যে কথাগুলো বলি, তা প্রকৃতপক্ষেই তার মধ্যে নিহিত থাকলে (সেটাও কি গীবত)? তিনি বললেন: “(তুমি যে কথাগুলো বল), তা প্রকৃতই তার মধ্যে নিহিত থাকলে তবেই তো তুমি তার গীবত করলে। (তুমি যা বল), যদি সেগুলো তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে।”[1]

باب فِي الْغِيبَةِ

أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ الْعَلَاءِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ مَا الْغِيبَةُ قَالَ ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ قِيلَ وَإِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ فَإِنْ كَانَ فِيهِ فَقَدْ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ

اخبرنا نعيم بن حماد عن عبد العزيز بن محمد عن العلاء عن ابيه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قيل له ما الغيبة قال ذكرك اخاك بما يكره قيل وان كان في اخي ما اقول قال فان كان فيه فقد اغتبته وان لم يكن فيه فقد بهته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৭. মিথ্যা সম্পর্কে

২৭৫৩. আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: “সবচেয়ে নিকৃষ্ট বর্ণনাকারী হলো মিথ্যা বর্ণনাকারী। অন্তর থেকে (তথা প্রকৃত) হোক কিংবা হাসি-ঠাট্টা-রসিকতা করেই হোক, মিথ্যা বলা ঠিক নয়। এমনকি কোনো লোক যেন নিজ সন্তানের সাথেও এমন ওয়াদা না করে, যা সে পূরণ করবে না। নিশ্চয় সত্যবাদীতা (মানুষকে) পুণ্যের পথে চালিত করে এবং পুণ্য জান্নাতের দিকে চালিত করে। পক্ষান্তরে মিথ্যাচার (মানুষকে) পাপাচারের দিকে চালিত করে এবং পাপাচার জাহান্নামের দিকে চালিত করে। আর সত্যবাদী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়, সে সত্য বলেছে ও পুণ্যের কাজ করেছে।

বিপরীতে মিথ্যবাদী সম্পর্কে বলা হয়, সে মিথ্যা বলেছে ও পাপাচার করেছে। কোন ব্যক্তি সত্য কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর নিকট ’সিদ্দীক’ বা সত্যবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। অপর দিকে কোন ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর নিকট ’কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।”তিনি আমাদেরকে বলেন: “আমি কি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব না, ’আযহ’ বা চোগলখুরী কী? তা হচ্ছে কুৎসা রটনা করা, যা মানুষের মাঝে বৈরিতার সৃষ্টি করে।”[1]

باب فِي الْكَذِبِ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ إِدْرِيسَ الْأَوْدِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ شَرَّ الرَّوَايَا رَوَايَا الْكَذِبِ وَلَا يَصْلُحُ مِنْ الْكَذِبِ جِدٌّ وَلَا هَزْلٌ وَلَا يَعِدُ الرَّجُلُ ابْنَهُ ثُمَّ لَا يُنْجِزُ لَهُ إِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّهُ يُقَالُ لِلصَّادِقِ صَدَقَ وَبَرَّ وَيُقَالُ لِلْكَاذِبِ كَذَبَ وَفَجَرَ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا وَإِنَّهُ قَالَ لَنَا هَلْ أُنَبِّئُكُمْ مَا الْعَضْهُ وَإِنَّ الْعَضْهَ هِيَ النَّمِيمَةُ الَّتِي تُفْسِدُ بَيْنَ النَّاسِ

اخبرنا عثمان بن محمد حدثنا جرير عن ادريس الاودي عن ابي اسحق عن ابي الاحوص ان عبد الله يرفع الحديث الى النبي صلى الله عليه وسلم قال ان شر الروايا روايا الكذب ولا يصلح من الكذب جد ولا هزل ولا يعد الرجل ابنه ثم لا ينجز له ان الصدق يهدي الى البر وان البر يهدي الى الجنة وان الكذب يهدي الى الفجور وان الفجور يهدي الى النار وانه يقال للصادق صدق وبر ويقال للكاذب كذب وفجر وان الرجل ليصدق حتى يكتب عند الله صديقا ويكذب حتى يكتب عند الله كذابا وانه قال لنا هل انبىكم ما العضه وان العضه هي النميمة التي تفسد بين الناس

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৪

পরিচ্ছেদঃ ৮. হাতকে হেফাজত করা সম্পর্কে

২৭৫৪. আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুসলিম হলো ঐ ব্যক্তি যার জবান ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।”[1]

باب فِي حِفْظِ الْيَدِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ

اخبرنا ابو نعيم حدثنا زكريا عن الشعبي قال سمعت عبد الله بن عمرو يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم المسلم من سلم المسلمون من لسانه ويده

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৯. হালাল-পবিত্র খাদ্য খাওয়া সম্পর্কে

২৭৫৫. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হে লোক সকল! নিশ্চয় আল্লাহ্ পবিত্র আর পবিত্র জিনিস ছাড়া তিনি কিছু গ্রহণ করেন না। আল্লাহ্ তা’আলা তার রাসূলগণকে যে বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মু’মিনদেরও সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:

অর্থ: ’’হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র বস্ত্তু থেকে আহার করো এবং সৎকর্ম করো। তোমরা যা করো সেসম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।” (মু’মিনূন ২৩: ৫১)।

তিনি আরও বলেন,

“হে মু’মিনগণ, তোমাদেরকে আমি যে সব পবিত্র বস্তু দিয়েছি তা থেকে আহার কর, আর আল্লাহরই শোকর করো, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাকো।” (বাক্বারাহ ২:১৭২)

তিনি (আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, দীর্ঘ সফরে তার অবস্থা এলোমেলো চুল, ধূলি মলিন অবস্থায় আসমানের দিকে হাত উঠিয়ে (বলে): ’হে রব!, হে রব!’ কিন্তু খাদ্য তার হারাম, পোষাক-পরিচ্ছদ তার হারাম, পানীয় তার হারাম। আর তার লালিত-পালিত হয়েছে হারাম (মাল) দিয়ে। সুতরাং কেমন করে তার (দু’আ) কবূল করা হবে?”[1]

باب فِي أَكْلِ الطَّيِّبِ

أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ مَرْزُوقٍ حَدَّثَنَا عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا الطَّيِّبَ إِنَّ اللَّهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ قَالَ يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنْ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ وَقَالَ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَغُذِّيَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ

اخبرنا ابو نعيم حدثنا الفضيل بن مرزوق حدثنا عدي بن ثابت عن ابي حازم عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يا ايها الناس ان الله طيب لا يقبل الا الطيب ان الله امر المومنين بما امر به المرسلين قال يا ايها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا اني بما تعملون عليم وقال يا ايها الذين امنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم قال ثم ذكر الرجل يطيل السفر اشعث اغبر يمد يديه الى السماء يا رب يا رب ومطعمه حرام وملبسه حرام ومشربه حرام وغذي بالحرام فانى يستجاب لذلك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৬

পরিচ্ছেদঃ ১০. দুনিয়ার যে সকল বস্তু থাকা কারো জন্য যথেষ্ট

২৭৫৬. বুরাইদাহ আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “একজন খাদেম এবং একটি বাহনই দুনিয়াতে (সম্পদের ক্ষেত্রে) তোমাদের কারো জন্য যথেষ্ট।”[1]

باب مَا يَكْفِي مِنْ الدُّنْيَا

حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوَلَةَ عَنْ بُرَيْدَةَ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْفِي أَحَدَكُمْ مِنْ الدُّنْيَا خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ

حدثنا عفان حدثنا حماد بن سلمة عن الجريري عن ابي نضرة عن عبد الله بن مولة عن بريدة الاسلمي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يكفي احدكم من الدنيا خادم ومركب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৭

পরিচ্ছেদঃ ১১. নেককার ব্যক্তিদের মৃত্যুবরণ করা

২৭৫৭. মিরদাস আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পূর্ববর্তী নেককার ব্যক্তিরা একে একে চলে যাবেন। আর যবের খোসা (সদৃশ লোকেরা) অবশিষ্ট থাকবে।”[1]

باب فِي ذَهَابِ الصَّالِحِينَ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ بَيَانٍ هُوَ ابْنُ بِشْرٍ الْأَحْمَسِيُّ عَنْ قَيْسٍ عَنْ مِرْدَاسٍ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْهَبُ الصَّالِحُونَ أَسْلَافًا وَيَبْقَى حُثَالَةٌ كَحُثَالَةِ الشَّعِيرِ

حدثنا سعيد بن منصور حدثنا ابو عوانة عن بيان هو ابن بشر الاحمسي عن قيس عن مرداس الاسلمي قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يذهب الصالحون اسلافا ويبقى حثالة كحثالة الشعير

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিরদাস আসলামী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৮

পরিচ্ছেদঃ ১২. সিয়ামের হেফাজত করা সম্পর্কে

২৭৫৮. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কত রোযাদার আছে যাদের রোযার বিনিময়ে ক্ষুধা-পিপাসা ছাড়া আর কিছুই জোটে না। কত (তাহাজ্জুদ) সালাত আদায়কারী আছে যাদের রাত্রি জাগরণ ছাড়া আর কিছুই জোটে না।”[1]

باب فِي الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّوْمِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَمْ مِنْ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الظَّمَأُ وَكَمْ مِنْ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلَّا السَّهَرُ

اخبرنا اسحق بن عيسى عن عبد الرحمن بن ابي الزناد عن عمرو بن ابي عمرو عن سعيد المقبري عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال كم من صاىم ليس له من صيامه الا الظما وكم من قاىم ليس له من قيامه الا السهر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১৩. সালাতের হেফাজত করা সম্পর্কে

২৭৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সালাতের কথা উল্লেখ করে বলেন: “যে ব্যক্তি তা (সালাত) হেফাজত করবে, কিয়ামত দিবসে তা তার জন্য নূর, দলীল-প্রমাণ ও জাহান্নাম হতে মুক্তি (এর উপায়) হবে। আর যে ব্যক্তি তা (সালাত) হেফাজত করবে না, কিয়ামত দিবসে তা তার জন্য নূর, দলীল-প্রমাণ ও জাহান্নাম হতে মুক্তি (এর উপায়) হবে না। আর এ ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে ক্বারুন, ফিরআউন ও হামান ও উবাই ইবনু খালফ-এর সাথে থাকবে।”[1]

باب فِي الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَاةِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنِي كَعْبُ بْنُ عَلْقَمَةَ عَنْ عِيسَى بْنِ هِلَالٍ الصَّدَفِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ ذَكَرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَقَالَ مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَهُ نُورًا وَبُرْهَانًا وَنَجَاةً مِنْ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهَا لَمْ تَكُنْ لَهُ نُورًا وَلَا نَجَاةً وَلَا بُرْهَانًا وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُونَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَأُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ

اخبرنا عبد الله بن يزيد حدثنا سعيد هو ابن ابي ايوب قال حدثني كعب بن علقمة عن عيسى بن هلال الصدفي عن عبد الله بن عمرو عن النبي صلى الله عليه وسلم انه ذكر الصلاة يوما فقال من حافظ عليها كانت له نورا وبرهانا ونجاة من النار يوم القيامة ومن لم يحافظ عليها لم تكن له نورا ولا نجاة ولا برهانا وكان يوم القيامة مع قارون وفرعون وهامان وابي بن خلف

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬০

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কিয়ামুল্লাইল সম্পর্কে

২৭৬০. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামুল লাইল (রাতের সালাত)-এর ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। এমনকি তিনি বলতেন: “এক রাকাত হলেও (আদায় করো)।”[1]

باب فِي قِيَامِ اللَّيْلِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَجْلَانَ عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْغَبُ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ حَتَّى قَالَ وَلَوْ رَكْعَةً

اخبرنا عبد الله بن صالح قال حدثني الليث قال حدثني ابن عجلان عن حسين بن عبد الله بن عبيد الله بن عباس عن عكرمة عن ابن عباس ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يرغب في قيام الليل حتى قال ولو ركعة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে

২৭৬১. হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পরিবারের উপর জিহ্বা ছিল খুবই ধারালো (তথা তাদেরকে খুব বকা-ঝকা করতাম)। তবে সেটি তাদেরকে অতিক্রম করে অন্যদের পর্যন্ত যেত না। এরপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন: “তুমি তোমার ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা থেকে কোথায় আছ? আমি দৈনিক একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।”[1]

আবূ ইসহাক বলেন, আমি আবী মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর দু’ছেলে আবূ বুরদাহ ও আবূ বকরের নিকট বর্ণনা এ হাদীস করলাম, তখন তারা বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি দৈনিক একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি।”[2]

باب فِي الِاسْتِغْفَارِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عَمْرٍو أَبِي الْمُغِيرَةِ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ كَانَ فِي لِسَانِي ذَرَبٌ عَلَى أَهْلِي وَلَمْ يَكُنْ يَعْدُهُمْ إِلَى غَيْرِهِمْ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيْنَ أَنْتَ عَنْ الِاسْتِغْفَارِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ قَالَ أَبُو إِسْحَقَ فَحَدَّثْتُ أَبَا بُرْدَةَ وَأَبَا بَكْرٍ ابْنَيْ أَبِي مُوسَى قَالَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا اسراىيل حدثنا ابو اسحق عن عبيد بن عمرو ابي المغيرة عن حذيفة قال كان في لساني ذرب على اهلي ولم يكن يعدهم الى غيرهم فسالت النبي صلى الله عليه وسلم فقال اين انت عن الاستغفار اني لاستغفر الله كل يوم ماىة مرة قال ابو اسحق فحدثت ابا بردة وابا بكر ابني ابي موسى قالا قال النبي صلى الله عليه وسلم استغفر الله كل يوم ماىة مرة استغفر الله واتوب اليه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬২

পরিচ্ছেদঃ ১৬. আল্লাহর ভয় (তাক্বওয়া) সম্পর্কে

২৭৬২. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত পাঠ করলেন (أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ) (অনুবাদ): ’’একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী’’ (সূরা মুদ্দাসসিরঃ ৫৬), অতঃপর বলেনঃ তোমাদের রব বলেছেন, ’আমিই উপযুক্ত যে, কেবল আমাকেই ভয় করতে হবে। অতএব যে আমাকে ভয় করবে, তবে আমি তাকে ক্ষমা করার যোগ্য।”[1]

باب فِي تَقْوَى اللَّهِ

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ سَلْمِ بْنِ قُتَيْبَةَ عَنْ سُهَيْلٍ الْقُطَعِيِّ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَرَأَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ قَالَ قَالَ رَبُّكُمْ أَنَا أَهْلٌ أَنْ أُتَّقَى فَمَنْ اتَّقَانِي فَأَنَا أَهْلٌ أَنْ أَغْفِرَ لَهُ

حدثنا الحكم بن المبارك عن سلم بن قتيبة عن سهيل القطعي عن ثابت عن انس عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قرا اهل التقوى واهل المغفرة قال قال ربكم انا اهل ان اتقى فمن اتقاني فانا اهل ان اغفر له

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
২৭৬৩

পরিচ্ছেদঃ ১৬. আল্লাহর ভয় (তাক্বওয়া) সম্পর্কে

২৭৬৩. আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমি এমন একটি বাক্য বা আয়াত জানি, সকলেই যদি তা গ্রহণ করতো তবে অবশ্যই তা-ই তাদের জন্য যথেষ্ট হতো। (তা হলো:) (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجاً) (অনুবাদ): ’’যে কেউ আল্লাহকে ভয় করলে তিনি তার জন্য নিস্কৃতির পথ করে দেন।’’[1] (সূরা তালাকঃ ২)।

باب فِي تَقْوَى اللَّهِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي السَّلِيلِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي لَأَعْلَمُ آيَةً لَوْ أَخَذَ بِهَا النَّاسُ لَكَفَتْهُمْ وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا

حدثنا عثمان بن محمد حدثنا معتمر عن كهمس بن الحسن عن ابي السليل عن ابي ذر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اني لاعلم اية لو اخذ بها الناس لكفتهم ومن يتق الله يجعل له مخرجا

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২০. কোমলতা অধ্যায় (كتاب الرقاق)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 8 পরের পাতা »