পরিচ্ছেদঃ ১. আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন
২৭৪৪. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন।”[1]
وَمِنْ كِتَابِ الرِّقَاقِ بَاب مَنْ يُرِدْ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ يُرِدْ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ
তাখরীজ: আহমাদ ১/৩০৬; তিরমিযী, ইলম ২৬৪৭; তাবারাণী, কাবীর ১১/৩৯২ নং ১০৭৮৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৩২; তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ’। এটি গত হয়েছে ২৩১ নং তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৮১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৮৯ তে। এটি গত হয়েছে ২৩০ নং এ্।
এর শাহিদ রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৫৫ তে।
পরিচ্ছেদঃ ২. সুস্থতা ও অবসর সম্পর্কে
২৭৪৫. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন দু’টি নিয়ামত আছে, যে দু’টোর ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তা হচ্ছে, সুস্থতা আর অবসর।”[1]
باب فِي الصِّحَّةِ وَالْفَرَاغِ
أَخْبَرَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الصِّحَّةَ وَالْفَرَاغَ نِعْمَتَانِ مِنْ نِعَمِ اللَّهِ مَغْبُونٌ فِيهِمَا كَثِيرٌ مِنْ النَّاسِ
তাখরীজ: আহমাদ ১/২৫৮, ৩৪৪; খতীব, আলমুত্তাফাকু ওয়াল মুফতারিক্বু ২/৮৭; বুখারী, রিক্কাক্ব ৬৪১২; হাকিম ৪/৩০৬; ইবনু আবী শাইবা ১৩/২৪৩ নং ১৬২০৪; আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক, যুহদ ১; তিরমিযী, যুহদ ২৩০৫; বাইহাকী, জানাইয ৩/৩৭০; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৮/১৭৪; ইবনু মাজাহ, আদাব ৪১৭০; তাবারাণী, কাবীর ১০/৩৯২ নং ১০৭৮৭; ইবনু আদী, আল কামিল ৬/২০৭১, ২২৪৬।
পরিচ্ছেদঃ ৩. শ্রবণেন্দ্রিয়কে সংরক্ষণ করা
২৭৪৬. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যে লোক কোন এক দলের কথার দিকে কান লাগাল। অথচ তারা এটা পছন্দ করে না, কিয়ামতের দিন তার উভয় কানে সীসা ঢেলে দেয়া হবে।”[1]
باب فِي حِفْظِ السَّمْعِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اسْتَمَعَ إِلَى حَدِيثِ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ صُبَّ فِي أُذُنِهِ الْآنُكُ
তাখরীজ: বুখারী, তা’বীর ৭০৪২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৭৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৮৫, ৫৬৮৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৪১ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. শ্রবণেন্দ্রিয়কে সংরক্ষণ করা
২৭৪৭. আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেন, “তোমার প্রথম দৃষ্টিপাতকে (বেগানা স্ত্রীলোকের প্রতি) তোমার দ্বিতীয় দৃষ্টি (যা ইচ্ছাকৃত) যেন অনুসরণ না করে। কেননা, প্রথমবার দৃষ্টিপাত তোমার জন্য (জায়িয),আর দ্বিতীয়বার (ইচ্ছাকৃতভাবে) দৃষ্টিপাত করা তোমার বিপক্ষে (যা বৈধ নয়)।”[1]
باب فِي حِفْظِ السَّمْعِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ لِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُتْبِعْ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ الْأُولَى لَكَ وَالْآخِرَةَ عَلَيْكَ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৭০ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৪/৩২৬। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ১১/২৫; তারগীব ওয়াত তারহীব ৩/৩৫।
পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে
২৭৪৮. সুফইয়ান ইবনু আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আপনার পরে আর কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবে না।
তিনি বললেনঃ “তুমি আল্লাহকে ভয় করো, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।”
আমি বললাম, এরপর কোন কাজটি? তিনি তার জিহ্বার দিকে ইশারা করলেন।[1]
باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ فِي الْإِسْلَامِ لَا أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا قَالَ اتَّقِ اللَّهَ ثُمَّ اسْتَقِمْ قَالَ قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ شَيْءٍ قَالَ فَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৯৮ ও ৫৬৯৯, ৫৭০০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নরং ২৫৪৩, ২৫৪৪, ২৫৪৫ তে।
এটি রয়েছে মুসলিম, ঈমান ৩৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯৪২ তে। আর দেখুন, ফাতহুল বারী ১১/৩০৯।
সংযোজনী: ইবনু আবীদ দুনিয়া, কিতাবুস ছামতু ১।
পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে
২৭৪৯. (অপর সনদে) সুফইয়ান ইবন আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারি।
তিনি বললেনঃ “তুমি বল, আমার রব হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।”
রাবী বলেন আমি বললামঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ, আমার ব্যাপারে সবচে বেশী কোন্ বিষয়টির আপনি আশংকা করেন? তিনি বলেন, এরপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জিহ্বা ধরলেন এরপর বললেনঃ “এটির।”[1]
باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ يَعْنِي ابْنَ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاذٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ قُلْ رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَكْثَرُ مَا تَخَوَّفُ عَلَيَّ قَالَ فَأَخَذَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلِسَانِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا
তাখরীজ: আগের টীকাটি দেখুন।
পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে
২৭৫০. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন্ ইসলাম সর্বোত্তম? তিনি বললেন, “যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।”[1]
باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْإِسْلَامِ أَفْضَلُ قَالَ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ
তাখরীজ: মুসলিম, ঈমান ৪১;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২২৭৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৭ তে। এটি বিগত ২৪৩৭ এর অংশ।
পরিচ্ছেদঃ ৫. মৌনতা অবলম্বন করা বা চুপ থাকা প্রসঙ্গে
২৭৫১. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি চুপ থাকলো, সে মুক্তি পেলো।”[1]
باب فِي الصَّمْتِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَمَتَ نَجَا
তাখরীজ: আহমাদ ২/১৫৯, ১৭৭; তিরমিযী, সিফাতুল কিয়ামাহ ২৫০৩; কুদায়ী, মুসনাদুশ শিহাব নং ৩৩৪; ইবনু আবীদ দুনিয়া, কিতাবুস ছামতু ১০; আব্দুল্লাহ ইবনু মুবারক, যুহদ ৩৮৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ৪১২৯; ইবনু হাজার ফাতহ ১১/৩০৯ এ বলেন, এটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন আর এর রাবীগণ বিশ্বস্ত।’
সাখাবী মাকাসিদুল হাসানাহ নং ১১৪১ তে বলেন, ‘এর অনেকগুলি শাহিদ রয়েছে, যার মধ্যে একটি রয়েছে তাবারাণীতে জাইয়্যেদ সনদে।’
ইরাকী বলেন, এটি রয়েছে তাবারাণীতে জাইয়্যেদ সনদে।’
দরবেশ হুত তার আসনাল মাতালিব নং ১৪২৮ তে বলেন, এতে ইবনু লাহিয়াহ রয়েছে সে যয়ীফ। তবে তাবারাণীতে রয়েছে জাইয়্যেদ সনদে, ফলে এটি হাসান হবে।’
তবে আমাদের বক্তব্য হলো: তাবারাণী, আওসাত নং ১৯৫৪ তে ইবনু লাহিয়াহ সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন । আর ইবনু লাহিয়াহ’র মুতাবিয়াত বা অনুসরণকারী বর্ণনা করেছেন আমর ইবনুল হারিছ, এর সনদ যদি ঠিক থাকে , তবে এটি জাইয়্যেদ হয়। তাবারাণী’কে অভিযুক্ত করেছেন ইবনুল জাওযী; এবং এর সনদের অজ্ঞাত পরিচয় (জাহালাত) এর কথা বলেছেন যাহাবী।
আমরা বলি: এর অনেক শাহিদ রয়েছে যা একে শক্তিশালী করে। দেখুন, ইবনু আবীদ দুনিয়া, কিতাবুস ছামতু; মুনযিরী, তারগীব ৩/৫৩৬; ফাতহুল বারী ৭/১৫১।
পরিচ্ছেদঃ ৬. গীবত সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে
২৭৫২. আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো, গীবত কি? তিনি বললেন: “তোমার ভাইয়ের প্রসঙ্গে তোমার এমন ধরনের কথা-বার্তা বলা, যা সে অপছন্দ করে।” প্রশ্নকারী বলল, আমি যে কথাগুলো বলি, তা প্রকৃতপক্ষেই তার মধ্যে নিহিত থাকলে (সেটাও কি গীবত)? তিনি বললেন: “(তুমি যে কথাগুলো বল), তা প্রকৃতই তার মধ্যে নিহিত থাকলে তবেই তো তুমি তার গীবত করলে। (তুমি যা বল), যদি সেগুলো তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে।”[1]
باب فِي الْغِيبَةِ
أَخْبَرَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ الْعَلَاءِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قِيلَ لَهُ مَا الْغِيبَةُ قَالَ ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ قِيلَ وَإِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ فَإِنْ كَانَ فِيهِ فَقَدْ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ
তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৮৯;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৪৯৩, ৬৫২৮, ৬৫৩২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৭৫৮, ৫৭৫৯ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৭. মিথ্যা সম্পর্কে
২৭৫৩. আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: “সবচেয়ে নিকৃষ্ট বর্ণনাকারী হলো মিথ্যা বর্ণনাকারী। অন্তর থেকে (তথা প্রকৃত) হোক কিংবা হাসি-ঠাট্টা-রসিকতা করেই হোক, মিথ্যা বলা ঠিক নয়। এমনকি কোনো লোক যেন নিজ সন্তানের সাথেও এমন ওয়াদা না করে, যা সে পূরণ করবে না। নিশ্চয় সত্যবাদীতা (মানুষকে) পুণ্যের পথে চালিত করে এবং পুণ্য জান্নাতের দিকে চালিত করে। পক্ষান্তরে মিথ্যাচার (মানুষকে) পাপাচারের দিকে চালিত করে এবং পাপাচার জাহান্নামের দিকে চালিত করে। আর সত্যবাদী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়, সে সত্য বলেছে ও পুণ্যের কাজ করেছে।
বিপরীতে মিথ্যবাদী সম্পর্কে বলা হয়, সে মিথ্যা বলেছে ও পাপাচার করেছে। কোন ব্যক্তি সত্য কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর নিকট ’সিদ্দীক’ বা সত্যবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। অপর দিকে কোন ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর নিকট ’কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।”তিনি আমাদেরকে বলেন: “আমি কি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব না, ’আযহ’ বা চোগলখুরী কী? তা হচ্ছে কুৎসা রটনা করা, যা মানুষের মাঝে বৈরিতার সৃষ্টি করে।”[1]
باب فِي الْكَذِبِ
أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ إِدْرِيسَ الْأَوْدِيِّ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ يَرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ شَرَّ الرَّوَايَا رَوَايَا الْكَذِبِ وَلَا يَصْلُحُ مِنْ الْكَذِبِ جِدٌّ وَلَا هَزْلٌ وَلَا يَعِدُ الرَّجُلُ ابْنَهُ ثُمَّ لَا يُنْجِزُ لَهُ إِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّهُ يُقَالُ لِلصَّادِقِ صَدَقَ وَبَرَّ وَيُقَالُ لِلْكَاذِبِ كَذَبَ وَفَجَرَ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كَذَّابًا وَإِنَّهُ قَالَ لَنَا هَلْ أُنَبِّئُكُمْ مَا الْعَضْهُ وَإِنَّ الْعَضْهَ هِيَ النَّمِيمَةُ الَّتِي تُفْسِدُ بَيْنَ النَّاسِ
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৭৭ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৮৫ তে।
তাখরীজ: হাকিম ৪/৩০৬; ইবনু মাজাহ, মুকাদ্দামা ৪৬।
আর ‘সত্যবাদীতা ও মিথ্যাবাদীতা সম্পর্কে এবং ‘সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদীর পরিণতি সম্পর্কে বুখারী ও মুসলিমে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৩৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৭৩, ২৭৪ তে মারফু’ হিসেবে।
আবার ‘আযহ’ বা চোগলখুরী’র অংশটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ১/৪৩৭ ও মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৬০৬ তে মারফু’ হিসেবে।
হাকিম বলেন, এ হাদীসের সনদ বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।…’ আর যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন।
আমাদের বক্তব্য: এর সনদ মারফু’ হিসেবে সহীহ, আর তা শাইখাইন বা বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ।… আল্লাহ ভাল জানেন।
পরিচ্ছেদঃ ৮. হাতকে হেফাজত করা সম্পর্কে
২৭৫৪. আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মুসলিম হলো ঐ ব্যক্তি যার জবান ও হাত থেকে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।”[1]
باب فِي حِفْظِ الْيَدِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ
তাখরীজ: বুখারী, ঈমান ১০; মুসলিম, ঈমান ৪০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৯৬, ২৩০, ৩৯৯, ৪০০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬০৬, ৬০৭ তে।
পরিচ্ছেদঃ ৯. হালাল-পবিত্র খাদ্য খাওয়া সম্পর্কে
২৭৫৫. আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হে লোক সকল! নিশ্চয় আল্লাহ্ পবিত্র আর পবিত্র জিনিস ছাড়া তিনি কিছু গ্রহণ করেন না। আল্লাহ্ তা’আলা তার রাসূলগণকে যে বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন মু’মিনদেরও সে বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:
অর্থ: ’’হে রাসূলগণ, তোমরা পবিত্র বস্ত্তু থেকে আহার করো এবং সৎকর্ম করো। তোমরা যা করো সেসম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।” (মু’মিনূন ২৩: ৫১)।
তিনি আরও বলেন,
“হে মু’মিনগণ, তোমাদেরকে আমি যে সব পবিত্র বস্তু দিয়েছি তা থেকে আহার কর, আর আল্লাহরই শোকর করো, যদি তোমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করে থাকো।” (বাক্বারাহ ২:১৭২)
তিনি (আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন: তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, দীর্ঘ সফরে তার অবস্থা এলোমেলো চুল, ধূলি মলিন অবস্থায় আসমানের দিকে হাত উঠিয়ে (বলে): ’হে রব!, হে রব!’ কিন্তু খাদ্য তার হারাম, পোষাক-পরিচ্ছদ তার হারাম, পানীয় তার হারাম। আর তার লালিত-পালিত হয়েছে হারাম (মাল) দিয়ে। সুতরাং কেমন করে তার (দু’আ) কবূল করা হবে?”[1]
باب فِي أَكْلِ الطَّيِّبِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ مَرْزُوقٍ حَدَّثَنَا عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا الطَّيِّبَ إِنَّ اللَّهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ قَالَ يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنْ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ وَقَالَ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ وَغُذِّيَ بِالْحَرَامِ فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ
তাখরীজ: তিরমিযী, তাফসীর ২৯৯২; আহমাদ ২/৩২৮; মুসলিম, যাকাত ১০১৫; বাইহাকী, সালাতুল ইসতিস্কা ৩/৩৪৬; আব্দুর রাযযাক, নং ৮৮৩৯; ইবনু আদী, আল কামিল ১/২৬৪। আরও দেখুন, ফাতহুল বারী ৯/৫১৮; তালখীসুল হাবীর ২/৯৬।
পরিচ্ছেদঃ ১০. দুনিয়ার যে সকল বস্তু থাকা কারো জন্য যথেষ্ট
২৭৫৬. বুরাইদাহ আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “একজন খাদেম এবং একটি বাহনই দুনিয়াতে (সম্পদের ক্ষেত্রে) তোমাদের কারো জন্য যথেষ্ট।”[1]
باب مَا يَكْفِي مِنْ الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوَلَةَ عَنْ بُرَيْدَةَ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكْفِي أَحَدَكُمْ مِنْ الدُّنْيَا خَادِمٌ وَمَرْكَبٌ
তাখরীজ: আহমাদ ৫/৩৬০; ইবনু আবী শাইবা ১৩/২৪৫; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৬/২০৬।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হাশিম ইবনু উতবাহ হতে, আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৪৭৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬৮ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে ইবনু সা’দ ৮/৫২-৫৩; তিরমিযী, লিবাস ১৭৮১; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ; এ সনদের সালিহ ইবনুল হাসান মাতরুকুল হাদীন।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে খাব্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদ উল্লেখ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭২১৪ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১১. নেককার ব্যক্তিদের মৃত্যুবরণ করা
২৭৫৭. মিরদাস আল আসলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পূর্ববর্তী নেককার ব্যক্তিরা একে একে চলে যাবেন। আর যবের খোসা (সদৃশ লোকেরা) অবশিষ্ট থাকবে।”[1]
باب فِي ذَهَابِ الصَّالِحِينَ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ بَيَانٍ هُوَ ابْنُ بِشْرٍ الْأَحْمَسِيُّ عَنْ قَيْسٍ عَنْ مِرْدَاسٍ الْأَسْلَمِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْهَبُ الصَّالِحُونَ أَسْلَافًا وَيَبْقَى حُثَالَةٌ كَحُثَالَةِ الشَّعِيرِ
তাখরীজ: বুখারী, রিক্কাক্ব ৬৪৩৪;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৮৫২ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, হাকিম ৪/৪০১; বুখারী, কাবীর ৭/৪৩৪; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ নং ১০৮৬।
পরিচ্ছেদঃ ১২. সিয়ামের হেফাজত করা সম্পর্কে
২৭৫৮. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কত রোযাদার আছে যাদের রোযার বিনিময়ে ক্ষুধা-পিপাসা ছাড়া আর কিছুই জোটে না। কত (তাহাজ্জুদ) সালাত আদায়কারী আছে যাদের রাত্রি জাগরণ ছাড়া আর কিছুই জোটে না।”[1]
باب فِي الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّوْمِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كَمْ مِنْ صَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلَّا الظَّمَأُ وَكَمْ مِنْ قَائِمٍ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلَّا السَّهَرُ
তাখরীজ: আামরা এর তাখরীজ দিয়েছি আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৫৫১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৪৮১ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬৫৪ তে। ((ইবনু মাজাহ, সাওম ১৬৯০; আহমাদ ২/৩৭৩; ইবনু খুযাইমা ১৯৯৭; হাকিম, ১/৪৩১; তিনি একে বুখারী শর্তানুযায়ী বলেছেন এবং যাহাবী তা সমর্থন করেছেন।– ফাতহুল মান্নান হা/২৮৮৫ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))
পরিচ্ছেদঃ ১৩. সালাতের হেফাজত করা সম্পর্কে
২৭৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সালাতের কথা উল্লেখ করে বলেন: “যে ব্যক্তি তা (সালাত) হেফাজত করবে, কিয়ামত দিবসে তা তার জন্য নূর, দলীল-প্রমাণ ও জাহান্নাম হতে মুক্তি (এর উপায়) হবে। আর যে ব্যক্তি তা (সালাত) হেফাজত করবে না, কিয়ামত দিবসে তা তার জন্য নূর, দলীল-প্রমাণ ও জাহান্নাম হতে মুক্তি (এর উপায়) হবে না। আর এ ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে ক্বারুন, ফিরআউন ও হামান ও উবাই ইবনু খালফ-এর সাথে থাকবে।”[1]
باب فِي الْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنِي كَعْبُ بْنُ عَلْقَمَةَ عَنْ عِيسَى بْنِ هِلَالٍ الصَّدَفِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ ذَكَرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا فَقَالَ مَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَتْ لَهُ نُورًا وَبُرْهَانًا وَنَجَاةً مِنْ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ لَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهَا لَمْ تَكُنْ لَهُ نُورًا وَلَا نَجَاةً وَلَا بُرْهَانًا وَكَانَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَعَ قَارُونَ وَفِرْعَوْنَ وَهَامَانَ وَأُبَيِّ بْنِ خَلَفٍ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৪৬৭ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৫৪ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ১৬৩৪ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১৪. কিয়ামুল্লাইল সম্পর্কে
২৭৬০. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামুল লাইল (রাতের সালাত)-এর ব্যাপারে উৎসাহিত করতেন। এমনকি তিনি বলতেন: “এক রাকাত হলেও (আদায় করো)।”[1]
باب فِي قِيَامِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ عَجْلَانَ عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْغَبُ فِي قِيَامِ اللَّيْلِ حَتَّى قَالَ وَلَوْ رَكْعَةً
তাখরীজ: আামরা এর তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদসমূহ উল্লেখ করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩৫৬৫ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১৫. ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে
২৭৬১. হুযাইফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পরিবারের উপর জিহ্বা ছিল খুবই ধারালো (তথা তাদেরকে খুব বকা-ঝকা করতাম)। তবে সেটি তাদেরকে অতিক্রম করে অন্যদের পর্যন্ত যেত না। এরপর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন: “তুমি তোমার ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা থেকে কোথায় আছ? আমি দৈনিক একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি।”[1]
আবূ ইসহাক বলেন, আমি আবী মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর দু’ছেলে আবূ বুরদাহ ও আবূ বকরের নিকট বর্ণনা এ হাদীস করলাম, তখন তারা বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি দৈনিক একশতবার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি।”[2]
باب فِي الِاسْتِغْفَارِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عَمْرٍو أَبِي الْمُغِيرَةِ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ كَانَ فِي لِسَانِي ذَرَبٌ عَلَى أَهْلِي وَلَمْ يَكُنْ يَعْدُهُمْ إِلَى غَيْرِهِمْ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيْنَ أَنْتَ عَنْ الِاسْتِغْفَارِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ قَالَ أَبُو إِسْحَقَ فَحَدَّثْتُ أَبَا بُرْدَةَ وَأَبَا بَكْرٍ ابْنَيْ أَبِي مُوسَى قَالَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৮ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ১৩/৪৬৩ নং ১৬৯২৬; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ৬/২৭৬; ইবনুস সুন্নী, আমলুল ইয়ামু ওয়াল লাইলাহ নং ৩৬২; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ ১/২৫১ নং ১২৩৯।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৫ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৬ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীসটি রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আামরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৩৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯২৪ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৪৫৭ তে।
[2] তাহক্বীক্ব: এ মুরসাল হাদীসটির সনদ জাইয়্যেদ বা উত্তম।
তাখরীজ: আর এটি মাওসুল ও মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৪/৪১০; নাসাঈ, আমলুল ইয়ামু ওয়াল লাইলাহ নং ৪৪০; তাহাবী, শারহু মাআনিল আছার ৪/২৮৯ তে। আগের টীকাটিও দেখুন।
পরিচ্ছেদঃ ১৬. আল্লাহর ভয় (তাক্বওয়া) সম্পর্কে
২৭৬২. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত পাঠ করলেন (أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ) (অনুবাদ): ’’একমাত্র তিনিই ভয়ের যোগ্য এবং তিনিই ক্ষমা করার অধিকারী’’ (সূরা মুদ্দাসসিরঃ ৫৬), অতঃপর বলেনঃ তোমাদের রব বলেছেন, ’আমিই উপযুক্ত যে, কেবল আমাকেই ভয় করতে হবে। অতএব যে আমাকে ভয় করবে, তবে আমি তাকে ক্ষমা করার যোগ্য।”[1]
باب فِي تَقْوَى اللَّهِ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ سَلْمِ بْنِ قُتَيْبَةَ عَنْ سُهَيْلٍ الْقُطَعِيِّ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَرَأَ أَهْلُ التَّقْوَى وَأَهْلُ الْمَغْفِرَةِ قَالَ قَالَ رَبُّكُمْ أَنَا أَهْلٌ أَنْ أُتَّقَى فَمَنْ اتَّقَانِي فَأَنَا أَهْلٌ أَنْ أَغْفِرَ لَهُ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯৩৪ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১৬. আল্লাহর ভয় (তাক্বওয়া) সম্পর্কে
২৭৬৩. আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমি এমন একটি বাক্য বা আয়াত জানি, সকলেই যদি তা গ্রহণ করতো তবে অবশ্যই তা-ই তাদের জন্য যথেষ্ট হতো। (তা হলো:) (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجاً) (অনুবাদ): ’’যে কেউ আল্লাহকে ভয় করলে তিনি তার জন্য নিস্কৃতির পথ করে দেন।’’[1] (সূরা তালাকঃ ২)।
باب فِي تَقْوَى اللَّهِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ كَهْمَسِ بْنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي السَّلِيلِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي لَأَعْلَمُ آيَةً لَوْ أَخَذَ بِهَا النَّاسُ لَكَفَتْهُمْ وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬৬৮, ৬৬৬৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৪৭, ১৫৪৮ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, আহমাদ, যুহদ পৃ: ১৪৬; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৫/৪১৩ তে।