পরিচ্ছেদঃ ১৩. ইসলামের যাবতীয় গুন যার মধ্যে নিহিত
৬৬। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আবূ কুরায়ব, কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... সুফিয়ান ইবনু আবদুল্লাহ আল সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমাকে ইসলাম সমন্ধে এমন কথা বলে দিন, আপনার পরে যেন তা আমাকে আর কারো কাছে জিজ্ঞেস করতে না হয়। আবূ উসামার হাদীসে بَعْدَكَ এর স্থলে غَيْرَكَ রয়েছে। রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি বল, আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। তারপর এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাক।
باب جَامِعِ أَوْصَافِ الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قُلْ لِي فِي الإِسْلاَمِ قَوْلاً لاَ أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا بَعْدَكَ - وَفِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ غَيْرَكَ - قَالَ " قُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ فَاسْتَقِمْ " .
It is narrated on the authority of Sufyan b. 'Abdulla al-Thaqafi that he said:
I asked the Messenger of Allah to tell me about Islam a thing which might dispense with the necessity of my asking anybody after you. In the hadith of Abu Usama the (words) are: other than you. He (the Holy Prophet) remarked: Say I affirm my faith in Allah and then remain steadfast to it.
পরিচ্ছেদঃ ২৫৪: গীবত (পরনিন্দা) নিষিদ্ধ এবং বাক্ সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
৭/১৫২৫। সুফয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন কথা বাতলে দিন, যা মজবুত-ভাবে ধরে রাখব।’ তিনি বললেন, “তুমি বল, আমার রব আল্লাহ, অতঃপর তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাক।” আমি পুনরায় নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্য আপনি কোন জিনিসকে সব চাইতে বেশি ভয় করেন?’ তিনি স্বীয় জিহ্বাকে (স্বহস্তে) ধারণ-পূর্বক বললেন, “এটাকে।” (তিরমিযী হাসান সহীহ) [1]
(254) بَابُ تَحْرِيْمِ الْغِيْبَةِ وَالْأَمْرِ بِحِفْظِ اللِّسَانِ
وَعَنْ سُفيَانَ بنِ عَبدِ اللهِ رضي الله عنه قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَدِّثنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ: قلْ: رَبِّيَ اللهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ» قُلْتُ: يَا رَسُول اللهِ، مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ ؟ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ، ثُمَّ قَالَ: «هَذَا» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
(254) Chapter: The Prohibition of Backbiting and the Commandment of Guarding one's Tongue
Sufyan bin 'Abdullah (May Allah be pleased with him) reported:
I asked: "O Messenger of Allah! Tell me, of something to which I may remain steadfast." He (ﷺ) said, "Say: My Rubb is Allah and then remain steadfast." Then I said: "O Messenger of Allah! What do you fear most about me?" He took hold of his own tongue and said: "This."
[At-Tirmidhi].
Commentary: Faith in Allah and all His Attributes is the basis of all virtuous deeds. No act or deed is acceptable by Allah without this faith, "and then remain steadfast'' means to comply with what Allah has ordained and to keep away from what He has forbidden so that one can win over His Pleasure. Every Muslim is required to guard his speech strictly because even the slightest carelessness on this account can cause Allah's displeasure.
পরিচ্ছেদঃ যবানের হিফাযত।
২৪১৩. সুওয়ায়াদ ইবন নাসর (রহঃ) ..... সুফইয়ান ইবন আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারি।
তিনি বললেনঃ তুমি বল, আমার রব হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।
রাবী বলেন আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমার বিষয়ে সবচে’ বেশী কিসের আশংকা আপনি করেন?
তিনি তার জিহ্বা ধরলেন এরপর বললেনঃ এটির। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৯৭২, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪১০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। সুফইয়ান ইবন আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এটি একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَاعِزٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَدِّثْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ . قَالَ " قُلْ رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَىَّ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ " هَذَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ .
Sufyan bin 'Abdullah Ath-Thaqafi said:
I said: "O Messenger of Allah! Inform me about a matter that I may hold fast to." He said: 'Say: My Lord is Allah, then be steadfast.' I said: "O Messenger of Allah! What do you fear most for me?" So he took hold of his tongue and said: 'This.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬০. রসনা সংযত রাখা বা সংযতবাক হওয়া
২৪১০। সুফিয়ান ইবনু আবদুল্লাহ আস-সাকাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে এমন একটি কথা বলুন, যা আমি ধারণ করতে পারি। তিনি বললেনঃ তুমি বল, আল্লাহই আমার রব (প্রভু) তারপর এতে সুদৃঢ় থাক। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি আবার বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনার দৃষ্টিতে আমার জন্য সর্বাধিক আশংকাজনক বস্তু কোনটি? তিনি স্বীয় জিহ্বা ধরে বললেনঃ এই যে, এটি।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৭২), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এই হাদীসটি সুফিয়ান ইবনু আব্দুল্লাহ আস-সাকাফী (রাঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَاعِزٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَدِّثْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ . قَالَ " قُلْ رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَىَّ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ " هَذَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ .
Sufyan bin 'Abdullah Ath-Thaqafi said:
I said: "O Messenger of Allah! Inform me about a matter that I may hold fast to." He said: 'Say: My Lord is Allah, then be steadfast.' I said: "O Messenger of Allah! What do you fear most for me?" So he took hold of his tongue and said: 'This.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে
২৭৪৮. সুফইয়ান ইবনু আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আপনার পরে আর কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবে না।
তিনি বললেনঃ “তুমি আল্লাহকে ভয় করো, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।”
আমি বললাম, এরপর কোন কাজটি? তিনি তার জিহ্বার দিকে ইশারা করলেন।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৬৯৮ ও ৫৬৯৯, ৫৭০০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নরং ২৫৪৩, ২৫৪৪, ২৫৪৫ তে।
এটি রয়েছে মুসলিম, ঈমান ৩৮; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৯৪২ তে। আর দেখুন, ফাতহুল বারী ১১/৩০৯।
সংযোজনী: ইবনু আবীদ দুনিয়া, কিতাবুস ছামতু ১।
باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِعَمَلٍ فِي الْإِسْلَامِ لَا أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا قَالَ اتَّقِ اللَّهَ ثُمَّ اسْتَقِمْ قَالَ قُلْتُ ثُمَّ أَيُّ شَيْءٍ قَالَ فَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪. জিহ্বাকে সংযত রাখা সম্পর্কে
২৭৪৯. (অপর সনদে) সুফইয়ান ইবন আবদুল্লাহ ছাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এমন একটি বিষয়ের কথা আমাকে বলুন যা আমি দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে পারি।
তিনি বললেনঃ “তুমি বল, আমার রব হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তারপর এতে দৃঢ় হয়ে থেকো।”
রাবী বলেন আমি বললামঃ ইয়া নবীয়াল্লাহ, আমার ব্যাপারে সবচে বেশী কোন্ বিষয়টির আপনি আশংকা করেন? তিনি বলেন, এরপর আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জিহ্বা ধরলেন এরপর বললেনঃ “এটির।”[1]
তাখরীজ: আগের টীকাটি দেখুন।
باب فِي حِفْظِ اللِّسَانِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ يَعْنِي ابْنَ إِسْمَعِيلَ بْنِ مُجَمِّعٍ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مُعَاذٍ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ قُلْ رَبِّيَ اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَكْثَرُ مَا تَخَوَّفُ عَلَيَّ قَالَ فَأَخَذَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلِسَانِهِ ثُمَّ قَالَ هَذَا
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ইসলামের বৈশিষ্ট্যসমূহ
৬৪-(৬২/৩৮) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, আবূ কুরায়ব ..... সুফইয়ান ইবনু ’আবদুল্লাহ আস্ সাকাফী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে এমন একটি কথা বলুন যে, আমাকে এ সম্পর্কে আপনার পরে অন্য কারো কাছে জিজ্ঞেস করতে না হয়। আবূ উসামার হাদীসে রয়েছে- আপনি ছাড়া আর কাউকে জিজ্ঞেস করব না। তিনি বললেন, ’বল আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম। অতঃপর এর উপর অবিচল থাক। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৬৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৭)
باب جَامِعِ أَوْصَافِ الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قُلْ لِي فِي الإِسْلاَمِ قَوْلاً لاَ أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا بَعْدَكَ - وَفِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ غَيْرَكَ - قَالَ " قُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ فَاسْتَقِمْ " .
Chapter: A phrase that sums up Islam
It is narrated on the authority of Sufyan b. 'Abdulla al-Thaqafi that he said: I asked the Messenger of Allah to tell me about Islam a thing which might dispense with the necessity of my asking anybody after you. In the hadith of Abu Usama the (words) are: other than you. He (the Holy Prophet) remarked: Say I affirm my faith in Allah and then remain steadfast to it.
পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮৪৩-[৩২] সুফ্ইয়ান ইবনু ’আবদুল্লাহ আস্ সাকাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রসূল! যে জিনিসগুলো আপনি আমার জন্য ভয়ের বস্তু বলে মনে করেন, তন্মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কোন্ জিনিসটি? রাবী বলেন, এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজের জিহবা ধরে বললেনঃ ’’এটা’’! [তিরমিযী; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।][1]
وَعَن
سُفْيَان بن عبد الله الثَّقَفِيّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ؟ قَالَ: فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ وَقَالَ: «هَذَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ
ব্যাখ্যাঃ (مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ؟) ‘‘আপনি কোন্ বিষয়ে আমার ওপর সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা করেন?’’ সুফ্ইয়ান বলেনঃ তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জিহ্বা ধরে বললেন, এটা। অর্থাৎ এটা তোমার জন্য আমি বেশী আশঙ্কা করি। কারণ এ অঙ্গটাই শরীরের সবচেয়ে বেশী কাজ সংঘটিত করে তথা পাপ-পুণ্য সকল ক্ষেত্রেই তার অবদান রয়েছে। যে তার জিহ্বার লাগাম টেনে না ধরে ঢিল দিয়ে রাখে তখন শয়তান তাকে নিয়ে সকল ক্ষেত্রে বিচরণ করে এবং তাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। আর এর অনিষ্টতা থেকে সেই রক্ষা পাবে যে শারী‘আতের লাগাম শক্ত করে ধারণ করবে।
মোটকথা জিহ্বার ভালো মন্দ তার কর্মের উপর নির্ভর করে। ঠিক করে কোন একটির উপর বেশী গুরুত্বারোপ করা কঠিন তবে আল্লাহ যার ভালো কাজ করার তাওফীক দেন তার জন্য ভালো কাজ করা সহজ। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ যেসব আমল আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দেয়, সেসব আমলের উপর অটল-অবিচল থাকার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা জরুরী যেন তিনি এর বদৌলতে মেহেরবানী করে এসব আমলের উপর অটল-অবিচল রাখেন
৯৩৮. সুফিয়ান বিন আব্দুল্লাহ আস সাকাফী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি আমাকে এমন একটি কথা বলুন, যে ব্যাপারে আপনার পরে আর কাউকে জিজ্ঞেস করবো না।” জবাবে তিনি বলেন, “তুমি বলো, آمَنْتُ بِاللَّهِ (আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করলাম।) এরপর তুমি (এর উপর) অটল থাকো।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (যিলালুল জান্নাত: ২১।)
ذِكْرُ مَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنْ سُؤَالِ الْبَارِي تَعَالَى الثَّبَاتَ وَالِاسْتِقَامَةَ عَلَى مَا يُقَرِّبُهُ إِلَيْهِ بِفَضْلِ اللَّهِ عَلَيْنَا بِذَلِكَ
938 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الصَّيْرَفِيُّ بِالْبَصْرَةِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الْقُرَشِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ قُلْ لِي قَوْلًا لَا أَسْأَلُ عَنْهُ أَحَدًا بَعْدَكَ قَالَ: (قُلْ: آمَنْتُ بِاللَّهِ ثُمَّ اسْتَقِمْ)
الراوي : سُفْيَان بْن عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 938 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح.
পরিচ্ছেদঃ ওযূকারী ব্যক্তিকে ওযূ শেষ করার পর মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন, যখন সে ঠিক ওযূ করে যেভাবে ওযূ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেভাবে সালাত আদায় করে, যেভাবে আদায় সালাত আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
১০৩৯. ‘আসিম বিন সুফইয়ান আস সাকাফী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, তারা ‘সালাসিল’ যুদ্ধ করেছেন অতঃপর শত্রুরা তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। তারপর তারা সীমান্ত পাহাড়ায় নিয়োজিত হন অতঃপর তারা মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে আসেন, এসময় তাঁর কাছে আবূ আইয়্যূব ও ‘উকবাহ বিন আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উপস্থিত ছিলেন। তখন ‘আসিম বলেন, “হে আবূ আইয়্যূব, এবছর শত্রু আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে, আর আমাদের হাদীস বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি চার মসজিদে সালাত আদায় করবে, তার গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” জবাবে তিনি বলেন, “ভাতিজা, আমি কি তোমাকে এর চেয়েও সহজ জিনিসের সন্ধান দিবো? নিশ্চয়ই আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যে ব্যক্তি ওযূ করে, যেভাবে তাকে আদেশ করা হয়েছে এবং সালাত আদায় করে, যেভাবে তাকে সালাত করতে আদেশ করা হয়েছে, তার পূর্বের গোনাহ ক্ষমা করা হবে।” হে উকবাহ, হাদীসটি কি এমনই?” জবাবে তিনি বলেন, “হ্যাঁ।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “চার মসজিদ হলো মাসজিদুল হারাম, মাসজিদে নববী, মাসজিদে আকসা ও মাসজিদে কুবা। সালাসিল যুদ্ধ মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সময়ে সংঘটিত হয়েছিল আরেক সালাসিল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যামানায়।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির ব্যাপারে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেননি। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ১/৯৮, ৯৯।)
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا إِنَّمَا يَغْفِرُ ذُنُوبَ الْمُتَوَضِّئِ بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْهُ إِذَا تَوَضَّأَ كَمَا أُمر وَصَلَّى كَمَا أُمر
1039 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ مَوْهَبٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ سُفْيَانَ الثَّقَفِيِّ: أَنَّهُمْ غَزَوْا غَزْوَةَ السَّلَاسِلِ فَفَاتَهُمُ الْعَدُوُّ فَرَابَطُوا ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ أَبُو أَيُّوبَ وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ فَقَالَ عَاصِمٌ: يَا أَبَا أَيُّوبَ فَاتَنَا الْعَدُوُّ الْعَامَ وَقَدْ أُخبرنا أَنَّهُ مَنْ صَلَّى فِي الْمَسَاجِدِ الْأَرْبَعَةِ غُفر لَهُ ذَنْبُهُ قَالَ: يَا ابْنَ أَخِي أَدُلُّكَ عَلَى مَا هُوَ أَيْسَرُ مِنْ ذَلِكَ؟ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (مَنْ تَوَضَّأَ كَمَا أُمر وَصَلَّى كَمَا أُمر غُفر لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ) أَكَذَلِكَ يَا عقبة؟ قال: نعم.
الراوي : عَاصِم بْن سُفْيَانَ الثَّقَفِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1039 | خلاصة حكم المحدث: حسن.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: الْمَسَاجِدُ الْأَرْبَعَةُ: مَسْجِدُ الْحَرَامِ وَمَسْجِدُ الْمَدِينَةِ وَمَسْجِدُ الْأَقْصَى وَمَسْجِدُ قُبَاءٍ وَغَزَاةُ السَّلَاسِلِ كَانَتْ فِي أَيَّامِ مُعَاوِيَةَ وَغَزَاةُ السَّلَاسِلِ كَانَتْ فِي أَيَّامِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.