পরিচ্ছেদঃ ৪৯/১. ক্রীতদাস আযাদ করা ও তার গুরুত্ব।
وَقَوْلِهِ تَعَالَى ( فَكُّ رَقَبَةٍ أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ يَتِيمًا ذَا مَقْرَبَةٍ )
আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘ক্রীতদাস মুক্তি অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে ইয়াতীম আত্মীয়কে অন্নদান।’’ (বালাদ (৯০) : ১৩)
২৫১৭. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ কোন মুসলিম ক্রীতদাস মুক্ত করলে আল্লাহ সেই ক্রীতদাসের প্রত্যেক অঙ্গের বিনিময়ে তার এক একটি অঙ্গ (জাহান্নামের) আগুন হতে মুক্ত করবেন। সাঈদ ইবনু মারজানা (রাঃ) বলেন, এ হাদীসটি আমি আলী ইবনু হুসাইনের খিদমতে পেশ করলাম। তখন ‘আলী ইবনু হুসাইন (রাঃ) তাঁর এক ক্রীতদাসের কাছে উঠে গেলেন যার বিনিময়ে ‘আবদুল্লাহ ইবনু জা‘ফার (রাঃ) তাকে দশ হাজার দিরহাম কিংবা এক হাজার দ্বীনার দিতে চেয়েছিলেন এবং তিনি তাকে মুক্ত করে দিলেন। (৬৭১৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫১)
بَاب فِي الْعِتْقِ وَفَضْلِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنِي وَاقِدُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ مَرْجَانَةَ صَاحِبُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ قَالَ قَالَ لِي أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُّمَا رَجُلٍ أَعْتَقَ امْرَأً مُسْلِمًا اسْتَنْقَذَ اللهُ بِكُلِّ عُضْوٍ مِنْهُ عُضْوًا مِنْهُ مِنْ النَّارِ قَالَ سَعِيدُ بْنُ مَرْجَانَةَ فَانْطَلَقْتُ بِهِ إِلَى عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ فَعَمَدَ عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ إِلَى عَبْدٍ لَهُ قَدْ أَعْطَاهُ بِهِ عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ عَشَرَةَ آلاَفِ دِرْهَمٍ أَوْ أَلْفَ دِينَارٍ فَأَعْتَقَهُ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever frees a Muslim slave, Allah will save all the parts of his body from the (Hell) Fire as he has freed the body-parts of the slave." Sa`id bin Marjana said that he narrated that Hadith to `Ali bin Al-Husain and he freed his slave for whom `Abdullah bin Ja`far had offered him ten thousand Dirhams or one-thousand Dinars.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/২. কোন্ ধরনের ক্রীতদাস আযাদ করা শ্রেয়?
২৫১৮. আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ ‘আমল উত্তম? তিনি বললেন, আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর পথে জিহাদ করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ ধরনের ক্রীতদাস মুক্ত করা উত্তম? তিনি বললেন, যে ক্রীতদাসের মূল্য অধিক এবং যে ক্রীতদাস তার মনিবের কাছে অধিক আকর্ষণীয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ যদি আমি করতে না পারি? তিনি বললেন, তাহলে কাজের লোককে (তার কাজে) সাহায্য করবে কিংবা বেকারকে কাজ দিবে। আমি (আবারও) বললাম, এও যদি না পারি? তিনি বললেন, মানুষকে তোমার অনিষ্টতা হতে মুক্ত রাখবে। বস্তুতঃ এটা তোমার নিজের জন্য তোমার পক্ষ হতে সাদাকাহ। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫২)
بَاب أَيُّ الرِّقَابِ أَفْضَلُ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي مُرَاوِحٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ قَالَ إِيمَانٌ بِاللهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِهِ قُلْتُ فَأَيُّ الرِّقَابِ أَفْضَلُ قَالَ أَعْلاَهَا ثَمَنًا وَأَنْفَسُهَا عِنْدَ أَهْلِهَا قُلْتُ فَإِنْ لَمْ أَفْعَلْ قَالَ تُعِينُ ضَايِعًا أَوْ تَصْنَعُ لأَخْرَقَ قَالَ فَإِنْ لَمْ أَفْعَلْ قَالَ تَدَعُ النَّاسَ مِنْ الشَّرِّ فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ تَصَدَّقُ بِهَا عَلَى نَفْسِكَ
Narrated Abu Dhar:
I asked the Prophet, "What is the best deed?" He replied, "To believe in Allah and to fight for His Cause." I then asked, "What is the best kind of manumission (of slaves)?" He replied, "The manumission of the most expensive slave and the most beloved by his master." I said, "If I cannot afford to do that?" He said, "Help the weak or do good for a person who cannot work for himself." I said, "If I cannot do that?" He said, "Refrain from harming others for this will be regarded as a charitable deed for your own good."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৩. সূর্যগ্রহণ ও (আল্লাহর কুদরতের) বিভিন্ন নিদর্শন প্রকাশের সময় ক্রীতদাস আযাদ করা পছন্দনীয়।
২৫১৯. আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণের সময় ক্রীতদাস মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আলী (রহ.) দরাওয়ারদী (রহ.) সূত্রে হিশাম (রহ.) হাদীস বর্ণনায় মূসা ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। (৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫৩)
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ الْعَتَاقَةِ فِي الْكُسُوفِ أَوْ الآيَاتِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ مَسْعُودٍ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالْعَتَاقَةِ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ تَابَعَهُ عَلِيٌّ عَنْ الدَّرَاوَرْدِيِّ عَنْ هِشَامٍ
Narrated Asma' bint Abu Bakr:
The Prophet (ﷺ) ordered us to free slaves at the time of solar eclipses.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৩. সূর্যগ্রহণ ও (আল্লাহর কুদরতের) বিভিন্ন নিদর্শন প্রকাশের সময় ক্রীতদাস আযাদ করা পছন্দনীয়।
২৫২০. আসমা বিনতু আবূ বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূর্য গ্রহণের সময় আমাদেরকে ক্রীতদাস মুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হত। (৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫৪)
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ الْعَتَاقَةِ فِي الْكُسُوفِ أَوْ الآيَاتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا عَثَّامٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ قَالَتْ كُنَّا نُؤْمَرُ عِنْدَ الْخُسُوفِ بِالْعَتَاقَةِ
Narrated Asma' bint Abu Bakr:
We were ordered to free slaves at the time of lunar eclipses.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৪. দু’ ব্যক্তির মালিকানাভুক্ত ক্রীতদাস বা কয়েকজন অংশীদারের দাসী আযাদ করা।
২৫২১. সালিমের পিতা [ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দু’জনের মালিকানাধীন ক্রীতদাস মুক্ত করে, সে সচ্ছল হলে প্রথমে ক্রীতদাসের মূল্য নির্ধারণ করা হবে, তারপর মুক্ত করবে। (২৪৯১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫৫)
بَاب إِذَا أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَ اثْنَيْنِ أَوْ أَمَةً بَيْنَ الشُّرَكَاءِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَ اثْنَيْنِ فَإِنْ كَانَ مُوسِرًا قُوِّمَ عَلَيْهِ ثُمَّ يُعْتَقُ
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever manumits a slave owned by two masters, should manumit him completely (not partially) if he is rich after having its price evaluated."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৪. দু’ ব্যক্তির মালিকানাভুক্ত ক্রীতদাস বা কয়েকজন অংশীদারের দাসী আযাদ করা।
২৫২২. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি কোন ক্রীতদাস হতে নিজের অংশ মুক্ত করে আর ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকে, তবে তার উপর দায়িত্ব হবে ক্রীতদাসের ন্যায্য মূল্য নির্ণয় করা। তারপর সে শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করবে এবং ক্রীতদাসটি তার পক্ষ হতে মুক্ত হয়ে যাবে, কিন্তু (সে পরিমাণ অর্থ) না থাকলে তার পক্ষ হতে ততটুকুই মুক্ত হবে যতটুকু সে মুক্ত করেছে। (২৪৯১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫৬)
بَاب إِذَا أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَ اثْنَيْنِ أَوْ أَمَةً بَيْنَ الشُّرَكَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ فَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ الْعَبْدُ عَلَيْهِ قِيمَةَ عَدْلٍ فَأَعْطَى شُرَكَاءَهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلاَّ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever frees his share of a common slave and he has sufficient money to free him completely, should let its price be estimated by a just man and give his partners the price of their shares and manumit the slave; otherwise (i.e. if he has not sufficient money) he manumits the slave partially."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৪. দু’ ব্যক্তির মালিকানাভুক্ত ক্রীতদাস বা কয়েকজন অংশীদারের দাসী আযাদ করা।
২৫২৩. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ কোন (শরীকী) ক্রীতদাস হতে নিজের অংশ মুক্ত করলে ঐ ক্রীতদাসের সম্পূর্ণটা মুক্ত করা তার জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়বে, যদি তার কাছে সেই ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ অর্থ থাকে। আর যদি তার কাছে কোন অর্থ না থাকে তাহলে তার দায়িত্ব হবে আযাদকৃত (গোলামের) ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা। এতে আযাদকারীর পক্ষ হতে ততটুকুই মুক্ত হবে, যতটুকু সে মুক্ত করেছে। মুসাদ্দাদ (রহ.) বিশর ইবনু মুফায্যাল (রহ.) সূত্রে ‘উবায়দুল্লাহ (রহ.) থেকে উক্ত হাদীসটি সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণিত আছে। (২৪৯১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫৭)
بَاب إِذَا أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَ اثْنَيْنِ أَوْ أَمَةً بَيْنَ الشُّرَكَاءِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ أَبِي أُسَامَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ فَعَلَيْهِ عِتْقُهُ كُلُّهُ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَهُ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ يُقَوَّمُ عَلَيْهِ قِيمَةَ عَدْلٍ فَأُعْتِقَ مِنْهُ مَا أَعْتَقَ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا بِشْرٌ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ اخْتَصَرَهُ
Narrated Ibn `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever manumits his share of a slave, then it is essential for him to get that slave manumitted' completely as long as he has the money to do so. If he has not sufficient money to pay the price of the other shares (after the price of the slave is evaluated justly), the manumitted manumits the slave partially in proportion to his share.
Narrated 'Ubaidullah:
as above BRIEFLY.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৪. দু’ ব্যক্তির মালিকানাভুক্ত ক্রীতদাস বা কয়েকজন অংশীদারের দাসী আযাদ করা।
২৫২৪. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ কোন (শরীকী) ক্রীতদাস হতে নিজের অংশ মুক্ত করে দিলে এবং ক্রীতদাসের ন্যায্যমূল্য পরিমাণ অর্থ তার কাছে থাকলে, সেই ক্রীতদাস সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে যাবে। নাফি‘ (রহ.) বলেন, আর সেই পরিমাণ অর্থ না থাকলে যতটুকু সে মুক্ত করবে তারপক্ষ হতে ততটুকুই মুক্ত হবে। রাবী আইউব (রহ.) বলেন, আমি জানি না, এটা কি নাফী‘ (রহ.) নিজ হতে বলেছেন, না এটাও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫৮)
بَاب إِذَا أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَ اثْنَيْنِ أَوْ أَمَةً بَيْنَ الشُّرَكَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَعْتَقَ نَصِيبًا لَهُ فِي مَمْلُوكٍ أَوْ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ وَكَانَ لَهُ مِنْ الْمَالِ مَا يَبْلُغُ قِيمَتَهُ بِقِيمَةِ الْعَدْلِ فَهُوَ عَتِيقٌ قَالَ نَافِعٌ وَإِلاَّ فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ قَالَ أَيُّوبُ لاَ أَدْرِي أَشَيْءٌ قَالَهُ نَافِعٌ أَوْ شَيْءٌ فِي الْحَدِيثِ
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "He who manumits his share of a slave and has money sufficient to free the remaining portion of that slave's price (justly estimated) then he should manumit him (by giving the rest of his price to the other co-owners)." Nafi` added, "Otherwise the slave is partially free." Aiyub is not sure whether the last statement was said by Nafi` or it was a part of the Hadith.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৪. দু’ ব্যক্তির মালিকানাভুক্ত ক্রীতদাস বা কয়েকজন অংশীদারের দাসী আযাদ করা।
২৫২৫. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি শরীকী ক্রীতদাস বা বাঁদী সম্পর্কে ফাতওয়া দিতেন যে, শরীকী ক্রীতদাস শরীকদের কেউ নিজের অংশ মুক্ত করে দিলে তিনি বলতেন, সম্পূর্ণ ক্রীতদাসটাই আযাদ করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে গেছে। যদি আযাদকারীর কাছে ক্রীতদাসের মূল্য পরিমাণ অর্থ থাকে, তাহলে সে অর্থ হতে ক্রীতদাসের ন্যায্যমূল্য নির্ণয় করা হবে এবং শরীকদেরকে তাদের প্রাপ্য অংশ পরিশোধ করা হবে, আর আযাদকৃত ক্রীতদাস পূর্ণ মুক্ত হয়ে যাবে। বক্তব্যটি ইবনু ‘উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫৯ প্রথমাংশ)
এবং লাইস, ইবনু আবূ যি‘ব, ইবনু ইসহাক জুওয়াইরিয়া, ইয়াহ্ইয়া ইবনু সাঈদ ও ইসমাঈল ইবনু উমাইয়া (রহ.) নাফি‘ (রহ.)-এর মাধ্যমে ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে নবী হতে হাদীসটি সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন। (২৪৯১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ নেই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৫৯ শেষাংশ)
بَاب إِذَا أَعْتَقَ عَبْدًا بَيْنَ اثْنَيْنِ أَوْ أَمَةً بَيْنَ الشُّرَكَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مِقْدَامٍ حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي فِي الْعَبْدِ أَوْ الأَمَةِ يَكُونُ بَيْنَ شُرَكَاءَ فَيُعْتِقُ أَحَدُهُمْ نَصِيبَهُ مِنْهُ يَقُولُ قَدْ وَجَبَ عَلَيْهِ عِتْقُهُ كُلِّهِ إِذَا كَانَ لِلَّذِي أَعْتَقَ مِنْ الْمَالِ مَا يَبْلُغُ يُقَوَّمُ مِنْ مَالِهِ قِيمَةَ الْعَدْلِ وَيُدْفَعُ إِلَى الشُّرَكَاءِ أَنْصِبَاؤُهُمْ وَيُخَلَّى سَبِيلُ الْمُعْتَقِ يُخْبِرُ ذَلِكَ ابْنُ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَرَوَاهُ اللَّيْثُ وَابْنُ أَبِي ذِئْبٍ وَابْنُ إِسْحَاقَ وَجُوَيْرِيَةُ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُخْتَصَرًا
Narrated Ibn `Umar:
That he used to give his verdict regarding the male or female slaves owned by more than one master, one of whom may manumit his share of the slave. Ibn `Umar used to say in such a case, "The manumitted should manumit the slave completely if he has sufficient money to pay the rest of the price of that slave (which is to be justly estimated) and the other shareholders are to take the price of their shares and the slave is freed (released from slavery)." Ibn `Umar narrated this verdict from the Prophet.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৫. কেউ ক্রীতদাসের নিজের অংশ আযাদ করে দিলে এবং তার জরুরী অর্থ না থাকলে চুক্তিবদ্ধ ক্রীতদাসের মতো তাকে অতিরিক্ত ক্লেশ না দিয়ে আয় করতে বলা হবে।
২৫২৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘‘কেউ শরীকী ক্রীতদাস হতে নিজের ভাগ বা অংশ (রাবীর দ্বিধা) মুক্ত করে দিলে .......’’। (২৪৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ নেই)
بَاب إِذَا أَعْتَقَ نَصِيبًا فِي عَبْدٍ وَلَيْسَ لَهُ مَالٌ اسْتُسْعِيَ الْعَبْدُ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ عَلَى نَحْوِ الْكِتَابَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ ابْنُ أَبِي رَجَاءٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ سَمِعْتُ قَتَادَةَ قَالَ حَدَّثَنِي النَّضْرُ بْنُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَعْتَقَ شَقِيصًا مِنْ عَبْدٍ
Narrated Abu Huraira:
That the Prophet (ﷺ) said, "Whoever frees his portion of a (common) slave."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৫. কেউ ক্রীতদাসের নিজের অংশ আযাদ করে দিলে এবং তার জরুরী অর্থ না থাকলে চুক্তিবদ্ধ ক্রীতদাসের মতো তাকে অতিরিক্ত ক্লেশ না দিয়ে আয় করতে বলা হবে।
২৫২৭. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কেউ শরীকী ক্রীতদাস হতে নিজের ভাগ বা অংশ (রাবীর দ্বিধা) মুক্ত করে দিলে অর্থ ব্যয়ে সেই ক্রীতদাসকে নিষ্কৃতি দেয়া তার উপর কর্তব্য, যদি তার কাছে প্রয়োজনীয় অর্থ থাকে। অন্যথায় তার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করা হবে এবং তাকে অতিরিক্ত কষ্ট না দিয়ে উপার্জন করতে বলা হবে।
হাজ্জাজ ইবনু হাজ্জাজ, আবান ও মূসা ইবনু খালাফ (রহ.) কাতাদাহ (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। হাদীসটি শু‘বা (রহ.) সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন। (২৪৯২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬০)
بَاب إِذَا أَعْتَقَ نَصِيبًا فِي عَبْدٍ وَلَيْسَ لَهُ مَالٌ اسْتُسْعِيَ الْعَبْدُ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ عَلَى نَحْوِ الْكِتَابَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَعْتَقَ نَصِيبًا أَوْ شَقِيصًا فِي مَمْلُوكٍ فَخَلاَصُهُ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ وَإِلاَّ قُوِّمَ عَلَيْهِ فَاسْتُسْعِيَ بِهِ غَيْرَ مَشْقُوقٍ عَلَيْهِ
تَابَعَهُ حَجَّاجُ بْنُ حَجَّاجٍ وَأَبَانُ وَمُوسَى بْنُ خَلَفٍ عَنْ قَتَادَةَ اخْتَصَرَهُ شُعْبَةُ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever frees his portion of a common slave should free the slave completely by paying the rest of his price from his money if he has enough money; otherwise the price of the slave is to be estimated and the slave is to be helped to work without hardship till he pays the rest of his price."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৬. ভুলক্রমে অথবা অনিচ্ছায় ক্রীতদাস আযাদ করা ও স্ত্রীকে তালাক দেয়া ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলার সন্তোষ ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশে গোলাম আযাদ করা যায় না।
وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى وَلاَ نِيَّةَ لِلنَّاسِي وَالْمُخْطِئِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে, যা সে নিয়্যাত করবে এবং যে ব্যক্তি অনিচ্ছায় বা ভুলবশত কিছু বলে, তার কোন নিয়্যাত থাকে না।
২৫২৮. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (৬৬৬৪, ৫২৬৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬১)
بَاب الْخَطَإِ وَالنِّسْيَانِ فِي الْعَتَاقَةِ وَالطَّلاَقِ وَنَحْوِهِ وَلاَ عَتَاقَةَ إِلاَّ لِوَجْهِ اللهِ
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "Allah has accepted my invocation to forgive what whispers in the hearts of my followers, unless they put it to action or utter it."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৬. ভুলক্রমে অথবা অনিচ্ছায় ক্রীতদাস আযাদ করা ও স্ত্রীকে তালাক দেয়া ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলার সন্তোষ ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশে গোলাম আযাদ করা যায় না।
২৫২৯. ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমলসমূহ নিয়্যাতের সাথে সম্পৃক্ত। আর মানুষ তাই পাবে, যা সে নিয়্যাত করবে। কাজেই কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশে হিজরত করে থাকলে তার সে হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশে বলেই গণ্য হবে। আর যার হিজরত হবে দুনিয়া হাসিলের উদ্দেশে অথবা কোন নারীকে বিয়ে করার মতলবে; তার হিজরত সে উদ্দেশে বলেই গণ্য হবে। (১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬২)
بَاب الْخَطَإِ وَالنِّسْيَانِ فِي الْعَتَاقَةِ وَالطَّلاَقِ وَنَحْوِهِ وَلاَ عَتَاقَةَ إِلاَّ لِوَجْهِ اللهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَلِامْرِئٍ مَا نَوَى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ
Narrated `Umar bin Al-Khattab:
The Prophet (ﷺ) said, "The (reward of) deeds depend on intentions, and every person will get the reward according to what he intends. So, whoever migrated for Allah and His Apostle, then his migration will be for Allah and His Apostle, and whoever migrated for worldly benefits or for marrying a woman, then his migration will be for what he migrated for."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৭. আযাদ করার সংকল্পে কোন ব্যক্তি নিজের ক্রীতদাস সম্পর্কে ‘সে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট’ বলা এবং আযাদ করার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা।
২৫৩০. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছায় আপন ক্রীতদাসকে সাথে নিয়ে (মদ্বীনায়) আসছিলেন। পথে তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন। পরে ক্রীতদাসটি এসে পৌঁছল। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সে সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিদমাতে উপবিষ্ট ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ হুরাইরাহ! দেখ, তোমার ক্রীতদাস এসে গেছে। তখন তিনি বললেন, শুনুন; আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি, সে মুক্ত। রাবী বলেন, (মদ্বীনায়) পৌঁছে তিনি বলতেন:
কত দীর্ঘ আর কষ্টদায়কই না ছিল হিজরতের সে রাত, তবুও তা আমাকে দারুল কুফর হতে মুক্তি দিয়েছে। (৪৩৯৩, ২৫৩২, ২৫৩১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬৩)
بَاب إِذَا قَالَ رَجُلٌ لِعَبْدِهِ هُوَ للهِ وَنَوَى الْعِتْقَ وَالإِشْهَادِ فِي الْعِتْقِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بِشْرٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ لَمَّا أَقْبَلَ يُرِيدُ الإِسْلاَمَ وَمَعَهُ غُلاَمُهُ ضَلَّ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ صَاحِبِهِ فَأَقْبَلَ بَعْدَ ذَلِكَ وَأَبُو هُرَيْرَةَ جَالِسٌ مَعَ النَّبِيِّ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا هُرَيْرَةَ هَذَا غُلاَمُكَ قَدْ أَتَاكَ فَقَالَ أَمَا إِنِّي أُشْهِدُكَ أَنَّهُ حُرٌّ قَالَ فَهُوَ حِينَ يَقُولُ يَا لَيْلَةً مِنْ طُولِهَا وَعَنَائِهَا عَلَى أَنَّهَا مِنْ دَارَةِ الْكُفْرِ نَجَّتِ
Narrated Qais:
When Abu Huraira accompanied by his slave set out intending to embrace Islam they lost each other on the way. The slave then came while Abu Huraira was sitting with the Prophet. The Prophet (ﷺ) said, "O Abu Huraira! Your slave has come back." Abu Huraira said, "Indeed, I would like you to witness that I have manumitted him." That happened at the time when Abu Huraira recited (the following poetic verse):-- 'What a long tedious tiresome night! Nevertheless, it has delivered us From the land of Kufr (disbelief).
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৭. আযাদ করার সংকল্পে কোন ব্যক্তি নিজের ক্রীতদাস সম্পর্কে ‘সে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট’ বলা এবং আযাদ করার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা।
২৫৩১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবীজীর খিদমতে আগমনকালে আমি পথে পথে (কবিতা) বলতামঃ হিজরতের সে রাত কত না দীর্ঘ আর কষ্টদায়ক ছিল- তবুও তা আমাকে দারুল কুফর হতে মুক্তি দিয়েছে। তিনি বলেন, পথে আমার এক ক্রীতদাস পালিয়ে গিয়েছিল। যখন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিদমতে এসে তাঁর (হাতে) বায়‘আত হলাম। আমি তাঁর খিদমাতেই ছিলাম, এ সময় ক্রীতদাসটি এসে হাযির হল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবূ হুরাইরাহ! এই যে, তোমার ক্রীতদাস! আমি বললাম, সে আল্লাহর ওয়াস্তে আযাদ। এই বলে তাকে মুক্ত করে দিলাম।
আবূ ‘আবদুল্লাহ (বুখারী) (রহ.) বলেন, আবূ কুরাইব (রহ.) আবূ উসামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত রিওয়ায়াতে حُرٌّ শব্দ বলেননি। (২৫৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬৪)
بَاب إِذَا قَالَ رَجُلٌ لِعَبْدِهِ هُوَ للهِ وَنَوَى الْعِتْقَ وَالإِشْهَادِ فِي الْعِتْقِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ عَنْ قَيْسٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لَمَّا قَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ فِي الطَّرِيقِ
يَا لَيْلَةً مِنْ طُولِهَـا وَعَنَائِهَــا عَلَى أَنَّهَا مِنْ دَارَةِ الْكُفْرِ نَجَّتِ
قَالَ وَأَبَقَ مِنِّي غُلاَمٌ لِي فِي الطَّرِيقِ قَالَ فَلَمَّا قَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَايَعْتُهُ فَبَيْنَا أَنَا عِنْدَهُ إِذْ طَلَعَ الْغُلاَمُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا أَبَا هُرَيْرَةَ هَذَا غُلاَمُكَ فَقُلْتُ هُوَ حُرٌّ لِوَجْهِ اللهِ فَأَعْتَقْتُهُ
قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ لَمْ يَقُلْ أَبُو كُرَيْبٍ عَنْ أَبِي أُسَامَةَ حُرٌّ
Narrated Abu Huraira:
On my way to the Prophet (ﷺ) I was reciting:-- 'What a long tedious tiresome night! Nevertheless, it has saved us From the land of Kufr (disbelief).' I had a slave who ran away from me on the way. When I went to the Prophet (ﷺ) and gave the pledge of allegiance for embracing Islam, the slave showed up while I was still with the Prophet (ﷺ) who remarked, "O Abu Huraira! Here is your slave!" I said, "I manumit him for Allah's Sake," and so I freed him.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৭. আযাদ করার সংকল্পে কোন ব্যক্তি নিজের ক্রীতদাস সম্পর্কে ‘সে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট’ বলা এবং আযাদ করার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা।
২৫৩২. কাইস (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) তাঁর ক্রীতদাসকে সাথে করে ইসলামের উদ্দেশে (মদিনা) আগমনকালে পথিমধ্যে তারা একে অপরকে হারিয়ে ফেললেন এবং তিনি (আবূ হুরাইরাহ) বললেন, শুনুন! আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি, সে আল্লাহর জন্য। (২৫৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬৫)
بَاب إِذَا قَالَ رَجُلٌ لِعَبْدِهِ هُوَ للهِ وَنَوَى الْعِتْقَ وَالإِشْهَادِ فِي الْعِتْقِ
حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ قَالَ لَمَّا أَقْبَلَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَمَعَهُ غُلاَمُهُ وَهُوَ يَطْلُبُ الإِسْلاَمَ فَضَلَّ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ بِهَذَا وَقَالَ أَمَا إِنِّي أُشْهِدُكَ أَنَّهُ لِلَّهِ
Narrated Qais:
When Abu Huraira accompanied by his slave came intending to embrace Islam, they lost each other on the way. (When the slave showed up) Abu Huraira said (to the Prophet), "I make you witness that the slave is free for Allah's Cause."
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৮. উম্মু ওয়ালাদ সম্পর্কে।
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ تَلِدَ الأَمَةُ رَبَّهَا
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের একটি আলামত এই যে, বাঁদী তার মুনিবকে প্রসব করবে।
২৫৩৩. ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উতবাহ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস আপন ভাই সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাসকে ওসীয়্যাত করেছিলেন, তিনি যেন যাম‘আর দাসীর গর্ভজাত পুত্রকে গ্রহণ করেন (কারণ স্বরূপ) ‘উতবাহ বলেছিলেন, সে আমার (ঔরসজাত) পুত্র। মক্কা বিজয়কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় তাশরীফ আনলেন; তখন সা‘দ যাম‘আর দাসীর পুত্রকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিদমতে আসলেন এবং তার সাথে আব্দ ইবনু যাম‘আকে নিয়ে আসলেন। সা‘দ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ আমার ভাই, যাম‘আর পুত্র। তার শয্যাতেই এ জন্ম নিয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন যাম‘আর দাসীর পুত্রের দিকে তাকালেন। দেখলেন, উতবার সাথেই তার (আদলের) সর্বাধিক মিল। তবু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আব্দ ইবনু যাম‘আ! এ তোমারই (ভাই), কেননা এ তার (আব্দ ইবনু যাম‘আর) শয্যাতে জন্মগ্রহণ করেছে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সাওদা বিনতে যাম‘আ! তুমি এ হতে পর্দা করবে। কেননা, তিনি উতবার সাথেই তার (চেহারার) মিল দেখতে পেয়েছিলেন। সাওদা ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রী। (২০৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬৬)
بَاب أُمِّ الْوَلَدِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنَّ عُتْبَةَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنْ يَقْبِضَ إِلَيْهِ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ قَالَ عُتْبَةُ إِنَّهُ ابْنِي فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم زَمَنَ الْفَتْحِ أَخَذَ سَعْدٌ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ فَأَقْبَلَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللهِ وَأَقْبَلَ مَعَهُ بِعَبْدِ بْنِ زَمْعَةَ فَقَالَ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا ابْنُ أَخِي عَهِدَ إِلَيَّ أَنَّهُ ابْنُهُ فَقَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم هَذَا أَخِي ابْنُ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ فَنَظَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى ابْنِ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ فَإِذَا هُوَ أَشْبَهُ النَّاسِ بِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِ أَبِيهِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم احْتَجِبِي مِنْهُ يَا سَوْدَةُ بِنْتَ زَمْعَةَ مِمَّا رَأَى مِنْ شَبَهِهِ بِعُتْبَةَ وَكَانَتْ سَوْدَةُ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Aisha:
`Utba bin Abi Waqqas authorized his brother Sa`d bin Abi Waqqas to take the son of the slave-girl of Zam`a into his custody, telling him that the boy was his own (illegal) son. When Allah's Messenger (ﷺ) went (to Mecca) at the time of the Conquest, Sa`d took the son of the slave-girl of Zam`a to Allah's Messenger (ﷺ) and also brought 'Abu bin Zam`a with him and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This is the son of my brother `Utba who authorized me to take him into my custody." 'Abu bin Zam`a said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! He is my brother, the son of Zam`a's slave-girl and he was born on his bed." Allah's Messenger (ﷺ) looked at the son of the slave-girl of Zam`a and noticed much resemblance (to `Utba). Allah's Messenger (ﷺ) said, "It is for you, O 'Abu bin Zam`a as he was born on the bed of your father." Allah's Messenger (ﷺ) then told Sauda bint Zam`a to observe veil in the presence of the boy as he noticed the boy's resemblance to `Utba and Sauda was the wife of the Prophet (ﷺ) .
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/৯. মুদাববার (ক্রীতদাস) বিক্রয় করা।
২৫৩৪. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কোন একজন তার এক ক্রীতদাসকে মুদাববার (মনিবের মৃত্যুর পর যে ক্রীতদাস মুক্ত বলে ঘোষিত হয়) রূপে মুক্ত ঘোষণা করল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই ক্রীতদাসকে ডেকে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিলেন। জাবির (রাঃ) বলেন, ক্রীতদাসটি সে বছরই মারা গিয়েছিল। (২১৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬৭)
بَاب بَيْعِ الْمُدَبَّرِ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ قَالَ أَعْتَقَ رَجُلٌ مِنَّا عَبْدًا لَهُ عَنْ دُبُرٍ فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِهِ فَبَاعَهُ قَالَ جَابِرٌ مَاتَ الْغُلاَمُ عَامَ أَوَّلَ
Narrated Jabir bin `Abdullah:
A man amongst us declared that his slave would be freed after his death. The Prophet (ﷺ) called for that slave and sold him. The slave died the same year.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/১০. ক্রীতদাসের অভিভাবকত্ব বিক্রয় বা দান করা।
২৫৩৫. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রীতদাসের অভিভাবকত্ব বিক্রি করতে এবং তা দান করতে নিষেধ করেছেন। (৬৭৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬৮)
بَاب بَيْعِ الْوَلاَءِ وَهِبَتِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الْوَلاَءِ وَعَنْ هِبَتِهِ
Narrated Ibn `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) forbade the selling or donating the Wala' of a freed slave.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯/১০. ক্রীতদাসের অভিভাবকত্ব বিক্রয় বা দান করা।
২৫৩৬. ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বারীরাকে আমি (আযাদ করার নিয়্যতে) খরিদ করলাম, তখন তার (পূর্বতন) মালিক অভিভাবকত্বের শর্তারোপ করল। প্রসঙ্গটি আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে উত্থাপন করলাম। তিনি বললেন, তুমি তাকে মুক্ত করে দাও। অভিভাবকত্ব সেই লাভ করবে, যে অর্থ ব্যয় করবে। তখন আমি তাকে মুক্ত করে দিলাম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে তার স্বামীর ব্যাপারে ইখতিয়ার দিলেন। বারীরা (রাঃ) বললেন, যদি সে আমাকে এত এত সম্পদও দেয় তবু আমি তার কাছে থাকব না। অবশেষে তিনি তার ইখতিয়ার প্রয়োগ করলেন। (৪৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৬৯)
بَاب بَيْعِ الْوَلاَءِ وَهِبَتِهِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ اشْتَرَيْتُ بَرِيرَةَ فَاشْتَرَطَ أَهْلُهَا وَلاَءَهَا فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَعْتِقِيهَا فَإِنَّ الْوَلاَءَ لِمَنْ أَعْطَى الْوَرِقَ فَأَعْتَقْتُهَا فَدَعَاهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَخَيَّرَهَا مِنْ زَوْجِهَا فَقَالَتْ لَوْ أَعْطَانِي كَذَا وَكَذَا مَا ثَبَتُّ عِنْدَهُ فَاخْتَارَتْ نَفْسَهَا
Narrated `Aisha:
I bought Buraira but her masters put the condition that her Wala' would be for them. I told the Prophet (ﷺ) about it. He said (to me), "Manumit her as her Wala' will be for the one who pays the price." So, I manumitted her. The Prophet (ﷺ) called Buraira and gave her the option of either staying with her husband or leaving him. She said, "Even if he gave me so much money, I would not stay with him," and so she preferred her freedom to her husband.