পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩০। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে রাতে আমাকে (উর্ধ্বজগতে) ভ্রমণ করানো হয় সে রাতে আমি মূসা (আঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করি। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মূসা ("আঃ)-এর দৈহিক গঠনাকৃতির বর্ণনা দেন। (তিনি বলেনঃ) তিনি এমন এক ব্যক্তি যার দেহ মধ্যমাকৃতির, তার চুল মধ্যম গোছের, খুব কোকড়ানোও নয়, আবার একেবারে সোজাও নয়। মনে হয় তিনি শানুআহ বংশের লোক।

তিনি আরো বলেনঃ ঈসা (আঃ)-এর সাথেও আমি সাক্ষাৎ করলাম। বর্ণনাকারী বলেন, তার চেহারারও বর্ণনা দিলেন তিনি। তার দেহের গড়ন মধ্যম, শরীরের রং লাল এবং মনে হয় তিনি এইমাত্র গোসলখানা হতে বের হয়েছেন।

ইবরাহীম (আঃ)-কেও আমি দেখেছি। তার বংশধরের মধ্যে আমিই তার দৈহিক আকৃতিতে সর্বাধিক সদৃশ। আমার সামনে দুটি পানপত্র পেশ করা হয়ঃ একটি দুধের এবং অন্যটি মদের। আমাকে বলা হল, আপনি এ দু’টির মধ্যে যেটা পান করতে চান সেটা নিন। আমি দুধের পাত্রটি নিয়ে তা পান করলাম। তারপর আমাকে বলা হল, আপনাকে ফিতরাতের (ইসলামের) পথ দেখানো হয়েছে বা আপনি ফিতরাতকে পেয়ে গেছেন। আপনি যদি মদের পাত্র নিতেন তবে আপনার উন্মাত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।

সহীহঃ বুখারী (৪৭০৯), মুসলিম

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ حِينَ أُسْرِيَ بِي لَقِيتُ مُوسَى ‏.‏ قَالَ فَنَعَتُّهُ فَإِذَا رَجُلٌ حَسِبْتُهُ قَالَ مُضْطَرِبٌ رَجِلُ الرَّأْسِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شُنُوءَةَ قَالَ وَلَقِيتُ عِيسَى ‏.‏ قَالَ فَنَعَتُّهُ قَالَ رَبْعَةٌ أَحْمَرُ كَأَنَّمَا خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ يَعْنِي الْحَمَّامَ وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ قَالَ وَأَنَا أَشْبَهُ وَلَدِهِ بِهِ قَالَ وَأُتِيتُ بِإِنَاءَيْنِ أَحَدُهُمَا لَبَنٌ وَالآخَرُ خَمْرٌ فَقِيلَ لِي خُذْ أَيَّهُمَا شِئْتَ ‏.‏ فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَشَرِبْتُهُ فَقِيلَ لِيَ هُدِيتَ الْفِطْرَةَ أَوْ أَصَبْتَ الْفِطْرَةَ أَمَا إِنَّكَ لَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، اخبرني سعيد بن المسيب، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ حين اسري بي لقيت موسى ‏.‏ قال فنعته فاذا رجل حسبته قال مضطرب رجل الراس كانه من رجال شنوءة قال ولقيت عيسى ‏.‏ قال فنعته قال ربعة احمر كانما خرج من ديماس يعني الحمام ورايت ابراهيم ‏.‏ قال وانا اشبه ولده به قال واتيت باناءين احدهما لبن والاخر خمر فقيل لي خذ ايهما شىت ‏.‏ فاخذت اللبن فشربته فقيل لي هديت الفطرة او اصبت الفطرة اما انك لو اخذت الخمر غوت امتك ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Prophet (ﷺ) said: "When I was taken on the Night of Isra I met Musa." He described him saying: "He was a man who was" and I think he said: "A thin man, whose hair was as if he was a man from Shanu'ah." He said: "I met 'Eisa" he described him saying: "Of average build, with a red face, as if he had just come out of the Dimas" meaning the bath-house. "And I saw Ibrahim" he said: "I am the one among his offspring that most resembles him" and he said: "I was brought two vessels, one of them containing milk and the other containing wine. I was told: 'Take whichever one of them you wish.' So I took the milk to drink from it. It was said to me: 'You were guided to the Fitrah' or: 'You chose the Fitrah, if you had take the wine your Ummah would have strayed.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩১। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, যে রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (মিরাজে) ভ্রমণ করানো হয় সে রাতে তার সামনে জিনপোষ আটা ও লাগাম বাধা একটি বোরাক আনা হয়। বোরাক তার পিঠে সাওয়ার হওয়াটা তার জন্য অসম্ভব করে তুললে জিবরীল (আঃ) তাকে বললেন, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কেন এ রকম আচরণ করছ? অথচ আল্লাহ তা’আলার সমীপে তার চেয়ে বেশি সম্মানিত কেউ তোমার পিঠে সওয়ার হয়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এতে বোরাক ঘৰ্মাক্ত হয়ে যায়।

সনদ সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এটিকে আমরা শুধুমাত্র ’আবদুর রাজ্জাকের বর্ণিত হাদীস হিসেবেই জানি।

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِالْبُرَاقِ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ مُلْجَمًا مُسْرَجًا فَاسْتَصْعَبَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ أَبِمُحَمَّدٍ تَفْعَلُ هَذَا فَمَا رَكِبَكَ أَحَدٌ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْهُ قَالَ ‏ "‏ فَارْفَضَّ عَرَقًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن منصور، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن قتادة، عن انس، ان النبي صلى الله عليه وسلم اتي بالبراق ليلة اسري به ملجما مسرجا فاستصعب عليه فقال له جبريل ابمحمد تفعل هذا فما ركبك احد اكرم على الله منه قال ‏ "‏ فارفض عرقا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ولا نعرفه الا من حديث عبد الرزاق ‏.‏


Narrated Anas:
that Al-Buraq was brought to the Prophet (ﷺ) on the Night of Isra, saddled and reined, but he shied from him. So Jibra'il said to him: "is it from Muhammad that you do this? By your Lord! There is no one more honorable to your Lord than him." He said: "Then he started sweating profusely."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩২। আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা যখন বাইতুল মাকদিসে পৌঁছলাম, তখন জিবরীল (আঃ) তার আঙ্গুল দিয়ে পাথর ফাটান এবং তার সাথে বোরাক বাঁধেন।

সনদ সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ جُنَادَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ جِبْرِيلُ بِإِصْبَعِهِ فَخَرَقَ بِهِ الْحَجَرَ وَشَدَّ بِهِ الْبُرَاقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا يعقوب بن ابراهيم الدورقي، حدثنا ابو تميلة، عن الزبير بن جنادة، عن ابن بريدة، عن ابيه، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لما انتهينا الى بيت المقدس قال جبريل باصبعه فخرق به الحجر وشد به البراق ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Narrated Ibn Buraidah:
from his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When we reached Bait Al-Maqdis, Jibra'il pointed with his finger causing a crack in the rock, and he tied Al-Buraq to it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩৩। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরাইশরা যখন আমাকে মিথ্যা মনে করল (এবং বলল, আপনার মিরাজে যাওয়ার দাবি সত্য হলে বাইতুল মাকদিসের একটি বর্ণনা দিন)। আমি হাজারে (হাতীমে) দাঁড়ালাম এবং আল্লাহ তা’আলা আমার সামনে বাইতুল মাকদিসের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরলেন। আমি তাদের সামনে এর নিদর্শনসমূহের বর্ণনা দিলাম। মনে হল আমি যেন বাইতুল মাকদিসকেই দেখছি।

সহীহঃ তাখরাজু ফিকহিস সীরাহ (১৪৫), বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। মালিক ইবনু সা’সাহ, আবূ সাঈদ ও ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَمَّا كَذَّبَتْنِي قُرَيْشٌ قُمْتُ فِي الْحِجْرِ فَجَلاَ اللَّهُ لِي بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَطَفِقْتُ أُخْبِرُهُمْ عَنْ آيَاتِهِ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي ذَرٍّ وَابْنِ مَسْعُودٍ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن عقيل، عن الزهري، عن ابي سلمة، عن جابر بن عبد الله، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لما كذبتني قريش قمت في الحجر فجلا الله لي بيت المقدس فطفقت اخبرهم عن اياته وانا انظر اليه ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وفي الباب عن مالك بن صعصعة وابي سعيد وابن عباس وابي ذر وابن مسعود ‏.‏


Narrated Jabir bin 'Abdullah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When the Quraish belied me, I stood in the Hijr, and Allah displayed Bait Al-Maqdis to me, so I informed them of its features as I was looking at it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩৪। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তোমাকে আমরা চাক্ষুষভাবে যা দেখালাম তা এই লোকদের জন্য একটি পরীক্ষার বস্তু বানিয়ে রেখেছি”— (সূরা বনী ইসরাঈল ৬০)। আয়াতে উল্লেখিত “রুইয়া” প্রসঙ্গে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এটা ছিল চাক্ষুস দর্শন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাতের বেলা (মিরাজের সময়) বাইতুল মাকদিসে নিয়ে গিয়ে তা (যাবতীয় নিদর্শন) দেখানো হয়েছিল। বর্ণনাকারী বলেন, "কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত গাছটি"- (সূরা বনী ইসরাঈল ৬০) হল যাক্কুম গাছ।

সহীহঃ বুখারী (৪৭১০)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ‏:‏ ‏(‏ ومَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ ‏)‏ قَالَ هِيَ رُؤْيَا عَيْنٍ أُرِيَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ ‏(‏وَالشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ فِي الْقُرْآنِ ‏)‏ هِيَ شَجَرَةُ الزَّقُّومِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن عمرو بن دينار، عن عكرمة، عن ابن عباس، في قوله‏:‏ ‏(‏ وما جعلنا الرويا التي اريناك الا فتنة للناس ‏)‏ قال هي رويا عين اريها النبي صلى الله عليه وسلم ليلة اسري به الى بيت المقدس ‏.‏ قال ‏:‏ ‏(‏والشجرة الملعونة في القران ‏)‏ هي شجرة الزقوم ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Ibn 'Abbas commented on Allah, the Most High, saying:
And We made not the vision which We showed but a trial for mankind (17:60). He said: "It is the vision he saw with his eyes, on the night the Prophet (ﷺ) was taken on the journey to Bait Al-Maqdis. And the accursed tree in the Qur'an (17:60). He said: "It is the Zaqqum tree."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩৫। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “আর ফজরে কুরআন পাঠের স্থায়ী নীতি অবলম্বন কর। কেননা ফজরের কুরআন পাঠে উপস্থিত থাকা হয়"- (সূরা বনী ইসরাঈল ৭৮)। এ আয়াত প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ সময় রাতের ফেরেশতারা এবং দিনের ফেরেশতারা উপস্থিত হয়।

সনদ সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আলী ইবনু মুসহির আমাশ হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে তিনি আবূ হুরাইরাহ ও আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতে তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এটি ’আলী ইবনু হুজুর আলী ইবনু মুসহির হতে, তিনি আমাশ হতে ...... . অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ أَسْبَاطِ بْنِ مُحَمَّدٍ، - قُرَشِيٌّ كُوفِيٌّ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا ‏)‏ قَالَ ‏"‏ تَشْهَدُهُ مَلاَئِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلاَئِكَةُ النَّهَارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

وَرَوَى عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبِي، سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا عبيد بن اسباط بن محمد، - قرشي كوفي حدثنا ابي، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم في قوله ‏:‏ ‏(‏ وقران الفجر ان قران الفجر كان مشهودا ‏)‏ قال ‏"‏ تشهده ملاىكة الليل وملاىكة النهار ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وروى علي بن مسهر، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي هريرة، وابي، سعيد عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ حدثنا بذلك، علي بن حجر حدثنا علي بن مسهر، عن الاعمش، فذكر نحوه ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
regarding Allah, Most High, saying: "And recite the Qur'an in the early dawn. Verily the recitation of the Qur'an in the early dawn is ever witnessed (17:78)." The Prophet (ﷺ) said: "It is witnessed by the angels of the night and the angels of the day."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩৬। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “সেদিন আমরা সব মানুষকে তাদের নেতাসহ আহবান করব।” (সূরা বনী ইসরাঈল- ৭১), এ আয়াত প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ (মুসলিম নেতাদের) একজনকে ডাকা হবে। তার কিতাব (আমলনামা বা কার্যবিবরণী) তার ডান হাতে দেয়া হবে। তার দেহ ষাট গজ লম্বা করা হবে। তার মুখমণ্ডল সাদা (আকর্ষণীয়) করা হবে। তার মাথায় মনিমুক্তার টুপি পরানো হবে এবং তা ঝিলকাতে থাকবে। সে তার সঙ্গীদের কাছে আসবে। তারা দূর হতেই তাকে দেখতে পাবে। তারা বলবে, "হে আল্লাহ! আমাদেরকেও এরূপ দান কর এবং এর মাধ্যমে বারকাত দান কর।”

ইতিমধ্যে সে তাদের নিকটে পৌছে যাবে এবং তাদেরকে বলবে, তোমাদের জন্য সুসংবাদ। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য এরূপ পুরস্কার আছে। অপর দিকে কাফিরদের নেতার শরীরের রং কালো হবে। তার দেহ আদম আলাইহিস সালাম-এর মতই ষাট গজ লম্বা করা হবে। তাকেও একটি টুপি পরানো হবে। তার সঙ্গীরা দূর হতে তাকে দেখে বলবে, “আমরা এর অনিষ্ট থেকে আল্লাহ্ তা’আলার নিকটে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ! তাকে আমাদের নিকট ফিরিয়ে দিও না। এমতাবস্থায় সে তাদের নিকট এসে যাবে, আর তারা বলতে থাকবে, তুমি তাকে লাঞ্ছিত কর।” তারপর সে বলবে, আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে অপমান করুন। কেননা তোমাদের প্রত্যেককে এভাবেই লাঞ্ছিত করা হবে।

সনদ দুর্বল

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। সুদ্দীর নাম ইসমাঈল ইবনু আবদুর রহমান।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِ اللَّهِ ‏:‏ ‏(‏ يَوْمَ نَدْعُو كُلَّ أُنَاسٍ بِإِمَامِهِمْ ‏)‏ قَالَ ‏ "‏ يُدْعَى أَحَدُهُمْ فَيُعْطَى كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ وَيُمَدُّ لَهُ فِي جِسْمِهِ سِتُّونَ ذِرَاعًا وَيُبَيَّضُ وَجْهُهُ وَيُجْعَلُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجٌ مِنْ لُؤْلُؤٍ يَتَلأْلأُ فَيَنْطَلِقُ إِلَى أَصْحَابِهِ فَيَرَوْنَهُ مِنْ بَعِيدٍ فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ ائْتِنَا بِهَذَا وَبَارِكْ لَنَا فِي هَذَا حَتَّى يَأْتِيَهُمْ فَيَقُولُ أَبْشِرُوا لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْكُمْ مِثْلُ هَذَا ‏.‏ قَالَ وَأَمَّا الْكَافِرُ فَيُسَوَّدُ وَجْهُهُ وَيُمَدُّ لَهُ فِي جِسْمِهِ سِتُّونَ ذِرَاعًا عَلَى صُورَةِ آدَمَ فَيُلْبَسُ تَاجًا فَيَرَاهُ أَصْحَابُهُ فَيَقُولُونَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شَرِّ هَذَا اللَّهُمَّ لاَ تَأْتِنَا بِهَذَا ‏.‏ قَالَ فَيَأْتِيهِمْ فَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ اخْزِهِ ‏.‏ فَيَقُولُ أَبْعَدَكُمُ اللَّهُ فَإِنَّ لِكُلِّ رَجُلٍ مِنْكُمْ مِثْلَ هَذَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالسُّدِّيُّ اسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن السدي، عن ابيه، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم في قول الله ‏:‏ ‏(‏ يوم ندعو كل اناس بامامهم ‏)‏ قال ‏ "‏ يدعى احدهم فيعطى كتابه بيمينه ويمد له في جسمه ستون ذراعا ويبيض وجهه ويجعل على راسه تاج من لولو يتلالا فينطلق الى اصحابه فيرونه من بعيد فيقولون اللهم اىتنا بهذا وبارك لنا في هذا حتى ياتيهم فيقول ابشروا لكل رجل منكم مثل هذا ‏.‏ قال واما الكافر فيسود وجهه ويمد له في جسمه ستون ذراعا على صورة ادم فيلبس تاجا فيراه اصحابه فيقولون نعوذ بالله من شر هذا اللهم لا تاتنا بهذا ‏.‏ قال فياتيهم فيقولون اللهم اخزه ‏.‏ فيقول ابعدكم الله فان لكل رجل منكم مثل هذا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏ والسدي اسمه اسماعيل بن عبد الرحمن ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that regarding the saying of Allah, Most High: "The Day when We shall call together all human beings with their (respective) Imam (17:71)" the Prophet (ﷺ) said: "One of you will be called out to be given his record in his right hand, he will be grown in his body to sixty forearm-lengths, his face will be whitened, and a crown of sparkling pearls will be placed upon his head. So he will go to his companions, who can see him from afar, and they will say: 'O Allah! Bring this one to us, and let us be blessed by him.' Until he reaches them, and says to them: 'Receive the good news! For each man among you shall be the likes of this.'" [He (ﷺ) said:] "As for the disbeliever, then his face shall be blackened, he will be grown in his body to sixty forearm-lengths in the image of Adam, he will given a crown, and his companions will see him and say: 'We seek refuge in Allah from the evil of this one. O Allah! Do not bring this one to us.'" He said: "So when he reaches them, they say: 'O Allah! Take him away' so they will be told: 'May Allah cast you away! Indeed for each man among you is the likes of this.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩৭। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আল্লাহ তা’আলার বাণী (অনুবাদ) “আশা করা যায় যে, তোমার প্রতিপালক তোমাকে মাকামে মাহমুদে পৌছে দিবেন”— (সূরা বনী ইসরাঈল ৭৯) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হল। তিনি বললেনঃ এটা শাফা’আত।

সহীহঃ সহীহাহ (২৬৩৯, ২৩৭০), আয যিলা-ল (৭৮৪)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। দাউদ আয-যাআফির হলেন দাউদ আল-আওদী, ইবনু ইয়াযীদ ইবনু আবদুল্লাহ। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু ইদরীসের চাচা।

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ يَزِيدَ الزَّعَافِرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا ‏)‏ سُئِلَ عَنْهَا قَالَ ‏"‏ هِيَ الشَّفَاعَةُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَدَاوُدُ الزَّعَافِرِيُّ هُوَ دَاوُدُ الأَوْدِيُّ ابْنُ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ عَمُّ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا وكيع، عن داود بن يزيد الزعافري، عن ابيه، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في قوله ‏:‏ ‏(‏ عسى ان يبعثك ربك مقاما محمودا ‏)‏ سىل عنها قال ‏"‏ هي الشفاعة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وداود الزعافري هو داود الاودي ابن يزيد بن عبد الرحمن وهو عم عبد الله بن ادريس ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
regarding Allah's saying: "It may be that your Lord will raise you to a praised station (17:79)" that the Messenger of Allah (ﷺ) was asked about it and he said: "It is the intercession."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩৮। ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছর মক্কায় প্রবেশ করলেন। তখন কা’বার চারপাশে তিন শত ষাটটি মূর্তি স্থাপিত ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতের লাঠি বা কাঠ দিয়ে মূর্তিগুলোর গায়ে আঘাত করে সেগুলোকে ভূপাতিত করছিলেন আর বলছিলেনঃ সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত। আর বাতিলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী"- (সূরা বনী ইসরাঈল ৮১)। "সত্য সমাগত এবং অসত্য কিছুই সৃজন করতে পারে না এবং তা পুনরাবৃত্তিও করতে পারে না”— (সূরা সাবা ৪৯)।

সহীহঃ বুখারী (৪৭২০), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু উমর (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ عَامَ الْفَتْحِ وَحَوْلَ الْكَعْبَةِ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ نُصُبًا فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَطْعَنُهَا بِمِخْصَرَةٍ فِي يَدِهِ وَرُبَّمَا قَالَ بِعُودٍ وَيَقُولُ ‏:‏ ‏(‏جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ إِنَّ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا ‏)‏ ‏:‏ ‏(‏جَاءَ الْحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ الْبَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ ‏)‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَفِيهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن ابن ابي نجيح، عن مجاهد، عن ابي معمر، عن ابن مسعود، قال دخل رسول الله صلى الله عليه وسلم مكة عام الفتح وحول الكعبة ثلاثماىة وستون نصبا فجعل النبي صلى الله عليه وسلم يطعنها بمخصرة في يده وربما قال بعود ويقول ‏:‏ ‏(‏جاء الحق وزهق الباطل ان الباطل كان زهوقا ‏)‏ ‏:‏ ‏(‏جاء الحق وما يبدى الباطل وما يعيد ‏)‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح وفيه عن ابن عمر ‏.‏


Narrated Ibn Mas'ud:
"The Messenger of Allah (ﷺ) entered Makkah during the year of the Conquest, and there were three hundred and sixty Nusb (Altars to sacrifice to idols) around the Ka'bah. So the Prophet (ﷺ) started hitting them with a stick he had in his hand" - or perhaps he said: "With a piece of wood, and he was saying: The truth has come and falsehood has vanished. Surely falsehood is ever bound to vanish (17:81). The truth has come and falsehood can neither originate anything nor resurrect (anything) (34:49)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৩৯৷ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় অবস্থান করছিলেন। তারপর তাকে (মদীনায়) হিজরতের হুকুম দেয়া হয়। তখন তার উপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “আর বলুনঃ হে আমার রব! আমাকে দাখিল করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে বের করাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার পক্ষ হতে আমাকে দান কর সাহায্যকারী শক্তি" (সূরাঃ বাণী ইসরাঈল- ৮০)

সনদ দুর্বল।

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ ثُمَّ أُمِرَ بِالْهِجْرَةِ فَنَزَلَتْ عَلَيْهِ ‏:‏ ‏(‏ قُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا جرير، عن قابوس بن ابي ظبيان، عن ابيه، عن ابن عباس، قال كان النبي صلى الله عليه وسلم بمكة ثم امر بالهجرة فنزلت عليه ‏:‏ ‏(‏ قل رب ادخلني مدخل صدق واخرجني مخرج صدق واجعل لي من لدنك سلطانا نصيرا ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"The Prophet (ﷺ) was in Makkah, then Hijrah was ordered, so the following was revealed to him: Say: 'My Lord! Let my entry be good, and likewise my exit be good. And grant me from You a helping authority (17:80).'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪০। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরাইশরা ইয়াহুদীদের বলল, তোমরা আমাদেরকে এমন কিছু শিখিয়ে দাও যে প্রসঙ্গে আমরা এই ব্যক্তিকে (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে) প্রশ্ন করতে পারি। ইয়াহুদীরা বলল, তোমরা রূহ প্রসঙ্গে তাকে প্রশ্ন কর। বর্ণনাকারী বলেনঃ তারা রূহ (বা প্রাণ) বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করল। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “লোকেরা রূহ প্রসঙ্গে তোমার নিকট প্রশ্ন করে। বল, রূহ আমার প্রতিপালকের আদেশ ঘটিত। জ্ঞানের খুব সামান্যই তোমাদেরকে প্রদান করা হয়েছে"- (সূরা বনী ইসরাঈল ৮৫)।

ইয়াহুদীরা বলল, “আমাদের বিরাট বা প্রচুর জ্ঞান দান করা হয়েছে। আমাদেরকে তাওরাত কিতাব দেয়া হয়েছে। আর যাদেরকে তাওরাত গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদেরকে প্রভূত কল্যাণ দেয়া হয়েছে। এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “বল, আমার প্রতিপালকের কথাগুলো লেখার জন্য সমুদ্রের সমস্ত পানি যদি কালি হয়ে যায় তবুও তা আমার প্রভুর কথাগুলো লিখে শেষ করার পূর্বেই নিঃশেষ হয়ে যবে। আমরা যদি আবার একই রকম কালি নিয়ে আসি তুবও তা যথেষ্ট হবে না"- (সূরা কাহফ ১০৯)।

সহীহঃ আত্তা’লীকাত আল-হাসসান (৯৯)

আবূ ঈসা বলেন, উল্লেখিত সনদসূত্রে এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ قُرَيْشٌ لِيَهُودَ اعْطُونَا شَيْئًا نَسْأَلُ عَنْهُ هَذَا الرَّجُلَ فَقَالَ سَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ قَالَ فَسَأَلُوهُ عَنِ الرُّوحِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ يَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً ‏)‏ قَالُوا أُوتِينَا عِلْمًا كَثِيرًا التَّوْرَاةُ وَمَنْ أُوتِيَ التَّوْرَاةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا فَأُنْزِلَتْْ‏:‏ ‏(‏ قُلْ لَوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا يحيى بن زكريا بن ابي زاىدة، عن داود بن ابي هند، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال قالت قريش ليهود اعطونا شيىا نسال عنه هذا الرجل فقال سلوه عن الروح قال فسالوه عن الروح فانزل الله ‏:‏ ‏(‏ يسالونك عن الروح قل الروح من امر ربي وما اوتيتم من العلم الا قليلا ‏)‏ قالوا اوتينا علما كثيرا التوراة ومن اوتي التوراة فقد اوتي خيرا كثيرا فانزلت‏:‏ ‏(‏ قل لو كان البحر مدادا لكلمات ربي لنفد البحر ‏)‏ الى اخر الاية قال هذا حديث حسن صحيح غريب من هذا الوجه ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"The Quraish said to the Jews: 'Give us something that we can ask this man about.' So he said: 'Ask him about the Ruh.' So they asked him about the Ruh. So Allah Most High, revealed: They ask you concerning the Ruh. Say: The Ruh is one of the things, the knowledge of which is only with my Lord. And of knowledge, you have been given only a little (17:85). They replied: 'We have been given immense knowledge, we were given the Tawrah, and whoever has been given the Tawrah, then he has indeed been given a wealth of knowledge.' So the following was revealed: Say: 'If the sea were ink for the Words of my Lord, surely the sea would be exhausted (before the Words of my Lord would be finished.) (18:109)'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪১। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মদীনায় একটি কৃষি খামারে যাচ্ছিলাম। তিনি খেজুর গাছের ডালে ভর দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি একদল ইয়াহুদীদেরকে অতিক্রম করলেন। তাদের কিছু লোক বলল, তোমরা যদি তাকে প্রশ্ন করতে? তাদের অপর কতক বলল, তাকে কোন প্রশ্ন করো না। অন্যথায় তিনি এমন কিছু শুনিয়ে দিবেন যা তোমাদের মনোপূত হবে না। তারা বলল, হে আবূল কাসিম! আমাদেরকে রূহ (প্রাণ) প্রসঙ্গে বলুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন। তিনি তার মাথা আসমানের দিকে উঠালেন। আমি বুঝে ফেললাম যে, তার উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হচ্ছে। ওয়াহী অবতরণ শেষে তিনি বললেনঃ “রূহ আমার প্রতিপালকের হুকুম মাত্র। তোমাদেরকে জ্ঞানের খুব অল্পই প্রদান করা হয়েছে"।

সহীহঃ বুখারী (৪৭২১), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَرْثٍ بِالْمَدِينَةِ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَسِيبٍ فَمَرَّ بِنَفَرٍ مِنَ الْيَهُودِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ سَأَلْتُمُوهُ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ تَسْأَلُوهُ فَإِنَّهُ يُسْمِعُكُمْ مَا تَكْرَهُونَ ‏.‏ فَقَالُوا لَهُ يَا أَبَا الْقَاسِمِ حَدِّثْنَا عَنِ الرُّوحِ ‏.‏ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَاعَةً وَرَفَعَ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْهِ حَتَّى صَعِدَ الْوَحْىُ ثُمَّ قَالَ ‏:‏ ‏(‏الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُمْ مِنَ الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً ‏)‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا علي بن خشرم، اخبرنا عيسى بن يونس، عن الاعمش، عن ابراهيم، عن علقمة، عن عبد الله، قال كنت امشي مع النبي صلى الله عليه وسلم في حرث بالمدينة وهو يتوكا على عسيب فمر بنفر من اليهود فقال بعضهم لو سالتموه فقال بعضهم لا تسالوه فانه يسمعكم ما تكرهون ‏.‏ فقالوا له يا ابا القاسم حدثنا عن الروح ‏.‏ فقام النبي صلى الله عليه وسلم ساعة ورفع راسه الى السماء فعرفت انه يوحى اليه حتى صعد الوحى ثم قال ‏:‏ ‏(‏الروح من امر ربي وما اوتيتم من العلم الا قليلا ‏)‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated 'Abdullah:
"I took a walk with the Prophet (ﷺ) on a farm in Al-Madinah, and when he reclined upon a palm-leaf stalk, a group of Jews were passing by. Some of them said, 'We should question him.' Others said: 'Do not question him for he might tell you something that you do not like.' They said to him: 'O Abul-Qasim, narrated to us about the Ruh.' The Prophet (ﷺ) stood for some time, he raised his head toward the heavens, and I recognized revelation was coming to him, until the revelation ceased. Then he (ﷺ) said: "The Ruh is one of the things, the knowledge of which is only with my Lord. And of knowledge, you have been given only a little (17:85).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন লোকদেরকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করে উঠানো হবে। একদল লোক পায়ে হেঁটে, দ্বিতীয় দল সাওয়ারী অবস্থায় এবং তৃতীয় দল অধঃমুখে (এবং পা উপরে তুলে) হাযির হবে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! এরা মুখমণ্ডলে ভর করে চলবে কিভাবে? তিনি বললেনঃ যে মহান সত্তা তাদেরকে পায়ের সাহায্যে হাটিয়ে ছিলেন, তিনি তাদেরকে মুখমণ্ডলে ভর করে হাটাতেও সক্ষম। এরা নিজেদের মুখের দ্বারা প্রতিটি উচু-নীচু ও কাটা উপেক্ষা করে রাস্তা পার হবে।

যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫৫৪৬), তা’লীকুর রাগীব (৪/১৯৪)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। উহাইব (রাহঃ) ইবনু তাউসের সূত্রে, তিনি তার পিতা হতে আবূ হুরাইরা (রাঃ)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، وَسُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَوْسِ بْنِ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثَلاَثَةَ أَصْنَافٍ صِنْفًا مُشَاةً وَصِنْفًا رُكْبَانًا وَصِنْفًا عَلَى وُجُوهِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَمْشُونَ عَلَى وُجُوهِهِمْ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الَّذِي أَمْشَاهُمْ عَلَى أَقْدَامِهِمْ قَادِرٌ عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُمْ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَمَا إِنَّهُمْ يَتَّقُونَ بِوُجُوهِهِمْ كُلَّ حَدَبٍ وَشَوْكٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى وُهَيْبٌ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا مِنْ هَذَا ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا الحسن بن موسى، وسليمان بن حرب، قالا حدثنا حماد بن سلمة، عن علي بن زيد، عن اوس بن خالد، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يحشر الناس يوم القيامة ثلاثة اصناف صنفا مشاة وصنفا ركبانا وصنفا على وجوههم ‏"‏ ‏.‏ قيل يا رسول الله وكيف يمشون على وجوههم قال ‏"‏ ان الذي امشاهم على اقدامهم قادر على ان يمشيهم على وجوههم اما انهم يتقون بوجوههم كل حدب وشوك ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وقد روى وهيب عن ابن طاوس عن ابيه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم شيىا من هذا ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "People will be gathered in three classes on the Day of Resurrection: A class walking, a class riding, and a class upon their faces." It was said: "O Messenger of Allah! How will they walk upon their faces?" He said: "Indeed the One Who made them walk upon their feet, is able to make them walk upon their faces. Verily they will try to protect their faces from every bump and thorn."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪৩৷ বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার বাবা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত, তিনি (দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে তোমাদেরকে পদব্রজে ও সওয়ারী অবস্থায় সমবেত করা হবে এবং কতককে মুখের উপর (উপুড় করে) হেঁচড়িয়ে হাযির করা হবে।

হাসানঃ তা’লীকুর রাগীব।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ رِجَالاً وَرُكْبَانًا وَيُجَرُّونَ عَلَى وُجُوهِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا يزيد بن هارون، اخبرنا بهز بن حكيم، عن ابيه، عن جده، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انكم محشورون رجالا وركبانا ويجرون على وجوههم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏


Narrated Bahz bin Hakim:
from his father, from his grandfather [who said:] "The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Indeed you shall be gathered walking, riding, and being dragged upon your faces.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪৪৷ সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ কোন এক সময় দুই ইয়াহদীর একজন অপরজনকে বলল, চল আমরা এই নবীর কাছে গিয়ে তাকে কিছু প্রশ্ন করি। অপরজন বললঃ তাকে নবী বল না। কেননা সে যদি এটা শুনে ফেলে যে, তুমি (ইয়াহুদীরাও) তাকে নবী বলছ, তার চার চোখ হয়ে যাবে। তারা উভয়ে তার নিকটে এসে তাকে আল্লাহ তা’আলার নিম্নোক্ত বাণী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেঃ “আমরা মূসাকে নয়টি নিদর্শন দান করেছিলাম" (সূরাঃ বাণী ইসরাঈল১০১)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সেই নয়টি নিদর্শন (নির্দেশ) হচ্ছেঃ

(১) তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার সাথে কোন কিছু অংশীদার করো না, (২) যেনা-ব্যভিচার করো না, (৩) যাকে হত্যা করা আল্লাহ তা’আলা নিষিদ্ধ করেছেন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া তার জীবন সংহার করো না, (৪) চুরি করো না, (৫) যাদুটোনা করো না, (৬) কোন নিরপরাধ লোককে সরকারের কাছে অপরাধী বানিয়ে খুন করতে নিয়ে যেও না, (৭) সুদ খেও না, (৮) কোন সতী- সাধ্বী মহিলার বিরুদ্ধে যেনার মিথ্যা অপবাদ দিও না এবং (৯) যুদ্ধক্ষেত্র হতে পালিয়ে যেও না।হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! বিশেষ করে তোমরা শনিবারের বাধ্যবাধকতা অতিক্রম করো না।

তারপর ইয়াহুদী শ্রোতা দু’জন তার পা দুটিতে ও হাত দুটিতে চুমা দিয়ে বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিঃসন্দেহে আপনি নবী। তিনি বললেনঃ তাহলে তোমাদের দু’জনকে ইসলাম গ্রহণে কিসে বাধা দিচ্ছে? তারা উভয়ে বললঃ দাউদ আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার নিকটে দু’আ করেছিলেন তিনি যেন বরাবর তার বংশধরদের মধ্য হতেই নবী পাঠান। অনন্তর আমাদের আশংকা হচ্ছে, আমরা যদি ইসলাম কুবুল করি তাহলে ইয়াহুদীরা আমাদেরকে মেরে ফেলবে।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩৭০৫)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَأَبُو الْوَلِيدِ، وَاللَّفْظُ، لَفْظُ يَزِيدَ وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ، أَنَّ يَهُودِيَّيْنِ، قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ نَسْأَلُهُ فَقَالَ لاَ تَقُلْ لَهُ نَبِيٌّ فَإِنَّهُ إِنْ سَمِعَنَا نَقُولُ نَبِيٌّ كَانَتْ لَهُ أَرْبَعَةُ أَعْيُنٍ فَأَتَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلاَهُ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏:‏ ‏(‏ وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ‏)‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَسْحَرُوا وَلاَ تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى سُلْطَانٍ فَيَقْتُلَهُ وَلاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلاَ تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً وَلاَ تَفِرُّوا مِنَ الزَّحْفِ شَكَّ شُعْبَةُ وَعَلَيْكُمُ الْيَهُودَ خَاصَّةً أَنْ لاَ تَعْدُوا فِي السَّبْتِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَبَّلاَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ وَقَالاَ نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تُسْلِمَا ‏"‏ ‏.‏ قَالاَ إِنَّ دَاوُدَ دَعَا اللَّهَ أَنْ لاَ يَزَالَ فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ أَسْلَمْنَا أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو داود، ويزيد بن هارون، وابو الوليد، واللفظ، لفظ يزيد والمعنى واحد عن شعبة، عن عمرو بن مرة، عن عبد الله بن سلمة، عن صفوان بن عسال المرادي، ان يهوديين، قال احدهما لصاحبه اذهب بنا الى هذا النبي نساله فقال لا تقل له نبي فانه ان سمعنا نقول نبي كانت له اربعة اعين فاتيا النبي صلى الله عليه وسلم فسالاه عن قول الله عز وجل ‏:‏ ‏(‏ ولقد اتينا موسى تسع ايات بينات ‏)‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا تشركوا بالله شيىا ولا تزنوا ولا تقتلوا النفس التي حرم الله الا بالحق ولا تسرقوا ولا تسحروا ولا تمشوا ببريء الى سلطان فيقتله ولا تاكلوا الربا ولا تقذفوا محصنة ولا تفروا من الزحف شك شعبة وعليكم اليهود خاصة ان لا تعدوا في السبت ‏"‏ ‏.‏ فقبلا يديه ورجليه وقالا نشهد انك نبي ‏.‏ قال ‏"‏ فما يمنعكما ان تسلما ‏"‏ ‏.‏ قالا ان داود دعا الله ان لا يزال في ذريته نبي وانا نخاف ان اسلمنا ان تقتلنا اليهود ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Safwan bin 'Assal Al-Muradi:
"A Jew said to his companion: 'Accompany us to this Prophet.' So his companion said: 'Do not say: "Prophet," for if he hears you calling him a Prophet then he will be happy.' So they went to the Prophet (ﷺ) to question him about Allah, the Most High, saying: And indeed we gave Musa nine clear signs (17:101). So the Messenger of Allah (ﷺ) said to them: 'Do not associate anything with Allah, nor commit unlawful intercourse, nor take a life which Allah has made prohibited, except for what is required (in the law), nor steal, nor practice magic, nor hasten to damage the reputation of an innocent person in front of a ruler, so that he will be killed, nor consume Riba, nor falsely accuse the chaste woman, nor turn to flee on the day of the march (i.e. flee from war).' - Shu'bah was in doubt - 'and for you Jews particularly, to not violate the Sabbath.'" He said: "So they kissed his hands and his feet and they said: 'We bear witness that you are a Prophet.' So he said: 'Then what prevents you from accepting Islam?' They said: 'Because Dawud supplicated to his Lord, that his offspring never be devoid of Prophets, and we feared that if we follow you then the Jews will kill us.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪৫৷ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তোমার নামাযে স্বর (কিরআত) উচ্চ করো না এবং অতিশয় ক্ষীণও করো না”— (সূরা বনী ইসরাঈল ১১০) মক্কায় অবতীর্ণ হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চ স্বরে কুরআন তিলাওয়াত করলে মুশরিকরা কুরআনকে গালি দিত এবং এর অবতীর্ণকারী (আল্লাহ তা’আলা) ও এর বাহককেও (জিবরীলকে) গালি দিত। তারপর আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “তোমার নামাযের কিরআত উচ্চস্বরে পাঠ করো না” অর্থাৎ আপনি উচ্চ স্বরে কুরআন পাঠ করবেন না, অন্যথায় কুরআন, এর অবতরণকারী ও এর বাহককে গালি দেয়া হবে। “এবং তা ক্ষীণস্বরেও পড়বে না", তাহলে আপনার সাথীরা শুনতে পাবে না, (বরং মধ্যম আওয়াজে তা পাঠ করুন) যাতে তারা আপনার নিকট হতে কুরআন শিখতে পারে।

সহীহঃ বুখারী (৪৭২২), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَلَمْ يَذْكُرْ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهُشَيْمٍ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏:‏ ‏(‏وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ‏)‏ قَالَ نَزَلَتْ بِمَكَّةَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ سَبَّهُ الْمُشْرِكُونَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ‏)‏ فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ ‏:‏ ‏(‏وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا ‏)‏ عَنْ أَصْحَابِكَ بِأَنْ تُسْمِعَهُمْ حَتَّى يَأْخُذُوا عَنْكَ الْقُرْآنَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا سليمان بن داود، عن شعبة، عن ابي بشر، عن سعيد بن جبير، ولم يذكر عن ابن عباس، وهشيم، عن ابي بشر، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس ‏:‏ ‏(‏ولا تجهر بصلاتك ‏)‏ قال نزلت بمكة كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا رفع صوته بالقران سبه المشركون ومن انزله ومن جاء به فانزل الله ‏:‏ ‏(‏ولا تجهر بصلاتك ‏)‏ فيسبوا القران ومن انزله ومن جاء به ‏:‏ ‏(‏ولا تخافت بها ‏)‏ عن اصحابك بان تسمعهم حتى ياخذوا عنك القران ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Sa'eed bin Jubair:
from Ibn 'Abbas, regarding: 'And offer your Salat neither aloud nor in a low voice (17:110)." He said: "It was revealed in Makkah. When the Messenger of Allah (ﷺ) would raise his voice with the Qur'an, the idolaters would insult him, the One Who revealed it, and the one who came with it. So Allah revealed: And offer your Salat neither aloud so that they would not insult the Qur'an and the One who revealed it, and the one who came with it, nor in a low voice (too low) such that you can let your Companions hear it, and learn it from you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪৬। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তোমার নামাযের কিরআত না উচ্চস্বরে পড়বে, আর না নিম্ন স্বরে, এ দুইয়ের মধ্যবর্তী মাত্রার আওয়াজ অবলম্বন কর”— (সূরা বনী ইসরাঈল ১১০) অবতীর্ণ হওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় আত্মগোপন করে ছিলেন। তিনি তার সাহাবীদের নিয়ে নামায আদায়ের সময় উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করতেন। মুশরিকরা তা শুনতে পেয়ে কুরআনকে, এর অবতরণকারীকে এবং এর বাহককে গালি দিত। অতএব আল্লাহ তা’আলা তার নবীকে বললেনঃ “তোমার নামাযে উচ্চস্বরে কিরআত পাঠ করো না”, কারণ মুশরিকরা তা শুনে কুরআনকে গালি দেয়। “আবার এত নীচু স্বরেও পড়বে না”, যাতে তোমার সাহাবীদের শুনতে অসুবিধা হয়, বরং “এই দুইয়ের মধ্যবর্তী মাত্রার আওয়াজ অবলম্বন কর”।

সহীহঃ বুখারী (৪৭২২), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً ‏)‏ قَالَ نَزَلَتْ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُخْتَفٍ بِمَكَّةَ وَكَانَ إِذَا صَلَّى بِأَصْحَابِهِ رَفَعَ صَوْتَهُ بِالْقُرْآنِ فَكَانَ الْمُشْرِكُونَ إِذَا سَمِعُوهُ شَتَمُوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَقَالَ اللَّهُ لِنَبِيِّهِ ‏:‏ ‏(‏وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ ‏)‏ أَىْ بِقِرَاءَتِكَ فَيَسْمَعَ الْمُشْرِكُونَ فَيَسُبُّوا الْقُرْآنَ ‏:‏ ‏(‏وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا ‏)‏ عَنْ أَصْحَابِكَ ‏:‏ ‏(‏ وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاً ‏)‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا هشيم، حدثنا ابو بشر، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، في قوله ‏:‏ ‏(‏ولا تجهر بصلاتك ولا تخافت بها وابتغ بين ذلك سبيلا ‏)‏ قال نزلت ورسول الله صلى الله عليه وسلم مختف بمكة وكان اذا صلى باصحابه رفع صوته بالقران فكان المشركون اذا سمعوه شتموا القران ومن انزله ومن جاء به فقال الله لنبيه ‏:‏ ‏(‏ولا تجهر بصلاتك ‏)‏ اى بقراءتك فيسمع المشركون فيسبوا القران ‏:‏ ‏(‏ولا تخافت بها ‏)‏ عن اصحابك ‏:‏ ‏(‏ وابتغ بين ذلك سبيلا ‏)‏ ‏.‏ هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Sa'eed bin Jubair:
from Ibn 'Abbas regarding Allah's saying: "And offer your Salat neither aloud nor in a low voice but follow a way between." He said: "It was revealed when the Messenger of Allah (ﷺ) was hiding himself in Makkah, and when he led his Companions in Salat, he would raise his voice with the Qur'an. So when the idolaters heard it they would insult the Qur'an, the One Who revealed it, and the one who came with it. So Allah, Most High, said to His Prophet: 'And offer your Salat neither aloud' that is: Your recitation, so that the idolaters would not hear it and insult the Qur'an. 'Nor in a low voice (too low)' for your Companions, 'but follow a way between.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪৭৷ যির ইবনু হুবাইশ (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাযিঃ)-কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বাইতুল মাকদিসে নামায আদায় করেছেন? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, হ্যাঁ তিনি নামায আদায় করেছেন। তিনি বললেন, হে টেকো! তুমি এ ধরনের কথা বলছ, তা কিসের ভিত্তিতে বলছ? আমি বললাম, কুরআনের ভিত্তিতে। কুরআন আমার ও আপনার মাঝে ফাঈসালা করবে। হুযাইফা (রাযিঃ) বললেন, কুরআন হতে যে ব্যক্তি দলীল গ্রহণ করল সে কৃতকার্য হল।

সুফইয়ান (রাহঃ) বলেন, তিনি (মিসআর) কখনো “কাদ ইহতাজ্জা” আবার কখনো “কাদ ফালাজা” বলেছেন। তারপর তিনি (যির) এই আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ “পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি এক রাতে তার বান্দাকে মাসজিদুল হারাম হতে দূরবর্তী মসজিদে নিয়ে গেলেন"- (সূরা বনী ইসরাঈল ১)। হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বলেন, এ আয়াতের মাধ্যমে কি তুমি প্রমাণ করতে চাও, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে নামায আদায় করেছেন? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, সেখানে যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় করতেন, তাহলে তোমাদের উপরও সেখানে নামায আদায় করা বাধ্যতামূলক হত, যেমন মাসজিদুল হারামে নামায আদায় করা তোমাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি পশু আনা হল। এর পিঠ ছিল দীর্ঘ এবং (চলার সময়) এর পা দৃষ্টির সীমায় পতিত হয়। তারা দু’জন (মহানবী ও জিবরীল) জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতের প্রতিশ্রুত বিষয়সমূহ দেখার পূর্ব পর্যন্ত বোরাকের পিঠ হতে নামেননি। তারপর তারা দু’জন প্রত্যাবর্তন করেন। তারা যেভাবে গিয়েছিলেন অনুরূপভাবেই ফিরে আসেন (অর্থাৎ সওয়ারী অবস্থায়ই ফিরে আসেন)। হুযাইফাহ (রাযিঃ) বলেন, লোকেরা বলাবলি করে, তিনি বোরাককে বেঁধেছিলেন। কেন এটি তার নিকট হতে পালিয়ে যাবে। অথচ গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছু জানার মালিক (আল্লাহ তা’আলা) বোরাককে তার নিয়ন্ত্রণাধীন করে দিয়েছিলেন।

সনদ হাসান।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ قُلْتُ لِحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ لاَ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ أَنْتَ تَقُولُ ذَاكَ يَا أَصْلَعُ بِمَا تَقُولُ ذَلِكَ قُلْتُ بِالْقُرْآنِ بَيْنِي وَبَيْنَكَ الْقُرْآنُ ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ مَنِ احْتَجَّ بِالْقُرْآنِ فَقَدْ أَفْلَحَ قَالَ سُفْيَانُ يَقُولُ فَقَدِ احْتَجَّ ‏.‏ وَرُبَّمَا قَالَ قَدْ فَلَجَ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏)‏ قَالَ أَفَتَرَاهُ صَلَّى فِيهِ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ لَوْ صَلَّى فِيهِ لَكُتِبَ عَلَيْكُمْ فِيهِ الصَّلاَةُ كَمَا كُتِبَتِ الصَّلاَةُ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ قَالَ حُذَيْفَةُ قَدْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِدَابَّةٍ طَوِيلَةِ الظَّهْرِ مَمْدُودَةٍ هَكَذَا خَطْوُهُ مَدُّ بَصَرِهِ فَمَا زَايَلاَ ظَهْرَ الْبُرَاقِ حَتَّى رَأَيَا الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَوَعْدَ الآخِرَةِ أَجْمَعَ ثُمَّ رَجَعَا عَوْدَهُمَا عَلَى بَدْئِهِمَا قَالَ وَيَتَحَدَّثُونَ أَنَّهُ رَبَطَهُ لِمَ أَيَفِرُّ مِنْهُ وَإِنَّمَا سَخَّرَهُ لَهُ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن مسعر، عن عاصم بن ابي النجود، عن زر بن حبيش، قال قلت لحذيفة بن اليمان اصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيت المقدس قال لا ‏.‏ قلت بلى ‏.‏ قال انت تقول ذاك يا اصلع بما تقول ذلك قلت بالقران بيني وبينك القران ‏.‏ فقال حذيفة من احتج بالقران فقد افلح قال سفيان يقول فقد احتج ‏.‏ وربما قال قد فلج فقال ‏:‏ ‏(‏سبحان الذي اسرى بعبده ليلا من المسجد الحرام الى المسجد الاقصى ‏)‏ قال افتراه صلى فيه قلت لا ‏.‏ قال لو صلى فيه لكتب عليكم فيه الصلاة كما كتبت الصلاة في المسجد الحرام قال حذيفة قد اتي رسول الله صلى الله عليه وسلم بدابة طويلة الظهر ممدودة هكذا خطوه مد بصره فما زايلا ظهر البراق حتى رايا الجنة والنار ووعد الاخرة اجمع ثم رجعا عودهما على بدىهما قال ويتحدثون انه ربطه لم ايفر منه وانما سخره له عالم الغيب والشهادة ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Zirr bin Hubaish:
"I said to Hudhaifah bin Al-Yaman: 'Did the Messenger of Allah (ﷺ) perform Salat in Bait Al-Maqdis?' He said: 'No.' I said: 'But he did.' He said: 'You say that, O bald one! Based upon what do you say that?' I said: 'Based upon the Qur'an, (the Judge) between you and I is the Qur'an.' So Hudhaifah said: 'Whoever argues using the Qur'an, then he has indeed succeeded.'" (One of the narrators) Sufyan said: "He means: 'He has indeed proven'" - and perhaps he (Sufyan) said: "He triumphed." He (Zirr) said: "Glorified is He Who took His slave for a journey by night from Al-Masjid Al-Haram to Al-Masjid Al-Aqsa (17:1).' He (Hudhaifah) said: 'Do you see (this proves that) he (ﷺ) performed Salat in it?' I said: 'No.' He said: 'If he had performed Salat in it, then it would have been required upon you that you perform Salat in it, just as it is required that you perform Salat in Al-Masjid Al-Haram.' Hudhaifah said: 'The Messenger of Allah (ﷺ) was brought a beast with a long back - stretching out like this - one stride of it, is as far as his vision. So, the two of them remained upon the back of Al-Buraq until they saw Paradise and the Fire, and all of what has been prepared for the Hereafter, then they returned back to where they began.' He said: 'They say that he was fettered, but for what? Because he might flee? The Knower of the unseen and the witness subdued him.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪৮। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কিয়ামতের দিবসে সকল আদম সন্তানের নেতা হব। এতে গর্বের কিছু নেই। আমার হাতেই হামদের (প্রশংসার) পতাকা থাকবে। এতেও গর্বের কিছু নেই। সেদিন আমার পতাকার নিচেই আদম (আঃ) এবং অন্য সকল নবী একত্রিত হবেন। আমিই প্রথম ব্যক্তি যার জন্য যামীন বিদীর্ণ করা হবে (অর্থাৎ আমাকেই সর্বপ্রথম উত্থিত করা হবে)। এতেও গর্বের কিছু নেই। লোকেরা তিনবার ভীতসন্ত্রস্ত হবে।

তারপর আদম (আঃ)-এর নিকট এসে তারা বলবে, আপনি আমাদের পিতা আদম। আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের নিকট সুপারিশ করুন। তিনি বলবেন, আমি এমন এক অপরাধ করেছিলাম যার পরিণতিতে আমাকে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তোমরা বরং নূহ (আঃ)-এর নিকট যাও। তারা নূহ (আঃ)-এর নিকট এলে তিনি বলবেন, পৃথিবীর অধিবাসীদেরকে আমি এমন বদ দুআ করেছিলাম, যার কারণে তারা ধ্বংস হয়েছে (আমি এর কারণে লজ্জিত)। অতএব তোমরা ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকট যাও।

তারা ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকট এলে তিনি বলবেন, আমি তিনটি মিথ্যা বলেছিলাম। (বর্ণনাকারী বলেন) তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিনি প্রতিটি মিথ্যাকে কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে আল্লাহ তা’আলার দীনকে হিফাজাত করেছেন। ইবরাহীম (আঃ) বলবেন তোমরা বরং মূসা (আঃ)-এর নিকট যাও।

তারা মূসা (আঃ)-এর নিকট এলে তিনি বলবেন, আমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছি। অতএব তোমরা ঈসা (আঃ)-এর নিকট যাও। তারা ঈসা (আঃ)-এর নিকট এলে তিনি বলবেন, আল্লাহ তা’আলাকে বাদ দিয়ে আমার ইবাদাত করা হয়েছে। আমাকে মা’বুদ বানানো হয়েছে। তোমরা মুহাম্মাদ র-এর নিকট যাও।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারা আমার নিকট আসবে এবং আমি তাদের সাথে যাব। ইবনু জুদ’আন বলেন, আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, আমি যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি তাকিয়ে আছি, আর তিনি বলছেনঃ আমি জান্নাতের দরজার শিকল ধরে তাতে খটখট আওয়াজ করব। ভেতর হতে বলা হবে, কে? বলা হবে, মুহাম্মাদ। ভেতরের অধিবাসীরা সাথে সাথে আমার সৌজন্যে দরজা খুলে দিবে এবং আমাকে মারহাবা মারহাবা বলে অভিনন্দন জানাবে। তখন আমি সিজদায় পতিত হব। এ অবস্থায় আল্লাহ তা’আলা আমার প্রতি বিশেষ হামদ ও সানা (প্রশংসা ও স্তুতিবাক্য) ইলহাম করবেন (গোপনে শিখিয়ে দিবেন এবং আমি তা পাঠ করতে থাকব)।

আমাকে বলা হবে, মাথা তোল, প্রার্থনা কর দেয়া হবে, সুপারিশ কর কবুল করা হবে এবং বল, তোমার কথা শুনা হবে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন) এটাই হল সেই মাকামে মাহমূদ’ (উচ্চ প্রশংসিত মর্যাদা), যার কথা আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “আশা করা যায় তোমার প্রভু তোমাকে মাকামে মাহমুদে সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন"- (সূরা বনী ইসরাঈল ৭৯)। সুফইয়ান (রাহঃ) বলেন, শুধু মাত্র এই কথাটুকুই আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করা হয়েছেঃ “আমি জান্নাতের দরজার শিকল ধরে খটখট আওয়াজ করব"।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৪৩০৮)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি কয়েকজন বর্ণনাকারী আবূ নাযরাহ হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে দীর্ঘাকারে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَبِيَدِي لِوَاءُ الْحَمْدِ وَلاَ فَخْرَ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ يَوْمَئِذٍ آدَمُ فَمَنْ سِوَاهُ إِلاَّ تَحْتَ لِوَائِي وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ وَلاَ فَخْرَ قَالَ فَيَفْزَعُ النَّاسُ ثَلاَثَ فَزَعَاتٍ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ أَبُونَا آدَمُ فَاشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ ‏.‏ فَيَقُولُ إِنِّي أَذْنَبْتُ ذَنْبًا أُهْبِطْتُ مِنْهُ إِلَى الأَرْضِ وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا ‏.‏ فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُ إِنِّي دَعَوْتُ عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ دَعْوَةً فَأُهْلِكُوا وَلَكِنِ اذْهَبُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ ‏.‏ فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ إِنِّي كَذَبْتُ ثَلاَثَ كَذَبَاتٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا مِنْهَا كَذْبَةٌ إِلاَّ مَاحَلَ بِهَا عَنْ دِينِ اللَّهِ وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى ‏.‏ فَيَأْتُونَ مُوسَى فَيَقُولُ إِنِّي قَدْ قَتَلْتُ نَفْسًا وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى ‏.‏ فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُ إِنِّي عُبِدْتُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا قَالَ فَيَأْتُونَنِي فَأَنْطَلِقُ مَعَهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ جُدْعَانَ قَالَ أَنَسٌ فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ فَآخُذُ بِحَلْقَةِ بَابِ الْجَنَّةِ فَأُقَعْقِعُهَا فَيُقَالُ مَنْ هَذَا فَيُقَالُ مُحَمَّدٌ ‏.‏ فَيَفْتَحُونَ لِي وَيُرَحِّبُونَ فَيَقُولُونَ مَرْحَبًا فَأَخِرُّ سَاجِدًا فَيُلْهِمُنِي اللَّهُ مِنَ الثَّنَاءِ وَالْحَمْدِ فَيُقَالُ لِي ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ وَقُلْ يُسْمَعْ لِقَوْلِكَ وَهُوَ الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ الَّذِي قَالَ اللَّهُ ‏:‏ ‏(‏ عَسَى أَنْ يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَحْمُودًا ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ لَيْسَ عَنْ أَنَسٍ إِلاَّ هَذِهِ الْكَلِمَةُ ‏"‏ فَآخُذُ بِحَلْقَةِ بَابِ الْجَنَّةِ فَأُقَعْقِعُهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن علي بن زيد بن جدعان، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ انا سيد ولد ادم يوم القيامة ولا فخر وبيدي لواء الحمد ولا فخر وما من نبي يومىذ ادم فمن سواه الا تحت لواىي وانا اول من تنشق عنه الارض ولا فخر قال فيفزع الناس ثلاث فزعات فياتون ادم فيقولون انت ابونا ادم فاشفع لنا الى ربك ‏.‏ فيقول اني اذنبت ذنبا اهبطت منه الى الارض ولكن اىتوا نوحا ‏.‏ فياتون نوحا فيقول اني دعوت على اهل الارض دعوة فاهلكوا ولكن اذهبوا الى ابراهيم ‏.‏ فياتون ابراهيم فيقول اني كذبت ثلاث كذبات ‏"‏ ‏.‏ ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما منها كذبة الا ماحل بها عن دين الله ولكن اىتوا موسى ‏.‏ فياتون موسى فيقول اني قد قتلت نفسا ولكن اىتوا عيسى ‏.‏ فياتون عيسى فيقول اني عبدت من دون الله ولكن اىتوا محمدا قال فياتونني فانطلق معهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابن جدعان قال انس فكاني انظر الى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ فاخذ بحلقة باب الجنة فاقعقعها فيقال من هذا فيقال محمد ‏.‏ فيفتحون لي ويرحبون فيقولون مرحبا فاخر ساجدا فيلهمني الله من الثناء والحمد فيقال لي ارفع راسك سل تعط واشفع تشفع وقل يسمع لقولك وهو المقام المحمود الذي قال الله ‏:‏ ‏(‏ عسى ان يبعثك ربك مقاما محمودا ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قال سفيان ليس عن انس الا هذه الكلمة ‏"‏ فاخذ بحلقة باب الجنة فاقعقعها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وقد روى بعضهم هذا الحديث عن ابي نضرة عن ابن عباس الحديث بطوله ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed Al-Khudri:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I am the chief of the children of Adam on the Day of Judgement and I am not boasting, and in my hand is the banner of praise and I am not boasting, and there has been no Prophet since Adam or other than him, except that he is under my banner. And I am the first for whom the earth will split open, and I am not boasting." He said: "The people will be frightened by three frights. So they will come to Adam saying: 'You are our father Adam, so intercede for us with your Lord.' So he says: 'I committed a sin for which I was expelled to the earth, so go to Nuh.' So they will come to Nuh and he will say: 'I supplicated against the people of the earth, so they were destroyed. So go to Ibrahim.' So they will go to Ibrahim, and he says: 'I lied three times.'" Then the Messenger of Allah (ﷺ) said: "He did not lie except defending Allah's religion." "So go to Musa.' So they will come to Musa, and he will say: 'I took a life. So go to 'Eisa. So they go to 'Eisa and he says: 'I was worshiped besides Allah. So go to Muhammad (ﷺ).'" He said: "So they will come to me, and I will go to them." (One of the narrators) Ibn Ju'dan said: "Anas said: 'It is as if I am looking at the Messenger of Allah (ﷺ), and he is saying: "So I will take hold of a ring of a gate of Paradise to rattle it, and it will be said: 'Who is there?' It will be said: 'Muhammad.' They will open it for me, and welcome me saying, 'Welcome.' I will fall prostrate and Allah will inspire me with statements of gratitude and praise and it will be said to me: 'Raise your head, ask and you shall be given, intercede, and your intercession shall be accepted, speak, and your saying shall be heard.' And that is Al-Maqam Al-Mahmud about which Allah said: It may be that your Lord will raise you to Maqaman-Mahmud (17:79)." Sufyan said: "None of it is from Anas except this sentence: 'I will take hold of a ring of a gate of Paradise to rattle it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে