পরিচ্ছেদঃ ১৯. সূরা আল-কাহফ

৩১৪৯। সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)-কে বললাম, নাওফ আল-বিকালী মনে করেন যে, খাযিরের সাথে যে মূসার সাক্ষাৎ হয়েছিল, তিনি বনী ইসরাঈলের নবী মূসা (আঃ) নন (এরা দু’জন ভিন্ন ব্যক্তি)। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর দুশমন মিথ্যা বলছে। উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ

বনী ইসরাঈলের জনগণের সামনে মূসা (আঃ) বক্তৃতা দিতে দাঁড়ান। তাকে প্রশ্ন করা হয় যে, কে সবচেয়ে বড় জ্ঞানী? তিনি বলেন, আমি সবচেয়ে বড় জ্ঞানী। এতে আল্লাহ তা’আলা তার উপর অসন্তুষ্ট হন। কেননা তিনি আল্লাহ তা’আলার সাথে জ্ঞানকে সম্পৃক্ত করেননি (অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলা সবচাইতে বড় জ্ঞানী এ কথা বলেননি)। আল্লাহ তা’আলা তার নিকট ওয়াহী পাঠান, আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত এক বান্দা দুই সমুদ্রের সংগমস্থলে আছে। সে তোমার চাইতে বেশি জ্ঞানী। মূসা (আঃ) বললেনঃ হে আমার প্রতিপালক! আমি কি উপায়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করব?

আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ তুমি থলেতে একটি মাছ লও। মাছটি যেখানে হারিয়ে ফেলবে, সেখানেই সে আছে। অতএব তিনি রওয়ানা হলেন এবং ইউশা ইবনু নুন নামক তার যুবক শাগরিদও তার সফরসঙ্গী হলেন। মূসা (আঃ) থলের মধ্যে একটি মাছ ভরে নিলেন। তারা দু’জনে পায়ে হেঁটে চলতে চলতে একটি প্রকাণ্ড পাথরের নিকট (সমুদ্রের তীরে) এসে পৌছেন। এখানে দু’জনই শুয়ে বিশ্রাম নিলেন। থলের মধ্যকার মাছটি নড়াচড়া করতে করতে তা হতে বের হয়ে সমুদ্রে পতিত হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা মাছটি দিয়ে পানির স্রোতধারা বন্ধ করে দিলেন। ফলে তা প্রাচীরবৎ হয়ে গেল এবং মাছটির জন্য এভাবে একটি পথের ব্যবস্থা হল।

মূসা (আঃ) ও তার যুবক সঙ্গীর নিকট এটা খুবই আশ্চর্যজনক মনে হচ্ছিল। তারা দিনের অবশিষ্ট সময় ও রাতে অগ্রসর হতে থাকলেন। তার সঙ্গী মাছের অবস্থা সম্পর্কে তাকে জানাতে ভুলে গেল। ভোর হলে মূসা (আঃ) তার সঙ্গীকে বললেন, “আমাদের সকালের নাশতা নাও। আজকের সফরে আমরা অত্যধিক ক্লান্ত হয়ে পড়েছি”— (সূরা কাহফ ৬২)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাদেরকে যে স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, সেখান পর্যন্ত পৌছতে তারা ক্লান্ত হননি। কিন্তু নির্দেশিত স্থান পার হওয়ার পরই তাদেরকে ক্লান্তিতে পেয়ে বসে। “যুবক বলল, আমরা যখন সেই প্রস্তরময় প্রান্তরে আশ্রয় নিয়েছিলাম, তখন কি ঘটনা ঘটেছে তা কি আপনি লক্ষ্য করেননি? মাছের প্রতি আমার কোন লক্ষ্য ছিল না। আর শাইতান আমাকে এমনভাবে ভুলিয়ে দিয়েছে যে, আমি আপনার নিকট তা উল্লেখ করতেও ভুলে গেছি। মাছ তো আশ্চর্য রকমভাবে বের হয়ে সমুদ্রে চলে গেছে। মূসা বললেন, আমরা তো এটাই চেয়েছিলাম”— (সূরা কাহফ ৬৪)। তারা দু’জনেই তাদের পদচিহ্ন ধরে ফিরে এলেন।

সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) বলেন, কিছু লোকের ধারণা যে, এই প্রস্তরময় ময়দানে (বা সমুদ্র তীরেই) আবে হায়াতের ঝর্ণা রয়েছে। এই পানি মৃত ব্যাক্তির উপর ছিটিয়ে দিলে সে জীবিত হয়ে উঠে। এই মাছের কিছু অংশ খাওয়াও হয়েছিল। ঐ ঝর্ণার পানির ফোটা মাছের গায়ে পড়লে সাথে সাথে মাছটি জীবিত হয়ে গেল।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারা উভয়ে তাদের পায়ের চিহ্ন ধরে অগ্রসর হতে হতে পূর্বের সেই প্রান্তরে এসে পৌছলেন। তারা দেখতে পেলেন, এক ব্যক্তি চাদর লম্বা করে গায়ে দিয়ে মুখ ঢেকে শুয়ে আছেন। মূসা (আঃ) তাকে সালাম দিলেন। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, তোমাদের এ জায়গায় তো সালামের প্রচলন নেই (তুমি মনে হয় একজন আগন্তুক)? তিনি বললেন, আমি মূসা (আঃ)। তিনি প্রশ্ন করলেন, বনী ইসরাঈলের মূসা তিনি বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আপনার নিকট আল্লাহ তা’আলার দানকৃত এক বিশেষ জ্ঞান আছে। আমি তা জানি না। আর আল্লাহ তা’আলা আমাকেও এক বিশেষ জ্ঞান দিয়েছেন যা আপনি জানেন না।

মূসা (আঃ) বললেনঃ “আপনাকে যে জ্ঞান শিক্ষা দেয়া হয়েছে, তা শিখার উদ্দেশে কি আমি আপনার সঙ্গে থাকতে পারি? তিনি বললেনঃ আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধরে থাকতে পারবেন না। আর যে বিষয়ে আপনার কিছুই জানা নেই, সে বিষয়ে আপনি কেমন করেই বা ধৈর্য ধারণ করতে পারেন? তিনি বললেন, ইনশা আল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন। কোন ব্যপারেই আমি আপনার নির্দেশের বিরোধিতা করব না”— (সূরা কাহফ ৬৬-৬৯)। খাযির (আঃ) তাকে বললেন, “ঠিক আছে, আপনি যদি আমার সাথে চলতে থাকেন, তাহলে আপনি আমার নিকট কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন না, যতক্ষণ আমি আপনাকে তা না বলি"- (সূরা কাহফ ৭০)।

তিনি (মূসা) বললেন, হ্যাঁ ঠিক আছে। খাযির ও মূসা (আঃ) সমুদ্রের তীর ধরে পায়ে হেঁটে চলতে থাকলেন। তাদের সামনে দিয়ে একটি নৌকা অতিক্রম করছিল। তারা উভয়ে তাদের সাথে কথা বললেন এবং তাদেরকে নৌকায় তুলে নেয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। তারা খাযিরকে চিনে ফেলল এবং কোন ভাড়া ছাড়াই তাদের দু’জনকে নৌকায় তুলে নিল। খাযির নৌকার একটি তক্তা খুলে নিলেন। মূসা (আঃ) তাকে বললেন, লোকেরা আমাদেরকে ভাড়া ছাড়াই নৌকায় তুলে নিল, আর আপনি নৌকাটির ক্ষতি সাধন করলেন। আপনি কি তাদের ডুবিয়ে দিতে চান? “আপনার এ কাজটি খুবই আপত্তিকর।

খাযির বললেন, আমি কি তোমাকে বলিনি যে, তুমি আমার সাধে ধৈর্য ধরে থাকতে পারবে না? মূসা বললেন, আমার ভুলের জন্য আপনি আমাকে পাকড়াও করবেন না। আমার ব্যাপারে আপনি অতটা কড়াকড়ি করবেন না”— (সূরা কাহফ ৭১-৭৩)।

তারা নৌকা হতে নেমে সমুদ্রের তীর ধরে এগিয়ে যেতে থাকেন। পথিমধ্যে দেখা গেল, একটি বালক অপর কয়েকটি বালকের সাথে খেলাধূলা করছে। খাযির (আঃ) নিজের হাতে ছেলেটির মাথা ধরে তা ঘাড় হতে বিচ্ছিন্ন করে দিলেন এবং এভাবে তাকে হত্যা করেন। মূসা (আঃ) তাকে বললেন, “একটা নিষ্পাপ বালককে আপনি মেরে ফেললেন? অথচ সে তো কাউকে হত্যা করেনি! আপনি তো একটা বড় অন্যায় করে ফেলেছেন। খাযির বললেন, আমি কি তোমাকে বলিনি, তুমি আমার সাথে ধৈর্য ধরে চলতে পারবে না"- (সূরা কাহফ ৭৪-৭৫)?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পূর্বের কথার চেয়ে এ কথাটা বেশি শক্ত ছিল। মূসা (আঃ) বললেন, “অতঃপর আমি যদি আপনার নিকট কোন প্রশ্ন করি, তাহলে আপনি আমাকে আর সঙ্গে রাখবেন না। আমাকে প্রত্যাখ্যান করার মত ত্রুটি আপনি আমার মধ্যে পেয়েছেন। পুনরায় তারা দু’জনে সামনে এগিয়ে গেলেন এবং যেতে যেতে একটি জনপদে এসে পৌছলেন এবং সেখানকার মানুষদের নিকট খাবার চাইলেন। কিন্তু তারা মেহমান হিসেবে তাদেরকে মেনে নিতে রাজী হয়নি। তারা সেখানে একটি দেয়াল দেখতে পেলেন, যা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল"- (সূরা কাহফ ৭৬-৭৭)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দেয়ালটি ঝুঁকে পড়েছিল। খাযির তার হাত দিয়ে দেয়ালটি ঠিক করে দিলেন। মূসা (আঃ) তাকে বললেনঃ আমরা এমন এক সম্প্রদায়ের নিকট আসলাম, যারা আমাদেরকে মেহমান হিসেবেও গ্রহণ করেনি বা আহারও করায়নি। “আপনি ইচ্ছা করলে এই কাজের জন্য মুজরী নিতে পারতেন। খাযির বললেন, ব্যাস। এখানেই তোমার ও আমার একত্রে ভ্রমণ শেষ। তুমি যেসব বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করতে পারনি, এখন আমি তোমাকে সেসব বিষয়ের তাৎপর্য বলে দিব”— (সূরা কাহফ ৭৭-৭৮)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা মূসা (আঃ)-এর উপর রহমত অবতীর্ণ করুন। আমাদের আশা ছিল যে, তিনি যদি ধৈর্য ধারণ করতেন তাহলে আমাদেরকে তাদের এসব বিষয়ের তথ্য জানানো হত! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মূসা (আঃ) শর্তের কথা ভুলে যাওয়ার কারণেই প্রথম প্রশ্নটি করেছেন। তিনি আরো বলেনঃ একটি চড়ুই পাখি এসে তাদের নৌকার কিনারে বসে, তারপর তা সমুদ্রে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়। খাযির তাকে বললেন, এই চড়ুই পাখি সমুদ্রের পানি যতটুকু কমিয়েছে, আমার ও আপনার জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার জ্ঞানভাণ্ডার হতে ঠিক ততটুকুই কমিয়েছে।

সাঈদ ইবনু জুবাইর (রাহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) পাঠ করলেনঃ “তাদের সামনে ছিল এক বাদশাহ যে প্রতিটি নিখুঁত নৌকা জোরপূর্বক কেড়ে নিত।” তিনি আরো পাঠ করলেনঃ “আর বালকটি ছিল কাফির”।

সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। যুহরী (রাহঃ) এ হাদীস উবাইদুল্লাহ ইবনু আবদিল্লাহ ইবনু উতবাহ ইবনু আব্বাস হতে, তিনি উবাই ইবনু কা’ব হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি আবূ ইসহাক আল-হামদানী (রাহঃ) সাঈদ ইবনু জুবাইর হতে, তিনি ইবনু আব্বাস হতে, তিনি উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

আবূ মুযাহিম আস-সামারকান্দী বলেন, ’আলী ইবনুল মাদীনী বলেছেন, আমি হাজ্জে গিয়েছিলাম। আমার হাজ্জের সফরের উদ্দেশ্যই ছিল সুফইয়ান সাওরীকে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনব। তিনি এ হাদীসে একটি বিষয় বর্ণনা করতেন। সুতরাং আমি তাকে বলতে শুনেছি, এ হাদীস আমর ইবনু দীনার আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন। ইতোপূর্বে আমি এ হাদীস সুফইয়ানকে বর্ণনা করতে শুনেছি, কিন্তু তিনি উক্ত বিষয় এতে বর্ণনা করেননি।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ نَوْفًا الْبِكَالِيَّ يَزْعُمُ أَنَّ مُوسَى صَاحِبَ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَيْسَ بِمُوسَى صَاحِبِ الْخَضِرِ قَالَ كَذَبَ عَدُوُّ اللَّهِ سَمِعْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ قَامَ مُوسَى خَطِيبًا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ فَسُئِلَ أَىُّ النَّاسِ أَعْلَمُ فَقَالَ أَنَا أَعْلَمُ ‏.‏ فَعَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ إِذْ لَمْ يَرُدَّ الْعِلْمَ إِلَيْهِ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنَّ عَبْدًا مِنْ عِبَادِي بِمَجْمَعِ الْبَحْرَيْنِ هُوَ أَعْلَمُ مِنْكَ قَالَ مُوسَى أَىْ رَبِّ فَكَيْفَ لِي بِهِ فَقَالَ لَهُ احْمِلْ حُوتًا فِي مِكْتَلٍ فَحَيْثُ تَفْقِدُ الْحُوتَ فَهُوَ ثَمَّ فَانْطَلَقَ وَانْطَلَقَ مَعَهُ فَتَاهُ وَهُوَ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ وَيُقَالُ يُوسَعُ فَحَمَلَ مُوسَى حُوتًا فِي مِكْتَلٍ فَانْطَلَقَ هُوَ وَفَتَاهُ يَمْشِيَانِ حَتَّى إِذَا أَتَيَا الصَّخْرَةَ فَرَقَدَ مُوسَى وَفَتَاهُ فَاضْطَرَبَ الْحُوتُ فِي الْمِكْتَلِ حَتَّى خَرَجَ مِنَ الْمِكْتَلِ فَسَقَطَ فِي الْبَحْرِ قَالَ وَأَمْسَكَ اللَّهُ عَنْهُ جِرْيَةَ الْمَاءِ حَتَّى كَانَ مِثْلَ الطَّاقِ وَكَانَ لِلْحُوتِ سَرَبًا وَكَانَ لِمُوسَى وَلِفَتَاهُ عَجَبًا فَاَنْطَلَقَا بَقِيَّةَ يَوْمِهِمَا وَلَيْلَتِهِمَا وَنُسِّيَ صَاحِبُ مُوسَى أَنْ يُخْبِرَهُ فَلَمَّا أَصْبَحَ مُوسَى قَالَ لِفَتَاهُ‏:‏ ‏(‏آتِنَا غَدَاءَنَا لَقَدْ لَقِينَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبًا ‏)‏ قَالَ وَلَمْ يَنْصَبْ حَتَّى جَاوَزَ الْمَكَانَ الَّذِي أُمِرَ بِهِ ‏:‏ ‏(‏قَالَ أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهُ إِلاَّ الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ وَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي الْبَحْرِ عَجَبًا ‏)‏ قَالَ مُوسَى ‏:‏ ‏(‏ ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِ فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا ‏)‏ قَالَ فَكَانَا يَقُصَّانِ آثَارَهُمَا ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ يَزْعُمُ نَاسٌ أَنَّ تِلْكَ الصَّخْرَةَ عِنْدَهَا عَيْنُ الْحَيَاةِ وَلاَ يُصِيبُ مَاؤُهَا مَيِّتًا إِلاَّ عَاشَ ‏.‏ قَالَ وَكَانَ الْحُوتُ قَدْ أُكِلَ مِنْهُ فَلَمَّا قَطَرَ عَلَيْهِ الْمَاءُ عَاشَ ‏.‏ قَالَ فَقَصَّا آثَارَهُمَا حَتَّى أَتَيَا الصَّخْرَةَ فَرَأَى رَجُلاً مُسَجًّى عَلَيْهِ بِثَوْبٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ مُوسَى فَقَالَ أَنَّى بِأَرْضِكَ السَّلاَمُ قَالَ أَنَا مُوسَى ‏.‏ قَالَ مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ يَا مُوسَى إِنَّكَ عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَكَهُ اللَّهُ لاَ أَعْلَمُهُ وَأَنَا عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَنِيهِ لاَ تَعْلَمُهُ فَقَالَ مُوسَى ‏:‏ ‏(‏ هَلْ أَتَّبِعُكَ عَلَى أَنْ تُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا * قَالَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا * وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَى مَا لَمْ تُحِطْ بِهِ خُبْرًا * قَالَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ صَابِرًا وَلاَ أَعْصِي لَكَ أَمْرًا ‏)‏ قَالَ لَهُ الْخَضِرُ ‏:‏ ‏(‏فَإِنِ اتَّبَعْتَنِي فَلاَ تَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا ‏)‏ قَالَ نَعَمْ فَانْطَلَقَ الْخَضِرُ وَمُوسَى يَمْشِيَانِ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ فَمَرَّتْ بِهِمَا سَفِينَةٌ فَكَلَّمَاهُ أَنْ يَحْمِلُوهُمَا فَعَرَفُوا الْخَضِرَ فَحَمَلُوهُمَا بِغَيْرِ نَوْلٍ فَعَمَدَ الْخَضِرُ إِلَى لَوْحٍ مِنْ أَلْوَاحِ السَّفِينَةِ فَنَزَعَهُ فَقَالَ لَهُ مُوسَى قَوْمٌ حَمَلُونَا بِغَيْرِ نَوْلٍ عَمَدْتَ إِلَى سَفِينَتِهِمْ فَخَرَقْتَهَا ‏:‏ ‏(‏ لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِمْرًا * قَالَ أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا * قَالَ لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا نَسِيتُ وَلاَ تُرْهِقْنِي مِنْ أَمْرِي عُسْرًا ‏)‏ ثُمَّ خَرَجَا مِنَ السَّفِينَةِ فَبَيْنَمَا هُمَا يَمْشِيَانِ عَلَى السَّاحِلِ وَإِذَا غُلاَمٌ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ فَأَخَذَ الْخَضِرُ بِرَأْسِهِ فَاقْتَلَعَهُ بِيَدِهِ فَقَتَلَهُ فَقَالَ لَهُ مُوسَى ‏:‏ ‏(‏ أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُكْرًا * قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا ‏)‏ قَالَ وَهَذِهِ أَشَدُّ مِنَ الأُولَى ‏:‏ ‏(‏ قَالَ إِنْ سَأَلْتُكَ عَنْ شَيْءٍ بَعْدَهَا فَلاَ تُصَاحِبْنِي قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَدُنِّي عُذْرًا * فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا أَتَيَا أَهْلَ قَرْيَةٍ اسْتَطْعَمَا أَهْلَهَا فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَّ ‏)‏ يَقُولُ مَائِلٌ فَقَالَ الْخَضِرُ بِيَدِهِ هَكَذَا ‏:‏ ‏(‏ فَأَقَامَهُ ‏)‏ فَقَالَ لَهُ مُوسَى قَوْمٌ أَتَيْنَاهُمْ فَلَمْ يُضَيِّفُونَا وَلَمْ يُطْعِمُونَا ‏:‏ ‏(‏ إِنْ شِئْتَ لاَتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا * قَالَ هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنِكَ سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا ‏)‏ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَرْحَمُ اللَّهُ مُوسَى لَوَدِدْنَا أَنَّهُ كَانَ صَبَرَ حَتَّى يَقُصَّ عَلَيْنَا مِنْ أَخْبَارِهِمَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الأُولَى كَانَتْ مِنْ مُوسَى نِسْيَانٌ - قَالَ وَجَاءَ عُصْفُورٌ حَتَّى وَقَعَ عَلَى حَرْفِ السَّفِينَةِ ثُمَّ نَقَرَ فِي الْبَحْرِ فَقَالَ لَهُ الْخَضِرُ مَا نَقَصَ عِلْمِي وَعِلْمُكَ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ إِلاَّ مِثْلَ مَا نَقَصَ هَذَا الْعُصْفُورُ مِنَ الْبَحْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ وَكَانَ يَعْنِي ابْنَ عَبَّاسٍ يَقْرَأُ وَكَانَ أَمَامَهُمْ مَلِكٌ يَأْخُذُ كُلَّ سَفِينَةٍ صَالِحَةٍ غَصْبًا وَكَانَ يَقْرَأُ وَأَمَّا الْغُلاَمُ فَكَانَ كَافِرًا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ أَبَا مُزَاحِمٍ السَّمَرْقَنْدِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ يَقُولُ حَجَجْتُ حَجَّةً وَلَيْسَ لِي هِمَّةٌ إِلاَّ أَنْ أَسْمَعَ مِنْ سُفْيَانَ يَذْكُرُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ الْخَبَرَ حَتَّى سَمِعْتُهُ يَقُولُ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ وَقَدْ كُنْتُ سَمِعْتُ هَذَا مِنْ سُفْيَانَ مِنْ قَبْلِ ذَلِكَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْخَبَرَ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن عمرو بن دينار، عن سعيد بن جبير، قال قلت لابن عباس ان نوفا البكالي يزعم ان موسى صاحب بني اسراىيل ليس بموسى صاحب الخضر قال كذب عدو الله سمعت ابى بن كعب يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ قام موسى خطيبا في بني اسراىيل فسىل اى الناس اعلم فقال انا اعلم ‏.‏ فعتب الله عليه اذ لم يرد العلم اليه فاوحى الله اليه ان عبدا من عبادي بمجمع البحرين هو اعلم منك قال موسى اى رب فكيف لي به فقال له احمل حوتا في مكتل فحيث تفقد الحوت فهو ثم فانطلق وانطلق معه فتاه وهو يوشع بن نون ويقال يوسع فحمل موسى حوتا في مكتل فانطلق هو وفتاه يمشيان حتى اذا اتيا الصخرة فرقد موسى وفتاه فاضطرب الحوت في المكتل حتى خرج من المكتل فسقط في البحر قال وامسك الله عنه جرية الماء حتى كان مثل الطاق وكان للحوت سربا وكان لموسى ولفتاه عجبا فانطلقا بقية يومهما وليلتهما ونسي صاحب موسى ان يخبره فلما اصبح موسى قال لفتاه‏:‏ ‏(‏اتنا غداءنا لقد لقينا من سفرنا هذا نصبا ‏)‏ قال ولم ينصب حتى جاوز المكان الذي امر به ‏:‏ ‏(‏قال ارايت اذ اوينا الى الصخرة فاني نسيت الحوت وما انسانيه الا الشيطان ان اذكره واتخذ سبيله في البحر عجبا ‏)‏ قال موسى ‏:‏ ‏(‏ ذلك ما كنا نبغ فارتدا على اثارهما قصصا ‏)‏ قال فكانا يقصان اثارهما ‏.‏ قال سفيان يزعم ناس ان تلك الصخرة عندها عين الحياة ولا يصيب ماوها ميتا الا عاش ‏.‏ قال وكان الحوت قد اكل منه فلما قطر عليه الماء عاش ‏.‏ قال فقصا اثارهما حتى اتيا الصخرة فراى رجلا مسجى عليه بثوب فسلم عليه موسى فقال انى بارضك السلام قال انا موسى ‏.‏ قال موسى بني اسراىيل قال نعم ‏.‏ قال يا موسى انك على علم من علم الله علمكه الله لا اعلمه وانا على علم من علم الله علمنيه لا تعلمه فقال موسى ‏:‏ ‏(‏ هل اتبعك على ان تعلمني مما علمت رشدا * قال انك لن تستطيع معي صبرا * وكيف تصبر على ما لم تحط به خبرا * قال ستجدني ان شاء الله صابرا ولا اعصي لك امرا ‏)‏ قال له الخضر ‏:‏ ‏(‏فان اتبعتني فلا تسالني عن شيء حتى احدث لك منه ذكرا ‏)‏ قال نعم فانطلق الخضر وموسى يمشيان على ساحل البحر فمرت بهما سفينة فكلماه ان يحملوهما فعرفوا الخضر فحملوهما بغير نول فعمد الخضر الى لوح من الواح السفينة فنزعه فقال له موسى قوم حملونا بغير نول عمدت الى سفينتهم فخرقتها ‏:‏ ‏(‏ لتغرق اهلها لقد جىت شيىا امرا * قال الم اقل انك لن تستطيع معي صبرا * قال لا تواخذني بما نسيت ولا ترهقني من امري عسرا ‏)‏ ثم خرجا من السفينة فبينما هما يمشيان على الساحل واذا غلام يلعب مع الغلمان فاخذ الخضر براسه فاقتلعه بيده فقتله فقال له موسى ‏:‏ ‏(‏ اقتلت نفسا زكية بغير نفس لقد جىت شيىا نكرا * قال الم اقل لك انك لن تستطيع معي صبرا ‏)‏ قال وهذه اشد من الاولى ‏:‏ ‏(‏ قال ان سالتك عن شيء بعدها فلا تصاحبني قد بلغت من لدني عذرا * فانطلقا حتى اذا اتيا اهل قرية استطعما اهلها فابوا ان يضيفوهما فوجدا فيها جدارا يريد ان ينقض ‏)‏ يقول ماىل فقال الخضر بيده هكذا ‏:‏ ‏(‏ فاقامه ‏)‏ فقال له موسى قوم اتيناهم فلم يضيفونا ولم يطعمونا ‏:‏ ‏(‏ ان شىت لاتخذت عليه اجرا * قال هذا فراق بيني وبينك سانبىك بتاويل ما لم تستطع عليه صبرا ‏)‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يرحم الله موسى لوددنا انه كان صبر حتى يقص علينا من اخبارهما ‏"‏ ‏.‏ قال وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الاولى كانت من موسى نسيان - قال وجاء عصفور حتى وقع على حرف السفينة ثم نقر في البحر فقال له الخضر ما نقص علمي وعلمك من علم الله الا مثل ما نقص هذا العصفور من البحر ‏"‏ ‏.‏ قال سعيد بن جبير وكان يعني ابن عباس يقرا وكان امامهم ملك ياخذ كل سفينة صالحة غصبا وكان يقرا واما الغلام فكان كافرا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ ورواه الزهري عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة عن ابن عباس عن ابى بن كعب عن النبي صلى الله عليه وسلم وقد رواه ابو اسحاق الهمداني عن سعيد بن جبير عن ابن عباس عن ابى بن كعب عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو عيسى سمعت ابا مزاحم السمرقندي يقول سمعت علي بن المديني يقول حججت حجة وليس لي همة الا ان اسمع من سفيان يذكر في هذا الحديث الخبر حتى سمعته يقول حدثنا عمرو بن دينار وقد كنت سمعت هذا من سفيان من قبل ذلك ولم يذكر فيه الخبر ‏.‏


Narrated Sa'eed bin Jubair:
"I said to Ibn 'Abbas: 'Nawf Al-Bikali claims that Musa, of Banu Isra'il is not the companion of Al-Khidr. He said: 'The enemy of Allah has lied. I heard Ubayy bin Ka'b saying: "I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say 'Musa stood to deliver a Khutbah to the children of Isra'il. He was asked: "Who is the most knowledgeable among the people?" He said: "I am the most knowledgeable." So Allah admonished him, since he did not refer the knowledge back to Him. Allah revealed to him: "A slave, among My slaves at the junction of the two seas, is more knowledgeable than you." So Musa said: "O Lord! How can I meet him?" He said to him: "Carry a fish in a basket, wherever you lose the fish, then he is there." So he set off, and his boy set off with him - and he was Yusha' bin Nun. Musa put a fish in a basket, he and the boy set off walking, until when they reached a rock, Musa and his boy fell asleep. The fish was flopping around in the basket, falling into the sea.' He said: 'Allah held back the flow of water until it was like a tunnel, and the fish could glide. Musa and his boy were amazed. They set off the remainder of the day and the night, and Musa's companion forgot to inform him (of the escape of the fish). When Musa arose in the morning, he said to his boy: Bring us our morning meal; truly we have suffered much fatigue in this, our journey (18:62).' He said: 'He had not gotten tired until he passed the place which Allah had ordered him to go. He said: Do you remember when we betook ourselves to the rock? I indeed forgot the fish, none but Shaitan made me forget to remember it. It took its course into the sea in a strange way (18:63). Musa said: That is what we have been seeking. So they went back, retracing their tracks (18:64). He said: 'So they began retracing their tracks.'" Sufyan (one of the narrators) said: "People claim that there is a spring of life at that rock, no dying person has its water poured over him, but he becomes alive, and the fish came in contact with some of it, so when the water dropped on it he became alive." "He [the Prophet (ﷺ)] said: 'They retraced their tracks until they arrived at the rock to see a man covered in a garment. Musa greeted him, and he replied: Is there such a greeting in your land? He said: I am Musa. He said: Musa of the children of Isra'il? He said: Yes. He said: O Musa! Indeed you have some knowledge from Allah, which Allah taught you, which I have not been taught, and I have some knowledge from Allah, which Allah taught me, which you have not been taught.' So Musa said: May I follow you so that you may teach me something of the knowledge which you have been taught? (18:66) He said: Verily, you will not be able to have patience with me! And how can you have patience about a thing which you know not? He said: If Allah wills, you will find me patient, and I will not disobey you at all (18:67-69). Al-Khadir said to him: Then if you follow me, ask me not about anything until I myself mention it to you (18:70). Musa said: Yes. So Musa and Al-Khadir set off walking along the shore of the sea. A boat was passing by them, and they spoke to them (the crew) asking them to let them get on board. They recognized Al-Khadir so they let the two of them ride without charge. Al-Khadir took one of the planks (in the boat) and removed it, so Musa said to him: These people gave us a ride free of charge, yet you sabotaged their boat so that its people will drown. Indeed you have done a dreadful thing (18:71). He said: Did I not tell you that you would not be able to have patience with me? (18:72). He said call me not to account for what I forgot, and be not hard upon me for my affair (18:73). Then they exited the boat, and while they were walking upon the shore, they saw a boy playing with two other boys. So Al-Khadir took him by his head, pulling it off with his hands, and he killed him. So Musa said to him: Have you killed an innocent person who killed no one! Verily you have done a horrendous thing (18:74). He said: Did I not tell you that you would not be able to have patience with me? (18:75) - he (the narrator) said: - "This was more severe than the first one" - He said: If I ask you about anything after this, you have received an excuse from me. So they both proceeded until they came to the inhabitants of a town. They asked them for food but they refused to entertain them. There they found a wall on the verge of falling down (18:76 & 77). He (the narrator) said: - meaning leaning over - 'So Al-Khadir took his hand like this, so he set it up straight (18:77) so Musa said to him: We arrived at these people, they did not treat us as guests nor feed us. If you wished, surely you could have taken wages for it! He said: "This is the parting between you and I. I will tell you the interpretation of (those) things over which you were not able to be patient (18:77 & 78).'" The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'May Allah have mercy upon Musa! We wish that he would have had patience, so that we could have more knowledge about that two of them.' He said: 'So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The first time Musa had forgotten.' He said: 'And a sparrow came, until it perched on the edge of a boat, and pecked at the sea. So Al-Khadir said to him: My knowledge and your knowledge do not diminish anything from the knowledge of Allah, but like what this sparrow diminishes of the sea.' Sa'eed bin Jubair said: "and he would" - meaning Ibn 'Abbas - "recite: 'And there was before them a king who would take every useful boat by force (18:79).' And he would recite: 'As for the boy, he was a disbeliever (18:80).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সূরা আল-কাহফ

৩১৫০। উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ছেলেটিকে খাযির (আঃ) হত্যা করেন, সে আল্লাহ তা’আলার নির্ধারিত তাকদীর মতো (সৃষ্টির সূচনাতেই) কাফির ছিল।

সহীহঃ যিলা-লুল জান্নাত (১৯৪, ১৯৫), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَبَّاسِ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْغُلاَمُ الَّذِي قَتَلَهُ الْخَضِرُ طُبِعَ يَوْمَ طُبِعَ كَافِرًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا ابو حفص، عمرو بن علي حدثنا ابو قتيبة، سلم بن قتيبة حدثنا عبد الجبار بن العباس الهمداني، عن ابي اسحاق، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، عن ابى بن كعب، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ الغلام الذي قتله الخضر طبع يوم طبع كافرا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
that Ubayy bin Ka'b narrated that the Prophet (ﷺ) said: "The boy that Al-Khidr killed was destined to be a disbeliever the day he was created.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সূরা আল-কাহফ

৩১৫১। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ খাযিরের নাম এজন্যই খাযির (সবুজ) রাখা হয়েছে যে একদা তিনি শুকনা সাদা মাটির উপর বসলে তার নীচের মাটিতে সবুজ, শ্যামলিমার উদগম হয়।

সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّمَا سُمِّيَ الْخَضِرَ لأَنَّهُ جَلَسَ عَلَى فَرْوَةٍ بَيْضَاءَ فَاهْتَزَّتْ تَحْتَهُ خَضْرَاءَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا يحيى بن موسى، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن همام بن منبه، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انما سمي الخضر لانه جلس على فروة بيضاء فاهتزت تحته خضراء ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "He was called Al-Khadir because he sat on a barren Farwah and it turned green beneath him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সূরা আল-কাহফ

৩১৫২। আবূদ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার বাণী, “এই প্রাচীরের নীচে এই ছেলে দু’টির জন্য একটি সম্পদ রক্ষিত আছে" (সূরাঃ আল-কাহফ- ৮২)। এই আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এখানে ’কান্‌য’ অর্থ সোনা-রূপা।

অত্যন্ত দুর্বল, আর-রাওযুন নায়ীর (৯৪০)

হাসান ইবনু আলী আল-খাল্লাল-সাফওয়ান ইবনু সালিহ-ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম-ইয়াযীদ ইবনু ইউসুফ আস-সানআনী-ইয়াযীদ ইবনু জাবির-মাকহুল (রাহঃ) হতে এই সনদে উপরের হাদীসের মতই বর্ণিত হয়েছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি গারীব।

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ الْجَزَرِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يُوسُفَ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ وَكَانَ تَحْتَهُ كَنْزٌ لَهُمَا ‏)‏ قَالَ ‏"‏ ذَهَبٌ وَفِضَّةٌ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يُوسُفَ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ مَكْحُولٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا جعفر بن محمد بن فضيل الجزري، وغير، واحد، قالوا حدثنا صفوان بن صالح، حدثنا الوليد بن مسلم، عن يزيد بن يوسف الصنعاني، عن مكحول، عن ام الدرداء، عن ابي الدرداء، عن النبي صلى الله عليه وسلم في قوله ‏:‏ ‏(‏ وكان تحته كنز لهما ‏)‏ قال ‏"‏ ذهب وفضة ‏"‏ ‏.‏ حدثنا الحسن بن علي الخلال، حدثنا صفوان بن صالح، حدثنا الوليد بن مسلم، عن يزيد بن يوسف الصنعاني، عن يزيد بن يزيد بن جابر، عن مكحول، بهذا الاسناد نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏


Narrated Abu Ad-Darda:
that regarding Allah's saying: And there was under it a treasure belonging to them (18:82) - the Prophet (ﷺ) said: "Gold and silver."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সূরা আল-কাহফ

৩১৫৩। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইয়াজুয-মাজুযের) প্রাচীর প্রসঙ্গে বলেনঃ এরা প্রত্যেকদিন বাধার প্রাচীর খনন করতে থাকে। যখন তারা এটাকে চৌচির করে ভেদ করার কাছাকাছি এসে যায়, তখন তাদের সরদার বলে, ফিরে চলো, কাল সকালে এটাকে সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে ফেলব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রাচীরটিকে পূর্বের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ করে দেন। তারা প্রতিদিন এভাবে এই প্রাচীর খুঁড়তে থাকে। অবশেষে যখন তাদের বন্দীত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে এবং আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে জনবসতিতে পাঠানোর ইচ্ছা করবেন তখন ইয়াজুয-মাজু্যদের সরদার বলবে, আজ চলো। আল্লাহ তা’আলা চাইলে আগামী কাল সকালে আমরা এই দেয়াল ভেঙ্গে ফেলব। সে তার কথার সাথে ইনশাআল্লাহ বলবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারা ফিরে যাবে। গতকাল দেয়ালটিকে তারা যে অবস্থায় ছেড়ে গিয়েছিল, এবার ফিরে এসে ঠিক সেই অবস্থায়ই পাবে। এরা দেয়াল ভেদ করে জনপদে ছড়িয়ে পড়বে এবং সমস্ত পানি পান করে শেষ করে ফেলবে। মানুষজন এদের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পালিয়ে যাবে। এরা আকাশের দিকে নিজেদের তীর ছুড়বে। তাদের তীরগুলোকে রক্ত-রঞ্জিত করে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এরা বলবে, পৃথিবীর বাসিন্দাদের উপর আমরা প্রতিশোধ নিয়েছি এবং আকাশবাসীদের উপরও আধিপত্য বিস্তার করে তাদেরকে অধীনস্ত করে নিয়েছি। আল্লাহ তা’আলা এদের গলদেশে কীট সৃষ্টি করবেন। ফলে এরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সেই সত্তার শপথ, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! যমীনের কীট-পতঙ্গ ও জীব-জন্তু এদের মাংস খেয়ে খুব মোটাতাজা হবে, খুব পরিতৃপ্ত হবে এবং এগুলোর দেহে বেশ চর্বি জমবে।

সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৪০৮০)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধু উপর্যুক্ত সনদেই অনুরূপভাবে জেনেছি।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ وَاللَّفْظُ لاِبْنِ بَشَّارٍ قَالُوا حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي رَافِعٍ عَنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي السَّدِّ قَالَ ‏ "‏ يَحْفِرُونَهُ كُلَّ يَوْمٍ حَتَّى إِذَا كَادُوا يَخْرِقُونَهُ قَالَ الَّذِي عَلَيْهِمُ ارْجِعُوا فَسَتَخْرِقُونَهُ غَدًا فَيُعِيدُهُ اللَّهُ كَأَمْثَلِ مَا كَانَ حَتَّى إِذَا بَلَغَ مُدَّتَهُمْ وَأَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَبْعَثَهُمْ عَلَى النَّاسِ قَالَ الَّذِي عَلَيْهِمُ ارْجِعُوا فَسَتَخْرِقُونَهُ غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَاسْتَثْنَى ‏.‏ قَالَ فَيَرْجِعُونَ فَيَجِدُونَهُ كَهَيْئَتِهِ حِينَ تَرَكُوهُ فَيَخْرِقُونَهُ فَيَخْرُجُونَ عَلَى النَّاسِ فَيَسْتَقُونَ الْمِيَاهَ وَيَفِرُّ النَّاسُ مِنْهُمْ فَيَرْمُونَ بِسِهَامِهِمْ فِي السَّمَاءِ فَتَرْجِعُ مُخَضَّبَةً بِالدِّمَاءِ فَيَقُولُونَ قَهَرْنَا مَنْ فِي الأَرْضِ وَعَلَوْنَا مَنْ فِي السَّمَاءِ قَسْوَةً وَعُلُوًّا ‏.‏ فَيَبْعَثُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ نَغَفًا فِي أَقْفَائِهِمْ فَيَهْلِكُونَ قَالَ فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّ دَوَابَّ الأَرْضِ تَسْمَنُ وَتَبْطَرُ وَتَشْكَرُ شَكْرًا مِنْ لُحُومِهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِثْلَ هَذَا ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، وغير، واحد، - المعنى واحد واللفظ لابن بشار قالوا حدثنا هشام بن عبد الملك حدثنا ابو عوانة عن قتادة عن ابي رافع عن حديث ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم في السد قال ‏ "‏ يحفرونه كل يوم حتى اذا كادوا يخرقونه قال الذي عليهم ارجعوا فستخرقونه غدا فيعيده الله كامثل ما كان حتى اذا بلغ مدتهم واراد الله ان يبعثهم على الناس قال الذي عليهم ارجعوا فستخرقونه غدا ان شاء الله واستثنى ‏.‏ قال فيرجعون فيجدونه كهيىته حين تركوه فيخرقونه فيخرجون على الناس فيستقون المياه ويفر الناس منهم فيرمون بسهامهم في السماء فترجع مخضبة بالدماء فيقولون قهرنا من في الارض وعلونا من في السماء قسوة وعلوا ‏.‏ فيبعث الله عليهم نغفا في اقفاىهم فيهلكون قال فوالذي نفس محمد بيده ان دواب الارض تسمن وتبطر وتشكر شكرا من لحومهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب انما نعرفه من هذا الوجه مثل هذا ‏.‏


Narrated Abu Rafi':
a Hadith of Abu Hurairah, from the Prophet (ﷺ), regarding the 'barrier (18:93).' "They excavated each day, until when they are just about to penetrate it, their leader says: 'Go back so that you can penetrate it tomorrow!'" He said: "But Allah makes it return just as it was, until their appointed time, when Allah ordains to send them upon the people, and their leader says: 'Go back so you can penetrate it tomorrow, if Allah wills.' So he makes this exception." He said: "So they return, and find it just as it was when they left it. Then they penetrate it, and [they (Ya'juj & Ma'juj)] are released upon the people drinking up the water, and the people flee from them. They shoot their arrows into the heavens so they returned dyed with blood, and they say - crudely and arrogantly - 'We vanquished those in the earth, let us dominate the inhabitants of the heavens.' Then Allah sends Naghaf upon them, attaching to the nape of their necks, destroying them." He said: "By the One in Whose Hand is the soul of Muhammad! The beasts of the earth will become very fat and bloated with milk from their flesh."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ১৯. সূরা আল-কাহফ

৩১৫৪। আবূ সাঈদ ইবনু আবী ফাযালাহ্ আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা যখন কিয়ামত দিবসে, যে দিনের আগমন প্রসঙ্গে কোন সন্দেহ নেই, মানুষদেরকে একত্র করবেন, তখন একজন ঘোষক ঘোষণা করবেঃ আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশে যে ব্যক্তি কাজ করতে গিয়ে এর মধ্যে কাউকে শরীক করেছে, সে যেন গাইরুল্লাহর নিকট নিজের সাওয়াব চেয়ে নেয়। কেননা আল্লাহ তা’আলা শরীকদের শিরক হতে সম্পূর্ণ মুক্ত।

হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (৪২০৩)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা এ হাদীস শুধু মুহাম্মাদ ইবনু বাকর-এর সূত্রে জেনেছি।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ الْبُرْسَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنِ ابْنِ مِينَاءَ، عَنْ أَبِي سَعْدِ بْنِ أَبِي فَضَالَةَ الأَنْصَارِيِّ، وَكَانَ، مِنَ الصَّحَابَةِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا جَمَعَ اللَّهُ النَّاسَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ لِيَوْمٍ لاَ رَيْبَ فِيهِ نَادَى مُنَادٍ مَنْ كَانَ أَشْرَكَ فِي عَمَلٍ عَمِلَهُ لِلَّهِ أَحَدًا فَلْيَطْلُبْ ثَوَابَهُ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ أَغْنَى الشُّرَكَاءِ عَنِ الشِّرْكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، وغير، واحد، قالوا حدثنا محمد بن بكر البرساني، عن عبد الحميد بن جعفر، اخبرني ابي، عن ابن ميناء، عن ابي سعد بن ابي فضالة الانصاري، وكان، من الصحابة قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ اذا جمع الله الناس ليوم القيامة ليوم لا ريب فيه نادى مناد من كان اشرك في عمل عمله لله احدا فليطلب ثوابه من عند غير الله فان الله اغنى الشركاء عن الشرك ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث محمد بن بكر ‏.‏



Narrated 'Abdul-Hamid bin Ja'far:
"My father informed me, from Ibn Mina, from ABu Sa'eed bin Abi Fadalah Al-Ansari - and he was one of the Companions - who said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When Allah gathers the people on the Day of Judgement - a Day in which there is no doubt in - a caller will call out: 'Whoever committed Shirk in any of his deeds he did for Allah - then let him seek his reward from other than Allah. For indeed Allah is the most free of the partners from any need of Shirk."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে