পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরা মারইয়াম

৩১৫৫। মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নাজরান নামক জায়গায় পাঠালেন। সে অঞ্চলের (খৃষ্টান) অধিবাসীরা আমাকে বললো, তোমরা কি পাঠ কর নাঃ "হে হারূনের বোন"- (সূরা মারইয়াম ২৮)? অথচ মূসা ও ঈসা (আঃ)-এর মাঝখানে সময়ের যে ব্যবধান ছিল তাতো জানা কথা। তাদের এ প্রশ্নের কি জবাব যে আমি দিতে পারি তা আমি বুঝতে পারিনি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ফিরে এসে তাকে এ বিষয়ে জানালাম। তিনি বললেনঃ তুমি তাদেরকে এতটুকুও কি জানাতে পারলে না যে, তারা (বনী ইসরাঈল) নিজেদের নাম রাখতো তাদের পূর্ববর্তী নবী-রাসূল ও মহান ব্যক্তিদের নামানুসারে।

হাসানঃ মুখতাসার তুহফাতুল ওয়াদুদ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। আমরা এ হাদীস শুধু ইবনু ইদরীসের সূত্রেই জেনেছি।

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، وَأَبُو مُوسَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى نَجْرَانَ فَقَالُوا لِي أَلَسْتُمْ تَقْرَءُونَ ‏:‏ ‏(‏ يَا أُخْتَ هَارُونَ ‏)‏ وَقَدْ كَانَ بَيْنَ عِيسَى وَمُوسَى مَا كَانَ فَلَمْ أَدْرِ مَا أُجِيبُهُمْ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ أَلاَّ أَخْبَرْتَهُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُسَمُّونَ بِأَنْبِيَائِهِمْ وَالصَّالِحِينَ قَبْلَهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِدْرِيسَ ‏.‏

حدثنا ابو سعيد الاشج، وابو موسى محمد بن المثنى قالا حدثنا ابن ادريس، عن ابيه، عن سماك بن حرب، عن علقمة بن واىل، عن المغيرة بن شعبة، قال بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم الى نجران فقالوا لي الستم تقرءون ‏:‏ ‏(‏ يا اخت هارون ‏)‏ وقد كان بين عيسى وموسى ما كان فلم ادر ما اجيبهم ‏.‏ فرجعت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فاخبرته فقال ‏"‏ الا اخبرتهم انهم كانوا يسمون بانبياىهم والصالحين قبلهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب لا نعرفه الا من حديث ابن ادريس ‏.‏


Narrated Al-Mughirah bin Shu'bah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) sent me to Najran. They said to me: 'Do you people not recite: O sister of Harun (19:28) - while between Musa and 'Eisa there is such (gap) as there is?' I did not know how to respond to them. So when I returned to the Prophet (ﷺ), I told him about that, and he said: 'Why didn't you tell them that they were named after their Prophets and righteous people before them.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরা মারইয়াম

৩১৫৬। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করলেনঃ “তাদেরকে সেদিনের ভয় দেখাও, যেদিন চূড়ান্ত ফায়সালা করা হবে এবং পরিতাপ করা ব্যতীত আর কোন বিকল্প থাকবে না”— (সূরা মারইয়াম ৩৯)। তিনি বললেনঃ (কিয়ামতের দিন লোকদের সামনে) মৃত্যুকে হাযির করা হবে, যেন তা সাদা ও কালো মিশ্রিত বর্ণের একটি মেষ। এটাকে জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝের প্রাচীরের সাথে দাড় করিয়ে বলা হবে, হে জান্নাতের অধিবাসীগণ, শোন। তারা মাথা তুলবে। তারপর বলা হবে, হে জাহান্নামের বাসিন্দারা, শোন। তারাও মাথা তুলবে। তারপর বলা হবে, তোমরা কি এটাকে চিনতে পেরেছ? তারা বলবে, হ্যাঁ, এটা মৃত্যু। তারপর এটাকে শুইয়ে যবেহ করা হবে। আল্লাহ তা’আলা যদি জান্নাতবাসীদের সেখানে চিরস্থায়ী জীবনের মীমাংসা না করতেন, তাহলে তারা (এ দৃশ্য দেখে) আনন্দের আতিশয্যে মারা যেত। আল্লাহ তা’আলা যদি জাহান্নামীদের সেখানে চিরস্থায়ী জীবনের মীমাংসা না করতেন, তাহলে তারাও (এ দৃশ্য দেখে) অনুশোচনা ও অনুতাপ করতে করতে মারা যেত।

“আল্লাহ তা’আলা যদি জান্নাতীদের সেখানে চিরস্থায়ী জীবনের ফায়সালা না করতেন..." অংশ ব্যতীত হাদীসটি সহীহ। বুখারী, মুসলিম, দেখুন ২৫৫৮ নং হাদীস।

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَبُو الْمُغِيرَةِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رضى الله عنه قَالَ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلمَ ‏:‏ ‏(‏ وَأَنْذِرْهُمْ يَوْمَ الْحَسْرَةِ ‏)‏ قَالَ ‏"‏ يُؤْتَى بِالْمَوْتِ كَأَنَّهُ كَبْشٌ أَمْلَحُ حَتَّى يُوقَفَ عَلَى السُّورِ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ فَيُقَالُ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ ‏.‏ فَيَشْرَئِبُّونَ ‏.‏ وَيُقَالُ يَا أَهْلَ النَّارِ ‏.‏ فَيَشْرَئِبُّونَ ‏.‏ فَيُقَالُ هَلْ تَعْرِفُونَ هَذَا فَيَقُولُونَ نَعَمْ هَذَا الْمَوْتُ ‏.‏ فَيُضْجَعُ فَيُذْبَحُ فَلَوْلاَ أَنَّ اللَّهَ قَضَى لأَهْلِ الْجَنَّةِ الْحَيَاةَ فِيهَا وَالْبَقَاءَ لَمَاتُوا فَرَحًا وَلَوْلاَ أَنَّ اللَّهَ قَضَى لأَهْلِ النَّارِ الْحَيَاةَ فِيهَا وَالْبَقَاءَ لَمَاتُوا تَرَحًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا النضر بن اسماعيل ابو المغيرة، عن الاعمش، عن ابي صالح، عن ابي سعيد الخدري، رضى الله عنه قال قرا رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏(‏ وانذرهم يوم الحسرة ‏)‏ قال ‏"‏ يوتى بالموت كانه كبش املح حتى يوقف على السور بين الجنة والنار فيقال يا اهل الجنة ‏.‏ فيشرىبون ‏.‏ ويقال يا اهل النار ‏.‏ فيشرىبون ‏.‏ فيقال هل تعرفون هذا فيقولون نعم هذا الموت ‏.‏ فيضجع فيذبح فلولا ان الله قضى لاهل الجنة الحياة فيها والبقاء لماتوا فرحا ولولا ان الله قضى لاهل النار الحياة فيها والبقاء لماتوا ترحا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed Al-Khudri:
"The Messenger of Allah (ﷺ) recited: And warn them of a Day of griefs and regrets (19:39) and he said: 'Death will be brought as if it is a mixed black and white ram, until it is halted upon the barrier between Paradise and the Fire. It will be said: 'O people of Paradise! They will raise up their necks to look. It will be said: 'O people of the Fire! And they will raise up their necks to look. It will be said: 'Do you recognize this?' They will say: 'Yes. This is death.' Then it will be laid down and slaughtered. If it were not that Allah had decreed that the inhabitants of Paradise would remain, then they would die of joy, and if it were not that Allah had decreed that the inhabitants of the Fire would remain, then they would die of grief.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরা মারইয়াম

৩১৫৭। কাতাদাহ্ (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “আর আমরা তাকে উচ্চতর স্থানে উন্নীত করেছি"- (সূরা মারইয়াম ৫৭) প্রসঙ্গে তিনি (কাতাদাহ) বলেন, আমাদের নিকট আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে যখন মি’রাজে নিয়ে যাওয়া হয় আমি তখন ইদরীস (আঃ)-কে চতুর্থ আসমানে দেখেছি।

সহীহঃ মুসলিম (১/১০০), দীর্ঘ বর্ণনা।

আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সাঈদ ইবনু আবী আরূবা-হাম্মাম প্রমুখ-কাতাদাহ হতে, তিনি আনাস হতে, তিনি মালিক ইবনু সাসা’আহ (রাযিঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মিরাজের হাদীসটি দীর্ঘ আকারে বর্ণনা করেছেন। আমার মতে এটি তারই সংক্ষিপ্তরূপ।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، فِي قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ورَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا ‏)‏ قَالَ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لَمَّا عُرِجَ بِي رَأَيْتُ إِدْرِيسَ فِي السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ وَهَمَّامٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدِيثَ الْمِعْرَاجِ بِطُولِهِ وَهَذَا عِنْدَنَا مُخْتَصَرٌ مِنْ ذَاكَ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا الحسين بن محمد، حدثنا شيبان، عن قتادة، في قوله ‏:‏ ‏(‏ورفعناه مكانا عليا ‏)‏ قال حدثنا انس بن مالك، ان نبي الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لما عرج بي رايت ادريس في السماء الرابعة ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي سعيد عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال وهذا حديث حسن صحيح وقد رواه سعيد بن ابي عروبة وهمام وغير واحد عن قتادة عن انس عن مالك بن صعصعة عن النبي صلى الله عليه وسلم حديث المعراج بطوله وهذا عندنا مختصر من ذاك ‏.‏


Narrated Shaiban:
from Qatadah, that regarding Allah's saying: And we raised him to a high station (19:57). He said: "Anas bin Malik narrated that Allah's Prophet (ﷺ) said: "When I was brought up, I saw Idris in the Fourth Heaven."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরা মারইয়াম

৩১৫৮। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, জিবরীল (আঃ)-কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আপনি যে কতবার আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন তার চেয়ে বেশি সাক্ষাৎ করতে কিসে আপনাকে বাধা দেয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “আপনার রবের নির্দেশ ব্যতীত আমরা অবতীর্ণ হই না। আমাদের যা কিছু সম্মুখে আছে, আমাদের পিছনে যা কিছু আছে এবং এ দুয়ের মাঝখানে যা কিছু আছে, সে সবের প্রভু তিনিই। আপনার প্রতিপালক কখনো ভুলে যান না”— (সূরা মারইয়াম ৬৪)।

সহীহঃ বুখারী (৪৭৩১)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। হুসাইন ইবনু হুরাইস ওয়াকী হতে তিনি আমর ইবনু যার হতে এই সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْلَى بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِجِبْرِيلَ ‏"‏ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَزُورَنَا أَكْثَرَ مِمَّا تَزُورُنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏:‏ ‏(‏ومَا نَتَنَزَّلُ إِلاَّ بِأَمْرِ رَبِّكَ ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ، نَحْوَهُ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا يعلى بن عبيد، حدثنا عمر بن ذر، عن ابيه، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لجبريل ‏"‏ ما يمنعك ان تزورنا اكثر مما تزورنا ‏"‏ ‏.‏ قال فنزلت هذه الاية ‏:‏ ‏(‏وما نتنزل الا بامر ربك ‏)‏ الى اخر الاية ‏.‏ قال هذا حديث حسن غريب ‏.‏ حدثنا الحسين بن حريث، حدثنا وكيع، عن عمر بن ذر، نحوه ‏.‏


Narrated Sa'eed bin Jubair:
from Ibn 'Abbas who said: "The Messenger of Allah (ﷺ) said to Jibra'il: 'What prevents you from visiting us more than you visit us?'" He said: "So this Ayah was revealed: And we descend not except by the command of your Lord. To Him belongs what is before us and what is behind us." Up to the end of the Ayah (19:64).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরা মারইয়াম

৩১৫৯। সুদ্দী (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, মুররা আল-হামদানীকে আমি প্রশ্ন করলাম, আল্লাহ তা’আলার এ বাণী প্রসঙ্গেঃ “তোমাদের মাঝে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে জাহান্নামের উপর দিয়ে অতিক্রম করবে না”— (সূরা মারইয়াম ৭১)। তিনি আমাকে হাদীস বর্ণনা করে শুনান যে, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) তাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আগুনের উপর দিয়ে লোকজন অতিক্রম করবে এবং যার যার কৃতকর্ম মোতাবেক তা অতিক্রম করতে থাকবে। বিজলি চমকানোর মতো তাদের প্রথম দল দ্রুত অতিক্রম করে যাবে। পরবর্তী দলটি বাতাসের বেগে, তারপর দ্রুতগামী ঘোড়ার বেগে, তারপর উস্ট্রারোহীর বেগে, তারপর মানুষের দৌড়ের গতিতে, তারপর হেটে চলার গতিতে অতিক্রম করবে।

সহীহঃ সহীহাহ (৩১১)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীস সুদ্দীর সূত্রে শুবাহ (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, কিন্তু এটাকে তিনি মারফুরূপে বর্ণনা করেননি।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنِ السُّدِّيِّ، قَالَ سَأَلْتُ مُرَّةَ الْهَمْدَانِيَّ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ ‏:‏ ‏(‏ وإِنْ مِنْكُمْ إِلاَّ وَارِدُهَا ‏)‏ فَحَدَّثَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ حَدَّثَهُمْ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَرِدُ النَّاسُ النَّارَ ثُمَّ يَصْدُرُونَ مِنْهَا بِأَعْمَالِهِمْ فَأَوَّلُهُمْ كَلَمْحِ الْبَرْقِ ثُمَّ كَالرِّيحِ ثُمَّ كَحُضْرِ الْفَرَسِ ثُمَّ كَالرَّاكِبِ فِي رَحْلِهِ ثُمَّ كَشَدِّ الرَّجُلِ ثُمَّ كَمَشْيِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنِ السُّدِّيِّ فَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا عبيد الله بن موسى، عن اسراىيل، عن السدي، قال سالت مرة الهمداني عن قول الله، عز وجل ‏:‏ ‏(‏ وان منكم الا واردها ‏)‏ فحدثني ان عبد الله بن مسعود حدثهم قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يرد الناس النار ثم يصدرون منها باعمالهم فاولهم كلمح البرق ثم كالريح ثم كحضر الفرس ثم كالراكب في رحله ثم كشد الرجل ثم كمشيه ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن ‏.‏ ورواه شعبة عن السدي فلم يرفعه ‏.‏


Narrated As-Suddi:
"I asked Murrah Al-Hamdani about the saying of Allah, Mighty and Sublime is He: There is not one of you but will pass over it (19:71). So he narrated to me that 'Abdullah bin Mas'ud narrated to him saying: 'The Messenger of Allah (ﷺ) said: "The people will pass over the Fire, then they avert it based upon their deeds. The first of them (would pass over it) like a flash of lightening, then like the wind, then like a fleeing horse, then like a rider fleeing on a mount, then like a man fleeing, then like one walking."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুদ্দী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরা মারইয়াম

৩১৬০। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তোমাদের সকলকেই তার উপর দিয়ে পার হতে হবে”— (সূরা মারইয়াম ৭১) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লোকেরা কিয়ামত দিবসে তার (পুলসিরাত) উপর দিয়ে পার হবে। তারা এটা পার হবে নিজ নিজ কৃতকর্ম মোতাবেক (বিভিন্ন গতিবেগে)।

সহীহঃ মাওকুফ তবে মারফু এর মতই তার হুকুম।

মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-আবদুর রহমান ইবনু মাহদী হতে, তিনি শুবাহ হতে, তিনি সুদ্দী (রহঃ) হতে উপরের হাদীসের মতো বর্ণনা করেছেন। ’আবদুর রহমান বলেন, আমি শুবাহকে বললাম, উল্লিখিত হাদীসটি ইসরাঈল আমাকে সুদ্দীর সুত্রে, তিনি মুররার সুত্রে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ)-এর সূত্রে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। শু’বাহ (রহঃ) বলেন, আমি এ হাদীস সুদ্দীর নিকট মারফুভাবেই শুনেছি। কিন্তু আমি ইচ্ছাকৃতভাবেই (মারফু হিসেবে বর্ণনা করা) ত্যাগ করেছি।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍِ ‏:‏ ‏(‏وإنْ مِنْكُمْ إِلاَّ وَارِدُهَا ‏)‏ قَالَ يَرِدُونَهَا ثُمَّ يَصْدُرُونَ بِأَعْمَالِهِمْ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ السُّدِّيِّ، بِمِثْلِهِ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ قُلْتُ لِشُعْبَةَ إِنَّ إِسْرَائِيلَ حَدَّثَنِي عَنِ السُّدِّيِّ عَنْ مُرَّةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ سَمِعْتُهُ مِنَ السُّدِّيِّ مَرْفُوعًا وَلَكِنِّي عَمْدًا أَدَعُهُ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، حدثنا شعبة، عن السدي، عن مرة، عن عبد الله بن مسعود ‏:‏ ‏(‏وان منكم الا واردها ‏)‏ قال يردونها ثم يصدرون باعمالهم ‏.‏ حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، عن شعبة، عن السدي، بمثله ‏.‏ قال عبد الرحمن قلت لشعبة ان اسراىيل حدثني عن السدي عن مرة عن عبد الله عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال شعبة وقد سمعته من السدي مرفوعا ولكني عمدا ادعه ‏.‏


Narrated Shu'bah:
from As-Suffi from Murrah: "'Abdullah said: 'There is not one of you but will pass over it (19:71) - They pass over it, then they avert it based upon their deeds.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরা মারইয়াম

৩১৬১। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দাকে যখন আল্লাহ তা’আলা ভালবাসেন তখন জিবরীলকে ডেকে বলেনঃ আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালবাসি। অতএব তুমিও তাকে ভালবাস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আসমানবাসীদের মধ্যে জিবরীল তখন (এ কথা) ঘোষণা করেন। তারপর যমীনবাসীদের অন্তরে তার জন্য ভালবাসা অবতীর্ণ হয়। এটাই আল্লাহ তা’আলার বাণীর মধ্যে ফুটে উঠেছেঃ “যারা ঈমান আনয়ন করেছে এবং উত্তম কার্য সম্পাদন করেছে খুব শীঘ্রই দয়াময় রহমান (লোকদের অন্তরে তাদের প্রতি) ভালবাসার উদ্রেক করবেন"- (সূরা মারইয়াম ৯৬)। অপর দিকে যখন আল্লাহ তা’আলা কাউকে ঘৃণা করেন তখন জিবরীলকে ডেকে বলেনঃ আমি অমুককে ঘৃণা করি। জিবরীল তখন আসমানবাসীদের মধ্যে এটা ঘোষণা করেন। তারপর যমীনের অধিবাসীদের মনে তার জন্য ঘৃণা অবতীর্ণ হতে থাকে।

সহীহঃ যঈফাহ (২২০৭) নং হাদীসের অধীনে।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রাহঃ) তার বাবা হতে, তিনি আবূ সালিহ হতে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا أَحَبَّ اللَّهُ عَبْدًا نَادَى جِبْرِيلَ إِنِّي قَدْ أَحْبَبْتُ فُلاَنًا فَأَحِبَّهُ قَالَ فَيُنَادِي فِي السَّمَاءِ ثُمَّ تَنْزِلُ لَهُ الْمَحَبَّةُ فِي أَهْلِ الأَرْضِ فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ ‏:‏ ‏(‏ إنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَيَجْعَلُ لَهُمُ الرَّحْمَنُ وُدًّا ‏)‏ وَإِذَا أَبْغَضَ اللَّهُ عَبْدًا نَادَى جِبْرِيلَ إِنِّي قَدْ أَبْغَضْتُ فُلاَنًا فَيُنَادِي فِي السَّمَاءِ ثُمَّ تَنْزِلُ لَهُ الْبَغْضَاءُ فِي الأَرْضِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن سهيل بن ابي صالح، عن ابيه، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اذا احب الله عبدا نادى جبريل اني قد احببت فلانا فاحبه قال فينادي في السماء ثم تنزل له المحبة في اهل الارض فذلك قول الله ‏:‏ ‏(‏ ان الذين امنوا وعملوا الصالحات سيجعل لهم الرحمن ودا ‏)‏ واذا ابغض الله عبدا نادى جبريل اني قد ابغضت فلانا فينادي في السماء ثم تنزل له البغضاء في الارض ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روى عبد الرحمن بن عبد الله بن دينار عن ابيه عن ابي صالح عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When Allah loves a slave He calls Jibra'il, (saying): 'Indeed I love so-and-so, so love him.'" He said: "So he calls out in the heavens. Then love for him descends among the people of the earth. That is as in the saying of Allah: Verily, those who believe and work deeds of righteousness, the Most Gracious will grant love for them (19:96). And when Allah hates a slave He calls out to Jibra'il, (saying): 'Indeed I hate so-and-so.' So he calls out in the heavens. Then hatred for him descends upon the earth.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২০. সূরা মারইয়াম

৩১৬২। মাসরুক (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, খাব্বাব ইবনুল আরাত্তি (রাযিঃ)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ আমার একটি স্বত্ব আস ইবনু ওয়ায়িল আস-সাহমীর যিম্মায় ছিল। এ ব্যাপারে তাগাদা দেয়ার উদ্দেশে আমি তার নিকট আসলাম। সে বলল, যে পর্যন্ত তুমি মুহাম্মাদের নবুওয়াত অস্বীকার না করবে, সে পর্যন্ত আমি তোমার স্বত্ব ফিরিয়ে দিব না। আমি বললাম, তুমি মৃত্যুর পর কিয়ামত দিবসে আবার জীবিত হয়ে না উঠা পর্যন্ত তা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সে বলল, আমি মৃত্যুবরণ করব এবং আবার জীবিত হব? আমি বললাম, হ্যাঁ। সে বলল, তাহলে আমার ধন-সম্পদ ও, সন্তান-সন্ততিও সেখানে থাকবে আর সেখানে তোমার পাওনাটা ফিরিয়ে দিব। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়ঃ “তুমি কি সেই লোককে দেখেছ, যে আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করেছে এবং সে বলেছে, আমাকে তো ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে ধন্য করা হবে”— (সূরা মারইয়াম ৭৭)।

সহীহঃ বুখারী (৪৭৩২), মুসলিম।

হান্নাদ-আবূ মু’আবিয়াহ হতে, তিনি আ’মাশ (রহঃ) হতে উপরের হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَمِعْتُ خَبَّابَ بْنَ الأَرَتِّ، يَقُولُ جِئْتُ الْعَاصِيَ بْنَ وَائِلٍ السَّهْمِيَّ أَتَقَاضَاهُ حَقًّا لِي عِنْدَهُ فَقَالَ لاَ أُعْطِيكَ حَتَّى تَكْفُرَ بِمُحَمَّدٍ ‏.‏ فَقُلْتُ لاَ حَتَّى تَمُوتَ ثُمَّ تُبْعَثَ ‏.‏ قَالَ وَإِنِّي لَمَيِّتٌ ثُمَّ مَبْعُوثٌ فَقُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ إِنَّ لِي هُنَاكَ مَالاً وَوَلَدًا فَأَقْضِيكَ ‏.‏ فَنَزَلَتْ ‏:‏ ‏(‏ أَرَأَيْتَ الَّذِي كَفَرَ بِآيَاتِنَا وَقَالَ لأُوتَيَنَّ مَالاً وَوَلَدًا ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن الاعمش، عن ابي الضحى، عن مسروق، قال سمعت خباب بن الارت، يقول جىت العاصي بن واىل السهمي اتقاضاه حقا لي عنده فقال لا اعطيك حتى تكفر بمحمد ‏.‏ فقلت لا حتى تموت ثم تبعث ‏.‏ قال واني لميت ثم مبعوث فقلت نعم ‏.‏ فقال ان لي هناك مالا وولدا فاقضيك ‏.‏ فنزلت ‏:‏ ‏(‏ ارايت الذي كفر باياتنا وقال لاوتين مالا وولدا ‏)‏ الاية ‏.‏ حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، نحوه ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Masruq:
"I heard Khabbab bin Al-Aratt saying: 'I came to Al-'As bin Wa'il As-Sahmi to collect a debt he owed me. He said: 'You shall not be given anything until you deny Muhammad.' So I said: 'No, not until you are dead and resurrected.' He said: 'After I die and I am resurrected?' So I said: 'Yes.' So he said: 'I shall indeed have wealth and offspring to repay you with.' So (the following) Ayah was revealed: Have you seen him who disbelieved in Our Ayat and said: I shall certainly be given wealth and children (19:77).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে