পরিচ্ছেদঃ ২১. সূরা ত্ব-হা

৩১৬৩। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যখন খাইবার যুদ্ধ হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে আসছিলেন এবং রাতে চলতে চলতে তার খুব ঘুম পেল, তখন তিনি তার উট বসিয়ে তা হতে নেমে পড়লেন, তারপর বললেনঃ হে বিলাল! আজ রাতে তুমি আমাদের পাহারা দাও। বর্ণনাকারী বলেন, বিলাল (রাযিঃ) নামায আদায় করলেন, তারপর সূর্যোদয়ের দিকে মুখ ফিরিয়ে হাওদার সাথে হেলান দিয়ে বসে রইলেন। তার চোখ ঘুমের তীব্রতায় বন্ধ হয়ে গেল। কেউই সকাল বেলা ঘুম হতে উঠতে পারলেন না।

সর্বপ্রথম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগ্রত হলেন। তিনি ডাকলেনঃ হে বিলাল! বিলাল (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার বাবা আপনার জন্য কুরবান হোক। আপনার জীবন যিনি নিয়েছিলেন, আমার জীবনও তিনিই নিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ উটের পিঠে হাওদা বাধো এবং দ্রুত সফর কর। তারপর তিনি আরেক স্থানে পৌছে উট বসালেন এবং উযূ করলেন। নামাযের উদ্দেশে ইকামাত বলা হল। তিনি যেভাবে ওয়াক্তিয়া নামাযগুলো পড়েন, ঠিক সেভাবে ধীরে সুস্থে এই (কাযা) নামায পড়লেন। তারপর তিনি আয়াত পাঠ করলেনঃ “আমার স্মরণে নামায কায়িম কর” (সূরা ত্ব-হা- ১৪)।

সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (৪৬১, ৪৬৩), ইরওয়া (২৬৩), মুসলিম অনুরূপ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসের সনদ সুরক্ষিত নয়। একাধিক হাফিয যুহরীর সূত্রে এবং তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম উল্লেখ করে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তারা নিজ নিজ সনদে আবূ হুরাইরাহর উল্লেখ করেননি। তাছাড়া হাদীস শাস্ত্রে সালিহ ইবনু আবী আখযার দুর্বল। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান প্রমুখ তাকে স্মরণ শক্তির দিক হতে দুর্বল বলেছেন।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، أَخْبَرَنَا صَالِحُ بْنُ أَبِي الأَخْضَرِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا قَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ خَيْبَرَ أَسْرَى لَيْلَةً حَتَّى أَدْرَكَهُ الْكَرَى أَنَاخَ فَعَرَّسَ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا بِلاَلُ اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَصَلَّى بِلاَلٌ ثُمَّ تَسَانَدَ إِلَى رَاحِلَتِهِ مُسْتَقْبَلَ الْفَجْرِ فَغَلَبَتْهُ عَيْنَاهُ فَنَامَ فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ أَحَدٌ مِنْهُمْ وَكَانَ أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَىْ بِلاَلُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ بِلاَلٌ بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقْتَادُوا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ أَنَاخَ فَتَوَضَّأَ فَأَقَامَ الصَّلاَةَ ثُمَّ صَلَّى مِثْلَ صَلاَتِهِ لِلْوَقْتِ فِي تَمَكُّثٍ ثُمَّ قَالَ ‏:‏ ‏(‏وأقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي ‏)‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَيْرُ مَحْفُوظٍ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَصَالِحُ بْنُ أَبِي الأَخْضَرِ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَغَيْرُهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا النضر بن شميل، اخبرنا صالح بن ابي الاخضر، عن الزهري، عن سعيد بن المسيب، عن ابي هريرة، قال لما قفل رسول الله صلى الله عليه وسلم من خيبر اسرى ليلة حتى ادركه الكرى اناخ فعرس ثم قال ‏"‏ يا بلال اكلا لنا الليلة ‏"‏ ‏.‏ قال فصلى بلال ثم تساند الى راحلته مستقبل الفجر فغلبته عيناه فنام فلم يستيقظ احد منهم وكان اولهم استيقاظا النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فقال ‏"‏ اى بلال ‏"‏ ‏.‏ فقال بلال بابي انت يا رسول الله اخذ بنفسي الذي اخذ بنفسك ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقتادوا ‏"‏ ‏.‏ ثم اناخ فتوضا فاقام الصلاة ثم صلى مثل صلاته للوقت في تمكث ثم قال ‏:‏ ‏(‏واقم الصلاة لذكري ‏)‏ ‏.‏ قال هذا حديث غير محفوظ رواه غير واحد من الحفاظ عن الزهري عن سعيد بن المسيب ان النبي صلى الله عليه وسلم ولم يذكروا فيه عن ابي هريرة ‏.‏ وصالح بن ابي الاخضر يضعف في الحديث ضعفه يحيى بن سعيد القطان وغيره من قبل حفظه ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
"While the Messenger of Allah (ﷺ) was returning from Khaibar he traveled during the night until he became sleepy and he sat down to rest. Then he said: 'O Bilal! Stand guard for us for the night.'" He said: 'So Bilal performed Salat, then he leaned against his mount facing the direction of (dawn awaiting) Fajr. His eyes overcame him until he slept, and not one of them awoke. The first of them to awaken was the Prophet (ﷺ) who said: 'O Bilal!' Bilal said: 'May my father be ransomed for you O Messenger of Allah! I was overtaken just as you were overtaken.' So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Move out!' Then he kneeled to perform Wudu and to announce the standing for the Salat, then he performed Salat the same as he would when not traveling. Then he said: 'And establish the Salat for My rememberance (20:14).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২১. সূরা ত্ব-হা

৩১৬৪। আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ওয়াইল হচ্ছে জাহান্নামের একটি ময়দানের নাম। এটা এতই গভীর যে, এর তলদেশে পৌছা পর্যন্ত কাফির ব্যক্তি চল্লিশ বছর ধরে নীচের দিকে পড়তে থাকবে।

যঈফ, তা’লীকুর রাগীব (৪/২২৯)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধু ইবনু লাহীআর সূত্রেই এটি মারফু হিসেবে জেনেছি।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى الأَشْيَبُ، بَغْدَادِيٌّ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْوَيْلُ وَادٍ فِي جَهَنَّمَ يَهْوِي فِيهِ الْكَافِرُ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا قَبْلَ أَنْ يَبْلُغَ قَعْرَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا الحسن بن موسى الاشيب، بغدادي حدثنا ابن لهيعة، عن دراج، عن ابي الهيثم، عن ابي سعيد، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ الويل واد في جهنم يهوي فيه الكافر اربعين خريفا قبل ان يبلغ قعره ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه مرفوعا الا من حديث ابن لهيعة ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed:
that the Prophet (ﷺ) said: "Woe is the valley of Jahannam, the disbeliever shall drop into it for forty autumns before he reaches its bottom."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে