পরিচ্ছেদঃ ২২. সূরা আল-আম্বিয়া

৩১৬৫। আয়িশাহ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মুখে বসে এক লোক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার কয়েকটি গোলাম আছে। আমার নিকট এরা মিথ্যা কথা বলে, আমার সম্পদে ক্ষতিসাধন (খিয়ানাত) করে এবং আমার অবাধ্যতা করে। এ কারণে তাদেরকে আমি বকাবকি ও মারধর করি। তাদের সাথে এমন ব্যবহারে আমার অবস্থা কি হবে? তিনি বললেনঃ তারা যে তোমার সাথে খিয়ানাত করে, তোমার অবাধ্যতা করে এবং তোমার নিকট মিথ্যা বলে, আর এ কারণে তাদের সাথে তুমি যেমন আচরণ কর- এ সবেরই হিসাব-নিকাশ হবে। যদি তোমার দেয়া শাস্তি তাদের অপরাধের সমান হয় তবে ঠিক আছে। তোমারও কোন অসুবিধা হবে না তাদেরও কোন অসুবিধা হবে না। যদি তোমার দেয়া শাস্তি তাদের অপরাধের তুলনায় কম হয় তাহলে তোমার জন্য অতিরিক্ত (সাওয়াব) রয়ে গেল। তোমার প্রদত্ত শাস্তি যদি তাদের অপরাধের তুলনায় বেশি হয়, তাহলে অতিরিক্ত অংশের জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে।

বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে লোকটি চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে আলাদা হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তা’আলার কিতাবে তুমি কি এ কথা পড় না (অনুবাদ) “আমরা কিয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের দাড়িপাল্লা স্থাপন করব। সুতরাং কোন লোকের উপর কোন যুলম করা হবে না। কারো বিন্দু পরিমাণও কিছু কৃতকর্ম থাকলে আমরা তাও হাযির করব। আর হিসাব সম্পন্ন করার জন্য আমরাই যথেষ্ট”— (সূরা আম্বিয়া ৪৭)। লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহর কসম! তাদের মাঝে এবং আমার মাঝে বিচ্ছিন্নতা ছাড়া আমার ও তাদের কল্যাণের আর কোন পথ দেখছি না। আপনাকে আমি সাক্ষী রেখে বলছি, তাদের সবাই এখন হতে মুক্ত।

সনদ সহীহ।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আবদুর রহমান ইবনু গাযওয়ানের সূত্রেই শুধুমাত্র আমরা এ হাদীস জেনেছি। ইমাম আহমাদও এ হাদীস আবদুর রহমান ইবনু গাযওয়ানের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، - بَغْدَادِيٌّ - وَالْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ الأَعْرَجُ بَغْدَادِيٌّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ أَبُو نُوحٍ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلاً، قَعَدَ بَيْنَ يَدَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَمْلُوكَيْنِ يُكْذِبُونَنِي وَيَخُونُونَنِي وَيَعْصُونَنِي وَأَشْتُمُهُمْ وَأَضْرِبُهُمْ فَكَيْفَ أَنَا مِنْهُمْ قَالَ ‏"‏ يُحْسَبُ مَا خَانُوكَ وَعَصَوْكَ وَكَذَبُوكَ وَعِقَابُكَ إِيَّاهُمْ فَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ بِقَدْرِ ذُنُوبِهِمْ كَانَ كَفَافًا لاَ لَكَ وَلاَ عَلَيْكَ وَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ دُونَ ذُنُوبِهِمْ كَانَ فَضْلاً لَكَ وَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ فَوْقَ ذُنُوبِهِمُ اقْتُصَّ لَهُمْ مِنْكَ الْفَضْلُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَتَنَحَّى الرَّجُلُ فَجَعَلَ يَبْكِي وَيَهْتِفُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَمَا تَقْرَأُ كِتَابَ اللَّهِ ‏:‏ ‏(‏ ونَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلاَ تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَجِدُ لِي وَلِهَؤُلاَءِ شَيْئًا خَيْرًا مِنْ مُفَارَقَتِهِمْ أُشْهِدُكُمْ أَنَّهُمْ أَحْرَارٌ كُلَّهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَزْوَانَ وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَزْوَانَ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏

حدثنا مجاهد بن موسى، - بغدادي - والفضل بن سهل الاعرج بغدادي وغير واحد قالوا حدثنا عبد الرحمن بن غزوان ابو نوح، حدثنا ليث بن سعد، عن مالك بن انس، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، ان رجلا، قعد بين يدى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا رسول الله ان لي مملوكين يكذبونني ويخونونني ويعصونني واشتمهم واضربهم فكيف انا منهم قال ‏"‏ يحسب ما خانوك وعصوك وكذبوك وعقابك اياهم فان كان عقابك اياهم بقدر ذنوبهم كان كفافا لا لك ولا عليك وان كان عقابك اياهم دون ذنوبهم كان فضلا لك وان كان عقابك اياهم فوق ذنوبهم اقتص لهم منك الفضل ‏"‏ ‏.‏ قال فتنحى الرجل فجعل يبكي ويهتف فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اما تقرا كتاب الله ‏:‏ ‏(‏ ونضع الموازين القسط ليوم القيامة فلا تظلم نفس شيىا وان كان مثقال ‏)‏ الاية ‏.‏ فقال الرجل والله يا رسول الله ما اجد لي ولهولاء شيىا خيرا من مفارقتهم اشهدكم انهم احرار كلهم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب لا نعرفه الا من حديث عبد الرحمن بن غزوان وقد روى احمد بن حنبل عن عبد الرحمن بن غزوان هذا الحديث ‏.‏


Narrated 'Aishah:
that a man came and sat in front of the Messenger of Allah (ﷺ) and said: "O Messenger of Allah! I have two slaves who lie to me, deceive me, and disobey me, and I scold them and hit them. So what is my case because of them?" He said: "The extent to which they betrayed you, disobeyed you and lied to you will be measured against how much you punish them. If your punishing them is equal to their sins, then the two will be the same, nothing for you and nothing against you. If your punishing them is above their sin, some of your rewards will be taken from you and given to them." So the man left, and began weeping and crying aloud. The Messenger of Allah (ﷺ) said: "You should read what Allah said in His Book: 'And We shall set up the Balances of justice on the Day of Resurrection, then none will be dealt with unjustly in anything...' to the rest of the Ayah (21:47). So the man said: "By Allah, O Messenger of Allah! I see nothing better for myself, than me parting with them. Bear witness that they are all free."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২২. সূরা আল-আম্বিয়া

৩১৬৬। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহঃ বলেছেনঃ ইবরাহীম (আঃ) তিনটি ক্ষেত্র ছাড়া কোন ব্যাপারে কখনো মিথ্যা বলেননি। যেমন তার কথা “আমি অসুস্থ”- (সূরাঃ আস-সাফফাত ৮৯), অথচ তিনি অসুস্থ ছিলেন না, নিজের বিবি সারা’-কে তার বোন বলা এবং তার কথা “বরং এগুলোর ভিতর সর্বাধিক বড়টি এ কাজ করেছে"- (সূরা আম্বিয়া ৬৩)।

সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১৯১৬), বুখারী, মুসলিম।

হাদীসটি একাধিক সূত্রে আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে। ইবনু ইসহাক হতে আবূয যান্নাদ সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি গারীব। আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فِي شَيْءٍ قَطُّ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ قَوْلُهُ ‏:‏ ‏(‏إنِّي سَقِيمٌ ‏)‏ وَلَمْ يَكُنْ سَقِيمًا وَقَوْلُهُ لِسَارَةَ أُخْتِي وَقَوْلُهُ ‏:‏ ‏(‏ بلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا سعيد بن يحيى بن سعيد الاموي، حدثني ابي، حدثنا محمد بن اسحاق، عن ابي الزناد، عن عبد الرحمن الاعرج، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لم يكذب ابراهيم عليه السلام في شيء قط الا في ثلاث قوله ‏:‏ ‏(‏اني سقيم ‏)‏ ولم يكن سقيما وقوله لسارة اختي وقوله ‏:‏ ‏(‏ بل فعله كبيرهم هذا ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Ibrahim, peace be upon him, did not lie about anything at all - except for three: 'Verily I am sick (37:89)' while he was not sick. And his saying about Sarah: 'She is my sister' and his saying: 'Nay, this one, the biggest of them did it (21:63).'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir

পরিচ্ছেদঃ ২২. সূরা আল-আম্বিয়া

৩১৬৭। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াজ-নাসীহাত করতে দাড়িয়ে বললেনঃ হে লোকেরা! কিয়ামতের দিন তোমরা নগ্ন ও খাতনাহীন অবস্থায় আল্লাহ তা’আলার নিকট সমবেত হবে। (বর্ণনাকারী বলেন,) তারপর তিনি পড়লেনঃ "যেভাবে প্রথম আমরা সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবেই তার পুনরাবৃত্তি করব। এটা একটা ওয়াদাহ্, যা পূরণ করার দায়িত্ব আমার। আর এ কাজ আমি অবশ্যই করবো”— (সূরা আম্বিয়া ১০৪)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যাকে কাপড় পরানো হবে, তিনি হচ্ছেন ইবরাহীম (আঃ)। আমার উম্মাতের কিছু সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে এবং তাদেরকে ধরে বাঁ দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি তখন বলবঃ হে আমার সৃষ্টিকর্তা! এরা আমার অনুসারী। তখন বলা হবে, আপনি জানেন না, এরা আপনার বিদায়ের পর কি ধরনের বিদ’আতের উদ্ভব ঘটিয়েছিল।

আমি সে সময় একজন সৎকর্মশীল বান্দার ঈসা (আঃ)] মত বলবঃ (কুরআনের ভাষায়) “আমি যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ছিলাম ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের পরিচালক ছিলাম। কিন্তু আপনি যখন আমাকে তুলে নিলেন, তখন আপনিই ছিলেন তাদের তত্ত্বাবধায়ক। আর আপনি তো সকল বিষয়ের সাক্ষী। আপনি যদি তাদেরকে আযাব দেন তবে তারা তো আপনারই বান্দা, আর যদি ক্ষমা করে দেন তাহলে আপনি তো পরাক্রান্তশালী ও প্রজ্ঞাময়"- (সূরা আল-মায়িদাহ ১১৭-১১৮)। তখন বলা হবে, আপনি যখন তাদেরকে রেখে এসেছেন তখন হতে এরা অনবরত মন্দ পথেই চলেছে।

সহীহঃ বুখারী, মুসলিম। এটি (২৪২৩) নং হাদীসের পুনরুক্তি।

মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-মুহাম্মাদ ইবনু জাফার হতে, তিনি শুবাহ হতে, তিনি মুগীরাহ ইবনু নু’মান হতে এই সনদে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফইয়ান সাওরীও এ হাদীসটি মুগীরাহ ইবনু নু’মানের সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

আবূ ঈসা বলেনঃ সুফইয়ান সাওরী এই হাদীসের মর্মার্থ দ্বারা মুরতাদদেরকে বুঝিয়েছেন যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের পর মুরতাদ হয়ে গিয়েছিল।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، وَأَبُو دَاوُدَ قَالُوا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَوْعِظَةِ فَقَالَ ‏"‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ إِلَى اللَّهِ عُرَاةً غُرْلاً ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأََ ‏:‏ ‏(‏ كما بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا ‏)‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ قَالَ ‏"‏ أَوَّلُ مَنْ يُكْسَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ وَإِنَّهُ سَيُؤْتَى بِرِجَالٍ مِنْ أُمَّتِي فَيُؤْخَذُ بِهِمْ ذَاتَ الشِّمَالِ فَأَقُولُ رَبِّ أَصْحَابِي ‏.‏ فَيُقَالُ إِنَّكَ لاَ تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ ‏.‏ فَأَقُولُ كَمَا قَالَ الْعَبْدُ الصَّالِحُ ‏(‏ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ * إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ‏)‏ فَيُقَالُ هَؤُلاَءِ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ مُنْذُ فَارَقْتَهُمْ ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ، نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ النُّعْمَانِ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى كَأَنَّهُ تَأَوَّلَهُ عَلَى أَهْلِ الرِّدَّةِ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا وكيع، ووهب بن جرير، وابو داود قالوا حدثنا شعبة، عن المغيرة بن النعمان، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال قام رسول الله صلى الله عليه وسلم بالموعظة فقال ‏"‏ يا ايها الناس انكم محشورون الى الله عراة غرلا ‏"‏ ‏.‏ ثم قرا ‏:‏ ‏(‏ كما بدانا اول خلق نعيده وعدا علينا ‏)‏ الى اخر الاية قال ‏"‏ اول من يكسى يوم القيامة ابراهيم وانه سيوتى برجال من امتي فيوخذ بهم ذات الشمال فاقول رب اصحابي ‏.‏ فيقال انك لا تدري ما احدثوا بعدك ‏.‏ فاقول كما قال العبد الصالح ‏(‏ وكنت عليهم شهيدا ما دمت فيهم فلما توفيتني كنت انت الرقيب عليهم وانت على كل شيء شهيد * ان تعذبهم فانهم عبادك وان تغفر لهم فانك انت العزيز الحكيم ‏)‏ فيقال هولاء لم يزالوا مرتدين على اعقابهم منذ فارقتهم ‏"‏ ‏.‏ حدثنا محمد بن بشار، حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن المغيرة بن النعمان، نحوه ‏.‏ قال هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ ورواه سفيان الثوري عن المغيرة بن النعمان نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى كانه تاوله على اهل الردة ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"The Messenger of Allah (ﷺ) stood to deliver a Khutbah, he said: 'O you people! You will be gathered before Allah naked and uncircumcised.' Then he recited: 'As We began the first creation, We shall repeat it...' until the end of the Ayah (21:104). He said: 'The first to be clothed on the Day of Resurrection is Ibrahim. Indeed some men from my Ummah will be brought and taken from the left side, so I will say: "My Lord! My followers!" It will be said: "Indeed you do not know what they innovated after you.' So I shall say as the righteous slave said: 'And I was a witness over them while I dwelt among them, but when You took me up, You were the Watcher over them. If You punish them, they are your slaves, and if You forgive them...' [until the end of] the Ayah (5:117 & 118) I shall be told: 'These people have not ceased turning on their heels as apostates ever since you parted from them.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
৪৪/ তাফসীরুল কুরআন (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ﷺ) 44. Chapters on Tafsir
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে