পরিচ্ছেদঃ ২৩. সূরা আল-হজ্জ
৩১৬৮। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, “হে লোকেরা! তোমাদের প্রভুর গযব হতে নিজকে রক্ষা কর। কিয়ামতের কম্পন বড়ই ভয়াবহ ব্যপার। যেদিন তোমরা তা দেখতে পাবে সেদিনের অবস্থা এমন হবে যে, প্রত্যেক স্তন্যদাত্রী নিজের দুধের শিশুকে দুধ পান করাতে ভুলে যাবে। প্রত্যেক গর্ভবতী গর্ভপাত করবে এবং লোকদেরকে তোমরা মাতালের মতো দেখতে পাবে, অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়। বরং আল্লাহ্ তা’আলার শাস্তিই এতদূর কঠোর হবে" (সূরাঃ আল-হাজ্জ১-২)।
রাবী বলেন, এ আয়াত যখন অবতীর্ণ হয়, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে ছিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান এটা কোন দিন? সাহাবীগণ বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূলই সবচাইতে ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এটা সেই দিন, যখন আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে বলবেনঃ জাহান্নামের বাহিনী প্রস্তুত কর। আদম (আঃ) বলবেনঃ হে প্ৰভু! জাহান্নামের বাহিনীর সংখ্যা কত? তিনি বলবেনঃ (হাজারকে) নয় শত নিরানব্বই জন জাহান্নামের এবং একজন জান্নাতের বাহিনী।
একথা শুনে মুসলিমরা কান্নায় ভেংগে পড়েন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সমতল পথে চলো, আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য খোজ কর, সোজা পথ ধর। প্রত্যেক নাবূয়াতের পূর্বেই রয়েছে জাহিলিয়াত। তিনি আরো বললেনঃ জাহিলিয়াত হতেই বেশি সংখ্যক নেয়া হবে। যদি এতে সংখ্যা পূর্ণ হয় তো ভালো, অন্যথায় মুনাফিকদের দিয়ে সংখ্যা পূর্ণ করা হবে।
অপরাপর উম্মাতের ও তোমাদের উদাহরণ হচ্ছে, যেমন পশুর বাহুর দাগ অথবা উটের পার্শ্বদেশের তিলক (অর্থাৎ তোমাদের সংখ্যা বেশি হবে)। তিনি আবার বললেনঃ আমি আশা করি তোমরাই হবে জান্নাতের এক-চতুর্থাংশ অধিবাসী। একথা শুনে তারা তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করেন। তারপর তিনি বললেনঃ আমি আশা করি তোমরাই হবে জান্নাতের এক-তৃতীয়াংশ অধিবাসী। একথা শুনে তারা তাকবীর ধ্বনি দেন। তিনি আবার বললেনঃ আমি আশা করি তোমরাই হবে জান্নাতের অর্ধেক অধিবাসী। তারা এবারও তাকবীর ধ্বনি দেন। রাবী বলেন, তিনি দুই-তৃতীয়াংশের কথা বলেছেন কি-না তা আমার মনে নেই
সনদ দুর্বল, তা’লীকুর রাগীব (৪/২২৯)
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا نَزَلَتْ : ( يا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ) إِلَى قَوْلِهِ : (ولَكِنَّ عَذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ) قَالَ أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ وَهُوَ فِي سَفَرٍ فَقَالَ " أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ ذَلِكَ " . فَقَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذَلِكَ يَوْمَ يَقُولُ اللَّهُ لآدَمَ ابْعَثْ بَعْثَ النَّارِ فَقَالَ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ قَالَ تِسْعُمِائَةٍ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ إِلَى النَّارِ وَوَاحِدٌ إِلَى الْجَنَّةِ " . قَالَ فَأَنْشَأَ الْمُسْلِمُونَ يَبْكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَارِبُوا وَسَدِّدُوا فَإِنَّهَا لَمْ تَكُنْ نُبُوَّةٌ قَطُّ إِلاَّ كَانَ بَيْنَ يَدَيْهَا جَاهِلِيَّةٌ قَالَ فَيُؤْخَذُ الْعَدَدُ مِنَ الْجَاهِلِيَّةِ فَإِنْ تَمَّتْ وَإِلاَّ كَمُلَتْ مِنَ الْمُنَافِقِينَ وَمَا مَثَلُكُمْ وَالأُمَمِ إِلاَّ كَمَثَلِ الرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الدَّابَّةِ أَوْ كَالشَّامَةِ فِي جَنْبِ الْبَعِيرِ ثُمَّ قَالَ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا رُبُعَ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . فَكَبَّرُوا ثُمَّ قَالَ " إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا ثُلُثَ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . فَكَبَّرُوا ثُمَّ قَالَ " إِنِّي لأَرْجُو أَنْ تَكُونُوا نِصْفَ أَهْلِ الْجَنَّةِ " . فَكَبَّرُوا قَالَ وَلاَ أَدْرِي قَالَ الثُّلُثَيْنِ أَمْ لاَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated 'Imran bin Husain:
when (the following) was revealed: "O mankind! Have Taqwa of your Lord! Verily the earthquake of the hour is a terrible thing..." up to His saying: "But Allah's torment is severe...(22:1 & 2)" - he said: "These Ayat were revealed while he (ﷺ) was on a journey and he said: 'Do you know what Day this is?' So they said: 'Allah and His Messenger know better.' He said: 'That is the day when Allah says to Adam: Send forth those who are to be sent to the Fire. So he says: O Lord! How many are to be sent? He says: Nine-hundred and ninety-nine in the Fire, and one to Paradise. He said: "So the Muslims started crying. Then the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Close your ranks and be straight forward, for there was never any Prophethood but there was a time of ignorance just before his advent, so the number will be taken from that time of ignorance, and if that is not enough, it will be made up of the hypocrites. The parable of you and the other nations is that you are like a mark on the foreleg of an animal, or a mole on the flank of a camel.' Then he said: 'I hope that you will be a quarter of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar. Then he said: 'I hope that you will be a third of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar. Then he said: 'I hope that you will be half of the people of Paradise.' They said: Allahu Akbar." He said: "I do not know if he said two thirds or not."
পরিচ্ছেদঃ ২৩. সূরা আল-হজ্জ
৩১৬৯। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমরা এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। চলার পথে তিনি ও তার সাহাবীগণ আগে-পিছে হয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সূরা হজ্জের প্রথম) এ দু’টি আয়াতের মাধ্যমে নিজের আওয়াজ বড় করলেনঃ “হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর। কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়াবহ ব্যাপার... বস্তুত আল্লাহ তা’আলার শাস্তি বড় কঠিন"- (সূরা হাজ্জ ১-২)।
তার সাহাবীগণ এই ডাক শুনতে পেয়ে নিজেদের জন্তুযানের গতি দ্রুত করলেন এবং জেনে নিলেন যে, তিনি কিছু বলবেন। (সাহাবীগণ তার নিকট পৌছলে) তিনি বললেনঃ তোমরা কি জান সেই দিন কোনটি? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূলই বেশী ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এটা সেই দিন, যেদিন আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে ডেকে বলবেনঃ হে আদম! দোযখের ফৌজ তৈরি কর। তিনি বলবেন, হে আমার প্রতিপালক! দোযখের ফৌজ কারা এবং তাদের সংখ্যা কত? তিনি বলবেনঃ প্রতি হাজারে নয় শত নিরানব্বই জন দোযখে যাবে এবং একজন জান্নাতে যাবে।
সাহাবীগণ একথা শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। তখন কারো মুখে হাসি ছিল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের এই অবস্থা দেখে বললেনঃ কাজ করতে থাক এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর। সেই সত্তার শপথ, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন! তোমরা দুটি জীবের সাক্ষাৎ পাবে। তাদের সাথে যাদের সাক্ষাৎ হবে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হবে। এ দুটি জীব হল ইয়া’যুজ ও মাযুজ এবং আদম সন্তান ও ইবলীসের সন্তানদের মধ্যে যারা মরে গেছে তারা। বর্ণনাকারী বলেন, এতে লোকদের চিন্তা ও বিষন্নতা কিছুটা দূর হয়ে গেল।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কাজ কর এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর। সেই সত্তার শপথ, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! (অন্যান্য জাতির তুলনায়) তোমাদের দৃষ্টান্ত হল, উটের পার্শ্বদেশের তিলক অথবা চতুষ্পদ জন্তুর বাহুর দাগের মত।
সহীহঃ বুখারী (৪৭৪১), মুসলিম (১/১৩৯)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَتَفَاوَتَ بَيْنَ أَصْحَابِهِ فِي السَّيْرِ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ بِهَاتَيْنِ الآيَتَيْنِ أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ إِنَّ زَلْزَلَةَ السَّاعَةِ شَيْءٌ عَظِيمٌ ) إِلَى قَوْلِهِ : ( إن عذَابَ اللَّهِ شَدِيدٌ ) فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ أَصْحَابُهُ حَثُّوا الْمَطِيَّ وَعَرَفُوا أَنَّهُ عِنْدَ قَوْلٍ يَقُولُهُ فَقَالَ " هَلْ تَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ ذَلِكَ " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " ذَاكَ يَوْمٌ يُنَادِي اللَّهُ فِيهِ آدَمَ فَيُنَادِيهِ رَبُّهُ فَيَقُولُ يَا آدَمُ ابْعَثْ بَعْثَ النَّارِ . فَيَقُولُ يَا رَبِّ وَمَا بَعْثُ النَّارِ فَيَقُولُ مِنْ كُلِّ أَلْفٍ تِسْعُمِائَةٍ وَتِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ إِلَى النَّارِ وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ " . فَيَئِسَ الْقَوْمُ حَتَّى مَا أَبْدَوْا بِضَاحِكَةٍ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِي بِأَصْحَابِهِ قَالَ " اعْمَلُوا وَأَبْشِرُوا فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّكُمْ لَمَعَ خَلِيقَتَيْنِ مَا كَانَتَا مَعَ شَيْءٍ إِلاَّ كَثَّرَتَاهُ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَمَنْ مَاتَ مِنْ بَنِي آدَمَ وَبَنِي إِبْلِيسَ " . قَالَ فَسُرِّيَ عَنِ الْقَوْمِ بَعْضُ الَّذِي يَجِدُونَ . فَقَالَ " اعْمَلُوا وَأَبْشِرُوا فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا أَنْتُمْ فِي النَّاسِ إِلاَّ كَالشَّامَةِ فِي جَنْبِ الْبَعِيرِ أَوْ كَالرَّقْمَةِ فِي ذِرَاعِ الدَّابَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Imran bin Husain:
"We were with the Prophet (ﷺ) on a journey when some of his Companions fell behind. So the Messenger of Allah (ﷺ) raised his voice reciting these two Ayat: "O mankind! Have Taqwa of your Lord! Verily the earthquake of the hour is a terrible thing..." up to His saying: but Allah's torment is severe (21:1 & 2)." When his Companions heard that, they hastened to catch up with him, since they knew that he had something to say. He (ﷺ) said: 'Do you know what Day this is? That is the Day when Adam will be called. His Lord will call him and say: O Adam, send forth those who are to be sent to the Fire. He will say: O Lord! How many are to be sent to the Fire? He will say: From every one-thousand there are nine-hundred and ninety-nine for the Fire and one for Paradise. So the people despaired as if they would not smile again. When the Messenger of Allah (ﷺ) saw the state of his Companions, he said: 'Strive hard and receive the good news. By the One in Whose Hand is the soul of Muhammad, you will be counted with two creations who are immense in numbers; Ya'juj and Ma'juj, and those who have died among the progeny of Adam and the progeny of Iblis.'" He said: "So some of the people's grief went away, and he (ﷺ) said: 'Strive hard and receive the good news. By the One in Whose Hand is the soul of Muhammad! Among mankind, you are but like the mole on the flank of a camel, or a mark on the foreleg of a beast.'"
পরিচ্ছেদঃ ২৩. সূরা আল-হজ্জ
৩১৭০। আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (বাইতুল্লাহর) বাইতুল আতীক নাম এজন্য হয়েছে যে, কোন স্বেচ্ছাচারীই এর উপর কর্তৃত্ব প্রসার করতে সমর্থ হয়নি।
যঈফ, যঈফা (৩২২২)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। অন্য এক সূত্রে যুহরী হতে এ হাদীস মুরসাল হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। কুতাইবা হতে তিনি লাইস হতে তিনি আকীল হতে তিনি যুহরী (রাহঃ) হতে এই সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে উপরের হাদীসের মতই বর্ণিত হয়েছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا سُمِّيَ الْبَيْتُ الْعَتِيقَ لأَنَّهُ لَمْ يَظْهَرْ عَلَيْهِ جَبَّارٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
Narrated 'Abdullah bin Az-Zubair:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "It is only called Al-Bait Al-'Atiq because it has not been conquered by a tyrant."
পরিচ্ছেদঃ ২৩. সূরা আল-হজ্জ
৩১৭১৷ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন মক্কাবাসীরা মক্কা হতে নির্বাসিত করে, তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, এই লোকেরা তাদের নবীকে বের করে দিয়েছে। এদের নিঃসন্দেহে অনিষ্ট হবে। এ কথার পটভূমিকায় আল্লাহ তা’আলা এই আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে তাদেরকে অনুমতি দেয়া হল। কেননা তাদের প্রতি যুলুম করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। এরা সেই লোক, যাদেরকে অন্যায়ভাবে নিজেদের ঘর-বাড়ী হতে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। তাদের দোষ ছিল এই যে, তারা বলতঃ আল্লাহ তা’আলা আমাদের রব" (সূরাঃ আল-হাজ্জ- ৩৯-৪০)। আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ আমি বুঝে গেলাম, শীঘ্রই লড়াই বেধে যাবে।
সনদ দুর্বল
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। আবদুর রহমান ইবনু মাহদী প্রমুখ-সুফিয়ান হতে তিনি আমাশ হতে তিনি মুসলিম আল-বাতীন হতে তিনি সাঈদ ইবনু যুবাইর-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ হাদীসটি মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। তাতে ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার, আবূ আহমাদ আয-যুবাইর সুফইয়ানের সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন, তাতে ইবনু আব্বাসের উল্লেখ আছে। একাধিক রাবী-সুফিয়ান হতে তিনি আমাশ হতে তিনি মুসলিম আল-বাতীন হতে তিনি সাঈদ ইবনু যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে উক্ত হাদীস মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন এবং তাতে ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর উল্লেখ নেই।
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَإِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا أُخْرِجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ أَخْرَجُوا نَبِيَّهُمْ لَيَهْلِكُنَّ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ ) الآيَةَ . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ سَيَكُونُ قِتَالٌ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ وَغَيْرُهُ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ مُرْسَلاً لَيْسَ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"When the Prophet (ﷺ) was expelled from Makkah, Abu Bakr said: 'They have driven out their Prophet to their own doom.' So Allah, Most High, revealed: 'Permission (to fight) is given to those who are fought against, because they have been wronged; and surely, Allah is able to give them victory (22:39).' So Abu Bakr said: 'Then I knew that there would be fighting.'"
পরিচ্ছেদঃ ২৩. সূরা আল-হজ্জ
৩১৭২। সাঈদ ইবনু জুবাইর (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মক্কা হতে বের করা হলে এক ব্যক্তি বলেন, তারা তাদের নবীকে বের করে দিয়েছে। তখন অবতীর্ণ হয়ঃ “যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে যুদ্ধ করা হয়, কেননা তাদের প্রতি যুলুম করা হয়েছে; আর আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম; যারা বহিষ্কৃত হয়েছে অন্যায়ভাবে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে" (সূরা আল-হাজ্জ- ৩৯-৪০) অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণকে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْبَطِينِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ لَمَّا أُخْرِجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَكَّةَ قَالَ رَجُلٌ أَخْرَجُوا نَبِيَّهُمْ فَنَزَلَتْ : ( أذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإِنَّ اللَّهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ * الَّذِينَ أُخْرِجُوا مِنْ دِيَارِهِمْ بِغَيْرِ حَقٍّ ) النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ .
Narrated Sa'eed bin Jubair:
"When the Prophet (ﷺ) was expelled from Makkah a man said: 'They have driven out their Prophet' so (the following) was revealed: "Permission (to fight) is given to those who are fought against, because they have been wronged; and surely, Allah is able to give them victory. Those who have been expelled from their homes unjustly (22:39)." [Those who were expelled were the Prophet (ﷺ) and his Companions.]