পরিচ্ছেদঃ ৭২১. সাহরীর সময় যে ঘুমিয়ে পড়েন।
১০৬৫। আবদান (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে কোন আমলটি সর্বাধিক প্রিয় ছিল? তিনি বললেন, নিয়মিত আমল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কখন তাহাজ্জুদের জন্য উঠতেন? তিনি বললেন, যখন মোরগের ডাক শুনতে পেতেন।
باب مَنْ نَامَ عِنْدَ السَّحَرِ
حَدَّثَنِي عَبْدَانُ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَشْعَثَ، سَمِعْتُ أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مَسْرُوقًا، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَىُّ الْعَمَلِ كَانَ أَحَبَّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتِ الدَّائِمُ. قُلْتُ مَتَى كَانَ يَقُومُ قَالَتْ يَقُومُ إِذَا سَمِعَ الصَّارِخَ.
Narrated Masruq:
I asked `Aisha which deed was most loved by the Prophet. She said, "A deed done continuously." I further asked, "When did he used to get up (in the night for the prayer)." She said, "He used to get up on hearing the crowing of a cock."
পরিচ্ছেদঃ ৭২৪. নবী (ﷺ) এর সালাত কিরূপ ছিল এবং রাতে তিনি কত রাকা’আত সালাত আদায় করতেন?
১০৭৩। ইসহাক (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাতের সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ফজরের দু’রাকা’আত (সুন্নাত) ব্যতিরেকে সাত বা নয় কিংবা এগার রাকা’আত।
باب كَيْفَ كَانَ صَلاَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَمْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي حَصِينٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ وَثَّابٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ. فَقَالَتْ سَبْعٌ وَتِسْعٌ وَإِحْدَى عَشْرَةَ سِوَى رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ.
Narrated Masruq:
I asked Aisha about the night prayer of Allah's Messenger (ﷺ) and she said, "It was seven, nine or eleven rak`at besides the two rak`at of the Fajr prayer (i.e. Sunna). "
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৯. যখন তোমাদের কেউ "আমীন" বলে আর আসমানের ফেরেশতাগণও আমীন বলেন এবং একের আমীন অন্যের আমীনের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়
৩০০৮। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে আল্লাহর বাণীঃ "এরপর তিনি তাঁর নিকটবর্তী হলেন, অতি নিকটবর্তী। ফলে তাদের মধ্যে দু’ ধনুকের ব্যবধান অথবা তার চেয়েও কম। (৫৩ঃ ৮, ৯)-এর মর্মার্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তিনি জিবরীল (আলাইহিস সালাম) ছিলেন। তিনি স্বভাবত মানুষের আকৃতিতে তাঁর কাছে আসতেন। কিন্তু এবার তিনি কাছে এসেছিলেন তাঁর মূল আকৃতি ধারণ করে। তখন তিনি আকাশের সম্পূর্ণ দিগন্ত ঢেকেছিলেন।
بَابُ إِذَا قَالَ أَحَدُكُمْ آمِينَ. وَالْمَلاَئِكَةُ فِي السَّمَاءِ، فَوَافَقَتْ إِحْدَاهُمَا الأُخْرَى، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ ابْنِ الأَشْوَعِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَأَيْنَ قَوْلُهُ (ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى * فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى) قَالَتْ ذَاكَ جِبْرِيلُ كَانَ يَأْتِيهِ فِي صُورَةِ الرَّجُلِ، وَإِنَّهُ أَتَاهُ هَذِهِ الْمَرَّةَ فِي صُورَتِهِ الَّتِي هِيَ صُورَتُهُ، فَسَدَّ الأُفُقَ.
Narrated Masruq:
I asked Aisha "What about His Statement:-- "Then he (Gabriel) approached And came closer, And was at a distance Of but two bow-lengths Or (even) nearer?" (53.8-9) She replied, "It was Gabriel who used to come to the Prophet (ﷺ) in the figure of a man, but on that occasion, he came in his actual and real figure and (he was so huge) that he covered the whole horizon."
পরিচ্ছেদঃ ২০১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইউসুফ এবং তাঁর ভাইদের কাহিনীতে জিজ্ঞাসাকারীদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে (১২ঃ ৭)
৩১৫০। মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর মা উম্মে রুমানার নিকট আয়িশার বিষয়ে যে সব মিথ্যা অপবাদের কথা বলাবলি হচ্ছিল সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আমি আয়িশার সাথে একত্রে বসা ছিলাম। এমন সময় একজন আনসারী মহিলা একথা বলতে বলতে আমাদের নিকট প্রবেশ করল। আল্লাহ অমুককে শাস্তি দিক। আর শাস্তি তো দিয়েছেন। একথা শুনে উম্মে রুমানা (রাঃ) বললেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম একথা বলার কারণ কি? সে মহিলাটি বলল, ঐ লোকটই তো কথাটির চর্চা করেছে। তখন আয়িশা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, বিষয়টি কি আবূ বকর (রাঃ) এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও শুনেছেন? সে বলল, হাঁ! এতে আয়িশা (রাঃ) বেহুশ হয়ে গেলেন। পরে তাঁর হুশ ফিরে আসল তবে তাঁর শরীর কাঁপিয়ে জ্বর আসল।
এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি হল? আমি বললাম, তাঁর সম্পর্কে যা কিছু রটেছে তাতে সে (মনে) আঘাত পেয়েছে ফলে সে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এ সময় আয়িশা (রাঃ) উঠে বসলেন, আর বলতে লাগলেন, আল্লাহর কসম, আমি যদি কসম খেয়ে বলি তবুও আপনারা আমায় বিশ্বাস করবেন না আর যদি ওজর পেশ করি তাও আপনারা আমার ওজর শুনবেন না। অতএব এখন আমার ও আপনাদের অবস্থা হল ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর সন্তানদের মতো। আপনারা যা বর্ণনা করেছেন সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহর নিকট সাহায্য চাওয়া হল।
এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে চলে গেলেন এবং আল্লাহ যা নাযিল করার তা নাযিল করলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে আয়িশা (রাঃ)-কে এ সংবাদ জানালেন। আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমি একমাত্র আল্লাহরই প্রশংসা করব, অন্য কারো প্রশংসা নয়।
باب قول الله تعالى لقد كان في يوسف وإخوته آيات للسائلين
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَأَلْتُ أُمَّ رُومَانَ، وَهْىَ أُمُّ عَائِشَةَ، عَمَّا قِيلَ فِيهَا مَا قِيلَ قَالَتْ بَيْنَمَا أَنَا مَعَ عَائِشَةَ جَالِسَتَانِ، إِذْ وَلَجَتْ عَلَيْنَا امْرَأَةٌ مِنَ الأَنْصَارِ، وَهْىَ تَقُولُ فَعَلَ اللَّهُ بِفُلاَنٍ وَفَعَلَ. قَالَتْ فَقُلْتُ لِمَ قَالَتْ إِنَّهُ نَمَا ذِكْرَ الْحَدِيثِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَىُّ حَدِيثٍ فَأَخْبَرَتْهَا. قَالَتْ فَسَمِعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ نَعَمْ. فَخَرَّتْ مَغْشِيًّا عَلَيْهَا، فَمَا أَفَاقَتْ إِلاَّ وَعَلَيْهَا حُمَّى بِنَافِضٍ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا لِهَذِهِ ". قُلْتُ حُمَّى أَخَذَتْهَا مِنْ أَجْلِ حَدِيثٍ تُحُدِّثَ بِهِ، فَقَعَدَتْ فَقَالَتْ وَاللَّهِ لَئِنْ حَلَفْتُ لاَ تُصَدِّقُونِي، وَلَئِنِ اعْتَذَرْتُ لاَ تَعْذِرُونِي، فَمَثَلِي وَمَثَلُكُمْ كَمَثَلِ يَعْقُوبَ وَبَنِيهِ، فَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ. فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ مَا أَنْزَلَ، فَأَخْبَرَهَا فَقَالَتْ بِحَمْدِ اللَّهِ لاَ بِحَمْدِ أَحَدٍ.
Narrated Masruq:
I asked Um Ruman, `Aisha's mother about the accusation forged against `Aisha. She said, "While I was sitting with `Aisha, an Ansari woman came to us and said, 'Let Allah condemn such-and-such person.' I asked her, 'Why do you say so?' She replied, 'For he has spread the (slanderous) story.' `Aisha said, 'What story?' The woman then told her the story. `Aisha asked, 'Have Abu Bakr and Allah's Messenger (ﷺ) heard about it ?' She said, 'Yes.' `Aisha fell down senseless (on hearing that), and when she came to her senses, she got fever and shaking of the body. The Prophet (ﷺ) came and asked, 'What is wrong with her?' I said, 'She has got fever because of a story which has been rumored.' `Aisha got up and said, 'By Allah! Even if I took an oath, you would not believe me, and if I put forward an excuse, You would not excuse me. My example and your example is just like that example of Jacob and his sons. Against that which you assert, it is Allah (Alone) Whose Help can be sought.' (12.18) The Prophet (ﷺ) left and then Allah revealed the Verses (concerning the matter), and on that `Aisha said, 'Thanks to Allah (only) and not to anybody else."
পরিচ্ছেদঃ ২১০৬. আবু হুযায়ফা (রাঃ) এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) সালিম (রাঃ) এর মর্যাদা
৩৪৮৭। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) এর মজলিসে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর আলোচনা হলে তিনি বললেন, আমি এই ব্যাক্তিকে ঐদিন থেকে অত্যন্ত ভালবাসি যেদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তোমরা চার ব্যাক্তি থেকে কুরআন শিক্ষা কর, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ সর্বপ্রথম তাঁর নাম উল্লেখ করলেন, আবূ হুযায়ফা (রাঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম সালিম, উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) ও মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে। শেষোক্ত দু’জনের মধ্যে কার নাম আগে উল্লেখ করছিলেন শুধু এ কথাটুকু আমার স্মরণ নেই।
باب مَنَاقِبُ سَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ ذُكِرَ عَبْدُ اللَّهِ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، فَقَالَ ذَاكَ رَجُلٌ لاَ أَزَالُ أُحِبُّهُ بَعْدَ مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " اسْتَقْرِئُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، فَبَدَأَ بِهِ، وَسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ". قَالَ لاَ أَدْرِي بَدَأَ بِأُبَىٍّ أَوْ بِمُعَاذٍ.
Narrated Masruq:
`Abdullah (bin Mas`ud) was mentioned before `Abdullah bin `Amr. The latter said, "That is a man I continue to love because I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, ' Learn the recitation of the Qur'an from (any of these) four persons: `Abdullah bin Masud, Salim the freed slave of Abu Hudhaifa, Ubai bin Ka`b, and Mu`adh bin Jabal." I do not remember whether he mentioned Ubai first or Mu`adh.
পরিচ্ছেদঃ ২১০৭. আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাঃ) এর মর্যাদা
৩৪৮৮। হাফস ইবনু উমর (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগতভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে অশ্লীল ভাষী ছিলেন না; তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তিই আমার সর্বাধিক প্রিয় যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তিনি আরো বলেছেন, তোমরা চার ব্যাক্তির নিকট হতে কুরআন শিক্ষা কর, আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ, সালিম মাওলা আবূ হুযায়ফা, উবাই ইবনু কা’ব ও মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)।
باب مَنَاقِبُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَسْرُوقًا، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَكُنْ فَاحِشًا وَلاَ مُتَفَحِّشًا وَقَالَ " إِنَّ مِنْ أَحَبِّكُمْ إِلَىَّ أَحْسَنَكُمْ أَخْلاَقًا ". وَقَالَ " اسْتَقْرِئُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ".
Narrated `Abdullah bin `Amr:
Allah's Messenger (ﷺ) neither talked in an insulting manner nor did he ever speak evil intentionally. He used to say, "The most beloved to me amongst you is the one who has the best character and manners." He added, " Learn the Qur'an from (any of these) four persons. `Abdullah bin Mas`ud, Salim the freed slave of Abu Hudhaifa, Ubai bin Ka`b, and Mu`adh bin Jabal."
পরিচ্ছেদঃ ২১২৬. উবাই ইবন কা'ব (রাঃ) এর মর্যাদা
৩৫৩৬। আবূল ওয়ালিদ (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) এর মজলিসে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর আলোচনা চলছিল। তখন তিনি বললেন; তিনি সে ব্যাক্তি যাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তব্য শোনার পর থেকে আমি অত্যন্ত ভালবাসি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরআন শিক্ষা কর চারজনের নিকট থেকে, আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (সর্ব প্রথম তিনি এ নামটি বললেন)। সালিম আবূ হুযাইফার আযাদকৃত গোলাম, মু’আয ইবনু জাবাল ও উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)।
باب مَنَاقِبُ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ ذُكِرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو فَقَالَ ذَاكَ رَجُلٌ لاَ أَزَالُ أُحِبُّهُ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " خُذُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ـ فَبَدَأَ بِهِ ـ وَسَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ، وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ".
Narrated Masruq:
`Abdullah bin Masud was mentioned before `Abdullah bin `Amr who said, "That is a man I still love, as I heard the Prophet (ﷺ) saying 'Learn the recitation of Qur'an from four from `Abdullah bin Mas`ud -- he started with him--Salim, the freed slave of Abu Hudaifa, Mu`adh bin Jabal and Ubai bin Ka`b."
পরিচ্ছেদঃ ২১৯৮. ইফ্কের ঘটনা [ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন] إِفْك শব্দটি نِجْس ও نَجَس এর মত إِفْك ও أَفك উভয়ভাবেই ব্যবহৃত হয়। তাই আরবীয় লোকেরা বলেন, إِفْكُهُمْ أَفْكُهُمْ وَأَفَكُهُمْ
৩৮৪০। বিশর ইবনু খালিদ (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে হাসসান ইবনু সাবিত (রাঃ) তাঁকে তাঁর নিজের রচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনাচ্ছিলেন। তিনি আয়িশা (রাঃ) এর প্রশংসা করে বলেছেন, “তিনি সতী, ব্যাক্তিত্বসম্পন্না ও জ্ঞানবতী, তাঁর প্রতি কোনো সন্দেহই আরোপ করা যায় না। তিনি অভুক্ত থাকেন, তবুও অনুপস্থিত লোকের মাংস খান না বা গীবত করেন না। এ কথা শুনে আয়িশা (রাঃ) বললেন, কিন্তু আপনি তো এরুপ নন। মাসরুক (রহঃ) বলেছেন যে, আমি আয়িশা (রাঃ) কে বললাম যে, আপনি কেন তাকে আপনার কাছে আসতে অনুমতি দেন? অথচ আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, “তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করেছে, তার জন্য আছে কঠিন শাস্তি”। আয়িশা (রাঃ) বললেন, অন্ধত্ব থেকে কঠিন শাস্তি আর কি হতে পারে? তিনি তাকে আরো বলেন যে, হাসসান ইবনু সাবিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ হয়ে কাফেরদের সাথে মুকাবিলা করতেন অথবা কাফেরদের বিরুদ্ধে নিন্দাসূচক কবিতা রচনা করতেন।
باب حَدِيثُ الإِفْكِ وَالْأَفَكِ بِمَنْزِلَةِ النِّجْسِ وَالنَّجَسِ يُقَالُ: إِفْكُهُمْ أَفْكُهُمْ وَأَفَكُهُمْ فَمَنْ قَالَ: "أَفَكَهُمْ" يَقُولُ صَرَفَهُمْ عَنْ الْإِيمَانِ وَكَذَّبَهُمْ كَمَا قَالَ {يُؤْفَكُ عَنْهُ مَنْ أُفِكَ} يُصْرَفُ عَنْهُ مَنْ صُرِفَ
حَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ وَعِنْدَهَا حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يُنْشِدُهَا شِعْرًا، يُشَبِّبُ بِأَبْيَاتٍ لَهُ وَقَالَ:
حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ
فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ لَكِنَّكَ لَسْتَ كَذَلِكَ. قَالَ مَسْرُوقٌ فَقُلْتُ لَهَا لِمَ تَأْذَنِينَ لَهُ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْكِ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى (وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ). فَقَالَتْ وَأَىُّ عَذَابٍ أَشَدُّ مِنَ الْعَمَى. قَالَتْ لَهُ إِنَّهُ كَانَ يُنَافِحُ ـ أَوْ يُهَاجِي ـ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Masruq:
We went to `Aisha while Hassan bin Thabit was with her reciting poetry to her from some of his poetic verses, saying "A chaste wise lady about whom nobody can have suspicion. She gets up with an empty stomach because she never eats the flesh of indiscreet (ladies)." `Aisha said to him, "But you are not like that." I said to her, "Why do you grant him admittance, though Allah said:-- "and as for him among them, who had the greater share therein, his will be a severe torment." (24.11) On that, `Aisha said, "And what punishment is more than blinding?" She, added, "Hassan used to defend or say poetry on behalf of Allah's Messenger (ﷺ) (against the infidels).
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “তুমি লক্ষ্য করেছ তাকে, যে আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করে এবং বলে, আমাকে ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দেওয়া হবেই”।
৪৩৭৭। হুমায়দি (রহঃ) ... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খাব্বাব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি (খাব্বাব) বলেন, আমি আস ইবনু ওয়ায়েল সাহমির নিকট গেলাম। তার কাছে আমার কিছু পাওনা ছিল, তা আদায় করার জন্য। আস ইবনু ওয়ায়েল বলল, আমি তোমার প্রাপ্য তোমাকে দিব না যতক্ষন তুমি মুহাম্মদের প্রতি অবিশ্বাস না করো। [১] তখন আমি বললাম, না, এমনকি তুমি মরে গিয়ে আবার জীবিত হয়ে আসলেও তা হওয়ার নয়। আস ইবনু ওয়ায়েল বলল, আমি কি মরে যাবার পর আবার জীবিত হব? আমি বললাম, হ্যাঁ। আস ইবনু ওয়ায়েল বলল, নিশ্চয়ই তথায়ও আমার ধন সম্পদ এবং সন্তান সন্ততি থাকবে, তা থেকে আমি তোমার ঋণ পরিশোধ করব। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “তুমি লক্ষ্য করেছ তাকে, যে আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করে এবং বলে, আমাকে ধন সম্পদ ও সন্তান সন্ততি দেওয়া হবেই”।
এ হাদিসখানা সাওরী ... আ’মাশ থেকে বর্ণনা করেন।
باب قوله أفرأيت الذي كفر بآياتنا وقال لأوتين مالا وولدا
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَمِعْتُ خَبَّابًا، قَالَ جِئْتُ الْعَاصِيَ بْنَ وَائِلٍ السَّهْمِيَّ أَتَقَاضَاهُ حَقًّا لِي عِنْدَهُ، فَقَالَ لاَ أُعْطِيكَ حَتَّى تَكْفُرَ بِمُحَمَّدٍ فَقُلْتُ لاَ حَتَّى تَمُوتَ ثُمَّ تُبْعَثَ. قَالَ وَإِنِّي لَمَيِّتٌ ثُمَّ مَبْعُوثٌ قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ إِنَّ لِي هُنَاكَ مَالاً وَوَلَدًا فَأَقْضِيكَهُ، فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ (أَفَرَأَيْتَ الَّذِي كَفَرَ بِآيَاتِنَا وَقَالَ لأُوتَيَنَّ مَالاً وَوَلَدًا) رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ وَشُعْبَةُ وَحَفْصٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَوَكِيعٌ عَنِ الأَعْمَشِ.
Narrated Khabbab:
I came to Al-`Asi bin Wail As-Sahmi and demanded something which he owed me. He said, "I will not give you (your money) till you disbelieve in Muhammad." I said, "No, I shall not disbelieve in Muhammad till you die and then be resurrected." He said, "Will I die and then be resurrected?" I said, 'Yes'. He said', "Then I will have wealth and children there, and I will pay you (there)." So this Verse was revealed:-- 'Have you then seen him who disbelieved in Our Signs and (yet) says: I shall certainly be given wealth and children? (19.77)
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ ‘আল্লাহ তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন (তোমরা যদি মুমিন হও তবে) কখনও অনুরূপ আচরনের পুনরাবৃত্তি করোনা”।
৪৪০০। মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... মাসরুক (রহঃ) আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হাসান ইবনু সাবিত এসে (তাঁর ঘরে প্রবেশের) অনুমতি চাইলেন। আমি বললাম, এ লোকটিকে কি আপনি অনুমতি দিবেন? তিনি [আয়শা (রাঃ)] বললেন, তাঁর উপরে কি কঠিন শাস্তি আপতিত হয়নি? সুফিয়ান (রাঃ) বলেন, এর দ্বারা আয়শা (রাঃ) তাঁর দৃষ্টি শক্তি চলে যাওয়ার কথা উদ্দেশ্য করেছেন। হাসান ইবনু সাবিত আয়শা (রাঃ) এর প্রশংসায় নিম্নের ছন্দ দুটি পাঠ করলেন, একজন পবিত্র ও জ্ঞানী মহিলা যার চরিত্রে কোন সন্দেহ করা হয়না। সতীধর্মী মহিলাদের মাংস ভক্ষন থেকে মুক্ত অবস্থায় ভোরে ওঠে। (অর্থাৎ তিনি কারও গীবত করেন না) আয়শা (রাঃ) বললেন, কিন্তু তুমি (এ চরিত্রের নও)।
باب يعظكم الله أن تعودوا لمثله أبدا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ جَاءَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ يَسْتَأْذِنُ عَلَيْهَا قُلْتُ أَتَأْذَنِينَ لِهَذَا قَالَتْ أَوَلَيْسَ قَدْ أَصَابَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ. قَالَ سُفْيَانُ تَعْنِي ذَهَابَ بَصَرِهِ. فَقَالَ حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ قَالَتْ لَكِنْ أَنْتَ. .. .
Narrated Masruq:
`Aisha said that Hassan bin Thabit came and asked permission to visit her. I said, "How do you permit such a person?" She said, "Hasn't he received a severely penalty?" (Sufyan, the subnarrator, said: She meant the loss of his sight.) Thereupon Hassan said the following poetic verse: "A chaste pious woman who arouses no suspicion. She never talks about chaste heedless women behind their backs.' On that she said, "But you are not so."
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “আল্লাহ তমদের জন্য আয়াত সমূহ সুস্পষ্ট ভাবে বিবৃত করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়”।
৪৪০১। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাসসান ইবনু সাবিত আয়শা (রাঃ) এর কাছে এসে নিচের শ্লোকটি আবৃত্তি করলেন। সে একজন পবিত্র মহিলা যার চরিত্রে কোন সন্দেহ করা হয়না। সে সতীধর্মী মহিলাদের মাংস ভক্ষন থেকে মুক্ত অবস্থায় ভোরে ওঠে। আয়শা (রাঃ) বললেন, ’তুমি তো এরুপ নও’। (মাসরুক বললেন) আমি বললাম, আপনি এমন এক ব্যাক্তিকে কেন আপনার কাছে আসতে দিলেন, যার সম্পর্কে আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন। আর যে ব্যাক্তি এর বিরাট অংশ নিজের উপর নিয়েছে, তাঁর জন্য তো রয়েছে কঠিন শাস্তি। আয়শা (রাঃ) বললেন, দৃষ্টিহীনতার চেয়ে কঠোর শাস্তি আর কি হতে পারে? তিনি আরও বললেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরফ হতে জবাব দিতেন।
باب ويبين الله لكم الآيات والله عليم حكيم
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ عَلَى عَائِشَةَ فَشَبَّبَ وَقَالَ حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ قَالَتْ لَسْتَ كَذَاكَ. قُلْتُ تَدَعِينَ مِثْلَ هَذَا يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ (وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ) فَقَالَتْ وَأَىُّ عَذَابٍ أَشَدُّ مِنَ الْعَمَى وَقَالَتْ وَقَدْ كَانَ يَرُدُّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Masruq:
Hassan came to Aisha and said the following poetic Verse: 'A chaste pious woman who arouses no suspicion. She never talks against chaste heedless women behind their backs.' `Aisha said, "But you are not," I said (to `Aisha), "Why do you allow such a person to enter upon you after Allah has revealed: "...and as for him among them who had the greater share therein'?" (24.11) She said, "What punishment is worse than blindness?" She added, "And he used to defend Allah's Apostle against the pagans (in his poetry).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
সুরা আন্কাবুত
মুজাহিদ বলেছেন, وَكَانُوْا مُسْتَبْصِرِيْنَ অর্থাৎ পথহারা। অন্যরা বলেছেন, الْحَيَوَانُ এবং الْحَيُّ শব্দ দু’টি একই। فَلَيَعْلَمَنَّ اللهُ আল্লাহ্ আগে থেকেই তা জানতেন। এখানে ব্যবহৃত হয়েছে فَلِيَمِيْزَاللهُ (যেন আল্লাহ্ তা’আলা চিহ্নিত করেন)-এর অর্থে। যেমন, আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ لِيَمِيْزَ اللهُ الْخَبِيْثَ مِنَالطَّيِّبِ أَثْقَالًا مَّعَ أَثْقَالِهِمْ (যেন আল্লাহ্ তা’আলা খবীছকে ভাল থেকে পৃথক করেন) অর্থাৎ তাদের অপরাধের সাথে।
সুরা রূম
فَلَا يَرْبُوْ অর্থাৎ যে এ আশায় দান করে যে, এর চেয়ে উত্তম বিনিময় পাবে, এতে কোন সওয়াব নেই। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, يُحْبَرُوْنَ তারা নিয়ামত প্রাপ্ত হবে। يَمْهَدُوْنَ তাদের আরাম আয়েশের জায়গা প্রস্তুত করবে। الْوَدْقُ বৃষ্টি। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, هَلْ لَّكُمْ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ এ আয়াত ইলাহ সম্পর্কে। تَخَافُوْنَهُمْ তোমরা কি পছন্দ কর যে, তোমাদের দাস-দাসী তোমাদের অংশীদার হোক, যেমন তোমরা পরস্পরের উত্তরাধিকার হও। يَصَّدَّعُوْنَ পৃথক পৃথক হয়ে যাবে। فَاصْدَعْ স্পষ্ট বর্ণনা কর। ইবনু ’আব্বাস ব্যতীত অন্যে বলেন, ضُعْفٌ এবং ضَعْفٌ উভয়ের অর্থ একই। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, السُّوأَى অপরাধীকে যথাযোগ্য শাস্তি দেয়া।
৪৪১৬। মুহাম্মাদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি কিন্দাবাসীদের সামনে বলছিল, কিয়ামতের দিন ধোঁয়া আসবে এবং মুনাফিকদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দেবে। এ কথা শুনে আমরা ভীত হয়ে পড়লাম। এরপর এবং আমি ইবনু মাসউদ (রাঃ)-এর নিকট এলাম। তখন তিনি তাকিয়ায় ঠেস লাগিয়ে বসেছিলেন। (এ সব ঘটনা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে উঠে বসলেন এবং বললেন, যার জানা আছে সে যেন তা বলে, আর যে না জানে সে যেন বলে, আল্লাহ্ তা’আলাই ভাল জানেন। জ্ঞানের মধ্যে এটাও একটা জ্ঞান যে, যার যে বিষয় জানা নেই সে বলবে “আমি এ বিষয়ে জানিনা।”
আল্লাহ্ তা’আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলেছেন, হে নবী! আপনি বলুন, “আমি আল্লাহর দ্বীনের দিকে আহবানের জন্য তোমাদের নিকট কোন বিনিময় চাই না এবং যারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নই। কুরাইশগণ ইসলাম গ্রহণে দেরী করতে লাগল, সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জন্য বদদোয়া করেন। “হে আল্লাহ্! আপনি তাদের উপর ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর ন্যায় সাত বছর (দুর্ভিক্ষ) দিয়ে আমাকে সাহায্য করুন।” তারপর তারা এমন ভীষণ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পতিত হল যে, তারা তাতে ধ্বংস হয়ে গেল এবং মৃত জন্তু ও তার হাড় খেতে বাধ্য হল। তারা (দুর্ভিক্ষের দরুন) আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে ধোঁয়ার মত দেখতে পেল। তারপর আবূ সুফিয়ান তাঁর কাছে এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! তুমি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার ও তাদের প্রতি সদয় ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছ; অথচ তোমার গোত্রের লোকেরা এখন ধ্বংস হয়ে গেল। সুতরাং আমাদের (এ দুর্ভিক্ষ থেকে) বাঁচার জন্য দোয়া কর।
তখন তিনি এ আয়াত পাঠ করলেন فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) إِلَى قَوْلِهِ (عَائِدُونَ “অতএব, তুমি অপেক্ষা কর সেদিনের, যেদিন স্পষ্ট ধুম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ।” তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে। অবশেষে দুর্ভিক্ষের অবসান হল কিন্তু তারা কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করলো। তখন আল্লাহ্ তা’আলা এদের উদ্দেশ্যেই নাযিল করলেন, যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব। الْبَطْشَةَ এবং لِزَامًا দ্বারা বদরের যুদ্ধ বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ আলিফ, লাম, মীম। রোমকগণ পরাজিত হয়েছে। এবং পরাজয়ের পর শীঘ্রই বিজয়ী হবে। রোমকগণের ঘটনা অতিবাহিত হয়ে গেছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، وَالأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ بَيْنَمَا رَجُلٌ يُحَدِّثُ فِي كِنْدَةَ فَقَالَ يَجِيءُ دُخَانٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَأْخُذُ بِأَسْمَاعِ الْمُنَافِقِينَ وَأَبْصَارِهِمْ، يَأْخُذُ الْمُؤْمِنَ كَهَيْئَةِ الزُّكَامِ. فَفَزِعْنَا، فَأَتَيْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ، وَكَانَ مُتَّكِئًا، فَغَضِبَ فَجَلَسَ فَقَالَ مَنْ عَلِمَ فَلْيَقُلْ، وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ. فَإِنَّ مِنَ الْعِلْمِ أَنْ يَقُولَ لِمَا لاَ يَعْلَمُ لاَ أَعْلَمُ. فَإِنَّ اللَّهَ قَالَ لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم (قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ) وَإِنَّ قُرَيْشًا أَبْطَئُوا عَنِ الإِسْلاَمِ فَدَعَا عَلَيْهِمِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَيْهِمْ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ، فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ حَتَّى هَلَكُوا فِيهَا، وَأَكَلُوا الْمَيْتَةَ وَالْعِظَامَ وَيَرَى الرَّجُلُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ "، فَجَاءَهُ أَبُو سُفْيَانَ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ جِئْتَ تَأْمُرُنَا بِصِلَةِ الرَّحِمِ، وَإِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللَّهَ، فَقَرَأَ (فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ) إِلَى قَوْلِهِ (عَائِدُونَ) أَفَيُكْشَفُ عَنْهُمْ عَذَابُ الآخِرَةِ إِذَا جَاءَ ثُمَّ عَادُوا إِلَى كُفْرِهِمْ فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى (يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى) يَوْمَ بَدْرٍ وَلِزَامًا يَوْمَ بَدْرٍ (الم * غُلِبَتِ الرُّومُ) إِلَى (سَيَغْلِبُونَ) وَالرُّومُ قَدْ مَضَى.
Narrated Masruq:
While a man was delivering a speech in the tribe of Kinda, he said, "Smoke will prevail on the Day of Resurrection and will deprive the hypocrites their faculties of hearing and seeing. The believers will be afflicted with something like cold only thereof." That news scared us, so I went to (Abdullah) Ibn Mas`ud while he was reclining (and told him the story) whereupon he became angry, sat up and said, "He who knows a thing can say, it, but if he does not know, he should say, 'Allah knows best,' for it is an aspect of knowledge to say, 'I do not know,' if you do not know a certain thing. Allah said to His prophet. 'Say (O Muhammad): No wage do I ask of you for this (Qur'an), nor I am one of the pretenders (a person who pretends things which do not exist.)' (38.86) The Qur'aish delayed in embracing Islam for a period, so the Prophet (ﷺ) invoked evil on them, saying, 'O Allah! Help me against them by sending seven years of (famine) like those of Joseph.' So they were afflicted with such a severe year of famine that they were destroyed therein and ate dead animals and bones. They started seeing something like smoke between the sky and the earth (because of severe hunger). Abu Sufyan then came (to the Prophet) and said, "O Muhammad! You came to order us for to keep good relations with Kith and kin, and your kinsmen have now perished, so please invoke Allah (to relieve them).' Then Ibn Mas`ud recited:-- 'Then watch you for the day that the sky will bring forth a kind of smoke plainly visible....but truly you will return! (to disbelief) (44.10-15) Ibn Mas`ud added, Then the punishment was stopped, but truly, they reverted to heathenism (their old way). So Allah (threatened them thus): 'On the day when we shall seize you with a mighty grasp.' (44.16) And that was the day of the Battle of Badr. Allah's saying- "Lizama" (the punishment) refers to the day of Badr Allah's Statement: Alif-Lam-Mim, the Romans have been defeated, and they, after their defeat, will be victorious,' (30.1- 3) (This verse): Indicates that the defeat of Byzantine has already passed.
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ "আমি বানোয়াটকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই"
৪৪৫০। কুতায়বা (রহঃ) … মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি বললেন, হে লোকসকল! যে ব্যাক্তি কোন বিষয়ে জানে সে তা বর্ণনা করবে। আর যে না জানে, তার বলা উচিত, আল্লাহ্ই ভাল জানেন। কেননা অজানা বিষয় সম্বন্ধে আল্লাহ্ই ভাল জানেন। এ কথা বলাও জ্ঞানের লক্ষণ। আল্লাহ্ তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলেছেন, ’বল, এর (কুরআন বা তাওহীদ প্রচারের) জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না এবং আমি বানোয়টকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই।’ (কুরআনে বর্ণিত) ধুম্র সম্পর্কে শীঘ্র আমি তোমাদের বলব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরাইশদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দিলে তারা (এ দাওয়াতে সাড়া দিতে) বিলম্ব করল। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ্! . ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর জীবনকালের দুর্ভিক্ষের সাত বছরের মত দুর্ভিক্ষ দ্বারা তুমি আমাকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য কর। এরপর দুর্ভিক্ষ তাদেরকে গ্রাস করে নিল। শেষ হয়ে গেল সমস্ত কিছু। অবশেষ তারা মৃত জন্তু ও চামড়া খেতে লাগল। তখন তাদের কেউ আকাশের দিকে তাকালে ক্ষুধার জ্বালায় চোখে আকাশ ও তার মধ্যে ধোঁয়া দেখত।
আল্লাহ্ বললেন, “অতএব তুমি সেদিনের অপেক্ষা কর, যেদিন ধোঁয়া হবে আকাশে, এবং তা আচ্ছন্ন করে ফেলবে সকল মানুষ। এ তো মর্মন্তুদ শাস্তি।” রাবী বলেন, তারপর তারা দোয়া করল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ আযাব থেকে মুক্তি দাও, আমরা ঈমান আনব। তারা কিভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে? তাদের কাছে তো এসেছে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাদাতা এক রাসূল। তারপর তারা মুখ ফিরিয়ে নিল তাঁর থেকে এবং বলল, সে তো শিখানো বুলি আওড়ায়, সে তো এক উন্মাদ। আমি তোমাদের শাস্তি কিছুকালের জন্য রহিত করছি। তোমরা তো অবশ্য তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে। (ইবনু মাসউদ বলেন), কিয়ামতের দিনও কি তাদের থেকে আযাব রহিত করা হবে? তিনি (ইবনু মাসউদ) বলেন, আযাব দূর করা হলে তারা পুনরায় কুফরীর দিকে ফিরে গেল। তারপর আল্লাহ তা’আলা বদর যুদ্ধের দিন তাদের পাকড়াও করলেন। আল্লাহ্ বলেন, যেদিন আমি তোমাদের কঠোরভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি তোমাদের শাস্তি দেবই।
باب قوله وما أنا من المتكلفين
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ عَلِمَ شَيْئًا فَلْيَقُلْ بِهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْلَمْ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ، فَإِنَّ مِنَ الْعِلْمِ أَنْ يَقُولَ لِمَا لاَ يَعْلَمُ اللَّهُ أَعْلَمُ، قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم (قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ) وَسَأُحَدِّثُكُمْ عَنِ الدُّخَانِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا قُرَيْشًا إِلَى الإِسْلاَمِ فَأَبْطَئُوا عَلَيْهِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَيْهِمْ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ "، فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ فَحَصَّتْ كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْمَيْتَةَ وَالْجُلُودَ حَتَّى جَعَلَ الرَّجُلُ يَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ دُخَانًا مِنَ الْجُوعِ، قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ) قَالَ فَدَعَوْا (رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ * أَنَّى لَهُمُ الذِّكْرَى وَقَدْ جَاءَهُمْ رَسُولٌ مُبِينٌ * ثُمَّ تَوَلَّوْا عَنْهُ وَقَالُوا مُعَلَّمٌ مَجْنُونٌ * إِنَّا كَاشِفُو الْعَذَابِ قَلِيلاً إِنَّكُمْ عَائِدُونَ) أَفَيُكْشَفُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ فَكُشِفَ ثُمَّ عَادُوا فِي كُفْرِهِمْ، فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ يَوْمَ بَدْرٍ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى (يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ).
Narrated Masruq:
We came upon `Abdullah bin Mas`ud and he said "O people! If somebody knows something, he can say it, but if he does not know it, he should say, "Allah knows better,' for it is a sign of having knowledge to say about something which one does not know, 'Allah knows better.' Allah said to His Prophet: 'Say (O Muhammad ! ) No wage do I ask of You for this (Qur'an) nor am I one of the pretenders (a person who pretends things which do not exist).' (38.86) Now I will tell you about Ad- Dukhan (the smoke), Allah's Messenger (ﷺ) invited the Quraish to embrace Islam, but they delayed their response. So he said, "O Allah! Help me against them by sending on them seven years of famine similar to the seven years of famine of Joseph." So the famine year overtook them and everything was destroyed till they ate dead animals and skins. People started imagining to see smoke between them and the sky because of severe hunger. Allah said: 'Then watch you for the Day that the sky will bring forth a kind of smoke plainly visible, covering the people. . . This is painful torment.' (44.10-11) (So they invoked Allah) "Our Lord! Remove the punishment from us really we are believers." How can there be an (effectual) reminder for them when an Apostle, explaining things clearly, has already come to them? Then they had turned away from him and said: 'One taught (by a human being), a madman?' 'We shall indeed remove punishment for a while, but truly, you will revert (to disbelief).' (44.12-15) Will the punishment be removed on the Day of Resurrection?" `Abdullah added, "The punishment was removed from them for a while but they reverted to disbelief, so Allah destroyed them on the Day of Badr. Allah said: 'The day We shall seize you with a mighty grasp. We will indeed (then) exact retribution." (44.16)
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্র বাণীঃ يغشى الناس هذا عذاب أليم "তা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে, এ হবে মর্মন্তুদ শাস্তি।" (৪৪ঃ ১১)
৪৪৬৩। ইয়হ্ইয়া (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, অবস্থা এ জন্য যে, কুরাইশরা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাফরমানী করল, তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে এমন দুর্ভিক্ষের দোয়া করলেন, যেমন দুর্ভিক্ষ হয়েছিল ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়ে। তারপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার কষ্ট এমনভাবে আপতিত হল যে, তারা হাড্ডি খেতে আরম্ভ করল। তখন মানুষ আকাশের দিকে তাকালে ক্ষুধার তাড়নায় তারা আকাশ ও তাদের মধ্যে শুধু ধোঁয়ার মত দেখতে পেত। এ সম্পর্কেই আল্লাহ্ নাযিল করলেন, “অতএব তুমি অপেক্ষা কর সেদিনের, যেদিন স্পষ্ট ধূম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং তা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে মর্মন্তুদ শাস্তি।”
বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট (কাফেরদের পক্ষ থেকে) এক ব্যাক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মুদার গোত্রের জন্য বৃষ্টির দোয়া করুন। তারা তো ধ্বংস হয়ে গেল। তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, মুদার গোত্রের জন্য দোয়া করতে বলছ। তুমি তো খুব সাহসী। তারপর তিনি বৃষ্টির জন্য দোয়া করলেন এবং বৃষ্টি হল। তখন নাযিল হল, তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে। যখন তাদের সচ্ছলতা ফিরে এলো, তখন আবার নিজেদের পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেল। তারপর আল্লাহ্ নাযিল করলেন, “যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি তোমাদের প্রতিশোধ নেবই। বর্ণনাকারী বলেন, অর্থাৎ বদর যুদ্ধের দিন।
باب يغشى الناس هذا عذاب أليم
حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّمَا كَانَ هَذَا لأَنَّ قُرَيْشًا لَمَّا اسْتَعْصَوْا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم دَعَا عَلَيْهِمْ بِسِنِينَ كَسِنِي يُوسُفَ، فَأَصَابَهُمْ قَحْطٌ وَجَهْدٌ حَتَّى أَكَلُوا الْعِظَامَ، فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَى السَّمَاءِ فَيَرَى مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ مِنَ الْجَهْدِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ) قَالَ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَسْقِ اللَّهَ لِمُضَرَ، فَإِنَّهَا قَدْ هَلَكَتْ. قَالَ " لِمُضَرَ إِنَّكَ لَجَرِيءٌ ". فَاسْتَسْقَى فَسُقُوا. فَنَزَلَتْ (إِنَّكُمْ عَائِدُونَ) فَلَمَّا أَصَابَتْهُمُ الرَّفَاهِيَةُ عَادُوا إِلَى حَالِهِمْ حِينَ أَصَابَتْهُمُ الرَّفَاهِيَةُ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (يَوْمَ نَبْطِشُ الْبَطْشَةَ الْكُبْرَى إِنَّا مُنْتَقِمُونَ) قَالَ يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ.
Narrated `Abdullah:
It (i.e., the imagined smoke) was because, when the Quraish refused to obey the Prophet, he asked Allah to afflict them with years of famine similar to those of (Prophet) Joseph. So they were stricken with famine and fatigue, so much so that they ate even bones. A man would look towards the sky and imagine seeing something like smoke between him and the sky because of extreme fatigue. So Allah revealed:-- 'Then watch you for the Day that the sky will bring forth a kind of smoke plainly visible, covering the people; this is a painfull of torment.' (44.10-11) Then someone (Abu Sufyan) came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Invoke Allah to send rain for the tribes of Mudar for they are on the verge of destruction." On that the Prophet (ﷺ) said (astonishingly) "Shall I invoke Allah) for the tribes of Mudar? Verily, you are a brave man!" But the Prophet prayed for rain and it rained for them. Then the Verse was revealed. 'But truly you will return (to disbelief).' (44.15) (When the famine was over and) they restored prosperity and welfare, they reverted to their ways (of heathenism) whereupon Allah revealed: 'On the Day when We shall seize you with a Mighty Grasp. We will indeed (then) exact retribution.' (44.16) The narrator said, "That was the day of the Battle of Badr."
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্র বাণীঃ ربنا اكشف عنا العذاب إنا مؤمنون "তখন তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এ শাস্তি থেকে মুক্তি দান কর, নিশ্চয়ই আমরা ঈমান আনব।" (৪৪ঃ ১২)
৪৪৬৪। ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) … মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তখন তিনি বললেন, যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই, সে সম্পর্কে আল্লাহ্ই ভাল জানেন, একথা বলাও জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয় আল্লাহ্ তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলেছেন, “বল, আমি এর জন্য তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না এবং আমি বানোয়াটকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই।” কুরাইশরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বাড়াবাড়ি করল এবং বিরোধিতা করল, তখন তিনি দোয়া করলেন, ইয়া আল্লাহ্! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়কার সাত বছরের দুর্ভিক্ষের মত দুর্ভিক্ষ দ্বারা তুমি আমাকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য কর। তারপর দুর্ভিক্ষ তাদেরকে পাকড়াও করল।
ক্ষুধার জ্বালায় তারা হাড্ডি এবং মরা খেতে আরম্ভ করল। এমনকি তাদের কোন ব্যাক্তি আকাশের দিকে তাকালে ক্ষুধার জ্বালায় তার ও আকাশের মাঝে শুধু ধোঁয়ার মতই দেখতে পেত। তখন তারা বলল, “হে আমাদের রব! আমাদের থেকে এ শাস্তি সরিয়ে নাও, নিশ্চয়ই আমরা ঈমান আনব।” তাঁকে বলা হল, যদি আমি তাদের থেকে শাস্তি রহিত করে দেই, তাহলে তারা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। তারপর তিনি তাঁর রবের নিকট দোয়া করলেন। আল্লাহ্ তাদের থেকে শাস্তি রহিত করে দিলেন; কিন্তু তারা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে এল। তাই আল্লাহ্ বদর যুদ্ধের দিন তাদের থেকে প্রতিশোধ নিলেন। নিম্নোক্ত আয়াতসমূহে এ কথাই বর্ণনা করা হয়েছে। আয়াতيَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ إِلَى قَوْلِهِ جَلَّ ذِكْرُهُ إِنَّا مُنْتَقِمُونَ পর্যন্ত।
باب قوله ربنا اكشف عنا العذاب إنا مؤمنون
حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنَّ مِنَ الْعِلْمِ أَنْ تَقُولَ لِمَا لاَ تَعْلَمُ اللَّهُ أَعْلَمُ، إِنَّ اللَّهَ قَالَ لِنَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم (قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ)
إِنَّ قُرَيْشًا لَمَّا غَلَبُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاسْتَعْصَوْا عَلَيْهِ قَالَ اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَيْهِمْ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ أَكَلُوا فِيهَا الْعِظَامَ وَالْمَيْتَةَ مِنْ الْجَهْدِ حَتَّى جَعَلَ أَحَدُهُمْ يَرَى مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ مِنْ الْجُوعِ قَالُوا رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ فَقِيلَ لَهُ إِنْ كَشَفْنَا عَنْهُمْ عَادُوا فَدَعَا رَبَّهُ فَكَشَفَ عَنْهُمْ فَعَادُوا فَانْتَقَمَ اللَّهُ مِنْهُمْ يَوْمَ بَدْرٍ فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ إِلَى قَوْلِهِ جَلَّ ذِكْرُهُ إِنَّا مُنْتَقِمُونَ.
Narrated `Abdullah:
It is a sign of having knowledge that, when you do not know something, you say: 'Allah knows better.' Allah said to his Prophet: 'Say: No wage do I ask of you for this (Qur'an), nor am I one of the pretenders (a person who pretends things which do not exist)' (38.86) When the Quraish troubled and stood against the Prophet (ﷺ) he said, "O Allah! Help me against them by afflicting them with seven years of famine like the seven years of Joseph." So they were stricken with a year of famine during which they ate bones and dead animals because of too much suffering, and one of them would see something like smoke between him and the sky because of hunger. Then they said: Our Lord! Remove the torment from us, really we are believers. (44.12) And then it was said to the Prophet (by Allah), "If we remove it from them. they will revert to their ways (of heathenism)." So the Prophet (ﷺ) invoked his Lord, who removed the punishment from them, but later they reverted (to heathenism), whereupon Allah punished them on the day of the Battle of Badr, and that is what Allah's Statement indicates: 'Then watch for the day that the sky will bring forth a kind of smoke plainly visible...we will indeed (then) exact retribution.' (44.10).
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্র বাণীঃ أنى لهم الذكرى وقد جاءهم رسول مبين তারা কি করে উপদেশ গ্রহন করবে? তাদের নিকট তো এসেছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দানকারী এক রাসুল। (৪৪ঃ ১৩) الذكر এবং الذكرى একার্থবোধক শব্দ।
৪৪৬৫। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহর কাছে গেলাম। তারপর তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কুরাইশদের ইসলামের দাওয়াত দিলেন এবং তাঁকে মিথ্যাবাদী বলল ও তার নাফরমানী করল, তখন তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ্! ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময়কার সাত বছরের দুর্ভিক্ষের মত দুর্ভিক্ষ দ্বারা তুমি আমাকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য কর। ফলে দুর্ভিক্ষ তাদের এমনভাবে গ্রাস করল যে, নির্মূল হয়ে গেল সমস্ত কিছু; অবশেষে তারা মৃতদেহ খেতে আরম্ভ করল। তাদের কেউ দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালে ক্ষুধার জ্বালায় সে তার ও আকাশের মাঝে ধোঁয়ার মতই দেখতে পেত।
এরপর তিনি পাঠ করলেন, “অতএব তুমি অপেক্ষা কর সে দিনের, যে দিন স্পষ্ট ধূম্রাচ্ছন্ন হবে আকাশ এবং তা আবৃত করে ফেলবে মানব জাতিকে। এ হবে মর্মন্তুদ শাস্তি। আমি তোমাদের শাস্তি কিছুকালের জন্য রহিত করছি, তোমরা তো তোমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবে।” পর্যন্ত আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, কিয়ামতের দিনও কি তাদের থেকে শাস্তি রহিত করা হবে? তিনি বলেন,الْبَطْشَةُ الْكُبْرَى দ্বারা বদরের দিনের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
باب أنى لهم الذكرى وقد جاءهم رسول مبين الذكر والذكرى واحد
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا دَعَا قُرَيْشًا كَذَّبُوهُ وَاسْتَعْصَوْا عَلَيْهِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَيْهِمْ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ ". فَأَصَابَتْهُمْ سَنَةٌ حَصَّتْ ـ يَعْنِي ـ كُلَّ شَىْءٍ حَتَّى كَانُوا يَأْكُلُونَ الْمَيْتَةَ فَكَانَ يَقُومُ أَحَدُهُمْ فَكَانَ يَرَى بَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ مِثْلَ الدُّخَانِ مِنَ الْجَهْدِ وَالْجُوعِ ثُمَّ قَرَأَ (فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ) حَتَّى بَلَغَ (إِنَّا كَاشِفُو الْعَذَابِ قَلِيلاً إِنَّكُمْ عَائِدُونَ) قَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَفَيُكْشَفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ وَالْبَطْشَةُ الْكُبْرَى يَوْمَ بَدْرٍ.
Narrated Masruq:
I came upon `Abdullah and he said, "When Allah's Messenger (ﷺ) invited Quraish (to Islam), they disbelieved him and stood against him. So he (the Prophet) said, "O Allah! Help me against them by afflicting them with seven years of famine similar to the seven years of Joseph.' So they were stricken with a year of drought that destroyed everything, and they started eating dead animals, and if one of them got up he would see something like smoke between him and the sky from the severe fatigue and hunger." `Abdullah then recited:-- 'Then watch you for the Day that the sky will bring forth a kind of smoke plainly visible, covering the people. This is a painful torment... (till he reached) ........ We shall indeed remove the punishment for a while, but truly you will revert (to heathenism): (44.10-15) `Abdullah added: "Will the punishment be removed from them on the Day of Resurrection?" He added," The severe grasp" was the Day of the Battle of Badr."
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
সুরা নাজ্ম
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ذُوْ مِرَّةٍ শক্তিশালী। قَابَ قَوْسَيْنِ দুই ধনুকের ছিলার পরিমাণ। ضِيْزَىْ বক্রতা وَأَكْدٰى সে তাঁর দান বন্ধ করে দেয়। رَبُّ الشِّعْرٰى জওযারামীর মিরজাম নক্ষত্র। الَّذِيْوَفّٰى সে তাঁর প্রতি ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করেছে। أَزِفَتْ الْاٰزِفَةُ ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সন্নিকট। سَامِدُوْنَ দ্বারা بَرْطَمَةُ নামক খেলাধুলা বোঝানো হয়েছে। ইকরামা বলেন, হামারিয়্যাহ ভাষায় গান গাওয়াকে سَامِدُوْنَ বলা হয়। ইব্রাহীম (রহঃ) বলেন, أَفَتَجْحَدُوْنَه তোমরা কি তাঁর সঙ্গে বিতর্ক করবে? যারা এ শব্দটিকে أَفَتَجْحَدُوْنَه পড়ে, তাদের কিরাআত অনুসারে এর অর্থ হবে أَفَتَجْحَدُوْنَه তোমরা কি তার কথাকে অস্বীকার করবে? مَا زَاغَ الْبَصَرُ (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি وَمَاطَغٰى এবং তাঁর দৃষ্টি লক্ষ্যভ্রষ্টও হয়নি। فَتَمَارَوْا তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। হাসান (রহঃ) বলেন, إِذَاهَوٰى যখন সে অদৃশ্য হয়ে গেল। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, أَغْنٰىوَأَقْنٰى তিনি দান করলেন এবং খুশী করে দিলেন।
৪৪৯৫। ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) ... মাসরূক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, আম্মা! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তাঁর রবকে দেখেছিলেন? তিনি বললেন, তোমার কথায় আমার গায়ের পশম কাটা দিয়ে খাড়া হয়ে গেছে। তিনটি কথা সম্পর্কে তুমি কি অবগত নও? যে তোমাকে এ তিনটি কথা বলবে সে মিথ্যা বলবে। যদি কেউ তোমাকে বলে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতিপালককে দেখেছেন, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। তারপর তিনি পাঠ করলেন, তিনি দৃষ্টির অধিগম্য নহেন কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত; এবং তিনই সূক্ষদর্শী, সম্যক পরিজ্ঞাত” “মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ্ তাঁর সাথে কথা বলবেন, ওহীর মাধ্যম ছাড়া অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে”। আর যে ব্যাক্তি তোমাকে বলবে যে, আগামীকাল কি হবে সে তা জানে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। তারপর তিনি তিলওয়াত করলেন, “কেউ জাননা আগামীকাল সে কি অর্জন করবে।” এবং তোমাকে যে বলবে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন কথা গোপন রেখেছেন, তাহলেও সে মিথ্যাবাদী। এরপর তিনি পাঠ করলেন, “হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর।” হ্যাঁ, তবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল(আলাইহিস সালাম) কে তাঁর নিজস্ব আকৃতিতে দু’বার দেখেছেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ يَا أُمَّتَاهْ هَلْ رَأَى مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم رَبَّهُ فَقَالَتْ لَقَدْ قَفَّ شَعَرِي مِمَّا قُلْتَ، أَيْنَ أَنْتَ مِنْ ثَلاَثٍ مَنْ حَدَّثَكَهُنَّ فَقَدْ كَذَبَ، مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ كَذَبَ. ثُمَّ قَرَأَتْ (لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الأَبْصَارَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ) (وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَنْ يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلاَّ وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ) وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ فَقَدْ كَذَبَ ثُمَّ قَرَأَتْ (وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا) وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ كَتَمَ فَقَدْ كَذَبَ ثُمَّ قَرَأَتْ (يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ) الآيَةَ، وَلَكِنَّهُ رَأَى جِبْرِيلَ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ فِي صُورَتِهِ مَرَّتَيْنِ.
Narrated Masruq:
I said to `Aisha, "O Mother! Did Prophet Muhammad see his Lord?" Aisha said, "What you have said makes my hair stand on end ! Know that if somebody tells you one of the following three things, he is a liar: Whoever tells you that Muhammad saw his Lord, is a liar." Then Aisha recited the Verse: 'No vision can grasp Him, but His grasp is over all vision. He is the Most Courteous Well-Acquainted with all things.' (6.103) 'It is not fitting for a human being that Allah should speak to him except by inspiration or from behind a veil.' (42.51) `Aisha further said, "And whoever tells you that the Prophet knows what is going to happen tomorrow, is a liar." She then recited: 'No soul can know what it will earn tomorrow.' (31.34) She added: "And whoever tell you that he concealed (some of Allah's orders), is a liar." Then she recited: 'O Apostle! Proclaim (the Message) which has been sent down to you from your Lord..' (5.67) `Aisha added. "But the Prophet (ﷺ) saw Gabriel in his true form twice."
পরিচ্ছেদঃ ২৪০২. নবী (সাঃ) (সা) এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন
৪৬৩৭। হাফস ইবনু উমর (রহঃ) ... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমি তাঁকে ঐ সময় থেকে ভালবাসি, যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, তোমরা চার ব্যাক্তি থেকে কুরআন শিক্ষা কর- আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ), সালিম (রাঃ), মুআয (রাঃ) এবং উবায় ইবনু কা’ব (রাঃ)।
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، ذَكَرَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ فَقَالَ لاَ أَزَالُ أُحِبُّهُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " خُذُوا الْقُرْآنَ مِنْ أَرْبَعَةٍ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَسَالِمٍ وَمُعَاذٍ وَأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ ".
Narrated Masriq:
`Abdullah bin `Amr mentioned `Abdullah bin Masud and said, "I shall ever love that man, for I heard the Prophet (ﷺ) saying, 'Take (learn) the Qur'an from four: `Abdullah bin Masud, Salim, Mu`adh and Ubai bin Ka`b.' "
পরিচ্ছেদঃ ২৪০২. নবী (সাঃ) (সা) এর যে সব সাহাবী ক্বারী ছিলেন
৪৬৪০। উমর ইবনু হাফস (রহঃ) ... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, আল্লাহর কিতাবের অবতীর্ণ প্রতিটি সূরা সম্পর্কে আমি জানি যে, তা কোথায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং প্রতিটি আয়াত সম্পর্কেই আমি জানি যে, তা কার সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। আমি যদি জানতাম যে, কোন ব্যাক্তি আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে আমার চাইতে অধিক জ্ঞাত এবং সেখানে উট গিয়ে পৌঁছতে পারে, তাহলে সওয়ার হয়ে আমি সেখানে গিয়ে পৌঁছতাম।
باب الْقُرَّاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ غَيْرُهُ مَا أُنْزِلَتْ سُورَةٌ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلاَّ أَنَا أَعْلَمُ أَيْنَ أُنْزِلَتْ وَلاَ أُنْزِلَتْ آيَةٌ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلاَّ أَنَا أَعْلَمُ فِيمَ أُنْزِلَتْ، وَلَوْ أَعْلَمُ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنِّي بِكِتَابِ اللَّهِ تُبَلِّغُهُ الإِبِلُ لَرَكِبْتُ إِلَيْهِ.
Narrated `Abdullah (bin Mas`ud):
By Allah other than Whom none has the right to be worshipped! There is no Sura revealed in Allah's Book but I know at what place it was revealed; and there is no Verse revealed in Allah's Book but I know about whom it was revealed. And if I know that there is somebody who knows Allah's Book better than I, and he is at a place that camels can reach, I would go to him.
পরিচ্ছেদঃ ২০৪৪. যে ব্যক্তি তার স্ত্রীদেরকে ইখ্তিয়ার দিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ হে নবী ! আপনি আপনার সহধর্মিণীদের বলুন, ‘তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর, তবে এস আমি তোমাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদেরকে বিদায় করে দেই।
৪৮৮৬। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আয়িশা (রাঃ) কে ইখতিয়ার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম (অর্থাৎ এতে তালাক হবে কিনা)। তিনি উত্তর দিলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন। তাহলে সেটা কি তালাক ছিল? মাসরুক বলেনঃ তবে সে (স্ত্রী) আমাকে গ্রহণ করার পর আমি তাকে একবার ইখতিয়ার দেই বা শতবার দেই (তাতে কিছু মনে করব না)।
باب مَنْ خَيَّرَ نِسَاءَهُ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {قُلْ لأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلاً
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَامِرٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنِ الْخِيَرَةِ،، فَقَالَتْ خَيَّرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَفَكَانَ طَلاَقًا قَالَ مَسْرُوقٌ لاَ أُبَالِي أَخَيَّرْتُهَا وَاحِدَةً أَوْ مِائَةً بَعْدَ أَنْ تَخْتَارَنِي.
Narrated Masruq:
I asked `Aisha about the option: She said, "The Prophet (ﷺ) gave us the option. Do you think that option was considered as a divorce?" I said, "It matters little to me if I give my wife the option once or a hundred times after she has chosen me."