৪১২২

পরিচ্ছেদঃ ২২৫৪. সূরাতুল ফাতিহা (ফাতিহাতুল কিতাব) প্রসঙ্গে। সূরাহ ফাতিহাকে উম্মুল কিতাব (কিতাবের মুল) হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, সূরাহ ফাতিহা লেখা দ্বারাই কুরআন গ্রন্থাকারে লিখা শুরু হয়েছে। আর সূরাহ ফাতিহা পাঠের মাধ্যমে স্বলাত আরম্ভ করা হয়। “দীন” অর্থ – ভাল ও মন্দের প্রতিফল । যেমন বলা হয়ে থাকে [وَالشَّرِّ كَمَا تَدِيْنُ تُدَانُ] “যেমন কর্ম তেমন ফল” । আর মুজাহিদ (র) বলেন, بِالدِّيْنِ - হিসাব –নিকাশ । مَدِيْنِيْنَ যার হিসাব নেওয়া হবে।

(الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ) اسْمَانِ مِنْ الرَّحْمَةِ الرَّحِيْمُ وَالرَّاحِمُ بِمَعْنًى وَاحِدٍ كَالْعَلِيْمِ وَالْعَالِمِ.

’’রহমান ও রহীম’’ শব্দদ্বয় ’রহমত’ শব্দ থেকে নিষ্পন্ন এবং রহীম ও র-হিম দু’টো শব্দই একই অর্ধবোধক যেমন ’আলীম ও আ-লিম।


৪১২২। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ ইবনু মুআল্লা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একদা মসজিদে নববীতে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকেন। কিন্তু সে ডাকে আমি সাড়া দেইনি। পরে আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি সালাতরত ছিলাম। (এ কারণে জবাব দিতে পারিনি)। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ কি বলেন নি যে, হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডাকেও যখন তিনি তোমাদেরকে আহবান করেন। (৮ঃ ২৪)। তারপর তিনি আমাকে বললেন, তুমি মসজিদ থেকে বের হওয়ার পূর্বেই তোমাকে আমি কুরআনের এক মহান সূরা শিক্ষা দিব। তারপর তিনি আমার হাত ধরেন। এরপর যখন তিনি মসজিদ থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আপনি না আমাকে কুরআনের শ্রেষ্ঠতম সূরা শিক্ষা দিবেন বলে বলছিলেন? তিনি বললেন,الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক, এটা বারবার পঠিত সাতটি আয়াত এবং মহান কুরআন যা আমাকেই প্রদান করা হয়েছে।

باب ما جاء في فاتحة الكتاب وسميت أم الكتاب أنه يبدأ بكتابتها في المصاحف ويبدأ بقراءتها في الصلاة والدين الجزاء في الخير والشر كما تدين تدان وقال مجاهد بالدين بالحساب مدينين محاسبين

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدِ بْنِ الْمُعَلَّى، قَالَ كُنْتُ أُصَلِّي فِي الْمَسْجِدِ فَدَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ أُجِبْهُ، فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي كُنْتُ أُصَلِّي‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَلَمْ يَقُلِ اللَّهُ ‏(‏اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ‏)‏ ثُمَّ قَالَ لِي لأُعَلِّمَنَّكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ السُّوَرِ فِي الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ مِنَ الْمَسْجِدِ ‏"‏‏.‏ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِي، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ قُلْتُ لَهُ أَلَمْ تَقُلْ ‏"‏ لأُعَلِّمَنَّكَ سُورَةً هِيَ أَعْظَمُ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ ‏"‏‏.‏ قَالَ ‏"‏ ‏(‏الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ‏)‏ هِيَ السَّبْعُ الْمَثَانِي وَالْقُرْآنُ الْعَظِيمُ الَّذِي أُوتِيتُهُ ‏"‏‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن شعبة، قال حدثني خبيب بن عبد الرحمن، عن حفص بن عاصم، عن ابي سعيد بن المعلى، قال كنت اصلي في المسجد فدعاني رسول الله صلى الله عليه وسلم فلم اجبه، فقلت يا رسول الله اني كنت اصلي‏.‏ فقال ‏"‏ الم يقل الله ‏(‏استجيبوا لله وللرسول اذا دعاكم‏)‏ ثم قال لي لاعلمنك سورة هي اعظم السور في القران قبل ان تخرج من المسجد ‏"‏‏.‏ ثم اخذ بيدي، فلما اراد ان يخرج قلت له الم تقل ‏"‏ لاعلمنك سورة هي اعظم سورة في القران ‏"‏‏.‏ قال ‏"‏ ‏(‏الحمد لله رب العالمين‏)‏ هي السبع المثاني والقران العظيم الذي اوتيته ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Sa`id bin Al-Mu'alla:

While I was praying in the Mosque, Allah's Messenger (ﷺ) called me but I did not respond to him. Later I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I was praying." He said, "Didn't Allah say'--"Give your response to Allah (by obeying Him) and to His Apostle when he calls you." (8.24) He then said to me, "I will teach you a Sura which is the greatest Sura in the Qur'an, before you leave the Mosque." Then he got hold of my hand, and when he intended to leave (the Mosque), I said to him, "Didn't you say to me, 'I will teach you a Sura which is the greatest Sura in the Qur'an?' He said, "Al-Hamdu-Li l-lah Rabbi-l-`alamin (i.e. Praise be to Allah, the Lord of the worlds) which is Al-Sab'a Al-Mathani (i.e. seven repeatedly recited Verses) and the Grand Qur'an which has been given to me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১২৩

পরিচ্ছেদঃ ২২৫৫. যারা ক্রোধে নিপতিত নয়

৪১২৩। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন ইমাম বলবেغَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ তখন তোমরা বলবেآمِينَ‏ অর্থ আল্লাহ আপনি কবূল করুন। যার পড়া ফেরেশতাদের পড়ার সময়ে হবে, তার পূর্বে গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।

باب غير المغضوب عليهم

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا قَالَ الإِمَامُ ‏(‏غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلاَ الضَّالِّينَ‏)‏ فَقُولُوا آمِينَ‏.‏ فَمَنْ وَافَقَ قَوْلُهُ قَوْلَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏

حدثنا عبد الله بن يوسف، اخبرنا مالك، عن سمى، عن ابي صالح، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اذا قال الامام ‏(‏غير المغضوب عليهم ولا الضالين‏)‏ فقولوا امين‏.‏ فمن وافق قوله قول الملاىكة غفر له ما تقدم من ذنبه ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "When the Imam says: 'Ghair-il-Maghdubi `alaihim Walad-Dallin (i.e. not the path of those who earn Your Anger, nor the path of those who went astray (1.7)), then you must say, 'Ameen', for if one's utterance of 'Ameen' coincides with that of the angels, then his past sins will be forgiven."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১২৪

পরিচ্ছেদঃ وعلم ادم الاسماء كلها এবং তিনি আদম (আঃ) কে যাবতীয় নাম শিক্ষা দিলেন (২ঃ ৩১)

৪১২৪। মুসলিম ও খলীফা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন মু’মিনগণ একত্রিত হবে এবং তারা বলবে, আমরা যদি আমাদের রবের কাছে আমাদের জন্য একজন সুপারিশকারী পেতাম। এরপর তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে এবং তাঁকে বলবে আপনি মানব জাতির পিতা। আপনাকে আল্লাহ তা’আলা নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন। আর ফেরেশতা দ্বারা আপনাকে সিজদা করিয়েছেন এবং যাবতীয় বস্তুর নাম আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন। অতএব আপনি আপনার রবের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন, যেন আমাদের কঠিন স্থান থেকে আরাম দিতে পারেন। তিনি বলবেন, তোমাদের এ কাজের আমার সাহস হচ্ছে না। তিনি নিজ ভুলের কথা স্মরণ করে লজ্জাবোধ করবেন। (তিনি বলবেন) তোমরা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তিনিই প্রথম রাসূল যাকে আল্লাহ জগতবাসীর কাছে পাঠিয়েছেন।

তখন তারা তাঁর শরণাপন্ন হবে। তিনিও বলবেন, তোমাদের এ কাজের জন্য আমার সাহস হচ্ছে না। তিনি তাঁর রবের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন এমন বিষয় যা তাঁর জানা ছিল না। সেকথা স্মরণ করে তিনি লজ্জাবোধ করবেন এবং বলবেন বরং তোমরা আল্লাহর খলীল (ইবরাহীম) (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তারা তখন তাঁর কাছে আসবে, তখন তিনি বলবেন, তোমাদের এ কাজের জন্য আমার সাহস হচ্ছে না। তোমরা মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তিনি এমন বান্দা যে তাঁর সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন এবং তাঁকে তাওরাত গ্রন্থ দান করেছেন। তখন তারা তাঁর কাছে আসবে। তিনি বলবেন, তোমাদের এ কাজের জন্য আমার সাহস হচ্ছে না এবং তিনি এক কিবতীকে বিনা দোষে হত্যা করার কথা স্মরণ করে তাঁর রবের নিকট লজ্জাবোধ করবেন।

তিনি বলবেন, তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল এবং আল্লাহর বাণী ও রূহ্। (তারা সেখানে যাবে) তিনি বলবেন, তোমাদের এ কাজের জন্য আমার সাহস হচ্ছে না। তোমরা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যাও। তিনি এমন এক বান্দা যার পূর্ব ও পরের ভুলত্রটি আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন। তখন তারা আমার কাছে আসবে। তখন আমি আমার রবের কাছে যাব এবং অনুমতি চাইব, আমাকে অনুমতি প্রদান করা হবে। আর আমি যখন আমার রবকে দেখব, তখন আমি সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আল্লাহ যতক্ষণ চান আমাকে এ অবস্থায় রাখবেন। তারপর বলা হবে, আপনার মাথা উঠান এবং চান দেওয়া হবে, বলুন শোনা হবে, সুপারিশ করুন কবুল করা হবে। তখন আমি আমার মাথা উঠাবো এবং আমাকে যে প্রশংসা সূচক বাক্য শিক্ষা দিবেন তা দ্বারা আমি তাঁর প্রশংসা করব। তারপর সুপারিশ করব। আমাকে একটি সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। (সেই সীমিত সংখ্যায়) আমি তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবো।

আমি পুনরায় রবের সমীপে ফিরে আসব। যখন আমি আমার রবকে দেখব তখন পূর্বের ন্যায় সব কিছু করব। তারপর আমি সুপারিশ করব। আবার আমাকে একটি সীমারেখা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। তদনুসারে আমি তাদের জান্নাতে দাখিল করাবো। (তারপর তৃতীয়বার) আমি আবার রবের নিকটে উপস্থিত হয়ে অনুরূপ করব। এরপর আমি চতুর্থবার ফিরে আসব এবং আরজ করব এখন কেবল তারাই জাহান্নামে অবশিষ্ট রয়ে গেছে যারা কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী আটকে রয়েছে আর যাদের উপর চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকা অবধারিত রয়েছে।

আবূ আবদুল্লাহ বুখারী (রহঃ) বলেন, কুরআনের যে ঘোষণায় তারা জাহান্নামে আবদ্ধ রয়েছে তা হল মহান আল্লাহর বাণীঃخَالِدِينَ فِيهَا অর্থাৎ তারা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে।

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏ وَقَالَ لِي خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ يَجْتَمِعُ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُونَ لَوِ اسْتَشْفَعْنَا إِلَى رَبِّنَا فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ أَبُو النَّاسِ، خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَأَسْجَدَ لَكَ مَلاَئِكَتَهُ، وَعَلَّمَكَ أَسْمَاءَ كُلِّ شَىْءٍ، فَاشْفَعْ لَنَا عِنْدَ رَبِّكَ حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا‏.‏ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ـ وَيَذْكُرُ ذَنْبَهُ فَيَسْتَحِي ـ ائْتُوا نُوحًا فَإِنَّهُ أَوَّلُ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ‏.‏ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ‏.‏ وَيَذْكُرُ سُؤَالَهُ رَبَّهُ مَا لَيْسَ لَهُ بِهِ عِلْمٌ فَيَسْتَحِي، فَيَقُولُ ائْتُوا خَلِيلَ الرَّحْمَنِ‏.‏ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ، ائْتُوا مُوسَى عَبْدًا كَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَعْطَاهُ التَّوْرَاةَ‏.‏ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ‏.‏ وَيَذْكُرُ قَتْلَ النَّفْسِ بِغَيْرِ نَفْسٍ فَيَسْتَحِي مِنْ رَبِّهِ فَيَقُولُ ائْتُوا عِيسَى عَبْدَ اللَّهِ وَرَسُولَهُ، وَكَلِمَةَ اللَّهِ وَرُوحَهُ‏.‏ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ، ائْتُوا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم عَبْدًا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ‏.‏ فَيَأْتُونِي فَأَنْطَلِقُ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ ‏(‏لِي‏)‏ فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي وَقَعْتُ سَاجِدًا، فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَسَلْ تُعْطَهْ، وَقُلْ يُسْمَعْ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ‏.‏ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُهُ بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ، ثُمَّ أَشْفَعُ، فَيَحُدُّ لِي حَدًّا، فَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ، ثُمَّ أَعُودُ إِلَيْهِ، فَإِذَا رَأَيْتُ رَبِّي ـ مِثْلَهُ ـ ثُمَّ أَشْفَعُ، فَيَحُدُّ لِي حَدًّا، فَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ‏(‏ثُمَّ أَعُودُ الثَّالِثَةَ‏)‏ ثُمَّ أَعُودُ الرَّابِعَةَ فَأَقُولُ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ وَوَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ ‏"‏ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ ‏"‏‏.‏ يَعْنِي قَوْلَ اللَّهِ تَعَالَى ‏(‏خَالِدِينَ فِيهَا‏)‏‏.‏

حدثنا مسلم بن ابراهيم، حدثنا هشام، حدثنا قتادة، عن انس ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم‏.‏ وقال لي خليفة حدثنا يزيد بن زريع حدثنا سعيد عن قتادة عن انس ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ يجتمع المومنون يوم القيامة فيقولون لو استشفعنا الى ربنا فياتون ادم فيقولون انت ابو الناس، خلقك الله بيده واسجد لك ملاىكته، وعلمك اسماء كل شىء، فاشفع لنا عند ربك حتى يريحنا من مكاننا هذا‏.‏ فيقول لست هناكم ـ ويذكر ذنبه فيستحي ـ اىتوا نوحا فانه اول رسول بعثه الله الى اهل الارض‏.‏ فياتونه فيقول لست هناكم‏.‏ ويذكر سواله ربه ما ليس له به علم فيستحي، فيقول اىتوا خليل الرحمن‏.‏ فياتونه فيقول لست هناكم، اىتوا موسى عبدا كلمه الله واعطاه التوراة‏.‏ فياتونه فيقول لست هناكم‏.‏ ويذكر قتل النفس بغير نفس فيستحي من ربه فيقول اىتوا عيسى عبد الله ورسوله، وكلمة الله وروحه‏.‏ فيقول لست هناكم، اىتوا محمدا صلى الله عليه وسلم عبدا غفر الله له ما تقدم من ذنبه وما تاخر‏.‏ فياتوني فانطلق حتى استاذن على ربي فيوذن ‏(‏لي‏)‏ فاذا رايت ربي وقعت ساجدا، فيدعني ما شاء الله ثم يقال ارفع راسك، وسل تعطه، وقل يسمع، واشفع تشفع‏.‏ فارفع راسي فاحمده بتحميد يعلمنيه، ثم اشفع، فيحد لي حدا، فادخلهم الجنة، ثم اعود اليه، فاذا رايت ربي ـ مثله ـ ثم اشفع، فيحد لي حدا، فادخلهم الجنة ‏(‏ثم اعود الثالثة‏)‏ ثم اعود الرابعة فاقول ما بقي في النار الا من حبسه القران ووجب عليه الخلود ‏"‏‏.‏ قال ابو عبد الله ‏"‏ الا من حبسه القران ‏"‏‏.‏ يعني قول الله تعالى ‏(‏خالدين فيها‏)‏‏.‏


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection the Believers will assemble and say, 'Let us ask somebody to intercede for us with our Lord.' So they will go to Adam and say, 'You are the father of all the people, and Allah created you with His Own Hands, and ordered the angels to prostrate to you, and taught you the names of all things; so please intercede for us with your Lord, so that He may relieve us from this place of ours.' Adam will say, 'I am not fit for this (i.e. intercession for you).' Then Adam will remember his sin and feel ashamed thereof. He will say, 'Go to Noah, for he was the first Apostle, Allah sent to the inhabitants of the earth.' They will go to him and Noah will say, 'I am not fit for this undertaking.' He will remember his appeal to his Lord to do what he had no knowledge of, then he will feel ashamed thereof and will say, 'Go to the Khalil--r-Rahman (i.e. Abraham).' They will go to him and he will say, 'I am not fit for this undertaking. Go to Moses, the slave to whom Allah spoke (directly) and gave him the Torah .' So they will go to him and he will say, 'I am not fit for this undertaking.' and he will mention (his) killing a person who was not a killer, and so he will feel ashamed thereof before his Lord, and he will say, 'Go to Jesus, Allah's Slave, His Apostle and Allah's Word and a Spirit coming from Him. Jesus will say, 'I am not fit for this undertaking, go to Muhammad the Slave of Allah whose past and future sins were forgiven by Allah.' So they will come to me and I will proceed till I will ask my Lord's Permission and I will be given permission. When I see my Lord, I will fall down in Prostration and He will let me remain in that state as long as He wishes and then I will be addressed.' (Muhammad!) Raise your head. Ask, and your request will be granted; say, and your saying will be listened to; intercede, and your intercession will be accepted.' I will raise my head and praise Allah with a saying (i.e. invocation) He will teach me, and then I will intercede. He will fix a limit for me (to intercede for) whom I will admit into Paradise. Then I will come back again to Allah, and when I see my Lord, the same thing will happen to me. And then I will intercede and Allah will fix a limit for me to intercede whom I will let into Paradise, then I will come back for the third time; and then I will come back for the fourth time, and will say, 'None remains in Hell but those whom the Qur'an has imprisoned (in Hell) and who have been destined to an eternal stay in Hell.' " (The compiler) Abu `Abdullah said: 'But those whom the Qur'an has imprisoned in Hell,' refers to the Statement of Allah: "They will dwell therein forever." (16.29)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১২৫

পরিচ্ছেদঃ ২২৫৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ কাজেই জেনেশুনে কাউকে তোমরা আল্লাহর সমকক্ষ দাঁড় করবে না (২ঃ ২২)

بَاب قَالَ مُجَاهِدٌ إِلَى شَيَاطِينِهِمْ أَصْحَابِهِمْ مِنْ الْمُنَافِقِينَ وَالْمُشْرِكِينَ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ اللَّهُ جَامِعُهُمْ عَلَى الْخَاشِعِينَ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ حَقًّا قَالَ مُجَاهِدٌ بِقُوَّةٍ يَعْمَلُ بِمَا فِيهِ وَقَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ مَرَضٌ شَكٌّ وَمَا خَلْفَهَا عِبْرَةٌ لِمَنْ بَقِيَ لَا شِيَةَ لَا بَيَاضَ وَقَالَ غَيْرُهُ يَسُومُونَكُمْ يُولُونَكُمْ الْوَلَايَةُ مَفْتُوحَةٌ مَصْدَرُ الْوَلَاءِ وَهِيَ الرُّبُوبِيَّةُ إِذَا كُسِرَتْ الْوَاوُ فَهِيَ الْإِمَارَةُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ الْحُبُوبُ الَّتِي تُؤْكَلُ كُلُّهَا فُومٌ وَقَالَ قَتَادَةُ فَبَاءُوا فَانْقَلَبُوا وَقَالَ غَيْرُهُ يَسْتَفْتِحُونَ يَسْتَنْصِرُونَ شَرَوْا بَاعُوا رَاعِنَا مِنْ الرُّعُونَةِ إِذَا أَرَادُوا أَنْ يُحَمِّقُوا إِنْسَانًا قَالُوا رَاعِنًا لَا يَجْزِي لَا يُغْنِي خُطُوَاتِ مِنْ الْخَطْوِ وَالْمَعْنَى آثَارَهُ ابْتَلَى اخْتَبَرَ

২২৫৬. অনুচ্ছেদঃ মুজাহিদ (রহ.) বলেন, إِلَى شَيَاطِيْنِهِمْ তাদের সঙ্গী-সাথী মুনাফিক ও মুশরিক। مُحِيْطٌ بِالْكَافِرِيْنَ -আল্লাহ কাফিরদের পরিবেষ্টন করে আছেন- (২ঃ ১৯)। অর্থাৎ আল্লাহ তাদের একত্রকারী। صِبْغَةَ অর্থাৎ দ্বীন। عَلَى الْخَاشِعِيْنَ-প্রকৃত মু’মিনদের নিকট। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, بِقُوَّةٍ-তাতে যা আছে তা ’আমল করে। আবুল আলিয়া (রহ.) বলেন, مَرَضٌ-সন্দেহ। وَمَا خَلْفَهَا -পরবর্তীদের জন্য নাসীহাত। لَا شِيَةَ -দাগ বিহীন। অন্যরা বলেন, يَسُوْمُوْنَكُمْ-তারা তোমাদের কষ্ট দিত- (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/৪৯)। الْوَلَايَةُ আল ওয়াও মাফতুহ্ অবস্থায় الْوَلَاء আল-ওয়ালা এর ধাতু। অর্থাৎ প্রভুত্ব, আর যখন ’ওয়াও’-কে যের দেয়া হবে, তখন অর্থ দাঁড়াবে নেতৃত্ব। কেউ কেউ বলেন, যে সমস্ত বীজ খাওয়া হয় তাকে ফুম فُوْمٌ বলে। ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেন, فَبَاءُوْا তারা (আল্লাহর গযবের দিকে) ফিরে গেল। يَسْتَفْتِحُوْنَ তারা সাহায্য চাইতো। شَرَوْا-তারা বিক্রি করল। رَاعِنَا নির্গত হয়েছে الرُّعُوْنَةِ মাসদার থেকে। যখন তারা লোককে বোকা বানাতে চাইত তখন বলত, রায়িনা رَاعِنَا

لَا يَجْزِي অর্থাৎ কোন কাজে আসবে না। ابْتَلَى -পরীক্ষা করলেন। خُطُوَاتِ নির্গত (خطو) থেকে, অর্থ পদচিহ্ন।


৪১২৫। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, কোন গুনাহ আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বড়? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য সমকক্ষ দাঁড় করানো। অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি বললাম, এতো সত্যি বড় গুনাহ। আমি বললাম, তারপর কোন গুনাহ? তিনি উত্তর দিলেন, তুমি তোমার সন্তানকে এই ভয়ে হত্যা করবে যে সে তোমার সাথে আহার করবে। আমি আরয করলাম, এরপর কেনটি? তিনি উত্তর দিলেন, তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে তোমার ব্যভিচার করা।

باب قوله تعالى فلا تجعلوا لله أندادا وأنتم تعلمون

حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الذَّنْبِ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ أَنْ تَجْعَلَ لِلَّهِ نِدًّا وَهْوَ خَلَقَكَ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ إِنَّ ذَلِكَ لَعَظِيمٌ، قُلْتُ ثُمَّ أَىُّ قَالَ ‏"‏ وَأَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ تَخَافُ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ ثُمَّ أَىُّ قَالَ ‏"‏ أَنْ تُزَانِيَ حَلِيلَةَ جَارِكَ ‏"‏‏.‏

حدثني عثمان بن ابي شيبة، حدثنا جرير، عن منصور، عن ابي واىل، عن عمرو بن شرحبيل، عن عبد الله، قال سالت النبي صلى الله عليه وسلم اى الذنب اعظم عند الله قال ‏"‏ ان تجعل لله ندا وهو خلقك ‏"‏‏.‏ قلت ان ذلك لعظيم، قلت ثم اى قال ‏"‏ وان تقتل ولدك تخاف ان يطعم معك ‏"‏‏.‏ قلت ثم اى قال ‏"‏ ان تزاني حليلة جارك ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah:

I asked the Prophet, "What is the greatest sin in the Sight of Allah?" He said, "That you set up a rival unto Allah though He Alone created you." I said, "That is indeed a great sin." Then asked, "What is next?" He said, "To kill your son lest he should share your food with you." I asked, "What is next?" He said, "To commit illegal sexual intercourse with the wife of your neighbor."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১২৬

পরিচ্ছেদঃ ২২৫৮. মহান আল্লহর বাণীঃ “আর আমি মেঘমালা দিয়ে তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি মান্না ও সালওয়া । তোমরা খাও সেসব পবিত্র বস্তু যা আমি তোমাদেরকে দান করেছি । তারা আমার প্রতি কোন জুলুম করেনি বরং তারা নিজেদের উপরই জুলুম করেছিল । (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ৫৭) মুজাহিদ (র) বলেন, মান্না শিশির জাতীয় সুস্বাদু খাদ্য (যা পাথর ও গাছের উপর অবতীর্ণ হত পরে জমে গিয়ে ব্যাঙের ছাতার মত হত) আর সাল্ওয়া-পাখি।

৪১২৬। আবূ নুআইম (রহঃ) ... সাঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃالْكَمْأَةُ আল কামাআত (ব্যাঙের ছাতা) মান্ন জাতীয়। আর তার পানি চক্ষু রোগের শিফা।

باب وقوله تعالى وظللنا عليكم الغمام وأنزلنا عليكم المن والسلوى كلوا من طيبات ما رزقناكم وما ظلمونا ولكن كانوا أنفسهم يظلمون وقال مجاهد المن صمغة والسلوى الطير

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ، وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو نعيم، حدثنا سفيان، عن عبد الملك، عن عمرو بن حريث، عن سعيد بن زيد ـ رضى الله عنه ـ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الكماة من المن، وماوها شفاء للعين ‏"‏‏.‏


Narrated Sa`id bin Zaid:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "The Kam'a (i.e. a kind of edible fungus) is like the Manna (in that it is obtained without effort) and its water is a (medicine) cure for eye trouble."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১২৭

পরিচ্ছেদঃ ২২৫৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ “স্মরন করুন, যখন আমি বললাম, এই জনপদে প্রবেশ কর, যেখানে ইচ্ছা স্বাচ্ছন্দে খাও, অবনত মস্তকে প্রবেশ কর দার দিয়ে এবং বল حِطَّةٌ ‘ক্ষমা চাই’। আমি তোমাদের ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করব এবং সৎকর্মশীলদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করব”- (সূরাহ আল-বাক্বারা ২/৫৮)। رَغَدَّا প্রভূত স্বাচ্ছন্দ্য।

৪১২৭। মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বনী ইসরাঈলকে বলা হয়েছিল যে, তোমরা সিজদা অবস্থায় শহর দ্বারে প্রবেশ কর এবং বল حِطَّةٌ (ক্ষমা চাই) কিন্তু তারা প্রবেশ করল নিতম্ব হেঁচড়িয়ে এবং নির্দেশিত শব্দকে পরিবর্তন করে তদস্থলে বলল, গম ও যবের দানা। আল্লাহর বাণীঃمَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ ’যারা জিবরীলের শত্রুতা করবে। ’ইকরিমা (রহঃ) বলেন, জবর, মীক, সারাফ অর্থ ’আবদ-বান্দা, ঈল-আল্লাহ। (অর্থ দাঁড়াল আবদুল্লাহ-আল্লাহর বান্দা)

باب وإذ قلنا ادخلوا هذه القرية فكلوا منها حيث شئتم رغدا وادخلوا الباب سجدا وقولوا حطة نغفر لكم خطاياكم وسنزيد المحسنين رغدا واسع كثير

حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ قِيلَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ ‏(‏ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا وَقُولُوا حِطَّةٌ‏)‏ فَدَخَلُوا يَزْحَفُونَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ، فَبَدَّلُوا وَقَالُوا حِطَّةٌ، حَبَّةٌ فِي شَعَرَةٍ ‏"‏‏.‏

حدثني محمد، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، عن ابن المبارك، عن معمر، عن همام بن منبه، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ قيل لبني اسراىيل ‏(‏ادخلوا الباب سجدا وقولوا حطة‏)‏ فدخلوا يزحفون على استاههم، فبدلوا وقالوا حطة، حبة في شعرة ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "It was said to the children of Israel, 'Enter the gate (of the town), prostrate (in humility) and say: Hittatun (i.e. repentance) i.e. O Allah! Forgive our sins.' But they entered by dragging themselves on their buttocks, so they did something different (from what they had been ordered to do) and said, 'Hittatun,' but added, "A grain in a hair."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১২৮

পরিচ্ছেদঃ ২২৫৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ “স্মরন করুন, যখন আমি বললাম, এই জনপদে প্রবেশ কর, যেখানে ইচ্ছা স্বাচ্ছন্দে খাও, অবনত মস্তকে প্রবেশ কর দার দিয়ে এবং বল حِطَّةٌ ‘ক্ষমা চাই’। আমি তোমাদের ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করব এবং সৎকর্মশীলদের প্রতি আমার দান বৃদ্ধি করব”- (সূরাহ আল-বাক্বারা ২/৫৮)। رَغَدَّا প্রভূত স্বাচ্ছন্দ্য।

৪১২৮। আবদুল্লাহ ইবন মুনীর (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শুভাগম বার্তা শুনতে পেলেন। তখন তিনি (আবদুল্লাহ ইবনু সালাম) বাগানে ফল আহরণ করছিলেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, আমি আপনাকে তিনটি বিষয় জিজ্ঞাসা করব যা নবী ব্যতীত অন্য কেউ জানেন না। তা হল কিয়ামতের প্রথম লক্ষণ কি? জান্নাতীদের প্রথম খাদ্য কি হবে? এবং সন্তান কখন পিতার সদৃশ হয় আর কখন মাতার সদৃশ হয়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে জিবরীল(আলাইহিস সালাম) এখনি এসব সম্পর্কে অবহিত করলেন, আবদুল্লাহ ইবনু সালাম বললেন, জিবরীল? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললে, হ্যাঁ। ইবনু সালাম বললেন, সে তো ফেরেশতাদের মধ্যে ইয়াদীদের শত্রু। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত পাঠ করলেন, যে ব্যাক্তি জিবরীলের শত্রু হবে, এ জন্য যে তিনি তো আপনার অন্তরে, (আল্লাহর হুকুমে) ওহী নাযিল করেন। (২ঃ ৯৭)।

কিয়ামতের প্রথম লক্ষণ হল, এক প্রকার আগুন বের হবে যা মানবকুলকে পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত একত্রিত করবে। আর জান্নাতীরা প্রথমে যা আহার করবে তা হল মাছের কলিজার টুকরা। আর যখন পুরুষের বীর্য স্ত্রীর উপর প্রাধান্য লাভ করবে তখন সন্তান পিতার সদৃশ হয় এবং যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের উপ প্রাধান্য লাভ করে তখন সন্তান মাতার সদৃশ হয়।

তখন আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে, আপনি নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসূল। ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদিরা সাংঘাতিক মিথ্যারূপকারী। যদি তারা আপনাকে প্রশ্ন করার পূর্বেই আমার ইসলাম গ্রহণের সংবাদ জেনে যায় তবে তারা আমার প্রতি অপবাদ আনবে। ইতিমধ্যে ইহুদীরা এসে গেল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদীদের জিজ্ঞাসা করলেন, আবদুল্লাহ তোমাদের মধ্যে কেমন লোক? তারা উত্তর দিল, তিনি আমাদের মধ্যে উত্তম এবং আমাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তির পুত্র। তিনি আমাদের নেতা এবং আমাদের নেতার ছেলে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি আবদুল্লাহ ইবনু ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে তোমরা কেমন মনে করবে। তারা বলল, আল্লাহ তাকে এর থেকে পানাহ দিন। তখন [আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)] বের হয়ে এসে বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ নিঃসন্দেহে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। তখন তারা বলল, সে আমাদের মধ্যে মন্দ ব্যাক্তি ও মন্দ ব্যাক্তির ছেলে। তারপর তারা ইবনু সালাম (রাঃ) কে দোষী সাব্যস্ত করে সমালোচনা করতে লাগল। তখন আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটাই আমি ভয় করছিলাম।

باب وإذ قلنا ادخلوا هذه القرية فكلوا منها حيث شئتم رغدا وادخلوا الباب سجدا وقولوا حطة نغفر لكم خطاياكم وسنزيد المحسنين رغدا واسع كثير

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ، بِقُدُومِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي أَرْضٍ يَخْتَرِفُ، فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ ثَلاَثٍ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلاَّ نَبِيٌّ فَمَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَمَا أَوَّلُ طَعَامِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَمَا يَنْزِعُ الْوَلَدُ إِلَى أَبِيهِ أَوْ إِلَى أُمِّهِ قَالَ ‏"‏ أَخْبَرَنِي بِهِنَّ جِبْرِيلُ آنِفًا ‏"‏‏.‏ قَالَ جِبْرِيلُ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏‏.‏ قَالَ ذَاكَ عَدُوُّ الْيَهُودِ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ‏.‏ فَقَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ ‏(‏مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ‏)‏ أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ، وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ حُوتٍ، وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ الْمَرْأَةِ نَزَعَ الْوَلَدَ، وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الْمَرْأَةِ نَزَعَتْ ‏"‏‏.‏ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ‏.‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْيَهُودَ قَوْمٌ بُهُتٌ، وَإِنَّهُمْ إِنْ يَعْلَمُوا بِإِسْلاَمِي قَبْلَ أَنْ تَسْأَلَهُمْ يَبْهَتُونِي‏.‏ فَجَاءَتِ الْيَهُودُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَىُّ رَجُلٍ عَبْدُ اللَّهِ فِيكُمْ ‏"‏‏.‏ قَالُوا خَيْرُنَا وَابْنُ خَيْرِنَا، وَسَيِّدُنَا وَابْنُ سَيِّدِنَا‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ‏"‏‏.‏ فَقَالُوا أَعَاذَهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ‏.‏ فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ‏.‏ فَقَالُوا شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا‏.‏ وَانْتَقَصُوهُ‏.‏ قَالَ فَهَذَا الَّذِي كُنْتُ أَخَافُ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏

حدثنا عبد الله بن منير، سمع عبد الله بن بكر، حدثنا حميد، عن انس، قال سمع عبد الله بن سلام، بقدوم رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في ارض يخترف، فاتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال اني ساىلك عن ثلاث لا يعلمهن الا نبي فما اول اشراط الساعة وما اول طعام اهل الجنة وما ينزع الولد الى ابيه او الى امه قال ‏"‏ اخبرني بهن جبريل انفا ‏"‏‏.‏ قال جبريل قال ‏"‏ نعم ‏"‏‏.‏ قال ذاك عدو اليهود من الملاىكة‏.‏ فقرا هذه الاية ‏(‏من كان عدوا لجبريل فانه نزله على قلبك‏)‏ اما اول اشراط الساعة فنار تحشر الناس من المشرق الى المغرب، واما اول طعام اهل الجنة فزيادة كبد حوت، واذا سبق ماء الرجل ماء المراة نزع الولد، واذا سبق ماء المراة نزعت ‏"‏‏.‏ قال اشهد ان لا اله الا الله، واشهد انك رسول الله‏.‏ يا رسول الله ان اليهود قوم بهت، وانهم ان يعلموا باسلامي قبل ان تسالهم يبهتوني‏.‏ فجاءت اليهود فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اى رجل عبد الله فيكم ‏"‏‏.‏ قالوا خيرنا وابن خيرنا، وسيدنا وابن سيدنا‏.‏ قال ‏"‏ ارايتم ان اسلم عبد الله بن سلام ‏"‏‏.‏ فقالوا اعاذه الله من ذلك‏.‏ فخرج عبد الله فقال اشهد ان لا اله الا الله، وان محمدا رسول الله‏.‏ فقالوا شرنا وابن شرنا‏.‏ وانتقصوه‏.‏ قال فهذا الذي كنت اخاف يا رسول الله‏.‏


Narrated Anas:

`Abdullah bin Salam heard the news of the arrival of Allah's Messenger (ﷺ) (at Medina) while he was on a farm collecting its fruits. So he came to the Prophet (ﷺ) and said, "I will ask you about three things which nobody knows unless he be a prophet. Firstly, what is the first portent of the Hour? What is the first meal of the people of Paradise? And what makes a baby look like its father or mother?'. The Prophet (ﷺ) said, "Just now Gabriel has informed me about that." `Abdullah said, "Gabriel?" The Prophet (ﷺ) said, "Yes." `Abdullah said, "He, among the angels is the enemy of the Jews." On that the Prophet (ﷺ) recited this Holy Verse:-- "Whoever is an enemy to Gabriel (let him die in his fury!) for he has brought it (i.e. Qur'an) down to your heart by Allah's permission." (2.97) Then he added, "As for the first portent of the Hour, it will be a fire that will collect the people from the East to West. And as for the first meal of the people of Paradise, it will be the caudite (i.e. extra) lobe of the fish liver. And if a man's discharge proceeded that of the woman, then the child resembles the father, and if the woman's discharge proceeded that of the man, then the child resembles the mother." On hearing that, `Abdullah said, "I testify that None has the right to be worshipped but Allah, and that you are the Messenger of Allah, O, Allah's Messenger (ﷺ); the Jews are liars, and if they should come to know that I have embraced Islam, they would accuse me of being a liar." In the meantime some Jews came (to the Prophet) and he asked them, "What is `Abdullah's status amongst you?" They replied, "He is the best amongst us, and he is our chief and the son of our chief." The Prophet (ﷺ) said, "What would you think if `Abdullah bin Salam embraced Islam?" They replied, "May Allah protect him from this!" Then `Abdullah came out and said, "I testify that None has the right to be worshipped but Allah and that Muhammad is the Messenger of Allah." The Jews then said, "Abdullah is the worst of us and the son of the worst of us," and disparaged him. On that `Abdullah said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This is what I was afraid of!"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১২৯

পরিচ্ছেদঃ ২২৬০. মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি কোন আয়াত রহিত করলে কিংবা বিস্মৃতি হতে দিলে। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২/১০৬)

৪১২৯। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাঃ) বলেন, উবাই (রাঃ) আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম কারী, আর আলী (রাঃ) আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বিচারক। কিন্তু আমরা উবাই (রাঃ) এর সব কথাই গ্রহণ করি না। কারণ উবাই (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা শুনেছি তা ছেড়ে দিতে পারি না। অথচ আল্লাহ তা’আলা বলে, আমি যে আয়াত রহিত করি অথবা বিস্মৃত হতে দেই ... (২ঃ ১০৬)।

باب قوله ما ننسخ من آية أو ننسها نأت بخير منها

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ أَقْرَؤُنَا أُبَىٌّ، وَأَقْضَانَا عَلِيٌّ، وَإِنَّا لَنَدَعُ مِنْ قَوْلِ أُبَىٍّ، وَذَاكَ أَنَّ أُبَيًّا يَقُولُ لاَ أَدَعُ شَيْئًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏مَا نَنْسَخْ مِنْ آيَةٍ أَوْ نَنْسَأْهَا‏)‏

حدثنا عمرو بن علي، حدثنا يحيى، حدثنا سفيان، عن حبيب، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس، قال قال عمر ـ رضى الله عنه ـ اقرونا ابى، واقضانا علي، وانا لندع من قول ابى، وذاك ان ابيا يقول لا ادع شيىا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد قال الله تعالى ‏(‏ما ننسخ من اية او ننساها‏)‏


Narrated Ibn `Abbas:

`Umar said, "Our best Qur'an reciter is Ubai and our best judge is `Ali; and in spite of this, we leave some of the statements of Ubai because Ubai says, 'I do not leave anything that I have heard from Allah's Messenger (ﷺ) while Allah: "Whatever verse (Revelations) do We abrogate or cause to be forgotten but We bring a better one or similar to it." (2.106)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩০

পরিচ্ছেদঃ ২২৬১. মহান আল্লাহর বানীঃ আর তাঁরা বলেঃ ‘আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি অতি পবিত্র। (সূরাহ আল –বাক্বারা ২/১১৬)

৪১৩০। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, আদম সন্তান আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। অথচ তার তা উচিত নয়। আমাকে গালি দিয়েছে অথচ তার জন্য তা উচিত নয়। তার আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ হল, সে বলে যে, আমি তাকে পূর্বের ন্যায় পুনরুজ্জীবনে সক্ষম নই। আর আমাকে তার গালি প্রদান হল--তার বক্তব্য যে, "আমার সন্তান আছে অথচ আমি স্ত্রী ও সন্তান গ্রহণ থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র।"

باب وقالوا اتخذ الله ولدا سبحانه

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ قَالَ اللَّهُ كَذَّبَنِي ابْنُ آدَمَ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ ذَلِكَ، وَشَتَمَنِي وَلَمْ يَكُنْ لَهُ ذَلِكَ، فَأَمَّا تَكْذِيبُهُ إِيَّاىَ فَزَعَمَ أَنِّي لاَ أَقْدِرُ أَنْ أُعِيدَهُ كَمَا كَانَ، وَأَمَّا شَتْمُهُ إِيَّاىَ فَقَوْلُهُ لِي وَلَدٌ، فَسُبْحَانِي أَنْ أَتَّخِذَ صَاحِبَةً أَوْ وَلَدًا ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن عبد الله بن ابي حسين، حدثنا نافع بن جبير، عن ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ قال الله كذبني ابن ادم ولم يكن له ذلك، وشتمني ولم يكن له ذلك، فاما تكذيبه اياى فزعم اني لا اقدر ان اعيده كما كان، واما شتمه اياى فقوله لي ولد، فسبحاني ان اتخذ صاحبة او ولدا ‏"‏‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah said, 'The son of Adam tells a lie against me though he has no right to do so, and he abuses Me though he has no right to do so. As for his telling a lie against Me, it is that he claims that I cannot recreate him as I created him before; and as for his abusing Me, it is his statement that I have offspring. No! Glorified be Me! I am far from taking a wife or offspring.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩১

পরিচ্ছেদঃ ২২৬২. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থান নির্ধারণ কর। (২ঃ ১২৫) مثابة প্রত্যাবর্তন স্থল। يثوبون অর্থ লোকজন প্রত্যাবর্তন করে।

৪১৩১। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাঃ) বলেছেন, তিনটি বিষয়ে আমার মতামত আল্লাহর ওহীর অনুরূপ হয়েছে অথবা (তিনি বলেছেন) তিনটি বিষয়ে আমার মতামতের অনুকুলে আল্লাহ ওহী নাযিল করেছেন। তা হল, আমি বলেছিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আপনি মাকামে ইবরাহীমকে সালাত (নামায/নামাজ)-এর স্থান হিসাবে গ্রহণ করতেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন। তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানে নির্ধারণ কর (২:১২৫) আমি আরয করেছিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার কাছে ভাল ও মন্দ উভয় প্রকারে লোক আসে। কাজেই আপনি যদি উম্মাহাতুল মু’মিনীনদেরকে (আপনার স্ত্রীদের) পর্দা করার নির্দেশ দিতেন।

তখন আল্লাহ তা’আলা পর্দার আয়াত নাযিল করেন। তিনি আরো বলেন, আমি জানতে পেরেছিলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কতক বিবির প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তখন আমি তাদের কাছে উপস্থিত হই, এবং বলি যে, আপনারা এর থেকে বিরত হবেন অথবা আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূলকে আপনাদের চেয়েও উত্তম স্ত্রী প্রদান করবেন। এরপর আমি তাঁর কোন এক স্ত্রীর কাছে আসি, তখন তিনি বললেন, হে উমর! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণকে নসীহত করে থাকেন আর এখন তুমি তাদের উপদেশ দিতে আরম্ভ করেছ? তখন আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেনঃعَسَى رَبُّهُ إِنْ طَلَّقَكُنَّ أَنْ يُبَدِّلَهُ أَزْوَاجًا خَيْرًا مِنْكُنَّ مُسْلِمَاتٍ নবী যদি তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন তবে তাঁর রব সম্ভবত তোমাদের স্থলে তাঁকে দিবেন তোমাদের অপেক্ষা উত্তম স্ত্রী যারা হবে আত্মসমপর্ণকারী। (৬৬: ৫)

ইবনু আবী মারয়াম (রহঃ) বলেন, আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমর (রাঃ) আমার কাছে এরূপ বলেছেন।

باب واتخذوا من مقام إبراهيم مصلى مثابة يثوبون يرجعون

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ وَافَقْتُ اللَّهَ فِي ثَلاَثٍ ـ أَوْ وَافَقَنِي رَبِّي فِي ثَلاَثٍ ـ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوِ اتَّخَذْتَ مَقَامَ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى وَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَدْخُلُ عَلَيْكَ الْبَرُّ وَالْفَاجِرُ، فَلَوْ أَمَرْتَ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ بِالْحِجَابِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ الْحِجَابِ قَالَ وَبَلَغَنِي مُعَاتَبَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بَعْضَ نِسَائِهِ، فَدَخَلْتُ عَلَيْهِنَّ قُلْتُ إِنِ انْتَهَيْتُنَّ أَوْ لَيُبَدِّلَنَّ اللَّهُ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم خَيْرًا مِنْكُنَّ‏.‏ حَتَّى أَتَيْتُ إِحْدَى نِسَائِهِ، قَالَتْ يَا عُمَرُ، أَمَا فِي رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا يَعِظُ نِسَاءَهُ حَتَّى تَعِظَهُنَّ أَنْتَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏عَسَى رَبُّهُ إِنْ طَلَّقَكُنَّ أَنْ يُبَدِّلَهُ أَزْوَاجًا خَيْرًا مِنْكُنَّ مُسْلِمَاتٍ‏)‏ الآيَةَ‏.‏
وَقَالَ ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنِي حُمَيْدٌ سَمِعْتُ أَنَسًا عَنْ عُمَرَ.

حدثنا مسدد، عن يحيى بن سعيد، عن حميد، عن انس، قال قال عمر وافقت الله في ثلاث ـ او وافقني ربي في ثلاث ـ قلت يا رسول الله، لو اتخذت مقام ابراهيم مصلى وقلت يا رسول الله يدخل عليك البر والفاجر، فلو امرت امهات المومنين بالحجاب فانزل الله اية الحجاب قال وبلغني معاتبة النبي صلى الله عليه وسلم بعض نساىه، فدخلت عليهن قلت ان انتهيتن او ليبدلن الله رسوله صلى الله عليه وسلم خيرا منكن‏.‏ حتى اتيت احدى نساىه، قالت يا عمر، اما في رسول الله صلى الله عليه وسلم ما يعظ نساءه حتى تعظهن انت فانزل الله ‏(‏عسى ربه ان طلقكن ان يبدله ازواجا خيرا منكن مسلمات‏)‏ الاية‏.‏ وقال ابن ابي مريم اخبرنا يحيى بن ايوب حدثني حميد سمعت انسا عن عمر.


Narrated Anas:

`Umar said, "I agreed with Allah in three things," or said, "My Lord agreed with me in three things. I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Would that you took the station of Abraham as a place of prayer.' I also said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Good and bad persons visit you! Would that you ordered the Mothers of the believers to cover themselves with veils.' So the Divine Verses of Al-Hijab (i.e. veiling of the women) were revealed. I came to know that the Prophet (ﷺ) had blamed some of his wives so I entered upon them and said, 'You should either stop (troubling the Prophet (ﷺ) ) or else Allah will give His Apostle better wives than you.' When I came to one of his wives, she said to me, 'O `Umar! Does Allah's Messenger (ﷺ) haven't what he could advise his wives with, that you try to advise them?' " Thereupon Allah revealed:-- "It may be, if he divorced you (all) his Lord will give him instead of you, wives better than you Muslims (who submit to Allah).." (66.5)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩২

পরিচ্ছেদঃ ২২৬৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ স্মরন করুন যখন ইব্রাহীম ও ইসমাইল কা‘বা ঘরের প্রাচীর তুলছিলেন তখন তারা বলছিলেনঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের এই কাজ গ্রহন করুন, নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা ।” (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১২৭)। القواعد অর্থ ভিত্তি, একবচনে قاعدة আল-কাওয়ায়িদ মহিলাদের সম্পর্কে বলা হলে এর অর্থ বৃদ্ধা নারী, তখন এর একবচন (قاعد) হবে।

৪১৩২। ইসমাঈল (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমার কি জানা নেই যে তোমার সম্প্রদায় কুরাইশ কা’বা তৈরী করেছে এবং ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিত্তির থেকে ছোট নির্মাণ করেছে?’ [আয়িশা (রাঃ) বলেন] আমি তখন বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিত্তির উপর কা’বাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারেন না? তিনি বললেন, যদি তোমার গ্রোত্রের কুফরীর যামানা অতীতে না হত। এ কথা শুনে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, যদি আয়িশা (রাঃ) এ কথা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনে থাকেন, তবে আমার মনে হয় যে এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতিমের দিকের দুই রোকনে (রোকনে ইরাকী ও রোকন শামী) চুম্বন বর্জন করেছেন, যেহেতু বায়তুল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর ভিত্তির উপর সম্পূর্ণভাবে নির্মিত নয়।

باب وإذ يرفع إبراهيم القواعد من البيت وإسماعيل ربنا تقبل منا إنك أنت السميع العليم القواعد أساسه واحدتها قاعدة والقواعد من النساء واحدها قاعد

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، أَخْبَرَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَلَمْ تَرَىْ أَنَّ قَوْمَكِ بَنَوُا الْكَعْبَةَ وَاقْتَصَرُوا عَنْ قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ ‏"‏‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ تَرُدُّهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ ‏"‏ لَوْلاَ حِدْثَانُ قَوْمِكِ بِالْكُفْرِ ‏"‏‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ لَئِنْ كَانَتْ عَائِشَةُ سَمِعَتْ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أُرَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرَكَ اسْتِلاَمَ الرُّكْنَيْنِ اللَّذَيْنِ يَلِيَانِ الْحِجْرَ، إِلاَّ أَنَّ الْبَيْتَ لَمْ يُتَمَّمْ عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ‏.‏

حدثنا اسماعيل، قال حدثني مالك، عن ابن شهاب، عن سالم بن عبد الله، ان عبد الله بن محمد بن ابي بكر، اخبر عبد الله بن عمر، عن عاىشة ـ رضى الله عنها ـ زوج النبي صلى الله عليه وسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ الم ترى ان قومك بنوا الكعبة واقتصروا عن قواعد ابراهيم ‏"‏‏.‏ فقلت يا رسول الله الا تردها على قواعد ابراهيم قال ‏"‏ لولا حدثان قومك بالكفر ‏"‏‏.‏ فقال عبد الله بن عمر لىن كانت عاىشة سمعت هذا من رسول الله صلى الله عليه وسلم ما ارى رسول الله صلى الله عليه وسلم ترك استلام الركنين اللذين يليان الحجر، الا ان البيت لم يتمم على قواعد ابراهيم‏.‏


Narrated `Aisha:

(The wife of the Prophet) Allah's Messenger (ﷺ) said, "Don't you see that when your people built the Ka`ba, they did not build it on all Abraham's foundations?" I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Why don't you rebuild it on Abraham's foundations?" He said, "Were your people not so close to (the period of Heathenism, i.e. the Period between their being Muslims and being infidels), I would do so." The sub-narrator, `Abdullah bin `Umar said, "Aisha had surely heard Allah's Messenger (ﷺ) saying that, for I do not think that Allah's Messenger (ﷺ) left touching the two corners of the Ka`ba facing Al-Hijr except because the Ka`ba was not built on all Abraham's foundations."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩৩

পরিচ্ছেদঃ ২২৬৪. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা বল, আমরা আল্লাহতে ঈমান এনেছি এবং যা আমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে তার প্রতিও। (২ঃ১৩৬)

৪১৩৩। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আহলে কিতাব (ইহুদী) ইবরানী ভাষায় তাওরাত পাঠ করে মুসলিমদের জন্য তা আরবী ভাষায় ব্যাখ্যা করত। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আহলে কিতাবকে বিশ্বাস কর না আর অবিশ্বাসও কর না এবং (আল্লাহর বাণী) ’তোমরা বল আমরা আল্লাহতে ঈমান এনেছি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তা।’

باب قولوا آمنا بالله وما أنزل إلينا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ أَهْلُ الْكِتَابِ يَقْرَءُونَ التَّوْرَاةَ بِالْعِبْرَانِيَّةِ، وَيُفَسِّرُونَهَا بِالْعَرَبِيَّةِ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تُصَدِّقُوا أَهْلَ الْكِتَابِ وَلاَ تُكَذِّبُوهُمْ، وَقُولُوا ‏(‏آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ‏)‏ الآيَةَ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عثمان بن عمر، اخبرنا علي بن المبارك، عن يحيى بن ابي كثير، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ قال كان اهل الكتاب يقرءون التوراة بالعبرانية، ويفسرونها بالعربية لاهل الاسلام، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا تصدقوا اهل الكتاب ولا تكذبوهم، وقولوا ‏(‏امنا بالله وما انزل‏)‏ الاية‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The people of the Scripture (Jews) used to recite the Torah in Hebrew and they used to explain it in Arabic to the Muslims. On that Allah's Messenger (ﷺ) said, "Do not believe the people of the Scripture or disbelieve them, but say:-- "We believe in Allah and what is revealed to us." (2.136)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩৪

পরিচ্ছেদঃ ২২৬৫. মহান আল্লাহর বাণীঃ নির্বোধ লোকেরা অচিরেই বলবে যে, তারা এ যাবত যে কিবলা অনুসরণ করে আসছিল তা থেকে তাদেরকে কিসে ফিরিয়ে দিল! বলুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছা সরল-সঠিক পথে পরিচালনা করেন।” (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১৪২)

৪১৩৪। আবূ নু’আইম (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাতে ষোল অথবা সতের মাস যাবত বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহর দিকে তাঁর কিবলা হওয়াকে পছন্দ করতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত (কাবার দিকে মুখ করে) আদায় করেন এবং লোকেরাও তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। এরপর তাঁর সঙ্গে সালাত আদায়কারী একজন বের হন এবং তিনি একটি মসজিদের লোকদের কাছ দিয়ে গেলেন তখন তারা রুকু অবস্থায় ছিলেন। তিনি বললেন, আমি আল্লাহকে সাক্ষি রেখে বলছি যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে মক্কার দিকে মুখ করে নামায আদায় করেছি। একথা শোনার পর তাঁরা যে অবস্থায় ছিলেন, সে অবস্থায় বায়তুল্লাহর দিকে ফিরে গেলেন। আর যারা কিবলা বায়তুল্লাহর দিকে পরিবর্তের পূর্বে বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে সালাত আদায় অবস্থায় মারা গিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তাদের সম্পর্কে আমরা কি বলব তা আমাদের জানা ছিল না। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেন "আল্লাহ এরূপ নন যে, তোমাদের ঈমানকে তিনি ব্যর্থ করে দিবেন, নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র, পরমদয়ালু।" (২ : ১৪৩)

باب قوله تعالى سيقول السفهاء من الناس ما ولاهم عن قبلتهم التي كانوا عليها قل لله المشرق والمغرب يهدي من يشاء إلى صراط مستقيم

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، سَمِعَ زُهَيْرًا، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، رضى الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا، وَكَانَ يُعْجِبُهُ أَنْ تَكُونَ قِبْلَتُهُ قِبَلَ الْبَيْتِ، وَإِنَّهُ صَلَّى ـ أَوْ صَلاَّهَا ـ صَلاَةَ الْعَصْرِ، وَصَلَّى مَعَهُ قَوْمٌ، فَخَرَجَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ صَلَّى مَعَهُ، فَمَرَّ عَلَى أَهْلِ الْمَسْجِدِ وَهُمْ رَاكِعُونَ قَالَ أَشْهَدُ بِاللَّهِ لَقَدْ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قِبَلَ مَكَّةَ، فَدَارُوا كَمَا هُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ، وَكَانَ الَّذِي مَاتَ عَلَى الْقِبْلَةِ قَبْلَ أَنْ تُحَوَّلَ قِبَلَ الْبَيْتِ رِجَالٌ قُتِلُوا لَمْ نَدْرِ مَا نَقُولُ فِيهِمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ إِنَّ اللَّهَ بِالنَّاسِ لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ ‏)‏

حدثنا ابو نعيم، سمع زهيرا، عن ابي اسحاق، عن البراء، رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الى بيت المقدس ستة عشر شهرا او سبعة عشر شهرا، وكان يعجبه ان تكون قبلته قبل البيت، وانه صلى ـ او صلاها ـ صلاة العصر، وصلى معه قوم، فخرج رجل ممن كان صلى معه، فمر على اهل المسجد وهم راكعون قال اشهد بالله لقد صليت مع النبي صلى الله عليه وسلم قبل مكة، فداروا كما هم قبل البيت، وكان الذي مات على القبلة قبل ان تحول قبل البيت رجال قتلوا لم ندر ما نقول فيهم، فانزل الله ‏(‏وما كان الله ليضيع ايمانكم ان الله بالناس لرءوف رحيم ‏)‏


Narrated Al-Bara:

The Prophet (ﷺ) prayed facing Bait-ulMaqdis (i.e. Jerusalem) for sixteen or seventeen months but he wished that his Qibla would be the Ka`ba (at Mecca). (So Allah Revealed (2.144) and he offered `Asr prayers(in his Mosque facing Ka`ba at Mecca) and some people prayed with him. A man from among those who had prayed with him, went out and passed by some people offering prayer in another mosque, and they were in the state of bowing. He said, "I, (swearing by Allah,) testify that I have prayed with the Prophet (ﷺ) facing Mecca." Hearing that, they turned their faces to the Ka`ba while they were still bowing. Some men had died before the Qibla was changed towards the Ka`ba. They had been killed and we did not know what to say about them (i.e. whether their prayers towards Jerusalem were accepted or not). So Allah revealed:-- "And Allah would never make your faith (i.e. prayer) to be lost (i.e. your prayers offered (towards Jerusalem). Truly Allah is Full of Pity, Most Merciful towards mankind." (2.143)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩৫

পরিচ্ছেদঃ ২২৬৬. আল্লাহর বাণীঃ “আর এইভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধমপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ হবে এবং রাসুল (সাঃ) তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হবেন (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ১৪৩)

৪১৩৫। ইউসুফ ইবনু রাশিদ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন নূহ (আলাইহিস সালাম) কে ডাকা হবে। তখন তিনি উত্তর দিবেন এ বলেঃ হে আমাদের রব! আমি আপনার পবিত্র নিকটে উপস্থিত (তখন আল্লাহ জিজ্ঞাসা করবেন) তুমি কি (আল্লাহর পায়গাম লোকদের) পৌঁছে দিয়েছিলেন? তিনি বলবেন, হ্যাঁ। এরূপ তাঁর উম্মাতকে জিজ্ঞাসা করা হবে, [নূহ্ (আলাইহিস সালাম) কি] তোমাদের নিকট (আল্লাহর পয়গাম) পৌঁছে দিয়েছে? তারা তখন বলবে, আমাদের কাছে কোন সতর্কবাণী আগমন করেনি। তখন আল্লাহ তা’আলা [নূহ (আলাইহিস সালাম) কে] বলবেন, তোমার দাবির প্রতি সাক্ষী কে? তিনি বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর উম্মাতগণ। তখন তারা সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, নূহ (আলাইহিস সালাম) তাঁর উম্মাতের নিকট আল্লাহর পয়গাম প্রচার করেছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের প্রতি সাক্ষ্য হবেন। এটাই মহান আল্লাহর বাণী وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا ওয়াসাত শব্দের অর্থ ন্যায়নিষ্ঠ।

باب قوله تعالى وكذلك جعلناكم أمة وسطا لتكونوا شهداء على الناس ويكون الرسول عليكم شهيدا

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ رَاشِدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَأَبُو أُسَامَةَ ـ وَاللَّفْظُ لِجَرِيرٍ ـ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، وَقَالَ أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يُدْعَى نُوحٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ يَا رَبِّ‏.‏ فَيَقُولُ هَلْ بَلَّغْتَ فَيَقُولُ نَعَمْ‏.‏ فَيُقَالُ لأُمَّتِهِ هَلْ بَلَّغَكُمْ فَيَقُولُونَ مَا أَتَانَا مِنْ نَذِيرٍ‏.‏ فَيَقُولُ مَنْ يَشْهَدُ لَكَ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ‏.‏ فَتَشْهَدُونَ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ ‏"‏‏.‏ ‏(‏وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا‏)‏ فَذَلِكَ قَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ ‏(‏وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا‏)‏ وَالْوَسَطُ الْعَدْلُ‏.‏

حدثنا يوسف بن راشد، حدثنا جرير، وابو اسامة ـ واللفظ لجرير ـ عن الاعمش، عن ابي صالح، وقال ابو اسامة، حدثنا ابو صالح، عن ابي سعيد الخدري، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يدعى نوح يوم القيامة فيقول لبيك وسعديك يا رب‏.‏ فيقول هل بلغت فيقول نعم‏.‏ فيقال لامته هل بلغكم فيقولون ما اتانا من نذير‏.‏ فيقول من يشهد لك فيقول محمد وامته‏.‏ فتشهدون انه قد بلغ ‏"‏‏.‏ ‏(‏ويكون الرسول عليكم شهيدا‏)‏ فذلك قوله جل ذكره ‏(‏وكذلك جعلناكم امة وسطا لتكونوا شهداء على الناس ويكون الرسول عليكم شهيدا‏)‏ والوسط العدل‏.‏


Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Noah will be called on the Day of Resurrection and he will say, 'Labbaik and Sa`daik, O my Lord!' Allah will say, 'Did you convey the Message?' Noah will say, 'Yes.' His nation will then be asked, 'Did he convey the Message to you?' They will say, 'No Warner came to us.' Then Allah will say (to Noah), 'Who will bear witness in your favor?' He will say, 'Muhammad and his followers. So they (i.e. Muslims) will testify that he conveyed the Message. And the Apostle (Muhammad) will be a witness over yourselves, and that is what is meant by the Statement of Allah "Thus We have made of you a just and the best nation that you may be witnesses over mankind and the Apostle (Muhammad) will be a witness over yourselves." (2.143)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩৬

পরিচ্ছেদঃ ২২৬৭. আল্লাহর বাণীঃ আপনি এ যাবৎ যে কিবলার অনুসরণ করেছিলেন তাকে আমি এইজন্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম যাতে জানতে পারি কে রসূলের অনুসরণ করে এবং কে ফিরে যায়? আল্লাহ যাদের সৎপথ প্রদর্শন করেছেন তাদের ব্যতীত অন্যদের কাছে এটা নিশ্চিত কঠিন বিষয়। আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদের ঈমান ব্যর্থ করে দেবেন। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি পরম মমতাময়, পরম দয়ালু। (সূরাহ-আল বাক্বারা্ ২ঃ ১৪৩)

৪১৩৬। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদিন লোকেরা কুবা মসজিদে ফযরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় এক আগন্তুক এসে বলল, আল্লাহ তা’আলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি কুরআনের এ আয়াত নাযিল করেছেন যে, তিনি যেন কাবার দিকে (সালাত (নামায/নামাজ) মুখ করেন। কাজেই আপনারাও কাবার দিকে মুখ করে নিন। সে মুতাবিক লোকেরা কাবার দিকে মুখ করে নেন।

باب قوله وما جعلنا القبلة التي كنت عليها إلا لنعلم من يتبع الرسول ممن ينقلب على عقبيه وإن كانت لكبيرة إلا على الذين هدى الله وما كان الله ليضيع إيمانكم إن الله بالناس لرءوف رحيم

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ بَيْنَا النَّاسُ يُصَلُّونَ الصُّبْحَ فِي مَسْجِدِ قُبَاءٍ إِذْ جَاءَ جَاءٍ فَقَالَ أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُرْآنًا أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوهَا‏.‏ فَتَوَجَّهُوا إِلَى الْكَعْبَةِ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن سفيان، عن عبد الله بن دينار، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ بينا الناس يصلون الصبح في مسجد قباء اذ جاء جاء فقال انزل الله على النبي صلى الله عليه وسلم قرانا ان يستقبل الكعبة فاستقبلوها‏.‏ فتوجهوا الى الكعبة‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

While some people were offering Fajr prayer in the Quba' mosque, some-one came and said, "Allah has revealed to the Prophet (ﷺ) Qur'anic instructions that you should face the Ka`ba (while praying) so you too, should face it." Those people then turned towards the Ka`ba.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩৭

পরিচ্ছেদঃ ২২৬৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ “আকাশের দিকে বার বার আপনার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করেছি। তারা যা করে সে সম্বন্ধে আল্লাহ অনবহিত নন (সূরাহ-আল বাক্বারা ২ঃ ১৪৪)

৪১৩৭। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যারা উভয় কিবলার (কাবা ও বায়তুল মুকাদ্দাস) এর দিকে ফিরে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন তাদের মধ্যে আমি ছাড়া আর কেউ জীবিত নেই।

باب قوله قد نرى تقلب وجهك في السماء فلنولينك قبلة ترضاها فول وجهك شطر المسجد الحرام إلى عما تعملون

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمْ يَبْقَ مِمَّنْ صَلَّى الْقِبْلَتَيْنِ غَيْرِي‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا معتمر، عن ابيه، عن انس ـ رضى الله عنه ـ قال لم يبق ممن صلى القبلتين غيري‏.‏


Narrated Anas:

None remains of those who prayed facing both Qiblas (that is, Jerusalem and Mecca) except myself.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩৮

পরিচ্ছেদঃ ২২৬৯. আল্লাহর বাণীঃ “যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের কাছে আপনি সকল দলীল পেশ করেন তবুও তারা আপনার কিবলার অনুসরণ করবে না, আর আপনিও তাদের কিবলার অনুসারী নন। এবং তারা একে অন্যের অনুসরণ করে না। আপনি যদি আপনার কাছে জ্ঞান আসার পর তাদের বাসনার অনুসরণ করেন, তবে নিশ্চয় আপনি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।”(সূরাহ-আল বাক্বারা ২ঃ ১৪৫)

৪১৩৮। খালিদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা লোকেরা মসজিদে কুবায় ফযরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের কাছে একজন লোক এসে বলল, এই রাত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর কুরআনের আয়াত নাযিল হয়েছে এবং তিনি নির্দেশপ্রাপ্ত হয়েছেন কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায় করার জন্য। অতএব আপনারা কাবার দিকে মুখ ফিরান। আর তখন লোকদের চেহারা শামের দিকে ছিল। এরপর তারা তাদের চেহারা কাবার দিকে ফিরিয়ে নিলেন।

باب ولئن أتيت الذين أوتوا الكتاب بكل آية ما تبعوا قبلتك إلى قوله إنك إذا لمن الظالمين

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ بَيْنَمَا النَّاسُ فِي الصُّبْحِ بِقُبَاءٍ جَاءَهُمْ رَجُلٌ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ، وَأُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ أَلاَ فَاسْتَقْبِلُوهَا‏.‏ وَكَانَ وَجْهُ النَّاسِ إِلَى الشَّأْمِ فَاسْتَدَارُوا بِوُجُوهِهِمْ إِلَى الْكَعْبَةِ‏.‏

حدثنا خالد بن مخلد، حدثنا سليمان، حدثني عبد الله بن دينار، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ بينما الناس في الصبح بقباء جاءهم رجل فقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قد انزل عليه الليلة قران، وامر ان يستقبل الكعبة الا فاستقبلوها‏.‏ وكان وجه الناس الى الشام فاستداروا بوجوههم الى الكعبة‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

While some people were offering morning prayer at Quba' a man came to them and said, "A Qur'anic Order has been revealed to Allah's Messenger (ﷺ) tonight that he should face the Ka`ba at Mecca (in prayer), so you too should turn your faces towards it." At that moment their faces were towards Sham (i.e. Jerusalem) (and on hearing that) they turned towards the Ka`ba (at Mecca).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৩৯

পরিচ্ছেদঃ ২২৭০. আল্লাহর বাণীঃ “ যাদের আমি কিতাব দিয়েছি তারা তাকে সেইরূপে জানে, যেরূপ তারা তাদের পুত্রদের জানে। এবং একদল জেনেশুনে সত্য গোপন করে থাকে। আর সত্য আপনার প্রভুর পক্ষ থেকে। সুতরাং আপনি যেন সন্দেহ ও সংশয় পোষণকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হন।” (সূরাহ-আল বাক্বারা ২ঃ ১৪৬-১৪৭)

৪১৩৯। ইয়াহইয়া ইবনু কাযাআ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা লোকেরা কুবা মসজিদে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) রত ছিলেন, তখন তাদের নিকট একজন আগন্তুক এসে বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি এ রাতে কুরআনের আয়াত নাযিল করা হয়েছে, তাতে তাঁকে কাবার দিকে মুখ ফিরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতএব আপনারা কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তার তখন তাদের মুখ সিরিয়ার দিকে ছিল। এরপর তাদের মুখ কাবার দিকে ফিরে গেল।

باب الذين آتيناهم الكتاب يعرفونه كما يعرفون أبناءهم وإن فريقا منهم ليكتمون الحق إلى قوله فلا تكونن من الممترين

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ بَيْنَا النَّاسُ بِقُبَاءٍ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ إِذْ جَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ، وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوهَا‏.‏ وَكَانَتْ وُجُوهُهُمْ إِلَى الشَّأْمِ فَاسْتَدَارُوا إِلَى الْكَعْبَةِ‏.‏

حدثنا يحيى بن قزعة، حدثنا مالك، عن عبد الله بن دينار، عن ابن عمر، قال بينا الناس بقباء في صلاة الصبح اذ جاءهم ات فقال ان النبي صلى الله عليه وسلم قد انزل عليه الليلة قران، وقد امر ان يستقبل الكعبة فاستقبلوها‏.‏ وكانت وجوههم الى الشام فاستداروا الى الكعبة‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

While some people were offering Fajr prayer at Quba' (mosque), some-one came to them and said, "Tonight some Qur'anic Verses have been revealed to the Prophet (ﷺ) and he has been ordered to face the Ka`ba (at Mecca) (during prayers), so you too should turn your faces towards it." At that time their faces were towards Sham (Jerusalem) so they turned towards the Ka`ba (at Mecca).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৪০

পরিচ্ছেদঃ ২২৭১. আল্লাহর বাণীঃ আর তাদের প্রত্যেকেরেই রয়েছে একটি দিক, যেদিকে সে মুখ করে । সুতরাং তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, আল্লাহ তোমাদের সকলকে একত্র করবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান (২ঃ ১৪৮)

৪১৪০। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... বারা (ইবনু আযিব) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ষোল অথবা সতের মাস যাবত (মদিনাতে) বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। তারপর আল্লাহ তাঁকে কাবার দিকে ফিরিয়ে দেন।

باب ولكل وجهة هو موليها فاستبقوا الخيرات أينما تكونوا يأت بكم الله جميعا إن الله على كل شيء قدير

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ ـ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ ـ شَهْرًا، ثُمَّ صَرَفَهُ نَحْوَ الْقِبْلَةِ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، حدثنا يحيى، عن سفيان، حدثني ابو اسحاق، قال سمعت البراء ـ رضى الله عنه ـ قال صلينا مع النبي صلى الله عليه وسلم نحو بيت المقدس ستة عشر ـ او سبعة عشر ـ شهرا، ثم صرفه نحو القبلة‏.‏


Narrated Al-Bara:

We prayed along with the Prophet (ﷺ) facing Jerusalem for sixteen or seventeen months. Then Allah ordered him to turn his face towards the Qibla (in Mecca):-- "And from whence-so-ever you start forth (for prayers) turn your face in the direction of (the Sacred Mosque of Mecca) Al-Masjid-ul Haram.." (2.149)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
৪১৪১

পরিচ্ছেদঃ ২২৭২. আল্লাহর বাণীঃ “যেখান হতেই তুমি বের হও না কেন, মাসজিদুল হারামের দিকে ফেরাও । নিশ্চয় এটা তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে প্রেরিত সত্য। তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ বেখবর নন। (সূরাহ-আল বাক্বারা ২ঃ ১৪৯) । شَطْرُهُ অর্থ সেই দিকে।

৪১৪১। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা কূবা মসজিদে সাহাবীগণ ফজরের সালাত (নামায/নামাজ)-রত ছিলেন। এমন সময় এক ব্যাক্তি এসে বলল, আজ রাতে [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি] কুরআনের আযাত নাযিল হয়েছে, তাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবার দিকে মুখ ফিরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতএব আপনারা সে দিকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তখন তারা আপন আপন অবস্থায় মুখ ফিরিয়ে নেন এবং কাবার দিকে মুখ করেন। সে সময় তাদের মুখ সিরিয়ার দিকে ছিল।

باب ومن حيث خرجت فول وجهك شطر المسجد الحرام وإنه للحق من ربك وما الله بغافل عما تعملون شطره تلقاؤه

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يَقُولُ بَيْنَا النَّاسُ فِي الصُّبْحِ بِقُبَاءٍ إِذْ جَاءَهُمْ رَجُلٌ فَقَالَ أُنْزِلَ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ، فَأُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ، فَاسْتَقْبِلُوهَا‏.‏ وَاسْتَدَارُوا كَهَيْئَتِهِمْ، فَتَوَجَّهُوا إِلَى الْكَعْبَةِ وَكَانَ وَجْهُ النَّاسِ إِلَى الشَّأْمِ‏.‏

حدثنا موسى بن اسماعيل، حدثنا عبد العزيز بن مسلم، حدثنا عبد الله بن دينار، قال سمعت ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ يقول بينا الناس في الصبح بقباء اذ جاءهم رجل فقال انزل الليلة قران، فامر ان يستقبل الكعبة، فاستقبلوها‏.‏ واستداروا كهيىتهم، فتوجهوا الى الكعبة وكان وجه الناس الى الشام‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

While some people were at Quba (offering) morning prayer, a man came to them and said, "Last night Qur'anic Verses have been revealed whereby the Prophet (ﷺ) has been ordered to face the Ka`ba (at Mecca), so you too should face it." So they, keeping their postures, turned towards the Ka`ba. Formerly the people were facing Sham (Jerusalem) (Allah said):-- "And from whence-so-ever you start forth (for prayers), turn your face in the direction of the Sacred Mosque of Mecca (Al-Masjid-ul-Haram), and whence-so-ever you are, turn your face towards it (when you pray)" (2.150)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৯৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 22 23 24 25 পরের পাতা »