যির ইবন হুবায়শ (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৪৪ টি

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

সুরা ফালাক

وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْفَلَقُ الصُّبْحُ وَ غَاسِقٍ اللَّيْلُ إِذَا وَقَبَ غُرُوبُ الشَّمْسِ يُقَالُ أَبْيَنُ مِنْ فَرَقِ وَفَلَقِ الصُّبْحِ وَقَبَ إِذَا دَخَلَ فِي كُلِّ شَيْءٍ وَأَظْلَمَ

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْفَلَقُ রাত। غَاسِقٍ সূর্য অস্তমিত হওয়া। আরবীতে فَلَقِ فَرَقِ একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাই বলা হয়, أَبْيَنُ مِنْ فَرَقِ وَفَلَقِ الصُّبْحِ ভোরের আলো প্রকাশিত হওয়ার চেয়েও তা স্পষ্ট। وَقَبَ অন্ধকার সব জায়গায় প্রবেশ করে এবং আচ্ছন্ন করে ফেলে।


৪৬১৬। কুতায়রা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... যির ইবনু হুবাইশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উবায় ইবনু কা’বকে مُعَوِّذَتَيْنِ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেন, আমাকে বলা হয়েছে, তাই আমি বলছি। উবায় ইবনু কা’ব (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেমন বলেছেন, আমরাও ঠিক তেমনি বলছি।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، وَعَبْدَةَ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ سَأَلْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ عَنِ الْمُعَوِّذَتَيْنِ، فَقَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قِيلَ لِي فَقُلْتُ فَنَحْنُ نَقُولُ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Zirr bin Hubaish: I asked Ubai bin Ka`b regarding the two Muwwidhat (Surats of taking refuge with Allah). He said, "I asked the Prophet (ﷺ) about them, He said, 'These two Surats have been recited to me and I have recited them (and are present in the Qur'an).' So, we say as Allah's Messenger (ﷺ) said (i.e., they are part of the Qur'an."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

সুরা নাস

سُورَةُ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ وَيُذْكَرُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ الْوَسْوَاسِ إِذَا وُلِدَ خَنَسَهُ الشَّيْطَانُ فَإِذَا ذُكِرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَهَبَ إِذَا لَمْ يَذْكُرْ اللَّهَ ثَبَتَ عَلَى قَلْبِهِ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, الْوَسْوَاسِ এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, শিশু ভূমিষ্ঠ হলে শায়ত্বন এসে তাকে স্পর্শ করে। তারপর সেখানে আল্লাহর নাম নিলে শায়ত্বন পালিয়ে যায়। আর আল্লাহর নাম না নিলে সে তার অন্তরে জায়গা করে নেয়।


৪৬১৭। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... যির ইবনু হুবাইশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবায় ইবনু কা’ব (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, বললাম, হে আবূল মুনযির! আপনার ভাই ইবনু মাসউদ (রাঃ) তো এ ধরনের কথা বলে থাকেন। তখন উবায় (রাঃ) বললেন, আমি এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বললেন, আমাকে বলা হয়েছে। তাই আমি বেলেছি। উবায় ইবনু কা’ব (রাঃ) বলেন, সুতরাং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন আমরাও তাই বলি।

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، وَحَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ سَأَلْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ قُلْتُ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ إِنَّ أَخَاكَ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ كَذَا وَكَذَا‏.‏ فَقَالَ أُبَىٌّ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي قِيلَ لِي‏.‏ فَقُلْتُ، قَالَ فَنَحْنُ نَقُولُ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Zirr bin Hubaish: I asked Ubai bin Ka`b, "O Abu AlMundhir! Your brother, Ibn Mas`ud said so-and-so (i.e., the two Mu'awwidh-at do not belong to the Qur'an)." Ubai said, "I asked Allah's Messenger (ﷺ) about them, and he said, 'They have been revealed to me, and I have recited them (as a part of the Qur'an)," So Ubai added, "So we say as Allah's Messenger (ﷺ) has said."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৭. লায়লাতুল কদরের ফযীলত, এর অনুসন্ধানের প্রতি উৎসাহ দান, তা কখন হবে তার বর্ণনা এবং তার অনুসন্ধানের আশাবঞ্চক সময়

২৬৪৮। মুহাম্মদ ইবনু হাতিম ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ... যির ইবনু হুবায়শ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) কে বললাম, আপনার ভাই আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি গোটা বছর রাত জাগরণ করে, সে কদরের রাতের সন্ধান পাবে। তিনি (উবাই) বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন, এর দ্বারা তিনি একথা বুঝাতে চাচ্ছেন যে লোকেরা যেন কেবল একটি রাতের উপর ভরসা করে বসে না থাকে। অথচ তিনি অবশ্যই জানেন যে, তা রমযনি মাসে শেষের দশ দিনের মধ্যে এবং ২৭তম রজনী। অতঃপর তিনি শপথ করে বললেন, তা ২৭তম রজনী। আমি (যির) বললাম, হে আবূল মুনযির! আপনি কিসের ভিত্তিতে তা বলছেন? তিনি বললেন, বিভিন্ন আলামত ও নিদর্শনের ভিত্তিতে যে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবহিত করেছেন। যেমন, সেদিন সূর্য উঠবে কিন্তু তার আলোতে তেজ থাকবে না।

باب فَضْلِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِهَا وَبَيَانِ مَحَلِّهَا وَأَرْجَى أَوْقَاتِ طَلَبِهَا

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، - عَنْ عَبْدَةَ، وَعَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، سَمِعَا زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، يَقُولُ سَأَلْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ - رضى الله عنه - فَقُلْتُ إِنَّ أَخَاكَ ابْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ‏.‏ فَقَالَ رَحِمَهُ اللَّهُ أَرَادَ أَنْ لاَ يَتَّكِلَ النَّاسُ أَمَا إِنَّهُ قَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏ ثُمَّ حَلَفَ لاَ يَسْتَثْنِي أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ فَقُلْتُ بِأَىِّ شَىْءٍ تَقُولُ ذَلِكَ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ قَالَ بِالْعَلاَمَةِ أَوْ بِالآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا تَطْلُعُ يَوْمَئِذٍ لاَ شُعَاعَ لَهَا ‏.‏


Zirr b. Habaish reported: I thu asked Ubayy b. Ka'b (Allah be pleased with him): Your brother (in faith) Ibn Mas'ud says: He who stands (for the night prayer) throughout the year would find Lailat-ul-Qadr, whereupon he said: May Allah have mercy upon him; (he said these words) with the intention that people might not rely only (on one night), whereas he knew that it (Lailat-ul-Qadr) is in the month of Ramadan and it is the twenty-seventh night. He then took oath (without making any exception, i. e. without saying In sha Allah) that it was the twenty-seventh night. I said to him: Abu Mundhir, on what ground do you say that? Thereupon he said: By the indication or by the sign which the Messenger of Allah (ﷺ) gave us, and that is that on that day (the sun) would rise without having any ray in it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২: তওবার বিবরণ

৭/২০। যির্র ইবনু হুবাইশ বলেন যে, আমি মোজার উপর মাসাহ করার মাসআলা জিজ্ঞাসা করার জন্য সাফওয়ান ইবনু আস্‌সালের নিকট গেলাম। তিনি বললেন, ’হে যির্র! তোমার আগমনের উদ্দেশ্য কি?’ আমি বললাম, ’জ্ঞান অন্বেষণ।’ তিনি বললেন, ’নিশ্চয় ফিরিশতামণ্ডলী ঐ অন্বেষণের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে বিদ্যার্থীর জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন।’

অতঃপর আমি বললাম, ’পেশাব-পায়খানার পর মোজার উপর মাসাহ করার ব্যাপারে আমার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী, তাই আপনার নিকট জানতে এলাম যে, আপনি এ ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন কি না?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ! যখন আমরা বিদেশ সফরে বের হতাম, তখন তিনি আমাদেরকে (সফরে) তিনদিন ও তিন রাত মোজা না খোলার আদেশ দিতেন (অর্থাৎ আমরা যেন এই সময়সীমা পর্যন্ত মাসাহ করতে থাকি), কিন্তু বড় অপবিত্রতা (সঙ্গম, বীর্যপাত ইত্যাদি) হেতু অপবিত্র হলে (মোজা খুলতে হবে)। কিন্তু পেশাব-পায়খানা ও ঘুম থেকে উঠলে নয়। (এ সবের পর রীতিমত মাসাহ করা জায়েয)।’ আমি বললাম, ’আপনি কি তাঁকে ভালবাসা সম্পর্কে কিছু আলোচনা করতে শুনেছেন?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সফরে ছিলাম।

আমরা তাঁর সঙ্গে বসেছিলাম, এমন সময় এক বেদুঈন অতি উঁচু গলায় ডাক দিল, ’’হে মুহাম্মাদ!’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাকে উঁচু আওয়াজে জবাব দিলেন, ’’এখানে এস!’’ আমি তাকে বললাম, ’’আরে তুমি নিজের আওয়াজ নীচু কর! কেননা, তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আছ। তাঁর নিকট এ রকম উঁচু গলায় কথা বলা তোমার (বরং সকলের) জন্য নিষিদ্ধ।’’ সে (বেদুঈন) বলল, ’’আল্লাহর কসম! আমি তো আস্তে কথা বলবই না।’’ বেদুঈন বলল, ’’কোন ব্যক্তি কিছু লোককে ভালবাসে; কিন্তু সে তাদের (মর্যাদায়) পৌঁছতে পারেনি? (এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?)।’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যুত্তরে বললেন, ’’মানুষ কিয়ামতের দিন ঐ লোকদের সঙ্গে থাকবে, যাদেরকে সে ভালবাসবে।’’ পুনরায় তিনি আমাদের সাথে কথাবার্তা বলতে থাকলেন। এমনকি তিনি পশ্চিম দিকের একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন, যার প্রস্থের দূরত্ব ৪০ কিংবা ৭০ বছরের পথ অথবা তিনি বললেন, ওর প্রস্থে একজন আরোহী ৪০ কিম্বা ৭০ বছর চলতে থাকবে। (সুফইয়ান এই হাদীসের একজন বর্ণনাকারী বলেন যে, এই দরজা সিরিয়ার দিকে অবস্থিত।) আল্লাহ তা’আলা এই দরজাটি আসমান-যমীন সৃষ্টি করার দিন সৃষ্টি করেছেন এবং সেই সময় থেকে তা তওবার জন্য খোলা রয়েছে। পশ্চিমদিক থেকে সূর্য না উঠা পর্যন্ত এটা বন্ধ হবে না।’[1]

(2) - باب التوبة

وعَنْ زِرِّ بْنِ حُبْيشٍ قَال : أَتيْتُ صفْوانَ بْنِ عسَّالٍ رضِي االله عنْهُ أَسْأَلُهُ عن الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فقال :مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ ؟ فقُلْتُ : ابْتغَاءُ الْعِلْمِ ، فقَال: إِنَّ الْملائِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحتِها لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضاء بمَا يَطلُبُ ،فَقلْتُ : إِنَّه قدْ حَكَّ في صدْرِي الْمسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ والْبوْلِ ، وآُنْتَ امْرَءاً مِنْ أَصْحاب النَّبِيِّ صَلّىااللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم ، فَجئْت أَسْأَلُكَ : هَلْ سمِعْتَهُ يذْآرُ في ذَلِكَ شيْئاً ؟ قال : نعَمْ آانَ يأْمُرنا إذا آُنا سفراً أوْمُسافِرين أَن لا ننْزعَ خفافَنا ثلاثة أَيَّامٍ ولَيَالِيهنَّ إِلاَّ مِنْ جنَابةٍ ، لكِنْ مِنْ غائطٍ وبْولٍ ونْومٍ . فقُلْتُ : هَلسمِعتهُ يذآُر في الْهوى شيْئاً ؟ قال : نعمْ آُنَّا مَع رسول االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم في سفرٍ ، فبيْنا نحنُ عِنْدهُإِذ نادَاهُ أَعْرابي بصوْتٍ له جهوريٍّ : يا مُحمَّدُ ، فأَجَابهُ رسولُ االله صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم نحْوا مِنْ صَوْتِه :»هاؤُمْ« فقُلْتُ لهُ : وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فإِنَّك عِنْد النَّبيِّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم وقدْ نُهِيت عَنْ هذا ،فقال : واللَّه لا أَغضُضُ : قَالَ الأَعْرابِيُّ : الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوم ولَمَّا يلْحق بِهِمْ؟ قال النَّبِيُّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم: »الْمرْءُ مع منْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيامةِ « فما زَالَ يُحدِّثُنَا حتَّى ذآر باباً من الْمَغْرب مَسيرةُ عرْضِه أوْ يسِيرالرَّاآِبُ في عرْضِهِ أَرْبَعِينَ أَوْ سَبْعِينَ عَاماً. قَالَ سُفْيانُ أَحدُ الرُّوَاةِ . قِبل الشَّامِ خلقَهُ اللَّهُ تعالى يوْم خلقالسموات والأَرْضَ مفْتوحاً لِلتَّوبة لا يُغلقُ حتَّى تَطلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ « رواه التِّرْمذي وغيره وقال : حديثحسن صحيح

(2) Chapter: Repentance


Zirr bin Hubaish reported: I went to Safwan bin 'Assal (May Allah be pleased with him) to inquire about wiping with wet hands over light boots while performing Wudu'. He asked me, "What brings you here, Zirr?" I answered: "Search for knowledge". He said, "Angels spread their wings for the seeker of knowledge out of joy for what he seeks". I told him, "I have some doubts in my mind regarding wiping of wet hands over light boots in the course of performing Wudu' after defecation or urinating. Now since you are one of the Companions of the Prophet (ﷺ), I have come to ask you whether you heard any saying of the Prophet (ﷺ) concerning it?". He replied in the affirmative and said, "He (ﷺ) instructed us that during a journey we need not take off our light boots for washing the feet up to three days and nights, except in case of major impurity (after sexual intercourse). In other cases such as sleeping, relieving oneself or urinating, the wiping of wet hands over light boots will suffice." I, then, questioned him, "Did you hear him say anything about love and affection?" He replied, "We accompanied the Messenger of Allah (ﷺ) in a journey when a bedouin called out in a loud voice, 'O Muhammad.' The Messenger of Allah (ﷺ) replied him in the same tone, 'Here I am.' I said to him (the bedouin), 'Woe to you, lower your voice in his presence, because you are not allowed to do so.' He said, 'By Allah! I will not lower my voice,' and then addressing the Prophet (ﷺ) he said, 'What about a person who loves people but has not found himself in their company.' Messenger of Allah (ﷺ) replied, 'On the Day of Resurrection, a person will be in the company of those whom he loves.' The Messenger of Allah then kept on talking to us and in the course of his talk, he mentioned a gateway in the heaven, the width of which could be crossed by a rider in forty or seventy years". Sufyan, one of the narrators of this tradition, said: "This gateway is in the direction of Syria. Allah created it on the day He created the heavens and the earth. It is open for repentance and will not be shut until the sun rises from that direction (i.e., the West) (on Doomsday)". [At-Tirmidhi, who categorised it as Hadith Hasan Grade: Sahih] Commentary: 1. We learn from this Hadith that in ablution, it is permissible to wipe over light boots rather than washing the feet.It is called Mash. The period, in which Mash is intact, in case of travellers it is three days and three nights; while forthe residents, it is one day and one night only. A precondition for it is that light boots should be clean and worn afterfull Wudu'. Ankles should also be covered. In case of breach of ablution, the wiping over the socks is sufficient, andthere is no need for washing the feet. Wudu' is invalidated by sleeping, call of nature and passing of wind. This iscalled Hadath Asghar. In the case of Hadath Akbar, which occurs because of coitus, menses and wet dream, washingof the whole body becomes obligatory. It means that the privilege of wiping over the light boots is also finished inthis case, in the same way as it does after the expiry of period specified for it. 2. One should associate himself with the pious people so that he is counted among them. One also comes to knowmany other points from this Hadith which every intelligent person can understand with a little effort.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫০. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উযুর বর্ণনা।

১১৪. উছমান ইবনু শায়বা .... যির ইবনু হুবায়েশ হতে বর্ণিত। তিনি আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন- যখন তাকে উযূ (ওজু/অজু/অযু) সমাপ্তির পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উযূ সম্পর্কে প্রশ্ল করা হয়েছল। অতঃপর যির (রাবী) উযূর হাদীছঢি বর্ণনা করেন এবং আরো বলেন, আলী (রাঃ) এমনভাবে মাথা মাসেহ্ করেন যেন মাথা হতে পানির ফোটা ঝরছিল এবং তিনি তিনবার পা ধৌত করে বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এইরূপে উযূ করতেন। (ঐ)।

باب صِفَةِ وُضُوءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ الْكِنَانِيُّ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلِيًّا، رضى الله عنه وَسُئِلَ عَنْ وُضُوءِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَقَالَ وَمَسَحَ عَلَى رَأْسِهِ حَتَّى لَمَّا يَقْطُرْ وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ هَكَذَا كَانَ وُضُوءُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حكم : صحيح (الألباني


Zirr b. Hubaish said that the heard that ‘ Ali was asked how the Messenger of Allah (ﷺ) used to perform ablution. He then narrated the tradition and said: he wiped his head so much so that drops (of water) were about to trickle down. He then washed his feet three times and said: This is how the Messenger of Allah (ﷺ) performed ablutions. Grade : Sahih (Al-Albani)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩২৪. লাইলাতুল কদর (মহিমান্বিত রাত) এর বর্ণনা।

১৩৭৮. সুলায়মান ইব্ন হারব (রহঃ) ..... যির ইবন হুবায়েশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি উবাই ইবন কাব (রাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি, হে আবুল মুনযির! লায়লাতুল কদর সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। কেননা এ সম্পর্কে আমাদের সংগী (আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ)-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি সারা বছর রাতে ইবাদাত করবে, সে তা প্রাপ্ত হবে। তিনি (কাব) বলেনঃ আল্লাহ তাআলা আবু আব্দুর রহমানের উপর রহম করুন! তিনি এটা অবগত আছেন যে, ’শবে কদর’ রমযান মাসের মধ্যে নিহীত।

রাবী মুসাদ্দাদ তাঁর বর্ণনায় আরও বলেনঃ তিনি (ইবন মাসুউদ) এটা প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিলেন। অতঃপর উভয় রাবী (সুলায়মান ও মুসাদ্দাদ) ঐক্যমতে পৌঁছে বলেনঃ আল্লাহ্ শপথ! এটা হল রমযানের ২৭ তারিখের রাত। উল্লেখ্য যে, তাঁরা তাঁদের এই শপথবাণী উচ্চারণের সময় ইনশা আল্লাহ ব্যবহার করেন নাই। রাবী বলেন, তখন আমি বলি, হে আবুল মুনযির! আপনি তা কিরূপে অবগত হতে পারলেন? তিনি বলেনঃ ঐ সমস্ত নিদর্শনাবলীর সাহায্যে আমরা জানতে পেরেছি, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলে গিয়েছেন। রাবী আসেম তখন যির ইবন হুবায়েশ (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেনঃ ঐ নিদর্শনাবলী কি? তিনি বলেনঃ সে রাতের প্রভাতের সূর্য উপরে না উঠা পর্যন্ত তা নিষ্প্রভ থাকবে। (মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)।

باب فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ قُلْتُ لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ أَخْبِرْنِي عَنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ، يَا أَبَا الْمُنْذِرِ فَإِنَّ صَاحِبَنَا سُئِلَ عَنْهَا ‏.‏ فَقَالَ مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْهَا ‏.‏ فَقَالَ رَحِمَ اللَّهُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ - زَادَ مُسَدَّدٌ وَلَكِنْ كَرِهَ أَنْ يَتَّكِلُوا أَوْ أَحَبَّ أَنْ لاَ يَتَّكِلُوا ثُمَّ اتَّفَقَا - وَاللَّهِ إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ لاَ يَسْتَثْنِي ‏.‏ قُلْتُ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ أَنَّى عَلِمْتَ ذَلِكَ قَالَ بِالآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قُلْتُ لِزِرٍّ مَا الآيَةُ قَالَ تُصْبِحُ الشَّمْسُ صَبِيحَةَ تِلْكَ اللَّيْلَةِ مِثْلَ الطَّسْتِ لَيْسَ لَهَا شُعَاعٌ حَتَّى تَرْتَفِعَ ‏.‏


Zirr (b. Hubaish) said: I said to Ubayy b. Ka'b: Tell me about lailat al-qadr, O Abu al-Mundhir, for our companion (Ibn Mas'ud) was questioned about it, and he said: Anyone who gets up for prayer every night all the year round will hit upon it (i.e. lailat al-qadr). He replied: May Allah have mercy on Abu 'Abd al-Rahman. By Allah, he knew that it was in Ramadan, (Musaddad's version goes) but he disliked that the people should content themselves (with that night alone); or he liked that the people should not content themselves (with the night alone). According to the agreed version: By Allah, it is the twenty-seventh night of Ramadan, without any reservation. I said: How did you know that, Abu al-Mundhir? He replied: By the indication (or sign) of which the Messenger of Allah (ﷺ) informed us. I asked Zirr: What is the sign ? He replied: The sun rises like a vessel of water in the morning following that night; it has no rays until it rises high up.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৮/ মুসাফিরের জন্য মোজার উপর মাসাহ করার সময়সীমা

১২৭। আহমদ ইবনু সুলায়মান রাহাভী (রহঃ) ... যির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) কে মোজার উপর মসেহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছিলাম। তিনি বলেছিলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করতেন, আমরা যখন সফররত অবস্থায় থাকি তখন যেন মোজার উপর মসেহ করি এবং জানাবাতের অবস্থা ব্যাতীত, পায়খানা-পেশাব অথবা নিদ্রার কারণে তিনদিন তা না খুলি।

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الرُّهَاوِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، وَمَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، وَزُهَيْرٌ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ سَأَلْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا مُسَافِرِينَ أَنْ نَمْسَحَ عَلَى خِفَافِنَا وَلاَ نَنْزِعَهَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ ‏


It was narrated that Zirr said: "I asked Safwan bin 'Assal about wiping over the Khuffs, and he said: 'The Messenger of Allah (ﷺ) used to tell us, when we were travelling, to wipe over our Khuffs and not take them off for three nights in the event of defecating, urinating or sleeping; only in the case of Janabah.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৪/ পায়খানা করার পর ওযু করা

১৫৯। আমর ইবনু ইবনু আলী ও ইসমাঈল ইবনু মাসঊদ (রহঃ) ... যির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) বলেছেনঃ আমরা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সফরে বের হতাম তখন তিনি আমাদের আদেশ করতেন আমরা যেন একমাত্র জানাবাত ব্যতীত পায়খানা-পেশাব এবং নিদ্রার কারণে তিন দিন পর্যন্ত তা না খুলি।

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ قَالَ صَفْوَانُ بْنُ عَسَّالٍ كُنَّا إِذَا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ أَمَرَنَا أَنْ لاَ نَنْزِعَهُ ثَلاَثًا إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ ‏.‏


Safwan bin 'Assal said: "When we were with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey, he told us not to take them off for three days except in the case of Janabah, but not in the case of defecation, urinating or sleep."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯/ সাহারী বিলম্বে খাওয়া

২১৫৬। মুহাম্মাদ ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... যির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমরা হুযায়ফা (রাঃ)-এর কাছে বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আপনি কখন সাহারী খেতেন? তিনি বললেনঃ খুব ভোরেই। তবে হ্যাঁ, তখনো সূর্য উদয় হত না (ভোর রাত্রের শেষের দিকে)।

باب تَأْخِيرِ السَّحُورِ وَذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى زِرٍّ فِيهِ ‏‏

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، قَالَ أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ قُلْنَا لِحُذَيْفَةَ أَىَّ سَاعَةٍ تَسَحَّرْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هُوَ النَّهَارُ إِلاَّ أَنَّ الشَّمْسَ لَمْ تَطْلُعْ ‏.‏


It was narrated that Zirr said: "We said to Hudhaifah: 'At what time did you take Sahur with the Messenger of Allah?' He said: 'It was daytime, but before the sun had risen."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯/ সাহারী বিলম্বে খাওয়া

২১৫৭। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... যির ইবনু হুবায়স (রহঃ) বলেন যে, আমি হুযায়ফা (রাঃ)-এর সাথে সাহারী খেলাম। অতঃপর সালাত আদায় করার জন্য বের হলাম। যখন আমরা মসজিদে পৌছে দু’রাকআত সালাত আদায় করলাম (ফজরের সুন্নাত)। তখনই (জামাআতের) ইকামাত বলা হল। উভয়ের মাঝখানে মাত্র অল্প কিছুক্ষণ সময়ের ব্যবধান ছিল।

باب تَأْخِيرِ السَّحُورِ وَذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى زِرٍّ فِيهِ ‏‏

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، قَالَ سَمِعْتُ زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، قَالَ تَسَحَّرْتُ مَعَ حُذَيْفَةَ ثُمَّ خَرَجْنَا إِلَى الصَّلاَةِ فَلَمَّا أَتَيْنَا الْمَسْجِدَ صَلَّيْنَا رَكْعَتَيْنِ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ وَلَيْسَ بَيْنَهُمَا إِلاَّ هُنَيْهَةٌ ‏.‏


Zirr bin Hubaish said: "I had Sahur with Hudhaifah, then we went out to pray. When we came to the Masjid we prayed two Rakahs, then the Iqamah for prayer was said, and there was only a short time between them." Abu Hurairah said : "The Messenger of Allah said: 'Eat Sahur, for in Sahur there is blessing."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. ঈমানের আলামত

৫০১৭. ইউসুফ ইবন ঈসা (রহঃ) ... যিরর (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আলী (রাঃ) বলেছেন, আমার নিকট উম্মী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অঙ্গীকার হচ্ছে, কেবল মু’মিনই তোমাকে ভালবাসবে, আর মুনাফিকই তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণ করবে।

عَلَامَةُ الْإِيمَانِ

أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى قَالَ أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ عَدِيٍّ عَنْ زِرٍّ قَالَ قَالَ عَلِيٌّ إِنَّهُ لَعَهْدُ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيَّ أَنَّهُ لَا يُحِبُّكَ إِلَّا مُؤْمِنٌ وَلَا يَبْغُضُكَ إِلَّا مُنَافِقٌ


It was narrated that Zirr said: 'Ali said: "The Unlettered Prophet [SAW] made a covenant with me, that none but a believer would love me, and none but a hypocrite would hate me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. মুনাফিকের আলামত

৫০২১. ওয়াসিল ইবন আবদুল আলা (রহঃ) ... যির ইবন হুবায়শ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আলী (রাঃ) বলেছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট অঙ্গীকার করে বলেছেনঃ কেবল মু’মিনই আমার সাথে মহব্বত রাখবে, আর মুনাফিকই আমার প্রতি শত্রুতা পোষণ করবে।

عَلَامَةُ الْمُنَافِقِ

أَخْبَرَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ عَهِدَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا يُحِبُّنِي إِلَّا مُؤْمِنٌ وَلَا يَبْغُضُنِي إِلَّا مُنَافِقٌ



It was narrated that 'Ali said: "The Prophet [SAW] made a covenant with me that none would love me but a believer, and none would hate me but a hypocrite."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৮. আলিমদের মর্যাদা এবং জ্ঞানার্জনে উৎসাহিত করা।

৭/২২৬। যির ইবনু হুবায়শ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাফওয়ান ইবনু আসসাল আল-মুরাদী (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি বলেন, তোমাকে কিসে নিয়ে এসেছে? আমি বললাম, জ্ঞানার্জনের জন্য। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যাক্তই জ্ঞানার্জনের জন্য তার ঘর থেকে রওনা হয়, তার এই মহৎ উদ্যোগের জন্য মালায়িকাহ তাদের পাখা বিস্তার করেন।

بَاب فَضْلِ الْعُلَمَاءِ وَالْحَثِّ عَلَى طَلَبِ الْعِلْمِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكَ قُلْتُ أُنْبِطُ الْعِلْمَ ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ خَارِجٍ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ إِلاَّ وَضَعَتْ لَهُ الْمَلاَئِكَةُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا بِمَا يَصْنَعُ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Zirr bin Hubaish said: "I went to Safwan bin 'Assal Al-Muradi and he said: 'What brought you here?' I said: 'I am seeking knowledge.' He said: 'I heard the Messenger of Allah say: "There is no one who goes out of his house in order to seek knowledge, but the angels lower their wings in approval of his action.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ লায়লাতুল ক্বাদর।

৭৯১. ওয়াসিল ইবনু আবদুল আ’লা কূফী (রহঃ) .... যির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি উবাই ইবনু কাব (রাঃ) কে বললাম, হে আবূ মুনযির! এ যে সাতাশের রাত এ কথা আপনি কোথা থেকে জানলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটি হল এমন রাত যার পরবর্তী সকালে সূর্য উদিত হয় এমনভাবে যে তার আলোকরশ্মি থাকে না। তা আমরা গণনা করে রেখেছি এবং স্মরণও রেখেছি। আল্লাহর কসম! ইবনু মাসঊদ (রাঃ) একথা জানেন যে, রাতটি হল রামাযানের এবং তা সাতাশেরই রাত। কিন্তু তিনি তোমাদের তা জানাতে পছন্দ করেননি, পাছে তোমরা এর উপর ভরসা করে বসে থাকে। - সহিহ আবু দাউদ ১২৪৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৯৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ

حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ قُلْتُ لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّى عَلِمْتَ أَبَا الْمُنْذِرِ أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ قَالَ بَلَى أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَنَّهَا لَيْلَةٌ صَبِيحَتُهَا تَطْلُعُ الشَّمْسُ لَيْسَ لَهَا شُعَاعٌ ‏"‏ ‏.‏ فَعَدَدْنَا وَحَفِظْنَا وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمَ ابْنُ مَسْعُودٍ أَنَّهَا فِي رَمَضَانَ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَلَكِنْ كَرِهَ أَنْ يُخْبِرَكُمْ فَتَتَّكِلُوا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Zirr said: "I said to Ubayy bin Ka'b: 'O Abu Al-Mundhir! How do you know that it is the night of the twenty-seventh?' He said: 'Rather, the Messenger of Allah informed us that it is a night (after which) the sun rises without rays, so we counted and we remembered it. By Allah! Ibn Mas'ud learned that it is in Ramadan and that it is the nigh of the twenty-seventh, but he did not want to inform you lest you would depend on it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল

৩১৪৭. ইবন আবূ উমর (রহঃ) ..... যির ইবন হুরায়শ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হুযায়ফা ইবন ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বায়তুল মুকাদ্দাসে সালাত (নামায) আদায় করেছেন?

তিনি বললেনঃ না।

আমি বললামঃ অবশ্যই তা আদায় করেছেন।

তিনি বললেনঃ হে টেকো, তুমি এ কথা বলছ? এবং তুমি কেন তা বলছ?

আমি বললামঃ কুরআন থেকে বলছি। আমার ও আপনার মাঝে কুরআন ফায়সালা করবে।

হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ কুরআন থেকে যে ব্যক্তি দলীল পেশ করে সে সফলকাম।

সুফইয়ান (রহঃ) বলেন, তিনি বলেছেন, সে সঠিক দলীল পেশ করেছে। আর অনেক সময় তিনি বলেছেন, সে সফলকাম হয়েছে।

যিরর ইবন হুবায়শ (রহঃ) বললেনঃ (‏سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى) - পবিত্র ও মহিমাময় তিনি যিনি তার বান্দাকে রাতে ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় (১৭ঃ ১)।

হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ তোমার কি মনে হয়, যে তিনি সেখানে সালাত (নামায) আদায় করেছেন?

আমি বললামঃ না।

তিনি বললেনঃ যদি সেখানে তিনি সালাত (নামায) আদায় করতেন তবে তোমাদের জন্য সেখানে সালাত (নামায) আদায় করা জরুরী হয়ে যেত যেমন মসজিদুল হারাম কা’বায় সালাত (নামায) আদায় করা জরুরী।

হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বললেনঃ রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এরূপ (হাত দিয়ে ইশারা করে দেখালেন) সুপ্রশস্ত দীর্ঘ পিঠ বিশিষ্ট একটা জন্তু আনা হল। চোখের দৃষ্টি দূরত্ব পরিমাণ ছিল তার এক একটি পদক্ষেপ। তারা বুরাকের পিঠে আরোহণ করে জান্নাত, জাহান্নাম এবং আখিরাতে ওয়াদাকৃত সবকিছু পরিদর্শণ করলেন, পরে তারা উভয়েই ফিরে আসলেন। যাত্রা শুরু মাত্রই ছিল তাদের এই প্রত্যাবর্তন। (অর্থাৎ বেশী সময় এতে লাগেনি যেন শুরু হতেই তা শেষ হয়ে গিয়েছিল)।

তিনি আরো বলেন, লোকেরা বর্ণনা করে যে, তিনি এটি বেঁধে রেখেছিলেন। কেন বাঁধবেন! পালিয়ে যাবে বলে কি? গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছু সম্পর্কে যিনি জানেন সেই মহাসত্যই এটিকে তাঁর জন্য বাধ্যগত করে দিয়েছিলেন।

(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ।

হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ قُلْتُ لِحُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ أَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَالَ لاَ ‏.‏ قُلْتُ بَلَى ‏.‏ قَالَ أَنْتَ تَقُولُ ذَاكَ يَا أَصْلَعُ بِمَا تَقُولُ ذَلِكَ قُلْتُ بِالْقُرْآنِ بَيْنِي وَبَيْنَكَ الْقُرْآنُ ‏.‏ فَقَالَ حُذَيْفَةُ مَنِ احْتَجَّ بِالْقُرْآنِ فَقَدْ أَفْلَحَ قَالَ سُفْيَانُ يَقُولُ فَقَدِ احْتَجَّ ‏.‏ وَرُبَّمَا قَالَ قَدْ فَلَجَ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلاً مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الأَقْصَى ‏)‏ قَالَ أَفَتَرَاهُ صَلَّى فِيهِ قُلْتُ لاَ ‏.‏ قَالَ لَوْ صَلَّى فِيهِ لَكُتِبَ عَلَيْكُمْ فِيهِ الصَّلاَةُ كَمَا كُتِبَتِ الصَّلاَةُ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ قَالَ حُذَيْفَةُ قَدْ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِدَابَّةٍ طَوِيلَةِ الظَّهْرِ مَمْدُودَةٍ هَكَذَا خَطْوُهُ مَدُّ بَصَرِهِ فَمَا زَايَلاَ ظَهْرَ الْبُرَاقِ حَتَّى رَأَيَا الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَوَعْدَ الآخِرَةِ أَجْمَعَ ثُمَّ رَجَعَا عَوْدَهُمَا عَلَى بَدْئِهِمَا قَالَ وَيَتَحَدَّثُونَ أَنَّهُ رَبَطَهُ لِمَ أَيَفِرُّ مِنْهُ وَإِنَّمَا سَخَّرَهُ لَهُ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Zirr bin Hubaish: "I said to Hudhaifah bin Al-Yaman: 'Did the Messenger of Allah (ﷺ) perform Salat in Bait Al-Maqdis?' He said: 'No.' I said: 'But he did.' He said: 'You say that, O bald one! Based upon what do you say that?' I said: 'Based upon the Qur'an, (the Judge) between you and I is the Qur'an.' So Hudhaifah said: 'Whoever argues using the Qur'an, then he has indeed succeeded.'" (One of the narrators) Sufyan said: "He means: 'He has indeed proven'" - and perhaps he (Sufyan) said: "He triumphed." He (Zirr) said: "Glorified is He Who took His slave for a journey by night from Al-Masjid Al-Haram to Al-Masjid Al-Aqsa (17:1).' He (Hudhaifah) said: 'Do you see (this proves that) he (ﷺ) performed Salat in it?' I said: 'No.' He said: 'If he had performed Salat in it, then it would have been required upon you that you perform Salat in it, just as it is required that you perform Salat in Al-Masjid Al-Haram.' Hudhaifah said: 'The Messenger of Allah (ﷺ) was brought a beast with a long back - stretching out like this - one stride of it, is as far as his vision. So, the two of them remained upon the back of Al-Buraq until they saw Paradise and the Fire, and all of what has been prepared for the Hereafter, then they returned back to where they began.' He said: 'They say that he was fettered, but for what? Because he might flee? The Knower of the unseen and the witness subdued him.'"


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা লায়লাতুল ক্বাদর

৩৩৫১. ইবন আবু উমার (রহঃ) ..... যির ইবন হুবায়শ (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি উবাই ইবন কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললামঃ আপনার ভাই আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলে থাকেন যে, সারা বছর যে ব্যক্তি রাত জেগে ইবাদত করবে সে লায়লাতুল কদর পাবে।

তিনি বললেন আবু আবদুর রহমানকে আল্লাহ ক্ষমা করুন। তিনি অবশ্যই জানেন এ রাত হল রমযানের শেষ দশ দিনের মাঝে এবং তা হল সাতাশ তারিখের রাত। কিন্তু তিনি চান যে মানুষ যেন ভরসা করে বসে না থাকে। এরপর তিনি দ্ব্যর্থহীন হলফ করে বললেনঃ এই রাত অবশ্যই সাতাশের রাত।

আমি বললাম হে আবু মানযির! আপনি কি করে এ কথা বলছেন? তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পর্কে যে আলামত আমাদের বলছেন সে অনুসারে আমি তা বলছি। সূর্য এ দিন এমন ভাবে উদিত হয় যে এর কোন কিরণোজ্জৌল্য থাকে না।

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।

হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَاب وَمِنْ سُورَةِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، وَعَاصِمٍ، هُوَ ابْنُ بَهْدَلَةَ سَمِعَا زِرَّ بْنَ حُبَيْشٍ، وَزِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ يُكْنَى أَبَا مَرْيَمَ يَقُولُ قُلْتُ لأُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ إِنَّ أَخَاكَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ يَقُمِ الْحَوْلَ يُصِبْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَقَالَ يَغْفِرُ اللَّهُ لأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ لَقَدْ عَلِمَ أَنَّهَا فِي الْعَشَرَةِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَأَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَلَكِنَّهُ أَرَادَ أَنْ لاَ يَتَّكِلَ النَّاسُ ثُمَّ حَلَفَ لاَ يَسْتَثْنِي أَنَّهَا لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ ‏.‏ قُلْتُ لَهُ بِأَىِّ شَيْءٍ تَقُولُ ذَلِكَ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ قَالَ بِالآيَةِ الَّتِي أَخْبَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ بِالْعَلاَمَةِ أَنَّ الشَّمْسَ تَطْلُعُ يَوْمَئِذٍ لاَ شُعَاعَ لَهَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Zirr bin Hubaish [and Zirr bin Hubaish’s Kunyah is Abu Mariam] said: “I said to Ubayy bin Ka’b: ‘Your brother Abdullah bin Mas’ud says: “Whoever stands (in voluntary prayer) the whole year, then he will have reached the Night of Al-Qadr.’” So he said: ‘May Allah forgive Abu Abdur-Rahman. He knows that is during the last ten (nights) of Ramadan, and that it is the night of the twenty-seventh. But he wanted the people to not rely upon that.’ Then he uttered an oath, that without exception it is on the night of the twenty-seventh.” He said: “I said to him: ‘Why is it that you say that O Abu Al-Mindhir?’ He said: “By the sign or indication which the Messenger of Allah informed us of: ‘That the sun rises on that day having no beams with it.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহ্‌র রহমতের বিবরণ

৩৫৩৫. ইবন আবূ উমার (রহঃ) ..... যির ইবন হুবাইশ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সাফওয়ান ইবন আসসাল মুরাদী (রাঃ) এর কাছে চামরার মোজার উপর মাসেহ করার বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য এলাম। তিনি বললেনঃ হে যির! কি উদ্দেশ্যে তোমার আগমন? আমি বললামঃ ইলমের অন্বেষণে। তিনি বললেনঃ তালেবুল ইলমের জন্য ফিরিশতারা তাদের পাখনা বিছিয়ে দেন তার ইলম সন্ধানের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশে। আমি বললামঃ প্রসাব-পায়খানার পর (উযূর ক্ষেত্রে) চামড়ার মোজায় মাসেহ করার বিষয়টি আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে। আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের একজন। তাই আপনার কাছে জিজ্ঞেস করতে এলাম যে, এই বিষয়ে আপনি তাকে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যখন মুসাফির থাকি তখন যেন গোসল ফরযজনিত কারন ব্যতীত (উযূ করার) তিন দিন তিন রাত আমাদের চামড়ার মোজা না খুলি, প্রস্রাব-পায়খানা ও নিদ্রা ইত্যাদি কারণের বেলায়ও নয়।

আমি বললামঃ মুহাব্বাতের বিষয়ে তাঁকে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম।আমরা তাঁর কাছে ছিলাম এমন সময় বেদুঈন উচ্চৈস্বরে তাকে ডাক দিয়ে বললঃ হে মুহাম্মাদ! তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মত আওয়াজে উত্তর দিলেনঃ এস। আমরা তাকে বললামঃ ওহে! তোমার আওয়াজ একটু নীচু কর। কেননা তুমি তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসেছ। আর তাঁর কাছে এরূপ করতে তোমাকে নিষেধ করা হয়েছে। সে বললঃ আল্লাহর কসম! আমি আমার আওয়াজ নীচু করতে পারব না। পরে ঐ বেদুঈন বললঃ কোন ব্যক্তি এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে বটে কিন্তু তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে যাকে ভালবাসবে, কিয়ামতের দিন সে তার সঙ্গেই থাকবে।

যির (রহঃ) বলেনঃ সাফওয়ান (রাঃ) আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করতে করতে পশ্চিম প্রান্তের (সুফয়ানের বর্ণনায় সিরিয়ার প্রান্তে) একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন। এই ফটকটির প্রশস্তাতা হল চল্লিশ বা (অপর বর্ণনায়) সত্তর বছরের সওয়ারী অতিক্রম করার পথ। আল্লাহ তা’আলা যেদিন থেকে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে ঐটিও সৃষ্টি করেছেন। তওবার জন্য এটি সদা উন্মুক্ত। পশ্চিম থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ করা হবে না।

হাসান, তা’লীকুর রাগীব ৪/৭৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ أَسْأَلُهُ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ فَقُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ فَقَالَ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَطْلُبُ ‏.‏ قُلْتُ إِنَّهُ حَكَّ فِي صَدْرِي الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَكُنْتَ امْرَأً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ أَسْأَلُكَ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي ذَلِكَ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كَانَ يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِيِنَ أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ لَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ ‏.‏ فَقُلْتُ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ إِذْ نَادَاهُ أَعْرَابِيٌّ بِصَوْتٍ لَهُ جَهْوَرِيٍّ يَا مُحَمَّدُ ‏.‏ فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى نَحْوٍ مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ وَقُلْنَا لَهُ وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فَإِنَّكَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا ‏.‏ فَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَغْضُضُ ‏.‏ قَالَ الأَعْرَابِيُّ الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ ‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَمَازَالَ يُحَدِّثُنَا حَتَّى ذَكَرَ بَابًا مِنْ قِبَلِ الْمَغْرِبِ مَسِيرَةُ عَرْضِهِ أَوْ يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي عَرْضِهِ أَرْبَعِينَ أَوْ سَبْعِينَ عَامًا قَالَ سُفْيَانُ قِبَلَ الشَّامِ خَلَقَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ مَفْتُوحًا يَعْنِي لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Zirr bin Hubaish said: “I came to Safwan bin `Assal Al Muradi to ask him about wiping over the Khuff, so he said: ‘What has brought you, O Zirr?’ So I said: ‘The desire for knowledge.’ So he said: ‘Indeed, the angels lower their wings for the seeker of knowledge, out of pleasure with what he is seeking.’ So I said: ‘Indeed there is some doubt in my chest concerning wiping over the Khuff after defecation and urination, and you were a man from the Companions of the Prophet (ﷺ), so I came to you to ask you: Have you heard him (ﷺ) mention anything concerning that?’ He said: ‘Yes, he (ﷺ) used to order us, that when we were travelers’ - or - ‘in travel, to not remove our Khuff for three days and nights except, from sexual impurity, but not from defecation, urination, and sleep.’” He said: “Have you heard him (ﷺ) mention anything concerning love?” He said: “Yes. We were with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey when a Bedouin with a loud voice called upon him (saying): ‘O Muhammad!’ So the Messenger of Allah (ﷺ) responded to him with a voice similar to him (saying): ‘Come.’ So we said to him: ‘Lower your voice for you are with the Prophet (ﷺ), and you have been prohibited from this.’ He said: ‘By Allah, I will not lower (my voice).’ The Bedouin said: ‘A man loves a people but he is not with them (in terms of deeds)?’ He (ﷺ) said: ‘A man is with whomever he loves on the Day of Judgement.’” So he did not cease talking with us, until he mentioned a gate in the direction of the west with the width of seventy years journey - or a rider would travel its width - for forty or seventy years.” Sufyan (one of the narrators) said: “In the direction of Ash-Sham, Allah created it the Day He created the heavens and the earth, open - that is, for repentance. It shall not be locked until the sun rises through it.”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহ্‌র রহমতের বিবরণ

৩৫৩৬. আহমাদ ইবন আবদা দাব্বী (রহঃ) ...... যির ইবন হুবায়শ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সাফওয়ান ইবন আসসাল মুরাদী (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ কেন এসেছ? আমি বললামঃ ইলমের তালাশে। তিনি বললেনঃ আমার কাছে এই হাদীস পৌছেছে যে, ইলম তালাশকারী যা করে, তাতে সন্তুষ্ট হয়ে ফিরিশতারা তাঁর জন্য তাঁদের পাখা বিছিয়ে দেন। তিনি বলেছেনঃ আমি বললামঃ চামড়ার মোজায় মাসেহ করার বিষয়ে আমার মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে। এই বিষয়ে কি আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে কিছু সংরক্ষণ করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, গোসল ফরযজনিত কারণ ব্যতীত, পায়খানা-প্রস্রাব ও নিদ্রাজনিত কারণে উযূর ব্যাপারে না ধোয়ার জন্য মুসাফির অবস্থায় তিন দিন চামড়ার মোজা না খুলতে আমাদের নর্দেশ দিয়েছেন।

আমি বললামঃ মুহাব্বাতের বিষয়ে কিছু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সংরক্ষণ করেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমরা এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। মজলিসের শেষদিকে অবস্থানরত এক বেদুঈন তখন চিৎকার করে তাঁকে বললঃ হে মুহাম্মাদ! হে মুহাম্মাদ! উপস্থিত লোকেরা তাকে বললঃ চুপ কর, এভাবে ডাকা নিষেধ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মত আওয়াজে জওয়াব দিলেনঃ আস। লোকটি বললঃ কোন ব্যক্তি এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে কিন্তু সে তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে যাকে ভালবাসে সে তার সঙ্গে অবস্থান করবে।

যিরর (রহঃ) বলেন, সাফওয়ান (রাঃ) আমাদের হাদীস বর্ণনা করতে থাকলেন। শেষে তিনি বর্ণনা করলেন যে, আল্লাহ তা’আলা পশ্চিমে একটি তওবার দ্বার তৈরী করেছেন। এর প্রশস্ততা সত্তর বছরের পথ। পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় না ঘটা পর্যন্ত তা কখনও রুদ্ধ হবে না। আল্লাহর এই কালামে এইদিকে ইঙ্গিত রয়েছেঃ

يومَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا

যে দিন তোমার রব্বের কিছু নিদর্শনের আবির্ভাব ঘটবে, সেদিন তার ঈমান কোন কাজে আসবে না যে ব্যাক্তি পূর্বে ঈমান আনেনি। (সূরা আনআম ৬ঃ ১৫৮)

باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقَالَ لِي مَا جَاءَ بِكَ قُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ ‏.‏ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَفْعَلُ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ إِنَّهُ حَاكَ أَوْ قَالَ حَكَّ فِي نَفْسِي شَيْءٌ مِنَ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِينَ أُمِرْنَا أَنْ لاَ نَخْلَعَ خِفَافَنَا ثَلاَثًا إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَنَادَاهُ رَجُلٌ كَانَ فِي آخِرِ الْقَوْمِ بِصَوْتٍ جَهْوَرِيٍّ أَعْرَابِيٌّ جِلْفٌ جَافٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ مَهْ إِنَّكَ قَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا ‏.‏ فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوًا مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ فَقَالَ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ زِرٌّ فَمَا بَرِحَ يُحَدِّثُنِي حَتَّى حَدَّثَنِي أَنَّ اللَّهَ جَعَلَ بِالْمَغْرِبِ بَابًا عَرْضُهُ مَسِيرَةُ سَبْعِينَ عَامًا لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ قِبَلِهِ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّْ ‏:‏ ‏(‏ يومَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Zirr bin Hubaish said: “I came to Safwan bin `Assal Al-Muradi so he said to me: ‘What has brought you, O Zirr?’ So I said: ‘The desire for knowledge.’ So he said: ‘It has been conveyed to me that the angels lower their wings for the seeker of knowledge, out of pleasure with what he is doing.’” He said: “So I said to him: ‘Indeed there is something wavering’ - or - ‘some doubt in my chest concerning wiping over the Khuff after defecation. So have you retained anything from the Messenger of Allah (ﷺ) concerning that?’ He said: ‘Yes, when we were travelers, he (ﷺ) used to order us not to remove our Khuff for three days and nights, except from sexual impurity, but not from defecation, urination, and sleep.’” He said: “So I said: ‘So have you memorized anything from the Messenger of Allah (ﷺ) concerning love?’ He said: ‘Yes, we were in one of our journeys with the Messenger of Allah (ﷺ) when a man, a harsh, foolish Bedouin, who had been at the end of the group, called him with a loud voice, saying: “O Muhammad! O Muhammad!” So the people said to him “Mah! Indeed, you have been prohibited from this.” So the Messenger of Allah (ﷺ) responded to him with similar to his voice: “Come.” So he said: “A man loves a people but he has not reached them?” He said: ‘So the Messenger of Allah (ﷺ) said: “A man is with whomever he loves.”’ Zirr said: “He did not cease reporting to me until he had reported that Allah, the Mighty and Sublime, has appointed a gate in the west - its width is the distance of a seventy-year journey - for repentance: it shall not be locked until the sun rises from its direction, and that is the Statement of Allah, Blessed be He and Most High, of the Ayah: The Day some of the signs of your Lord come, no soul shall be benefited by its believing.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১১৩/১. পরিচ্ছেদ নাই।

(১১৩) سُوْرَةُ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ

সুরাহ (১১৩) : ক্বুল আ’উযু বিরাব্বিকাল ফালাক্ব (ফালাক্ব)

وَقَالَ مُجَاهِدٌ(الْفَلَقُ) الصُّبْحُ وَ(غَاسِقٍ) اللَّيْلُ إِذَا وَقَبَ غُرُوْبُ الشَّمْسِ يُقَالُ أَبْيَنُ مِنْ فَرَقِ وَفَلَقِ الصُّبْحِ وَقَبَ إِذَا دَخَلَ فِيْ كُلِّ شَيْءٍ وَأَظْلَمَ.

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْفَلَقُ রাত। غَاسِقٍ সূর্য অস্তমিত হওয়া। আরবীতে فَلَقِ فَرَقِ একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাই বলা হয়, أَبْيَنُ مِنْ فَرَقِ وَفَلَقِ الصُّبْحِ ভোরের আলো প্রকাশিত হওয়ার চেয়েও তা স্পষ্ট। وَقَبَ অন্ধকার সব জায়গায় প্রবেশ করে এবং আচ্ছন্ন করে ফেলে।

৪৯৭৬. যির ইবনু হুবাইশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা’বকে الْمُعَوِّذَتَيْنِ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বললেন, এ বিষয়ে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেন, আমাকে বলা হয়েছে, তাই আমি বলছি। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রকম বলেছেন, আমরাও ঠিক সে রকম বলছি। [৪৯৭৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬১২)

باب

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَاصِمٍ وَعَبْدَةَ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ قَالَ سَأَلْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ عَنِ الْمُعَوِّذَتَيْنِ فَقَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قِيْلَ لِيْ فَقُلْتُ فَنَحْنُ نَقُوْلُ كَمَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم.


Narrated Zirr bin Hubaish: I asked Ubai bin Ka`b regarding the two Muwwidhat (Surats of taking refuge with Allah). He said, "I asked the Prophet (ﷺ) about them, He said, 'These two Surats have been recited to me and I have recited them (and are present in the Qur'an).' So, we say as Allah's Messenger (ﷺ) said (i.e., they are part of the Qur'an."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১১৩/১. পরিচ্ছেদ নাই।

(১১৪) سُوْرَةُ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ

সূরাহ (১১৪) : ক্বুল আ’উযু বিরাব্বিন্নাস (নাস)

وَيُذْكَرُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ(الْوَسْوَاسِ)إِذَا وُلِدَ خَنَسَهُ الشَّيْطَانُ فَإِذَا ذُكِرَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ذَهَبَ وَإِذَا لَمْ يَذْكُرْ اللهَ ثَبَتَ عَلَى قَلْبِهِ.

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, الْوَسْوَاسِ এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, শিশু ভূমিষ্ঠ হলে শয়তন এসে তাকে স্পর্শ করে। তারপর সেখানে আল্লাহর নাম নিলে শায়ত্বন পালিয়ে যায়। আর আল্লাহর নাম না নিলে সে তার অন্তরে জায়গা করে নেয়।


৪৯৭৭. যির ইবনু হুবাইশ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আবুল মুনযির! আপনার ভাই ইবনু মাস’উদ (রাঃ) তো এ রকম কথা বলে থাকেন। তখন উবাই (রাঃ) বললেন, আমি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে বললেন, আমাকে বলা হয়েছে তাই আমি বলেছি। উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ) বলেন, কাজেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছেন আমরাও তাই বলি। [৪৯৭৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬১৩)

باب

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ أَبِيْ لُبَابَةَ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ ح وَحَدَّثَنَا عَاصِمٌ عَنْ زِرٍّ قَالَ سَأَلْتُ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ قُلْتُ يَا أَبَا الْمُنْذِرِ إِنَّ أَخَاكَ ابْنَ مَسْعُوْدٍ يَقُوْلُ كَذَا وَكَذَا فَقَالَ أُبَيٌّ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِيْ قِيْلَ لِيْ فَقُلْتُ قَالَ فَنَحْنُ نَقُوْلُ كَمَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم.


Narrated Zirr bin Hubaish: I asked Ubai bin Ka`b, "O Abu AlMundhir! Your brother, Ibn Mas`ud said so-and-so (i.e., the two Mu'awwidh-at do not belong to the Qur'an)." Ubai said, "I asked Allah's Messenger (ﷺ) about them, and he said, 'They have been revealed to me, and I have recited them (as a part of the Qur'an)," So Ubai added, "So we say as Allah's Messenger (ﷺ) has said."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »