পরিচ্ছেদঃ ১৭. সূরা আন-নাহল
৩১২৮৷ আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যুহরের (ফরযের) পূর্বে সূর্য ঢলে যাওয়ার পর যে চার রাকাআত নামায (আদায় করা হয়, সাওয়াবের দিক হতে) তা শেষ রাতের চার রাকাআত নামাযের মত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এমন কোন জিনিস নেই যা ঐ সময় আল্লাহ্ তা’আলার গুণগান করে না। তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেনঃ “এর ছায়া ডানে ও বায়ে ঢলে পড়ে আল্লাহ তা’আলার প্রতি বিনীতভাবে সিজদাবনত হয়...." (সূরাঃ আন-নাহল- ৪৮-৫০) ..... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
যঈফ, সহীহা (১৪৩১) নং হাদীসের অধীনে
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আলী ইবনু আসিমের সূত্র ব্যতীত এটি প্রসঙ্গে আমরা কিছু জানি না।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنْ يَحْيَى الْبَكَّاءِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْبَعٌ قَبْلَ الظُّهْرِ بَعْدَ الزَّوَالِ تُحْسَبُ بِمِثْلِهِنَّ فِي صَلاَةِ السَّحَرِ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَلَيْسَ مِنْ شَيْءٍ إِلاَّ وَهُوَ يُسَبِّحُ اللَّهَ تِلْكَ السَّاعَةَ " . ثُمَّ قَرَأَ : ( يَتَفَيَّأُ ظِلاَلُهُ عَنِ الْيَمِينِ وَالشَّمَائِلِ سُجَّدًا لِلَّهِ ) الآيَةَ كُلَّهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَلِيِّ بْنِ عَاصِمٍ .
Narrated 'Abdullah bin 'Umar:
"I heard 'Umar bin Al-Khattab saying: 'The Messenger of Allah (ﷺ) said: "Four before Zuhr, after the zenith, are reckoned with their like from Salat As-Sahr (meaning the reward is like that of the two Sunan and obligatory Rak'ah of Fajr)." The Messenger of Allah (ﷺ) said: "There is nothing but that it glorifies Allah at that hour." Then he recited the Ayah: Their shadows shift from right to left, prostrating to Allah while they are humble (16:48).
পরিচ্ছেদঃ ১৭. সূরা আন-নাহল
৩১২৯। উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদের যুদ্ধে চৌষট্টিজন আনসার ও ছয়জন মুহাজির শাহাদাত বরণ করেন। তাদের মধ্যে হামযাহ (রাযিঃ)-ও ছিলেন। কাফিররা তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কর্তন করে লাশ বিকৃত করেছিল। আনসারগণ বলেন, আমরা যদি এসব কাফিরকে কোন দিন কাবু করতে পারি তাহলে তাদের উপর এর দ্বিগুণ বদলা নেব। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর যখন মক্কা বিজয়ের দিন আসলো তখন আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “যদি তোমরা শাস্তি দাওই তবে ঠিক ততখানি শাস্তি দিবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর তবে ধৈর্যশীলদের জন্য তাইতো উত্তম"- (সূরা আন-নাহল ১২৬)। তখন এক ব্যক্তি বলল, আজকের পর হতে কুরাইশদের নাম থাকবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ চার ব্যক্তি ব্যতীত অন্য লোকদের হত্যা করা হতে তোমরা বিরত থাক।
সনদ হাসান সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান এবং উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসেবে গারীব।
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عِيسَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ، قَالَ حَدَّثَنِي أُبَىُّ بْنُ كَعْبٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ أُصِيبَ مِنَ الأَنْصَارِ أَرْبَعَةٌ وَسِتُّونَ رَجُلاً وَمِنَ الْمُهَاجِرِينَ سِتَّةٌ فِيهِمْ حَمْزَةُ فَمَثَّلُوا بِهِمْ فَقَالَتِ الأَنْصَارُ لَئِنْ أَصَبْنَا مِنْهُمْ يَوْمًا مِثْلَ هَذَا لَنُرْبِيَنَّ عَلَيْهِمْ قَالَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ( وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُمْ بِهِ وَلَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِلصَّابِرِينَ ) فَقَالَ رَجُلٌ لاَ قُرَيْشَ بَعْدَ الْيَوْمِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُفُّوا عَنِ الْقَوْمِ إِلاَّ أَرْبَعَةً " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ .
Narrated Ubayy bin Ka'b:
"On the Day of Uhud, sixty-four of the Ansar were killed, and six from the Muhajirin, one of whom was Hamzah, and they mutilated them, so the Ansar said: 'If, (in the future) we are able to kill them on a day like this, we would mutilate from among them as twice as they (mutilate from among us).'" He said: "So on the day of the Conquest of Makkah, Allah revealed: And if you punish them, then punish them with the like of that with which you were afflicted. But if you have patience, then it is better for those who are patient (16:126). So a man said: 'There shall be no Quraish after today.' But the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Leave the people, except for four.'"