সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২১ টি

পরিচ্ছেদঃ ১৪৩: সাক্ষাৎকালীন আদব - সাক্ষাৎকালে মুসাফাহা করা, হাসিমুখ হওয়া, সৎ ব্যক্তির হাত চুমা, নিজ সন্তানকে স্নেহভরে চুমা দেওয়া, সফর থেকে আগত ব্যক্তির সাথে মু‘আনাকা (কোলাকুলি) করা মুস্তাহাব। আর (কারোর সম্মানার্থে) সামনে মাথা নত করা মাকরূহ।

৫/৮৯৪। সাফওয়ান ইবনু আসসাল রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, এক ইয়াহূদী তার সাথীকে বললঃ এসো আমরা এই নবীর নিকট যাই। ফলে তারা দু’জন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এল এবং তাঁকে নয়টি সুস্পষ্ট নিদর্শন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করল। হাদীসের বর্ণনাকারী শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন যে, তারপর তারা দু’জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে ও পায়ে চুমা দিল এবং বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি নিঃসন্দেহে আপনি নবী। এ হাদীস ইমাম তিরমিযী প্রমুখ সহীহ সানাদ সহকারে বর্ণনা করেছেন। (তিরমিযী ও অন্যরা সহীহ সনদে)[1]

(143) بَابُ اِسْتِحْبَابِ الْمُصَافَحَةِ عِنْدَ اللِّقَاءِ وَبَشَاشَةِ الْوَجْهِ وَتَقْبِيْلِ يَدِ الرَّجُلِ الصَّالِحِ وَتَقْبِيْلِ وَلَدِهِ شَفَقَةً وَمُعَانَقَةِ الْقَادِمِ مِنْ سَفَرٍ وَكَرَاهِيَةِ الْاِنْحِنَاءِ

وعن صَفْوان بن عَسَّال رضي الله عنه قال: قال يَهُودي لِصَاحبه اذْهب بنا إلى هذا النبي فأتيا رسول الله صلى الله عليه وسلم فَسَألاه عن تسْع آيات بَينات فَذَكرَ الْحَديث إلى قَوْله: فقَبَّلا يَدَهُ وَرِجْلَهُ وقالا: نَشْهَدُ أنَّكَ نبي . رواه الترمذي وغيره بأسانيد صحيحة.

(143) Chapter: The Excellence of Shaking Hands When Greeting Someone


Safwan bin 'Assal (May Allah be pleased with him) reported: A Jew asked his companion to take him to the Prophet (ﷺ); and when they came to the Messenger of Allah (ﷺ), they asked him about the nine clear signs (given to Prophet Musa). Safwan narrated the long Hadith which concludes: They kissed the hands and feet of the Messenger of Allah (ﷺ) and said: "We testify that you are a Prophet." [At-Tirmidhi]


হাদিসের মানঃ মুনকার (সহীহ হাদীসের বিপরীত)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৮/ মুসাফিরের জন্য মোজার উপর মাসাহ করার সময়সীমা

১২৬। কুতায়বা (রহঃ) ... সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে, আমরা যখন সফরে থাকি তখন আমাদের মোজা তিন দিন তিন রাত না খোলার অনুমতি দিয়েছেন।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ رَخَّصَ لَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كُنَّا مُسَافِرِينَ أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ ‏


It was narrated that Safwan bin 'Assal said: "The Prophet (ﷺ) granted us a dispensation when traveling, allowing us not to take off our Khuffs for three days and three nights."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১/৩৯. উযূ করতে অপরের সাহায্য গ্রহণ এবং তার পানি ঢেলে দেয়া।

৩/৩৯১। সাফ্ওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে ও বাড়িতে থাকাকালে আমি তাঁর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র পানি ঢেলে দিয়েছি।

بَاب الرَّجُلِ يَسْتَعِينُ عَلَى وُضُوئِهِ فَيَصُبُّ عَلَيْهِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ، حَدَّثَنِي حُذَيْفَةُ بْنُ أَبِي حُذَيْفَةَ الأَزْدِيُّ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ صَبَبْتُ عَلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْمَاءَ فِي السَّفَرِ وَالْحَضَرِ فِي الْوُضُوءِ ‏.‏


It was narrated that Safwan bin 'Assal said: "I poured water for the Prophet on journeys and as a resident, when he performed ablution."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১/৬২. ঘুম থেকে উঠে উযূ করা।

৫/৪৭৮। সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নাপাকির গোসল ব্যতীত তিন দিন পর্যন্ত মোজা না খোলার নির্দেশ দিয়েছেন, পায়খানা, পেশাব হলেও এবং ঘুমালেও।

بَاب الْوُضُوءِ مِنْ النَّوْمِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَأْمُرُنَا أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ لَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ ‏.‏


It was narrated that Safwan bin 'Assal said: "The Messenger of Allah used to command us not to take off our leather socks for three days except in the case of sexual impurity, but not in the case of defecation, urine or sleep (i.e. during travel)."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮/৩৮. ইমামের উপদেশ

১/২৮৫৭। সাফ্ওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে একটি ক্ষুদ্র সামরিক অভিযানে পাঠান, তিনি বলেনঃ তোমরা আল্লাহর নামে আল্লাহর রাস্তায় রওয়ানা হয়ে যাও, যারা আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, লাশ (নাক-কান কেটে) বিকৃত করো না, বিশ্বাসঘাতকতা করো না, গনীমতের মাল আত্মসাৎ করো না এবং শিশুদের হত্যা করো না।

بَاب وَصِيَّةِ الْإِمَامِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي عَطِيَّةُ بْنُ الْحَارِثِ أَبُو رَوْقٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو الْغَرِيفِ، عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ خَلِيفَةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ بَعَثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَرِيَّةٍ فَقَالَ ‏ "‏ سِيرُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا ‏"‏ ‏.‏


It was narrated that Safwan bin ‘Assil said: “The Messenger of Allah (ﷺ) sent us in a military detachment and said: ‘Go in the Name of Allah, and in the cause of Allah. Fight those who disbelieve in Allah. Do not mutilate, do not be treacherous, do not steal from the spoils of war, and do not kill children.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মুসাফির ও মুকিমের জন্য চামড়ায় মোজায় মাসেহ করা।

৯৬. হান্নাদ (রহঃ) ..... সাফওয়ান ইবনু আসসাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেনঃ আমরা মূসাফির হলে ফরয গোসল ব্যতীত তিনদিন তিনরাত পর্যন্ত চামড়ার মোযা না খুলতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলেছেন। এই নির্দেশ ছিল পেশাব-পায়খানা ও নিদ্রার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। - ইবনু মাজাহ ৪৭৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ এই হাদিসটি হাসান ও সহীহ। হাকাম ইবনু উতায়বা হাম্মাদ (রহঃ) ইবরাহীম আন্ নাখঈ- আবূ আবদিল্লাহ্ আল-জাদালী-খাযায়মা ইবনু ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহ সূত্রে মাসেহ সম্পর্কিত একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তবে এটির সনদ সহীহ নয়। আলী ইবনু’ল মাদীনী (রহঃ) শু’বা থেকে বর্ণনা করেন যে, শু’বা বলেনঃ ইবরাহীম আন্-নাখঈ (রহঃ) চামড়ার মোযায় মাসেহ সম্পর্কিত হাদিসটি আবূ আবদিল্লাহ আল জাদালী থেকে শুনেননি। যাইদা (রহঃ) মানসূর থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন আমরা ইবরাহীম আত-তায়মীর হুজরায় ছিলাম। ইবরাহীম আন্-নাখঈও সেখানে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ইবরাহীম আত-তায়মী আমদেরকে আমর ইবনু মায়মন-আবূ আবদিল্লাহ আল- জাদালী-খুযায়মা ইবন ছাবিত রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে চামড়ার মোযায় মাসেহ সম্পর্কিত হাদিসটি রিওয়ায়াত করেন।

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল আল-বুখারী (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে রাফওয়ান ইবনুু’ আসসাল আল-মুরাদী বর্ণিত হাদিসটি সর্বোত্তম। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ সাহাবী, তাবিঈ এবং পরবর্তী আলিম ও ফকীহগণ যেমন সুফইয়ান ছাওরী, ইাবন মুবারক, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক প্রমুখের অভিমত এ-ই। তারা বলেনঃ মুকীম ব্যক্তি একদিন এক রাত এবং মূসাফির ব্যক্তি তিনদিন তিনরাত চামড়ার মোযায় মাসেহ করতে পারবে। আলিমদের কারো কারো যেমন, মালিক ইবনু আনাসের বক্তব্য হল, মাসহ(মাসেহ)র জন্য নির্ধারিত কোন সময় নাই। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেন, তবে সময় নির্ধারিত থাকার অভিমতটি অধিকতর সহীহ।

باب الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُسَافِرِ وَالْمُقِيمِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ وَحَمَّادٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ وَلاَ يَصِحُّ ‏.‏ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعْ إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ مِنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ حَدِيثَ الْمَسْحِ ‏.‏ وَقَالَ زَائِدَةُ عَنْ مَنْصُورٍ كُنَّا فِي حُجْرَةِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ وَمَعَنَا إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ فَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ الْعُلَمَاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْفُقَهَاءِ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا يَمْسَحُ الْمُقِيمُ يَوْمًا وَلَيْلَةً وَالْمُسَافِرُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ لَمْ يُوَقِّتُوا فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَالتَّوْقِيتُ أَصَحُّ ‏.‏


Safwan bin Assal narrated: 'When we were traveling, Allah's Messenger would order us not to remove our Khuff for three days and nights, except for Janabah, but not for defecating, urinating, and sleep."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি যাকে সে ভালবাসে তার সঙ্গেই থাকবে।

২৩৯০. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... সাফওয়ান ইবন আসসাল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, উচ্চস্বরের অধিকারী জনৈক মরুবাসী আরবে এসে বললঃ হে মুহাম্মদ, এক ব্যক্তি কোন এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে কিন্তু সে তাদের পর্যায়ে যেয়ে মিলিত হতে পারেনি। (তার অবস্থা কি হবে?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে ব্যক্তি যাকে ভালবাসে সে তার সঙ্গেই থাকবে। হাসান, আর রাওয ৩৬০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ। আহমাদ ইবন আবদা যাববী (রহঃ) ... সাফওয়ান ইবন আসসাল রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মাহমূদ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের (২৩৯০ নং) অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ أَنَّ الْمَرْءَ مَعَ مَنْ أَحَبَّ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ جَهْوَرِيُّ الصَّوْتِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ مَحْمُودٍ ‏


Safwan bin Assal narrated that a Bedouin with a loud voice and said: " O Muhammad! A man loves the people but does not catch up to them (in deeds)." So the Messenger of Allah(s.a.w) said: "A man shall be with whomever he loves."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ হাতে ও পায়ে চুমু দেওয়া প্রসঙ্গে।

২৭৩৩. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ....... সাফওয়ান ইবন আসসাল রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ইয়াহূদী তার এক সঙ্গীকে বলল, আমাকে এই নবীর কাছে নিয়ে চল। সঙ্গীটি বললঃ নবী বলবে না। তিনি যদি তা শুনতে পান তবে তো তার চক্ষু (খুশীতে) আটখানা হয়ে পড়বে। তারা উভয়েই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এল এবং তাঁকে নয়টি সুস্পষ্ট নিদর্শন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল।

তিনি তাদের বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে কিছুর শরীক করবে না। চুরি করবে না, যিনা করবে না, যে প্রাণ হত্যা করা অল্লাহ্ হারাম করেছেন কোন হক ব্যতিরেকে সে প্রাণকে হত্যা করবে না, হত্যার উদ্দেশ্যে কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে ক্ষমতাসীনের কাছে নিয়ে যাবে না, যাদু টোনা করবে না, সুদ খাবে না, নিষ্পাপ মহিলাকে অপবাদ দিবে না, যুদ্ধের ময়দান থেকে পিঠ ফিরায়ে পলায়ন করবে না। আর হে ইয়াহূদীগণ! বিশেষ করে তোমাদের জন্য কথা হল, তোমরা শনিবারের ক্ষেত্রে সীমালংঘন করবে না।

সাফওয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ তখন তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’হাত ও দু’পায়ে চুম্বন করে বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি সত্যই নবী। তিনি বললেনঃ তা হলে আমার অনুসরণ করতে তোমাদেরকে কিসে বাধা দিচ্ছে?

তারা বললঃ দাউদ (আঃ) তার রবের নিকট দু’আ করেছিলেন তার বংশেই যেন সব সময় নবীর আগমন হয়। আমাদের আশঙ্কা হয় যদি আমরা আপানার অনুসরণ করি তা হলে ইয়াহুদিরা আমাদের হত্যা করে ফেলবে। যঈফ, ইবনু মাজাহ ৩৭০৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৭৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইয়াযীদ ইবন আসওয়াদ। ইবন উমর ও কা’ব ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي قُبْلَةِ الْيَدِ وَالرِّجْلِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ قَالَ يَهُودِيٌّ لِصَاحِبِهِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ ‏.‏ فَقَالَ صَاحِبُهُ لاَ تَقُلْ نَبِيٌّ إِنَّهُ لَوْ سَمِعَكَ كَانَ لَهُ أَرْبَعَةُ أَعْيُنٍ ‏.‏ فَأَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلاَهُ عَنْ تِسْعِ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ‏.‏ فَقَالَ لَهُمْ ‏"‏ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى ذِي سُلْطَانٍ لِيَقْتُلَهُ وَلاَ تَسْحَرُوا وَلاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلاَ تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً وَلاَ تُوَلُّوا الْفِرَارَ يَوْمَ الزَّحْفِ وَعَلَيْكُمْ خَاصَّةً الْيَهُودَ أَنْ لاَ تَعْتَدُوا فِي السَّبْتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَبَّلُوا يَدَهُ وَرِجْلَهُ فَقَالاَ نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا يَمْنَعُكُمْ أَنْ تَتَّبِعُونِي ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا إِنَّ دَاوُدَ دَعَا رَبَّهُ أَنْ لاَ يَزَالَ فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ تَبِعْنَاكَ أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَسْوَدِ وَابْنِ عُمَرَ وَكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Safwan bin Assal: "A Jew said to his companion: 'Accompany us to this Prophet.' So his companion said: 'Do not say: "Prophet". For if he hears you (say that) then he will be very happy.' So they went to the Messenger of Allah (ﷺ) to question him about nine clear signs. So he said to them: 'Do not associate anything with Allah, nor steal, nor commit unlawful intercourse, nor take a life which Allah has made prohibited prohibited, except for what is required (in the law), nor hasten to damage the reputation of one of power so that he will be killed, nor practice magic, nor consume Riba, nor falsely accuse the chaste woman, nor turn to flee on the day of the march, and for you Jews particularly, to not violate the Sabbath.'" He said: "So they kissed his hands and his feet, and they said: 'We bear witness that you are a Prophet.' So he (ﷺ) said: 'Then what prevents you from following me?' They said: 'Because Dawud supplicated to his Lord that his offspring never be devoid of Prophets and we feared that if we follow you then the Jews will kill us.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা বনী ইসরাঈল

৩১৪৪. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ..... সাফওয়ান ইবন আসসাল মূরাদী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একবার দুই ইয়াহূদীর একজন আরেকজনকে বললঃ এই নবীর কাছে আমাদের নিয়ে চল আমরা তাঁকে কিছু প্রশ্ন করি। অপরজন বললঃ তাকে নবী বলবে না। কারণ, যদি শুনতে পায় যে তাকে তুমি নবী বলছ তাহলে আনন্দে আটখানা হয়ে যাবে। এরা উভয়েই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসল এবং তারা আল্লাহর বাণীঃ (وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ) - আমি মূসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম (১৭ঃ ১০১) সম্পর্কে প্রশ্ন করল।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে কিছুর শরীক করবে না, যিনা করবে না, আল্লাহ্ যে প্রাণ বধ হারাম করেছেন শরীয়ত সম্মত অধিকার ছাড়া তাকে হত্যা করবে না, চুরি করবে না, যাদু-টোনা করবে না, কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষ চাপিয়ে ক্ষমতাধিকারীর কাছে নিয়ে তাকে হত্যা করাবে না, সুদ খাবে না, কোন নির্দোষ ব্যাক্তিকে দোষ চাপিয়ে ক্ষমতাধিকারীর কাছে নিয়ে তাকে হত্যা করাবে না, সুদ খাবে না, সাধ্বী মহিলাকে অপবাদ দিবে না, যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করবে না। বিশেষ করে হে ইয়াহূদী সম্প্রদায়! তোমাদের জন্য কথা হল তোমরা শনিবারের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। তারপর এরা উভয়েই তাঁর হাতে ও পায়ে চুমু খেয়ে বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নবী। তারা বললঃ দাঊদ (আঃ) আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলেন যে, তাঁর বংশেই যেন সব সময় নবীর আগমন হয় আমাদের আশংকা হয় আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি তবে ইয়াহূদীরা আমাদের মেরে ফেলবে।

যঈফ, ইবনু মাজাহ ৩৭০৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৪৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন)এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَأَبُو الْوَلِيدِ، وَاللَّفْظُ، لَفْظُ يَزِيدَ وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ، أَنَّ يَهُودِيَّيْنِ، قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ نَسْأَلُهُ فَقَالَ لاَ تَقُلْ لَهُ نَبِيٌّ فَإِنَّهُ إِنْ سَمِعَنَا نَقُولُ نَبِيٌّ كَانَتْ لَهُ أَرْبَعَةُ أَعْيُنٍ فَأَتَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلاَهُ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏:‏ ‏(‏ وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ‏)‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَسْحَرُوا وَلاَ تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى سُلْطَانٍ فَيَقْتُلَهُ وَلاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلاَ تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً وَلاَ تَفِرُّوا مِنَ الزَّحْفِ شَكَّ شُعْبَةُ وَعَلَيْكُمُ الْيَهُودَ خَاصَّةً أَنْ لاَ تَعْدُوا فِي السَّبْتِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَبَّلاَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ وَقَالاَ نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تُسْلِمَا ‏"‏ ‏.‏ قَالاَ إِنَّ دَاوُدَ دَعَا اللَّهَ أَنْ لاَ يَزَالَ فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ أَسْلَمْنَا أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Safwan bin 'Assal Al-Muradi: "A Jew said to his companion: 'Accompany us to this Prophet.' So his companion said: 'Do not say: "Prophet," for if he hears you calling him a Prophet then he will be happy.' So they went to the Prophet (ﷺ) to question him about Allah, the Most High, saying: And indeed we gave Musa nine clear signs (17:101). So the Messenger of Allah (ﷺ) said to them: 'Do not associate anything with Allah, nor commit unlawful intercourse, nor take a life which Allah has made prohibited, except for what is required (in the law), nor steal, nor practice magic, nor hasten to damage the reputation of an innocent person in front of a ruler, so that he will be killed, nor consume Riba, nor falsely accuse the chaste woman, nor turn to flee on the day of the march (i.e. flee from war).' - Shu'bah was in doubt - 'and for you Jews particularly, to not violate the Sabbath.'" He said: "So they kissed his hands and his feet and they said: 'We bear witness that you are a Prophet.' So he said: 'Then what prevents you from accepting Islam?' They said: 'Because Dawud supplicated to his Lord, that his offspring never be devoid of Prophets, and we feared that if we follow you then the Jews will kill us.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭১. মুসাফির ও মুকীম ব্যক্তির মোজার উপর মাসাহ করা

৯৬। সাফওয়ান ইবনু ’আসসাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমরা যখন সফরে থাকতাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নির্দেশ দিতেন, আমরা যেন নাপাকির গোসল ছাড়া তিন দিন তিন রাত আমাদের মোজা না খুলি; এমনকি মলত্যাগ-পেশাব ও ঘুম হতে ওঠার পর ওযু করার সময়ও (মোজা না খুলি)। —হাসান। ইবনু মাজাহ– (৪৭৮)।

আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ। হাকাম ইবনু উতাইবা ও হাম্মাদ-ইবরাহীম নাখঈর সূত্রে, তিনি আবু আবদুল্লাহ আল-জাদালীর সূত্রে, তিনি খুযাইমার সূত্রে মোজার উপর মাসিহ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ বর্ণনাটি সহীহ নয়। ’আলী ইবনু মাদীনী বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ বলেছেন, শু’বা বলেছেন, আবু আবদুল্লাহ আল-জাদালীর নিকট হতে ইবরাহীম নাখাঈ মাসিহ সম্পর্কিত হাদীস শুনেননি। যায়িদাহ মানসূর হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমরা ইবরাহীম তাইমীর ঘরে বসা ছিলাম। ইবরাহীম নাখাঈও আমাদের সাথে ছিলেন। তখন ইবরাহীম তাইমী আমাদের নিকট আমর ইবনু মাইমূনের সুত্রে, তিনি আব্দুল্লাহ আল জাদালীর সুত্রে, তিনি খুজাইমা ইবনু সাবিতের সূত্রে এবং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে ’মোজার উপর মাসিহ সম্পর্কিত হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (ইমাম বুখারী) বলেন, এ অনুচ্ছেদে সাফওয়ান ইবনু আসসাল আল-মুরাদী (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি বেশি উত্তম।

আবু ঈসা বলেনঃ বিশেষজ্ঞ সাহাবা, তাবিঈ ও পরবর্তী যুগের ফিকহবিদ যেমন সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকের মতে মুসাফির ব্যক্তি তিন দিন তিন রাত এবং মুকীম ব্যক্তি এক দিন এক রাত পর্যন্ত মোজার উপর মাসিহ করতে পারবে।

আবু ঈসা বলেনঃ কিছু বিদ্বান যেমন মালিক ইবনু আনাস মোজার উপর মসিহ করার সময়সীমা নির্দিষ্ট করেননি। কিন্তু সময়সীমা নির্ধারিত করাটাই বেশি সহীহ। এই হাদীসটি সাফওয়ান ইবনু আস্‌সাল হতে আসিম ব্যতীত অন্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে।

باب الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُسَافِرِ وَالْمُقِيمِ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى الْحَكَمُ بْنُ عُتَيْبَةَ وَحَمَّادٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ وَلاَ يَصِحُّ ‏.‏ قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعْ إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ مِنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ حَدِيثَ الْمَسْحِ ‏.‏ وَقَالَ زَائِدَةُ عَنْ مَنْصُورٍ كُنَّا فِي حُجْرَةِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ وَمَعَنَا إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ فَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَدَلِيِّ عَنْ خُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثُ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ الْعُلَمَاءِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْفُقَهَاءِ مِثْلِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا يَمْسَحُ الْمُقِيمُ يَوْمًا وَلَيْلَةً وَالْمُسَافِرُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رُوِيَ عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُمْ لَمْ يُوَقِّتُوا فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَالتَّوْقِيتُ أَصَحُّ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ حَدِيثِ عَاصِمٍ ‏.‏


Safwan bin Assal narrated: 'When we were traveling, Allah's Messenger would order us not to remove our Khuff for three days and nights, except for Janabah, but not for defecating, urinating, and sleep."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫০. যে যাকে ভালোবাসে (কিয়ামত দিবসে) সে তার সাথী হবে

২৩৮৭। সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উচ্চ আওয়াযধারী জনৈক বিদুঈন এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! কোন একজন ব্যক্তি একটি সম্প্রদায়কে ভালোবাসে; কিন্তু সে তাদের সাথে গিয়ে মিলিত হতে পারেনি (অর্থাৎ তাদের পর্যন্ত পৌছতে পারেনি)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে ব্যক্তি যাকে ভালোবাসে (কিয়ামত দিবসে) সে তার সাথেই অবস্থান করবে।

হাসান, আর রাওয (৩৬০)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আহমাদ ইবনু আবদা আয-যাববী-হাম্মাদ ইবনু যাইদ হতে, তিনি আসিম হতে, তিনি যির ইবনু হুবাইশ হতে, তিনি সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে মাহমূদ বর্ণিত হাদীসের মতোই হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ أَنَّ الْمَرْءَ مَعَ مَنْ أَحَبَّ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيٌّ جَهْوَرِيُّ الصَّوْتِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ مَحْمُودٍ ‏.‏


Safwan bin Assal narrated that a Bedouin with a loud voice and said: " O Muhammad! A man loves the people but does not catch up to them (in deeds)." So the Messenger of Allah(s.a.w) said: "A man shall be with whomever he loves."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. হাতে ও পায়ে চুমু দেওয়া

২৭৩৩। সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, জনৈক ইয়াহুদী তার এক সঙ্গিকে বলল, আস আমরা এই নবীর নিকট যাই। তার বন্ধু বলল, নবী বলো না, তিনি যদি শুনে ফেলেন তাহলে খুশীতে তার চার চোখ হয়ে যাবে। অতঃপর এরা দু’জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এসে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন সম্পর্কে প্রশ্ন করল।

তিনি তাদের বললেনঃ আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে অংশীদার করো না, চুরি করো না, যেনা করো না, আল্লাহ যেসব প্রাণ হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন সঙ্গত কারণ ছাড়া সেগুলো হত্যা করো না, হত্যার উদ্দেশ্যে কোন নির্দোষ ব্যক্তিকে বিচারালয়ে নিয়ে যেও না, যাদু করো না, সুদ খেয়ো না, সতী-সাধ্বী মহিলাকে যেনার অপবাদ দিও না, যুদ্ধের ময়দান থেকে পিঠ ফিরিয়ে পলায়ন করো না এবং বিশেষ করে তোমরা ইয়াহুদীগণ শনিবারের সীমা লংঘন করো না।

রাবী বলেন, এসব স্পষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যা শুনে তারা তার হাতে-পায়ে চুমু দিল এবং বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নবী। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তাহলে আমার অনুসরণ করতে তোমাদের বাধা কিসের? রাবী বলেন, তারা বলল, দাউদ (আঃ) তার রবের নিকটে দু’আ করেছিলেন যে, তার (বংশধরের) সন্তানদের মধ্যেই যেন নবী হন। আমরা আশংকা করছি আমরা যদি আপনার অনুসরণ করি তাহলে ইয়াহুদীগণ আমাদের হত্যা করে ফেলবে।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩৭০৫)

এ অনুচ্ছেদে ইয়াযীদ ইবনুল আসওয়াদ, ইবনু উমার ও কাব ইবনু মালিক (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي قُبْلَةِ الْيَدِ وَالرِّجْلِ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، وَأَبُو أُسَامَةَ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، قَالَ قَالَ يَهُودِيٌّ لِصَاحِبِهِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ ‏.‏ فَقَالَ صَاحِبُهُ لاَ تَقُلْ نَبِيٌّ إِنَّهُ لَوْ سَمِعَكَ كَانَ لَهُ أَرْبَعَةُ أَعْيُنٍ ‏.‏ فَأَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلاَهُ عَنْ تِسْعِ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ‏.‏ فَقَالَ لَهُمْ ‏"‏ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى ذِي سُلْطَانٍ لِيَقْتُلَهُ وَلاَ تَسْحَرُوا وَلاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلاَ تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً وَلاَ تُوَلُّوا الْفِرَارَ يَوْمَ الزَّحْفِ وَعَلَيْكُمْ خَاصَّةً الْيَهُودَ أَنْ لاَ تَعْتَدُوا فِي السَّبْتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَبَّلُوا يَدَهُ وَرِجْلَهُ فَقَالاَ نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا يَمْنَعُكُمْ أَنْ تَتَّبِعُونِي ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا إِنَّ دَاوُدَ دَعَا رَبَّهُ أَنْ لاَ يَزَالَ فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ تَبِعْنَاكَ أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَسْوَدِ وَابْنِ عُمَرَ وَكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Safwan bin Assal: "A Jew said to his companion: 'Accompany us to this Prophet.' So his companion said: 'Do not say: "Prophet". For if he hears you (say that) then he will be very happy.' So they went to the Messenger of Allah (ﷺ) to question him about nine clear signs. So he said to them: 'Do not associate anything with Allah, nor steal, nor commit unlawful intercourse, nor take a life which Allah has made prohibited prohibited, except for what is required (in the law), nor hasten to damage the reputation of one of power so that he will be killed, nor practice magic, nor consume Riba, nor falsely accuse the chaste woman, nor turn to flee on the day of the march, and for you Jews particularly, to not violate the Sabbath.'" He said: "So they kissed his hands and his feet, and they said: 'We bear witness that you are a Prophet.' So he (ﷺ) said: 'Then what prevents you from following me?' They said: 'Because Dawud supplicated to his Lord that his offspring never be devoid of Prophets and we feared that if we follow you then the Jews will kill us.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. সূরা বানী ইসরাঈল

৩১৪৪৷ সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ কোন এক সময় দুই ইয়াহদীর একজন অপরজনকে বলল, চল আমরা এই নবীর কাছে গিয়ে তাকে কিছু প্রশ্ন করি। অপরজন বললঃ তাকে নবী বল না। কেননা সে যদি এটা শুনে ফেলে যে, তুমি (ইয়াহুদীরাও) তাকে নবী বলছ, তার চার চোখ হয়ে যাবে। তারা উভয়ে তার নিকটে এসে তাকে আল্লাহ তা’আলার নিম্নোক্ত বাণী প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেঃ “আমরা মূসাকে নয়টি নিদর্শন দান করেছিলাম" (সূরাঃ বাণী ইসরাঈল১০১)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সেই নয়টি নিদর্শন (নির্দেশ) হচ্ছেঃ

(১) তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার সাথে কোন কিছু অংশীদার করো না, (২) যেনা-ব্যভিচার করো না, (৩) যাকে হত্যা করা আল্লাহ তা’আলা নিষিদ্ধ করেছেন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া তার জীবন সংহার করো না, (৪) চুরি করো না, (৫) যাদুটোনা করো না, (৬) কোন নিরপরাধ লোককে সরকারের কাছে অপরাধী বানিয়ে খুন করতে নিয়ে যেও না, (৭) সুদ খেও না, (৮) কোন সতী- সাধ্বী মহিলার বিরুদ্ধে যেনার মিথ্যা অপবাদ দিও না এবং (৯) যুদ্ধক্ষেত্র হতে পালিয়ে যেও না।হে ইয়াহুদী সম্প্রদায়! বিশেষ করে তোমরা শনিবারের বাধ্যবাধকতা অতিক্রম করো না।

তারপর ইয়াহুদী শ্রোতা দু’জন তার পা দুটিতে ও হাত দুটিতে চুমা দিয়ে বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিঃসন্দেহে আপনি নবী। তিনি বললেনঃ তাহলে তোমাদের দু’জনকে ইসলাম গ্রহণে কিসে বাধা দিচ্ছে? তারা উভয়ে বললঃ দাউদ আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার নিকটে দু’আ করেছিলেন তিনি যেন বরাবর তার বংশধরদের মধ্য হতেই নবী পাঠান। অনন্তর আমাদের আশংকা হচ্ছে, আমরা যদি ইসলাম কুবুল করি তাহলে ইয়াহুদীরা আমাদেরকে মেরে ফেলবে।

যঈফ, ইবনু মাজাহ (৩৭০৫)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، وَيَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، وَأَبُو الْوَلِيدِ، وَاللَّفْظُ، لَفْظُ يَزِيدَ وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ، أَنَّ يَهُودِيَّيْنِ، قَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِيِّ نَسْأَلُهُ فَقَالَ لاَ تَقُلْ لَهُ نَبِيٌّ فَإِنَّهُ إِنْ سَمِعَنَا نَقُولُ نَبِيٌّ كَانَتْ لَهُ أَرْبَعَةُ أَعْيُنٍ فَأَتَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلاَهُ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏:‏ ‏(‏ وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى تِسْعَ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ ‏)‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَسْحَرُوا وَلاَ تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى سُلْطَانٍ فَيَقْتُلَهُ وَلاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلاَ تَقْذِفُوا مُحْصَنَةً وَلاَ تَفِرُّوا مِنَ الزَّحْفِ شَكَّ شُعْبَةُ وَعَلَيْكُمُ الْيَهُودَ خَاصَّةً أَنْ لاَ تَعْدُوا فِي السَّبْتِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَبَّلاَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ وَقَالاَ نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا يَمْنَعُكُمَا أَنْ تُسْلِمَا ‏"‏ ‏.‏ قَالاَ إِنَّ دَاوُدَ دَعَا اللَّهَ أَنْ لاَ يَزَالَ فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ أَسْلَمْنَا أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Safwan bin 'Assal Al-Muradi: "A Jew said to his companion: 'Accompany us to this Prophet.' So his companion said: 'Do not say: "Prophet," for if he hears you calling him a Prophet then he will be happy.' So they went to the Prophet (ﷺ) to question him about Allah, the Most High, saying: And indeed we gave Musa nine clear signs (17:101). So the Messenger of Allah (ﷺ) said to them: 'Do not associate anything with Allah, nor commit unlawful intercourse, nor take a life which Allah has made prohibited, except for what is required (in the law), nor steal, nor practice magic, nor hasten to damage the reputation of an innocent person in front of a ruler, so that he will be killed, nor consume Riba, nor falsely accuse the chaste woman, nor turn to flee on the day of the march (i.e. flee from war).' - Shu'bah was in doubt - 'and for you Jews particularly, to not violate the Sabbath.'" He said: "So they kissed his hands and his feet and they said: 'We bear witness that you are a Prophet.' So he said: 'Then what prevents you from accepting Islam?' They said: 'Because Dawud supplicated to his Lord, that his offspring never be devoid of Prophets, and we feared that if we follow you then the Jews will kill us.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন

৫৮-[১০] সফ্ওয়ান ইবনু ’আস্‌সাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ইয়াহূদী তার সঙ্গীকে বলল, এসো, আমাকে এ নবী লোকটির নিকট নিয়ে চল। সঙ্গী বলল, তাঁকে ’নবী’ বলবে না, কারণ সে যদি তা শুনে তাহলে সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাবে। অতঃপর তারা উভয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলো এবং তাঁকে (মূসার) নয়টি স্পষ্ট হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (১) আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, (২) চুরি করবে না, (৩) ব্যভিচার করবে না, (৪) [শারী’আতের অনুমতি ব্যতিরেকে) কাউকে হত্যা করবে না যা আল্লাহ হারাম করেছেন, (৫) (মিথ্যে অপবাদ দিয়ে) কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করবার জন্য আদালতের নিকট নিয়ে যাবে না, (৬) যাদু করবে না, (৭) সুদ খাবে না, (৮) কোন সতী-সাধ্বীর ওপর ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগ দিবে না এবং (৯) জিহাদকালে ময়দান থেকে পিঠ ফিরিয়ে পলায়নের উদ্দেশে আসবে না। আর হে ইয়াহূদীরা! তোমাদের জন্য শনিবারের ব্যাপারে আল্লাহর হুকুমের সীমালঙ্ঘন করো না।

বর্ণনাকারী (সফ্ওয়ান) বলেন, তারা উভয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুই হাতে-পায়ে চুম্বন করলো এবং বললঃ আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সত্যিই আপনি আল্লাহর নবী! তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার অনুসরণের পথে তোমাদের বাধা কী? তারা বলল, (সত্যি কথা হল) দাঊদ (আঃ) আল্লাহর নিকট দু’আ করেছিলেন যে, নবী সবসময় যেন তার বংশে জন্মগ্রহণ করেন। সুতরাং আমাদের ভয় হয়, যদি আমরা আপনার অনুসারী হই তাহলে ইয়াহূদীরা আমাদেরকে হত্যা করবে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)[1]

باب الكبائر وعلامات النفاق - الفصل الثاني

عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ قَالَ: قَالَ يَهُودِيٌّ لصَاحبه اذْهَبْ بِنَا إِلَى هَذَا النَّبِي فَقَالَ صَاحِبُهُ لَا تَقُلْ نَبِيٌّ إِنَّهُ لَوْ سَمِعَكَ كَانَ لَهُ أَرْبَعَة أَعْيُنٍ فَأَتَيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَاهُ عَنْ تِسْعِ آيَاتٍ بَيِّنَاتٍ فَقَالَ لَهُم: «لَا تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا تَسْرِقُوا وَلَا تَزْنُوا وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا تَمْشُوا بِبَرِيءٍ إِلَى ذِي سُلْطَانٍ لِيَقْتُلَهُ وَلَا تَسْحَرُوا وَلَا تَأْكُلُوا الرِّبَا وَلَا تَقْذِفُوا مُحصنَة وَلَا توَلّوا الْفِرَار يَوْمَ الزَّحْفِ وَعَلَيْكُمْ خَاصَّةً الْيَهُودَ أَنْ لَا تَعْتَدوا فِي السبت» . قَالَ فقبلوا يَده وَرجله فَقَالَا نَشْهَدُ أَنَّكَ نَبِيٌّ قَالَ فَمَا يَمْنَعُكُمْ أَنْ تتبعوني قَالُوا إِن دَاوُد دَعَا ربه أَن لَا يزَال فِي ذُرِّيَّتِهِ نَبِيٌّ وَإِنَّا نَخَافُ إِنْ تَبِعْنَاكَ أَنْ تَقْتُلَنَا الْيَهُودُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ

Chapter: Major Sins and the Signs of Hypocrisy - Section 2


Safwan b. ‘Assal told how, when a Jew said to his friend, “Let us go to this prophet,” his friend said to him, “Don’t say ‘prophet’, for if he heard you he would be greatly pleased.” * They went to God’s messenger and asked him about nine clear signs. God’s messenger said, “Do not associate anything with God. do not steal, do not commit fornication, do not kill anyone whom God has declared inviolate without a just cause, do not bring an innocent person before a ruler in order that he may put him to death, do not use magic, do not devour usury, do not slander a chaste woman, do not turn in flight on the day the army marches, and, a matter which affects you Jews particularly, do not break the Sabbath.” He said that thereupon they kissed/his hands and feet saying, “We testify that you are a prophet.” He asked “What prevents you from following me?” to which they replied, “David prayed to his Lord that prophets might never cease to arise from his offspring, and we are afraid that if we follow you the Jews will kill us.” Tirmidhi, Aba Dawud and Nasa’i transmitted it. * Lit. “he would have four eyes.”

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে এক ইয়াহূদী তার সঙ্গীকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নাবী শব্দ প্রয়োগ করতে বাধা প্রদান করে এবং বলে, সে যদি এ শব্দ শুনতে পায় তাহলে খুশীতে সে দৃষ্টি মেলে ধরবে ফলে উজ্জ্বলতা আরো বেড়ে যাবে। কেননা আনন্দ মানুষের দৃষ্টিকে প্রসারিত করে। আর চিন্তা তাতে বিঘ্ন ঘটায়। তারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে পরীক্ষা স্বরূপ নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন সম্পর্কে প্রশ্ন করে। এ নয়টি নিদর্শন দ্বারা হয়ত নয়টি মু‘জিযা উদ্দেশ্য। যেমন মহান আল্লাহ তা‘আলার বাণীতে বিদ্যমান ‘‘তোমার হাত তোমার জামার বক্ষদেশে প্রবেশ করাও, ফলে তা কোন অকল্যাণ ব্যতিরেকেই ফর্সা হয়ে বেরিয়ে আসবে।’’ এটি নয়টি মু‘জিযার একটি, অবশিষ্টগুলো হলোঃ লাঠি, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, দুর্ভিক্ষ ও ফসলের ঘাটতি। অথবা সাধারণ নির্দেশাবলী যা সকল উম্মাতের জন্য প্রযোজ্য। যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী, ‘‘আমি মূসা (আঃ)-কে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন প্রদান করেছি’’ এমনটি হলে হাদীসে উল্লিখিত বিষয়গুলো তাদের প্রশ্নোত্তর।

বিশেষ করে হে ইয়াহূদী সম্প্রদায়! তোমরা শনিবারের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করো না। অর্থাৎ- শনিবারের মর্যাদার ব্যাপারে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে ঐ দিনে মাছ শিকার করো না। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নাবী। কেননা একজন লেখাপড়া না জানা ব্যক্তির পক্ষে এ ধরনের জ্ঞান মু‘জিযা। আর তা নুবূওয়্যাতের সাক্ষী। তবে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ‘আরব জাতির নাবী। কারণ দাঊদ (আঃ) দু‘আ করেছিলেন তার সন্তানদের মধ্যেই যেন নুবূওয়্যাতের ধারা অব্যাহত থাকে। তিনি নাবী হওয়ার কারণে তাঁর দু‘আ গ্রহণীয়, কেননা আল্লাহ তা‘আলা নাবীদের দু‘আ অগ্রাহ্য করেন না। বিষয়টি যদি তাই হয়, তাহলে তার সন্তানদের মধ্যে নুবূওয়্যাতের ধারা অব্যাহত থাকবে। আর ইয়াহূদী সম্প্রদায় সে নাবীর অনুসরণ করবে। হতে পারে যে তারা বিজয়ী হবে এবং তারা শক্তিশালী হবে। আর যদি এমনটি হয় আর আমরা তাদের ধর্ম পরিত্যাগ করে আপনার অনুসরণ করি তাহলে তারা আমাদেরকে হত্যা করবে। তাদের এ দাবী মিথ্যা এবং দাঊদ (আঃ)-এর প্রতি অপবাদ। কেননা তিনি এমন দু‘আ করেননি। আর কোন ব্যক্তির পক্ষে দাঊদ (আঃ) সম্পর্কে এমন ধারণা পোষণ করা বৈধ নয়। কেননা দাঊদ (আঃ) যাবূরে পাঠ করেছেন যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বশেষ নাবী করে প্রেরণ করা হবে। তার মাধ্যমে নুবূওয়্যাতের ধারাবাহিকতা শেষ হয়ে যাবে এবং সকল বিধান বাতিল হয়ে যাবে। অতএব একজন নাবীর পক্ষে কিভাবে সম্ভব হবে যে, আল্লাহ তাঁকে যা অবহিত করেছেন তার বিপরীত দু‘আ করা?


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ইলমের ফযীলত

(১৫৬২) স্বাফওয়ান বিন আসসাল মুরাদী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম। তিনি মসজিদে তাঁর এক লাল রঙের চাদরে হেলান দিয়ে বসেছিলেন। আমি তাঁকে বললাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমি ইলম অন্বেষণ করতে এলাম।’ আমার এ কথা শুনে তিনি বললেন, ইলম অন্বেষী (দ্বীন শিক্ষার্থী) কে আমি স্বাগত জানাই। অবশ্যই ইলম অন্বেষীকে ফিরিশতাগণ তাঁদের পক্ষ দ্বারা পরিবেষ্টিত করে নেন। অতঃপর একে অন্যের উপর আরোহণ করেন। অনুরূপভাবে তাঁরা নিম্ন আসমান পর্যন্ত পৌঁছে যান। এতদ্বারা তাঁরা তার ঐ ইলম অন্বেষণের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকেন।

عن صَفْوَانِ بن عَسَّالٍ الْمُرَادِيُّ، قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ وَهُوَ مُتَّكِئٌ فِي الْمَسْجِدِ عَلَى بُرْدٍ لَهُ، فَقُلْتُ لَهُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي جِئْتُ أَطْلُبُ الْعِلْمَ، فَقَالَ مَرْحَبًا بطالبِ الْعِلْمِ، طَالِبُ الْعِلْمِ لَتَحُفُّهُ الْمَلائِكَةُ وَتُظِلُّهُ بِأَجْنِحَتِهَا، ثُمَّ يَرْكَبُ بَعْضُهُ بَعْضًا حَتَّى يَبْلُغُوا السَّمَاءَ الدُّنْيَا مِنْ حُبِّهِمْ لِمَا يَطْلُبُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. মোজার উপর মাসাহ - মাসাহ-এর সময়-সীমা। সেটা ছোট নাপাকীর সাথে নির্দিষ্ট

৬১। সাফওয়ান বিন ’আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদেশ দিতেন যে, ’আমরা যেন সফরে থাকাবস্থায় তিন দিন তিন রাত জানাবত (ফরয গোসলের কারণ) ব্যতীত মোজা না খুলি; এমনকি প্রস্রাব পায়খানা ও ঘুমের পরও নয়। শব্দগুলো তিরমিযী ও ইবনু খুযাইমাহর। দু’জনেই এটাকে সহীহ বলেছেন।[1]

وَعَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لَا نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهِنَّ, إِلَّا مِنْ جَنَابَةٍ، وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ, وَبَوْلٍ, وَنَوْمٍ. أَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ, وَالتِّرْمِذِيُّ وَاللَّفْظُ لَهُ, وَابْنُ خُزَيْمَةَ وَصَحَّحَاهُ

-

حسن. رواه النسائي (1/ 83 - 84)، والترمذي (96)، وابن خزيمة (196)، وقال الترمذي: حسن صحيح


Narrated Safwan bin ‘Assal (rad): When we were on a journey, the Prophet (ﷺ) used to command us to wear our leather socks for three days and three nights, whether we had to answer the call of nature or slept. However, in case of ejaculation or sexual impurity, he commanded us to remove the leather socks. [Reported by An-Nasa’i and At-Tirmidhi, version is of the latter. With them Ibn Khuzaima graded it Sahih (sound)].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. যাতে উযু নষ্ট হয় এবং (স্ত্রীকে) স্পর্শ করা ও চুমা দেয়া

৪৭২(১). আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুবাশশির (রহঃ) .... সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আর আল-হাসানীর বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহবাস জনিত নাপাকী ব্যতীত মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত মোজার উপর মসেহ করার অবকাশ দিয়েছেন। পায়খানা-পেশাব অথবা বায়ু নির্গত হওয়ার কারণে নাপাক হলেও (মোজার উপর তিন দিন তিন রাত) মসেহ করতে পারবে। এই হাদীসে বায়ু নির্গত হওয়া শব্দটি ওয়াকী’ (রহঃ) মিসআর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেননি।

بَابُ صِفَةِ مَا يَنْقُضُ الْوُضُوءَ ، وَمَا رُوِيَ فِي الْمُلَامَسَةِ وَالْقُبْلَةِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، وَأَبُو عُبْدِ اللَّهِ أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ - بِوَاسِطٍ - قَالَا : حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ ، وَحَدَّثَنَا أَبُو الطَّيِّبِ يَزِيدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ يَزِيدَ الْبَزَّازُ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَسَّانِيُّ ، قَالَا : ثَنَا وَكِيعٌ ، نَا مِسْعَرٌ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقَالَ الْحَسَّانِيُّ : " رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُسَافِرِ ثَلَاثًا إِلَّا مِنْ جَنَابَةٍ ، وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ أَوْ رِيحٍ " . لَمْ يَقُلْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ " أَوْ رِيحٍ " غَيْرُ وَكِيعٍ ، عَنْ مِسْعَرٍ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৮: মুসাফিরের জন্য মোজার উপর মাসাহ করার সময়সীমা

১২৬. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... সফওয়ান ইবনু ’আসসাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন সফর অবস্থায় থাকি তখন নবী (সা.) আমাদেরকে তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত মোজা না খোলার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন।

بَاب التَّوْقِيتِ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ لِلْمُسَافِرِ

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ عَاصِمٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ زِرٍّ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ رَخَّصَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كُنَّا مُسَافِرِينَ، ‏‏‏‏‏‏أَنْ لَا نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ .

تخریج دارالدعوہ: سنن الترمذی/الطہارة ۷۱ (۹۶) مطولاً، الزہد ۵۰ (۲۳۸۷) ببعضہ، الدعوات ۹۹ (۳۵۳۵، ۳۵۳۶) مطولاً، سنن ابن ماجہ/الطہارة ۶۳ (۴۷۸)، الفتن ۳۲ (۴۰۷۰)، (تحفة الأشراف: ۴۹۵۲)، مسند احمد ۴/ ۲۳۹، ۲۴۰، ۲۴۱، وأعادہ المؤلف بأرقام: ۱۵۸، ۱۵۹بزیادة في متنہ (حسن)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 126 - حسن

98. Time Limit For Wiping Over The Khuffs


It was narrated that Safwan bin 'Assal said: The Prophet (ﷺ) granted us a dispensation when traveling, allowing us not to take off our Khuffs for three days and three nights.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১৪: পায়খানা করার পর উযূ করা

১৫৯. আমর ইবনু আলী ও ইসমাঈল ইবনু মাস’উদ (রহ.)… যির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাফওয়ান ইবনু আসসাল (রাঃ) বলেছেন আমরা যখন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে সফরে বের হতাম তখন তিনি আমাদের নির্দেশ করতেন আমরা যেন শুধুমাত্র অপবিত্রতা ছাড়া পায়খানা-প্রস্রাব এবং ঘুমের কারণে তিনদিন পর্যন্ত তা (মোজা) না খুলি।

الْوُضُوءُ مِنْ الْغَائِطِ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، ‏‏‏‏‏‏قَالَا:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ عَاصِمٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ زِرٍّ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ قال صَفْوَانُ بْنُ عَسَّالٍ:‏‏‏‏ كُنَّا إِذَا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، ‏‏‏‏‏‏ أَمَرَنَا أَنْ لَا نَنْزِعَهُ ثَلَاثًا إِلَّا مِنْ جَنَابَةٍ، ‏‏‏‏‏‏وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ .

تخریج دارالدعوہ: انظر حدیث رقم: ۱۲۶، (تحفة الأشراف: ۴۹۵۲) (حسن)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 159 - حسن

114. Wulu' After Defecating


Safwan bin 'Assal said: When we were with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey, he told us not to take them off for three days except in the case of Janabah, but not in the case of defecation, urinating or sleep.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি দুনিয়াতে যাকে ভালবাসে, তার সাথে জান্নাতে যাওয়ার আশা প্রসঙ্গে

৫৬৩. সাফওয়ান বিন ‘আসসাল আল মুরাদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে তার বুলন্দ আওয়াজে বললেন: “হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” আমরা বললাম: “তোমার বিনাস হোক! নিম্ন আওয়াযে বলো। কেননা এরকম আওয়াজে তাঁর সাথে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।” তখন সে ব্যক্তি বলেন: “না, আল্লাহর কসম, যতক্ষন না আমি তাঁর কাছ থেকে শুনেছি (ততক্ষন পর্যন্ত আমি আওয়ায নিচু করবো না)।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে হাত দিয়ে ইশারা করে বলেন “এদিকে আসো।”  তখন ঐ ব্যক্তি বলেন: “ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে আপনার কী অভিমত, যে ব্যক্তি একটা কওমকে ভালবাসে কিন্তু সে এখনও পর্যন্ত (আমলে) তাদের পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “ঐ ব্যক্তি তাদের সাথেই থাকবে, যাদের সে ভালবাসে।”[1]

قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (هَاؤُمُ) أَرَادَ بِهِ رَفَعَ الصَّوْتِ فَوْقَ صَوْتِ الْأَعْرَابِيِّ لِئَلَّا يَأْثَمَ الْأَعْرَابِيُّ بِرَفْعِ صَوْتِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَهُ الشَّيْخُ

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “এদিকে আসো।”  এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো বেদুঈনের আওয়াজের চেয়ে নিজের আওয়াজ বেশি উঁচু করা যাতে তাঁর আওয়াজের উপর বেদুঈনের আওয়াজে উঁচু হয়ে বেদুঈন পাপী না হন। এটি আমাদের শাইখ বলেছেন।”

ذِكْرُ رَجَاءِ دُخُولِ الْجِنَانِ لِلْمَرْءِ مَعَ مَنْ كَانَ يُحِبُّهُ فِي الدُّنْيَا

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مَعْشَرٍ بِحَرَّانَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الْبَجَلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ الْمُرَادِيِّ: أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقَالَ: يَا مُحَمَّدُ بِصَوْتٍ لَهُ جَهْوَرِيٍّ فَقُلْنَا: وَيْلَكَ اخْفِضْ مِنْ صَوْتِكَ فَإِنَّكَ قَدْ نُهيت عَنْ هَذَا قَالَ: لَا وَاللَّهِ حَتَّى أَسْمَعَهُ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ: (هَاؤُمُ) فقَالَ: أَرَأَيْتَ رَجُلًا أَحَبَّ قَوْمًا وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ؟ قَالَ: (ذَلِكَ مَعَ مَنْ أحب.)
الراوي : صَفْوَان بْن عَسَّالٍ الْمُرَادِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 563 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »