পরিচ্ছেদঃ সততা, সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ সংক্রান্ত অধ্যায়
২৭১. উবাদা বিন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা আমার জন্য ছয়টি জিনিসের জামিন হও, আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জামিন হবো। (১) যখন কথা বলবে, তখন সত্য কথা বলবে, (২) যখন ওয়াদা করবে, তখন তা পুর্ণ করবে, (৩) তোমাদের কাছে আমানত রাখা হলে, তা রক্ষা করবে, (৪) লজ্জাস্থান হেফাযত করবে, (৫) দৃষ্টি অবনত রাখবে এবং (৬) তোমাদের হাতকে সংযত রাখবে।”[1]
بَابُ الصِّدْقِ وَالْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ حَنْطَبٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قال: (اضْمَنُوا لِي سِتًّا أَضْمَنْ لَكُمُ الْجَنَّةَ: اصْدُقُوا إِذَا حَدَّثْتُمْ وَأَوْفُوا إِذَا وَعَدْتُمْ وأدُّوا إِذَا ائتُمِنْتُم وَاحْفَظُوا فُرُوجَكُمْ وغُضُّوا أَبْصَارَكُمْ وكُفُّوا أَيْدِيَكُمْ.)
الراوي : عُبَادَة بْن الصَّامِتِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 271 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ১৪৭০।)
পরিচ্ছেদঃ কোন মানুষ সদাসর্বদা সত্য কথা বললে, মহান আল্লাহ তাকে সিদ্দীকীনদের মধ্যে লিপিবদ্ধ করেন
২৭২. আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন কোন ব্যক্তি সদাসর্বদা সত্য কথা বলে এবং সত্য বলতে প্রয়াসী থাকে, এভাবে এক পর্যায়ে আল্লাহর নিকট তাকে সিদ্দীক বা পরম সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর যখন কোন ব্যক্তি সদাসর্বদা মিথ্যা কথা বলে এবং মিথ্যা বলতে প্রয়াসী থাকে, এভাবে এক পর্যায়ে আল্লাহর নিকট তাকে কাযযাব বা চরম মিথ্যাবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।”[1]
ذِكْرُ كِتْبَةِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا الْمَرْءَ عِنْدَهُ مِنَ الصِّدِّيقِينَ بِمُدَاوَمَتِهِ عَلَى الصِّدْقِ فِي الدُّنْيَا
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي مَعْشَرٍ بِحَرَّانَ قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ وَمَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (لَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَصْدُقُ وَيَتَحَرَّى الصِّدْقَ حَتَّى يُكتب عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَلَا يَزَالُ يَكْذِبُ ويتحرَّى الْكَذِبَ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللَّهِ كذاباً.)
الراوي : عَبْد اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 272 | خلاصة حكم المحدث: صحيح
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয য‘ঈফা: ৬৩২৩।)
পরিচ্ছেদঃ যারা সব সময় সত্য কথা বলেন, তাদের জান্নাতে প্রবেশ করার আশা
২৭৩. আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয়ই সত্য মানুষকে পুণ্যের পথ দেখায় আর পুণ্য জান্নাতের পথ দেখায়। যখন কোন ব্যক্তি সদাসর্বদা সত্য কথা বলে, এক পর্যায়ে আল্লাহর নিকট তাকে সিদ্দীক বা পরম সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর নিশ্চয়ই মিথ্যা মানুষকে পাপের পথ দেখায়, পাপ জাহান্নামের পথ দেখায়। যখন কোন ব্যক্তি সদাসর্বদা মিথ্যা কথা বলে এক পর্যায়ে আল্লাহর নিকট তাকে কাযযাব বা চরম মিথ্যাবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।”[1]
ذِكْرُ رَجَاءِ دُخُولِ الْجِنَانِ لِلدَّوَامِ عَلَى الصِّدْقِ في الدنيا
أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّ الصِّدْقَ لَيَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصدق حَتَّى يُكتب عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ حتى يُكتب عند الله كذاباً.)
الراوي : عَبْد اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 273 | خلاصة حكم المحدث: صحيح
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয য‘ঈফা: ৬৩২৩।)
পরিচ্ছেদঃ সত্য বলায় অভ্যস্থ হওয়া ও মিথ্যার উপকরণ থেকে দূরে থাকা ওয়াজিব
২৭৪. আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয়ই সত্য মানুষকে পুণ্যের পথ দেখায় আর পুণ্য জান্নাতের পথ দেখায়। যখন কোন ব্যক্তি সদাসর্বদা সত্য কথা বলে, এক পর্যায়ে আল্লাহর নিকট তাকে সিদ্দীক বা পরম সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর নিশ্চয়ই মিথ্যা মানুষকে পাপের পথ দেখায়, পাপ জাহান্নামের পথ দেখায়। যখন কোন ব্যক্তি সদাসর্বদা মিথ্যা কথা বলে এক পর্যায়ে আল্লাহর নিকট তাকে কাযযাব বা চরম মিথ্যাবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ تعوُّد الصِّدْقِ وَمُجَانَبَةِ الْكَذِبِ فِي أَسْبَابِهِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (عَلَيْكُمْ بِالصِّدْقِ فَإِنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى الْبِرِّ وَإِنَّ الْبِرَّ يَهْدِي إِلَى الْجَنَّةِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصدق حَتَّى يُكتب عِنْدَ اللَّهِ صِدِّيقًا وَإِنَّ الْكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الْفُجُورِ وَإِنَّ الْفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكذِب حتى يُكتب عند الله كذاباً.)
الراوي : عَبْد اللَّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 274 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয য‘ঈফা: ৬৩২৩।)
পরিচ্ছেদঃ মানুষ অপছন্দ করলেও হক কথা বলা ওয়াজিব
২৭৫. আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “জেনে রেখো, যখন কোন ব্যক্তি হক দেখতে পাবে, মানুষের ভয় যেন তাকে সে হক কথা বলা থেকে বিরত না রাখে।”[1]
ذِكْرُ مَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْحَقِّ وَإِنْ كَرِهَهُ النَّاسُ
أَخْبَرَنَا السَّامِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْبَزَّارُ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أَلَا لَا يمنعنَّ أَحَدَكُمْ مَخَافَةُ الناس أن يقول بالحق إذا رآه.)
الراوي : أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 275 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ১৬৮।)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মানুষকে অসন্তুষ্ট করে আল্লাহকে সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, তার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি
২৭৬. ‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি মানুষকে অসন্তুষ্ট করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, মহান আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান এবং মানুষকেও তার প্রতি সন্তুষ্ট করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে মানুষের সন্তুষ্টি অন্বেষণ করে, মহান আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে যান এবং মানুষকেও তার প্রতি অসন্তুষ্ট করে দেন।”[1]
ذِكْرُ رِضَاءِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا عمَّن الْتَمَسَ رِضَاهُ بِسَخَطِ النَّاسِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْجُعْفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ الْمُحَارِبِيُّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ وَاقِدٍ الْعُمَرِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنِ الْتَمَسَ رِضَى اللَّهِ بِسَخَطِ النَّاسِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَى الناس عنه ومن التمس رضى النَّاسِ بِسَخَطِ اللَّهِ سَخَطَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَأَسْخَطَ عليه الناس.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 276 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ২৩১১।)
পরিচ্ছেদঃ সৃষ্টিজীব নারায হলেও আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা মানুষের জন্য ওয়াজিব এই মর্মে হাদীস
২৭৭. ‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি মানুষকে অসন্তুষ্ট করে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে, মহান আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান আর যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে মহান আল্লাহ তাকে মানুষের প্রতি সোপর্দ করে দেন।”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ إِرْضَاءِ اللَّهِ عِنْدَ سَخَطِ الْمَخْلُوقِينَ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجُوزَجَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنِ الْقَاسِمِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (مَنْ أَرْضَى اللَّهَ بِسَخَطِ الناس كفاه الله ومن أسخط الله برضى الناس وَكَلَهُ الله إلى الناس.)
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 277 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ২৩১১।)
পরিচ্ছেদঃ যখন কোন ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ দেখবে বা অন্যায় বুঝতে পারবে, নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার মত পরিস্থিতি না হলে হক কথা না বলে চুপ থাকার ব্যাপারে ধমকি
২৭৮. আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন কোন ব্যক্তি হক দেখতে পায় অথবা হক বুঝতে পারে, তখন মানুষের ভয় যেন তাকে সে হক কথা বলা থেকে বিরত না রাখে।”[1]
قال أبوسعيد: فما زال الْبَلَاءُ حَتَّى قَصَرْنَا وَإِنَّا لَنَبْلُغ فِي الشَّرِّ.
আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “আমাদের উপর সব সময় বিপদাপদ লেগেই থাকতো এমনটি (হক কথা বলতে) অক্ষম হয়ে যাই এখন আমরা খারাপ অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছি।”
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنِ السُّكُوتِ لِلْمَرْءِ عَنِ الْحَقِّ إِذَا رَأَى الْمُنْكَرَ أَوْ عَرَفَهُ مَا لَمْ يُلقِ بِنَفْسِهِ إِلَى التَّهْلُكَةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (لا يَمْنَعَنَّ أَحَدَكُمْ مَخَافَةُ النَّاسِ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِحَقَ إذا رآه أو عَرَفَهُ.)
الراوي : أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 278 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকাতুল হিসান: ২৭৮।)
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়াতে শাসকদের নিকটে হক কথার কারণে কিয়ামতের দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে হাওযে কাওসারে অবতরণ করবে
২৭৯. কা‘ব বিন ‘উজরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন, আমরা এসময় পাঁচজন ও চারজন মোট নয়জন ছিলাম, আমাদের একদল ছিল আরব আরেক দল ছিল অনারব। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা শুনে রাখো অথবা বলেছেন তোমরা শুনতে পাচ্ছো কি? আমার পরে কিছু শাসক হবে। যে ব্যক্তি তাদের কাছে গমন করবে, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে, সে আমার অন্তর্ভূক্ত নয়, আমিও তার অন্তর্ভূক্ত নই এবং সে আমার কাছে হাওযে কাওসারে অবতরণ করতে পারবে না। আর যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে না, সে আমার অন্তর্ভূক্ত, আমিও তার অন্তর্ভূক্ত এবং সে আমার কাছে হাওযে কাওসারে অবতরণ করবে।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْمَرْءَ يَرِدُ فِي الْقِيَامَةِ الْحَوْضَ عَلَى الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَوْلِهِ الْحَقَّ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ فِي الدُّنْيَا
أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ عَنْ مِسْعَرٍ عَنْ أَبِي حَصِينٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَاصِمٍ الْعَدَوِيِّ عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ تِسْعَةٌ: خَمْسَةٌ وَأَرْبَعَةٌ أَحَدُ الْفَرِيقَيْنِ مِنَ الْعَرَبِ وَالْآخَرُ مِنَ الْعَجَمِ فَقَالَ: (اسْمَعُوا أَوْ هَلْ سَمِعْتُمْ إِنَّهُ يَكُونُ بَعْدِي أُمَرَاءُ فَمَنْ دَخَلَ عَلَيْهِمْ فَصَدَّقَهُمْ بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَلَيْسَ مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُ وَلَيْسَ بِوَارِدٍ عَلَيَّ الْحَوْضَ وَمَنْ لَمْ يُصَدِّقْهُمْ بِكَذِبِهِمْ وَلَمْ يُعنهم عَلَى ظُلْمِهِمْ فَهُوَ مِنِّي وأنا منه وهو وارد علي الحوض.)
الراوي : كَعْب بْن عُجْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 279 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয যিলাল: ৭৫৬।)
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়াতে শাসকদের নিকট হক কথা বলার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার আশা সম্পর্কে আলোচনা
২৮০. আলকামাহ বিন ওয়াক্কাস রহিমাহুল্লাহ বলেন, মদীনার একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে এসময় তিনি মদীনার বাজারে বসে ছিলেন, তখন আলকামাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন: “হে ওমুক, আপনার কিছু দায়িত্ব আছে এবং কিছু অধিকার আছে। আমি দেখছি যে, আপনি শাসকদের কাছে যাতায়াত করেন এবং তাদের সাথে কথাবার্তা বলেন। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী বিলাল বিন হারিস আল মুযানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে শুনেছি, তিনি বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ দিবস পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের কেউ আল্লাহর অসন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।”[1]
قَالَ عَلْقَمَةُ: انْظُرْ وَيْحَكَ مَاذَا تَقُولُ وَمَاذَا تَكَلَّمُ بِهِ فرُبَّ كَلَامٌ قَدْ مَنَعَنِي مَا سَمِعْتُهُ مِنْ بِلَالِ بْنِ الْحَارِثِ.
আলকামাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন: “আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন। আপনি খেয়াল রাখবেন যে, আপনি কি কথা বলছেন আর কি সম্পর্কে কথা বলছেন। বিলাল বিন হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই হাদীস শোনার পর অনেক কথা বলা থেকে বিরত থেকেছি।”
ذِكْرُ رَجَاءِ تَمَكُّنِ الْمَرْءِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا فِي الْقِيَامَةِ بِقَوْلِهِ الْحَقَّ عِنْدَ الْأَئِمَّةِ فِي الدُّنْيَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سُلَيْمَانَ بْنِ الْأَشْعَثِ السِّجِسْتَانِيُّ أَبُو بَكْرٍ بِبَغْدَادَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ قَالَ: مرَّ بِهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَهُ شَرَفٌ وَهُوَ جَالِسٌ بِسُوقِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ عَلْقَمَةُ: يَا فُلَانُ إِنَّ لَكَ حُرمة وَإِنَّ لَكَ حَقًّا وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُكَ تَدْخُلُ عَلَى هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاءِ فَتَكَلَّمُ عِنْدَهُمْ وَإِنِّي سَمِعْتُ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ ـ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ـ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِنَّ أَحَدَكُمْ ليتكلَّم بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تبلُغ مَا بَلَغَتْ فيكتُب اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ وَإِنَّ أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ مَا يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يوم القيامة.)
الراوي : عَلْقَمَةُ عَنْ بِلَال بْن الْحَارِثِ الْمُزَنِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 280 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৮৮৮।)
পরিচ্ছেদঃ আমরা যা বললাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে দ্বিতীয় হাদীস
২৮১. বিলাল বিন হারিস আল মুযানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ দিবস পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের কেউ আল্লাহর অসন্তুষ্টিমূলক এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ দিবস পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।”[1]
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي قَالَ: سَمِعْتُ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم: (إن أَحَدَكُمْ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللَّهِ مَا يظنُّ أَنَّهَا تَبْلُغُ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ وَإِنَّ أَحَدَكُمْ ليتكلَّم بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللَّهِ مَا يظنُّ أَنَّهَا تَبْلُغُ مَا بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ بها سخطه إلى يوم يلقاه.)
الراوي : بِلَال بْن الْحَارِثِ الْمُزَنِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 281 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৮৮৮।)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি শাসকদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন হাওযে কাওসারে অবতরণ করতে পারবে না
২৮২. কা‘ব বিন ‘উজরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন, আমরা এসময় নয়জন ছিলাম, আমাদের মাঝে চামড়ার একটি বালিশ ছিল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমার পরে অচিরেই কিছু শাসকের আবির্ভাব হবে। যে ব্যক্তি তাদের কাছে গমন করবে, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে, সে আমার অন্তর্ভূক্ত নয়, আমিও তার অন্তর্ভূক্ত নই এবং সে আমার কাছে হাওযে কাওসারে আসবে না। আর যে ব্যক্তি তাদের কাছে গমন করবেনা, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে না, সে আমার অন্তর্ভূক্ত, আমিও তার অন্তর্ভূক্ত এবং সে অচিরেই আমার কাছে হাওযে কাওসারে অবতরণ করবে।”[1]
আবু হাসীনের নাম হলো উসমান বিন ‘আসিম। আমাদের শাইখ এটি বলেছেন।
ذكر الإخبارعن نَفْيِ الْوُرُودِ عَلَى الْحَوْضِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عمَّن صدَّق الْأُمَرَاءَ بِكَذِبِهِمْ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ سَلْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِصَامِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي حَصِينٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَاصِمٍ الْعَدَوِيِّ عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ تِسْعَةٌ وَبَيْنَنَا وِسَادَةٌ مِنْ أَدَمٍ فَقَالَ: (سَيَكُونُ مِنْ بَعْدِي أُمَرَاءُ فَمَنْ دَخَلَ عَلَيْهِمْ فصدَّقهم بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَلَيْسَ مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُ وَلَا يَرِدُ عَلَيَّ الْحَوْضَ وَمَنْ لَمْ يَدْخُلْ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يصدِّقهم بِكَذِبِهِمْ وَلَمْ يُعنهم عَلَى ظُلْمِهِمْ فَهُوَ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ وسَيَردُ عَلَيَّ الحوض.)
أَبُو حَصِينٍ: عُثْمَانُ بْنُ عَاصِمٍ قَالَهُ الشَّيْخُ
الراوي : كَعْب بْن عُجْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 282 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয যিলাল: ৭৫৬।)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি শাসকদেরকে তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে অথবা তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে, সে ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাওযে কাওসারে অবতরণ করতে পারবে না
২৮৩. কা‘ব বিন ‘উজরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন, আমরা এসময়ে একটি চামড়ার বালিশে বসে ছিলাম, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমার পরে অচিরেই কিছু শাসকের আবির্ভাব হবে। যে ব্যক্তি তাদের কাছে গমন করবে, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে, সে আমার অন্তর্ভূক্ত নয়, আমিও তার অন্তর্ভূক্ত নই এবং সে আমার কাছে হাওযে কাওসারে আসবে না। আর যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে না, সে আমার অন্তর্ভূক্ত, আমিও তার অন্তর্ভূক্ত এবং সে আমার কাছে হাওযে কাওসারে অবতরণ করবে।”[1]
আল মুলাইয়্যু হলেন আবু নু‘আইম ফযল বিন দুকাইন।
ذِكْرُ نَفْيِ الْوُرُودِ عَلَى حَوْضِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّنْ أَعَانَ الْأُمَرَاءَ عَلَى ظُلْمِهِمْ أَوْ صَدَّقَهُمْ فِي كَذَبِهِمْ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا الْمُلَائِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي حَصِينٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَاصِمٍ الْعَدَوِيِّ عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ جُلُوسٌ عَلَى وسادة أَدَمٍ فَقَالَ: (سَيَكُونُ بَعْدِي أُمَرَاءُ فَمَنْ دَخَلَ عَلَيْهِمْ وصدَّقهم بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَلَيْسَ مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُ وَلَيْسَ يَرِدُ عَلَيَّ الْحَوْضَ وَمَنْ لَمْ يُصدِّقهم بِكَذِبِهِمْ وَلَمْ يُعنهُم عَلَى ظُلْمِهِمْ فَهُوَ مِنِّي وَأَنَا مِنْهُ وَهُوَ وَارِدٌ علي الحوض.)
الْمُلَائِيُّ: هُوَ أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ.
الراوي : كَعْب بْن عُجْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 283 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয যিলাল: ৭৫৬।)
পরিচ্ছেদঃ শাসকদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করা, তাদের যুলমের কাজে সাহায্য করার ব্যাপারে ধমকী কারণ যে ব্যক্তি এমন করবে সে ব্যক্তি হাওযে কাওসারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসতে পারবে না। মহান আল্লাহর কাছে পানাহ চাই।
২৮৪. খাব্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরজার কাছে বসে ছিলাম। এসময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বলেন: “তোমরা শ্রবণ করো।” আমরা বললাম: “জ্বী, আমরা শুনছি।” তিনি বললেন: “তোমরা শ্রবণ করো।” আমরা বললাম: “জ্বী, আমরা শুনছি।”তিনি আবারো বললেন: “তোমরা শ্রবণ করো।” আমরা বললাম: “জ্বী, আমরা শুনছি।” তিনি বলেন: “আমার পরে অচিরেই কিছু শাসকের আবির্ভাব হবে। তোমরা তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে না। কেননা যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে, সে আমার কাছে হাওযে কাওসারে আসবে না।”[1]
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنْ تَصْدِيقِ الْأُمَرَاءِ بِكَذِبِهِمْ وَمَعُونَتِهِمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ إِذْ فَاعِلُ ذَلِكَ لَا يَرِدُ الْحَوْضَ عَلَى الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعَاذَنَا اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ
أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذِ بْنِ مُعَاذٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ أَبُو يُونُسَ الْقُشَيْرِيُّ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: (كُنَّا قُعُودًا عَلَى بَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ: اسْمَعُوا قُلْنَا: قَدْ سَمِعْنَا قَالَ: اسْمَعُوا قُلْنَا: قَدْ سَمِعْنَا قَالَ: اسْمَعُوا قُلْنَا: قَدْ سَمِعْنَا قَالَ: إِنَّهُ سَيَكُونُ بَعْدِي أُمَرَاءُ فَلَا تُصدِّقُوهم بِكَذِبِهِمْ وَلَا تُعِينُوهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَإِنَّهُ مَنْ صدَّقهم بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ لَمْ يَرِدْ عَلَيَّ الْحَوْضَ.)
الراوي : خَبَّاب | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 284 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয যিলাল: ৭৫৭।)
পরিচ্ছেদঃ শাসকদের মিথ্যা সত্যায়ন করা অথবা তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করার ব্যাপারে ধমকী
২৮৫. কা‘ব বিন ‘উজরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন, আমরা এসময় নয়জন ছিলাম, আমাদের মাঝে চামড়ার একটি বালিশ ছিল, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমার পরে অচিরেই কিছু শাসকের আবির্ভাব হবে। যে ব্যক্তি তাদের কাছে গমন করবে, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে, সে আমার অন্তর্ভূক্ত নয়, আমিও তার অন্তর্ভূক্ত নই এবং সে আমার কাছে হাওযে কাওসারে আসবে না। আর যে ব্যক্তি তাদের কাছে গমন করবেনা, তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে না, সে আমার অন্তর্ভূক্ত, আমিও তার অন্তর্ভূক্ত এবং সে অচিরেই আমার কাছে হাওযে কাওসারে অবতরণ করবে।”[1]
ذكر الزجر عن أن صَدَّقَ الْمَرْءُ الْأُمَرَاءَ عَلَى كَذِبِهِمْ أَوْ يُعينهم عَلَى ظلمهم
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ سَلْمٍ الْأَصْبَهَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِصَامِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُرَّةَ بْنِ عَجْلَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي حَصِينٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَاصِمٍ الْعَدَوِيِّ عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ تِسْعَةٌ وَبَيْنَنَا وِسَادَةٌ مِنْ أَدَمٍ فَقَالَ: (إِنَّهُ سَيَكُونُ بَعْدِي أُمَرَاءُ فَمَنْ دَخَلَ عَلَيْهِمْ وصدَّقهم بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلمهم فَلَيْسَ مِنِّي وَلَسْتُ مِنْهُ وَلَا يَرِدُ عَلَيَّ الْحَوْضَ وَمَنْ لَمْ يَدْخُلْ عَلَيْهِمْ وَلَمْ يُصدِّقهم بِكَذِبِهِمْ وَلَمْ يُعنهم عَلَى ظُلْمِهِمْ فَهُوَ مني وأنا منه وسيرد علي الحوض)
الراوي : كَعْب بْن عُجْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 285 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয যিলাল: ৭৫৬।)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি শাসকদের মিথ্যা সত্যায়ন করা ও তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করার জন্য শাসকদের কাছে গমন করে তার ব্যাপারে কঠোর বাণী
২৮৬. আবু সা‘ঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “অচিরেই আমার পরে কিছু শাসকের আবির্ভাব হবে বিপুল সংখ্যক লোক তাদের ঘিরে রাখবে। যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে, আমি তার থেকে মুক্ত এবং সে-ও আমার থেকে মুক্ত। আর যে ব্যক্তি তাদের মিথ্যাকে সত্যায়ন করবে না এবং তাদের যুলমের কাজে সহযোগিতা করবে না, আমি তার অন্তর্ভূক্ত এবং সে-ও আমার অন্তর্ভূক্ত।”[1]
ذكر التغليط عَلَى مَنْ دَخَلَ عَلَى الْأُمَرَاءِ يُرِيدُ تَصْدِيقَ كَذِبِهِمْ وَمَعُونَةَ ظُلْمِهِمْ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُقَدَّمِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: سَيَكُونُ مِنْ بَعْدِي أُمَرَاءُ يَغْشَاهُمْ غَوَاشٍ مِنَ النَّاسِ فَمَنْ صَدَّقَهُمْ بِكَذِبِهِمْ وَأَعَانَهُمْ عَلَى ظُلْمِهِمْ فَأَنَا مِنْهُ بَرِيءٌ وَهُوَ مِنِّي بَرِيءٌ وَمَنْ لَمْ يُصدقهم بِكَذِبِهِمْ وَلَمْ يُعنهم عَلَى ظُلْمِهِمْ فأنا منه وهو مني.)
الراوي : أَبُو سَعِيدٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 286 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف.
হাদীসটির সানাদের ব্যাপারে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেন নি। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ৩/১৫১।)
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি শাসকদের নিকট গমন করে এমন কথা বলে, যার অনুমোদন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেননি, সে ব্যক্তির প্রতি আল্লাহর অসন্তুষ্টি অবধারিত
২৮৭. আলকামাহ বিন ওয়াক্কাস রহিমাহুল্লাহ তাঁর পিতা, তিনি তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “আমরা তাঁর সাথে বাজারে বসে ছিলাম, এসময় মদীনার একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করে তখন তিনি তাকে বলেন: “ভাতিজা, তোমার হক আছে। তুমি তো শাসকদের কাছে যাতায়াত করো এবং তাদের সাথে কথাবার্তা বলো। আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী বিলাল বিন হারিস আল মুযানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “তোমাদের কেউ এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। আবার তোমাদের কেউ এমন কথা বলে, সে ভাবতেও পারে না যে, তার কথাটি কোন পর্যন্ত পৌঁছবে। সে কথার কারণে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।” কাজেই হে আমার ভাতিজা, তুমি লক্ষ্য রেখো তুমি কি কথা বলছো, কি আলোচনা করছো। বিলাল বিন হারিস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই হাদীস শোনার পর অনেক কথা বলা থেকে বিরত থেকেছি।” [1]
ذِكْرُ إِيجَابِ سَخَطِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا لِلدَّاخِلِ عَلَى الْأُمَرَاءِ الْقَائِلِ عِنْدَهُمْ بِمَا لَا يَأْذَنُ بِهِ اللَّهُ وَلَا رَسُولُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا بَكْرُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ سَعِيدٍ الطَّاحِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كُنَّا مَعَهُ جُلُوسًا فِي السُّوقِ فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ لَهُ شَرَفٌ فَقَالَ لَهُ: يَا ابْنَ أَخِي إِنَّ لَكَ حَقًّا وَإِنَّكَ لَتَدْخُلُ عَلَى هَؤُلَاءِ الْأُمَرَاءِ وتَكَلَّمُ عِنْدَهُمْ وَإِنِّي سَمِعْتُ بِلَالَ بْنَ الْحَارِثِ ـ صَاحِبَ رسول الله صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم يَقُولُ: (إِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ وَلَا يُراها بَلَغَتْ حَيْثُ بَلَغَتْ فَيَكْتُبُ اللَّهُ لَهُ بِهَا رِضَاهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَإِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ لَا يُراها بَلَغَتْ حَيْثُ بَلَغَتْ يَكْتُبُ اللَّهُ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ) فَانْظُرْ يَا ابْنَ أَخِي مَا تَقُولُ وَمَا تَكَلَّمُ فرُبَّ كَلَامٍ كَثِيرٍ قَدْ مَنَعَنِي مَا سَمِعْتُ من بلال بن الحارث.
الراوي : عَلْقَمَةُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 287 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ৮৮৮।)
পরিচ্ছেদঃ একজন ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব হলো তার উর্দ্ধতন, সমপর্যায় ও নিম্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সৎ কাজের আদেশ দেওয়া, যখন এর দ্বারা উদ্দেশ্য হবে কল্যাণকামিতা; কাউকে নিন্দা করা নয়
২৮৮. আব্দুল্লাহ বিন সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “মহান আল্লাহ যখন যাইদ বিন সা‘নাহ রাদ্বিয়াল্লাহুকে হিদায়াত দিতে চাইলেন, তখন যাইদ বিন সা‘নাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “নবুওয়াতের যত আলামত আছে, সবগুলোই আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চেহারা দেখে চিনতে পেরেছি, দুটি আলামত ব্যতিত, যা আমি তাঁর মাঝে এখনও পরখ করে দেখিনি। (আলামত দুটি হলো:) অজ্ঞতাপূর্ণ আচরণের উপর তাঁর ধৈর্য-সহিষ্ণুতা অগ্রগামী হবে। তাঁর সাথে চরম অজ্ঞতাপূর্ণ আচরণ করা হলেও এতে তাঁর ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধিই পাবে। ফলে আমি ইচ্ছা করলাম যে, আমি তাঁর সাথে নম্রতার সাথে আচরণ করবো, যাতে আমি তাঁর সাথে মিশে তাঁর ধৈর্য ও অজ্ঞতাপূর্ণ আচরণ সম্পর্কে অবগত হতে পারি।” তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় হুজরা থেকে বের হলেন তাঁর সাথে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন। এমন সময় গ্রাম্য লোকের মত এক ব্যক্তি তার বাহনে চড়ে তাঁর কাছে আসলেন এবং তাঁকে বললেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওমুক জনপদের লোকজন মুসলিম হয়েছেন এবং তারা ইসলামে প্রবেশ করেছেন, আমি তাদেরকে জানিয়েছিলাম যে, যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করে, তবে স্বাচ্ছন্দে তাদের কাছে রিযক আসবে কিন্তু তাদেরকে দুর্ভিক্ষ ও অনাবৃষ্টি পেয়ে বসেছে! হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি আশংকা করছি যে, তারা যেভাবে একটা আশায় ইসলামে প্রবেশ করেছিল, অনুরুপভাবে তারা ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে! যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন, তবে আপনি তাদের কাছে এমন কিছু পাঠান, যা তাদেরকে এই ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারবে।” অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর পাশের এক ব্যক্তির দিকে তাকালেন, আমার ধারণা তিনি উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন। তিনি বললেন: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি কাছে তো এমন কিছুই অবশিষ্ট নেই।”
যাইদ বিন সা‘নাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন: “হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ওমুক গোত্রের বাগানের নির্দিষ্ট পরিমাণ খেজুর এতো দিনের মধ্যে পরিশোধের শর্তে আমার কাছে বিক্রি করবেন কি?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “জ্বী, না। হে ইয়াহুদি, আমি তোমার কাছে নির্দিষ্ট পরিমাণ খেজুর এতো দিনের মধ্যে পরিশোধ করার শর্তে বিক্রি করবো তবে ওমুক গোত্রের বাগান নির্দিষ্ট করবো না।” যাইদ বিন সা‘নাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন: “জ্বী, ঠিক আছে।” ফলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার সাথে ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি করলেন। ফলে আমি আমার থলে খুলে আশি মিসকাল [1] বের করে তাঁকে দিলাম এজন্য যে, তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ খেজুর এতো দিনের মধ্যে আমাকে পরিশোধ করবেন। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেগুলি ঐ ব্যক্তি দিয়ে বললেন: “এগুলি তুমি দ্রুত তাদের কাছে নিয়ে যাও এবং এগুলি দ্বারা সাহায্য করো।” যাইদ বিন সা‘নাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই অথবা তিন দিন পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন আনসারী ব্যক্তির জানাযার উদ্দেশ্যে বের হলেন, এসময় তাঁর সাথে আবু বকর, উমার, উসমান ও অন্যান্য একদল সাহাবী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম ছিলেন। যখন তিনি জানাযার সালাত আদায় করেন, তখন তিনি একটি দেয়ালের কাছে আসেন এবং সেখানে বসেন। আমি তাঁর জামার আঁচল ধরে তাঁর দিকে কড়া দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম: “হে মুহাম্মাদ আপনি কি আমার হক পরিশোধ করবেন না? আল্লাহর কসম! হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশ, আপনাদের ঋণ পরিশোধ করতে টালবাহনা করার ব্যাপারটি আমার জানা ছিল না। কারণ আমি আপনাদের লেন-দেন সম্পর্কে জানি।” তিনি বলেন, আমি উমার বিন খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহুর দিকে তাকিয়ে দেখলাম, তাঁর চোখ দুটি রাগে আবর্তনশীল নক্ষত্রের মতো আবর্তিত হচ্ছে! তিন আমার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললেন: “হে আল্লাহর শত্রু! তুমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এমন কথা বললে, যা আমি শুনতে পেলাম এমন কাজ করলে যা আমি দেখলাম? যদি আমি তাঁর সম্মানের খেয়াল না করতাম, তবে আমার এই তরবারী দিয়ে তোমার গর্দানে মারতাম! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শান্ত ও ধীরস্থিরভাবে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর তাকিয়ে থাকলেন তারপর বললেন: “আমরা তোমার থেকে এর থেকে ভ্ন্নি আচরণের বেশি মুখাপেক্ষী ছিলাম যে, তুমি আমাকে উত্তমভাবে ঋণ পরিশোধ করতে এবং তাকে তা মেনে নেওয়ার আদেশ দিতে। হে উমার, তাকে নিয়ে যাও, তার হক পরিশোধ করে দাও এবং তুমি যে তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছো সেজন্য তাকে বিশ সা‘ বেশি দাও।”
যাইদ বিন সা‘নাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অতঃপর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাকে নিয়ে গেলেন এবং আমার পাওনা পরিশোধ করলেন এবং অতিরিক্ত আরো বিশ সা‘খেজুর দিলেন। আমি বললাম: “এই অতিরিক্ত খেজুর কিসের জন্য?” তিনি বলেন: “ আমি যে তোমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছি সেজন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে আরো বিশ সা‘ খেজুর বেশি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।” আমি বললাম: “হে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আপনি কি আমাকে চিনেন? “ তিনি বললেন: “না, কে তুমি?” আমি বললাম: “ আমি যাইদ বিন সা‘নাহ।” তিনি বললেন: ইয়াহুদী পন্ডিত?” আমি বললাম: “জ্বী, হ্যাঁ, ইয়াহুদি পন্ডিত।” তিনি বলেন: “তুমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এমন কথা কেন বললে, তাঁর সাথে এমন আচরণ কেন করলে?” আমি বললাম: “হে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, নবুওয়াতের সমস্ত আলামত আমি তাঁর চেহারা থেকে চিনতে পেরেছি, দুটি আলামত ব্যতিত, যা আমি তাঁর মাঝে পরীক্ষা করে দেখি নাই। (আলামত দুটি হলো:) অজ্ঞতাপূর্ণ আচরণের উপর তাঁর ধৈর্য-সহিষ্ণুতা অগ্রগামী হবে। তাঁর সাথে চরম অজ্ঞতাপূর্ণ আচরণ করা হলেও এতে তাঁর ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধিই পাবে। এই দুটি বিষয় এখন আমি পরীক্ষা করলাম।
হে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নাবী হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। আমি আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি আমি আমার অর্ধেক সম্পদ –আমি তো প্রচুর সম্পদের মালিক- মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসারীদের জন্য দান করে দিলাম।” উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “তুমি বরং বলো, “কিছু অনুসারীর জন্য দান করে দিলাম। কারণ তাদের সবাইকে দান করতে পারবে না।” আমি বললাম: “তার কিছু অনুসারীর জন্য দান করে দিলাম।” অতঃপর উমার ও যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে গেলেন। অতঃপর যাইদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা‘বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।” তিনি তাঁর প্রতি ঈমান আনেন, সত্যায়ন করেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে অনেক যুদ্ধে শরীক হন। তারপর তাবুক পশ্চাৎগামী হওয়ার পরিবর্তে অগ্রগামী হয়ে জিহাদ করে শাহাদাত বরণ করেন।” মহান আল্লাহ যাইদের প্রতি রহম করুন। তিনি এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। তারপর আমি ওয়ালিদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন আমাকে পুরো হাদীসটি বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ বিন হামযা, তিনি তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে আব্দুল্লাহ বিন সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।”[2]
ذِكْرُ الِاسْتِحْبَابِ لِلْمَرْءِ أَنْ يَأْمُرَ بِالْمَعْرُوفِ مَنْ هُوَ فَوْقَهُ وَمِثْلَهُ وَدُونَهُ فِي الدِّينِ وَالدُّنْيَا إِذَا كَانَ قَصْدُهُ فِيهِ النَّصِيحَةَ دُونَ التَّعْيِيرِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ - وَاللَّفْظُ لِلْحَسَنِ - قَالَا: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بن المتوكل وهو ابْنُ أَبِي السَّرِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَمْزَةَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَّامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَّامٍ: إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لَمَّا أَرَادَ هُدى زَيْدِ بْنِ سَعْنَةَ قَالَ زَيْدُ بْنُ سَعْنَةَ: إِنَّهُ لَمْ يَبْقَ مِنْ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ شَيْءٌ إِلَّا وَقَدْ عَرَفْتُها فِي وَجْهِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ نَظَرْتُ إليه إلا اثنين لَمْ أَخْبُرْهُمَا مِنْهُ: يَسْبِقُ حِلْمُهُ جَهْلَهُ وَلَا يَزِيدُهُ شِدَّةُ الْجَهْلِ عَلَيْهِ إِلَّا حِلْمًا فَكُنْتُ أَتَلَطَّفُ لَهُ لِأَنْ أُخالطه فَأَعْرِفَ حِلْمَهُ وَجَهْلَهُ قَالَ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْحُجُرَاتِ وَمَعَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَأَتَاهُ رَجُلٌ عَلَى رَاحِلَتِهِ كَالْبَدَوِيِّ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ قَرْيَةُ بَنِي فُلَانٍ قَدْ أَسْلَمُوا وَدَخَلُوا فِي الْإِسْلَامِ وَكُنْتُ أَخْبَرْتُهُمْ أَنَّهُمْ إِنْ أَسْلَمُوا أَتَاهُمُ الرِّزْقُ رَغَداً وَقَدْ أَصَابَهُمْ شِدَّةٌ وَقَحْطٌ مِنَ الْغَيْثِ وَأَنَا أَخْشَى ـ يَا رَسُولَ اللَّهِ ـ أَنْ يَخْرُجُوا مِنَ الْإِسْلَامِ طَمَعًا كَمَا دَخَلُوا فِيهِ طَمَعًا فَإِنْ رَأَيْتَ أَنْ تُرْسِلَ إِلَيْهِمْ مَنْ يُغيثهم بِهِ فعلتَ قَالَ: فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إلى رجل إلى جَانِبَهُ أُرَاهُ عُمَرُ فَقَالَ: مَا بَقِيَ مِنْهُ شَيْءٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ زَيْدُ بْنُ سَعْنَةَ: فَدَنَوْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ لَهُ: يَا مُحَمَّدُ هَلْ لَكَ أَنْ تَبِيعَنِي تَمْرًا مَعْلُومًا مِنْ حَائِطِ بَنِي فُلَانٍ إِلَى أَجْلِ كَذَا وَكَذَا؟ فَقَالَ: (لَا ـ يَا يَهُودِيُّ ـ وَلَكِنْ أَبيعُك تَمْرًا مَعْلُومًا إِلَى أَجْلِ كَذَا وَكَذَا وَلَا أُسَمِّي حائط بن فُلَانٍ) قُلْتُ: نَعَمْ فَبَايَعَنِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فأطلقتُ هِمَيَاني فَأَعْطَيْتُهُ ثَمَانِينَ مِثْقَالًا مِنْ ذَهَبٍ فِي تَمْرٍ مَعْلُومٍ إِلَى أَجْلِ كَذَا وَكَذَا قَالَ: فَأَعْطَاهَا الرَّجُلَ وَقَالَ: (اعْجَلْ عَلَيْهِمْ وأَغِثْهُمْ بِهَا) قَالَ زَيْدُ بْنُ سَعْنَةَ: فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ مَحَلِّ الْأَجَلِ بِيَوْمَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةٍ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي جَنَازَةِ رَجُلٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَمَعَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ وَنَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِهِ فَلَمَّا صَلَّى عَلَى الْجَنَازَةِ دَنَا مِنْ جِدَارٍ فَجَلَسَ إِلَيْهِ فأخذتُ بِمَجَامِعِ قَمِيصِهِ ونظرتُ إِلَيْهِ بِوَجْهٍ غَلِيظٍ ثُمَّ قُلْتُ: أَلَا تَقْضِينِي يَا مُحَمَّدُ حَقِّي؟ فَوَاللَّهِ مَا عَلِمْتُكُم بَنِي عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بِمُطَلٍ وَلَقَدْ كَانَ لِي بِمُخَالَطَتِكُمْ عِلْمٌ قَالَ: وَنَظَرْتُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَعَيْنَاهُ تَدُورَانِ فِي وَجْهِهِ كَالْفَلَكِ الْمُسْتَدِيرِ ثُمَّ رَمَانِي بِبَصَرِهِ وَقَالَ: أَيْ عَدُوَّ اللَّهِ أَتَقُولُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَسْمَعُ وَتَفْعَلُ بِهِ مَا أَرَى؟ فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ لَوْلَا مَا أُحاذر فَوْتَهُ لَضَرَبْتُ بِسَيْفِي هَذَا عُنقك وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْظُرُ إِلَى عُمَرَ فِي سُكُونٍ وَتُؤَدَةٍ ثُمَّ قَالَ: (إِنَّا كُنَّا أَحْوَجَ إِلَى غَيْرِ هَذَا مِنْكَ يَا عُمَرُ أَنْ تَأْمُرَنِي بِحُسْنِ الْأَدَاءِ وَتَأْمُرَهُ بِحُسْنِ التِّبَاعَةِ اذْهَبْ بِهِ يَا عُمَرُ فَاقْضِهِ حقه وزِدْهُ عشرين صاعاً من غير مَكَانَ مَا رُعْتَهُ) قَالَ زَيْدٌ: فَذَهَبَ بِي عُمَرُ فَقَضَانِي حَقِّي وَزَادَنِي عِشْرِينَ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ فَقُلْتُ: مَا هَذِهِ الزِّيَادَةُ؟ قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم إن أَزِيدَكَ مَكَانَ مَا رُعْتُكَ فَقُلْتُ: أَتَعْرِفُنِي يَا عُمَرُ؟ قَالَ: لَا فَمَنْ أَنْتَ؟ قُلْتُ: أَنَا زَيْدُ بْنُ سَعْنَةَ قَالَ: الحَبْرُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ الحَبْرُ قَالَ: فَمَا دَعَاكَ أَنْ تَقُولَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قُلتَ وَتَفْعَلُ بِهِ مَا فَعَلْتَ فقلتُ: يَا عُمَرُ كُلُّ عَلَامَاتِ النُّبُوَّةِ قَدْ عَرَفْتُهَا فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حين نَظَرْتُ إِلَيْهِ إِلَّا اثْنَتَيْنِ لَمْ أَخْتَبِرْهُمَا مِنْهُ: يَسْبِقُ حِلْمُهُ جَهْلَهُ وَلَا يَزِيدُهُ شِدَّةُ الْجَهْلِ عَلَيْهِ إِلَّا حِلْمًا فَقَدِ اخْتَبَرْتُهُمَا فأُشهدك يَا عُمَرُ أَنِّي قَدْ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيًّا وأُشهدك أَنَّ شَطْرَ مَالِي - فَإِنِّي أكثرُها مَالًا - صَدَقَةٌ عَلَى أُمَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ عُمَرُ أَوْ عَلَى بَعْضِهِمْ فَإِنَّكَ لَا تَسَعُهُم كُلَّهُمْ قُلْتُ: أَوْ عَلَى بَعْضِهِمْ فَرَجَعَ عُمَرُ وَزَيْدٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ زَيْدٌ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَآمَنَ بِهِ وصدَّقه وَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَشَاهِدَ كَثِيرَةً ثُمَّ تُوُفِّيَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ مُقْبِلًا غَيْرَ مُدْبِرٍ) رَحِمَ اللَّهُ زَيْدًا قَالَ: فَسَمِعْتُ الْوَلِيدَ يَقُولُ: حَدَّثَنِي بِهَذَا كُلِّهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَمْزَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بن سلام.
الراوي : عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَّامٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 288 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف.
[2] আবু নু‘আইম আস আস্পাহানী, দালাইলুন নুবুওওয়াত: ৪৮; বাইহাকী, দালাইলুন নুবুওওয়াত: ৬/২৭৮; হাকিম: ৩/৬০৪, ৬০৫; তাবারানী আল কাবীর: ৫১৪৭।
হাদীসটির সানাদের ব্যাপারে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেন নি। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। (আয য‘ঈফা: ১৩৪১।)
পরিচ্ছেদঃ সৎকাজের আদেশকারীকে মহান আল্লাহ তদনুযায়ী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব দান করেন, এতে আমলকারীর সাওয়াবের কোন কমতি হয় না
২৮৯. আবু মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে কিছু সাহায্য চাইলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাকে দেওয়ার মত তো আমার কাছে কিছুই নেই। তবে তুমি ওমুক ব্যক্তির কাছে যাও।” রাবী বলেন, অতঃপর সে ব্যক্তি তার কাছে যান এবং তিনি তাকে দান করেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজের সন্ধান দেয়, সে ব্যক্তি তদনুযায়ী আমলকারী বা কর্মসম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।”[1]
ذِكْرُ إِعْطَاءِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا الْآمِرَ بِالْمَعْرُوفِ ثَوَابَ الْعَامِلِ بِهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَجْرِهِ شَيْءٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يُوسُفَ قَالَ: حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ الْعَسْكَرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شعبة عن سُلَيْمَانَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا عَمْرٍو الشَّيْبَانِيَّ عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فسأله فقال: (ماعندي مَا أُعْطِيكَ لَكِنِ ائْتِ فُلَانًا) قَالَ: فَأَتَى الرَّجُلَ فَأَعْطَاهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ دَلَّ عَلَى خيرٍ فَلَهُ مثل أجر فاعله أو عامله.)
الراوي : أَبو مَسْعُودٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 289 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
হাদীসটির সানাদের ব্যাপারে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আস সহীহাহ: ১৬৬০।)
পরিচ্ছেদঃ ইসলামী রাষ্ট্রে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করার মাধ্যমে আল্লাহর শত্রু কাফিরদের উপর আল্লাহর সাহায্য নিজের উপর হালাল করে নেওয়া আবশ্যক
২৯০. ‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার কাছে আসলেন, আমি তাঁর চেহারা দেখে বুঝতে পারলাম যে, নিশ্চয়ই তাঁর কোন কিছু হয়েছে। অতঃপর তিনি ওযূ করলেন এরপর কারো সাথে কথা না বলে আবার বের হয়ে গেলেন। আমি হুজরার পাশে লেগে থাকলাম যাতে তিনি কি বলেন তা শুনতে পারি। তিনি মিম্বারের উপর বসলেন। অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করলেন। তারপর বললেন: “হে লোকসকল, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা তোমাদের বলছেন: “তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে- সেই সময় আসার পূর্বেই যখন (সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ না করার কারণে) তোমরা আমার কাছে দু‘আ করবে কিন্তু আমি তোমাদের দু‘আ কবুল করবো না, তোমরা আমার কাছে চাইবে কিন্তু আমি তোমাদের তা প্রদান করবো না, তোমরা আমার কাছে সাহায্য চাইবে কিন্তু আমি তোমাদের সাহায্য করবো না।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরচেয়ে বেশি আর কিছুই বললেন না অতঃপর তিনি মিম্বার থেকে অবতরণ করলেন।”[1]
ذكر الإخبار عما يحب عَلَى الْمَرْءِ مِنِ اسْتِحْلَالِ النُّصْرَةِ عَلَى أَعْدَاءِ اللَّهِ الْكَفَرَةِ بِالْأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْيِ عَنِ الْمُنْكَرِ في دار الإسلام
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ عَنْ عمرو بن عثمان بن هانىء عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عُثْمَانَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَرَفْتُ فِي وَجْهِهِ أَنْ قَدْ حَضَرَهُ شَيْءٌ فَتَوَضَّأَ وَمَا كلَّم أَحَدًا ثُمَّ خَرَجَ فلصقتُ بِالْحُجْرَةِ أَسْمَعُ مَا يَقُولُ فَقَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: (يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ الله تبارك تعالى يَقُولُ لَكُمْ: مُرُوا بِالْمَعْرُوفِ وَانْهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ قَبْلَ أَنْ تَدْعُونِي فَلَا أُجيبكم وَتَسْأَلُونِي فَلَا أُعْطِيكُمْ وَتَسْتَنْصِرُونِي فَلَا أَنْصُرُكُمْ) فَمَا زَادَ عليهنَّ حتى نزل.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 290 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف.
হাদীসটির সানাদের ব্যাপারে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ য‘ঈফ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে য‘ঈফ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ৩/১৭২।)