পরিচ্ছেদঃ ৩২১. রাতের (তাহজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৪৭. হারূন ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) উপরোক্ত হাদিসের সনদে হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ তিনি ইশার নামায শেষে বিছানায় গমন করতেন এবং উক্ত বর্ণনায় তাঁর চার রাকাত নামায আদায় সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নাই। তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি আট রাকআত নামায আদায় করবার সময় কিরাআত, রুকূ ও সিজদার মধ্যে সমতা রক্ষা করতেন এবং এই নামাযের কেবলমাত্র শেষ রাকাতে তিনি বসতেন। অতঃপর দণ্ডায়মান হয়ে বিতিরের এক রাকাত আদায় করে এমন সশব্দে সালাম ফিরেতেন যে, আমরা জাগ্রত হয়ে যেতাম। অতঃপর পূর্ববর্তী হাদীসের অনুরূপ অর্থে বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، فَذَكَرَ هَذَا الْحَدِيثَ بِإِسْنَادِهِ قَالَ : يُصَلِّي الْعِشَاءَ ثُمَّ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ، لَمْ يَذْكُرِ الأَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، وَسَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ فِيهِ : فَيُصَلِّي ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ يُسَوِّي بَيْنَهُنَّ فِي الْقِرَاءَةِ وَالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ، وَلاَ يَجْلِسُ فِي شَىْءٍ مِنْهُنَّ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ، فَإِنَّهُ كَانَ يَجْلِسُ ثُمَّ يَقُومُ وَلاَ يُسَلِّمُ، فَيُصَلِّي رَكْعَةً يُوتِرُ بِهَا، ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً يَرْفَعُ بِهَا صَوْتَهُ حَتَّى يُوقِظَنَا، ثُمَّ سَاقَ مَعْنَاهُ .
The above-mentioned tradition has also been narrated by Banu al-Hakim through a different chain of narrators. This version adds:
He (the Prophet) would offer the night prayer and go to his bed. In this version there is no mention of praying four rak'ahs. The narrator then transmitted the rest of the tradition. This version further says: He would pray eight rak'ahs during which his recitation of the Qur'an, bowing and prostration were all equal. He would sit only after the eight rak'ah, and then stand up without uttering the salutation, and pray one rak'ah observing witr prayer and then give the salutation raising his voice so much so that we were about to awake. The narrator then transmitted the tradition to the same effect.
পরিচ্ছেদঃ ৪. চরণভূমিতে স্বাধীনভাবে বিচরণশীল পশুর যাকাত।
১৫৭৫. মূসা ইব্ন ইস্মাঈল (রহঃ) ..... বাহ্য ইব্ন হাকীম (রহঃ) থেকে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ প্রতি চল্লিশটি ছাড়া উটের যাকাত একটি দুই বছর বয়সী মাদী উট। যে ব্যক্তি ছাওয়াব প্রাপ্তির আশা রাখে সে যেন একত্রে বিচরণকারী উটকে বিচ্ছিন্ন না করে।
রাবী ইবনুল আলার বর্ণনায় আছেঃ যে ব্যক্তি ছওয়াবের আশা রাখে, সে অবশ্যই তা প্রাপ্ত হবে। যে ব্যক্তি যাকাত প্রদানে বিরত থাকে, আমি তা (যাকাত) তার নিকট হতে আদায় করব এবং যাকাত মহান আল্লাহ রাব্বুল আলমীনের প্রাপ্য। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরগণের জন্য এতে কোন অংশ নাই। (নাসাঈ)।
باب فِي زَكَاةِ السَّائِمَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فِي كُلِّ سَائِمَةِ إِبِلٍ فِي أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ وَلاَ يُفَرَّقُ إِبِلٌ عَنْ حِسَابِهَا مَنْ أَعْطَاهَا مُؤْتَجِرًا " . قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ " مُؤْتَجِرًا بِهَا " . " فَلَهُ أَجْرُهَا وَمَنْ مَنَعَهَا فَإِنَّا آخِذُوهَا وَشَطْرَ مَالِهِ عَزْمَةً مِنْ عَزَمَاتِ رَبِّنَا عَزَّ وَجَلَّ لَيْسَ لآلِ مُحَمَّدٍ مِنْهَا شَىْءٌ " .
Bahz b Hakim reported from his grandfather:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: For forty pasturing camels, one she-camel in her third year is to be given. The camels are not to be separated from reckoning. He who pays zakat with the intention of getting reward will be rewarded. If anyone evades zakat, we shall take half the property from him as a due from the dues of our Lord, the Exalted. There is no share in it (zakat) of the descendants of Muhammad (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ৪১২. দেনার কারণে কাউকে কয়েদ করা যায় কিনা?
৩৫৯১. ইবরাহীম ইবন মূসা (রহঃ) .... বাহায ইবন হাকীম (রাঃ) তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জৈনিক ব্যক্তিকে অপবাদ দেওয়ার কারণে বন্দী করেন।
باب فِي الْحَبْسِ فِي الدَّيْنِ وَغَيْرِهِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَبَسَ رَجُلاً فِي تُهْمَةٍ .
Bahz bin Hakim, on his father's authority, said that his grandfather told that the Prophet (ﷺ) imprisoned a man on suspicion.
পরিচ্ছেদঃ ৪১২. দেনার কারণে কাউকে কয়েদ করা যায় কিনা?
৩৫৯২. মুহাম্মদ ইবন কুদামা (রহঃ) ..... বাহায ইবন হাকীম (রহঃ) তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেওয়ার সময় দাঁড়িয়ে বলেনঃ আমার প্রতিবেশীকে দেনার কারণে আটক রাখা হয়েছে, তিনি দুবার এরূপ উচ্চারণ করেন। এরপর তিনি বলেনঃ কিছু জিনিসের জন্য। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি তার জিনিস তাকে ফিরিয়ে দাও। রাবী মুআম্মাল (রহঃ) খুতবা পাঠের বিষয়টি উল্লেখ করেননি।
باب فِي الْحَبْسِ فِي الدَّيْنِ وَغَيْرِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، وَمُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، - قَالَ ابْنُ قُدَامَةَ - حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، - قَالَ ابْنُ قُدَامَةَ - إِنَّ أَخَاهُ أَوْ عَمَّهُ وَقَالَ مُؤَمَّلٌ - إِنَّهُ قَامَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخْطُبُ فَقَالَ جِيرَانِي بِمَا أَخَذُوا . فَأَعْرَضَ عَنْهُ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ ذَكَرَ شَيْئًا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " خَلُّوا لَهُ عَنْ جِيرَانِهِ " . لَمْ يَذْكُرْ مُؤَمَّلٌ وَهُوَ يَخْطُبُ .
Bahz ibn Hakim reported from his grandfather:
(Ibn Qudamah's version has: His grandfather's brother or uncle reported:) - the narrator Mu'ammal said: - He (his grandfather Mu'awiyah) got up before the Holy Prophet (ﷺ) who was giving sermon: and he said: Why have your companions arrested my neighbours? He turned away from him twice. He (his grandfather Mu'awiyah) then mentioned something. The Holy Prophet (ﷺ) then said: Let his neighbours go.
(Mu'ammal did not mention the words "He was giving sermon.")
পরিচ্ছেদঃ ২. বিবস্ত্র হওয়া সম্পর্কে।
৩৯৭৬. আব্দুল্লাহ ইবন মাসলামা (রহঃ) .... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) তাঁর পিতা ও দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একদা আমি বলিঃ ইয়া রসূলাল্লাহ! আমরা আমাদের সতর কাদের থেকে আবৃত রাখবো? তিনি বলেনঃ তুমি তোমার সতর স্ত্রী এবং ক্রীতদাসী ব্যতীত অন্য সকলের নিকট থেকে ঢেকে রাখবে। এরপর আমি জিজ্ঞাসা করি; ইয়া রসূলাল্লাহ! যখন লোকেরা পরস্পর মিলে-মিশে থাকবে? তখন তিনি বলেনঃ যদি তোমার পক্ষে সম্ভব হয় যে কেউ তোমার সতর দেখবে না, তবে এরূপ করবে; যাতে তোমর সতর কেউ দেখতে না পারে। তিনি বলেনঃ এরপর আমি জিজ্ঞাসা করিঃ ইয়া রসূলাল্লাহ! যখন আমাদের কেউ নির্জনে থাকবে? তিনি বলেনঃ মানুষের চাইতে আল্লাহকে বেশি লজ্জা করবে।
باب فِي التَّعَرِّي
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، نَحْوَهُ عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَوْرَاتُنَا مَا نَأْتِي مِنْهَا وَمَا نَذَرُ قَالَ " احْفَظْ عَوْرَتَكَ إِلاَّ مِنْ زَوْجَتِكَ أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِينُكَ " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا كَانَ الْقَوْمُ بَعْضُهُمْ فِي بَعْضٍ قَالَ " إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ لاَ يَرَيَنَّهَا أَحَدٌ فَلاَ يَرَيَنَّهَا " . قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا كَانَ أَحَدُنَا خَالِيًا قَالَ " اللَّهُ أَحَقُّ أَنْ يُسْتَحْيَا مِنْهُ مِنَ النَّاسِ " .
Bahz b. Hakim said that his father told on the authority of his grandfather:
I said: Messenger of Allah, from whom should we conceal our private parts and to whom can we show? He replied: conceal your private parts except from your wife and from whom your right hands possess (slave-girls).
I then asked: Messenger of Allah, (what should we do), if the people are assembled together?
He replied: If it is within your power that no one looks at it, then no one should look at it.
I then asked: Messenger of Allah if one of us is alone, (what should he do)?
He replied: Allah is more entitled than people that bashfulness should be shown to him.
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মিথ্যা বলার ক্ষতি সম্পর্কে।
৪৯০৫. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... বাহায ইবন হাকীম (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মানুষকে নিছক হাসাবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা বলে, তার পরিণাম খুবই খারাপ! তার পরিণাম খুবই খারাপ!
باب فِي التَّشْدِيدِ فِي الْكَذِبِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ فَيَكْذِبُ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ " .
Narrated Mu'awiyah ibn Jaydah al-Qushayri:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Woe to him who tells things, speaking falsely, to make people laugh thereby. Woe to him! Woe to him!.
পরিচ্ছেদঃ ২৯. পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা- সম্পর্কে।
৫০৪৯. মুহাম্মদ ইবন কাছীর (রহঃ) ..... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ একদা আমি বলিঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কার সাথে সদ্ব্যবহার করবো? তিনি বলেনঃ তোমার মায়ের সাথে, এরপর তোমার মায়ের সাথে, তারপর তোমার মায়ের সাথে এবং পরে তোমার পিতার সাথে। এরপর তোমার নিকটাত্মীয়ের সাথে সদ্ব্যবহার করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি তার আযাদকৃত গোলামের নিকট তার অতিরিক্ত মাল থেকে কিছু চায়, আর সে তা দিতে অস্বীকার করে, তরে কিয়ামতের দিন সে মাল তার সামনে বিষধর সাপ হিসাবে আসবে।
باب فِي بِرِّ الْوَالِدَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبَرُّ قَالَ " أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أُمَّكَ ثُمَّ أَبَاكَ ثُمَّ الأَقْرَبَ فَالأَقْرَبَ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَسْأَلُ رَجُلٌ مَوْلاَهُ مِنْ فَضْلٍ هُوَ عِنْدَهُ فَيَمْنَعُهُ إِيَّاهُ إِلاَّ دُعِيَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَضْلُهُ الَّذِي مَنَعَهُ شُجَاعًا أَقْرَعَ " .
Bahz b. Hakim on his father's authority said that his grandfather said:
I said: Messenger of Allah! to whom should I show kindness? He replied: Your mother, next your mother, next your mother, and then comes your father, and then your relatives in order of relationship. The Messenger of Allah (ﷺ) said: If a man asks his slave whom he freed for giving him property which is surplus with him and he refuses to give it to him, the surplus property which he refused to give will be called on the Day of resurrection as a large bald snake.
পরিচ্ছেদঃ ১. যাকাত ফরয হওয়া
২৪৩৮. মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল আ’লা (রহঃ) ... বাহয (রহঃ)-এর দাদা থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র নবী! আমি আপনার কাছে আসিনি স্বীয় হস্তদ্বয়ের অঙ্গুলিসমূহের সংখ্যারও অধিক এ শপথ না করা পর্যন্ত যে, আমি আপনার কাছেও আসিব না আর আপনার ধর্মও গ্রহণ করব না। আর এখন আমি এমন হয়েছি যে, আল্লাহ তা’আলা এবং তদীয় রাসূল আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তাছাড়া আমি আর কিছুই জানি না। আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি আল্লাহ তা’আলার ওহী সম্পর্কে যা দিয়ে আপনার রব আপনাকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। (তখন) তিনি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বললেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, ইসলামের চিহ্ন কি কি? তিনি বললেন, তোমার এ কথা বলা যে, আমি স্বীয় চেহারাকে (নিজকে) আল্লাহ তা’আলার অনুগত বানিয়ে নিলাম, অন্য সব কিছু থেকে সম্পর্কচ্ছেদ করে।
بَاب وُجُوبِ الزَّكَاةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ سَمِعْتُ بَهْزَ بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَتَيْتُكَ حَتَّى حَلَفْتُ أَكْثَرَ مِنْ عَدَدِهِنَّ لِأَصَابِعِ يَدَيْهِ أَنْ لَا آتِيَكَ وَلَا آتِيَ دِينَكَ وَإِنِّي كُنْتُ امْرَأً لَا أَعْقِلُ شَيْئًا إِلَّا مَا عَلَّمَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَرَسُولُهُ وَإِنِّي أَسْأَلُكَ بِوَحْيِ اللَّهِ بِمَا بَعَثَكَ رَبُّكَ إِلَيْنَا قَالَ بِالْإِسْلَامِ قُلْتُ وَمَا آيَاتُ الْإِسْلَامِ قَالَ أَنْ تَقُولَ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَى اللَّهِ وَتَخَلَّيْتُ وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ
Bahz bin Hakim narrated from his father, that his grandfather said:
"I said: 'O Prophet of Allah, I did not come to you until I had sworn more than this many times" the number of fingers on his hands "that I would never come to you or follow your religion. I am a man who does not know anything except that which Allah, the Mighty and Sublime, and His Messenger teach me. I ask you by the Revelation of Allah, with what has your Lord sent your to us? He said: "With Islam.' I said: 'What are the signs of Islam?' He said: 'To say, I submit my face to Allah and give up Shirk, and to establish the Salah and to pay the Zakah."'
পরিচ্ছেদঃ ৪. যাকাত অস্বীকারকারীর শাস্তি
২৪৪৬ আমর ইবন আলী (রহঃ) ... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ)-এর দাদা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রত্যেক বিচরণকারী উটের ব্যাপারে বলতে শুনেছিঃ প্ৰত্যেক চল্লিশে একটি তিন বছর বয়সী উটি দিতে হবে (যখন উটের সংখ্যা এক শত বিশের অধিক হবে।) এই হিসাব থেকে কোন প্রকার উট বাদ যাবে না। যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়্যতে তা প্ৰদান করবে তাকে তার সওয়াব প্ৰদান করা হবে। আর যে ব্যক্তি তা প্রদানে অস্বীকার করবে। আমিই তার থেকে তা উসূল করে নেব এবং তার আরো অর্ধেক উট উসূল করে নেব। এটা আল্লাহ্ তা’আলার ওয়াজিব সমূহের এক ওয়াজিব। যাকাতের কোন বস্তু মুহাম্মদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধরদের জন্য বৈধ নয়।
بَاب عُقُوبَةِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي كُلِّ إِبِلٍ سَائِمَةٍ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ ابْنَةُ لَبُونٍ لَا يُفَرَّقُ إِبِلٌ عَنْ حِسَابِهَا مَنْ أَعْطَاهَا مُؤْتَجِرًا فَلَهُ أَجْرُهَا وَمَنْ أَبَى فَإِنَّا آخِذُوهَا وَشَطْرَ إِبِلِهِ عَزْمَةٌ مِنْ عَزَمَاتِ رَبِّنَا لَا يَحِلُّ لِآلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا شَيْءٌ
Bahz bin Hakim said:
"My father told, me that my grandfather said: 'I heard the Prophet say: With regard to grazing camels, for every forty a Bint Labbun (a two-year old female camel). No differentiation is to be made between camels when calculating them. Whoever gives it seeking reward, he will be rewarded for it. Whoever refuses, we will take it, and half of his camels, as one of the rights of our Lord. And it is not permissible for the family of Muhammad to have any of them."'
পরিচ্ছেদঃ ৭. উটের যাকাত থেকে অব্যাহতি- যদি তা আরোহণ বা মাল বহণের জন্য হয়ে
২৪৫১. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল আ’লা (রহঃ) ... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি ঐ প্রত্যেক বিচরণকারী উটের যাকাত হল প্রত্যেক চল্লিশে একটি তিন বছর বয়সী উটনী। উটের হিসাব থেকে কোন উটকে বাদ দেওয়া হবে না। য়ে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়াতে তা দান করবে তার জন্য তার সওয়াব বুয়েছে আর যে ব্যক্তি তা আদায় করতে অস্বীকার করবে। আমিই তার থেকে তা উসুল করে নেব, সাথে সাথে আরো অর্ধেক উন্ট নিয়ে নেব। এটা আমার আল্লাহর হকসমূহ থেকে একটি হক। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরদের জন্য এর কোন অংশ বৈধ হবে না।
بَاب سُقُوطِ الزَّكَاةِ عَنْ الْإِبِلِ إِذَا كَانَتْ رُسُلًا لِأَهْلِهَا وَلِحُمُولَتِهِمْ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ سَمِعْتُ بَهْزَ بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي كُلِّ إِبِلٍ سَائِمَةٍ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ ابْنَةُ لَبُونٍ لَا تُفَرَّقُ إِبِلٌ عَنْ حِسَابِهَا مَنْ أَعْطَاهَا مُؤْتَجِرًا لَهُ أَجْرُهَا وَمَنْ مَنَعَهَا فَإِنَّا آخِذُوهَا وَشَطْرَ إِبِلِهِ عَزْمَةً مِنْ عَزَمَاتِ رَبِّنَا لَا يَحِلُّ لِآلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهَا شَيْءٌ
Bahz bin Hakim narrated from his father that his grandfather said:
"I heard the Messenger of Allah say: 'With regard to grazing camels, for every forty a Bint Labun. No differentiation is to be made between camels when calculating them. Whoever gives it seeking reward will be rewarded for it. Whoever refuses, we will take it and half of his camels, as one of the rights of our Lord. And it is not permissible for the family of Muhammad to have any of them."'
পরিচ্ছেদঃ ৭১. সাওয়াল করা সত্ত্বেও না দেওয়া
২৫৬৮. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ’লা (রহঃ) ... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি স্বীয় মুনীবের কাছে এসে তার উদৃত্ত বস্তু চায় অথচ তাকে তা দেওয়া না হয়, কিয়ামতের দিন তার জন্য একটি বিরাট সাপ ডাকা হবে যা তার না দেওয়া উদৃত্ত বস্তু জিহবা দ্বারা চাটতে থাকবে।
مَنْ يُسْأَلُ وَلَا يُعْطِي
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ قَالَ سَمِعْتُ بَهْزَ بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَأْتِي رَجُلٌ مَوْلَاهُ يَسْأَلُهُ مِنْ فَضْلٍ عِنْدَهُ فَيَمْنَعُهُ إِيَّاهُ إِلَّا دُعِيَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعٌ أَقْرَعُ يَتَلَمَّظُ فَضْلَهُ الَّذِي مَنَعَ
Bahz bin Hakim narrated from his father that his grandfather said:
"No man comes to his Mawla and asks him for something from the surplus of what he has, and he withholds it from him, but on the Day of Resurrection a bald-headed Shuja'a [1] will be called to him and will be licking the surplus that he withheld."
পরিচ্ছেদঃ ৭৩. যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে প্রশ্ন করে
২৫৭০. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ’লা (রহঃ) ... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র নবী! আমি আপনার কাছে আসার পূর্বে আমার উভয় হস্তের অঙ্গুলীসমূহের সংখ্যার চেয়েও অধিক সংখ্যক শপথ করেছিলাম যে, আমি আপনার কাছে আসব না এবং আপনার ধর্মও গ্রহণ করব না। এখন আমি এমন এক ব্যক্তি, যে আল্লাহ তা’আলা এবং তদীয় রাসূলের শিখানো শিক্ষা ছাড়া আর কিছুই আমি জানি না। আমি আল্লাহর ওয়াস্তে (আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য) আপনার কছে জানতে চাই আল্লাহ তা’আলা আপনাকে কি সহ আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন, আল্লাহ্ তাআলা আমাকে ইসলামসহ পাঠিয়েছেন। আমি বললাম, ইসলামের পরিচয় কি? তিনি বললেন, তুমি বলবে যে, আমি স্বীয় চেহারা আল্লাহ তা’আলার দিকে ফিরিয়ে দিলাম এবং শিরক পরিত্যাগ করলাম। এবং তুমি সালাত আদায় করবে, যাকাত আদায় করবে। প্রত্যেক মুসলিম অন্য মুসলিমের জন্য সম্মানের পাত্ৰ; তারা ভাইয়ের ন্যায় একে অন্যের সাহায্যকারী। আল্লাহ তা’আলা মুশরিকদের ইসলাম গ্রহণের পরও তাদের কোন আমল কবুল করবেন না যতক্ষণ না তারা মুশরিকদেরকে পরিত্যাগ করে মুসলিমদের কাছে এসে যায়।
مَنْ سَأَلَ بِوَجْهِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ قَالَ سَمِعْتُ بَهْزَ بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَتَيْتُكَ حَتَّى حَلَفْتُ أَكْثَرَ مِنْ عَدَدِهِنَّ لِأَصَابِعِ يَدَيْهِ أَلَّا آتِيَكَ وَلَا آتِيَ دِينَكَ وَإِنِّي كُنْتُ امْرَأً لَا أَعْقِلُ شَيْئًا إِلَّا مَا عَلَّمَنِي اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَإِنِّي أَسْأَلُكَ بِوَجْهِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ بِمَا بَعَثَكَ رَبُّكَ إِلَيْنَا قَالَ بِالْإِسْلَامِ قَالَ قُلْتُ وَمَا آيَاتُ الْإِسْلَامِ قَالَ أَنْ تَقُولَ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَتَخَلَّيْتُ وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ كُلُّ مُسْلِمٍ عَلَى مُسْلِمٍ مُحَرَّمٌ أَخَوَانِ نَصِيرَانِ لَا يَقْبَلُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ مُشْرِكٍ بَعْدَمَا أَسْلَمَ عَمَلًا أَوْ يُفَارِقَ الْمُشْرِكِينَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ
Bahz bin Hakim narrated from his father that his grandfather said:
"I said: 'O Prophet of Allah! I did not come to you until I had sworn more that this many times' - the number of fingers on his hands - 'that I would never come to you or follow your religion. I am a man who does not know anything except that which Allah and His Messenger teach me. I ask you by the face of Allah, the Mighty and Sublime, with what has your Lord sent you to us? He said: 'With Islam.' I said: What are the signs of Islam? He said; To say: I submit my face to Allah and give up Shirk, and, to establish the Salah and to pay Zakah. Each Muslim is sacred and inviolable to his fellow Muslim; they support one another. Allah does not accept my deed from an idolater after he becomes a Muslim, until he departs from the idolaters and joins the Muslims."'
পরিচ্ছেদঃ ৯৮. সাদাকা নবী (ﷺ) এর জন্য বৈধ নয়
২৬১৫. যিয়াদ ইবন আইয়ূব (রহঃ) ... বাহয ইবন হাকীম তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কোন হাদিয়া পেশ করা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন যে, এটা হাদিয়া না সাদাকা? সাদাকা বলা হলে তিনি তা খেতেন না আর হাদিয়া বলা হলে তিনি হস্ত প্রসারিত করতেন (খেতেন)।
الصَّدَقَةُ لَا تَحِلُّ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَخْبَرَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ وَاصِلٍ قَالَ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أُتِيَ بِشَيْءٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ لَمْ يَأْكُلْ وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ بَسَطَ يَدَهُ
Bahz bin Hakim narrated from his father that his grandfather said:
"If something was brought to him, the prophet would ask whether it was a gift or charity. If it was said that if was charity, he would not eat, and if it was said that it was a gift, he would stretch forth his hand."
পরিচ্ছেদঃ ২. চুরি স্বীকার করানোর জন্য চোরকে মারা বা বন্দী করা
৪৮৭৫. আব্দুর রহমান ইবন মুহাম্মাদ ইবন সাল্লাম (রহঃ) ... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিযোগের ভিত্তিতে কোন কোন লোককে বন্দী করেন।
بَاب امْتِحَانِ السَّارِقِ بِالضَّرْبِ وَالْحَبْسِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَّامٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَبَسَ نَاسًا فِي تُهْمَةٍ
It was narrated from Bahz bin Hakim, from his father, from his grandfather, that:
the Messenger of Allah detained some people who were under suspicion.
পরিচ্ছেদঃ ২. চুরি স্বীকার করানোর জন্য চোরকে মারা বা বন্দী করা
৪৮৭৬. আলী ইবন সাঈদ ইবন মাসরুক (রহঃ) ... বাহয ইবন হাকীম (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দী করে পরে তাকে ছেড়ে দেন।
بَاب امْتِحَانِ السَّارِقِ بِالضَّرْبِ وَالْحَبْسِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَبَسَ رَجُلًا فِي تُهْمَةٍ ثُمَّ خَلَّى سَبِيلَهُ
It was narrated from Bahz bin Hakim, from his father, from his grandfather, that:
the Messenger of Allah detained a man who was under suspicion, and then he let him go.
পরিচ্ছেদঃ ১৪/২. যে ব্যক্তি নিজের দীন ত্যাগ করে মুরতাদ হয়
২/২৫৩৬। বাহয ইবনে হাকীম (রাঃ) থেকে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করার পর মুশরিক হয়ে শিরকে লিপ্ত হলে আল্লাহ তার কোন আমলই গ্রহণ করেন না, যতক্ষণ যাবত না সে মুশরিকদের থেকে পৃথক হয়ে মুসলিমদের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করে।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
بَاب الْمُرْتَدِّ عَنْ دِينِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْ مُشْرِكٍ أَشْرَكَ بَعْدَ مَا أَسْلَمَ عَمَلاً حَتَّى يُفَارِقَ الْمُشْرِكِينَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ " .
It was narrated from Bahz bin Hakim, from his father, from his grandfather that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah (SWT) will not accept any good deed from a polytheist who committed polytheism after having become Muslim, until he leaves the polytheists and joins the Muslims.”
পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) তাঁর আহলে বায়ত এবং তাঁর আযাদকৃতদের জন্য সাদাকা নিষিদ্ধ।
৬৫৩. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... বাহয্ ইবনু হাকীম তাঁর পিতা-পিতাসহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন কিছু আনা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করতেন এ কি সাদাকা না হাদীয়া? যদি লোকেরা বলত সাদাকা তবে তিনি তা নিজে খেতেন না। আর যদি বলত হাদীয়া, তবে তিনি খেতেন। - আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৫৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে সালমান, আবূ হুরায়রা, আনাস, হাসান ইবনু আলী, আবূ উমায়র (ইনি হলেন মুআররাফ ইবনু ওয়াসিল, তাঁর নাম হল রুশায়দ ইবনুু মালিক), মায়মূন ইবনু মিহরান, ইবনু আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আবূ রাফিও আবদুর রহমান ইবনু আলকামা (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। এই হাদিসটি আবদুর রহমান ইবনু আলকামা আবদুর রহমান ইবনু আবূ আকীল সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে। বাহয্ ইবনু হাকীম (রহঃ) এর পিতামহের নাম হল মুআবিয়া ইবনু হায়দা আল-কুশায়রী (রহঃ) ইমামআবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, বাহয্ হাকীম বর্ণিত হাদিসটি হাসান-গরীব।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ الصَّدَقَةِ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَهْلِ بَيْتِهِ وَمَوَالِيهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَيُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ الضُّبَعِيُّ السَّدُوسِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أُتِيَ بِشَيْءٍ سَأَلَ " أَصَدَقَةٌ هِيَ أَمْ هَدِيَّةٌ " . فَإِنْ قَالُوا صَدَقَةٌ لَمْ يَأْكُلْ وَإِنْ قَالُوا هَدِيَّةٌ أَكَلَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَلْمَانَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ وَأَبِي عَمِيرَةَ جَدُّ مُعَرَّفِ بْنِ وَاصِلٍ وَاسْمُهُ رُشَيْدُ بْنُ مَالِكٍ وَمَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَبِي رَافِعٍ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلْقَمَةَ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ أَيْضًا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَقِيلٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَجَدُّ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ اسْمُهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ حَيْدَةَ الْقُشَيْرِيُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Bahz bin Hakim narrated from his father, from his grandfather who said:
"When something was brought to him, the Messenger of Allah would ask: 'Is this charity or a gift?' If they said: 'Charity.' He would not eat it, and if they said, 'A gift' he would eat it."
পরিচ্ছেদঃ অপবাদ দেওয়ার অপরাধে বন্দী করা প্রসঙ্গে।
১৪২১. আলী ইবনু সাঈদ কিন্দী (রহঃ) ....... বাহয ইবনু হাকীম তাঁর পিতা তাঁর পিতামহ মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবাদ দেওয়ার অপরাধে এক ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন। পরে তিনি তাকে ছেড়ে দেন। - মিশকাত ৩৭৮৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। বাহয-তাঁর পিতা-তাঁর পিতামহ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে হাদীসটি হাসান। ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম এই হাদীসটিকে বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) সূত্রে এর চাইতে আরো দীর্ঘ ও পূর্ণাঙ্গরূপে রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْحَبْسِ فِي التُّهْمَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَبَسَ رَجُلاً فِي تُهْمَةٍ ثُمَّ خَلَّى عَنْهُ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بَهْزٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ هَذَا الْحَدِيثَ أَتَمَّ مِنْ هَذَا وَأَطْوَلَ .
Narrated Bahz bin Hakim:
from his father, from his grandfather, that the Prophet (ﷺ) imprisoned a man for an accusation, then he let him go.
পরিচ্ছেদঃ পিতা-মাতার সঙ্গে সৎব্যবহার।
১৯০৩। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... বাহয ইবনু হাকীম তার পিতা পিতামহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, কার সঙ্গে আমি সৎ ব্যবহার করব? তিনি বললেন, তোমার মার সঙ্গে। আমি বললামঃ এরপর কার সঙ্গে? তিনি বললেন, তোমার মার সঙ্গে। আমি বললামঃ পরে কার সঙ্গে? তিনি বললেন, তোমার মার সঙ্গে। আমি বললাম পরে কার সঙ্গে? তিনি বললেন, তারপর পিতার সঙ্গে, এরপর নিকটতম আত্মীয়কে ক্রমান্বয়ে। হাসান, মিশকাত ৪৯২৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৮৯৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা, আবদুল্লাহ ইবনু উমার, ’আয়িশা আবূদ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) হলেন বাহয ইবনু হাকীম ইবনু মুআবিয়া ইবনু হায়দা কুশায়রী। এ হাদীসটি হাসান। শু’বা (রহঃ) বাহয ইবনু হাকীমের সমালোচনা করেছেন। হাদীস বিশেষজ্ঞগণের মতে তিনি ছিকা বা নির্ভরযোগ্য। তাঁর নিকট থেকে মা’মার, সুফইয়ান ছাওরী, হাম্মাদ ইবনু সালামা প্রমুখ হাদীস বিশেষজ্ঞ ইমামগণ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي بِرِّ الْوَالِدَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَبَرُّ قَالَ " أُمَّكَ " . قَالَ قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَ " أُمَّكَ " . قَالَ قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَ " أُمَّكَ " . قَالَ قُلْتُ ثُمَّ مَنْ قَالَ " ثُمَّ أَبَاكَ ثُمَّ الأَقْرَبَ فَالأَقْرَبَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَبَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ هُوَ ابْنُ مُعَاوِيَةَ بْنِ حَيْدَةَ الْقُشَيْرِيُّ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ تَكَلَّمَ شُعْبَةُ فِي بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ وَهُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَرَوَى عَنْهُ مَعْمَرٌ وَالثَّوْرِيُّ وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ .
Bahz bin Hakim narrated from his father, from his grandfather who said:
"I said: 'O Messenger of Allah! Who most deserves(my) reverence?' He said: 'Your mother.'" He said: "I said: 'Then who?' He said: 'Your mother.'" He said: "I said: 'Then who?' He said: 'Your mother.'" He said: "I said: 'Then who?' He said: 'Then your father, then the nearest relatives, then the nearest relatives.'"
পরিচ্ছেদঃ কেউ যদি লোকদের হাসানোর উদ্দেশ্যে কোন কথা বলে।
২৩১৮. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... বাহয ইবন হাকীম তৎ পিতা তৎ পিতামহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ধ্বংস সেই ব্যক্তির জন্য যে ব্যক্তি লোকদের হাসানো জন্য কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে; ধ্বংস তার জন্য; ধ্বংস তার জন্য। হাসান, গায়াতুল মারাম ৩৭৬, মিশকাত তাহকীক ছানী ৪৮৩৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩১৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান।
باب فِيمَنْ تَكَلَّمَ بِكَلِمَةٍ يُضْحِكُ بِهَا النَّاسَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " وَيْلٌ لِلَّذِي يُحَدِّثُ بِالْحَدِيثِ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ فَيَكْذِبُ وَيْلٌ لَهُ وَيْلٌ لَهُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Bahz bin Hakim narrated from his father, from his grandfather that Prophet (s.a.w) said:
"Woe to the one who talks about something to make the people laugh, in which he lies. Woe to him! Woe to him!"