সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ)
৬১৫

পরিচ্ছেদঃ যাকাত প্রদানে অস্বীকৃতির জন্য কঠোর শাস্তি।

৬১৫. হান্নাদ ইবনুস্ সারী আত্-তামীমী আল্- কূফী (রহঃ) ........ আবূ যার্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম, এই সময় তিনি কা’বা শরীফের ছায়ায় উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আমাকে সামনে দেখে বলতে লাগলেনঃ কাবা’র রবের কসম! কিয়ামতের দিন এরাই হবে অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত। আবূ যার্ (রাঃ) বলেন , আমি মনে মনে ভাবলাম, কী হল আমার, আমার ব্যাপারে হয়ত কিছু নাযিল হয়েছে। যা হোক আমি বললাম, আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান হউক, এরা কারা? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এরা হল অধীক সম্পদের অধিকারী ব্যক্তিগণ, কিন্তু যারা এরূপ করে তারা ছাড়া। এরপর তিনি সামনে ডানে বামে দুই হাতে অঞ্জলী ভরে ইশারা করে দেখালেন। তিনি আরো বললেনঃ কসম সে সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ! কোন ব্যক্তি যদি উট বা গরু রেখে মারা যায় আর এগুলোর যাকাত আদায় না করে যায় তবে সেগুলো কিয়ামতের দিন আরো বেশী মোটা-তাজা হয়ে আসবে এবং ঐ ব্যক্তিকে পায়ের খুরে দলিত করবে এবং শিং দিয়ে গুতোতে থাকবে। যখনই শেষেরটির কাজ শেষ হবে, তখনই প্রথমটি আবার শুরু করবে। সব মানুষের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্তএরূপই চলতে থাকবে। - তা’লীকুর রাগীব ১/২৬৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ হুয়ারার (রাঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। আলী ইবনু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, যাকাত অস্বীকারকরীকে লা’নত করা হয়েছে। কাবীসা ইবনু হুলব তদীয় পিতা হুলবের বরাতে এবং জাবির ইবনু আবদুল্লাহ ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসুদ (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, আবূ যার্ (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান-সহীহ। আবূ যার্ (রাঃ) এর নাম হল, জুনদাব ইবনুু’স সাকান। কেই কেউ বলেন, ইবনু জুনাদা। আবদুল্লাহ্ ইবনু মুনীর (রহঃ) যাহ্হাক ইবনু মুযাহিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, অধিক সম্পদশালী হল তারা যাদের কাছে দশ হাজার (বা তকোধিক দিরহাম) আছে। - সহিহ মাকতু অর্থাৎ যাহহাকের উপর মাওকুফ।

আবদুল্লাহ্ ইবনু মুনীর মারওয়াযী একজন সৎব্যক্তি।

باب مَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَنْعِ الزَّكَاةِ مِنَ التَّشْدِيدِ ‏.‏

حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ التَّمِيمِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ جِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ ‏.‏ قَالَ فَرَآنِي مُقْبِلاً فَقَالَ ‏"‏ هُمُ الأَخْسَرُونَ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ مَا لِي لَعَلَّهُ أُنْزِلَ فِيَّ شَيْءٌ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَنْ هُمْ فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هُمُ الأَكْثَرُونَ إِلاَّ مَنْ قَالَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ‏"‏ ‏.‏ فَحَثَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَعَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يَمُوتُ رَجُلٌ فَيَدَعُ إِبِلاً أَوْ بَقَرًا لَمْ يُؤَدِّ زَكَاتَهَا إِلاَّ جَاءَتْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْظَمَ مَا كَانَتْ وَأَسْمَنَهُ تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا وَتَنْطَحُهُ بِقُرُونِهَا كُلَّمَا نَفِدَتْ أُخْرَاهَا عَادَتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلُهُ ‏.‏ وَعَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رضى الله عنه قَالَ لُعِنَ مَانِعُ الصَّدَقَةِ ‏.‏ وَعَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ عَنْ أَبِيهِ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَاسْمُ أَبِي ذَرٍّ جُنْدُبُ بْنُ السَّكَنِ وَيُقَالُ ابْنُ جُنَادَةَ ‏.‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ حَكِيمِ بْنِ الدَّيْلَمِ عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ مُزَاحِمٍ قَالَ الأَكْثَرُونَ أَصْحَابُ عَشَرَةِ آلاَفٍ ‏.‏ قَالَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ مَرْوَزِيٌّ رَجُلٌ صَالِحٌ ‏.‏

حدثنا هناد بن السري التميمي الكوفي، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن المعرور بن سويد، عن ابي ذر، قال جىت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو جالس في ظل الكعبة ‏.‏ قال فراني مقبلا فقال ‏"‏ هم الاخسرون ورب الكعبة يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏ قال فقلت ما لي لعله انزل في شيء ‏.‏ قال قلت من هم فداك ابي وامي ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ هم الاكثرون الا من قال هكذا وهكذا وهكذا ‏"‏ ‏.‏ فحثا بين يديه وعن يمينه وعن شماله ‏.‏ ثم قال ‏"‏ والذي نفسي بيده لا يموت رجل فيدع ابلا او بقرا لم يود زكاتها الا جاءته يوم القيامة اعظم ما كانت واسمنه تطوه باخفافها وتنطحه بقرونها كلما نفدت اخراها عادت عليه اولاها حتى يقضى بين الناس ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة مثله ‏.‏ وعن علي بن ابي طالب رضى الله عنه قال لعن مانع الصدقة ‏.‏ وعن قبيصة بن هلب عن ابيه وجابر بن عبد الله وعبد الله بن مسعود ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي ذر حديث حسن صحيح ‏.‏ واسم ابي ذر جندب بن السكن ويقال ابن جنادة ‏.‏ حدثنا عبد الله بن منير عن عبيد الله بن موسى عن سفيان الثوري عن حكيم بن الديلم عن الضحاك بن مزاحم قال الاكثرون اصحاب عشرة الاف ‏.‏ قال وعبد الله بن منير مروزي رجل صالح ‏.‏


Abu Dharr narrated:
"I came to the Messenger of Allah while he was sitting in the shade of the Ka'bah." He said: "He saw me approaching and he said: 'They are lost on the Day of Judgment! By the Lord of the Ka'bah!'" He said: "I said t myself: Woe is me! Perhaps something has been revealed about me!'" He said: "So I said: 'Who are they, and may my father and mother be ransomed for you.' So the Messenger of Allah said: 'They are those who have much, except for who says like this, and this, and this and motioned with his hand to his front, and t his right, and to his left.' Then he said: 'By the One in Whose Hand is my soul! No man will die, leaving a camel or a cow that he did not pay Zakat on, except that it will come on the Day of Judgment larger and fatter than it was, they will tread him under their hooves and butt him with their horns, all of them; such that when the last of them has had a turn, the first returns to him, until he is judged before the people.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬১৬

পরিচ্ছেদঃ যাকাত আদায় করে দিলে তোমার (সম্পদ) উপর যা কর্তব্য ছিল তা তুমি পূর্ণ করলে।

৬১৬. উমার ইবনু হাফস আশ্-শায়বানী আল্-বাসরী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তুমি যখন তোমার সম্পদের যাকাত আদায় করে দিলে তখন তোমার্ উপর যা কর্তব্য ছিল তা পূরণ করে দিলে। - যইফ ইবনু মাজাহ ১৭৮৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান গরীব। একাধিক সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি যাকাতের আলোচনা করছিলেন। তখন এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এ ছাড়া আমার উপর আরো কিছু কর্তব্য আছে কি? তিনি বললেনঃ না তবে তুমি যদি নফল কিছু করতে চাও (তা হল ভিন্ন ব্যাপার)।

باب مَا جَاءَ إِذَا أَدَّيْتَ الزَّكَاةَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ ‏.‏

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ الشَّيْبَانِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنِ ابْنِ حُجَيْرَةَ، هُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ حُجَيْرَةَ الْمِصْرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا أَدَّيْتَ زَكَاةَ مَالِكَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ أَنَّهُ ذَكَرَ الزَّكَاةَ ‏.‏ فَقَالَ رَجَلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ عَلَىَّ غَيْرُهَا فَقَالَ ‏"‏ لاَ إِلاَّ أَنْ تَتَطَوَّعَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا عمر بن حفص الشيباني البصري، حدثنا عبد الله بن وهب، اخبرنا عمرو بن الحارث، عن دراج، عن ابن حجيرة، هو عبد الرحمن بن حجيرة المصري عن ابي هريرة، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اذا اديت زكاة مالك فقد قضيت ما عليك ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى ‏.‏ هذا حديث حسن غريب ‏.‏ وقد روي عن النبي صلى الله عليه وسلم من غير وجه انه ذكر الزكاة ‏.‏ فقال رجل يا رسول الله هل على غيرها فقال ‏"‏ لا الا ان تتطوع ‏"‏ ‏.‏


Abu Hurairah narrated :
that the Prophet said: "When you pay the Zakat you have fulfilled what is required of you."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬১৭

পরিচ্ছেদঃ যাকাত আদায় করে দিলে তোমার (সম্পদ) উপর যা কর্তব্য ছিল তা তুমি পূর্ণ করলে।

৬১৭. মুহাম্মদ ইবনু ইসমাইল (রহঃ) ...... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কামনা করতাম যদি কোন বুদ্ধিমান গ্রামবাসী আসত এবং আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপবিষ্ট অবস্থায় যদি সেটাকে কোন বিষয় প্রশ্ন করত। যাহোক, আমরা কেদিন এই অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ এক গ্রামবাসী আরব সেখানে এসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে হাঁট মুড়ে বসল। বলল, হে মুহম্মদ! আপনার দূত আমাদের কাছে এসেছে; এবং আমাদের বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন যে, আল্লাহ আপনাকে রাসূল হিসাবে পাঠিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বলল, কসম সে সত্তার যিনি আকাশকে করেছেন সুঠাম, যমীনকে করেছেন বিস্তৃত, পাহাড় সমূহকে করেছেন দন্ডায়মান, সত্যই কি আল্লাহ আপনাকে প্রেরণ করেছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি বলল, আপনার দূত আমাদের আরো বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন, আমাদের উপর রাত-দিনে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) অবশ্য কর্তব্যরূপে নির্ধারণ করেছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বলল কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এই বিষয়ে নিদের্শ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি বলল, আপনার দূত আমাদের আরো বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন, বছরে এক মাস (রামাযান) আমাদের জন্য সিয়াম পালন করা কর্তব্য? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সত্য বলেছে। লোকটি বলল, কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন! আল্লাহ কি আপনাকে এই বিষয়ে নিদের্শ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি বলল, আপনার দূত আমাদের বলেছে যে, আপনি নাকি বলেন যে, আমাদের সম্পদে নির্ধারিত যাকাত রয়েছে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সত্য বলেছে। লোকটি বলল, কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এই বিষয়ে নিদের্শ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ।

লোকটি বলল, আপনার দূত আমাদের আরো আপনি নাকি বলেন আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ্ যেতে সক্ষম তার জন্য বায়তুল্লাহর হ্জ্জ করা কর্তব্য? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বলল, কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন! আল্লাহই কি আপনাকে এই বিষয়ে নিদের্শ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বললঃ কসম সে সত্তার যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! আমি এগুলোর একটিকেও পরিত্যাগ করব না। আর এগুলোর সীমাও অতিক্রম করব না। এরপর লোকটি দ্রুত উঠে চলে গেল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এই গ্রামবাসী লোকটি যদি সত্য বলে থাকে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। - তাখরিজ ঈমান ইবনু আবী শাইবা ৪/৫, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন এই হাদিসটি হাসান ও এই সূত্রে গরীব। অন্য সূত্রে ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এটি বর্ণিত আছে। মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল আল-বুখারী (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, কতক হাদিস বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, এ হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে, উস্তাদের নিকট পাঠকরা ও উপস্থাপন তার নিকট থেকে শ্রবণ করার ন্যায় গ্রহণযোগ্য। কেননা, উক্ত গ্রামবাসী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থাপন করেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্বীকৃতি দেন।

باب مَا جَاءَ إِذَا أَدَّيْتَ الزَّكَاةَ فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كُنَّا نَتَمَنَّى أَنْ يَأْتِيَ، الأَعْرَابِيُّ الْعَاقِلُ فَيَسْأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ عِنْدَهُ فَبَيْنَا نَحْنُ عَلَى ذَلِكَ إِذْ أَتَاهُ أَعْرَابِيٌّ فَجَثَا بَيْنَ يَدَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنَّ رَسُولَكَ أَتَانَا فَزَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَكَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي رَفَعَ السَّمَاءَ وَبَسَطَ الأَرْضَ وَنَصَبَ الْجِبَالَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرٍ فِي السَّنَةِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا فِي أَمْوَالِنَا الزَّكَاةَ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صَدَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَكَ زَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ عَلَيْنَا الْحَجَّ إِلَى الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ أَدَعُ مِنْهُنَّ شَيْئًا وَلاَ أُجَاوِزُهُنَّ ‏.‏ ثُمَّ وَثَبَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنْ صَدَقَ الأَعْرَابِيُّ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِقْهُ هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الْقِرَاءَةَ عَلَى الْعَالِمِ وَالْعَرْضَ عَلَيْهِ جَائِزٌ مِثْلُ السَّمَاعِ ‏.‏ وَاحْتَجَّ بِأَنَّ الأَعْرَابِيَّ عَرَضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَقَرَّ بِهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، حدثنا علي بن عبد الحميد الكوفي، حدثنا سليمان بن المغيرة، عن ثابت، عن انس، قال كنا نتمنى ان ياتي، الاعرابي العاقل فيسال النبي صلى الله عليه وسلم ونحن عنده فبينا نحن على ذلك اذ اتاه اعرابي فجثا بين يدى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا محمد ان رسولك اتانا فزعم لنا انك تزعم ان الله ارسلك ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي رفع السماء وبسط الارض ونصب الجبال الله ارسلك فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا خمس صلوات في اليوم والليلة ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا صوم شهر في السنة ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا في اموالنا الزكاة ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ صدق ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال فان رسولك زعم لنا انك تزعم ان علينا الحج الى البيت من استطاع اليه سبيلا ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال فبالذي ارسلك الله امرك بهذا فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ فقال والذي بعثك بالحق لا ادع منهن شيىا ولا اجاوزهن ‏.‏ ثم وثب فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان صدق الاعرابي دخل الجنة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب من هذا الوجه وقد روي من غير هذا الوجه عن انس عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ سمعت محمد بن اسماعيل يقول قال بعض اهل العلم فقه هذا الحديث ان القراءة على العالم والعرض عليه جاىز مثل السماع ‏.‏ واحتج بان الاعرابي عرض على النبي صلى الله عليه وسلم فاقر به النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Anas narrated:
"We used to hope that an intelligent Bedouin would show up to question the Prophet while we were with him. So one while we were with him, a Bedouin came, kneeling in front of the Prophet, and he said: 'O Muhammad, your messenger came to us and told us that you say that Allah sent you.' So the Prophet say: 'Yes.' He said, 'So, (swear) by the One who raised the heaves, and spread out the earth, and erected the mountains; has Allah sent you?' The Prophet said, 'Yes.' He said: 'Your messenger told us that you say that there are five prayers required from us in a day and a night.' The Prophet said, 'Yes.' He said, 'By the One Who sent you, has Allah ordered that you you?' He said, 'Yes.' He said, 'Your messenger told us that you say that we are required to fast for a month out of the year.' He said, 'He told the truth.' He said, 'By the One Who sent you, has Allah ordered that you?' The Prophet said, 'Yes.' He said, 'Your messenger told us that Zakat is required from our wealth.' The Prophet said, 'He told the truth.' He said, 'By the One Who sent you, has Allah ordered you that?' The Prophet said, 'Yes.' He said, 'Your messenger told us that you say that we are required to perform Hajj to Allah's House if able to undertake the journey.' The Prophet said, 'Yes.' He said, 'By the One Who sent you, has Allah Commanded you that?' (The Prophet said:) 'Yes.' So he said: 'By the One Who sent you with the Truth, I will not leave any of them, nor surpass them.' Then he got up quickly (leaving). The Prophet said: 'If the Bedouin told the truth, then he will enter Paradise.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬১৮

পরিচ্ছেদঃ স্বর্ণও রৌপ্যের যাকাত।

৬১৮. মুহাম্মদ ইবনু আবদুল মালিক ইবনু শাওয়ারিব (রহঃ) ..... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ ঘোড়া ও ক্রীসদাসের ক্ষেত্রে যাকাত মাফ করে দিলাম। তোমরা প্রতি চল্লিশ দিরহাম (রৌপ্য মুদ্রায়) এক দিরহাম হিসাবে রৌপ্যের যাকাত দিবে। একশ নব্বই দিরহামেও আমার (বায়তুল মালের) কিছু পাওনা নাই। কিন্তু দুশ’ দিরহাম পরিমাণ হলে এতে পাঁচ দিরহাম (২.৫০%) যাকাত ধার্য হবে। - ইবনু মাজাহ ১৭৯০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ বকর সিদ্দীক ও আমর ইবনু হাযম (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, আমাশ ও আবূ আওয়ানা প্রমুখ এই হাদিসটি আবূ ইসহাক-আসিম ইবনু যামযা, আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল আল-বুখারী (রহঃ) কে এই হাদিসটি হারিস, আলী (রাঃ) সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল আল-বুখারী (রহঃ) কে এই হাদিসটি সম্পর্কে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, আমার মতে আবূ ইসহাক থেকে উভয় সনদই সহীহ্। কারণ, সম্ভাবনা আছে যে, তিনি (আসিম ও হারিস) উভয়ের নিকট থেকে ই এটির রিওয়ায়াত করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ قَدْ عَفَوْتُ عَنْ صَدَقَةِ الْخَيْلِ وَالرَّقِيقِ فَهَاتُوا صَدَقَةَ الرِّقَةِ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا دِرْهَمًا وَلَيْسَ فِي تِسْعِينَ وَمِائَةٍ شَيْءٌ فَإِذَا بَلَغَتْ مِائَتَيْنِ فَفِيهَا خَمْسَةُ الدَّرَاهِمِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الأَعْمَشُ وَأَبُو عَوَانَةَ وَغَيْرُهُمَا عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ عَنْ عَلِيٍّ وَرَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ كِلاَهُمَا عِنْدِي صَحِيحٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ رُوِيَ عَنْهُمَا جَمِيعًا ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الملك بن ابي الشوارب، حدثنا ابو عوانة، عن ابي اسحاق، عن عاصم بن ضمرة، عن علي، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ قد عفوت عن صدقة الخيل والرقيق فهاتوا صدقة الرقة من كل اربعين درهما درهما وليس في تسعين وماىة شيء فاذا بلغت ماىتين ففيها خمسة الدراهم ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي بكر الصديق وعمرو بن حزم ‏.‏ قال ابو عيسى روى هذا الحديث الاعمش وابو عوانة وغيرهما عن ابي اسحاق عن عاصم بن ضمرة عن علي وروى سفيان الثوري وابن عيينة وغير واحد عن ابي اسحاق عن الحارث عن علي ‏.‏ قال وسالت محمدا عن هذا الحديث فقال كلاهما عندي صحيح عن ابي اسحاق يحتمل ان يكون روي عنهما جميعا ‏.‏


Ali narrated that :
the Messenger of Allah said: "I have exempted charity on horses and slaves. So bring charity for silver, one Dirham for every forty Dirham. There is nothing for me (to collect) on one hundred and ninety Dirham, so when it reaches two hundred, then five Dirham of it (are due)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬১৯

পরিচ্ছেদঃ উট ও ছাগলের যাকাত।

৬১৯. যিয়াদ ইবনু আইয়ুব আল-বাগদাদী, ইবরাহীম ইবনু আব্দু্ল্লাহ আল- হিরাবী ও মুহাম্মাদ ইবনু কামিল আল-মারওয়াযী (রহঃ) ..... সালিম তদীয় পিতা ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদাকা-যাকাত সম্পর্কিত একটি পত্র তৈরী করেন এবং সেটি তলোয়ারের সাথে মিলিয়ে সংরক্ষিত করে রাখেন। ইন্তেকাল পর্যন্ত আর তিনি তা বের করে আনেননি। যাকাত সংগ্রহকারী কর্মকর্তাদের জন্য সেটি প্রেরণ করতে পারেননি। তাঁর ইন্তেকালের পর আবূ বকর (রাঃ) ও তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত এবং উমার (রাঃ) ও তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত এতদ্ অনুসারে আমল করেছেন।

এতে ছিল, উটের ক্ষেত্রে পাঁচটিতে একটি, দশটিতে দু’টি, পনেরটিতে তিনটি, বিশটিতে চারটি ছাগল (যাকাত হিসাবে দিতে হয়)। পঁচিশটি থেকে পয়ত্রিশটি পর্যন্ত উটে একটি বিনত মাখায অর্থাৎ পূর্ণ এক বছর বছসের মাদি উট; এর উর্ধ্বে পয়তাল্লিশটি পর্যন্ত একটি বিনত লাবুন অর্থাৎ পূর্ণ দু’বছর বয়সের মাদি উট; এর উর্ধ্বে ষাটটি পর্যন্ত একটি হিক্কা অর্থাৎ পূর্ণ তিন ব ছর বয়সের মাদি উট; এর উর্ধ্বে পঁচাত্তর পর্যন্ত একটি জায়আ’ অর্থাৎ পূর্ণ চার বছর বয়সের একটি মাদি উট (যাকাত হিসাবে দিতে হবে) উটের সংখ্যা আরো বেশী হলে নব্বইটি পর্যন্ত দুটি বিনত লাবূন, আরো বেশি হলে একশ বিশ পর্যন্ত দুটো হিক্কা; আর একশ বিশের উর্ধ্বে প্রতি পঞ্চাশে একটি হিক্কা এবং প্রতি চল্লিশে একটি করে বিনত লাবূন ধার্য হবে।

ছাগলের ক্ষেত্রে একশ বিশটি পর্যন্ত প্রতি চল্লিশটিতে একটি করে ছাগল প্রদান করতে হবে। এর বেশী হলে দুশ পর্যন্ত দুটো ছাগল। এর বেশী হলে তিনশটি পর্যন্ত তিনটি ছাগল। এর বেশী হলে প্রতি একশটিতে একটি করে ছাগল ধার্য হবে এবং চারশ না হওয়া পর্যন্ত এতে (নতুন) ধার্য হবে না। যাকাতের আশংকায় (বিভিন্ন মালিকানায়) বিচ্ছিন্ন পশুগুলিকে (এক মালিকানাভুক্ত করে) এ একত্রিত করা যাবে না এবং একত্রিতগুলোকে বিছিন্ন করা যাবে না। দুই শরীকের পশুগুলো (যদি একত্রে) থাকে (আর একজন তা দিয়ে দেয় তবে) অতিরিক্ত অংশ পরস্পর থেকে সমানভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আনবে। যাকাতে অতিবৃদ্ধ বা ত্রুটিযুক্ত পশু গ্রহণ করা যাবে না। - ইবনু মাজাহ ১৭৯৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেনঃ যাকাত সংগ্রহকারী কর্মচারী যখন যাকাত সংগ্রহ করতে আসবে, তিনি পশু গুলোকে তিন ভাগে ভাগ করবেন। সর্বোত্তম গুলোর একভাগ, মধ্যম ধরনের পশুগুলোর একভাগ আর নিকৃষ্ট গুলোর জন্য একভাগ। পরে তিনি মধ্যম ধরনের পশুগুলো থেকে যাকাতের অংশ গ্রহণ করবেন। রাবী বলেন, ইমাম যুহরী (রহঃ) এই রিওয়ায়াতে গরুর কথা উল্লেখ করেননি। এই বিষয়ে আবূ বকর সিদ্দীক, বাহয ইবনু হাকীম-পিতা-পিতাসহ (রাঃ) থেকে আবূ যার্ ও আনাস (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান। সাধারণ ভাবে ফকীহ্গণএই হাদিসটি অনুসারে অভিমত গ্রহণকরেছেন। ইউনুস ইবনু ইয়াযীদ প্রমুখ যুহরী হতে সালিম (রহঃ) সূত্রে এই হাদিসটি রিওয়ায়াতে করেছেন। কিন্তু তাঁরা মারফূ হিসাবে তা করেননি। কেবল সুফিয়ান ইবনু হুসায়নই এটিকে মারফূ হিসাবে রিওয়ায়াতে করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ ‏.‏

حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَرَوِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَامِلٍ الْمَرْوَزِيُّ الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَتَبَ كِتَابَ الصَّدَقَةِ فَلَمْ يُخْرِجْهُ إِلَى عُمَّالِهِ حَتَّى قُبِضَ فَقَرَنَهُ بِسَيْفِهِ فَلَمَّا قُبِضَ عَمِلَ بِهِ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى قُبِضَ وَعُمَرُ حَتَّى قُبِضَ وَكَانَ فِيهِ ‏ "‏ فِي خَمْسٍ مِنَ الإِبِلِ شَاةٌ وَفِي عَشْرٍ شَاتَانِ وَفِي خَمْسَ عَشْرَةَ ثَلاَثُ شِيَاهٍ وَفِي عِشْرِينَ أَرْبَعُ شِيَاهٍ وَفِي خَمْسٍ وَعِشْرِينَ بِنْتُ مَخَاضٍ إِلَى خَمْسٍ وَثَلاَثِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا ابْنَةُ لَبُونٍ إِلَى خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا حِقَّةٌ إِلَى سِتِّينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا جَذَعَةٌ إِلَى خَمْسٍ وَسَبْعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا ابْنَتَا لَبُونٍ إِلَى تِسْعِينَ فَإِذَا زَادَتْ فَفِيهَا حِقَّتَانِ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ عَلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَفِي كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ وَفِي كُلِّ أَرْبَعِينَ ابْنَةُ لَبُونٍ ‏.‏ وَفِي الشَّاءِ فِي كُلِّ أَرْبَعِينَ شَاةً شَاةٌ إِلَى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَإِذَا زَادَتْ فَشَاتَانِ إِلَى مِائَتَيْنِ فَإِذَا زَادَتْ فَثَلاَثُ شِيَاهٍ إِلَى ثَلاَثِمِائَةِ شَاةٍ فَإِذَا زَادَتْ عَلَى ثَلاَثِمِائَةِ شَاةٍ فَفِي كُلِّ مِائَةِ شَاةٍ شَاةٌ ثُمَّ لَيْسَ فِيهَا شَيْءٌ حَتَّى تَبْلُغَ أَرْبَعَمِائَةٍ وَلاَ يُجْمَعُ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ وَلاَ يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ مَخَافَةَ الصَّدَقَةِ وَمَا كَانَ مِنْ خَلِيطَيْنِ فَإِنَّهُمَا يَتَرَاجَعَانِ بِالسَّوِيَّةِ وَلاَ يُؤْخَذُ فِي الصَّدَقَةِ هَرِمَةٌ وَلاَ ذَاتُ عَيْبٍ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ الزُّهْرِيُّ إِذَا جَاءَ الْمُصَدِّقُ قَسَّمَ الشَّاءَ أَثْلاَثًا ثُلُثٌ خِيَارٌ وَثُلُثٌ أَوْسَاطٌ وَثُلُثٌ شِرَارٌ وَأَخَذَ الْمُصَدِّقُ مِنَ الْوَسَطِ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرِ الزُّهْرِيُّ الْبَقَرَ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَبَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ ‏.‏ وَأَبِي ذَرٍّ وَأَنَسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ عَامَّةِ الْفُقَهَاءِ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ هَذَا الْحَدِيثَ وَلَمْ يَرْفَعُوهُ وَإِنَّمَا رَفَعَهُ سُفْيَانُ بْنُ حُسَيْنٍ ‏.‏

حدثنا زياد بن ايوب البغدادي، وابراهيم بن عبد الله الهروي، ومحمد بن كامل المروزي المعنى، واحد، قالوا حدثنا عباد بن العوام، عن سفيان بن حسين، عن الزهري، عن سالم، عن ابيه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كتب كتاب الصدقة فلم يخرجه الى عماله حتى قبض فقرنه بسيفه فلما قبض عمل به ابو بكر حتى قبض وعمر حتى قبض وكان فيه ‏ "‏ في خمس من الابل شاة وفي عشر شاتان وفي خمس عشرة ثلاث شياه وفي عشرين اربع شياه وفي خمس وعشرين بنت مخاض الى خمس وثلاثين فاذا زادت ففيها ابنة لبون الى خمس واربعين فاذا زادت ففيها حقة الى ستين فاذا زادت ففيها جذعة الى خمس وسبعين فاذا زادت ففيها ابنتا لبون الى تسعين فاذا زادت ففيها حقتان الى عشرين وماىة فاذا زادت على عشرين وماىة ففي كل خمسين حقة وفي كل اربعين ابنة لبون ‏.‏ وفي الشاء في كل اربعين شاة شاة الى عشرين وماىة فاذا زادت فشاتان الى ماىتين فاذا زادت فثلاث شياه الى ثلاثماىة شاة فاذا زادت على ثلاثماىة شاة ففي كل ماىة شاة شاة ثم ليس فيها شيء حتى تبلغ اربعماىة ولا يجمع بين متفرق ولا يفرق بين مجتمع مخافة الصدقة وما كان من خليطين فانهما يتراجعان بالسوية ولا يوخذ في الصدقة هرمة ولا ذات عيب ‏"‏ ‏.‏ وقال الزهري اذا جاء المصدق قسم الشاء اثلاثا ثلث خيار وثلث اوساط وثلث شرار واخذ المصدق من الوسط ‏.‏ ولم يذكر الزهري البقر ‏.‏ وفي الباب عن ابي بكر الصديق وبهز بن حكيم عن ابيه عن جده ‏.‏ وابي ذر وانس ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عمر حديث حسن ‏.‏ والعمل على هذا الحديث عند عامة الفقهاء ‏.‏ وقد روى يونس بن يزيد وغير واحد عن الزهري عن سالم هذا الحديث ولم يرفعوه وانما رفعه سفيان بن حسين ‏.‏


Az-Zuhri narrated from Salim from his father:
"The Messenger of Allah had a letter written about charity, but he had not dispatched it to his governors until he died; he kept it with him along with his sword. When he died, Abu Bakr implemented it until he died, as did Umar until he died. In it was: 'A sheep (is due) on five camels, two sheeps on ten, three sheeps on fifteen, four sheeps for twenty, a Bint Makhad on twenty-five to thirty-five. When it is more than that, then a Bint Labun, (is due, till the number of the camels reaches) forty-five. When it is more than that, then a Hiqqah until sixty. When it is more than that, then a Jadhah until seventy-five. When it is more than one hundred and twenty, then a Hiqqah on every fifty, and a Bint Labun on every forty. For sheep; one sheep (is due) for every forty sheeps until one hundred and twenty. When it is more than that, then two sheeps until two hundred. When it is more than that, then three sheeps until three hundred sheep. When it is more than three hundred sheep, then a sheep on every hundred sheep. Then there is nothing until it reaches four hundred. There is no combining the (property of) individuals nor separating the collective (property) fearing Sadaqah. And fr whatever is mixed together that two own, then they are to refer to the total. Neither an old or defective (animal) may be taken for charity."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২০

পরিচ্ছেদঃ গরুর যাকাত।

৬২০. মুহাম্মদ ইবনু উবায়দ আল মুহারিবীও আবূ সাঈদ আল-আশাজ্জ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ত্রিশটি গরুতে একটি পূর্ণ এক বছর বয়স্ক গরু বা গাভী, প্রতি চল্লিশটিতে পূর্ণ দুই বছর বয়স্ক গাভী (যাকাত হিসাবে দিতে হয়)। - ইবনু মাজাহ ১৮০৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেনঃ খুসায়ফ (রাঃ) থেকে ও আবদুস্ সালাম ইবনু হারব (রহঃ) এইরূপই বর্ণনা করেছেন। আবদুস সালাম (রহঃ) নির্ভরযোগ্য ও (হাদীছের) হাফিয। শারীক এই হাদিসটিকে খুসায়ফ আবূ উবায়দা সূত্রে তার পিতা থেকে আবদুল্লাহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই আবূ উবায়দা ইবনু আবদুল্লাহ তার পিতা থেকে কোন হাদিস শুনেননি।

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْبَقَرِ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، وَأَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ فِي ثَلاَثِينَ مِنَ الْبَقَرِ تَبِيعٌ أَوْ تَبِيعَةٌ وَفِي أَرْبَعِينَ مُسِنَّةٌ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَاهُ عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ عَنْ خُصَيْفٍ وَعَبْدُ السَّلاَمِ ثِقَةٌ حَافِظٌ ‏.‏ وَرَوَى شَرِيكٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خُصَيْفٍ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ أُمِّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏ وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبيد المحاربي، وابو سعيد الاشج قالا حدثنا عبد السلام بن حرب، عن خصيف، عن ابي عبيدة، عن عبد الله، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ في ثلاثين من البقر تبيع او تبيعة وفي اربعين مسنة ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن معاذ بن جبل ‏.‏ قال ابو عيسى هكذا رواه عبد السلام بن حرب عن خصيف وعبد السلام ثقة حافظ ‏.‏ وروى شريك هذا الحديث عن خصيف عن ابي عبيدة عن امه عن عبد الله ‏.‏ وابو عبيدة بن عبد الله لم يسمع من عبد الله ‏.‏


Abdullah bin Mas'ud narrated that :
the Prophet said: "A Tabi or a Tabi'ah (is due) on thirty cows, and a Musinnah (is due) on every forty."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২১

পরিচ্ছেদঃ গরুর যাকাত।

৬২১. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ...... মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইয়ামানে প্রেরণ করেন এবং আমাকে নিদের্শে দেন যে, আমি যেন প্রতি ত্রিশটি গরুতে পূর্ণ এক বছরের একটি ষাঁড় বা গাভী এবং প্রতি চল্লিশটিতে পূর্ণ দুই বছরের একটি গাভী (যাকাত হিসাবে) গ্রহণ করি এবং প্রত্যেক বালিগ ব্যক্তির পক্ষ থেকে এক দ্বীনার বা সমপরিমাণ মা’আফিরী কাপড় (জিযয়া হিসাবে) সংগ্রহ করি। - ইবনু মাজাহ ১৮০৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন,এই হাদিসটি হাসান। কোন কোন রাবী এই হাদিসটিকে সুফিয়ান, আ’মাশ, আবূ ওয়াইল, মাসরূক (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আয (রাঃ) কে ইয়ামান প্রেরণ করেন এবং তাকে নির্দেশ দেন যেন তিনি গ্রহণ করেন। এই রিওয়ায়াতটি অধিকতর সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْبَقَرِ ‏.‏

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ بَعَثَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَمَنِ فَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ كُلِّ ثَلاَثِينَ بَقَرَةً تَبِيعًا أَوْ تَبِيعَةً وَمِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ مُسِنَّةً وَمِنْ كُلِّ حَالِمٍ دِينَارًا أَوْ عِدْلَهُ مَعَافِرَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ مَسْرُوقٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَأَمَرَهُ أَنْ يَأْخُذَ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا سفيان، عن الاعمش، عن ابي واىل، عن مسروق، عن معاذ بن جبل، قال بعثني النبي صلى الله عليه وسلم الى اليمن فامرني ان اخذ من كل ثلاثين بقرة تبيعا او تبيعة ومن كل اربعين مسنة ومن كل حالم دينارا او عدله معافر ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وروى بعضهم هذا الحديث عن سفيان عن الاعمش عن ابي واىل عن مسروق ان النبي صلى الله عليه وسلم بعث معاذا الى اليمن فامره ان ياخذ ‏.‏ وهذا اصح ‏.‏


Mu'adh bin Jabal narrated:
"The Prophet sent me to Yemen and ordered me to collect a Tabi or a Tabi'ah on every thirty cows, a Musinnah on every forty, a Dinar for every Halim, or its equivalent of Ma'afir."Abu Eisa said: This Hadith is Hasan. Some of them reported this Hadith from Sufyan, from Al-A'mash, from Abu Wa'il, from Masruq: "The Prophet sent Mu'adh to Yemen and ordered him to take..." and this is more authentic


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২২

পরিচ্ছেদঃ গরুর যাকাত।

৬২২. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ...... আমর ইবনু মুররা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ উবায়দা ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি আবদুল্লাহ থেকে কোন বিষয় স্মরণ রাখেন? তিনি বললেন না। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْبَقَرِ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ هَلْ تَذْكُرُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ شَيْئًا قَالَ لاَ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار حدثنا محمد بن جعفر حدثنا شعبة عن عمرو بن مرة قال سالت ابا عبيدة بن عبد الله هل تذكر من عبد الله شيىا قال لا ‏.‏


Muhammad bin Bash-shar (Al-Abdi) narrated to us, :
Muhammad bin Ja'far narrated to us, from Shu'bah, from Amr bin Murrah who said: "I asked Abu Ubaidah bin Abdullah: 'Did you remember anything from Abdullah?' He said, 'No'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২৩

পরিচ্ছেদঃ যাকাত হিসাবে উত্তম মাল সংগ্রহ করা নিষেধ।

৬২৩. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আয (রাঃ) কে ইয়ামানে পাঠালেন। তখন তিনি তাকে বলেনঃ তুমি কিতাবী এক সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছ। তুমি প্রথমে তাদের এই কথার সাক্ষ্য দিতে আহবান জানবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি তাঁর রাসূল। তারা যদি এই বিষয়ে তোমার আনুগত্য করে তবে তাদের অবহতি করবে যে, আল্লাহ তাদের উপর দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) ফরয করেছেন। তারা যদি এই বিষয়ে তোমার কথা মেনে নেয় তবে তাদের জানাবে যে, আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর তাদের সম্পদে যাকাত ফরয করেছেন। তা তাদের ধনীদের থেকে সংগ্রহ করা হবে এবং তাদের গরীবদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হবে। তারা যদি এতে তোমার আনুগত্য করে তবে তুমি তদের উত্তম মাল গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। আর তুমি মাজলূমের দুআ থেকে বেঁচে থাকবে; কেননা আল্লাহ ও তার মাঝে কোন আড়াল নেই। - ইবনু মাজাহ ১৭৮৩, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে সুনবীহ্ (রহঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত এই হাদিসটি হাসান- সহীহ। রাবী আবূ মা’বাদ (রাঃ) হলেন ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর আযাদকৃত দাস। তার নাম নাফিয।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ خِيَارِ الْمَالِ فِي الصَّدَقَةِ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ لَهُ ‏ "‏ إِنَّكَ تَأْتِي قَوْمًا أَهْلَ كِتَابٍ فَادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللَّهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللَّهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِي أَمْوَالِهِمْ تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لِذَلِكَ فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ فَإِنَّهَا لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنِ الصُّنَابِحِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو مَعْبَدٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ اسْمُهُ نَافِذٌ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا وكيع، حدثنا زكريا بن اسحاق المكي، حدثنا يحيى بن عبد الله بن صيفي، عن ابي معبد، عن ابن عباس، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث معاذا الى اليمن فقال له ‏ "‏ انك تاتي قوما اهل كتاب فادعهم الى شهادة ان لا اله الا الله واني رسول الله فان هم اطاعوا لذلك فاعلمهم ان الله افترض عليهم خمس صلوات في اليوم والليلة فان هم اطاعوا لذلك فاعلمهم ان الله افترض عليهم صدقة في اموالهم توخذ من اغنياىهم وترد على فقراىهم فان هم اطاعوا لذلك فاياك وكراىم اموالهم واتق دعوة المظلوم فانها ليس بينها وبين الله حجاب ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن الصنابحي ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عباس حديث حسن صحيح ‏.‏ وابو معبد مولى ابن عباس اسمه نافذ ‏.‏


Ibn Abbas narrated that :
the Messenger of Allah sent Mu'adh to Yemen and said to him: "You are going to a people from the People of the Book, so invite them to testify that none has the right to be worshipped but Allah, and that I am the Messenger of Allah. If they comply with that, then inform them that Allah has made five prayers obligatory upon them in a day and a night. If they comply with that, then inform then that Allah has ordained a charity upon their wealth, which is to be taken from the rich among them and given to the poor among them. If they comply with that, then beware of their most precious wealth, and protect yourself from the supplication of the oppressed, for there is no barrier between it and Allah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২৪

পরিচ্ছেদঃ ফল, ফসল ও শস্যের যাকাত।

৬২৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ পাঁচটি উটের কমে যাকাত নাই, পাঁচ উকইয়া (এক উকইয়া = ৪০ দিরহাম) এর কম রৌপ্য মুদ্রার যাকাত নাই, পাঁচ ওয়াসাক (এক ওয়াসাক = ৬০সা’) এর কম শস্যের যাকাত নাই। - ইবনু মাজাহ ১৭৯৩, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, ইবনু উমার, জাবিরও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ فِي صَدَقَةِ الزَّرْعِ وَالتَّمْرِ وَالْحُبُوبِ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى الْمَازِنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَجَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عبد العزيز بن محمد، عن عمرو بن يحيى المازني، عن ابيه، عن ابي سعيد الخدري، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ليس فيما دون خمس ذود صدقة وليس فيما دون خمس اواق صدقة وليس فيما دون خمسة اوسق صدقة ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة وابن عمر وجابر وعبد الله بن عمرو ‏.‏


Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that :
the Prophet said: "There is no charity due on less than five camels, and there is no charity due on what is less than five Uqiyah (of silver), and there is no charity due on what is less than five Wasaq."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২৫

পরিচ্ছেদঃ ফল, ফসল ও শস্যের যাকাত।

৬২৫. মুহাম্মদ ইবনু বশশার (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে আবদুল আযীয (রহঃ) আমর ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীছের অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ সাঈদ (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান সহীহ। তাঁর থেকে একাধিক সূত্রে হাদিস বর্ণিত আছে। আলিমগণের আমলও এ হাদিস অনুযায়ী যে, পাঁচ ওয়াসাকের কম (কৃষিজ ফসলের) ক্ষেত্রে যাকাত নেই। এক ওয়াসাক হল ষাট সা’। সুতরাং পাঁচ ওয়াসাক হল তিনশ সা’। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সা এর পরিমাণ ছিল, পাঁচ রতল ও এক রতলের এক তৃতীয়াংশ। কুফাবাসীদের সা এর পরিমাণ হল আট রতল। পাঁচ উকইয়ার কমে রৌপ্যের যাকাত নেই। এক উকইয়া হল চল্লিশ দিরহাম। পাঁচ উকইয়ায় হয় দুইশ দিরহাম। পাঁচ উট থেকে কম হলে যাকাত নেই। পাঁচিশটি উট হলে এতে একটি বিনত মাখায (এক বছরবয়স্ক মাদী উট) ওয়াজিব হয়। আর পঁচিশটির কমের ক্ষেত্রে প্রতি পাঁচটি উটের উপর একটি বকরী যাকাত আসে। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي صَدَقَةِ الزَّرْعِ وَالتَّمْرِ وَالْحُبُوبِ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، وَشُعْبَةُ، وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْهُ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوْسُقٍ صَدَقَةٌ ‏.‏ وَالْوَسْقُ سِتُّونَ صَاعًا وَخَمْسَةُ أَوْسُقٍ ثَلاَثُمِائَةِ صَاعٍ وَصَاعُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم خَمْسَةُ أَرْطَالٍ وَثُلُثٌ وَصَاعُ أَهْلِ الْكُوفَةِ ثَمَانِيَةُ أَرْطَالٍ ‏.‏ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ وَالأُوقِيَّةُ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا وَخَمْسُ أَوَاقٍ مِائَتَا دِرْهَمٍ ‏.‏ وَلَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسِ ذَوْدٍ صَدَقَةٌ يَعْنِي لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسٍ مِنَ الإِبِلِ صَدَقَةٌ فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ مِنَ الإِبِلِ فَفِيهَا بِنْتُ مَخَاضٍ وَفِيمَا دُونَ خَمْسٍ وَعِشْرِينَ مِنَ الإِبِلِ فِي كُلِّ خَمْسٍ مِنَ الإِبِلِ شَاةٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا سفيان، وشعبة، ومالك بن انس، عن عمرو بن يحيى، عن ابيه، عن ابي سعيد، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو حديث عبد العزيز عن عمرو بن يحيى ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي سعيد حديث حسن صحيح وقد روي من غير وجه عنه ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم ان ليس فيما دون خمسة اوسق صدقة ‏.‏ والوسق ستون صاعا وخمسة اوسق ثلاثماىة صاع وصاع النبي صلى الله عليه وسلم خمسة ارطال وثلث وصاع اهل الكوفة ثمانية ارطال ‏.‏ وليس فيما دون خمس اواق صدقة والاوقية اربعون درهما وخمس اواق ماىتا درهم ‏.‏ وليس فيما دون خمس ذود صدقة يعني ليس فيما دون خمس من الابل صدقة فاذا بلغت خمسا وعشرين من الابل ففيها بنت مخاض وفيما دون خمس وعشرين من الابل في كل خمس من الابل شاة ‏.‏


(Another chain of narration that) Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that :
the Prophet said (as avobe the same narration )


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২৬

পরিচ্ছেদঃ ঘোড়া ও দাস-দাসীর যাকাত নেই।

৬২৬. আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু আলা ও মাহমুদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমের ঘোড়া ও দাসের উপর কোন যাকাত নেই। - ইবনু মাজাহ ১৮১২, যইফা ৪০১৪, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও আলা (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান সহীহ্। আমিগণের আমল এই হাদীছের অনুযায়ী যে, সাইমা ঘোড়ার উপর যাকাত নেই। আর খিদমতের জন্যে নিয়োজিত দাস-দাসীদের উপর যাকাত নেই। কিন্তু ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে হলে ভিন্ন কথা। অর্থাৎ ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে হলে, এক বছর পূর্ণ হলে মূল্যের উপর যাকাত ধার্য হবে।

باب مَا جَاءَ لَيْسَ فِي الْخَيْلِ وَالرَّقِيقِ صَدَقَةٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، وَشُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِ فِي فَرَسِهِ وَلاَ فِي عَبْدِهِ صَدَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ لَيْسَ فِي الْخَيْلِ السَّائِمَةِ صَدَقَةٌ وَلاَ فِي الرَّقِيقِ إِذَا كَانُوا لِلْخِدْمَةِ صَدَقَةٌ إِلاَّ أَنْ يَكُونُوا لِلتِّجَارَةِ فَإِذَا كَانُوا لِلتِّجَارَةِ فَفِي أَثْمَانِهِمُ الزَّكَاةُ إِذَا حَالَ عَلَيْهَا الْحَوْلُ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، محمد بن العلاء ومحمود بن غيلان قالا حدثنا وكيع، عن سفيان، وشعبة، عن عبد الله بن دينار، عن سليمان بن يسار، عن عراك بن مالك، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ليس على المسلم في فرسه ولا في عبده صدقة ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن علي وعبد الله بن عمرو ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي هريرة حديث حسن صحيح ‏.‏ والعمل عليه عند اهل العلم انه ليس في الخيل الساىمة صدقة ولا في الرقيق اذا كانوا للخدمة صدقة الا ان يكونوا للتجارة فاذا كانوا للتجارة ففي اثمانهم الزكاة اذا حال عليها الحول ‏.‏


Abu Hurairah narrated that :
the Messenger of Allah said: "There is no charity due from a Muslim for his horse nor his slave."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২৭

পরিচ্ছেদঃ মধুর যাকাত।

৬২৭. মুহাম্মদ ইবনু ইয়াহইয়া নীসাপুরী (রহঃ) .... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতি দশ মোশক মধুর মধ্যে এক মোশক (যাকাত)। - ইবনু মাজাহ ১৮২৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬২৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, আবূ সায়্যারা আল- মুতাঈ, আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, ইবনু উমার (রাঃ) বর্ণিত এই হাদিসটির সনদে বিতর্ক রয়েছে। এই বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু বর্ণনা নেই। অধিকাংশ আলিমের আমল এ অনুযায়ী। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) ও এ মত পোষণ করেন। পক্ষান্তরে, কোন কোন উলামার মতে মধুর উপর কোন কিছু (যাকাত) নেই।

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْعَسَلِ ‏.‏

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ أَبِي سَلَمَةَ التِّنِّيسِيُّ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ يَسَارٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ فِي الْعَسَلِ فِي كُلِّ عَشَرَةِ أَزُقٍّ زِقٌّ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَيَّارَةَ الْمُتَعِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ فِي إِسْنَادِهِ مَقَالٌ وَلاَ يَصِحُّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْبَابِ كَبِيرُ شَيْءٍ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لَيْسَ فِي الْعَسَلِ شَيْءٌ ‏.‏ وَصَدَقَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ لَيْسَ بِحَافِظٍ وَقَدْ خُولِفَ صَدَقَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ نَافِعٍ ‏.‏

حدثنا عمرو بن ابي سلمة التنيسي، عن صدقة بن عبد الله، عن موسى بن يسار، عن نافع، عن ابن عمر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ في العسل في كل عشرة ازق زق ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن ابي هريرة وابي سيارة المتعي وعبد الله بن عمرو ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عمر في اسناده مقال ولا يصح عن النبي صلى الله عليه وسلم في هذا الباب كبير شيء والعمل على هذا عند اكثر اهل العلم وبه يقول احمد واسحاق ‏.‏ وقال بعض اهل العلم ليس في العسل شيء ‏.‏ وصدقة بن عبد الله ليس بحافظ وقد خولف صدقة بن عبد الله في رواية هذا الحديث عن نافع ‏.‏


Ibn Umar narrated that :
the Messenger of Allah said: "A Ziqq is due for every ten Ziqq of honey."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২৮

পরিচ্ছেদঃ পূর্ণ বছ আবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদে যাকাত নেই।

৬২৮. ইয়াহইয়া ইবনু মূসা (রহঃ) ...... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেনঃ যদি বছরের মাঝে কারো সম্পদ লাভ হয়, তবে উক্ত মালিকের নিকট বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে যাকাত নেই। - ইবনু মাজাহ ১৭৯২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৩১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে সারা বিনত নাবহান আল-গানাবিয়্যা (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ لاَ زَكَاةَ عَلَى الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ صَالِحٍ الطَّلْحِيُّ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنِ اسْتَفَادَ مَالاً فَلاَ زَكَاةَ عَلَيْهِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَرَّاءَ بِنْتِ نَبْهَانَ الْغَنَوِيَّةِ ‏.‏

حدثنا يحيى بن موسى، حدثنا هارون بن صالح الطلحي المدني، حدثنا عبد الرحمن بن زيد بن اسلم، عن ابيه، عن ابن عمر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ من استفاد مالا فلا زكاة عليه حتى يحول عليه الحول عند ربه ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن سراء بنت نبهان الغنوية ‏.‏


Ibn Umar narrated that :
the Messenger of Allah said: "Whoever acquired wealth, then there is no Zakat on it until the Hawl has passed (while it is in his possession)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬২৯

পরিচ্ছেদঃ পূর্ণ বছ আবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদে যাকাত নেই।

৬২৯. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) .... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কারো যদি বছরের মাঝে সম্পদ লাভ হয় তবে এই মালিকের নিকট বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাতে যাকাত ধার্য হবে না। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আব্দুর রহমান ইবনু যায়িদ ইবনু আসলাম (রাঃ) বর্ণিত রিওয়াতটির তুলনায় এই রিওয়ায়াতটি অধিকতর সহীহ্। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আইয়ুব, উবায়দুল্লাহ প্রমুখ এ হাদিসকে নাফি’ (রহঃ) ইবনু উমার (রাঃ) এর সনদে মাওকূফরূপে রিওয়ায়াত করেছেন। আবদুর রহমান ইবনু যায়িদ ইবনু আসলাম হাদীছের ক্ষেত্রে যঈফ। আহমাদ বি্ন হাম্বল, আলী ইবনু আল-মাদীনী (রাঃ) প্রমুখ হাদিস বিশারদ তাকে যঈফ বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি বহু ভুল করে থাকেন। একাধিক সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে যে, পূর্ণ এক বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত, বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদে যাকাত নেই। এ হল ইমাম মালিক ইবনু আনাস, শাফিঈ, আহমাদ ইবনু হাম্বল ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমত। কোন কোন আলিম বলেন, যদি কারো কাছে পূর্ব থেকেই যাকাত ধার্য হওয়ার মত পরিমাণ সম্পদ থাকে, তবে বছরের মাঝে প্রাপ্ত এই সম্পদেও যাকাত ধার্য হবে। আর যদি বছরের মাঝে প্রাপ্ত সম্পদ ছাড়া এমন কোন সম্পদ তার না থাকে যতটুকুতে যাকাত ধার্য হতে পারে তবে পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই যদি কারো সম্পদ প্রাপ্তি ঘটে তবে তার যে সমস্ত সম্পদে (পূর্ব থেকেই) যাকাত ছিল সেই সম্পদের সাথে যোগ করে প্রাপ্ত এই সম্পদেরও যাকাত তাকে দিতে হবে। এ হল সুফিয়ান সাওরী ও কুফাবাসী আলিমগণের অভিমত।

باب مَا جَاءَ لاَ زَكَاةَ عَلَى الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ مَنِ اسْتَفَادَ مَالاً فَلاَ زَكَاةَ فِيهِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى أَيُّوبُ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ مَوْقُوفًا ‏.‏ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ضَعِيفٌ فِي الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَعَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُهُمَا مِنْ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَهُوَ كَثِيرُ الْغَلَطِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لاَ زَكَاةَ فِي الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا كَانَ عِنْدَهُ مَالٌ تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ فَفِيهِ الزَّكَاةُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ سِوَى الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ مَا تَجِبُ فِيهِ الزَّكَاةُ لَمْ يَجِبْ عَلَيْهِ فِي الْمَالِ الْمُسْتَفَادِ زَكَاةٌ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ فَإِنِ اسْتَفَادَ مَالاً قَبْلَ أَنْ يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ فَإِنَّهُ يُزَكِّي الْمَالَ الْمُسْتَفَادَ مَعَ مَالِهِ الَّذِي وَجَبَتْ فِيهِ الزَّكَاةُ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا عبد الوهاب الثقفي، حدثنا ايوب، عن نافع، عن ابن عمر، قال من استفاد مالا فلا زكاة فيه حتى يحول عليه الحول عند ربه ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا اصح من حديث عبد الرحمن بن زيد بن اسلم ‏.‏ قال ابو عيسى وروى ايوب وعبيد الله بن عمر وغير واحد عن نافع عن ابن عمر موقوفا ‏.‏ وعبد الرحمن بن زيد بن اسلم ضعيف في الحديث ضعفه احمد بن حنبل وعلي بن المديني وغيرهما من اهل الحديث وهو كثير الغلط ‏.‏ وقد روي عن غير واحد من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ان لا زكاة في المال المستفاد حتى يحول عليه الحول ‏.‏ وبه يقول مالك بن انس والشافعي واحمد واسحاق ‏.‏ وقال بعض اهل العلم اذا كان عنده مال تجب فيه الزكاة ففيه الزكاة وان لم يكن عنده سوى المال المستفاد ما تجب فيه الزكاة لم يجب عليه في المال المستفاد زكاة حتى يحول عليه الحول فان استفاد مالا قبل ان يحول عليه الحول فانه يزكي المال المستفاد مع ماله الذي وجبت فيه الزكاة ‏.‏ وبه يقول سفيان الثوري واهل الكوفة ‏.‏


Ibn Umar said:
"Whoever acquired wealth, then there is no Zakat on it until the Hawl has passed while it is in his possession."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬৩০

পরিচ্ছেদঃ মুসলিমদের উপর জিযয়া নেই।

৬৩০. ইয়াহইয়া ইবনু আকসাম (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একই দেশে (আরবে) দুই কিবলার সুযোগ পাবে না আর মুসলিমদের উপর জিযয়া নেই। - ইরওয়া ১২৪৪, যইফা ৪৩৭৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ جِزْيَةٌ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَكْثَمَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَصْلُحُ قِبْلَتَانِ فِي أَرْضٍ وَاحِدَةٍ وَلَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ جِزْيَةٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن اكثم، حدثنا جرير، عن قابوس بن ابي ظبيان، عن ابيه، عن ابن عباس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا تصلح قبلتان في ارض واحدة وليس على المسلمين جزية ‏"‏ ‏.‏


Ibn Abbas narrated that :
the Messenger of Allah said: "Two Qiblahs in one land are of no benefit, and there is no Jizyah upon the Muslims."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬৩১

পরিচ্ছেদঃ মুসলিমদের উপর জিযয়া নেই।

৬৩১. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... কাবুস (রহঃ) থেকে এই সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন। - জামে সাগীর ২০৫০, মিশকাত ৪০৩৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে সাঈদ ইবনু যায়িদ এবং হারব ইবনু উবায়দুল্লাহ সাকাফীর পিতামহ (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ইসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত এই হাদিসটি কাবুস ইবনু আবূ যাবিয়ান তাঁর পিতা আবূ যাবিয়ান সুত্রে মুরসালরূপেও বর্ণিত আছে। সাধারণভাবে আলিমগণ এই হাদিস অনুসারে আমল করেছেন। তাঁরা বলেন, কোন খৃষ্টান ব্যক্তি যদি ইসলাম গ্রহণ করে তবে তার থেকে জিয্য়া রহিত হয়ে যাবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণীঃ মুসলিমদের উপর ’’জিয্য়া উশর’’ ধার্য হয় না। এখানে ’’জিয্য়া উশর’’ অর্থ বা ব্যক্তির উপর ধার্য জিয্য়া হাদীছে এই ব্যাখ্যার ইঙ্গিতও বিদ্যমান। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ উশর ধার্য হয় ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের উপর, মুসলিমদের উপর উশর নেই।

باب مَا جَاءَ لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ جِزْيَةٌ

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَابُوسَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ، وَجَدِّ حَرْبِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ قَدْ رُوِيَ عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ النَّصْرَانِيَّ إِذَا أَسْلَمَ وُضِعَتْ عَنْهُ جِزْيَةُ رَقَبَتِهِ ‏.‏ وَقَوْلُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ عُشُورٌ ‏"‏ إِنَّمَا يَعْنِي بِهِ جِزْيَةَ الرَّقَبَةِ وَفِي الْحَدِيثِ مَا يُفَسِّرُ هَذَا حَيْثُ قَالَ ‏"‏ إِنَّمَا الْعُشُورُ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى وَلَيْسَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ عُشُورٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا جرير، عن قابوس، بهذا الاسناد نحوه ‏.‏ وفي الباب عن سعيد بن زيد، وجد حرب بن عبيد الله الثقفي ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عباس قد روي عن قابوس بن ابي ظبيان، عن ابيه، عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسلا ‏.‏ والعمل على هذا عند عامة اهل العلم ان النصراني اذا اسلم وضعت عنه جزية رقبته ‏.‏ وقول النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ليس على المسلمين عشور ‏"‏ انما يعني به جزية الرقبة وفي الحديث ما يفسر هذا حيث قال ‏"‏ انما العشور على اليهود والنصارى وليس على المسلمين عشور ‏"‏ ‏.‏


See previous Hadith.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬৩২

পরিচ্ছেদঃ অলংকারের যাকাত।

৬৩২. হান্নাদ .... আবদুল্লাহর স্ত্রী যায়নাব রাদিয়াল্লাহু আনহআ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে খুতবা দিলেন এবং বললেনঃ হে নারী সমাজ! তোমরা সাদাকা দাও, তোমাদের অলংকার থেকে হলেও। কারণ কিয়ামতের দিন জাহান্নামবাসীদের মধ্যে তোমরাই হবে অধিক। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْحُلِيِّ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْمُصْطَلِقِ، عَنِ ابْنِ أَخِي، زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ زَيْنَبَ، امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَتْ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ فَإِنَّكُنَّ أَكْثَرُ أَهْلِ جَهَنَّمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي واىل، عن عمرو بن الحارث بن المصطلق، عن ابن اخي، زينب امراة عبد الله عن زينب، امراة عبد الله بن مسعود قالت خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏ "‏ يا معشر النساء تصدقن ولو من حليكن فانكن اكثر اهل جهنم يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏


Amr bin Al-Harith bin Al-Mustaliq narrated from the nephew of Zainab, the wife of Abdullah (Ibn Mas'ud) who said:
"The Messenger of Allah delivered a sermon to us, and said: 'O you women! Give charity, even if it is from your jewelry, for indeed you will make up most of the people of Hell on the Day of Judgment.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়নাব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬৩৩

পরিচ্ছেদঃ অলংকারের যাকাত।

৬৩৩. মাহমুদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ...... আবদুল্লাহর স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, আবূ মুআবিয়া (রাঃ) এর রিওয়ায়াত থেকে এটি অধিকতর সহীহ্। আবূ মুআবিয়া তাঁর রিওয়ায়েতে সন্দেহে পতিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমর ইবনু হারিস যায়নাবেরভ্রাতুষ্পুত্র থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। অথচ বিশুদ্ধ হল আমর ইবনু হারিস যায়নাবের ভ্রাতুষ্পুত্র আমর ইবনু শুআয়ব তার পিতামহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি অলংকারের যাকাতের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তাঁর এই সনদে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। কোন কোন সাহাবী ও তাবিঈ বলেন, সোনা ও রূপার অলংকার হলে তার উপর যাকাত রয়েছে। এ হল সুফিয়ান সাওরী এবং আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহঃ) এর অভিমত। ইবনু উমার, আয়িশা, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ, আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সহ কতক সাহাবীর অভিমত হল যে, অলংকারে যাকাত নেই। তাবিঈদের মধ্যে কোন কোন ফকীহ থেকেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম মালিক ইবনু আনাস, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমতও এ-ই।

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْحُلِيِّ

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ ابْنِ أَخِي، زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ - عَنْ زَيْنَبَ، - امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ وَهِمَ فِي حَدِيثِهِ فَقَالَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنِ ابْنِ أَخِي زَيْنَبَ ‏.‏ وَالصَّحِيحُ إِنَّمَا هُوَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ ابْنِ أَخِي زَيْنَبَ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ رَأَى فِي الْحُلِيِّ زَكَاةً ‏.‏ وَفِي إِسْنَادِ هَذَا الْحَدِيثِ مَقَالٌ ‏.‏ وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي ذَلِكَ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ فِي الْحُلِيِّ زَكَاةَ مَا كَانَ مِنْهُ ذَهَبٌ وَفِضَّةٌ ‏.‏ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ وَعَائِشَةُ وَجَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ لَيْسَ فِي الْحُلِيِّ زَكَاةٌ ‏.‏ وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ بَعْضِ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ وَبِهِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو داود، عن شعبة، عن الاعمش، قال سمعت ابا واىل، يحدث عن عمرو بن الحارث ابن اخي، زينب امراة عبد الله - عن زينب، - امراة عبد الله - عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا اصح من حديث ابي معاوية وابو معاوية وهم في حديثه فقال عن عمرو بن الحارث عن ابن اخي زينب ‏.‏ والصحيح انما هو عن عمرو بن الحارث ابن اخي زينب ‏.‏ وقد روي عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده عن النبي صلى الله عليه وسلم انه راى في الحلي زكاة ‏.‏ وفي اسناد هذا الحديث مقال ‏.‏ واختلف اهل العلم في ذلك فراى بعض اهل العلم من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم والتابعين في الحلي زكاة ما كان منه ذهب وفضة ‏.‏ وبه يقول سفيان الثوري وعبد الله بن المبارك ‏.‏ وقال بعض اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم منهم ابن عمر وعاىشة وجابر بن عبد الله وانس بن مالك ليس في الحلي زكاة ‏.‏ وهكذا روي عن بعض فقهاء التابعين وبه يقول مالك بن انس والشافعي واحمد واسحاق ‏.‏


Amr bin Al-Harith, the nephew of Zainab, the wife of Abdullah, narrated that :
Zainab, the wife of Abdullah narrated similarly from the Prophet.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়নাব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
৬৩৪

পরিচ্ছেদঃ অলংকারের যাকাত।

৬৩৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... আমর ইবনু শুআয়ব তার পিতা-পিতাসহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, একবার দুজন মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসে। তাদের হাতে ছিল সোনার দুটি কঙ্কন। তিনি তাদের বললেনঃ তোমরা কি এর যাকাত আদায় করে থাক? তারা বললঃ না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তোমরা কি পছন্দ কর যে, তোমাদের হাতে আল্লাহ তা’আলা আগুনের দুটি কঙ্কন পরিয়ে দিবেন? তারা বললঃ না। তিনি বললেনঃ তা হলে তোমরা এর যাকাত দিবে। - অন্য শব্দে হাদিসটি হাসান, ইরওয়া ৩/২৯৬, মিশকাত ১৮০৯, সহিহ আবু দাউদ ১৩৯৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, মূসান্না ইবনুুস সাববাহ (রহঃ) এই হাদিসটি আমর ইবনু শুআয়ব (রহঃ) এর বরাতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মূসান্না ইবনু সাববাহ এবং ইবনু লাহীআ উভয় হাদীছের ক্ষেত্রে যঈফ। মোটকথা, এই বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন সহীহ রিওয়ায়াত নেই।

باب مَا جَاءَ فِي زَكَاةِ الْحُلِيِّ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ امْرَأَتَيْنِ، أَتَتَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَفِي أَيْدِيهِمَا سُوَارَانِ مِنْ ذَهَبٍ فَقَالَ لَهُمَا ‏"‏ أَتُؤَدِّيَانِ زَكَاتَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتَا لاَ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَتُحِبَّانِ أَنْ يُسَوِّرَكُمَا اللَّهُ بِسُوَارَيْنِ مِنْ نَارٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتَا لاَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَدِّيَا زَكَاتَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ قَدْ رَوَاهُ الْمُثَنَّى بْنُ الصَّبَّاحِ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ نَحْوَ هَذَا ‏.‏ وَالْمُثَنَّى بْنُ الصَّبَّاحِ وَابْنُ لَهِيعَةَ يُضَعَّفَانِ فِي الْحَدِيثِ وَلاَ يَصِحُّ فِي هَذَا الْبَابِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْءٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا ابن لهيعة، عن عمرو بن شعيب، عن ابيه، عن جده، ان امراتين، اتتا رسول الله صلى الله عليه وسلم وفي ايديهما سواران من ذهب فقال لهما ‏"‏ اتوديان زكاته ‏"‏ ‏.‏ قالتا لا ‏.‏ قال فقال لهما رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اتحبان ان يسوركما الله بسوارين من نار ‏"‏ ‏.‏ قالتا لا ‏.‏ قال ‏"‏ فاديا زكاته ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا حديث قد رواه المثنى بن الصباح عن عمرو بن شعيب نحو هذا ‏.‏ والمثنى بن الصباح وابن لهيعة يضعفان في الحديث ولا يصح في هذا الباب عن النبي صلى الله عليه وسلم شيء ‏.‏


Amr bin Shu'aib narrated from his father, from his grandfather, :
that two women came to the Messenger of Allah, and they each had a bracelet of gold on their forearms. So he said to them: "Have you paid their Zakat?" They said, "No." The Messenger of Allah said to them: "Would you like for Allah to fashion then into two bracelets of Fire?" They said, "No." He said: "Then pay its Zakat."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭/ যাকাত (كتاب الزكاة عن رسول الله ﷺ) 7/ The Book on Zakat
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »