পরিচ্ছেদঃ ১২) তন্দ্রাবস্থায় নামায ও কুরআন পাঠের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৬৪১. (সহীহ্) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’নামায পড়া অবস্থায় তোমাদের কেউ যদি ঝিমুতে থাকে, তখন সে যেন পুরোপুরি ঘুমিয়ে নেয়। কেননা ঝিমানো অবস্থায় নামায পড়তে থাকলে সে হয়তো নিজের জন্য মাগফিরাত চাইতে গিয়ে বদদু’আ করে ফেলবে।’’
(বুখারী ২১২, মুসলিম ৭৮৬, আবু দাউদ ১৩১০, তিরমিযী ৩৫৫, নাসাঈ ১/১০০ ও ইবনে মাজাহ্ ১৩৭০)
(সহীহ্) নাসাঈর বর্ণনারূপ এরকমঃ
إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ وهو يصلي فَلْينْصَرِفْ فلعله يدعو على نفسه وهو لا يدري
’’নামায পড়তে পড়তে তোমাদের কোন ব্যক্তির যদি তন্দ্রা এসে যায়, তবে সে যেন ফিরে যায়। কেননা হয়তো সে নিজের উপর বদদু’আ করে বসবে অথচ সে তা বুঝতে পারবে না।’’
الترهيب من صلاة الإنسان وقراءته حال النعاس
(صحيح) عن عائشة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ ، فَإنَّ أحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ ، لَعَلَّهُ يَذْهَبُ يَسْتَغْفِرُ فَيَسُبَّ نَفْسَهُ )) .رواه مالك والبخاري ومسلم وأبو داود والترمذي وابن ماجه والنسائي
পরিচ্ছেদঃ ১২) তন্দ্রাবস্থায় নামায ও কুরআন পাঠের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৬৪২. (সহীহ্) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’যখন তোমাদের কেউ নামাযের মধ্যে ঝিমুতে থাকে, তখন যেন সে ততক্ষণ ঘুমাতে থাকে যতক্ষণ সে বুঝতে পারে যে, সে নামাযের মধ্যে কি পড়ছে।’’
(বুখারী ২১৩ ও নাসাঈ ১/২১৬ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
(সহীহ্) তবে নাসাঈর বর্ণনায় বলা হয়েছেঃ
إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ فَلْيَنْصَرِفْ وَلْيَرْقُدْ
’’নামাযের মধ্যে তোমাদের কোন ব্যক্তি যদি ঝিমুতে থাকে, তবে সে যেন ফিরে গিয়ে শুয়ে পড়ে।’’
الترهيب من صلاة الإنسان وقراءته حال النعاس
(صحيح) وَعَنْ أنس رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلاَةِ فَلْيَنَمْ حَتَّى يَعْلَمَ مَا يَقْرَأُ. رواه البخاري والنسائي
পরিচ্ছেদঃ ১২) তন্দ্রাবস্থায় নামায ও কুরআন পাঠের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন
৬৪৩. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন কিয়ামুল্লায়ল করে তখন কুরআন পাঠ করতে গিয়ে (তন্দ্রার কারণে) মুখে জড়তা আসে, তখন বুঝতে পারে না যে সে কি পাঠ করছে, তখন সে যেন ঘুমিয়ে যায়।’’
(হাদীছটি ইমাম মুসলিম ৭৮৭, আবু দাউদ ১৩১১, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ ১৩৭২ বর্ণনা করেছেন)
الترهيب من صلاة الإنسان وقراءته حال النعاس
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنَ اللَّيْلِ ، فَاسْتَعْجَمَ الْقُرْآنُ عَلَى لِسَانِهِ ، فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُولُ ، فَلْيَضْطَجِعْ.)"رواه مسلم وأبو داود والترمذي وابن ماجه