পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩১. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’মানুষ যদি জানত আযান দেয়া এবং প্রথম কাতারে সালাত আদায় করার মধ্যে কি আছে (অর্থাৎ কি পরিমাণ ছোয়াব ও মর্যাদা আছে) অতঃপর তা হাসিল করার জন্য আপোষে লটারী করা ছাড়া কোন উপায় দেখতো না, তখন তারা লটারীই করতে বাধ্য হত। তারা যদি জানত আগেভাগে সালাতে উপস্থিত হওয়াতে কত ছোয়াব রয়েছে, তবে তারা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ত। তারা যদি জানত এশা ও ফজর সালাতে কি প্রতিদান রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন বুখারী ৬১৫ ও মুসলিম ৪৩৭)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الْأَوَّلِ، لَاسْتَهَمُوا عَلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ ، لَاسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي الْعَتَمَةِ وَالصُّبْحِ، لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا. رواه البخاري ومسلم
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩২. (সহীহ) আবদুল্লাহ বিন আবদুর্ রহমান বিন আবু সা’সাআ থেকে বর্ণিত। একদা আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) তাকে বললেনঃ আমি দেখছি তুমি ছাগল এবং গ্রামাঞ্চল বেশী পছন্দ কর। তুমি যখন ছাগল চারণে ব্যস্ত থাকবে বা গ্রামে থাকবে, তখন সালাতের জন্যে আযান দিলে উচ্চস্বঃরে দিবে। কেননা মুআয্যিনের সুউচ্চ কন্ঠ জিন, ইনসান বা যে বস্ত্তই শুনবে, তারা সবাই কিয়ামত দিবসে তার জন্যে সাক্ষ্য প্রদান করবে।
আবু সাঈদ বলেনঃ একথা আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে শুনেছি।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মালেক ১/৬৯, বুখারী ৬০৯, নাসাঈ ২/১২ ও ইবনু মাজাহ্ ৭২৩)
ইবনু মাজাহ্ রেওয়ায়াতে আরো আছেঃ কোন পাথর, বৃক্ষ যেই তার আযান শুনবে, সবাই তার জন্যে সাক্ষ্য প্রদান করবে। (ইবন মাজাহ ৭২৩)
(সহীহ) ইবনু খুযায়মা [সহীহ গ্রন্থে] এভাবে বর্ণনা করেনঃ
سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : لاَ يَسْمَعُ صَوْتَهُ شَجَرٌ ، وَلاَ مَدَرٌ ، وَلاَ حَجَرٌ ، وَلاَ جِنٌّ ، وَلاَ إِنْسٌ إِلاَّ شَهِدَ لَهُ.
আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ তার (আযানের) আওয়ায বৃক্ষ, মাটির গৃহ, পাথর, জিন বা মানুষ যে কেউ শুনবে, তারা তার জন্য সাক্ষ্য প্রদান করবে। (ইবনু খুযায়মাহ ৩৮৯)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ عبد الله بن عبد الرحمن بن أبي صعصعة أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ لَهُ
إِنِّي أَرَاكَ تُحِبُّ الْغَنَمَ وَالْبَادِيَةَ فَإِذَا كُنْتَ فِي غَنَمِكَ أَوْ بَادِيَتِكَ فَأَذَّنْتَ بِالصَّلَاةِ فَارْفَعْ صَوْتَكَ بِالنِّدَاءِ فَإِنَّهُ لَا يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلَا إِنْسٌ وَلَا شَيْءٌ إِلَّا شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ . رواه مالك والبخاري والنسائي وابن ماجه
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩৩. (সহীহ্) ইবনু ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’মুআয্যিনের আযান ধ্বনির শেষ সীমানা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হবে। প্রত্যেক সজীব-নির্জীব বস্ত্ত যেই তার শব্দ শুনবে, সবাই তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।’’
(সহীহ সনদে আহমাদ ১/১৩৬ বাযাযার ৩৫৫ ও ত্বাবরানী [কাবীর গ্রন্থে] হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : يغفر للمؤذن منتهى أذانه ويستغفر له كل رطب ويابس سمعه. رواه أحمد بإسناد صحيح والطبراني في الكبير
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩৪. (হাসান সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’মুআয্যিনের আযান ধ্বনি পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হয় এবং প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব বস্ত্ত তাকে সত্যায়ন করবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ২৩/৪১১, আবু দাউদ ও ইবনু খুযায়মা)
তবে আবু দাউদ ও ইবনু খুযায়মার শব্দরুপ এভাবেঃ وَيَشْهَدُ لَهُ كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ ’’প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব বস্ত্ত তার জন্য সাক্ষ্য প্রদান করবে।’’ (আবূ দাউদ ৫/৫, ইবনু খুযায়মা ১/২০৪)
নাসাঈর বর্ণনায়ঃ وَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ صَلَّى مَعَهُ ’’যারা তার সাথে ছালাত আদায় করবে তাদের অনুরূপ সে ছোয়াব লাভ করবে।’’ (নাসাঈ ২/১৩)
(হাসান সহীহ্) ইবনু মাজাহর রেওয়ায়াতেঃ يُغْفَرُ لَهُ مَدَّ صَوْتِهِ وَيَسْتَغْفِرُ لَهُ كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ ’’তার আওয়াযের উচ্চতা অনুযায়ী তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। এবং প্রত্যেক সজীব-নির্জীব, সবাই তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।’’ (ইবনে মাজাহ ৪/৭)
(হাসান সহীহ্) ইবনু হিব্বানের [সহীহ] গ্রন্থের বর্ণনা এরুপঃ الْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مَدَّ صَوْتِهِ ، وَيَشْهَدُ لَهُ كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ ، وَشَاهِدُ الصَّلاَةِ يُكْتَبُ لَهُ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ حَسَنَةً ، وَيُكَفَّرُ عَنْهُ مَا بَيْنَهُمَا
’’মুআয্যিনকে তার আওয়াযের উচ্চতা অনুযায়ী ক্ষমা করা হয় এবং প্রত্যেক সজীব ও নির্জিব বস্ত্ত তার জন্য সাক্ষ্য প্রদান করবে। তার আযানে জামাআতে উপস্থিত ব্যাক্তির পঁচিশ গুণ ছোয়াব তার জন্যেও লিখে দেয়া হয় এবং উভয়ের মধ্যবর্তী সকল পাপ মোচন করে দেয়া হয়।’’
ইমাম খাত্তাবী (রহঃ) বলেন, মুআয্যিন যদি আযানের কন্ঠকে উচ্চ করার জন্য তার প্রচেষ্টাকে পরিপূর্ণরূপে ব্যয় করে, তবে সে পরিপূর্ণরূপে আল্লাহর মাগফিরাত লাভ করবে। এ ব্যাখ্যার পক্ষে হাদীছের এই শব্দটিকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করা যেতে পারেঃ يغفر له مد صوته بتشديد الدال অর্থাৎ তার আওয়াযের উচ্চতা অনুযায়ী তাকে ক্ষমা করা হবে।
(ইমাম খাত্তাবী আরো বলেন, এখানো আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারেঃ মুআয্যিনের আযান ধ্বনি পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। একথার অর্থ হলো- যে স্থান পর্যন্ত তার আযানের ধ্বনি পৌঁছে, যদি ধরে নেয়া হয় যে, সে স্থানের শেষ পর্যন্ত তার পাপে পূর্ণ আছে, তবে আযানের বিনিমষ্টয় আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(حسن صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : الْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مَدَى صَوْتِهِ، وَيُصَدِّقُهُ كُلُّ رَطْبٍ وَيَابِسٍ. رواه أحمد واللفظ له وأبو داود وابن خزيمة
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩৫. (সহীহ্ লি গাইরিহী) বারা বিন আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’নিশ্চয় অগ্রবর্তী কাতারে সালাত আদায়কারীদের উপর আল্লাহ্ রহমত নাযিল করেন ও ফেরেশতাগণ তাদের জন্য মাগফিরাতের দু’আ করেন। মুআয্যিনকে তার আযানের ধ্বনি যতদূর পৌঁছুবে ততদূর পর্যন্ত ক্ষমা করা হয়। আর প্রত্যেক সজীব ও নির্জীব বস্তু যে তার আযান ধ্বনি শুনবে সবাই তার সত্যায়ন করে। যারা তার সাথে সালাত আদায় করবে তার অনুরূপ ছোয়াবও তাকে লিখে দেয়া হবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ ৪/২৮৪ ও নাসাঈ হাসান ও উত্তম সনদে ২/১৩)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح لغيره) عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الصَّفِّ الْمُقَدَّمِ وَالْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ بِمَدِّ صَوْتِهِ وَيُصَدِّقُهُ مَنْ سَمِعَهُ مِنْ رَطْبٍ وَيَابِسٍ وَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ صَلَّى مَعَهُ. رواه أحمد والنسائي بإسناد حسن جيد
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩৬. (সহীহ্ লি গাইরিহী) হাদীছটি ত্বাবরানী আবু উমামা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তাঁর বর্ণনাভঙ্গি এভাবেঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’মুআয্যিনকে তার আওয়াযের উচ্চতা অনুযায়ী ক্ষমা করা হয়। আর যারা তার সাথে সালাত আদায় করবে তাদের অনুরূপ সে প্রতিদান লাভ করবে।’’
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
) (صحيح لغيره) ورواه الطبراني عن أَبِيْ أُماَمَةَ ولفظه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : الْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مَدَّ صَوْتِهِ وأجره مِثْلَ أَجْرِ مَنْ صَلَّى مَعَهُ
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩৭. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’ইমাম হচ্ছেন মুসল্লীদের সালাতের জিম্মাদার[1], আর মুআয্যিন হচ্ছেন সালাতের সময়ের ব্যাপারে আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামগণকে হেদায়াতের উপর রাখ[2] এবং মুআয্যিনদেরকে ক্ষমা কর।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৫১৭, তিরমিযী ২০৭, ইবনু খুযায়মাহ্ ১৫২৮ ও ইবনু হিব্বান ১৬৭২)
তবে শেষের দু’জনের রেওয়ায়াতে বলা হয়েছেঃ فأرشد الله الأئمة وغفر للمؤذنين ’’আল্লাহ ইমামগণকে ঠিক রাখুন, ও মুআয্যিনদেরকে ক্ষমা করুন।’’
আবু দাঊদের বর্ণনার ন্যায় ইবনু খুযায়মাহর ১৫৩১ আর একটি বর্ণনা রয়েছে। আর তার অন্য আর একটি রেওয়ায়াতে আছেঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
المؤذنون أمناء والأئمة ضمناء اللهم اغفر للمؤذنين وسدد الأئمة (ثلاث مرات)
’’মুআয্যিনগণ আমানতদার ও ইমামগণ জিম্মাদার। হে আল্লাহ তুমি মুআয্যিনদেরকে মাফ কর ও ইমামগণকে দৃঢ় রাখ (এ দু’আটি তিনবার বলেছেন)’’ ইবনু খুযায়মাহ ১৫৩১
[2] . অর্থাৎ ইমামগণ যে দায়িত্ব নিয়েছে তার গুরুত্ব অনুধাবন ও তা যথাযথভাবে সম্পন্ন করে দায়িত্ব মুক্তির ব্যবস্থা করে দাও। [দ্রঃ আউনুল মা’বূদ হা/৪৩৪]
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ:"الإِمَامُ ضَامِنٌ، وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ، اللَّهُمَّ أَرْشِدِ الأَئِمَّةَ، وَاغْفِرْ لِلْمُؤَذِّنِينَ". رواه أبو داود والترمذي
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩৮. (সহীহ) উল্লেখিত হাদীছটি ইমাম আহমাদ হাসান সনদে আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
-
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৩৯. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’ইমাম জিম্মাদার আর মুআয্যিন আমানতদার। অতএব আল্লাহ্ ইমামগণকে সঠিকভাবে পরিচালিত করুন এবং মুআয্যিনদেরকে মাফ করুন।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনু হিব্বান [সহীহ] গ্রন্থে ১৬৬৯)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح لغيره) وَعَنْ عائشة رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا قالت سمعت رسول الله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول: الإمام ضامن والمؤذن مؤتمن فأرشد الله الأئمة وعفا عن المؤذنين. رواه ابن حبان في صحيحه
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪০. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’সালাতের জন্য যখন আযান দেয়া হয়, তখন শয়তান বায়ুনিঃসরণ করতে করতে এতদূর পলায়ন করে, যখন সে আর আযানের শব্দ শুনতে পায় না। আযান শেষ হলে আবার ফিরে আসে। যখন সালাতের এক্বামত দেয়া হয়, তখন আবার সে পলায়ন করে, এক্বামত শেষ হলে পুনরায় প্রত্যাবর্তন করে এবং মুসল্লীর অন্তরে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে; বলেঃ উমুক বিষয় স্মরণ কর, উমুক জিনিসটা মনে কর- যা ইতিপূর্বে তার মনে ছিল না। শেষে এমন হয়ে যায় যে, মানুষ বুঝতে পারে না, কত রাকআত সালাত আদায় করেছে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মালেক ১/৬৯, বুখারী ৬০৮, মুসলিম ৩৮৯, আবু দাউদ ৫১৬ ও নাসাঈ ২/২১)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِذَا نُودِيَ بِالصَّلَاةِ أَدْبَرَ الشَّيْطَانُ وَلَهُ ضُرَاطٌ حَتَّى لَا يَسْمَعَ التَّأْذِينَ فَإِذَا قُضِيَ النِّدَاءُ أَقْبَلَ حَتَّى إِذَا ثُوِّبَ بِالصَّلَاةِ أَدْبَرَ حَتَّى إِذَا قُضِيَ التَّثْوِيبُ أَقْبَلَ حَتَّى يَخْطُرَ بَيْنَ الْمَرْءِ وَنَفْسِهِ وَيَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا لِمَا لَمْ يَكُنْ يَذْكُرُ حَتَّى يَضِلَّ الرَّجُلُ أَنْ يَدْرِيَ كَمْ صَلَّى . رواه مالك والبخاري ومسلم وأبو داود والنسائي
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪১. (সহীহ) জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’শয়তান যখন সালাতের আহবান (আযান) শুনে, তখন রাওহা নামক স্থান পর্যন্ত পলায়ন করে।’’
বর্ণনাকারী বলেনঃ রাওহা হল, মদীনা হতে ৩৬ মাইল দূরে একটি স্থানের নাম।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ৩৮৭)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَ عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ ذَهَبَ حَتَّى يَكُونَ مَكَانَ الرَّوْحَاءِ.
قَالَ الراوي الرَّوْحَاءِ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى سِتَّةٍ وَثَلاَثِينَ مِيلاً. رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪২. (সহীহ) মুআবিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’কিয়ামত দিবসে মুআয্যিনগণ হবেন সর্বোচ্চ কাঁধ বিশিষ্ট।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন মুসলিম ৩৮৭)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
وَعَنْ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : " الْمُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ "
. رواه مسلم
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৩. (হাসান সহীহ্) উক্ত হাদীছটি ইবনু হিব্বানও [সহীহ] গ্রন্থে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন।
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
-
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৪. (হাসান লি গাইরিহী) ইবনে আবু আউফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে তারাই উত্তম যারা আল্লাহর যিকির করার জন্য সূর্য, চন্দ্র ও তারকার প্রতি খেয়াল রাখে।’’[1]
(ত্বাবরানী, বাযযার ও হাকেম ১/৫১ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। হাদীছের বাক্য ত্বাবরানী থেকে চয়ন করা। হাকেম বলেন, হাদীছটির সনদ সহীহ।)
শায়খ আলবানী বলেনঃ কিন্তু বর্তমান যুগের অধিকাংশ মুআয্যিন হাদীছে উল্লেখিত উক্ত প্রশংসার হকদার হবে না। কেননা তারা সূর্য, চন্দ্রের প্রতি খেয়াল করে আযান দেন না। তারা সরকারী ভাবে নির্ধারিত সময় অনুসরণ করেন। যার ভিত্তি হল জ্যোতিষ শাস্ত্রের হিসাব-নিকাশের উপর। অথচ এই হিসাব শরঈ হিসাব থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এমনকি কোন কোন দেশে ফজরের আযান সময়ের প্রায় আধা ঘন্টা আগে দেয়া হয়। আবার কোন কোন দেশে মাগরিবের আযানের ক্ষেত্রে প্রায় দশ মিনিট দেরী করা হয়। এটা সুন্নাতের খেলাফ। আর এসব কথা বলতে গেলে আহলে সুন্নাত ও সালাফীদের সাথে শুরু হয় তাদের শত্রুতা।
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح لغيره) وَعَنْ ابن أبي أوفى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: إن خيار عباد الله الذين يراعون الشمس والقمر والنجوم لذكر الله. رواه الطبراني واللفظ له والبزار والحاكم وقال صحيح الإسناد
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৫. (সহীহ) আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কোন এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুনতে পেলেন জনৈক ব্যাক্তি (উচ্চস্বরে) বলছেঃ (আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার)। তখন আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’(লোকটি) ফিতরাতের[1] উপর প্রতিষ্ঠিত।’’ যখন সে বললঃ আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহ। তখন তিনি বললেনঃ ’’সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে গেল।’’ একথা শুনে লোকেরা দৌড়াদৌড়ি করে লোকটিকে দেখতে গেল। দেখা গেল সে একজন ছাগলের রাখাল। সালাতের সময় হয়েছে তাই আযান দিতে শুরু করেছে।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনু খুযায়মাহ্ (সহীহ্) গ্রন্থে ১/২০৮, নাসাঈ (আমালুল ইয়াওস্ম ওয়াল রায়ল) গ্রন্থে। হাদীছটি সহীহ মুসলিমেও প্রায় একইভাবে বর্ণিত হয়েছে ৩৮২।)
[1] . অর্থাৎ- স্বভাবধর্ম ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত। যেমন আল্লাহ বলেন, فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ’’অতঃপর তুমি একনিষ্ঠভাবে সেই ধর্মের দিকে ধাবিত হও যেটা মেনে নেয়ার ফিৎতরাতের (স্বভাবের) উপর আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে কোন পরিবর্তন নেই।’’(সূরা রূমঃ ৩০)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَ عَنْ أنَسِ بْنِ ماَلِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلاً وَهُوَ فِي مَسِيرٍ لَهُ يَقُولُ : اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، فَقَالَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : عَلَى الْفِطْرَةِ ، قَالَ : أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ، قَالَ : خَرَجَ مِنَ النَّارِ ، فَاسْتَبَقَ الْقَوْمَ إِلَى الرَّجُلِ ، فَإِذَا رَاعِي غَنَمٍ حَضَرَتْهُ الصَّلاَةُ فَقَامَ يُؤَذِّنُ.
رواه ابن خزيمة في صحيحه وهو في مسلم بنحوه
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৬. (সহীহ) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে ছিলাম। একসময় বেলাল দাঁড়িয়ে গিয়ে আযান দিতে লাগলেন। আযান শেষ হলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’যে ব্যাক্তি এরুপ কথা (আযান) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন নাসাঈ ২/২৪ ও ইবনু হিব্বান তাঁর [সহীহ্] গ্রন্থে ১৬৬৫)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) عَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ : كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ بِلَالٌ يُنَادِي فَلَمَّا سَكَتَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَالَ مِثْلَ هَذَا يَقِينًا دَخَلَ الْجَنَّةَ.
رواه النسائي وابن حبان في صحيحه
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৭. (সহীহ) ঊক্ববা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে একথা বলতে শুনেছিঃ
’’তোমার পালনকর্তা ছাগলের সেই রাখালের কাজে আশ্চাম্বিত হন, যে (ছাগল চরাতে গিয়ে) কোন পাহাড়ের টিলার উপর থাকে। (আর সালাতের সময় হলে) আযান দেয় ও সালাত আদায় করে। তখন মহান ও পরাত্রুমশালী আল্লাহ্ বলেনঃ তোমরা দেখ আমার এ বান্দার দিকে। সে আযান দিচ্ছে ও সালাত আদায় করছে। সে আমাকে ভয় করছে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালাম (তথা জান্নাতের অধিকারী করলাম)।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ১২০৩ ও নাসাঈ ২/২০)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ عقبة بن عامر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قاَلَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقول يعجب ربك من راعي غنم على رأس شظية للجبل يؤذن بالصلاة ويصلي فيقول الله عز وجل انظروا إلى عبدي هذا يؤذن ويقيم الصلاة يخاف مني قد غفرت لعبدي وأدخلته الجنة. رواه أبو داود والنسائي
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৮. (সহীহ্) ইবনু ওমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ ’’যে ব্যাক্তি বারো বছর আযান দেবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। প্রত্যেক আযানের বিনিময়ে প্রতিদিন ষাটটি করে নেকী এবং প্রত্যেক এক্বামতের বিনিময়ে তিরিশটি করে নেকী তার জন্যে লিখা হবে।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনু মাজাহ্ ৭২৮, দারাকুতনী ১/২৪০ ও হাকেম ১/২০৪)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح لغيره) وَعَنْ ابن عمر رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال: من أذن اثنتي عشرة سنة وجبت له الجنة وكتب له بتأذينه في كل يوم ستون حسنة وبكل إقامة ثلاثون حسنة. رواه ابن ماجه والدارقطني والحاكم وقال صحيح على شرط البخاري
পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৯. (সহীহ্) সালমান ফারেসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
’’কোন ব্যাক্তি যদি জনশুন্য স্থানে বা জঙ্গলে থাকে, আর সালাতের সময় হয়ে যায়, তবে সে যেন ওযু করে নেয়। পানি না পেলে যেন তায়াম্মুম করে। অতঃপর যদি এক্বামত দিয়েই সালাত আরম্ভ করে, তবে তার সাথে দু’জন ফেরেশতাও (যারা সর্বদা তার সাথে থাকে তারা) সালাত আদায় করবে। আর যদি আযান দিয়ে এক্বামাত দেয়, তবে তার পিছনে আল্লাহ্ তা’আলার এত সংখ্যক বাহীনি (ফেরেশতা) উপস্থিত হয় যে, উভয় প্রান্তে তাদের সীমানা দেখা যায় না।’’
(আবদুর রাজ্জাক স্বীয় [মুসান্নাফ] গ্রন্থে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ১৯৫৫। তিনি ইবনুত্ তায়মী থেকে, তিনি তার পিতা থেকে, তিনি আবু ঊছমান নাহদী থেকে, তিনি সালমান ফারেসী থেকে বর্ণনা করেন।)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَعَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ :"إِذَا كَانَ الرَّجُلُ بِأَرْضِ قِيٍّ، فَحَانَتِ الصَّلاةُ فَلْيَتَوَضَّأْ، فَإِنْ لَمْ يَجِدْ مَاءً فَلْيَتَيَمَّمْ، فَإِنْ أَقَامَ صَلَّى مَعَهُ مَلَكَاهُ، وَإِنْ أَذَّنَ وَأَقَامَ صَلَّى خَلْفَهُ مِنْ جُنُودِ اللَّهِ مَا لا يُرَى طَرَفَاهُ" . رواه عبد الرزاق