পরিচ্ছেদঃ ১) আযান দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ ও আযানের ফযীলতের বর্ণনা
২৪৫. (সহীহ) আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কোন এক সফরে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শুনতে পেলেন জনৈক ব্যাক্তি (উচ্চস্বরে) বলছেঃ (আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার)। তখন আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ’’(লোকটি) ফিতরাতের[1] উপর প্রতিষ্ঠিত।’’ যখন সে বললঃ আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহ। তখন তিনি বললেনঃ ’’সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে গেল।’’ একথা শুনে লোকেরা দৌড়াদৌড়ি করে লোকটিকে দেখতে গেল। দেখা গেল সে একজন ছাগলের রাখাল। সালাতের সময় হয়েছে তাই আযান দিতে শুরু করেছে।
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনু খুযায়মাহ্ (সহীহ্) গ্রন্থে ১/২০৮, নাসাঈ (আমালুল ইয়াওস্ম ওয়াল রায়ল) গ্রন্থে। হাদীছটি সহীহ মুসলিমেও প্রায় একইভাবে বর্ণিত হয়েছে ৩৮২।)
[1] . অর্থাৎ- স্বভাবধর্ম ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত। যেমন আল্লাহ বলেন, فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ’’অতঃপর তুমি একনিষ্ঠভাবে সেই ধর্মের দিকে ধাবিত হও যেটা মেনে নেয়ার ফিৎতরাতের (স্বভাবের) উপর আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে কোন পরিবর্তন নেই।’’(সূরা রূমঃ ৩০)
الترغيب في الأذان وما جاء في فضله
(صحيح) وَ عَنْ أنَسِ بْنِ ماَلِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ سَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلاً وَهُوَ فِي مَسِيرٍ لَهُ يَقُولُ : اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، فَقَالَ نَبِيُّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : عَلَى الْفِطْرَةِ ، قَالَ : أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ، قَالَ : خَرَجَ مِنَ النَّارِ ، فَاسْتَبَقَ الْقَوْمَ إِلَى الرَّجُلِ ، فَإِذَا رَاعِي غَنَمٍ حَضَرَتْهُ الصَّلاَةُ فَقَامَ يُؤَذِّنُ.
رواه ابن خزيمة في صحيحه وهو في مسلم بنحوه