পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭০৬। খালীফা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আবূ যায়েদ (রাঃ) ইন্তেকাল করেন। তিনি কোন সন্তান-সন্ততি রেখে যাননি। তিনি ছিলেন বদরী সাহাবী।

باب

حَدَّثَنِي خَلِيفَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ مَاتَ أَبُو زَيْدٍ وَلَمْ يَتْرُكْ عَقِبًا، وَكَانَ بَدْرِيًّا‏.‏

حدثني خليفة، حدثنا محمد بن عبد الله الانصاري، حدثنا سعيد، عن قتادة، عن انس ـ رضى الله عنه ـ قال مات ابو زيد ولم يترك عقبا، وكان بدريا‏.‏


Narrated Anas:

Abu Zaid died and did not leave any offspring, and he was one of the Badr warriors.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭০৭। ’আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... ইবনু খাব্বাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ সা’ঈদ ইবনু মালিক খুদরী (রাঃ) সফর থেকে বাড়ী ফেরার পর তার পরিবারের লোকেরা তাঁকে কুরবানীর মাংস থেকে কিছু মাংস খেতে দিলেন। তিনি বললেন, আমি না জিজ্ঞাসা করে এ মাংস খেতে পারিনা। তারপর তিনি তার মায়ের গর্ভজাত ভ্রাতা কাতাদা ইবনু নু’মানের কাছে গিয়ে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি ছিলেন, একজন বদরী সাহাবী। তখন তিনি তাকে, বললেন, তিনদিন পর কুরবানীর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে তোমাদের প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল পরবর্তীতে (অনুমতি সম্বলিত হাদীসের দ্বারা) তা সম্পূর্ণ রহিত করে দেয়া হয়েছে।

باب

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ خَبَّابٍ، أَنَّ أَبَا سَعِيدِ بْنِ مَالِكٍ الْخُدْرِيَّ ـ رضى الله عنه ـ قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ، فَقَدَّمَ إِلَيْهِ أَهْلُهُ لَحْمًا مِنْ لُحُومِ الأَضْحَى فَقَالَ مَا أَنَا بِآكِلِهِ حَتَّى أَسْأَلَ، فَانْطَلَقَ إِلَى أَخِيهِ لأُمِّهِ وَكَانَ بَدْرِيًّا قَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ فَسَأَلَهُ، فَقَالَ إِنَّهُ حَدَثَ بَعْدَكَ أَمْرٌ نَقْضٌ لِمَا كَانُوا يُنْهَوْنَ عَنْهُ مِنْ أَكْلِ لُحُومِ الأَضْحَى بَعْدَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ‏.‏

حدثنا عبد الله بن يوسف، حدثنا الليث، قال حدثني يحيى بن سعيد، عن القاسم بن محمد، عن ابن خباب، ان ابا سعيد بن مالك الخدري ـ رضى الله عنه ـ قدم من سفر، فقدم اليه اهله لحما من لحوم الاضحى فقال ما انا باكله حتى اسال، فانطلق الى اخيه لامه وكان بدريا قتادة بن النعمان فساله، فقال انه حدث بعدك امر نقض لما كانوا ينهون عنه من اكل لحوم الاضحى بعد ثلاثة ايام‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

Abu Sa`id bin Malik Al-Khudri returned from a journey and his family offered him some meat of sacrifices offered at `Id ul Adha. On that he said, "I will not eat it before asking (whether it is allowed)." He went to his maternal brother, Qatada bin N i 'man, who was one of the Badr warriors, and asked him about it. Qatada said, "After your departure, an order was issued by the Prophet (ﷺ) cancelling the prohibition of eating sacrifices after three days."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু খাব্বাব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭০৮। ঊবায়দ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যুবায়র (রাঃ) বলেছেন, বদর যুদ্ধের দিন আমি উবায়দা ইবনু সাঈদ ইবনু আস (রাঃ) কে এমন বস্ত্রাবৃত অবস্থায় দেখলাম যে, তার দু’চোখ ব্যতীত আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাকে আবূ যাতুল কারিশ বলে ডাকা হত। সে বলল, আমি আবূ যাতুল কারিশ। (একথা শুনে) বর্শা দিয়ে আমি তার উপর হামলা করলাম এবং তার চোখ ফুঁড়ে দিলাম। সে তৎক্ষণাৎ মারা গেল। হিশাম বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে যে, যুবায়র (রাঃ) বলেছেন, তার (উবায়দা ইবনু সাঈদ ইবনু আসের) লাশের উপর পা রেখে বেশ বল প্রয়োগ করে (তার চোখ থেকে) আমি বর্শাটি টেনে বের করলাম। এতে বর্শার উভয় প্রান্ত বাঁকা হয়ে যায়।

উরওয়া বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়রের নিকট বর্শাটি চাইলে তিনি তা তাঁকে দিয়ে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের পর তিনি তা নিয়ে যান। এবং পরে আবূ বকর (রাঃ) তা চাইলে তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দেন। আবূ বকরের ইন্তেকালের পর উমর (রাঃ) তা চাইলেন। তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দিলেন। কিন্তু উমরের ইন্তেকালের পর যুবায়র (রাঃ) পুনরায় বর্শাটি নিয়ে যান। এরপর উসমান (রাঃ) তাঁর নিকট বর্শাখানা চাইলে তিনি উসমানকে তা দিয়ে দেন। তবে উসমানের শাহাদতের পর তা আলীর লোকজনের হস্তগত হওয়ার পর আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তা চেয়ে নিয়ে যান। এরপর থেকে শহীদ হওয়া পর্যন্ত বর্শাখানা তাঁর নিকটই থাকে।

باب

حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ الزُّبَيْرُ لَقِيتُ يَوْمَ بَدْرٍ عُبَيْدَةَ بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ وَهْوَ مُدَجَّجٌ لاَ يُرَى مِنْهُ إِلاَّ عَيْنَاهُ، وَهْوَ يُكْنَى أَبُو ذَاتِ الْكَرِشِ، فَقَالَ أَنَا أَبُو ذَاتِ الْكَرِشِ‏.‏ فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ بِالْعَنَزَةِ، فَطَعَنْتُهُ فِي عَيْنِهِ فَمَاتَ‏.‏ قَالَ هِشَامٌ فَأُخْبِرْتُ أَنَّ الزُّبَيْرَ قَالَ لَقَدْ وَضَعْتُ رِجْلِي عَلَيْهِ ثُمَّ تَمَطَّأْتُ، فَكَانَ الْجَهْدَ أَنْ نَزَعْتُهَا وَقَدِ انْثَنَى طَرَفَاهَا‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ فَسَأَلَهُ إِيَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا، ثُمَّ طَلَبَهَا أَبُو بَكْرٍ فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا قُبِضَ أَبُو بَكْرٍ سَأَلَهَا إِيَّاهُ عُمَرُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَلَمَّا قُبِضَ عُمَرُ أَخَذَهَا، ثُمَّ طَلَبَهَا عُثْمَانُ مِنْهُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ وَقَعَتْ عِنْدَ آلِ عَلِيٍّ، فَطَلَبَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَكَانَتْ عِنْدَهُ حَتَّى قُتِلَ‏.‏

حدثني عبيد بن اسماعيل، حدثنا ابو اسامة، عن هشام بن عروة، عن ابيه، قال قال الزبير لقيت يوم بدر عبيدة بن سعيد بن العاص وهو مدجج لا يرى منه الا عيناه، وهو يكنى ابو ذات الكرش، فقال انا ابو ذات الكرش‏.‏ فحملت عليه بالعنزة، فطعنته في عينه فمات‏.‏ قال هشام فاخبرت ان الزبير قال لقد وضعت رجلي عليه ثم تمطات، فكان الجهد ان نزعتها وقد انثنى طرفاها‏.‏ قال عروة فساله اياها رسول الله صلى الله عليه وسلم فاعطاه، فلما قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم اخذها، ثم طلبها ابو بكر فاعطاه، فلما قبض ابو بكر سالها اياه عمر فاعطاه اياها، فلما قبض عمر اخذها، ثم طلبها عثمان منه فاعطاه اياها، فلما قتل عثمان وقعت عند ال علي، فطلبها عبد الله بن الزبير، فكانت عنده حتى قتل‏.‏


Narrated `Urwa:

Az-Zubair said, "I met Ubaida bin Sa`id bin Al-As on the day (of the battle) of Badr and he was covered with armor; so much that only his eyes were visible. He was surnamed Abu Dhat-al-Karish. He said (proudly), 'I am Abu-al-Karish.' I attacked him with the spear and pierced his eye and he died. I put my foot over his body to pull (that spear) out, but even then I had to use a great force to take it out as its both ends were bent." `Urwa said, "Later on Allah's Messenger (ﷺ) asked Az-Zubair for the spear and he gave it to him. When Allah's Messenger (ﷺ) died, Az-Zubair took it back. After that Abu Bakr demanded it and he gave it to him, and when Abu Bakr died, Az-Zubair took it back. `Umar then demanded it from him and he gave it to him. When `Umar died, Az-Zubair took it back, and then `Uthman demanded it from him and he gave it to him. When `Uthman was martyred, the spear remained with `Ali's offspring. Then `Abdullah bin Az-Zubair demanded it back, and it remained with him till he was martyred.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭০৯। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... আবূ ইদরীস আয়িযুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার হাতে বায়’আত গ্রহণ কর। তিনি বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

باب

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ، عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ، وَكَانَ، شَهِدَ بَدْرًا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ بَايِعُونِي ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن الزهري، قال اخبرني ابو ادريس، عاىذ الله بن عبد الله ان عبادة بن الصامت، وكان، شهد بدرا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ بايعوني ‏"‏‏.‏


Narrated 'Ubada bin As-Samit:

(who was one of the Badr warriors) Allah's Messenger (ﷺ) said, "Give me the pledge of allegiance."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ইদরিস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১০। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী আবূ হুযাইফ (রাঃ) এর আনসারী মহিলার আযাদকৃত গোলাম সালিমকে পালকপুত্র হিসাবে গ্রহণ করেন, যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়েদকে পালকপুত্র হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি তাকে তার ভ্রাতুষ্পুত্রী হিন্‌দা বিন্‌তে ওয়ালীদ ইবন উতবার সাথে বিয়ে করিয়ে দেন। জাহিলিয়্যাতের আমলে কেউ কোন ব্যাক্তিকে পালকপুত্র হিসাবে গ্রহণ করলে লোকেরা তাকে তার (পালনকারীর) প্রতিই সম্বোধন করত, এবং সে তার পরিত্যক্ত সম্পদের উত্তরাধিকারী হত। অবশেষে আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করলেন, “তোমরা তাদেরকে ডাক তাদের পিতৃ পরিচয়ে।” এরপর (আবূ হুযাইফার স্ত্রী সাহ্‌লা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে হাদীসে বর্ণিত প্রকৃত ঘটনা বর্ণনা করলেন।

باب

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أَبَا حُذَيْفَةَ وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَبَنَّى سَالِمًا، وَأَنْكَحَهُ بِنْتَ أَخِيهِ هِنْدَ بِنْتَ الْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ ـ وَهْوَ مَوْلًى لاِمْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ ـ كَمَا تَبَنَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَيْدًا، وَكَانَ مَنْ تَبَنَّى رَجُلاً فِي الْجَاهِلِيَّةِ دَعَاهُ النَّاسُ إِلَيْهِ، وَوَرِثَ مِنْ مِيرَاثِهِ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏ادْعُوهُمْ لآبَائِهِمْ‏)‏ فَجَاءَتْ سَهْلَةُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ‏.‏

حدثنا يحيى بن بكير، حدثنا الليث، عن عقيل، عن ابن شهاب، اخبرني عروة بن الزبير، عن عاىشة ـ رضى الله عنها ـ زوج النبي صلى الله عليه وسلم ان ابا حذيفة وكان ممن شهد بدرا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم تبنى سالما، وانكحه بنت اخيه هند بنت الوليد بن عتبة ـ وهو مولى لامراة من الانصار ـ كما تبنى رسول الله صلى الله عليه وسلم زيدا، وكان من تبنى رجلا في الجاهلية دعاه الناس اليه، وورث من ميراثه حتى انزل الله تعالى ‏(‏ادعوهم لاباىهم‏)‏ فجاءت سهلة النبي صلى الله عليه وسلم، فذكر الحديث‏.‏


Narrated `Aisha:

(the wife of the Prophet) Abu Hudhaifa, one of those who fought the battle of Badr, with Allah's Apostle adopted Salim as his son and married his niece Hind bint Al-Wahd bin `Utba to him' and Salim was a freed slave of an Ansari woman. Allah's Messenger (ﷺ) also adopted Zaid as his son. In the Prelslamic period of ignorance the custom was that, if one adopted a son, the people would call him by the name of the adopted-father whom he would inherit as well, till Allah revealed: "Call them (adopted sons) By (the names of) their fathers." (33.5)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১১। আলী (রহঃ) ... রুবায়ই বিন্‌ত মু’আওয়িয (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমার বাসর রাতের পরদিন সকাল বেলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আসলেন এবং তুমি (খালিদ ইবনু যাকওয়ান) যেভাবে আমার কাছে বসে আছ ঠিক সেভাবে আমার বিছানায় এসে বসলেন। তখন কয়েকজন ছোট বালিকা দফ বাজিয়ে বদর যুদ্ধে নিহত শহীদ পিতাদের প্রশংসা শ্লোক আবৃত্তি করছিল। পরিশেষে একটি বালিকা বলে উঠল, আমাদের মাঝে এমন একজন নবী আছেন, যিনি জানেন আগামীকাল কি হবে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরূপ কথা বলবে না, বরং পূর্বে যা বলতে ছিলে তাই বল।

باب

حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنِ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذٍ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غَدَاةَ بُنِيَ عَلَىَّ، فَجَلَسَ عَلَى فِرَاشِي كَمَجْلِسِكَ مِنِّي، وَجُوَيْرِيَاتٌ يَضْرِبْنَ بِالدُّفِّ، يَنْدُبْنَ مَنْ قُتِلَ مِنْ آبَائِهِنَّ يَوْمَ بَدْرٍ حَتَّى قَالَتْ جَارِيَةٌ وَفِينَا نَبِيٌّ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَقُولِي هَكَذَا، وَقُولِي مَا كُنْتِ تَقُولِينَ ‏"‏‏.‏

حدثنا علي، حدثنا بشر بن المفضل، حدثنا خالد بن ذكوان، عن الربيع بنت معوذ، قالت دخل على النبي صلى الله عليه وسلم غداة بني على، فجلس على فراشي كمجلسك مني، وجويريات يضربن بالدف، يندبن من قتل من اباىهن يوم بدر حتى قالت جارية وفينا نبي يعلم ما في غد‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا تقولي هكذا، وقولي ما كنت تقولين ‏"‏‏.‏


Narrated Ar-Rubai bint Muauwidh:

The Prophet (ﷺ) came to me after consuming his marriage with me and sat down on my bed as you (the sub-narrator) are sitting now, and small girls were beating the tambourine and singing in lamentation of my father who had been killed on the day of the battle of Badr. Then one of the girls said, "There is a Prophet amongst us who knows what will happen tomorrow." The Prophet (ﷺ) said (to her)," Do not say this, but go on saying what you have spoken before."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১২। ইব্‌রাহীম ইবনু মূসা ও ইসমাইল (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী আবূ তাল্‌হা (রাঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ঘরে কুকুর কিংবা ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশ্‌তা প্রবেশ করেন না। ইবনু ’আব্বাসের মতে ছবি এর অর্থ হচ্ছে প্রাণীর ছবি।

باب

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،‏.‏ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو طَلْحَةَ ـ رضى الله عنه ـ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ لاَ تَدْخُلُ الْمَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ صُورَةٌ ‏"‏‏.‏ يُرِيدُ التَّمَاثِيلَ الَّتِي فِيهَا الأَرْوَاحُ‏.‏

حدثنا ابراهيم بن موسى، اخبرنا هشام، عن معمر، عن الزهري،‏.‏ حدثنا اسماعيل، قال حدثني اخي، عن سليمان، عن محمد بن ابي عتيق، عن ابن شهاب، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة بن مسعود، ان ابن عباس ـ رضى الله عنهما ـ قال اخبرني ابو طلحة ـ رضى الله عنه ـ صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم وكان قد شهد بدرا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم انه قال ‏ "‏ لا تدخل الملاىكة بيتا فيه كلب ولا صورة ‏"‏‏.‏ يريد التماثيل التي فيها الارواح‏.‏


Narrated Ibn `Abbas:

Abu Talha, a companion of Allah's Messenger (ﷺ) and one of those who fought at Badr together with Allah's Apostle told me that Allah's Messenger (ﷺ) said. "Angels do not enter a house in which there is a dog or a picture" He meant the images of creatures that have souls.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১৩। আবদান ও আহমাদ ইবনু সালিহ (রহঃ) ... ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের গনীমতের মাল থেকে আমার অংশে আমি একটি উট পেয়েছিলাম। ’ফায়’ থেকে প্রাপ্ত এক পঞ্চমাংশ থেকেও সেদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে একটি উট প্রদান করেন। আমি যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা ফাতিমার সাথে বাসর রাত যাপন করার ইচ্ছা করলাম এবং বানু কায়নুকা গোত্রের এক ইয়াহুদী স্বর্ণকারকে ঠিক করলাম যেন সে আমার সাথে যায়। (সেখান থেকে) আমরা ইয্‌খির ঘাস সংগ্রহ করে নিয়ে আসব। পরে ঐ ঘাস স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রি করে তা আমি আমার বিয়ের ওয়ালিমায় খরচ করার ইচ্ছা করেছিলাম (একদা ঐ কার্যে যাত্রা করার জন্য) আমি আমার উট দু’টোর জন্য গদি, বস্তা এবং দড়ি ব্যবস্থা করেছিলাম আর উট দু’টো এক আনসারী ব্যাক্তির ঘরের পার্শ্বে বসানো ছিল। আমার যা কিছু সংগ্রহ করার তা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে দেখলাম উট দু’টির চুট কেঁটে ফেলা হয়েছে এবং সে দু’টির বক্ষ বিদীর্ণ করে কলিজা খুলে নেওয়া হয়েছে।

এ দৃশ্য দেখে আমি আমার অশ্রু সংবরণ করতে পারলাম না। আমি (নিকটস্থ লোকদেরকে) জিজ্ঞাসা করলাম, এ কাজ কে করেছে? তারা বললেন, আবদুল মুত্তালিবের পুত্র হামযা এ কাজ করেছেন। এখন তিনি এ ঘরে আনসারদের কিছু মদ্যপায়ীদের সাথে মদপান করছেন। সেখানে একদল গায়িকা ও কপিতয় সঙ্গী সাথী। (মদ্যপানের সময়) গায়িকা ও তার সঙ্গীগণ গানের ভেতর বলেছিল, “হে হামযা! মোটা উষ্ট্রদ্বয়ের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়”। একথা শুনে হামযা দৌড়িয়ে গিয়ে তলোয়ার হাতে নিল এবং উষ্ট্রদ্বয়ের চুট দু’টো কেঁটে নিল আর তাদের পেট চিরে কলীজা বের করে নিয়ে আসল। আলী (রাঃ) বলেন, তখন আমি পথ চলতে চলতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট চলে গেলাম। তখন তাঁর নিকট যায়েদ ইবনু হারিস (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে দেখামাত্রই) আমি যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছি তা বুঝে ফেললেন।

তিনি আমাকে বললেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজকের মত বেদনাদায়ক ঘটনা আমি কখনো দেখিনি। হামযা আমার উট দু’টোর উপর খুব জুলুম করেছেন, তিনি উট দু’টোর চুট কেঁটে ফেলেছেন এবং বক্ষ বিদীর্ণ করেছেন। এখন তিনি একটি ঘরে একদল মদ্যপায়ীদের সাথে অবস্থান করছেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাঁদরখানা চেয়ে নিলেন এবং তা গায়ে দিয়ে হেঁটে রওয়ানা হলেন।

(আলী বলেন) এরপর আমি এবং যায়েদ ইবনু হারিস (রাঃ) তাঁকে অনুসরণ করলাম। (হাঁটতে হাঁটতে) তিনি যে ঘরে হামযা অবস্থান করছিলেন সে ঘরের কাছে পৌঁছে তার নিকট অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযাকে তার কৃতকর্মের জন্য ভৎসনা করতে শুরু করলেন। হামযা তখন নেশাগ্রস্ত। চোখ দু’টো তার লাল। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন এবং দৃষ্টি উপর দিকে উঠিয়ে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাটুর দিকে তাকালেন। এরপর দৃষ্টি আরো একটু উপরে দিকে উঠিয়ে তিনি তাঁর চেহারার প্রতি তাকালেন। এরপর হামযা বললেন, তোমরা তো আমার পিতার দাস। (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝলেন যে, তিনি এখন নেশাগ্রস্ত। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেছনের দিকে হটে (সেখান থেকে) বেরিয়ে পড়লেন, আমরাও তাঁর সাথে সাথে বেরিয়ে পড়লাম।

باب

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ،‏.‏ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ ـ عَلَيْهِمُ السَّلاَمُ ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيًّا قَالَ كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ الْمَغْنَمِ يَوْمَ بَدْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَعْطَانِي مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنَ الْخُمُسِ يَوْمَئِذٍ، فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْتَنِيَ بِفَاطِمَةَ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ ـ بِنْتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَاعَدْتُ رَجُلاً صَوَّاغًا فِي بَنِي قَيْنُقَاعَ أَنْ يَرْتَحِلَ مَعِي فَنَأْتِيَ بِإِذْخِرٍ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ مِنَ الصَّوَّاغِينَ فَنَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي، فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَىَّ مِنَ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ، وَشَارِفَاىَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ، حَتَّى جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ فَإِذَا أَنَا بِشَارِفَىَّ قَدْ أُجِبَّتْ أَسْنِمَتُهَا، وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا، وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا، فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَىَّ حِينَ رَأَيْتُ الْمَنْظَرَ، قُلْتُ مَنْ فَعَلَ هَذَا قَالُوا فَعَلَهُ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَهْوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ، فِي شَرْبٍ مِنَ الأَنْصَارِ، عِنْدَهُ قَيْنَةٌ وَأَصْحَابُهُ فَقَالَتْ فِي غِنَائِهَا أَلاَ يَا حَمْزَ لِلشُّرُفِ النِّوَاءِ، فَوَثَبَ حَمْزَةُ إِلَى السَّيْفِ، فَأَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا، وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا، وَأَخَذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا قَالَ عَلِيٌّ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، وَعَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الَّذِي لَقِيتُ فَقَالَ ‏ "‏ مَا لَكَ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ، عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَىَّ، فَأَجَبَّ أَسْنِمَتَهُمَا، وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا وَهَا هُوَ ذَا فِي بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ، فَدَعَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرِدَائِهِ، فَارْتَدَى ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي، وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ، فَاسْتَأْذَنَ عَلَيْهِ فَأُذِنَ لَهُ، فَطَفِقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ، فَإِذَا حَمْزَةُ ثَمِلٌ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ، فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ، فَنَظَرَ إِلَى رُكْبَتِهِ، ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ، فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ، ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ وَهَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ثَمِلٌ، فَنَكَصَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى، فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ‏.‏

حدثنا عبدان، اخبرنا عبد الله، اخبرنا يونس،‏.‏ حدثنا احمد بن صالح، حدثنا عنبسة، حدثنا يونس، عن الزهري، اخبرنا علي بن حسين، ان حسين بن علي ـ عليهم السلام ـ اخبره ان عليا قال كانت لي شارف من نصيبي من المغنم يوم بدر، وكان النبي صلى الله عليه وسلم اعطاني مما افاء الله عليه من الخمس يومىذ، فلما اردت ان ابتني بفاطمة ـ عليها السلام ـ بنت النبي صلى الله عليه وسلم واعدت رجلا صواغا في بني قينقاع ان يرتحل معي فناتي باذخر، فاردت ان ابيعه من الصواغين فنستعين به في وليمة عرسي، فبينا انا اجمع لشارفى من الاقتاب والغراىر والحبال، وشارفاى مناخان الى جنب حجرة رجل من الانصار، حتى جمعت ما جمعت فاذا انا بشارفى قد اجبت اسنمتها، وبقرت خواصرهما، واخذ من اكبادهما، فلم املك عينى حين رايت المنظر، قلت من فعل هذا قالوا فعله حمزة بن عبد المطلب، وهو في هذا البيت، في شرب من الانصار، عنده قينة واصحابه فقالت في غناىها الا يا حمز للشرف النواء، فوثب حمزة الى السيف، فاجب اسنمتهما، وبقر خواصرهما، واخذ من اكبادهما قال علي فانطلقت حتى ادخل على النبي صلى الله عليه وسلم وعنده زيد بن حارثة، وعرف النبي صلى الله عليه وسلم الذي لقيت فقال ‏ "‏ ما لك ‏"‏‏.‏ قلت يا رسول الله، ما رايت كاليوم، عدا حمزة على ناقتى، فاجب اسنمتهما، وبقر خواصرهما وها هو ذا في بيت معه شرب، فدعا النبي صلى الله عليه وسلم برداىه، فارتدى ثم انطلق يمشي، واتبعته انا وزيد بن حارثة، حتى جاء البيت الذي فيه حمزة، فاستاذن عليه فاذن له، فطفق النبي صلى الله عليه وسلم يلوم حمزة فيما فعل، فاذا حمزة ثمل محمرة عيناه، فنظر حمزة الى النبي صلى الله عليه وسلم ثم صعد النظر، فنظر الى ركبته، ثم صعد النظر، فنظر الى وجهه، ثم قال حمزة وهل انتم الا عبيد لابي فعرف النبي صلى الله عليه وسلم انه ثمل، فنكص رسول الله صلى الله عليه وسلم على عقبيه القهقرى، فخرج وخرجنا معه‏.‏


Narrated `Ali:

I had a she-camel which I got in my share from the booty of the battle of Badr, and the Prophet (ﷺ) had given me another she camel from the Khumus which Allah had bestowed on him that day. And when I intended to celebrate my marriage to Fatima, the daughter of the Prophet, I made an arrangement with a goldsmith from Bani Qainuqa 'that he should go with me to bring Idhkhir (i.e. a kind of grass used by gold-smiths) which I intended to sell to gold-smiths in order to spend its price on the marriage banquet. While I was collecting ropes and sacks of pack saddles for my two she-camels which were kneeling down beside an Ansari's dwelling and after collecting what I needed, I suddenly found that the humps of the two she-camels had been cut off and their flanks had been cut open and portions of their livers had been taken out. On seeing that, I could not help weeping. I asked, "Who has done that?" They (i.e. the people) said, "Hamza bin `Abdul Muttalib has done it. He is present in this house with some Ansari drinkers, a girl singer, and his friends. The singer said in her song, "O Hamza, get at the fat she-camels!" On hearing this, Hamza rushed to his sword and cut of the camels' humps and cut their flanks open and took out portions from their livers." Then I came to the Prophet, with whom Zaid bin Haritha was present. The Prophet (ﷺ) noticed my state and asked, "What is the matter?" I said, "O Allah's Messenger (ﷺ), I have never experienced such a day as today! Hamza attacked my two she-camels, cut off their humps and cut their flanks open, and he is still present in a house along some drinkers." The Prophet (ﷺ) asked for his cloak, put it on, and proceeded, followed by Zaid bin Haritha and myself, till he reached the house where Hamza was. He asked the permission to enter, and he was permitted. The Prophet (ﷺ) started blaming Hamza for what he had done. Hamza was drunk and his eyes were red. He looked at the Prophet (ﷺ) then raised his eyes to look at his knees and raised his eves more to look at his face and then said, "You are not but my father's slaves." When the Prophet (ﷺ) understood that Hamza was drunk, he retreated, walking backwards went out and we left with him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১৪। মুহাম্মদ ইবনু আব্বাদ (রহঃ) ... ইবনু মাকিল (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, (তিনি বলেছেন) আলী (রাঃ) সাহ্‌ল ইবনু হুনাইফের (জানাজার সালাত (নামায/নামাজ) তাকবীর উচ্চারণ করলেন এবং বললেন, তিনি (সাহল ইবনু হুনাইফ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

باب

حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، قَالَ أَنْفَذَهُ لَنَا ابْنُ الأَصْبَهَانِيِّ سَمِعَهُ مِنِ ابْنِ مَعْقِلٍ، أَنَّ عَلِيًّا ـ رضى الله عنه ـ كَبَّرَ عَلَى سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ فَقَالَ إِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا‏.‏

حدثني محمد بن عباد، اخبرنا ابن عيينة، قال انفذه لنا ابن الاصبهاني سمعه من ابن معقل، ان عليا ـ رضى الله عنه ـ كبر على سهل بن حنيف فقال انه شهد بدرا‏.‏


Narrated Ibn Maqal:

`Ali led the funeral prayer of Sahl bin Hunaif and said, "He was one of the warriors of Badr."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১৫। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, (উমর (রাঃ) তাঁকে বলেছেন) ’উমর ইবনু খাত্তাবের কন্যা হাফসার স্বামী খুনায়স ইবনু হুযাফা সাহামী (রাঃ) যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী ছিলেন এবং বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, মদিনায় ইন্তেকাল করলে হাফসা (রাঃ) বিধবা হয়ে পড়লেন। ’উমর (রাঃ) বলেন, তখন আমি ’উসমান ইবনু আফফা্‌নের সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং তাঁর নিকট হাফসার কথা আলোচনা করে তাঁকে বললাম, আপনি চাইলে আমি আপনার সাথে ’উমরের মেয়ে হাফসাকে বিয়ে দিয়ে দেব। ’উসমান (রাঃ) বললেন, ব্যাপারটি আমি একটু চিন্তা করে দেখি। (’উমর (রাঃ) বলেন, এ কথা শুনে) আমি কয়েকদিন অপেক্ষা করলাম। পরে ’উসমান (রাঃ) বললেন, আমার সুস্পষ্ট অভিমত এই যে, এই সময় আমি বিয়ে করব না। ’উমর (রাঃ) বলেন, এরপর আমি আবূ বকরের সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং তাঁকে বললাম, আপনার ইচ্ছা করলে ’উমরের কন্যা হাফসাকে আমি আপনার নিকট বিয়ে দিয়ে দেব। (এ কথা শুনে) আবূ বকর (রাঃ) চুপ করে রইলেন এবং আমাকে কোন জবাব দিলেন না।

এতে আমি ’উসমানের (অস্বীকৃতির) চেয়েও অধিক দুঃখ পেলাম। এরপর আমি কয়েকদিন চুপ করে রইলাম, এমতাবস্থায় হাফসার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই প্রস্তাব দিলেন। আমি তাঁকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বিয়ে দিলাম। এরপর আবূ বকর (রাঃ) আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, আমার সাথে হাফসার বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর আমি কোন উত্তর না দেওয়ার ফলে সম্ভবত আপনি মনকষ্ট পেয়েছেন। (’উমর (রাঃ) বলেন) আমি বললাম, হাঁ। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আপনার প্রস্তাবের জবাব দিতে একটি জিনিসই আমাকে বাঁধা দিয়েছে আর তা হল এই যে, আমি জানতাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই হাফসা (রাঃ) সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন, তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপনীয় বিষয়টি প্রকাশ করার আমার ইচ্ছা ছিল না। (এ কারণেই আমি আপনাকে কোন উত্তর দেই নি।) যদি তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে গ্রহণ না করতেন, অবশ্যই আমি তাঁকে গ্রহণ করতাম।

باب

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ يُحَدِّثُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ حِينَ تَأَيَّمَتْ حَفْصَةُ بِنْتُ عُمَرَ مِنْ خُنَيْسِ بْنِ حُذَافَةَ السَّهْمِيِّ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ شَهِدَ بَدْرًا تُوُفِّيَ بِالْمَدِينَةِ قَالَ عُمَرُ فَلَقِيتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَعَرَضْتُ عَلَيْهِ حَفْصَةَ فَقُلْتُ إِنْ شِئْتَ أَنْكَحْتُكَ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ‏.‏ قَالَ سَأَنْظُرُ فِي أَمْرِي‏.‏ فَلَبِثْتُ لَيَالِيَ، فَقَالَ قَدْ بَدَا لِي أَنْ لاَ أَتَزَوَّجَ يَوْمِي هَذَا‏.‏ قَالَ عُمَرُ فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ إِنْ شِئْتَ أَنْكَحْتُكَ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ‏.‏ فَصَمَتَ أَبُو بَكْرٍ، فَلَمْ يَرْجِعْ إِلَىَّ شَيْئًا، فَكُنْتُ عَلَيْهِ أَوْجَدَ مِنِّي عَلَى عُثْمَانَ، فَلَبِثْتُ لَيَالِيَ، ثُمَّ خَطَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْكَحْتُهَا إِيَّاهُ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ لَعَلَّكَ وَجَدْتَ عَلَىَّ حِينَ عَرَضْتَ عَلَىَّ حَفْصَةَ فَلَمْ أَرْجِعْ إِلَيْكَ قُلْتُ نَعَمْ‏.‏ قَالَ فَإِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرْجِعَ إِلَيْكَ فِيمَا عَرَضْتَ إِلاَّ أَنِّي قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ ذَكَرَهَا، فَلَمْ أَكُنْ لأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَلَوْ تَرَكَهَا لَقَبِلْتُهَا‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن الزهري، قال اخبرني سالم بن عبد الله، انه سمع عبد الله بن عمر ـ رضى الله عنهما ـ يحدث ان عمر بن الخطاب حين تايمت حفصة بنت عمر من خنيس بن حذافة السهمي وكان من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم قد شهد بدرا توفي بالمدينة قال عمر فلقيت عثمان بن عفان فعرضت عليه حفصة فقلت ان شىت انكحتك حفصة بنت عمر‏.‏ قال سانظر في امري‏.‏ فلبثت ليالي، فقال قد بدا لي ان لا اتزوج يومي هذا‏.‏ قال عمر فلقيت ابا بكر فقلت ان شىت انكحتك حفصة بنت عمر‏.‏ فصمت ابو بكر، فلم يرجع الى شيىا، فكنت عليه اوجد مني على عثمان، فلبثت ليالي، ثم خطبها رسول الله صلى الله عليه وسلم فانكحتها اياه، فلقيني ابو بكر فقال لعلك وجدت على حين عرضت على حفصة فلم ارجع اليك قلت نعم‏.‏ قال فانه لم يمنعني ان ارجع اليك فيما عرضت الا اني قد علمت ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قد ذكرها، فلم اكن لافشي سر رسول الله صلى الله عليه وسلم، ولو تركها لقبلتها‏.‏


Narrated `Abdullah bin `Umar:

`Umar bin Al-Khattab said, "When (my daughter) Hafsa bint `Umar lost her husband Khunais bin Hudhaifa As-Sahrni who was one of the companions of Allah's Messenger (ﷺ) and had fought in the battle of Badr and had died in Medina, I met `Uthman bin `Affan and suggested that he should marry Hafsa saying, "If you wish, I will marry Hafsa bint `Umar to you,' on that, he said, 'I will think it over.' I waited for a few days and then he said to me. 'I am of the opinion that I shall not marry at present.' Then I met Abu Bakr and said, 'if you wish, I will marry you, Hafsa bint `Umar.' He kept quiet and did not give me any reply and I became more angry with him than I was with `Uthman . Some days later, Allah's Messenger (ﷺ) demanded her hand in marriage and I married her to him. Later on Abu Bakr met me and said, "Perhaps you were angry with me when you offered me Hafsa for marriage and I gave no reply to you?' I said, 'Yes.' Abu Bakr said, 'Nothing prevented me from accepting your offer except that I learnt that Allah's Messenger (ﷺ) had referred to the issue of Hafsa and I did not want to disclose the secret of Allah's Messenger (ﷺ) , but had he (i.e. the Prophet) given her up I would surely have accepted her."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১৬। মুসলিম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) বদরী সাহাবী আবূ মাসউদ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, স্বীয় আহ্‌লের (পরিবার পরিজনের) জন্য ব্যয় সাদাকা।

باب

حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، سَمِعَ أَبَا مَسْعُودٍ الْبَدْرِيَّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ نَفَقَةُ الرَّجُلِ عَلَى أَهْلِهِ صَدَقَةٌ ‏"‏‏.‏

حدثنا مسلم، حدثنا شعبة، عن عدي، عن عبد الله بن يزيد، سمع ابا مسعود البدري، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ نفقة الرجل على اهله صدقة ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Masud Al-Badri:

The Prophet (ﷺ) said, "A man's spending on his family is a deed of charity."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১৭। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... উরওয়া ইবনু যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণিত, উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) তাঁর খিলাফত কালের (একটি ঘটনা) বর্ণনা করেছেন যে, মুগীরা ইবনু শুবা (রাঃ) কুফার আমীর থাকা কালে তিনি (একদা) আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে বিলম্ব করে ফেললে যায়েদ ইবনু হাসানের দাদা বদরী সাহাবী আবূ মাসঊদ উতবা ইবনু আমর আনসারী (রাঃ) তাঁর নিকট গিয়ে বললেন, আপনিতো জানেন যে, জিবরীল (আলাইহিস সালাম) এসে সালাত আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর সাথে) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলেন। জিবরীল(আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি এভাবেই সালাত আদায় করানোর জন্য আদিষ্ট হয়েছেন। (উরওয়া বলেন) বশীর ইবনু আবূ মাসউদ তার পিতার নিকট থেকে হাদিসটি এভাবেই বর্ণনা করতেন।

باب

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، يُحَدِّثُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي إِمَارَتِهِ أَخَّرَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ الْعَصْرَ وَهْوَ أَمِيرُ الْكُوفَةِ، فَدَخَلَ أَبُو مَسْعُودٍ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو الأَنْصَارِيُّ جَدُّ زَيْدِ بْنِ حَسَنٍ شَهِدَ بَدْرًا فَقَالَ لَقَدْ عَلِمْتَ نَزَلَ جِبْرِيلُ فَصَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَمْسَ صَلَوَاتٍ ثُمَّ قَالَ هَكَذَا أُمِرْتَ‏.‏ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن الزهري، سمعت عروة بن الزبير، يحدث عمر بن عبد العزيز في امارته اخر المغيرة بن شعبة العصر وهو امير الكوفة، فدخل ابو مسعود عقبة بن عمرو الانصاري جد زيد بن حسن شهد بدرا فقال لقد علمت نزل جبريل فصلى فصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم خمس صلوات ثم قال هكذا امرت‏.‏ كذلك كان بشير بن ابي مسعود يحدث عن ابيه‏.‏


Narrated Az-Zuhri:

I heard `Urwa bin Az-Zubair talking to `Umar bin `Abdul `Aziz during the latter's Governorship (at Medina), he said, "Al-Mughira bin Shu`ba delayed the `Asr prayer when he was the ruler of Al-Kufa. On that, Abu Mas`ud. `Uqba bin `Amr Al-Ansari, the grand-father of Zaid bin Hasan, who was one of the Badr warriors, came in and said, (to Al-Mughira), 'You know that Gabriel came down and offered the prayer and Allah's Messenger (ﷺ) prayed five prescribed prayers, and Gabriel said (to the Prophet (ﷺ) ), "I have been ordered to do so (i.e. offer these five prayers at these fixed stated hours of the day).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১৮। মূসা (রহঃ) ... বদরী সাহাবী আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সূরা বাকারার শেষ এমন দু’টি আয়াত রয়েছে যে ব্যাক্তি রাতের বেলা আয়াত দু’টো তিলাওয়াত করবে তার জন্য এ আয়াত দু’টোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাত্রে কুরআন তেলাওয়াত করার যে হক রয়েছে, কমপক্ষে সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত তেলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট। ’আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, পরে আমি আবূ মাসঊদের সাথে সাক্ষাৎ করলাম। তখন তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করছিলেন। (সেখানে) এ হাদিসটি সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা আমার নিকট বর্ণনা করলেন।

باب

حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الْبَدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الآيَتَانِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ مَنْ قَرَأَهُمَا فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ ‏"‏‏.‏ قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَلَقِيتُ أَبَا مَسْعُودٍ وَهْوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ، فَسَأَلْتُهُ فَحَدَّثَنِيهِ‏.‏

حدثنا موسى، حدثنا ابو عوانة، عن الاعمش، عن ابراهيم، عن عبد الرحمن بن يزيد، عن علقمة، عن ابي مسعود البدري ـ رضى الله عنه ـ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ الايتان من اخر سورة البقرة من قراهما في ليلة كفتاه ‏"‏‏.‏ قال عبد الرحمن فلقيت ابا مسعود وهو يطوف بالبيت، فسالته فحدثنيه‏.‏


Narrated Abu Masud Al-Badri:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "It is sufficient for one to recite the last two Verses of Surat-al-Baqara at night."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭১৯। ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, মাহ্‌মুদ ইবনু রবী (রহঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, ’ইতবান ইবনু মালিক (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনসারী সাহাবী ছিলেন এবং তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলেন।

باب

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ، أَنَّ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا مِنَ الأَنْصَارِ أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏

حدثنا يحيى بن بكير، حدثنا الليث، عن عقيل، عن ابن شهاب، اخبرني محمود بن الربيع، ان عتبان بن مالك، وكان، من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم ممن شهد بدرا من الانصار انه اتى رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Mahmud bin Ar-Rabi:

That `Itban bin Malik who was one of the companions of the Prophet (ﷺ) and one of the warriors of Badr, came to Allah's Messenger (ﷺ).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭২০। আহ্‌মদ (রহঃ) ... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমি বনী সালিম গোত্রের অন্যতম নেতা হুসাইন ইবনু মুহাম্মদকে (রহঃ) ইতবান ইবনু মালিক থেকে মাহমুদ ইবনু রাবী এর বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর তিনি উহার স্বীকৃতি দিলেন।

باب

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ ـ هُوَ ابْنُ صَالِحٍ ـ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ ثُمَّ سَأَلْتُ الْحُصَيْنَ بْنَ مُحَمَّدٍ ـ وَهْوَ أَحَدُ بَنِي سَالِمٍ وَهْوَ مِنْ سَرَاتِهِمْ ـ عَنْ حَدِيثِ، مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ عَنْ عِتْبَانَ بْنِ مَالِكٍ، فَصَدَّقَةُ‏.‏

حدثنا احمد ـ هو ابن صالح ـ حدثنا عنبسة، حدثنا يونس، قال ابن شهاب ثم سالت الحصين بن محمد ـ وهو احد بني سالم وهو من سراتهم ـ عن حديث، محمود بن الربيع عن عتبان بن مالك، فصدقة‏.‏


Narrated Ibn Shihab:

I asked Al-Husain bin Muhammad who was one of the sons of Salim and one of the nobles amongst them, about the narration of Mahmud bin Ar-Rabi 'from `Itban bin Malik, and he confirmed it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭২১। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... বনী আদী গোত্রের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যাক্তি আবদুল্লাহ ইবনু আমির ইবনু রাবী’আ যার পিতা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আমাকে বর্ণনা করেন যে, উমর (রাঃ) কুদামা ইবনু মাযউনকে (রাঃ) বাহরাইনের শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন। তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) এবং হাফসা (রাঃ) এর মামা।

باب

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، وَكَانَ، مِنْ أَكْبَرِ بَنِي عَدِيٍّ وَكَانَ أَبُوهُ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عُمَرَ اسْتَعْمَلَ قُدَامَةَ بْنَ مَظْعُونٍ عَلَى الْبَحْرَيْنِ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا، وَهُوَ خَالُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَحَفْصَةَ رضى الله عنهم‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن الزهري، قال اخبرني عبد الله بن عامر بن ربيعة، وكان، من اكبر بني عدي وكان ابوه شهد بدرا مع النبي صلى الله عليه وسلم ان عمر استعمل قدامة بن مظعون على البحرين، وكان شهد بدرا، وهو خال عبد الله بن عمر وحفصة رضى الله عنهم‏.‏


Narrated `Abdullah bin `Amr bin Rabi`a:

who was one of the leaders of Bani `Adi and his father participated in the battle of Badr in the company of the Prophet. `Umar appointed Qudama bin Maz'un as ruler of Bahrain, Qudama was one of the warriors of the battle of Badr and was the maternal uncle of `Abdullah bin `Umar and Hafsa.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭২২। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আসমা (রহঃ) ... রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উমরকে বলেছেন যে, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তার দু’চাচা তাকে জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবাদযোগ্য ভূমি ভাড়া দিতে নিষেধ করেছেন। (বর্ণনাকারী বলেন) আমি সালিমকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনিতো এ ধরনের জমি ভাড়া দিয়ে থাকেন? তিনি বললেন, হাঁ। রাফি’ (ইবনু খাদীজ) তো নিজের প্রতি বাড়াবাড়ি করেছেন।

باب

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَ رَافِعُ بْنُ خَدِيجٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، أَنَّ عَمَّيْهِ، وَكَانَا، شَهِدَا بَدْرًا أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كِرَاءِ الْمَزَارِعِ‏.‏ قُلْتُ لِسَالِمٍ فَتُكْرِيهَا أَنْتَ قَالَ نَعَمْ، إِنَّ رَافِعًا أَكْثَرَ عَلَى نَفْسِهِ‏.‏

حدثنا عبد الله بن محمد بن اسماء، حدثنا جويرية، عن مالك، عن الزهري، ان سالم بن عبد الله، اخبره قال اخبر رافع بن خديج عبد الله بن عمر، ان عميه، وكانا، شهدا بدرا اخبراه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن كراء المزارع‏.‏ قلت لسالم فتكريها انت قال نعم، ان رافعا اكثر على نفسه‏.‏


Narrated Az-Zuhri:

Salim bin `Abdullah told me that Rafi` bin Khadij told `Abdullah bin `Umar that his two paternal uncles who had fought in the battle of Badr informed him that Allah's Messenger (ﷺ) forbade the renting of fields. I said to Salim, "Do you rent your land?" He said, "Yes, for Rafi` is mistaken."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭২৩। আদম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনু হাদ লায়সী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রিফা’আ ইবনু রাফি’ আনসারী (রাঃ) কে দেখেছি, তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

باب

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ اللَّيْثِيَّ، قَالَ رَأَيْتُ رِفَاعَةَ بْنَ رَافِعٍ الأَنْصَارِيَّ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا‏.‏

حدثنا ادم، حدثنا شعبة، عن حصين بن عبد الرحمن، قال سمعت عبد الله بن شداد بن الهاد الليثي، قال رايت رفاعة بن رافع الانصاري، وكان شهد بدرا‏.‏


Narrated `Abdullah bin Shaddad bin Al-Had Al-Laithi:

I saw Rifa`a bin Rafi` Al-Ansari who was a Badr warrior.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭২৪। আবদান (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী, বনী আমির ইবনু লুওয়াই গোত্রের বন্ধু আমর ইবনু আউফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ উবায়দা ইবনুল জার্‌রাহ্‌কে জিযিয়া আনার জন্য বাহ্‌রাইন পাঠান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার্‌রাইন বাসীদের সাথে সন্ধি করে ’আলা ইবনু হাযরামী (রাঃ) কে তাদের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আবূ উবায়দা (রাঃ) বাহ্‌রাইন থেকে মান নিয়ে এসে পৌঁছালে আনসারগণ তার আগমনের সংবাদ জানতে পেরে সকলেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হলেন।

সালাত সমাপ্তির পর ফিরে বসলে তারা সকলেই তাঁর সামনে আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে বললেন, আমার মনে হয়, আবূ উবায়দা কিছু মাল নিয়ে এসেছে বলে তোমরা শুনতে পেয়েছ। তারা সকলেই বললেন, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, সু-সংবাদ গ্রহণ কর এবং তোমাদের আনন্দদায়ক বিষয়ের আশায় থাকো, আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের জন্য দারিদ্রের আশংকা করিনা। বরং আমি আশংকা করি যে, তোমাদের কাছে দুনিয়ার প্রাচুর্য এসে যাবে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে এসেছিল, তখন তোমরা তা লাভ করতে পরস্পরে প্রতিযোগিতা করবে যেমনভাবে তারা করেছিল। আর এ ধন-সম্পদ তাদেরকে যেমনিভাবে ধ্বংস করেছিল তোমাদেরকেও তেমনিভাবে ধ্বংস করে দিবে।

باب

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، وَيُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهْوَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمِ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ، فَوَافَوْا صَلاَةَ الْفَجْرِ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا انْصَرَفَ تَعَرَّضُوا لَهُ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَىْءٍ ‏"‏‏.‏ قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ، فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنِّي أَخْشَى أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ قَبْلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا، وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ ‏"‏‏.‏

حدثنا عبدان، اخبرنا عبد الله، اخبرنا معمر، ويونس، عن الزهري، عن عروة بن الزبير، انه اخبره ان المسور بن مخرمة اخبره ان عمرو بن عوف وهو حليف لبني عامر بن لوى، وكان شهد بدرا مع النبي صلى الله عليه وسلم ان رسول الله صلى الله عليه وسلم بعث ابا عبيدة بن الجراح الى البحرين ياتي بجزيتها، وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم هو صالح اهل البحرين، وامر عليهم العلاء بن الحضرمي، فقدم ابو عبيدة بمال من البحرين فسمعت الانصار بقدوم ابي عبيدة، فوافوا صلاة الفجر مع النبي صلى الله عليه وسلم، فلما انصرف تعرضوا له، فتبسم رسول الله صلى الله عليه وسلم حين راهم ثم قال ‏"‏ اظنكم سمعتم ان ابا عبيدة قدم بشىء ‏"‏‏.‏ قالوا اجل يا رسول الله‏.‏ قال ‏"‏ فابشروا واملوا ما يسركم، فوالله ما الفقر اخشى عليكم، ولكني اخشى ان تبسط عليكم الدنيا كما بسطت على من قبلكم، فتنافسوها كما تنافسوها، وتهلككم كما اهلكتهم ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Miswar bin Makhrama:

That `Amr bin `Auf, who was an ally of Bani 'Amir bin Luai and one of those who fought at Badr in the company of the Prophet (ﷺ) , said, "Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu 'Ubaida bin Al-Jarrah to Bahrain to bring the Jizya taxation from its people, for Allah's Messenger (ﷺ) had made a peace treaty with the people of Bahrain and appointed Al-`Ala' bin Al-Hadrami as their ruler. So, Abu 'Ubaida arrived with the money from Bahrain. When the Ansar heard of the arrival of Abu 'Ubaida (on the next day) they offered the morning prayer with the Prophet (ﷺ) and when the morning prayer had finished, they presented themselves before him. On seeing the Ansar, Allah's Messenger (ﷺ) smiled and said, "I think you have heard that Abu 'Ubaida has brought something?" They replied, "Indeed, it is so, O Allah's Apostle!" He said, "Be happy, and hope for what will please you. By Allah, I am not afraid that you will be poor, but I fear that worldly wealth will be bestowed upon you as it was bestowed upon those who lived before you. So you will compete amongst yourselves for it, as they competed for it and it will destroy you as it did them."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু ‘আওফ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭২৫। আবূন নু’মান (রহঃ) ... নাফি’ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু উমর (রাঃ) সব ধরনের সাপকে হত্যা করতেন। অবশেষে বদরী সাহাবী আবূ লুবাবা (রাঃ) তাকে বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে বসবাসকারী (শ্বেতবর্ণের) ছোট সাপ মারতে নিষেধ করেছেন। এতে তিনি তা মারা থেকে বিরত থাকেন।

باب

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ كَانَ يَقْتُلُ الْحَيَّاتِ كُلَّهَا‏.‏ حَتَّى حَدَّثَهُ أَبُو لُبَابَةَ الْبَدْرِيُّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ قَتْلِ جِنَّانِ الْبُيُوتِ، فَأَمْسَكَ عَنْهَا‏.‏

حدثنا ابو النعمان، حدثنا جرير بن حازم، عن نافع، ان ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ كان يقتل الحيات كلها‏.‏ حتى حدثه ابو لبابة البدري، ان النبي صلى الله عليه وسلم نهى عن قتل جنان البيوت، فامسك عنها‏.‏


Narrated Nafi`:

Ibn `Umar used to kill all kinds of snakes until Abu Lubaba Al-Badri told him that the Prophet (ﷺ) had forbidden the killing of harmless snakes living in houses and called Jinan. So Ibn `Umar gave up killing them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »